না পাওয়া ভালোবাসার কষ্টের গল্প ২০২৩

 ভালোবাসার কষ্টের গল্প

ভালোবাসার কষ্টের গল্প

😥😞Sad......Golpo,,,😥💔

 পুরো গল্পটা পড়লে আপনি কান্না করতে বাধ্য হবেন,,,,


মেয়ে:হ্যালো।

ছেলে:হ্যা বল।

মেয়ে: কি করিস?


ছেলে: শুয়ে আছি।

মেয়ে: দুপুরে খেয়েছিস?

ছেলে: নাহ


মেয়ে: কেন?

ছেলে: টাকা নেই কাছে আর মেসে মিল নাই।

মেয়ে: শয়তান বিকাল হয়ে গেছে এখনো খাসনি তাড়াতাড়ি বাইরে আয়।


 ছেলেটির নাম শুভ আর মেয়েটির নাম নিলা।

 শুভঃ জানে না সুনামি বয়ে যাবে তাই আসতেছি বলেই রেডি হয়ে বাহিরে চলে এলো। একটু পরেই দেখলো নীলা প্রাইভেট কারে করে চলে এলো।

 তারপর শুভকে তুলে রেস্টুরেন্টে নিয়ে গেল।

 শুভ একমনে খাচ্ছে আর নিলা মনোযোগ দিয়ে শুভর খাওয়া দেখছে।


মেয়ে: এভাবে আর কতদিন,,

ছেলে: কি কতদিন?

মেয়ে: কি কতদিন বুঝিস না, আমার টাকায় আর কতদিন এভাবে চলবি বল?

ছেলে: আমার একমাত্র বউয়ের বাপের টাকায় খাবো তো এতে কিপটামির কি আছে?


এই কথা বলেই শুভ আবার খাওয়ায় মনে দিল আর নিলা রাগটাকে কন্ট্রোল করার চেষ্টা করছে। খাওয়া শেষ হলে। নীলা বিলটা দিয়ে শুভকে নিয়ে লেকের পাড়ে চলে গেল। চুপচাপ বসে আছে দুইজনে।


মেয়ে: শুভ এভাবে আর কতদিন চলবে বল? অন্তত কিছু একটা তো কর যেদিন আমি থাকবোনা কিভাবে চলবি তুই?

ছেলে: দেখ নিলা বেশি কথা বলবি না তো। তোর মত একটা লক্ষী বউ থাকতে কি অন্য কিছু করা লাগে আর তোর বাবার অনেক টাকা এগুলা খেয়েই তো দুজনে শেষ করতে পারবোনা।

মেয়ে: বয়েই গেছে তোর মতো ছেলের বউ হতে।

ছেলে: হবি তো হবি। তুই ই আমার বউ হবি বলে দিলাম।

মেয়ে: দেখ শুভ এসব কথা না বলে একটা চাকরির ব্যবস্থা কর না হলে অন্তত কয়েকটা টিউশনি তো করা যেতে পারে। এভাবে আমার ভয় করে। আমি না থাকলে তোর কি হবে বল?


ছেলে: দেখ এসব চাকরি বাকরি আর টিউশনি কোনটাই আমার দ্বারা হবে না। এমনই ভালো আছি।

মেয়ে: পরে বুঝবি এর মজা! কথাটি বলেই রেগে নিলা উঠে চলে আসছে আর শুভ ও উঠে পিছু নিলো ওর......

ছেলে: এই চলে যাবি যা আমার যাওয়ার ভাড়া টা তো দে।

মেয়ে: দিতে পারবোনা পারলে হেটে যা।

ছেলে: ওকে গেলাম। কথাটি বলেই শুভ হাঁটা শুরু করে আর নিলা গাড়িতে উঠে যায় কিছুক্ষণ পর নিলার গাড়ি শুভর কাছে এনে কাচটা নামিয়ে এক হাজার টাকার একটা নোট শুভকে দিয়ে বললো। লিখে রাখিস পরে শোধ করে দিস গাড়িটা চলে গেল আর শুভ দাঁড়িয়ে মুচকি মুচকি হাসছে।


এই চারটা বছরে শুভ এই নিয়ে ১ লাখ 25 হাজার চারশ সতের টাকা নিয়েছে। নোটটা না ভাঙ্গিয়ে হাঁটতে হাঁটতেই শুভ মেসে চলে আসে।

