রোমান্টিক ভালোবাসার গল্প | রোমান্টিক ফেসবুক স্ট্যাটাস

 রোমান্টিক গল্প

রোমান্টিক গল্প

গল্প-আপু_একটা_পাপ্পি_হবে !!!

- আপু দাও না একটা পাপ্পি...।

- এইটা কী দেখছস.. থাপ্পড় দিয়ে

সোজা করমু।

- এহহহহহহহ.... মনে হয় আমি

বাঁকা হয়ে আছি.. আমি তো

সোজাই আছি..।

- তুই যদি আমার সামনে থেকে 

এখান না যাস... তাহলে 

কিন্তুু তোরে সত্যি সত্যি পিটামু।

- একটাই তো পাপ্পি নাকি...

ফট করে দিলেই তো আমি পট 

করে চলে যাই...

এমন ভাব করতেছ, মনে হয় আমি 

তোমার কানের.. সোনার ফুল 

দুইটা চাইছি,

একটা পাপ্পিই তো।

- রানা.... এবার কিন্তুু সত্যি

সত্যি আমি রেগে যাচ্ছি।

- তা তো যাবাই... আমি চাইছি না, 

অন্য সবাইরে নিজের টাকা দিয়া আইসক্রিম,চকলেট কিনে খাওয়াও। 

আর আমি ফ্রিতে একটা পাপ্পি চাইতেছি

তাও দিতাছো না...

কোন টাকা পয়সা লাগবে না

তবুও দিতেছ না....

আর সবাইরে টাকা খরচ করে

খাওয়াও।

- ওহহহহহহহহহহ এই ছেলে আমাকে

পাগল করে দিবে দেখছি....।


মেঘা ঐ বাটাম টা নিয়ে আয় তো,

আজকে বেয়াদব টারে ওই বাটাম

দিয়ে পিটামু।


- এই না না থাক.. আমার পাপ্পি লাগবে

না হি হি।

- না না তোরে তো পাপ্পি দিমুই দাঁড়া।

- রানা... বাটাম টা আনার আগেই

আপন প্রাণ বাঁচা।

বলেই দৌঁড়... এক দৌঁড়ে চার তলাই

চলে আসছি....।


- কীরে এমন দৌঁড়াইতেছিস ক্যান.. (রাফি)।

- আর বলিস নারে ভাই... একটুর

জন্য বেঁচে ফিরে আসছি।

- কেন... আবার কী করছিস।

- ঐ যে নিধি আপু আছে না... সে

সবাইরে নিজের টাকা খরচ করে

আইসক্রিম, চকলেট খাওয়াই...

আর আমি তাঁর কাছে ফ্রিতে

একটা জিনিস খাইতে চাইলাম

সেটাই দিলো না।

ওল্টো বাটাম দিয়ে দৌঁড়ানি দিলো।

- কী খেতে চাইছিলি।

- আরে ভাই... আমি তাঁরে কইলাম

আপু একটা পাপ্পি দাও না...

আর ওমনি রেগে আগুন, আর

বাটাম দিয়ে দিলো দৌঁড়ানি ।

- হারামি তুই আর মানুষ হবি না....।

- এই যে ফাউল এর মতো একটা কথা

কইলি.... আমার মাথাই কী শিং

উঠছে যে আমি মানুষ না...

ফালতু কথা কস ক্যান।

- রানা... তুই পারিস ও...

কলেজের বড় ভাইয়েরা ও নিধি

আপুর কাছে যেতে ভয় করে...

আর তুই সারাদিন তাঁর কাছে

পাপ্পি চাস...কেমনে

বলিস বলতো।

- কেমনে আবার... একটু সাহস

আর দৌঁড়ানি দেওয়ার অভিজ্ঞতা

থাকলেই.. সবি সম্ভব রে পাগলা।


- আবার কই দৌঁড়াস...।

- নিধি আপুর কাছে... হি হি হি..

তুই থাক কেমন।

- তোর সাথে কারো তুলনা হয়

না ভাই।

- নো পামিং... ওনলি দেখিং।


দেখি কলেজ মাঠে দিধি আপু সহ আরো পাঁচ জন বসে 

কী জানি করছে...। 

- এই যে জান্টুস..বিশ টাকা

দাও আইসক্রিম খাবো।

- টাকা নাই যা ভাগ।

- একিরে... শুনছি তো তোমার

বাবা হেব্বি বড়লোক...

