শিক্ষামূলক গল্প
শিক্ষণীয়…
অংকের শিক্ষক একটি অংক দিয়ে বললোঃ তোদের
মধ্যে যে অংকটি পারবে তাকে আমি এক জোড়া জু!তা
গিফট করবো।
সকল ছাত্র অংকটি সঠিক
উত্তর দিলো।
শিক্ষকঃ আমিতো একজনকে জু!তো দিতে পারবো। একটা কাজ কর, লটারী করি।
বাক্সের মধ্যে তোরা তোদের নাম আর রোল নম্বর লিখে দে।
ছাত্ররা রোল নাম/নম্বর লিখে বাক্সে রাখলো। শিক্ষক বাক্স একটু ঝাঁকিয়ে চোখ ব!ন্ধ করে একটি কাগজ তুললেন।
শিক্ষকঃ আমি কি নামটি পড়বো?
ছাত্ররা একত্রে বললোঃ পড়েন স্যার।
পুরো ক্লাশ Pin drop silence
শুধু শ্বাস-প্রশ্বাসের শব্দ।
শিক্ষক পড়লেনঃ
আব্দুল। রোল নম্বর ১
ছাত্ররা হাত তালি দিয়ে ফার্স্ট বয়কে অভিনন্দন জানালো।
শিক্ষক পরের দিন এক জোড়া জু!তো নিয়ে এসে বললেনঃ তোরা সকলে মিলে জু!তা ওকে পড়িয়ে দে।
টিচার্স রুমে ঐ শিক্ষকের চোখে জল দেখে সহকারী শিক্ষক জিজ্ঞাসাঃ স্যার, আপনার চোখে জল কেনো।
শিক্ষক জুতোর ঘটনা খুলে বলে, বললোঃ আব্দুল ক্লাশে একমাত্র ছাত্র যে কিনা, খালি পায় ক্লাশে আসে।
আমি ওর কথা চিন্তা করে কঠিন অংক দিলাম। সবাই অংকটি সঠিক উত্তর দিলো। সবচেয়ে অবাক লাগলো, লটারীর বাক্স খুলে দেখি সকল ছাত্রই তাদের স্ব স্ব নাম
নাম না লিখে, লিখেছিলো, আব্দুল, রোল ১,,, যাতে করে জুতো জুড়া আব্দুল পায়।
সেই ছাত্রটি ।
শিক্ষা মূলক স্ট্যাটাস
মূর্খ যখন বিত্তবান হয়!
একটি ইঁদুর খাবার খুঁজতে খুঁজতে রাজার ঘরে প্রবেশ করে, কোন খাবার না পেয়ে একটি হীরের টুকরো গিলে ফেলে। হীরের টুকরো চুরি যাওয়ার কারণে রাজ-প্রাসাদে সবার ঘুম হারাম হয়ে যায়। রাজা মশাই জ্যোতিষী কে ডেকে পাঠায়, জ্যোতিষী বলে হীরের টুকরো ইদুরে খেয়ে ফেলেছে। সেনাপতি, রাজার হীরে উদ্ধারের জন্য রাজ্যময় পুরস্কার ঘোষণা করে।
একজন শিকারীকে খোঁজ করে, ইঁদুর মেরে হীরে উদ্ধারের দায়িত্ব দেওয়া হয়।
শিকারি যখন ইঁদুর মারতে ইঁদুরদের বাসস্থানে পৌঁছোয়, সে দেখে শত শত ইঁদুর একে অন্যের সংগে দলবেঁধে শুয়ে আছে, আর একটা ইঁদুর সবার থেকে আলাদা এক জায়গায় একটি ইটের ওপর রঙিন কাপড়ের বিছানা করে চিৎপটাং হয়ে শুয়ে আছে।
শিকারি তখন ওই ইঁদুরটাকে ধরে, আর তার পেট চিরে হীরে বের করে, রাজার হাতে সেটা তুলে দিলেন, রাজামশাই অনেক খুশি হয়ে শিকারীকে তার প্রাপ্য পুরস্কার দিয়ে দিলেন,
এবং তাকে জিজ্ঞেস করেন,
-হাজারো ইঁদুরের মধ্যে তুমি কিভাবে বুঝলে যে, ওই ইঁদুরটাই হীরে চুরি করেছে..?
