ভালোবাসার কষ্টের স্ট্যাটাস | অবহেলার কষ্টের স্ট্যাটাস

 চাপা কষ্টের স্ট্যাটাস

চাপা কষ্টের স্ট্যাটাস

_ চোখে পানি আসবে


আমার পাসের বাসার একটা মেয়ে,নাম

_মিম_

আর আমার নাম অমি

_______ __________

মিম আর আমি ২.জনেই খুব ভালো বন্ধু__।

বলতে পারেন একজন আর একজনকে ছারা

চলে না_।

হঠাত করে একদিন আমি, মিম,কে মজা

করতে করতে বল্লাম_মিম,^___I lov u ...

ও বলে,,,,

সুন অমি আমি তোকে ভালবাসতে পারবো

না।

তুই সুধু আমারর বন্ধু _।

এই কথা বলেই চলে গেল আটকাতে পারলাম

না __।

এভাবেই দিন যেতে লাগল কিন্তু বালিকা

ত আমাকে ভালবাসেনা _কি যে করি___।

বলতে বলতে বালিকার ফোন__<<<

---ওই, অমি,কি করছ?

---তর কথাই ভাবতাছি,মিম,-!

---চূপ থাক খাইছছ?

---না!!! _<_ তুই খাইছশ-মিম-?

হ্যা খাইছি_!!

----তুই এখনি খেয়ে নে৷আর মাঠে

তাড়াতাড়ি আয়৷

---আচ্ছা ৷

বলেই লাফাতে লাগলাম৷বালিকার মনে

হয়ত আমার জন্য ভালবাসা

জাগছে৷তাড়াতাড়ি খেয়ে গেলাম৷গিয়েই

বললাম৷

--কিরে মিম?হঠাৎ জরুরি তলফ

---হুম৷সামনে আমাদের এক্সাম রে৷খুব

টেনশনে আছি

---কোনো চিন্তা করিস না৷ফেইল করলে

তরে আমি বিয়া করমু৷তারপর দুইটা ক্রীকেট

খেলার টিম বানামু৷তর এক দল,আমার

একদল৷বলেই হা হা হা করে হাসি দিলাম

কিন্তু হাসি দেওয়ার পর কি ঘটল তা আমি

কেন?আমার চোখও বিশ্বাস করতে পারল

না৷এমন ভাবে আমার গালে চড় মারল যেন

গাল দিয়ে ধোয়া বের হচ্ছে৷চড়টা মেরেই

মিম বলা শুরু করল তকে বন্ধু করেই জীবনের

বড় ভুল করছি৷আজ থেকে আমাদের বন্ধুত্ব

এখানেই শেষ৷বলেই চলে গেল৷আর আমার

চোখ দিয়ে বৃষ্টির মত পানি পড়ছে৷কিছুই

বুঝতে পারলাম না৷খুব খারাপ লাগছে৷শেষ

মেষ বন্ধুত্বটাও শেষ?কেমন জানি স্বপ্ন

স্বপ্ন লাগছে৷তাও কীছুই করার

নেই৷অশ্রুভরা চোখ আর বুক ভরা কষ্ট নিয়ে

বাসায় আসলাম৷এসেই শুয়ে

পরলাম৷বালিশটাও ভিজে গেছে৷পুরানো

স্মৃতি গুলো মনে পরছে৷প্রতিদিন ওকে ফোন

দিয়ে ঘুম পারানো৷ঘুম থেকে

জাগাতাম৷দিনে কমপক্ষে১০০বার ফোন৷আর

মেসেজ ত আছেই৷ সব স্মৃতি গুলো মনে

পরছে৷আমাদের বন্ধুত্ব শেষ হলেও আমি ঠিক

আগের মতোই ফোন দিতাম৷মেসেজ

দিতাম৷মিম খুব বিরক্ত ফীল করত৷তারপরও

কথা বলতে চাইতাম৷হঠাৎ একদিন দেখলাম

মিম পার্কে এক ছেলের সাথে হেসেহেসে

কথা বলছে৷যেন কলিজাটা ছিড়ে

যাচ্ছে৷তাই বাসায় এসে পড়লাম৷বুকটা

ব্যাথা করছে৷তাই ভাবলাম মিমকে একটা

ফোন দেই৷অনেকবার কল হওয়ার পর রিসিভ

করল

—মিম বুকে ব্যথা করতেছে।ব্যথা করা

ভালো। এখন আমাকে আর ডিস্টার্ব করবি

না,

পরশু

আমার এক্সাম।

— আচ্ছা নাপা খেলে ব্যথা যাবে?

