বাবা মা ছাড়া জীবন | বাবা মা কে নিয়ে স্ট্যাটাস

বাবা মাকে নিয়ে কিছু কথা

বাবা মাকে নিয়ে কিছু কথা

সম্পূর্ণ পড়ুন চোখে পানি চলে আসবে।

 ২৭ বছর সংসার করার পর আমার মা-বাবা সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তারা আলাদা হয়ে যাবেন।


আমাকে এবং আমার বড় ভাই নবীনকে ডেকে মা এই কথা একটু আগে বললেন।বাবা মাথা নিচু করে বসে আছেন।প্রথমে এটাকে ফান ভাবলাম এবং খুব রাগ করলাম।


আমি একটু উচ্চস্বরেই বললাম-

---এমন বিষয় নিয়ে ফান করার কোন মানে হয়?

মা তুমি বেশ কিছুদিন যাবত খুব অদ্ভুত আচরণ করছ?


মা অদ্ভুত ভাবে আমার দিকে তাকিয়ে বললেন-

---কি বলতে চাও?কি অদ্ভুত আচরণ করছি? এখন আমি ফান করছিনা,একদম বাজে কথা বলবে না। খুবই গুরুত্বপূর্ণ কথা বলছি এবং আমার সিদ্ধান্তে আমি অটল।


 কিন্তু ক্রমান্বয়ে মায়ের কথার গাম্ভীর্যতায় সম্পূর্ণ কথা শেষ হলো।আমার মাথায় এমন ভয়ানক কথা ঢুকে মনকে বিশ্বাস করাতে সফল হবে কিনা সেই দ্বন্দ্ব চলছে।

কারণ আমার মাথা ভোঁতা হয়ে গেছে,কান বধির হয়ে গেছে কারো আর কোন কথা আমি শুনতে পাচ্ছি না।


আমার মা আরিফা একজন হাউজ ওয়াইফ।বাইশ বছর বয়সে বিয়ে আর বিয়ের পর পরই কনসিভ করলেন । প্রথমে ভাইয়া পরে আমি এসে সংসারে মায়ের দায়িত্ব কর্তব্য বাড়িয়ে দিলাম। ফলশ্রুতিতে তাঁর সমস্ত ইচ্ছা, অনিচ্ছা জলাঞ্জলি দিয়ে আমাদেরকে উনার জীবনের অমূল্য সম্পদ ভেবে আঁকড়ে ধরলেন। তিনি এতে সুখি ছিলেন, এত দিন পর্যন্ত সেটাই ভেবে এসেছিলাম। এতটা দুঃখ আর কষ্ট যে তাঁর মনে জমে আছে সেটা কেউ কখনো টের পায়নি।


আমি কোন মতে আমার রুমে এসে শুয়ে পড়লাম। আমার মা-বাবা আলাদা থাকবে এই চিন্তাই করতে পারছিনা কিছুতেই।ভাইয়ার মনে হয় কিছুই মনে হয়নি , এটা তাঁর কাছে খুব সাধারন ব্যাপার মনে হয়েছে। তাকে দেখে তাই মনে হয়েছে সে একটা কথাও না বলে নিজের রুমে চলে গেল।