শিকারি জবাবে বলে,
-খুবই সহজ ! মূর্খ যখন হঠাৎ বিত্তবান হয়ে যায়, তখন নিজেকে অন্যের থেকে আলাদা মনে করে, নিজের জাতির সঙ্গে মেলামেশা বন্ধ করে দেয়।
মূর্খ ইঁদুরটা ঠিক তাই করেছিল, হীরা চুরি করে নিজেকে সবচেয়ে ধনী এবং ইঁদুরদের রাজা ঘোষণা দিয়েছিল।
বর্তমান সমাজে কিছু কিছু ব্যক্তিদের মাঝে এমন আচরন পরিলক্ষিত হচ্ছে!!!
বড় বড় নেতাদের সাথে সেলফি কিংবা ছবি তোলার যোগ্যতা থাকলেই মানুষ কখনো বড় মনের হয় না...। আজকাল দেখছি অনেকেই নেতা নেত্রী সহ বিভিন্ন শিল্পীদের সাথে ছবি তুলে প্রোফাইল ছবিতে যোগ দিয়েছেন ; তারা কি বুঝাতে চায় বোধগম্য হয় না। এটাও ঐ মূর্খতা ছাড়া আর কিছুই নয়
শিক্ষামূলক ফেসবুক স্ট্যাটাস
সময়_পরিবর্তনশীল "✌✌
* ১০ বছর আগে ক্লাসের সবচেয়ে সুন্দরী
নজর কাড়া মেয়েটাও এখন দুই সন্তানের মা..
কিন্তু সেই রুপ আর নাই....
* সব পরীক্ষায় নকল করে পাস করা
ছেলেটিও এখন বিসিএস ক্যাডার.....
* ক্লাসের পড়াশুনোয় সবচেয়ে বেশি সময়
ব্যয় করা ছেলেটিও এখন বেকার ঘুরছে...
*অন্যের গার্ল ফ্রেন্ড ভাগিয়ে নিয়ে যাওয়া
বাইকওয়ালা ছেলেটার হবু বউও এখন
আরেক প্রতিষ্ঠিত টাকাওয়ালার বিয়ে করা বউ...
* ৮ বছর আগে ক্লাসে সবচেয়ে অহংকার
নিয়ে চলাফেরা করা ছেলেটাওও এখন
ঋণের বোঝা নিয়ে কোন মতে বেচে আছে....
* ১০ বছর আগে ক্লাসের লাস্টে বসা
প্রতিনিয়ত খারাপ রেজাল্ট করা ছেলেটাও
এখন ডাক্তারি পড়া শেষ করে ফেলেছে...
* ৬-৭ বছর ধরে বারবার বয়ফ্রেন্ড চেন্স করা
ফর্সা সুন্দরী মেয়েটাও এখন পাত্র পক্ষের কাছে
বার বার রিজেক্ট হচ্ছে....
* ৫ বছর আগের সবচেয়ে সেরা জুটিটা
এখন একজন আরেকজনের ব্লক লিস্টে....
* ৭-৮ বছর ধরে নিজের ইচ্ছামতো একের
পর এক প্রেম করা মেয়েটিও এখন নিজের
অনিচ্ছায় অপছন্দের মানুষের সাথে সংসার করছে...
* ১০ বছর আগে আড্ডা জমানো ছেলেটাকে
বন্ধু সার্কেল থেকে সরিয়ে দেওয়া মানুষটা
এখনো বন্ধুত্তহীনতায় ভুগছে....
কখন কার কপালে কি ঘটে
তা আগে থেকে জানা সম্ভব নয়।
অর্থ-বিত্ত,রুপ-গুনের কারনে সাময়িক
কিছু দিনের জন্য আপনি-আমি হয়তো
সময়কে নিজের মতো করে চালাতে পারবো..
কিন্তু সময় সবসময় আমার-আপনার
ইচ্ছামত চলবে,এমন আশা করা টা ভুল..
সময় সময়ের মতো করে শোধটা নিয়ে নেয়...
এত অহংকার কিসের আমাদের..?
জীবনের প্রথম গোসল করছি অন্যজনের হাতে,
শেষ গোসল টা ও হবে অন্যজনেরই হাতে....😓😓😓
নিজে কে একটু ভাবেন আমি কি করতেছি,কি করা দরকার আর কি করতেছি,,
লেখক: অদৃশ্য কবি