রোমান্টিক ভালোবাসার গল্প
-গল্পঃ_হিংসুটে_বউ😝😝
লেখকঃ আব্দুল্লাহ আল শাহজালাল।
আমিঃ এই যে শুনতে পাচ্ছো? ঘরে লবণ নেই রান্না করবো কিভাবে?
অপুর্বঃ লবণ না থাকলে চিনি দিয়ে রান্না করো।
আমিঃ একদম ফাজলামো করবে না, যাও বাজার থেকে লবণ নিয়ে আসো।
অপুর্বঃ এতো সকালে শীতের মধ্যে আমি বাজারে
যেতে পারবো না।
আমিঃ বাজারে যেতে হবে না, দোকান থেকে নিয়ে আসো।
অপুর্বঃ আমি পারবো না।
আমিঃ ওই কি বললা তুমি, আর একবার বলো তো?
অপুর্বঃ না ইয়ে মানে যাচ্ছি টাকা দাও।
আমিঃ টাকা আমি দিবো কেনো হুম?
অপুর্বঃ আমার কাছে তো টাকা নেই।
আমিঃ সামান্য লবণ কেনার টাকা নেই তাহলে বিয়ে করছো কেনো?
অপুর্বঃ ওকে যাচ্ছি, মেয়ে মানেই ঝগড়া। ধ্যাত
দিনটাই মাটি।
আমিঃ ওই অপুর্ব কি বললা তুমি?
অপুর্বঃ কই না তো, কিছু না। তোমাকে না আজকে অনেক সুন্দর লাগতেছে সেটাই বললাম।
আমিঃ হইছে হইছে থামেন, আর পাম দিতে হবে না। যাও দোকানে যাও, আর দোকানে গিয়ে সিগারেট
খেলে ডিরেক্ট ডিভোর্স দিয়ে দিবো। লবণ নিয়ে
সোজা নিচের দিকে তাকিয়ে বাসায় আসবা।
রাস্তায় কোনো মেয়ের দিকে তাকাবে না। কথাটা
মনে থাকে যেনো।
অপুর্বঃ আচ্ছা মহারানী।
এই পাগল বরটাকে নিয়ে আর পারি না। কোনো কাজই করতে চায় না, একদম অলস। তবে এই পাগলটাকে রাগাতে আমার হেব্বি মজা লাগে। ঘরে লবণ আছে তবুও তাকে দোকানে পাঠালাম। এতো সকালে কেউ ঘুমিয়ে থাকে নাকি হুম। বউটা একা একা রান্না করছে সেদিকে কোনো খেয়ালই নেই। আজব ছেলে একটা।
বিয়ের আগে কত রোমান্টিক কথা বলতো, আর
বিয়ের পর আস্ত একটা বাঁদর হইছে, সারাদিন শুয়ে থাকে।। কোনো রকম রোমান্টিকতা নেই তার ভেতরে।
এখন বুঝো কেমন মজা। মহারাজ লবণ নিয়ে হাজির, সাথে সাথে আমি রাগ দেখিয়ে বললাম........
আমিঃ এতো সময় লাগে লবণ আনতে?
অপুর্বঃ দোকান তো বন্ধ ছিলো জানু।
আমিঃ আহারে এতো ভালোবাসা, মতলব কি?
অপুর্বঃ জানু তুমিও না, ভালোবাসলেও দোষ না বাসলেও দোষ।
আমিঃ আচ্ছা হইছে, এখন ফ্রেশ হয়ে নাস্তা করতে আসো।
অপুর্বঃ ও বউ একটা কথা বলি?
আমিঃ কি?
অপুর্বঃ না মানে এখন তো ৭ টা বাজে, একটু ঘুমিয়ে আসি প্লিজ?
আমিঃ আচ্ছা ঠিক ৮ টার সময় যেনো নাস্তার টেবিলে দেখতে পাই। মনে থাকবে তো? না হলে কিন্তু এই শীতের সকালে তোমাকে পানিতে চুবাবো।
অপুর্বঃ হ্যা ১০০% মনে থাকবে?
আমিঃ তাহলে ঠিক আছে যাও ঘুমাতে যাও।
অপুর্বঃ এই আমার কোলবালিশটা কই?
মনে মনে যা ভাবলাম তাই হলো। অপুর্ব বললো.......
অপুর্বঃ কি হলো?
আমিঃ ফেলে দিয়েছি।
অপুর্বঃ ফেলে দিয়েছো মানে?
আমিঃ হ্যা ফেলে দিয়েছি, কারন আমি সতীনের ঘর করতে পারবো না।
অপুর্বঃ এখানে সতীন আসলো কোথায় থেকে?
আমিঃ কোথায় থেকে আসলো তাই না? এই সকালে তুমি কি এমন স্বপ্ন দেখেছিলে যে কোলবালিশ
জড়িয়ে ঘুমের ঘোরে মিটিমিটি হাঁসছিলে? আর সেই জন্যই ঘরে লবণ থাকার পরেও তোমাকে দোকানে পাঠাইছি। যেভাবে কোলবালিশ জড়িয়ে ধরছো
সেভাবে তো কখনো আমাকে জড়িয়ে ধরোনি।
অপুর্বঃ কি স্বপ্ন দেখেছিলাম সেটা তো জানি না, তবে তোমার কথা শুনে খুব হাঁসি পাচ্ছে। কোথায় কোলবালিশ আর কোথায় বউ।
আমিঃ কি এখন আমার চেয়ে কোলবালিশ বড় হয়ে গেলো?
অপুর্বঃ আমি কি সেটা বলছি নাকি?
আমিঃ চুপ করো আর কোলবালিশের দরকার নাই।
অপুর্বঃ কি বলছো তুমি? তাহলে আমি ঘুমাবো কি করে? তুমি তো জানো আমি এমনিতে ঘুমাতে
পারি না।
আমিঃ আমি থাকতে কোলবালিশের কি দরকার শুনি? তোমার বুকে শুধু আমি থাকবো আমি।
অপুর্বঃ ওহহ তাই বুঝি?
আমিঃ হুমম।
অপুর্বঃ পাগলী বউ আমার। কেমন মেয়েরে বাবা কোলবালিশেরও হিংসা করে।
প্রিয় তোমার কথা ভেবেই গত চারটা বছর কোলবালিশ
ব্যাবহার করি না🙂☺️
*************সমাপ্ত*************