আমি ভাইয়ার রুমে গেলাম।সে জানালার গ্রিল ধরে বাইরে তাকিয়ে আছে।

আমাকে দেখেই বলল-

---চিন্তা করিস না।মা এমনিই রাগ হয়ে এমন কথা বলেছে,সব কিছু ঠিক হয়ে যাবে।

বুঝতে পারলাম ভাইয়াও খুব কষ্ট পাচ্ছে।কিন্তু এই সান্ত্বনায় আমার মন শান্ত হলো না।

---ভাইয়া চল বাবার সাথে কথা বলি।

দু'জনে বাবার সামনে গিয়ে দাঁড়ালাম।

বাবা বললেন-

---বুঝতে পারছি কেন এসেছ, কিছু বলতে হলে তোমাদের মাকে বল, এই সিদ্ধান্ত আমার না।


বাবা এত রেগে কথা বললেন যে,আর কথা বাড়ানোর সাহস হলো না।


চলে এলাম রুমে।আমার খুব কান্না পাচ্ছে এখন।মায়ের উপর রাগ হচ্ছে।বাবা তো কিছুই বললেন না, নিশ্চয়ই শুধু মা ই চাইছেন ডিভোর্স।মায়ের কি তাহলে অন্য কারো সাথে রিলেশন গড়ে উঠেছে? হতে পারে, তা না হলে ডিভোর্সের কথা আসবে কেনো এতো বছর পর? মা যেই কারণগুলোর কথা বললেন ডিভোর্সের জন্য সেইগুলো কোন কারণই নয়। এখনতো যেকোনো বয়সেই দেখা যায়, যে কেউ সম্পর্কে জড়িয়ে যায়! এটা মনে হতেই মায়ের উপর আমার খুব ঘৃনা হচ্ছে। ছিঃ ! ভাবতেই কেমন লাগছে। বাবা একটুও প্রতিবাদ করলেন না মায়ের এই সিদ্ধান্তে! সেটাও অবাক হওয়ার মতো বিষয়! 


এভাবে দুই দিন কেটে গেল। বাসার কারো সঙ্গেই আমি ভালো ভাবে কথা বলছি না। এই পৃথিবীর সবার উপরেই যেন আমার রাগ জমে আছে। সবচেয়ে বেশি রাগ এবং ঘৃণা হচ্ছে মায়ের উপর।সব চেয়ে বড় কথা আমি কিছুতেই শান্তি পাচ্ছি না।কোন ফ্রেন্ডের সাথেও শেয়ার করতে পারছি না,ভেতরটা যেন দুমড়ে মুচড়ে যাচ্ছে।


পড়ন্ত বিকেলে মা এসে আমার পাশে বসলেন। কোন ভনিতা ছাড়াই কথা বলা শুরু করলেন -

---নদী তুমি যথেষ্ট বড় হয়েছ। আশা করি আমার কথাগুলো আর আমাকে বুঝতে পারবে। বুঝতে পারছি আমার উপর খুব রেগে আছ। কিন্তু একজন মহিলা শুধু শুধু তার এত দিনের সংসার ছেড়ে যেতে চায়?

---আমার চোখে তো বাবার এমন কোন সমস্যা নেই যার জন্য তাকে ডিভোর্স দিতে চাইছ।


কথাগুলো বললাম খুব রেগে রেগে।

মায়ের চোখে রাগ আর দুঃখ মিশে একাকার হয়ে আছে।একটা দীর্ঘশ্বাস ফেলে আমার দিকে করুণ চোখে তাকিয়ে বললেন-

---তুমি ঠিকই বলেছ । তোমার বাবার অন্য কারো সাথে কোন সম্পর্ক নেই, আমার গায়ে কখনো হাত তোলে না, শ্বশুরবাড়িতে যৌতুক এর অত্যাচার হয়নি তাহলে কেন ?এই প্রশ্নই তো তোমার মনে আসছে তাই না? ডিভোর্সের জন্য তো এইসব কারণগুলোই মুখ্য বিষয় মনে হয় আপাত দৃষ্টিতে। কিন্তু এ ছাড়াও আরো অনেক কারণ থাকতে পারে স্বামী স্ত্রীর মাঝে।যখন তোমার নিজের সংসার হবে তখন বুঝতে পারবে।

---মা একটু আগেই বললে আমি বড় হয়েছি, তাহলে কেন আমাকে সব কিছু খুলে বলছ না?তুমি কি অন্য কাউকে পছন্দ কর?