----- হ্যাঁ যাবে। এখন আর ফোন দিস না

প্লিজ

কিছুই

পড়া হয়নি।

— কয়টা খাবো?

--- উফ্,,, তোর যতটা খেতে মন চায় খা।

প্লিজ

অমি

আর না।

— লাষ্ট, ভালোবাসিস??

---- অমি এসব কথার কোন মানেই হয় না

আমরা

জাস্ট

ফ্রেন্ড তর অনুরোধে কিন্তু ২য় বার ফ্রেন্ড

হইছি৷তাই যা বলছ ভাল করে বুঝে বলিস

— থ্যাঙ্কস মিম রাখি।

---- ওকে রাখ। আর ভবিষ্যৎ এ যেন এমন কথা

আর

না শুনি?

— ওকে।

..

ফোনটা কেটে দিলাম। একসময় মিম

মেয়েটা সারাক্ষণ আমার খবর নিত এখন আর

নেয়

না।

আর জিজ্ঞেস করেনা : "কাউকে পছন্দ করিস

কিনা

অমি?" আর আগের মতো কি করতে হবে

বলেনা। হঠাৎ বুকের ভিতরে আবার চিপ

দিয়ে

উঠে বুকটা চেপে ধরে একটু বিছানায় শুয়ে

পড়লাম খুব কষ্ট হচ্ছে। আবার বিছানা

থেকে উঠে আমাকে

নাপা

খেতে হবে। কয়টা খাব?? মিম তো

বলেই দিয়েছে যতটা ইচ্ছে খেতে পারে।

সবগুলো ওসুধ মুখের ভিতরে পুরে ঘুমিয়ে

পড়লাম

..

..

কাক ডাকা ভোরে উঠে পড়ে মিম।

মোবাইল চেক করে একটা দীর্ঘশ্বাস ছাড়ে

"যাক আজ কোন ম্যাসেজ ও নাই মিসড কল ও

নাই।"

পড়ায় মনোযোগী হয়৷মিম মন দিয়েই পড়তে

থাকে হঠাৎ মনটা যেন কেমন কেমন করছে

তবুও ভালো অমি জালাচ্ছে না। ছেলেটার

কোন

কমন সেন্স ও নাই যখন তখন ফোন

দিয়ে বলবে মিম এইটা হয়েছে এখন কি

করবো? অইটা হয়েছে বোরিং।

কয়েক ঘন্টা কেটে গেলেও মিমের মোবাইল

এর আলো জ্বলছেনা। হঠাৎ মোবাইল এ

ম্যাসেজ টোন বেজে উঠলো। মিমের কাছে

বোরিং হ্যাপি দুইটাই লাগলো। ম্যাসেজ

অন

করে

হতাশ হয় রবি সীম কোম্পানির এস এম এস।

রবি সীমকে কয়েকশো গালাগাল দেয় সে।

ঘড়ির ঘন্টার কাটা ক্রমেই বেড়ে চলেছে

কিন্ত

একটিবার এর জন্যও অমির মোবাইল থেকে

কল

আসেনা। হঠাৎ মিমের স্মরণ হয় গতদিনের

কথা :-

"মিম বুকে ব্যথা।"

ওর ব্রু যুগল কুঁচকে যায় মুখটা কালো হয়ে

যায়

বুকের ভিতরটা খা খা করে উঠে মন থেকে

কত

রকম ভয় করছে। রাত নটা মিম একদম পড়তে

পারছেনা বারবার অমির কথা মনে পড়ছে।

অমির

ম্যাসেজ তো তার বোরিং লাগে কিন্ত সে

কেন

এখন অমিরর ম্যাসেজ খুজছে? কিছু না

ভেবেই

অমির

নাম্বারে ফোন দেয়।

— হ্যালো অমি

--- আমি অমির বড় ভাই বলছিলাম।তুমি

মিম

তাই না? অমি

তোমার কথা বলেছে এখন ও বাইরে আছে

বন্ধুদের সাথে। পরে ফোন দিও

— আপনি এরকম কেঁদে কথা বলছেন কেন?

আমার কিন্ত ভয় হচ্ছে

---- আরেহ আমাদের বাড়িতে একজন মুরুব্বি

মারা

গেছে ওনার জন্য মন খারাপ। আর কাল

এক্সাম

যেন ভালো হয়।

— ওকে ভাইয়াঅমি এলে আমার কথা

বলবেন।

মিম

কিছুই বুঝেনা অমি কি সে ভালোবাসে?

