কঠিন জীবনের গল্প | বাস্তব জীবনের গল্প

 অসহায় জীবনের গল্প

অসহায় জীবনের গল্প

ছেলে: "বাবা, আমি কি তোমাকে একটা প্রশ্ন করতে পারি?"

বাবা: "হ্যাঁ নিশ্চিত, বলো?"

ছেলে: "বাবা,তুমি এক ঘন্টায় কত আয় কর?"

বাবাঃ "এটা তোমার জানার বিষয় নয়। তুমি এমন কথা জিজ্ঞেস করছ কেন?"

ছেলে: "আমি শুধু জানতে চাই। আমাকে বলো, তুমি এক ঘন্টা কত আয় কর?"

বাবা: " আমি প্রতি ঘণ্টায় $100 আয় করি।"

ছেলে: "ওহ! (মাথা নিচু করে)।

ছেলে: "বাবা, আমি কি দয়া করে ৫০ ডলার তোমার কাছ থেকে ধার করতে পারি?"

বাবা রেগে গেলেন। 

বাবা: "তুমি কি কোন খেলনা কিনবে বলে আমার কাছে পয়সা চাইছো? যদি তা তুমি ভেবে থাকো, আমি তোমাকে বলবো তুমি এখন গিয়ে শুয়ে পড়ো। আমাকে প্রতিদিন হাড়ভাঙ্গা পরিশ্রম করতে হয় শুধুমাত্র পেটের ভাত যোগাড় করার জন্য,খেলনা কেনার জন্য নয়।


ছোট ছেলেটি চুপচাপ তার ঘরে গিয়ে দরজা বন্ধ করে দিল।

লোকটি বসে পড়ল এবং ছোট ছেলের প্রশ্নের কথা ভেবে সে আরো ক্ষেপে গেল।শুধু কিছু টাকা পাওয়ার জন্য তার এমন প্রশ্ন করার সাহস হয় কিভাবে?

প্রায় এক ঘন্টা বা তার পরে, লোকটি শান্ত হয়ে গেল এবং ভাবতে শুরু করল:

হয়তো এমন কিছু ছিল যা তার সত্যিই $ 50 দিয়ে কেনার দরকার ছিল এবং সত্যিই তো আমার ছেলে কখনোই তো আমার কাছে টাকা পয়সা চায় না। লোকটা ছোট ছেলের ঘরের দরজায় গিয়ে দরজা খুলে দিল।

বাবা: "ঘুমাচ্ছো,বাবু?"

ছেলে: "না বাবা, আমি জেগে আছি"।

বাবা: "আমি ভাবছিলাম, হয়তো আমি তোমার সাথে খুব খারাপ ব্যবহার করে ফেলেছি। বাবা, বলতো ৫০ ডলার নিয়ে তুমি কি করবে?  

ছোট ছেলেটা সোজা হয়ে বসে হাসল।

ছেলে: "ওহ, ধন্যবাদ বাবা!"

তারপর, তার বালিশের নীচ থেকে সে কিছু কয়েন টেনে আনলো। লোকটি দেখল ছেলেটির কাছে আগে থেকেই টাকা আছে, আবার তিনি রাগ করতে শুরু করলেন। ছোট ছেলেটি আস্তে আস্তে তার টাকা গুনল, তারপর বাবার দিকে তাকাল।

বাবা: "তোমার কাছে যদি আগের থেকে টাকা থেকেই থাকে, তাহলে তুমি কেন আমার কাছে টাকা চাইছো? 

ছেলে: "কারণ আমার কাছে যথেষ্ট ছিল না, কিন্তু এখন গুনে দেখছি আমার কাছে 100 ডলারই আছে।

" আমি তোমাকে ১০০ ডলার দিতে চাই এবং তোমার এক ঘন্টা কিনে নিতে চাই। তুমি এই নাও টাকা, আর আগামীকাল এক ঘন্টা আগে বাড়ীতে এসো। ঐ ১ ঘন্টা আমি তোমার কাছ থেকে কিনলাম। ওই এক ঘন্টা তুমি শুধু আমার সাথে খেলা করবে, আর কোন কাজ নয়।  


 একথা শুনে বাবা ভীষণভাবে আলোড়িত হলেন। তিনি তার ছোট ছেলের সামনে হাঁটু গেড়ে বসলেন এবং তিনি তার ক্ষমা প্রার্থনা করলেন। 

এটা শুধুমাত্র একটি ছোট উদাহরণ।সত্যি সত্যি আমরা সবাই গতিতে এগিয়ে চলেছি এবং নিজেদের কক্ষপথে নিজেরাই ছুটছি।আর এই ছোটার জন্যই যারা আমাদের প্রিয়জন তাদের খোঁজ খবরও রাখিনা, মনের খবরও রাখি না। আমাকে আপনাকে জীবনে এত কঠোর পরিশ্রম করতেই হবে। তবে যারা আমাদের কাছে সত্যিই গুরুত্বপূর্ণ, আমাদের হৃদয়ের কাছাকাছি তাদের সাথে কিছু সময় না কাটিয়ে সময়কে আঙুল দিয়ে পিছলে যেতে দেওয়া উচিত নয়।


ইংরাজিতে মূল লেখক অজানা

✍️অশোক পাল

৩১/৭/২০২৩