আমার এই প্রশ্ন শুনে মা যেন আঁতকে উঠলেন। তাঁর চোঁখে পানি আছড়ে পড়তে লাগলো,বন্যার সময় কোন বাঁধ ভেঙে যেভাবে পানি আছড়ে পড়ে। আর যেন নিজেকে ধরে রাখতে পারলেন না।

আমি যতটা রাগে এই প্রশ্ন করেছিলাম ঠিক ততটাই আমার হৃদয় কষ্টে ক্ষতবিক্ষত হয়ে গেল, মায়ের এই অবস্থা দেখে।এমন একটা প্রশ্নে মা খুব কষ্ট পেয়েছেন বুঝলাম।

আমিও আর নিজেকে ধরে রাখতে পারলাম না, মাকে জড়িয়ে কাঁদতে লাগলাম। আমার এই তেইশ বছরের জীবনে কোন দিন এমন রূপে মাকে দেখিনি।এভাবে অনেকটা সময় কেটে গেলো।

আমি বার বার ক্ষমা চাইতে লাগলাম।মা এবার নিজেকে অনেকটা সামলে বলল-

 

---ভেবেছিলাম মৃত্যু ছাড়া এই সংসার ছেড়ে যাবো না। তোমার বাবা যেহেতু আমাকে আর সহ্য করতে পারছে না, শুধু শুধু তার কষ্টের কারণ হয়ে এখানে থাকতে চাই না। সাতাশ বছর সংসার করেও সে আমার মনকে ভালোবাসতে পারেনি, এই দেহটাকে ছাড়া, সে এখন আমাকে বলে আমি নাকি বুড়ি হয়ে গেছি!অকারণে মেজাজ করি, আমার সব কিছুতেই দোষ! তাই আমি তার জীবন থেকে সরে যাবো। তোমার বাবা কম বয়সী কাউকে বিয়ে করে সুখ উপভোগ করুক। তোমরাও ভালো থাক শান্তিতে থাক।


---মা প্লিজ এমন করো না।কি বলবে লোকে? ভাইয়ার বিয়ের কথা হচ্ছে সেটাও তো ভেঙে যাবে।কেন এই বয়সে এই সিদ্ধান্ত নিলে?

---জীবনের এই প্রান্তে এসে শারীরিক ও মানসিক ভাবে এমন হয়ে যাবো এটাও তো আগে থেকে বুঝিনিরে মা।আমার কিছুই ভালো লাগে না,আমি কি করবো?


--- মা আমাকে সব কিছু খুলে বল তো।

আমি মাকে জড়িয়ে ধরেই এই কথা বললাম।


মা আরো অনেক কিছু বললেন মনের আড়ালে পাতালে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কষ্ট, অভিমান, অভিযোগ । এখন আমি বুঝতে পারছি অনেক কিছুই। তাঁর কথা বলার সময় অনেক সংকোচ কাজ করছিলো,আমরা মা - মেয়ে অনেকটা বন্ধুর মতো হলেও এখনো কিছু ব্যাপারে জড়তা রয়েই গেছে । তবুও বুঝতে পারলাম।

আমার এই কথাটা কেন মাথায় আসেনি। কয়েক মাস আগেই মায়ের মেনোপোজ স্টেজ শুরু হয়েছে। মা অল্পতেই রেগে যাচ্ছে, চিল্লাচিল্লি করছে, কখনো গরম কখনো ঠাণ্ডা লাগছে। সেইদিন দেখলাম বারান্দায় দাঁড়িয়ে কাঁদছেন,কি হয়েছে জিজ্ঞেস করতেই কান্না লুকানোর আপ্রাণ চেষ্টা করে 'কিচ্ছু ভালো লাগে না,একটু একা দাঁড়িয়েও থাকা যায় না। ' বলে রুমে চলে গেলেন। বাবাকে বার বার বলতে শুনেছি 'এত রাগ হয়ে যাচ্ছ কেন, তোমার সাথে কথাই বলা যায় না।' আর মা তখন গজগজ করতে থাকে। আমিও উল্টো রাগ দেখাই,মাকে বোঝার চেষ্টাও করিনি।


---মানে কি?বাবা আবার বিয়ে করবে এই কথার মানে কি?