 এবার এদের পরিচয়টা দিই। নীলাদ্রি বড়লোক বাবার একমাত্র মেয়ে, তবে বড়লোক হলেও ওর মতো মেয়ে হয়না রাগি হলেও মনটা খুব নরম আর শুভ গ্রামের ছেলে। পরিবার বলতে শুভ নিজেই। মা-বাবা সবাই ওই দূর আকাশে থাকে। অনেক কষ্ট করে ভার্সিটি পর্যন্ত এসেছে। পরিচয় বলতে এতোটুকুই ভার্সিটিতে শুভ একদম বেখেয়ালি ভাবে চলত একদম উদাসীন আর এই উদাসীন ছেলেটাকে দেখে নিলার রাগ হতো যে ছেলেটা এমন কেন? তাই শুভর সাথে বন্ধুত্ব করে নিলা এরপর থেকেই শুভর প্যারা শুরু।


 শুভ এতটাই উদাসীন যে না খেয়ে থাকবে তবুও কিছু করবে না। তবে নিলা খুব ভালো তাইতো শুভর যখন যা লাগে লাগে দেয় আর একসাথে থাকা চলা এটা তো কমন। এই চারটা বছর ধরে শুভর জ্বালাতে নিলা পাগল প্রায়। তবুও কেন জানি শুভকে কিছু বলতে পারেনা। ছেলেটা এতিম তো তাই আর শুভর হাসি দেখলেই নিলার সব রাগ চলে যায়। অপরদিকে শুভ নিজেকে নিজে যতটা না কেয়ার করে তার চেয়েও বেশি নিলা কেয়ার করে। তাইতো নিলাকে খুব ভালোবেসে ফেলেছে শুভ। অনেক আগেই শুভ বার বার ই নিলাকে বলে যে ভালোবাসি তবে নীলা মজা দেবে উড়িয়ে দেয়।

এভাবেই এক এক করে চলে যাচ্ছে দিন শুভ চায় চাকরি করতে তারপর নীলাকে নিজের বউ করে নিতে তবে আজকালকার দিনে চাকরি মানে যে কি এটা যারা পড়া শেষ করছে শুধু তারাই জানে।


 অনেক জায়গায় চাকরি ইন্টারভিউ দিয়েছে তবে আজকাল মামা খালু আর টাকা ছাড়া কিছু হয়না তাইতো চাকরিটা আর করা হয়না। চাকরি না হলেও শুভ চুপিচুপি সেই ১ম থেকে রাতে দুটো টিউশনি করায় যা নিলা জানে না।

   শুভর ইচ্ছা টিউশনির জমানো টাকা দিয়ে বিয়ের পর নিলাকে অনেক বড় একটা গিফট দেবে। শুভ অনেক স্বপ্ন দেখেছে নিলাকে নিয়ে। বিকালে মেসে বসে ছিল তখনই আবার নিলার ফোন দেখলো।


শুভ: হুম বউ বল।

নিলা: দেখ শুভ, সব সময় মজা আমার ভালো লাগেনা।

শুভ: মজা না আমি সত্য তোকে বউ করে নেবো রে।

নিলা: আমার বিয়ে ঠিক হয়ে গেছে আজ আংটি পড়াতে আসবে রাতে বাসায় আসিস। আর হ্যাঁ আসার সময় কিছুদিন আগে যে শার্টটা দিয়েছিলাম ওটা পরে আসিস।


 নিলার মুখে আংটি পড়ানোর কথা শুনেই বুকটা কেমন যেন করে উঠে শুভর। শুভ ভাবে এটা কি করে হয় আমি যে নিলাকে ভালোবাসি সেই নীলাকে শুধু আমার বউ হলেই মানায়। না না এটা হতে পারে না। রাতে শুভ নীলাদের বাসায় আসে এসেই দেখে অনেক মেহমান বসে আছে। এর আগেও শুভ এসেছে এ বাড়িতে। শুভকে দেখেই নিলা একটা মুচকি হাসি দেয় তবে শুভর ভিতরে তোলপাড় শুরু হয়ে গেছে। শুভ অপলক ভাবে তাকিয়ে আছে নিলা দিকে। আজ অনেক সুন্দর লাগছে নীলাকে। ছেলেটা নিলার হাতটা ধরল আংটি পড়াতে যাবে তখনই শুভ ছেলেটার কাছে গিয়ে কলারটা ধরে বললো........


