sad মৃত্যু নিয়ে স্ট্যাটাস | মৃত্যু নিয়ে ফেসবুক স্ট্যাটাস

 মৃত্যু নিয়ে আবেগঘন স্ট্যাটাস

মৃত্যু নিয়ে আবেগঘন স্ট্যাটাস

ঘটনাটি পড়ুন, শরীরের লোমগুলো দাঁড়িয়ে যাবে! 📨


একটি যাত্রীভরা বাস চলতেছিল।


 হঠাৎ ড্রাইভার বাসটিকে থামালেন । 


গাড়ি থামানোর কারন জানতে চাইল যাত্রীরা । 


সে (ড্রাইবার) উত্তর দিল, "এই যে একজন বৃদ্ধ লোক দেখচ্ছেন ' যিনি বাসে উঠার জন্য হাত নাড়াচ্ছেন, উনার জন্য আমি বাস থামাচ্ছি।" 


যাত্রীরা বিষ্মিত হয়ে বলল, 

"আমরা তো কাউকে দেখছি না।"


 

সে বলল, ঐ যে ওখানে উনার দিকে তাকান।


আবারও যাত্রীরা বলল, 

"কাউকে দেখা যাচ্ছে না।" 


এবার ড্রাইবার বলল, 


এখন দেখুন,

লোকটি বাসে উঠছে!!


যাত্রীরা বিষ্ময়ে কিংকর্তব্যবিমূঢ় হয়ে চিৎকার করে বলছে,

"আল্লাহর কসম! আমরা কাউকে দেখতে পাচ্চি না।


তারপর

এক মুহুর্তের মধ্যেই ড্রাইভার তার আসনেই মারা

গেল।


হতে পারে এই বৃদ্ধ লোকটিই ছিলেন মালাকাল মউত [আযরাঈল (আ)] !


কার মৃত্যু কখন কিভাবে আসবে একমাত্র আল্লাহ ভাল জানেন। আল্লাহ' আমাদের সবাইকে তুমি ঈমানের হালতে মৃত্যু দিও -------- (আমীন)

প্রিয়জনের মৃত্যু নিয়ে স্ট্যাটাস

৪৭ বছরের প্রবাসী ছেলে ৭৩ বছরের বৃদ্ধা মাকে বেশ কিছুদিন পর ফোন করলো।


ছেলে~ মা আমি খোকা বলছি, তুমি কেমন আছো মা ?


মা~ কোথায় ছিলি খোকা, আমাকে ফোন করিসনি কেন বাবা ? তুই তো জানিস আমি তোকে ফোন করতে পারি না। কি চিন্তা হচ্ছিলো। এ বাড়িতে তুই জানিস তো যে যার সে তার মত থাকে। কেউ একবারও আমার খবর নেয় না। তুই ভালো আছিস তো খোকা ?


খোকা~ হ্যাঁ মা আমি ভালো আছি, ক-দিন আগে শরীরটা একটু খারাপ হয়েছিল, এখন ভালো আছি। তা মা তোমার শরীর ঠিক আছে তো ?


মা~ হ্যাঁ বাবা আমাকে নিয়ে চিন্তা করিস না, এখন বয়স হয়েছে, কখন ভালো কখন খারাপ নিজেই বলতে পারি না। তো বাবা কবে আসবি ? কতদিন তোকে দেখেনি।


খোকা~ খুব তাড়াতাড়ি তোমার কাছে যাবো মা। এবার আর তোমায় ছেড়ে আসবো না, তোমার কাছেই থাকবো। আর মা এবার গেলেই আগে তোমার হাতে ইলিশ মাছের জিরে বাটার ঝোল খাবো। কতদিন খাইনি। গরম গরম ভাত ইলিশের ঝোলের সাথে কাগজী লেবু দিয়ে মেখে, ওহ, কি ভালো যে তুমি রাঁধ মা এখনো জিভে জল আসে।


মা~ হেসে, তুই তাড়াতাড়ি চলে আয় বাবা, দুই মা বেটায় খুব আনন্দ করে থাকবো। 


খোকা~ হ্যাঁ মা, খুব তাড়াতাড়ি তোমার কাছে যাবো।


মা আনন্দে আত্মহারা হলো। তার খোকা তার কাছে ফিরে আসবে। মা জানালার সামনে দাঁড়িয়ে থাকে। এই জানালা দিয়ে দূরের রাস্তাটা দেখা যায়, তার খোকা এই রাস্তা দিয়ে কাঁধে ঝোলা ব্যাগ ঝুলিয়ে হন্তদন্ত পায়ে তার কাছে আসে।

সময় এগিয়ে চলে, ৭৩ বছরের মা ছেলের অপেক্ষায় ৭৬ বছর বয়স পেরিয়ে গেলো, তার খোকা আর ফিরে এলো না। সেদিনের খোকার শেষ ফোনের রাতেই দুদিনের অজানা এক জ্বরে প্রবাসের মাটিতেই মিশে গেল তার শরীর, বৃদ্ধা মা তার খবর জানতেই পারলো না। তবু মা আমৃত্যু জানালার দিকে তাকিয়ে রইলো তার খোকার অপেক্ষায়, ছেলেটা যে তার বড় ভালোবাসে ইলিশের জিরে বাটার ঝোল খেতে।