রোমান্টিক মজা গল্প | মেয়েটি হাসতে হাসতে চলে গেল

 হাস্যকর মজার গল্প

হাস্যকর মজার গল্প

বাইরে ঘুরতে গেছিলাম। ____


হঠাৎ একটা মেয়ে কোথা থেকে এসে আমাকে বললো।


মেয়েটা__ এইযে শুনছেন আপনাকে অনেকদিন ধরে একটা কথা বলবো ভাবছি। 


আমি__ কি কথা আমাকে চেনেন নাকি আপনি। 🙄🙄


মেয়েটা_ অনেকদিন ধরে আপনাকে খেয়াল করি। সত্যি বলতে আপনাকে আমার ভালোলাগে আই লাভ ইউ প্লিজ প্লিজ প্লিজ না করবেন না আহলে ম/রে জাবো আমি।। 


মেয়েটার মুখে কথাটা শুনে তো আমি অবাক এত সুন্দর মেয়ে আমাকে লাভ ইউ বলছে আমিও সাথে সাথে রাজি হয়ে গেলাম।। ___


শুরু হলো আমাদের প্রেম। তখন মেয়েটা আমাকে বললো। বাবু চলনা ঘুরতে যাই আমি বললাম কোথায় মেয়েটা বললো নদীর পারে। 


আমিও রাজি হয়ে গেলাম। নদীর পারে দুজনে হাত ধরে হাঁটছি হঠাৎ মেয়েটা বললো।বাবু শোন আমি পানিতে নামি তুমি পিক তুলো তারপর তুমি নামবা আমি তুলবো পরে ফেসবুকে দিবো সবাই দেখবে আমাদের কত ভালোবাসা। 😒😒


আমিও রাজি হলাম। কথামত ও পানিতে নামলো আমি পিক তুললাম তারপর ও উঠলো আমি পানিতে নামার আগে ওকে মানিব্যাগ আর ফোনটা দিয়ে বললাম রাখো এগুলা পানিতে নামলে ভিজে জাবে। 


এই বলে ওকে পিক তুলতে দিয়ে পানিতে নেমেছি তখন মেয়েটা ডাক দিয়ে।বললো।বাবু ঢুব দাও দেখতে ভালো লাগবে ওর কথায় দিলাম এক ঢুব। 


ঢুব দিয়ে উপরে উঠে দেখি মেয়েটা নাই। আমার মানিব্যাগ আর মোবাইল নিয়ে পালিয়েছে সা/লি আমাকে এভাবে ধোকা দিলো।।😭🤣🤣

বাঁচতে হলে- প্রচুর হাসতে হবে

-" বরের সাথে তুমুল ঝগড়া বেঁধেছে। ঝগড়ার এক পর্যায়ে বর বললো, তুই যদি ভালো মেয়ে হয়ে থাকিস , আমার সাথে আর কথা বলবি না।প্রতিত্তরে আমি ও বলে দিয়েছি তুই ও যদি আমার সাথে কথা বলিস তুই মরা গরুর মাথা খাস। ব্যাস দুজন দুজনের সাথে কথা বলা বন্ধ হয়ে গেছে। আমি নিজের মতো তিন বেলা গরম রান্না করছি আর তার সামনে বসে বসে খাচ্ছি। বেচারা না পারছে কিছু বলতে আর না পারছে পেটের জ্বালা সহ্য করতে। ক্ষুধার জ্বালায় ফ্রিজ থেকে ফল এটা ওটা বের করে খাচ্ছে। রেস্টুরেন্টে থেকে খাবার কিনে খাচ্ছে। এইভাবেই চলছিলো আমাদের সংসার। হঠাৎ করে আমাদের এইখানে ইলেক্ট্রিক সমস্যা দেখা দেয়।মাইকে ঘোষণা দেওয়া হয় প্রায় তিন চার তিন কারেন্ট থাকবে না। আমার বর আবার একজন শিক্ষক। মাথায় শেয়ালের বুদ্ধি নিয়ে ঘোরে। শুক্রবার স্কুল ছুটির দিন। বিকালে দুজন ঘাটের দুই প্রান্তে শুয়ে আছি হুট করে বর কি মনে করে হো হো করে হেসে উঠে বাজারের ব্যাগ নিয়ে বাজারে চলে গেলো।আমি বোকার মতো কিছুক্ষণ মটকা মেরে পড়ে রইলাম। পরক্ষণেই একটা বুদ্ধি মাথায় আসতেই আমি ফাটা বাঁশের গলায় গান ধরলাম,


 " তুমি যেই কলেজের নতুন শিক্ষক , 

         ‌ ‌‌ দুষ্টু বুদ্ধি নাম তার

আমি বিগত দশ বছর ধরে 

 সেই কলেজের প্রফেসর "

এই গানের তালে তালে নাচতে নাচতে ডান হাতের আঙ্গুলে লাল রং আর টমেটোর সস মিক্স করে দিয়ে উপরে ব্যান্ডেজ করে পাশের বাসার ভাবী ডাক দিয়েছি তার সাথে ব্যাপার টা শেয়ার করবো বলে এমন সময় বর কে দেখি মুচকি মুচকি হাসতে হাসতে বাজারের ব্যাগ নিয়ে আসছে।যা দেখে ভাবী বললো, 


-"কি ব্যাপার ভাইয়া আপনাকে এতো খুশি খুশি লাগছে কেন? অনেক বাজার করেছেন মনে হচ্ছে?"


-" আর বয়লেন না ভাবী। বাজারে গিয়ে দেখি ছোট মাছ এতো সস্তা হয়েছে যে লোভ সামলাতে পারি নি। পাঁচ কেজি ছোট মাছ কিনে নিয়ে আসছি। একদম তরতাজা রয়েছে।মনে হচ্ছে যেন সদ্য নদীতে জাল ফেলে মাছ তুলে নিয়ে আসা হয়েছে।"


-" কিন্তু ভাইয়া এতো গুলো মাছ আপনি একসাথে কেটে জ্বাল দিবেন কিভাবে? তাছাড়া তিন চার দিন কারেন্ট থাকবে না যে ফ্রিজে রেখে দিবেন।"


-" বর মুখ কালো করে বললো , আমি কাটবো মানে?"


-" তৎক্ষণাৎ ভাবী আমার হাত দেখিয়ে বললো, আপনার ব‌উ রান্না করতে গিয়ে হাত কেটে বসে রয়েছে। এখন আপনি এই পাঁচ কেজি মাছ যা করবেন করেন। অতঃপর বর চোখের পানি নাকের পানি এক করে মাছ কাটছে আর নিজেকে নিজেই অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করছে। আমি চুপিচুপি তার কানের কাছে গিয়ে বললাম , যেমন কুকুর তেমন মুগুর।।


                ‌ সমাপ্ত


-যেমন_কুকুর_তেমন_মুগুর

-নুজাইফা_নূন