ইসলামিক শিক্ষামূলক গল্প
🌾এক বুজুর্গ একটি তোতা পাখি পোষতেন৷ পাখীটি সবসময় যিকির (আল্লাহ আল্লাহ) করত।
কেউ আসলে তাকে সালাম দিয়ে বা উত্তর দিয়েই আবার জিকির শুরু করত। এটি দেখে বুজুর্গ অনেক খুশী হলেন। তিনি ভাবলেন আমার জিকিরের
প্রভাব পাখিটির উপর পড়েছে।
একদিন এক বিড়াল বুজুর্গের বাড়িতে এসে দেখল পাখীটি উন্মুক্তভাবে এক জায়গায় বসে জিকির করছে। বিড়াল লোভ সামলাতে না পেরে পাখীটি ধরার জন্য প্রস্তুতি নিলো। বুজুর্গ যখন একটু ভিতরে গেলেন অমনি খপ করে ধরে ফেললো, আর পাখিটি
যিকির বন্ধ করে ক্যা ক্যা করে ডাকতে লাগলো।
বুজুর্গ আওয়াজ শুনে দৌড়ে এসে দেখেন পাখিটি বিড়ালের মুখে মৃতপ্রায়। কিছুক্ষণ পর পাখিটি মারাও গেলো।
এদিকে বুজুর্গ কাঁদতে লাগলেন। তাঁর কান্না যেন শেষ হয়না! তিনি কাঁদতেই থাকলেন।
তার সাগরেদগন পেরেশান হয়ে গেলো। সামান্য একটা পাখির জন্য হযরত এভাবে কাঁদছেন!
সাগরেদগন বুজুর্গকে বললেন, একটা পাখির জন্য আপনি এভাবে কাঁদছেন কেন?
কতগুলো লাগবে বলেন আমরা এনে দিব তবু আপনার কান্না বন্ধ করেন।
বুজুর্গ বললেন আমিতো পাখিটির জন্য কাঁদছিনা৷
আমি কাঁদছি এই ভেবে যে, যে পাখিটি সারাক্ষণ জিকির করত সেটি যখন বিপদে পড়লো তখন জিকির করতে ভুলে গেলো। তার দিলের ভিতর
যা ছিল তাই বের হয়ে এলো।
আমি যদি আমার অন্তরে 'লা ইলাহা ইল্লালাহর' বিশ্বাস বদ্ধমূল করতে না পারি মৃত্যুর সেই কঠিন মুহূর্তে তো আমারও লা ইলাহা ইল্লালাহ মুখ থেকে বের হবেনা। এ জন্যেই কাঁদছি।
আল্লাহ আমাদেরকে মৃত্যু পর্যন্ত তাঁর একত্ববাদের উপর বিশ্বাস রাখার এবং মৃত্যুর সময় কালেমা নসীবের তাওফিক দান করুন।
..
আমিন’🤲😭