এক্সামের কথা মনে পড়তেই পড়তে বসে যায়

মিম পড়ায় মন না বসলেও জোর করে পড়ছে

সে। হঠাৎ ঘুমের দেশে হারিয়ে যায় সে।

ঘুমের মাঝে কে যেন চিৎকার করছে মিম

ভালোবাসিস কন্ঠটি পরিচিত কিন্ত ধরতে

পারছেনা।

হঠাৎ ঘুম ভেংগে যায় আজ কাক ডাকার

আগেই

উঠে

গেছে। মিমের চোখে মুখে আতঙ্ক

মোবাইল টা হাতে নেয় কোন ম্যাসেজ নেই,

নেই কোন মিসড কল। মিম চায় হঠাৎ করে ই

একটা কল আসুক আর নামটা ভাসুক '' 

অমি

কিন্ত

নামটা

আর ভাসেনা। মিমের মনে হচ্ছে সে

অমিকে

ভালোবাসে।ইশ যখন বলবে অমি

ভালোবাসি

কতই না খুশী হবে সে। ভাবতেই অবাক

লাগছে।

এক্সামের পর সোজা অমিদের বাড়িতে চলে

যায়

সে। অমিদের বাড়িতে আগেও এসেছিল তাই

খুব

একটা কস্ট হয়নি। অমিদের ঘরে এত মানুষ

কেন?

অমির বন্ধুরা সবাই এখানে অমি কই? আগের

বার

এসেছিল তখন ত অমিল কত খুশি হয়েছিল।

অমির ভাই ই

মিমকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে অমিকে

দেখাবে

বলে। কিন্ত মিমর মনে খটকা এদিকে তো

গোরস্তান এখানে কেন আনতেছে। অমির

ভাই

পকেটে হাত দেয় একটা ছেড়া পাতা দেয়

মিমের

হাতে। কাগজটি পড়তে শুরু করে হ্যাঁ এটা

অমির

লেখা। :- "কেমন আছিস মিম?আশা করি

ভালো থাকারই কথা।

ভাইয়া

চেয়েছিল তোকে জানাতে আমার অবস্থা

ভালো না কিন্ত তোর এক্সামের এমনেই

অনেক ক্ষতি করে ফেলেছি তাই আর জানাই

নি।

এক্সাম কেমন হয়েছে? ও সরি আমিতো আর

বললেও শুনতে পাবো না। সম্ভবত তুই আমার

কবরের পাসে দাঁড়িয়ে জানিনা কোনখানে

কবর

দেওয়া হয়েছে। তবে আমি খুশি হয়েছি এই

ভেবে যে আর তোকে ডিস্টার্ব করবোনা।

আসলেই তোকে অনেক ডিস্টার্ব করেছি

মাপ

করে দিস। আর হ্যা রনি অনেক ভালো

হ্যান্ডসাম

তোর সাথে মানায় সেদিন তোদের দুজনকে

পার্কে দেখেছিলাম খুব খুশি হয়েছিলাম

আবার রনি

তুই দুজনের উপরে রাগ এসেছে। আর ও সরি

তোর এমনেই অনেক টাইম নষ্ট করেছি

সামনে

এক্সাম ভালো করে দিস। আর একটা কথা

নাপা কাজ

করেছে আমার সব ব্যথা দূর করে দিয়েছে।

থ্যাঙ্কস মাফ করে দিস। আর একটা কথা

রাগ

করিস না

"ভালোবাসি মিম?"। আবার সরি আর

জীবনেও

বলবোনা এই কানে ধরেছি। বোরিং

বোরিং

......"

মিম ধপ করেই অমির কবরে বসে পড়ল৷আর

চিৎকার করে কান্না করছে ৷আর ওর মুখ

থেকে বের হচ্ছে অমি ?এই অমি?ওঠ৷একটিবার

দেখ আমি এসেছি৷তুই না আমাকে

ভালবাসিস ?আমিও তকে ভালবাসিরে৷ওঠ

অমি ৷ওঠ৷তুই না দুইটা ক্রিকেট টিম বানাবি

৷আমি রাজি রে৷তারপরও তুই ফিরে আয়

অমি৷চিৎকার করে বলছে ফিরে আয়

অমি ফিরে আয় ৷তকে খুব ভালবাসিরে৷ফিরে

আয়৷

কিন্তু না অমি আর আসবে না ৷চলে গেছে

অনেক দূর ৷যেখানে গেলে কেউ আর ফিরে

আসেনা৷

....ভালবাসার মানুষগুলোকে অবহেলা

করোনা৷নয়ত এর ফল সারাজীবন ভোগ করতে

হবে ৷...

-writer : Dh Ome


আরো একটি কষ্টের গল্প পড়ুন।