সমাজের কিছু বাস্তব কথা
---আপনার বাবা কে ভিতরে আসতে বলুন?
---স্বামি হয় ওনি আমার বাবা না!
---মজা করেন আমার সাথে হ্যা। বাবা কে কেড় স্বামী বলে।
---আমার অল্প বয়সে বিয়ে হয়েছে ওনার সাথে। তাই আপনার এমন মনে হচ্ছে।
---এটা কেমনে সম্ভব হ্যা। আপনার বয়স কোথায় ১৬ বছর আপনার স্বামী বয়স ৪০ + হবে মনে হয়।
---হুম ওনার বয়স ৪২ বছর?
---এই কথা শুনে ডাক্তার একটু বেশ অবাক হয়ে যায়। তাই ডাক্তার প্রশ্ন করে বসে।
---আচ্ছা আপনাদের বিয়েটা কেমন করে হলো একটু বলবেন। যদি কিছু মনে না করেন।
---আরে না এখানে সমস্যা নেই বলতেছি। আমার যখন ১৫ বছর সবে মাত্র ৮ম শ্রেনিতে উঠেছি। অনেক ভালো ছাত্রী ছিলাম। স্বপ্ন ও ছিলো অনেক, বড় হয়ে ডাক্তার হবো। এই আশা নিয়েই পরাশুনা করতেছি। হঠাৎ একদিন স্কুলে বের হয়েছি ঠিক সেই সময় রহমান সাহেব আমাদের বাসায় আসে?
---রহমান সাসেব আবার কে?
---আমার স্বামী যিনি তার নাম।
---ওহ আচ্ছা তার পরে কি হলো?
---তো ওনি আমাদের বাড়িতে ডুকেই এক দৃষ্টিতে আমার দিকে তাকিয়ে থাকে। আমি কিছুটা আশ্চর্য হয়ে নিছের দিকে তাকিয়ে স্কুলে চলে যাই। এর পরে কি হলো না হলো সেটা আমি জানি না। যখনি স্কুলে থেকে আসি। তখন আমার বাবা মা আমার রুমে চলে এসে বলতেছে। শিলা আজ তোর বিয়ে। এই কথাটি শুনেই তো আমি অবাক হয়ে যাই কারন বাবা এই সব কি বলতেছে। তখন জিঙ্গেস করলাম। বাবা এখন বিয়ে মানে। কি বলতেছো এই সব। তোমরা না বলেছো আমি বড় হয়ে ডাক্তার হবো তার পরে বিয়ে দিবা?
হুমম বলেছি তুই বিয়ের পরে পরিশ। আজকেই তোর বিয়ে। আবার বলে উঠলাম কার সাথে আমার বিয়ে বাবা? রহমান সাহেবের সাথে বিয়ে। এই কথা শুনে তো আমি আকাশ থেকে পরলাম। কি বলো বাবা ওনার বয়স তো ৪০ বছর হবে বুড়া হয়ে গিয়েছে। আর আমার বয়স ১৬ বছর। আমার এই কথা শুনে মা বলে উঠে। বয়সে কোন সমস্যা নেই। তুই ওখানে শুখে থাকবি অনেক মা। কিন্তু মা আমি তো ওনাকে বিয়ে করবো না। কারন ওনি আমার দাদুর বয়সি।
---এতো কথা শুনতে চাইনি আমি যা বলেছি তাই হবে। এইটাই আমার শেষ কথা? ( বাবা)
---বাবা কিন্তু তুমি এমন কেনো করতেছো আমাকে বলবা প্লিজ।
---আমি রহমান সাহেবের কাছে ২ লক্ষ টাকা ধার নিছিলাম। কিন্তু ব্যবসায় লচ খাওয়ার জন্যে দিতে পারিনাই। তাই ওনি আজ আমাকে মারতে এসেছিলো। কিন্তু এসেই নাকি তোর সাথে দেখা হয়েছে।
---হুমম হয়েছে দেখা?
---তখনি তোকে পছন্দ করেছে। আমাকে বলেছে যদি আজকের ভিতরে টাকা না দেই তবে বাড়ি ঘর ভেঙ্গে দিবে। তখন আমি বলছি সময় লাগবে। তখন ওনি বলেছে। তোমার মেয়ের সাথে আমার বিয়ে দিলে আর একটি টাকাও লাগবে না বরং আরো টাকা তোমাকে দেয়া হবে। প্রথমে আমি রাজি ছিলাম না কিন্তু পরে ভেবে দেখলাম তুই ও ওনার সাথে থাকলে শুখে থাকবি। তাই রাজি হয়েছি।
---বাবার মুখে এই কথা শুনে কি বলবো ভাষা খুজে পাচ্ছিলাম না। পরে আমি ও ভাবলাম আমার কারনে যদি আমার বাবা মা শুখে থাকে তবে আমি ও হাসি মুখে সব মেনে নিবো। এটা ভেবেই বিয়েতে রাজি হই আমি ও।
---তার পরে কি হলো? ( ডাক্তার )
---তার পরে কি আর হবে। রহমান সাহেবের সাথে আমার বিয়ে হয় সেই দিন।
---পরাশুনা করোনি পরে? ( ডাক্তার )
---না আর পরাশুনা হয়নি আমার। অনেক বলেছিলাম পরাশুনা করার কথা কিন্তু আমার স্বামী বলেছে আমার এতো টাকা পয়সা কে খাবে হ্যা। তোমাকে পরাশুনা করতে হবে না।
---ওহ আপনার স্বামী কি আপনি একাই বউ নাকি আরো আছে।
---আরো আছে ৩ জন আমি সহো ৪ জন।
---কি বলবো ভাষা খুজে পাচ্ছি না? আর যাই হোক আল্লাহ্ যেনো কারোর সাথে এমন না করেন। ডাকুন আপনার স্বামী কে।
---ডাক্তারের কথা মতো ওনি স্বামী কে ডাক দেয়।
---রহমান সাহেব আপনার বউয়ের ছেলে সন্তান হবে আমার পরিক্ষা নিরিক্ষা করে দেখলাম ।
---আলহামদুলিল্লাহ্! আমার ছেলে সন্তান হবে।
---আপনার বউকে এখন থেকে রেষ্টে থাকতে হবে। কাজ করা জাবে না। ভালো মন্দ খাওয়াইতে হবে। ( ডাক্তার )
---ঠিক আছে ডাক্তার?
---এর পর রহমান সাহেব ওনার বউকে নিয়ে বাসায় চলে যায়।
---ঠিক সেই সময় ডাক্তার লক্ষ করে মেয়েটির চোখের কোনে পানি জমে আছে। তখন ডাক্তার ভেবে নেয় মেয়েটি শুখে নেই বেশ কষ্টেই আছে।
#এই ভাবেই নষ্ট হয়ে যায় হাজারো মেয়ের স্বপ্ন? শেষ হয়ে যায় একটি মেধাবী মাথা? যাকে দিয়ে এই দেশ সমাজ অনেক স্বপ্ন দেখেছিলো।
আসুন আমরা সচেতন হই অন্যকে সচেতন করি?
-আমার_এই_সমাজ
-লেখা মি:_হাসিব