শুভ: এই তোর সাহস কি করে হয় আমার পরীটাকে আংটি পড়াস! হ্যা? আমি নিলাকে ভালোবাসি নিলা শুধু আমার। কয়েকজন এসে তাড়াতাড়ি শুভকে ছাড়িয়ে নেয় তখন নিলা খুব জোরেই থাপ্পড়টা শুভর গালে বসিয়ে দেয়। অবাক হয়ে গালে হাত দিয়ে নীলার দিকে তাকায় শুভ।

নিলা: আমি তোকে এখানে ডেকেছিলাম কি আমার বিয়ে ভাঙতে?

শুভ: আমি তোকে ভালোবাসি নিলা?

 আবার কষে থাপ্পড় বসিয়ে দেয় শুভর গালে।

নিলা: আমি তোকে শুধুই বন্ধু ভাবতাম আর তুই এই প্রতিদান দিলি? ভুলে যাসনা শুভ তুই একটা এতিম। নিলার মুখে এতিম শুনেই শুভর বুকটা ধক করে উঠে। নিলাই প্রথম দিন শুভকে বলেছিল খবরদার নিজেকে কখনো এতিম বলবিনা স্বব্ধ হয়ে যায় শুভ।

নিলা: তুই কি ভুলে গেছিস তুই আমার টাকাতে চলিস। তোর পড়ার টাকাটা আমি দেই, তোর মেসে ভাড়া, তোর খাবার টাকা এমনকি যে শার্টটা গায়ে দিয়ে আছিস সেটাও আমার দেওয়া।


একটা এতিম ছেলে তুই যার কোন বাড়ি নেই থাকার জায়গা নেই একটা টাকা নেই তোর মতো ছেলেকে এতদিন আমি সাহায্য করেছি কি শেষ-মেষ আমার পরিবারকে তুই ছোট করবি এইজন্য? তোর টাকা লাগবে না? দিচ্ছি দাঁড়া......

 বলে নিলা ঘর থেকে একটা বান্ডিল এনে শুভর পায়ের কাছে ফেলে দিল।


নিলা: নে টাকাটা রাখ তবুও এখান থেকে চলে যা আমার সামনে থেকে আর কোনদিন যেন তোর ঐ নির্লজ্জ মুখটা আমার না দেখতে হয়।

শুভ: শুভ টাকাটা তুলে নিল তারপর টাকাটা নিলার হাতে তুলে দিয়ে বললো......

শুভ: আমাকে মাফ করিস রে। আমি বুঝিনি যে এমনটা হয়ে যাবে। ছেলেটার কাছে ও এগিয়ে যায় শুভ। তারপর ছেলেটার পা জড়িয়ে ধরে বলে,,, আমাকে মাফ করে দিয়েন। তারপর আবার নিলার কাছে এসে বললো।


শুভ: আসলে আমিতো ভুলেই গেছিলাম যে আমি এতিম। আমি ভুলে গিয়েছিলাম যে আমি তোর টাকাতে চলি। আমার যা আছে সবই তো টাকাতে কিনা। দেখনা তুই আমাকে কত ভাল বন্ধু ভাবতি আর আমি তোর বিশ্বাসকে এভাবে নষ্ট করে দিলাম। আসলেই আমি বেহায়া রে। আর তোর টাকাটা দেওয়া লাগবে না এমনিতেই যে টাকা টা দিয়েছিস সেটাই সারা জীবন তোর কামলা খাটলেও শোধ হবেনা।

 নিলার বাবার হাতটা ধরে শুভ বলল...