মাত্র বিশ টাকা নাই... ছি ছি ছি 

এইটা শুনার আগেই.. কেন কেউ

আমারে আইসক্রিম এনে দিলো

না ক্যান।

- ওই পুরো কলেজে আমাকে ছাঁড়া

আর কাউকে পাসনা জ্বালানোর

জন্য।

- এক মাত্র তুমি ছাঁড়া.. সবাইকেই

তো সব ছেলেরা জ্বালাই...

ফ্রি থাকার মধ্যে তুমি আর আমি,

তাই তো তোমাকেই জ্বালাই...

এবার চটপট... টাকা দাও

দেখি।

- এই নে ১০০ টাকা আগামি পাঁচ দিনে

ও আর আমার কাছে আসবি না..

ফের যদি আসিস, তাহলে দেখবি

মজা। 

- ওক্কে......।


কিন্তুু কে শুনে কার কথা...।


পরেরদিন...।


- এই যে ধরো ৬০ টাকা... কালকে

কই চলে গেছিলা হুমমমম... পুরো কলেজ খুঁজছি

বাট কোন দেখা নাই। 

- সাহরিয়া আবার আমার সামনে আসছিস... তোরে

না আসতে বারণ করছি।

- কী করমু তোমার টাকা তো আমার

কাছে.... ফেরত দিতে আসছি,

এই যে নাও ধরো।

আবার কালকে নিতে আসবো

কেমন... এবার গেলাম হি হি হি।


হায় হায়.. আর একটা কথা

তো বলতে ভুলে গেছি...

একটু যেতেই যা শুনলাম....।


- নিধি... তুই রানা কে দেখলেই

এমন হয়ে যাস কেনো... কিছুই

বলতে পারিস না...

আর অন্য কোন ছেলে ভয়ে তোর

সামনে আসতে পারে না...

আর ওই শয়তানটা সব সময়

জ্বালাই তোরে তবু কিছু

বলিস না কেনো।

- আরে কী করবো ওরে দেখলেই তো

আমি কেমন হয়ে যাই....

বেয়াদব টাকে কিছু বলতে ও

পারি না...।


- আমি তো এই দিকে... ড্যান্স দিতে

দিতে শেষ...

তার মানে নিধি আপু ও আমার

প্রেমে পরে গেছে..... ওহহহহহহহ

ভাবতেই তো কেমন কুতুকুতু লাগছে...

যেমন সু্ন্দরী, একটা পাপ্পি দিলেই তো 

আমি সর্গে চলে যামু হি হি হি।


- রানা এখানে এমন হনুমানের

মতো করছিস কেনো...। 

- না মনে স্যার এমনি... বাসাই যামু তো এখন তাই.... তাইলে

গেলাম স্যার কেমন... টা টা।

- বেয়াদ্দব পোলা... কোন আদব কাদাব

শিখে নাই।

- হুমমমমমমমম ... মাষ্টার যেমন ছাত্র ও

তেমন হি হি হি।


রাত্রে হিসি করতেছি....

এমন সময় ফোনটা বেঁজে উঠলো ...

ওহহহহহহহহহহ... আর একটু হলেই

তো সব ভরে গেছিলো।


- হ্যালো....।

- কী করছিস বেয়াদ্দব।

- ওহহহহহহহ... নিধি আপ্পু.... তুমি ।

- হুমমমমম...কী করছিস এখন।

- হিসি করছি.... শব্দ শুনবা।

- ছি... তুই এত্ত খারাপ... বাই।

- ঐ... শোন শোন ক্যান ফোন

দিছো....।

- তোরে একটু ভালো ভেঁবে... ফোন

দিছিলাম একটা কথা বলার জন্য..

মোড টাই নষ্ট হয়ে গেলো.. বাই..

ফোন রাখ।

- আরে আরে কী এমন বললাম রে

বাবা...।


এর মধ্যেই ফোন কেঁটে অফ করে রাখলো...

কী না কী বলতে ফোন দিছিলোড়

ওহহহহহহ.. আমি ও না একটা

গাধা।


পরের দিন কলেজে যেয়ে দেখি........


নিধি আপু অন্য একটা ছেলের

সাথে হাত ধরে ঘুরতেছে...

দেখেই তো মাথাটা চক্কর দিয়ে উঠলো।

ছেলেটা আমাদের সাথেই

পড়ে।


সামনে গেলাম.....।


- এহহহ.. তোর এখানে কী কাজ

যা ভাগ।

- ও যাবে না তোর কী।

- ওই তোরে যাইতে কই নাই..

একটা দিমু এমনি বাপ বাপ করে

দৌঁড় দিবি।

- রানা.... তুই যদি রিয়াদ রে

আর কোন উল্টা পাল্টা কথা

বলিস... তাহলে সত্যি সত্যি মাইর

খাবি।

- ওলে বাবা... রিয়াদ তাই না...

