খুব রোমান্টিক গল্প | বেস্ট রোমান্টিক গল্প | নতুন রোমান্টিক গল্প

 বউ নিয়ে রোমান্টিক গল্প

বউ নিয়ে রোমান্টিক গল্প

এই মেয়ে এই রান্নাবান্না কিছু করতে পারো নাকি বিয়ের পর ওটাও স্বামীর ঘাড়ে চাপানোর চিন্তাভাবনা আছে।


পাশে থেকে মেয়ের মা বলল জি আপা আমার মেয়ে সব পারে।


মেয়ে তার মাকে ধামকি দিয়ে বলল তুমি জানো না মিথ্যা বলা মহাপাপ তাহলে শুধু শুধু মিথ্যা বলছো কেন।


এরপর মেয়েটা আমার মায়ের চোখে চোখ রেখে বলল জি আন্টি একটু একটু পারি তবে আপনার ছেলের মত হাবলা ছেলে যদি পায় তাহলে শুধু রান্না কেন বাসন মাজা কাপড় ধোয়া আরো যা যা আছে সব তাকে দিয়ে করাবো।


পাত্রীর মা তাকে চুপ করানোর অনেক চেষ্টা করছিল কিন্তু কে শোনে কার কথা।


পাত্রীর মুখে এমন কথা শুনে মার তো মাথায় হাত।


পাত্রীর মা বললেন আপা আপনি কিছু মনে করবেন না ওর কথায় ও অনেক ছোট তো কিছু বোঝেনা।

(হায় আল্লাহ ২৩ বছরের মেয়ে নাকি অনেক ছোট আপনাদের বিশ্বাস হয়...?


আচ্ছা তা ঠিক আছে তা মা তুমি কত দূর পড়াশোনা করেছ...?


আপনি আমাকে দেখার আগে নিশ্চয়ই আমার সম্পর্কে সবকিছু জেনেই এসেছেন তাহলে আবার নতুন করে সোনার কি দরকার।


পাত্রীর এমন উত্তর মার যে মোটেও পছন্দ হয়নি তা মার মুখ দেখেই বোঝা যাচ্ছিল।


মা আবার প্রশ্ন করলেন তা তোমরা কয় ভাই বোন...?


এবার মেয়েটা কিছু বলার আগে তার মা বলল জি আপা মিম আমাদের একমাত্র মেয়ে। 


মা আস্তে আস্তে বললেন তাইতো লাই পেয়ে পেয়ে মাথায় উঠেছে।


মিম বলল কিছু বললেন কি আন্টি।


না না কি বলবো তা তুমি কি কোরআন শরীফ পড়তে পারো...?


মিম কিছু বলার আগেই তার মা বলে উঠলো জী জী আপা আমার মেয়ে প্রতিদিন সকালে কোরআন শরীফ পরে।


যদিও মেয়েকে দেখে আমার মোটেও এমন মনে হয় না। মাসে একবার পড়ে কিনা সন্দেহ আছে।


মা বলল তাহলে মা সুরা নাসর বলতো শুনি একটু।


এরপর মীমের মুখ দেখার মত ছিল। তাকে দেখে মনে হচ্ছিল নাছর নামে যে কোন সূরা আছে সেটা আজ সে প্রথম শুনলো।


মিম হুট করে জবাব দিল দেখেন আন্টি আপনারা পাত্রী দেখতে আসছেন ভালো কথা পাত্রী দেখবেন খাবেন দাবেন এত প্রশ্ন করার কি আছে।


মিমের এমন চটাং চটাং উত্তরে মার মেজাজ খারাপ হলেও আমি আর আমার ছোটবোন মনি দুজন খুব মজা পাচ্ছিলাম। মায়ের মুখে মুখে এমন কথা আজ পর্যন্ত কার বলার সাহস হয়নি।


মাকে শায়েস্তা করতে এমন মেয়েরি প্রয়োজন।


আমি যখন মাকে আমার শান্ত ভদ্র নরম শরম গার্লফ্রেন্ড না না গার্লফ্রেন্ড না ভালোবাসার মানুষ মেঘার কথা বলেছিলাম।


তখন মা বলেছিলেন মেঘা নাকি ভালো মেয়ে না। লজ্জা শরম থাকলে বান্ধবীর ভাইয়ের সাথে প্রেম করত না( সেই কাহিনী না হয় পরে কোন একদিন বলবো) মার ধারণা সে আমাকে পটিয়ে-পাটিয়ে মার কাছ থেকে অনেক দূরে সরে নিয়ে যাবে। মায়ের ইচ্ছা তার পছন্দ করা পাত্রীকেই আমার বিয়ে করতে হবে। তাই আজ এই পাত্রীকে দেখতে আসা।


আমি মাকে শায়েস্তা করার জন্য বললাম মা পাত্রী আমার খুব পছন্দ হয়েছে আমি আজই বিয়ে করতে চাই।


মিম আর মা দুজনে আমার কথা শুনে হা হয়ে গেছে। মাতো আমার দিকে চোখ বড় বড় করে তাকিয়ে আছে যেন পারলে তখনই আমাকে গিলে খাই।


মা কিছু বলতে যাবে তার আগে মনি বললো আমারও হবু ভাবিকে খুব পছন্দ হয়েছে মা তোমার কেমন লেগেছে।


মা অনেক কষ্ট করে মুখে হাসি ফুটিয়ে বলল আপা আমরা আজ উঠি আমি আপনাকে পরে জানাবো।


আমিও কম কিসে মাকে খেপানোর জন্য বললাম না মা আমি এখনি বিয়ে করব।


মা আমার খেপে ফায়ার । কিছু বলতে পারছে না কিছু সইতে পারছে না।


মায়ের এমন অবস্থা দেখে মনি মুখ টিপে হাসতে শুরু করেছে।


মা কিছু বলতে যাবে তার আগেই মীম দাঁড়িয়ে বলল। এই যে মিস্টার হাবলা কান্ত আপনার আমাকে পছন্দ হলেও আমার আপনাকে মোটেও পছন্দ হয়নি।


সো আপনি এখন আসতে পারেন।


মা হঠাৎ রাক্ষসী রানী কটকটির মত চিৎকার করে বললেন এই বেয়াদব মেয়ে তোমার মত ফাজিল মেয়েকে আমার ছেলের সাথে বিয়ে দেবো তুমি ভাবলে কিভাবে। আমার ছেলের জন্য কত সুন্দর সুন্দর মেয়ে লাইনে দাঁড়িয়ে আছে। এই চল তোরা এখানে আর এক মুহূর্ত দাঁড়াবো না বলে আমার আর মনির হাত ধরে হনহন করে বেরিয়ে এলো ।


গল্পঃপাত্রী_দেখা

লিখাঃ -পায়েল