---মানে হলো আমি চলে গেলে তোমার বাবা এমনি বসে থাকবে,সে বিয়ে করবে না?

---মা প্লিজ এই সব কথা বন্ধ কর।বাবা রাজি তোমার এই সিদ্ধান্তে?

---না।প্রথমে খুব মেজাজ দেখালো।এর পরে আমি যখন বললাম এখানে থাকলে আমার দম বন্ধ হয়ে মারা যাবো। তোমার অবহেলা সহ্য করতে পারবো না।তোর বাবা বলল,কোথায় তোমাকে অবহেলা করি?ঐ সব তোর বাবার মুখের কথা।আমি অনেক দিন থেকেই খুব ভালো ভাবে তার মেজাজ মর্জি লক্ষ্য করছি খুব ভালো ভাবেই বুঝতে পারছি তার ব্যবহারের পার্থক্যটা।

তোর বাবার সাথে এত বছর সংসার করে আমি তার মনোভাব বুঝতে পারবো না?তোর বাবা মনে মনে খুব খুশিই হবে।

---একদম না,তুমি মনে হয় বাবাকে চিনতে পারনি।

---কয়েকবার মানা করে রাগারাগি করার পরে এখন সে কেন চুপ আছে আমার সিদ্ধান্ত শুনে।

---কারণ তুমি এখন বুঝতে পারার মতো অবস্থায় নেই।


মা'কে নিয়ে যে বাজে চিন্তা আমার মনে এসেছে সেই জন্য আমি খুব লজ্জিত ও অনুতপ্ত হচ্ছি। এমন বাজে চিন্তা আমার মনে কি করে এলো? সমস্যা তো অন্য জায়গায়।

 মহিলাদের এই স্টেজে এই সব উপসর্গ গুলো হতে পারে,অনেকের ক্ষেত্রে খুব প্রকট হয় সমস্যা। নিজের পিরিয়ড বন্ধ হয়ে যাওয়াকে মেনে নিতে পারেন না আর মনে করেন নারীত্বের এই বুঝি শেষ। তাড়াতাড়ি ইউটিউব খুলে বসলাম,কত কত ভিডিও এই বিষয়ে। কয়েকটা ভিডিও মাকে নিয়ে দেখলাম। 


মা ডাক্তার দেখাতে রাজি হলেন না। তাঁর ধারণা বাবা তাঁকে মন থেকে ভালোবাসতে পারছে না কোন কৌশল করে বাবার মন গলানোর দরকার নেই।

আমি মাকে বুঝিয়ে বললাম,ডাক্তার দেখানোটা মায়ের নিজের ভালো থাকার জন্যেই জরুরী।


মা -বাবা দুজন দুদিকে বসে টিভি দেখছেন।কথা খুব একটা বলেন না।আমি তাঁদের বিয়ের ছবির এ্যালবামটা নিয়ে বসলাম।একা একা দেখে দেখে এটা সেটা বলতে লাগলাম।খেয়াল করতে লাগলাম তাদের মনোভাব। আমি এমন এক স্মৃতির পাতা খুলেছি যা তাঁদের দুজনের জন্য পাশ কাটিয়ে যাওয়া কোন ভাবেই সম্ভব না।বাবা কাছে এসে দেখতে লাগলেন মাও এলেন।

দুজনের সুখ স্মৃতি গুলো যেন চোখের সামনে তাঁদের ভাসতে লাগলো। তাঁরা ভুলেই গেলেন বর্তমান সময়টাকে।এত বছরেও তাঁদের কাছে ঐ স্মৃতি একটুও ম্লান হয়নি।মা একটু বলছেন আবার বাবা পরের ঘটনা বলছেন।দুজনেই প্রাণ খুলে হাসছেন।হাসির শব্দে ভাইয়া হাজির। ভাইয়াকেও কাছে ডেকে নিলাম। তাঁদের এই হাসিখুশি মুখ দেখে আমার ভাষাহীন আনন্দ লাগছে। পৃথিবীতে বাবা-মাকে সুখী দেখা সন্তানের কাছে পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ সুখ, এই মুহূর্তে তাই মনে হচ্ছে আমার। তাঁরা আলাদা হয়ে যাওয়ার কথা না বললে হয়তো কোন দিন এটা আমি বুঝতেও পারতাম না।