রিয়াদ্দা যাবি নাকি এখনি শুরু করমু।

- রানা.... আমি রেগে যাচ্ছি ।

- রিয়াদ্দা.... তুই কথা

বলিস না ক্যান।

- নিধি আমি গেলাম।

- না... তুমি যাবে কেনো... যার যাওয়ার

সেই যাবে।

- সালা তোরে তো আমি....


ওমনি নিধি আপু ঠাসসসসস করে একটা

থাপ্পড় দিলো।

- রানা... আমি রিয়াদ রে ভালোবাসি 

খবরদার আমার আর রিয়াদ এর মাঝে

আসবি না।

- হুমমমমমম .... আসমু না আসমু না,

আমার ভালোবাসার তো কোন দাম নাই

কারো কাছে... গেলাম আমি।


উপরে চলে আসলাম....।


- কীরে গালে হাত দিয়ে আছিস ক্যান

(রাফি) ।

- ঐ সালা রিয়াদ্দার জন্য.. নিধি আপু

আমারে মারছে।

- কী বলিস মামা.. দাঁড়া সবাইরে

ডাকতেছি।

- নারে ভাই... আমি আর ওদের মধ্যে

যামু না... বাদ দে।

- মামা তুই একটা জিনিস রে....

- আমি জিনিস না... আমি

রানা।


তিন চার দিন ধরে আর নিধি আপুর সামনে যাই নাই....

মাঝে মাঝে একটু তাঁকাইলে দেখি

আমার দিকে কেমন মায়ার দৃষ্টিতে 

তাঁকিয়ে থাকে ।


এমনি একদিন যাচ্ছি ...


এমন সময় নারিকেল গাছের 

সাইট থেকে শুনি.... নিধি আপু

বলতিছে...।


- মেঘা.. আমি এটা কী করলাম

রে.... আমার পাগল রানা টাকে

কেমনে আমি মারলাম..

মারার পরে আমার বুকটা ফেঁটে

যাচ্ছিলো...

আমি ও তো গাধাটাকে খুব

ভালোবাসিরে...

কী করতে গিয়ে কী হয়ে গেলো এটা।


- এই দিকে তো আমি আবার সেই

আগের মতোই খুশি... আমার

সাথে বিটলামু .. তাই না।


পরের দিন আমি ও.. 

আমার এক কাজিন এর সাথে

হাত ধরে হাঁটতেছি... একদম গাঁয়ের

সাথে লেপ্টে আছি...।


সামনে দেখি নিধি আপু আসতিছে..

ঐ ঐ পাখি অ্যাকটিং শুরু করে দে।


দেখি নিধি আপু কাছে আসলো।


- রানা এই দিকে আয়...।

- জাটুস... তাহাকে বলো আসি

বিজি... রিয়াদ্দার কাছে তাহাকে

যাইতে বলো।

- দেখ... খুব খারাপ হয়ে যাবে কিন্তুু

হুমমমমমম।

- হোক... আমি তো যাচ্ছি না।

- আসবি নাকি... কলার ধরে আনমু..

আমাকে কাঁদিয়ে অন্য মেয়ের সাথে

লটর পটর তাই না।

- তোমারে কাঁদালাম কই।

- আসবি নাকি... আমি গিয়ে নিয়ে আসমু।

- এই না না... যাচ্ছি।


- হুমমমমমমমম বলো...।

- ওমনি জরিয়ে ধরে কেঁদে ফেললো...

রানা তোকে আমি খুব ভালোবাসি।

- জানি আমি...।

- সেদিনের ওইটা অ্যাকটিং ছিলো।

- সেটা ও জানি।

- কেমনে।

- ঐ যে নারিকেল গাছের আরালে থেকে

সব শুনছি.... হি হি হি।

- শয়তান একটা.... ঐ মেয়েটা কে।

- ঐ টা তো আমার কাজিন।

- ঠিকআছে ।

- কিচ্ছু ঠিক নাই....।

- কেনো।

- পাপ্পি দাও আগে।

- না দিবো না।

- ঠিকআছে .... লাগবে না...

ও বলছে যত পাপ্পি লাগে ওই দিবে

হুমমমমমমম।

- ওমনি.... জরিয়ে ধরে পাপ্পি

দিতে লাগলো...

আর যদি কোন মেয়ের দিকে তাঁকাও

চামড়া খুলে ফেলবো।

- ওকে বউটুস... হি হি হি হি।।।


>>সমাপ্ত<<


>>The End<<


ভালোবাসার রোম্যান্টিক গল্প।