চাচা আপনাদের শুভ কাজে বাধা দেওয়ার জন্য মাফ করবেন আর নিলা শোন তুই যতই আমার মুখটা না দেখতে চাস আমি তো বিয়েতে আসবোই।


 বলেই চোখটা মুছে শুভ চলে গেল মেসে এসে বসে আছে শুভ। আজই প্রথম নিজেকে এতিম মনে হচ্ছে। আসলেই নিলাকে নিয়ে একটু বেশি স্বপ্ন সাজানো হয়ে গিছিল তাইতো কষ্টটা একটু বেশিই লাগছে। সারাটারাতে একটুও চোখের পাতা এক করতে পারেনি শুভ। পরদিন ব্যাংকে গিয়ে টিউশনির জমানো টাকা তুলে নেই শুভ। তারপর শপিংসেন্টারে গিয়ে খুব সুন্দর দেখে নিলার জন্য একটা নীল শাড়ি কিনে শাড়িটা গিফট প্যাকিং করে নেয় তারপর আবার মেসে ফিরে আসে কালকে নিলার বিয়ে সারা বাড়িতে হৈ-হুল্লোড় চলছে খুব খুশি সবাই।


 খুশি হবে না কেন একমাত্র মেয়ের বিয়ে তবে মনটা খারাপ নিলার। শুভকে সেদিন ওভাবে বলার পর থেকেই মনটা খুব খারাপ। নিলা জানে যে শুভ হাজার কষ্ট পেলেও কখনো কাঁদেনা মুচকি হাসির আড়ালে কষ্ট খুব করে লুকাতে পারে। নীলা ভাবে কালকে বিয়েতে আসলেই ওকে স্যরি বলে নেবে। আর নিলা ছাড়া তো ওর কেউ নেই বিয়ের পরও না হয় ওকে দেখবে। পরদিন রাতে আটটা।

 শুভ নিলাদের বাড়ির গেটে দাঁড়িয়ে আছে হাতে নিলার জন্য কিনা গিফটটা। শুভকে দেখেই গেটের দাড়োয়ান চাচা বললো.......


দাড়োয়ান: আরে বাবা বাহিরে দাঁড়িয়ে যে ভিতরে চলো।

শুভ: না চাচা অনেক কাজ আছে। এটা ধরুন। এটা নীলার হাতে দিয়ে বলবেন যেন বিয়ের পর খোলে।

দাড়োয়ান: সেকি বাবা তুমি যাবে না ভিতরে?

শুভ: না চাচা। অনেক তাড়া আমার। আমি এখন তাহলে আসি কেমন, ভালো থাকবেন। পিছু ফিরে হাটা শুরু করে শুভ। কি মনে করে যেন বাড়িটার দিকে তাকায়। দোতলা বাড়িটা অনেক সুন্দর করে সাজানো হয়েছে। শুভর বড্ড ইচ্ছে করছে ভিতর গিয়ে নিলাকে বৌয়ের সাজে দেখতে। তবে নিলা যে সেদিন খুব সহজেই বলে দিয়েছে তাকে আর দেখতে চাইয় না নিলা। তাইতো শুভ শেষ ইচ্ছাটুকু হাসির মাঝে চাপা দিয় পিচঢালা রাস্তা দিয়ে হেঁটে সকেট থেকে ভাঙ্গাচুরা বাটন ফোনটা বের করে । শুভর ফোনটা ভাঙ্গা হলেও ডিসপ্লেতে নিলার ছবিটা অনেক সুন্দর মানিয়েছে। ব্যাটারিটা খুলে সিমটা বের করে। তারপর ভেঙ্গে পাশের ঝোপে ফেলে দেয়।


 সঙ্গে সঙ্গে পুরো পৃথিবীর সাথে সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায় শুভর। যার পৃথিবীতে আপন বলতে কেউ নেই তার জন্য আপাতত কেউ কষ্ট পাবেনা। একজন আপন ছিলো সেও এখন অন্য কারো হয়ে গেছে। হাসতে হাসতে আধারের মাঝে মিলিয়ে যায় শুভ। অপরদিকে নিলা বিয়ে বাড়িতে খুঁজছে তবে পাচ্ছে না। দারোয়ান চাচা এসে গিফটটা নিলার হাতে দিয়ে বললো। মামনি এটা শুভ বাবা দিয়েছে।

নিলা: শুভ দিয়েছে, কোথায় ও।

দাড়োয়ান: বললো কি জানি কাজ আছে তাই চলে গেলো।

নিলা: হও আচ্ছা,,দেন চাচা।

দাড়োয়ান: মামনি, এটা শুভ আজ খুলতে মানা করেছে বলেছে স্পেশাল গিফট বিয়ের পর খুলতে।