আমি ,বাবা আর ভাইয়া বাসার কাছেই একটা কফি শপে বসলাম।আমি তাদের দুজনকে চুপি চুপি এখানে আসতে বলেছি,মা যেন কিছু বুঝতে না পারেন।আমরা আলাদা আলাদা ভাবে বাসা থেকে বের হয়েছি।

আমি মায়ের সমস্যা টা নিয়ে আলোচনা শুরু করলাম শুরুতে একটু অস্বস্তি হচ্ছিল। মায়ের সামনে যেভাবে কথা বলতে পারি সেভাবে পারছিনা। তবুও যা বোঝাতে চাইলাম তা হলো-

'সারা জীবন এই সংসারে ব্যয় করা স্ত্রী এবং মা হয়ে থাকা মানুষটি প্রকৃতির হিসাবেই আজ দিশেহারা, অসহায় ,ভীত।

চাইলেও নিজেকে কন্ট্রোল করতে পারছেন না। তাঁর এই সময়ে পাশে থাকা, তাঁকে আনন্দে রাখা, চিন্তা মুক্ত রাখা, তাঁকে বুঝতে পারা খুবই প্রয়োজন সেই সাথে ডাক্তারের সাথে ও পরামর্শ করা জরুরি।'

ভাইয়া আর বাবা দুজনেই আমার সাথে একমত হলেন।যেভাবে আলাদা এসেছিলাম সেভাবেই আলাদা বাসায় ফিরলাম।


বাবা ফিরলেন সবার শেষে একগুচ্ছ রজনী গন্ধা নিয়ে।আমিই দরজা খুললাম।আমাকে দেখে বাবা লাজুক হাসি দিয়ে বললেন-

---তোর মায়ের খুব পছন্দ এই ফুল।

ততক্ষণে মা এসে উপস্থিত।আমি দ্রুতই আড়ালে চলে গেলাম তবে শুধু চোখের আড়ালে,তাদের কথা শোনার খুব লোভ হলো।

---কি গো আজ হঠাৎ ফুল আনলে।বিয়ের পর পর প্রায়ই আনতে।সেই সব এখন শুধুই স্মৃতি।

---এখন আবার সেই স্মৃতির পুনরাবৃত্তি হবে… বলতে বলতে তাঁরা তাঁদের বেড রুমে চলে গেলেন।


আমার কেন জানি চোখ ভিজে উঠছিলো।


রাত সারে সাতটায় ডাক্তারের সিরিয়াল। দেখলাম মা একটু সাজগোজ করেছেন, সুন্দর একটা শাড়ি পরেছেন, একদম পরিপাটি, বাবাকেও খুব হ্যান্ডসাম লাগছে।মা লাজুক চোখে আমাকে বললেন-

---এই শাড়িটা অনেকদিন পরা হয় না, তোর বাবা পরতে বলল ,তাই পরলাম।নদী আমাকে দেখতে খারাপ লাগছে রে,একটু বেশি সাজগোজ হয়ে গেছে?

---একদম না, খুব সুন্দর লাগছে তোমাকে।এখন থেকে এভাবেই থাকবে।


মা-বাবাকে দেখে মনে হচ্ছে না তাঁরা ডাক্তারের কাছে যাচ্ছেন ,মনে হচ্ছে দুইজন ক্যান্ডেল লাইট ডিনারে যাচ্ছেন।


(সমাপ্ত)



-কিছুই_শেষ_হয়ে_যায়_না

-ফাহমিদা_লাইজু


এমন আরও গল্প পড়ুন এই ওয়েবসাইটে।