মেয়েদের সম্পর্কে কিছু বাস্তব কথা 2024

শিক্ষনীয় বাস্তব গল্প

শিক্ষনীয় বাস্তব গল্প

 অবশেষে আমি ডিভোর্স পেয়েছি.


১. এখন আমার একটু দেরিতে ঘুম ভাঙ্গলে শুনতে হয় না আমার বাবা মা আমাকে কিছু শেখায় নি।


২. এখন আমার জ্বর আসলে কেউ বলে না রোগ ধরা মেয়েকে বৌ করে ঘরে এনেছি৷


৩. এখন আমি ভাত রান্না করতে গেলে কেউ এসে বলে না চাল কি আমার বাবার বাড়ি থেকে এনেছি কিনা।


৪. এখন আমি বারান্দায় একটু মন খারাপ করে দাঁড়ালে কেউ বলে না আমি বাইরের পুরুষ মানুষ দেখার জন্য দাঁড়িয়েছি৷


৫. এখন আমার মায়ের ফোন আসলেই কেউ বলে না এত বারবার মেয়ের খোঁজ নেওয়ার কি আছে?


৬. এখন আমি না খেয়ে কারো জন্য অপেক্ষা করার পর কেউ বলে না এসব ঢং৷


৭. এখন আমি কাঁদতে গেলে কেউ বলে না আমি নাটক করি৷


৮. এখন আমি আমার পছন্দের একটা জামা কিনতে গেলে আমাকে ভাবতে হয় না এই রং টা আমার জন্য নিষিদ্ধ।


৯. এখন আমি চুলটা খুলে আয়নার সামনে দাঁড়ালে আমাকে কেউ বলে না আমি বেহায়া৷


১০. এখন আমি রান্না করতে গিয়ে আমার হাত পুড়িয়ে ফেললে আমাকে শুনতে হয় না আমি কোন কাজই পারি না।


 

love১১. এখন আমার মা আমাকে একটা জামা দিলে কেউই বলে না এত দেয়ার কি আছে?


১২. এখন আমাকে আমার আশেপাশের মানুষ কেমন আছি জিজ্ঞেস করলে আমাকে মিথ্যা বলতে হয় না যে ‘আমি ভাল আছি।’


১৩. এখন আমি প্রতিবাদ করতে গেলে আমাকে আমার স্বামীর হাতের মার খেতে হয় না।


১৪. এখন আমি আমার অধিকার চাইলে গালি শুনতে হয় না।


১৫. এখন আমি ক্লান্ত থাকলেও আমার উপর কারো শরীরের খিদা মিটানোর অধিকার নাই।


১৬. এখন আমি চাকরি করতে গেলে আমাকে কেউ বলে না তার পরিবারের কোন মেয়ে বাইরে গিয়ে নিজের ট্যালেন্ট দেখায় না।


১৭. এখন কেউ আমাকে বলে না আমার সার্টিফিকেট গুলো শুধু মানুষকে বলার জন্য যে আমি শিক্ষিত।


১৮. এখন আমাকে শুনতে হয় না কারো ঘরের অশান্তির কারনটা আমি।


১৯. এখন আমাকে কোন বিয়ের অনুষ্ঠানে গিয়ে কেউ ঐখানের বৌ কে উদ্দেশ্য করে দেখায় না আমার বাপের বাড়ি থেকে আমাকে ভরিভরি গয়না দেয় নি।


২০. এখন আমার মা অসুস্থ হলেও আমাকে দুদিন যাবৎ কাউকে বুঝিয়ে কাকুতি মিনতি করে আমার মা কে দেখতে আসতে হয় না।


২১. এখন আমায় শুনতে হয় না ‘ঐ মেয়েটার সাথে বিয়ে করলে আমি সুখী হতাম, তোমার সাথে আমি সুখী নই।’


২২. এখন আমাকে রাতের পর রাত জেগে একটা ঘুমিয়ে থাকা মানুষের মুখের দিকে তাকিয়ে ভাবতে হয় না এই মানুষটাকেই কি ভালবেসেছিলাম যে আজ আমাকে মেরেছে?


২৩. এখন আমি শ্বাস নেওয়ার সময় কারও অনুমতির প্রয়োজন হয় না।

.

.


তবে আমাকে এখন শুনতে হয় অন্যকিছু।


 

. আমি ভাল না তাই আমি সংসার করতে পারিনি, দোষটা আমারই৷


. আরো কিছুদিন নাকি আমার সহ্য করার দরকার ছিল।


. আমার নাকি চুপ করে সহ্য করা উচিত ছিল।


. আমি এখন দুশ্চরিত্রা একটা মেয়ে৷


. অনেক সিঙ্গেল ছেলে আমাকে দেখে বলে “ডিভোর্সী মাল, একটু পটালেই পাওয়া যাবে”৷


. আমার আত্মীয়স্বজন আমার বাবা মাকে বলে “তোমাদের আল্লাদে মেয়ে খারাপ হয়েছে”৷


. বন্ধুবান্ধব বলে “মা তোর সাথে মিশতে মানা করছে, তুই ডিভোর্সী”৷


.এখোন আমাকে শুনতে হয় আমার ভাই ও ভাবিদের গরম কথা। 

.

.যেই আমি আগে ঘরের রাজ কন্যা ছিলাম, এখন আমি করুনার পাত্র হয়ে গেছি।


.আগে আমি আমার স্বামীর ঘরে যতো কাজ করিনি এখন নিজের ঘরে এসে তার থেকে বেশি করতে হচ্ছে। 


.আগে আমি ও আমার সন্তান আদরের পাত্র ছিলাম, কিন্তু সবাই এখো ট্যারা চোখে তাকায়! 


.আগে সবাই আমাকে খাবারের জন্য ডাকতো, এখন কেউ ডাকে না।


আগে আমি আমার সামীর ঘরে ছিলাম রাজার হালতে, এখন এখানে থাকি চাকরানির মতো!! 


. এমন আরও হাজারও কষ্ট আমাকে নিরবে সয্য করতে হয়। 


. এখন আমার মনেহয় সামীর ঘরেই ভালো ছিলাম, এখানে মায়ের উস্কানীমূলক কথা শুনে এখন বহু বিপদে আছি।


হাহাহাহা হা হা হা হা৷


অনেক কষ্টের ভালোবাসার একটি গল্প।