নিলা: আচ্ছা ঠিক আছে।


 নিলা ভাবে শুভ অভিমান করে আছে তাই পরে অভিমান ভাঙ্গাবে মন থেকে এসব ঝেড়ে ফেলে। বিয়েটা খুব ধুমধাম করেই হয়ে যায়। পরের কয়েকটা দিন ওখানে ওখানে যেতে যেতেই কেটে যায় নিলার।নিলা ভুলেই যায় শুভর কথা রাতে কাপড় গোছাচ্ছে নিলা ঠিক তখনই লাগেজ থেকে শুভর দেওয়া গিফটটা বেরিয়ে আসে। তাড়াতাড়ি নিলা খুলে দেখে সুন্দর একটা নিল শাড়ি মুচকি হাসে নিলা আর ভাবে পাগলটার চয়েজ আছে। শাড়িটা তুলতেই একটা ছোট্ট প্যাকেট বেরিয়ে আসে প্যাকেটটা খুলতেই নিলা অবাক হয়ে যায়।

 অনেকগুলা টাকা সাথে একটা কাগজ তাড়াতাড়ি কাগজটা খুলে নিলা পড়তে শুরু করলো।


  কিরে কেমন আছিস বউ? রাগ করিস না তোকে বউ বলছি বলে। কি করবো বল অনেক যে ভালোবাসি তোকে। জানিস তো আমি ইচ্ছা করেই তোর থেকে টাকা নিতাম। তোর থেকে আমি মোট 1 লাখ 25 হাজার চারশ সতের টাকা নিয়েছিলাম এখানে টাকা টা আছে। ভাবছিস এত টাকা কোথায় পেলাম। তোকে না বলে দুটো টিউশনি করাতাম সেটা থেকে জমিয়ে তোর জন্য রেখেছিলাম। ভেবেছিলাম তোর সাথে আমার বিয়ে হলে তোকে এটা দেব কিন্তু তা তো হল না তাই তোর বিয়েতেই দিলাম। কোনদিন তো তোকে কিছু দিতে পারিনি বেহায়ার মত শুধুই নিয়েছি তাই প্রথম ও শেষ একটা গিফট দিলাম। শাড়িটা হয়তো ভালো হয়নি তাই না রে?

 কি করবো বল?

 তুইতো জানিসই আমার চয়েজ খারাপ তবুও শাড়িটা পরিস কেমন? আর তুই বলেছিলি না কোনদিন আমার মুখ দেখতে চাস না। একদম টেনশন নিস না আর কোনদিন তোর সামনে যাবো না জানিস তো তোর সাথে চলতে চলতে ভুলেই গিয়েছিলাম যে আমি একটা এতিম তুই ছাড়া কেউ নেই। তবে সেদিন আমাকে এতিম বলে মনে করিয়ে দিলি অনেক ধন্যবাদ তোকে।


 শেষ পর্যন্ত নিজের ভুলে এই এতিমটার আর কেউ রইলো নারে তাই পুরো পৃথিবীর থেকে সংযোগ টা বিচ্ছিন্ন করে নিলাম পারলে মাফ করে দিস কেমন?

 আর কোনদিন তোর এই বেহায়াটার মুখ দেখতে হবে না। দোয়া রইল তোদের সাংসারিক জীবন সুখের হোক,

 ভালো থাকিস বউ।


 যদি কখনো আবার হয় দেখা, যদি পথ দুটো না হয় একা, তবে রোজ রাতে আমি তারা হয়ে জ্বলব তোরই ইশারায়,,,,


 চিঠিটা পড়ে চোখের জল যেন বাঁধা মানছেনা নিলার।

 তাড়াতাড়ি ফোনটা নিয়ে ফোন দেয় ওপাশ থেকে সুন্দর ভাবে ভেসে আসছে...

 আপনার কাঙ্খিত নাম্বারে এই মুহূর্তে সংযোগ দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না।

হু হু করে কেঁদে ওঠে নিলা।রাতেই গাড়ি নিয়ে বেড়িয়ে পড়ে শুভকে খুজতে তবে সারা শহরে খুঁজেও আর পায়না । পাবে কি করে সে যে আজ চলে গেছে না ফেরার দেশে"


 সমাপ্তি,,,,,,,,,,❤️

এমন আরও অনেক কষ্টের গল্প পড়ুন।