খুব কষ্টের ভালোবাসার গল্প | চাপা কষ্টের স্ট্যাটাস

অবহেলার কষ্টের গল্প

অবহেলার কষ্টের গল্প

অপরাধ..
পর্ব: ০১

5 বছর পর আজ নিজের এলাকায় ফিরতেছি।

ভাপতেই খুব ভালো লাগছে। এই কথা ভেবে হঠাৎ সেই জগন্য কাজটার কথা মনে পড়ে গেলো।

মনটা আবার খারাপ হয়ে গেলো।

বাস ছেড়ে দিয়েছে নিজের এলাকায় যেতেছি।

অনেক দিন পর নিজের এলাকায় যাবো।

ভাবতেই ভালো লাগছে। বাবা মা ভাইয়া কে দেখবো। কতদিন ওদের দেখি না।

কিন্তু ওরা আমাকে দেখলে কি ভাবে রিয়েক্ট করবে সেটাই। ভেবে পাচ্ছি না।

যে কাজটা আমি করেছি। তাতে তো আমাকে দেখে তো তাড়া রেগে যাবে মনে হয়।

আপনারা কিছু বুজতে পারছেন না তো।

তাহলে চলুন অতিত ঘুরিয়ে নিয়ে আসি।

তাহলেই বুজবেন।  

 

অতিত 


ঝুমু : প্লীজ রিমন আমার সাথে এমন করিস না।

আমার এতো বড় সর্বনাশ করিস না প্লীজ।

আমি; তোকে কত বার বলেছি।

আমি তোকে ভালোবাসি কিন্তু তুই শুনিস নাই।

তোকে এত শাস্তি পেতেই হবে।

ঝুমু : দয়া কর রিমন আমার উপর। এমন করিস না।

আমি : ঝুমুর কোনো কথা সুনলাম না।

নিজের চাহিদা মেটাতে লাগলাম।

ঝুমু চিৎকার দিয়ে সবাইকে ডাক দিচ্ছে কিন্তু বাড়িতে কেউ নেই।

ঝুমু হচ্ছে আমার বেয়াইন ।  দেখতে পরীর মতো সুন্দর। আমি ওকে প্রথম ভাইয়ার বিয়ের দিন দেখেই ওর প্রেমে পড়ে গিয়েছিলাম।

যখন শুনলাম ও ভাইয়ার শালিকা। আর আমার বেয়াইন সেটা শোনার পর যে কতটা  খুশি হয়েছি বলে বোঝাতে পারবোনা।

ভাইয়ার বিয়ে হয়ে গেলো।

ভাবি কে নিয়ে বাড়িতে চলে এলাম।

তারপর অনেক বার ওর সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করেছি।

কিন্তু ওর সাথে কথা বলতে পারিনি।

কিছুদিন পর ঝুমু আমাদের বাড়িতে আসলো।

আমি খুব খুশি হলাম।

আরও খুশি হলাম যখন শুনলাম ও এখন থেকে আমাদের বাড়ি থেকে পড়াশোনা কতবে এটা শুনে। 

তারপর থেকে প্রতিদিন ঝুমু কে প্রপোজ করতাম।

আর ও প্রতিবার আমাকে ফিরিয়ে দিয়েছে।

আজ সকালে ওকে একটা ছেলের সাথে ঝুমু কে ঘুরতে দেখলাম।

দেখেই আমার মাথা খারাপ হয়ে গেলো।

কত মেয়ে আমার পিছু ঘুরে কিন্তু আমি ওকে পছন্দ করি বলে সবাইকে না করে দিয়েছি। 

কিন্তু ওকে ওই ছেলের সাথে।

দেখে আমার খুব রাগ উঠলো বাড়িতে এসেই শুনি মা বা ভাইয়া সবাই ভাবিদের বাড়িতে গেছে। 

এটা শুনে আমি খুব খুশি হলাম।

আর একটা পৈশাচিক হাসি দিলাম।

বাড়িতে শুধু ঝুমু আর আমি তারপর ঝাপিয়ে পড়লাম ঝুমুর উপর। আমাকে অবহেলা করে অন্য ছেলের সাথে ঘোড়া।

ঝুমু চিৎকার দিতেছে।

আমি আমার চাহিদা মিটিয়ে ওকে ছেড়ে ওয়াশরুমে চলে গেলাম।

কিন্তু ওয়াশ রুম থেকে বেড়িয়ে দেখি।

বাবা মা ভাইয়া ভাবি সবাই আমার রুমে আর ঝুমু বিছানায় বসে কান্না করছে।

তারপর ভাবি আমার কাছে এসেই ঠাসস ঠাসস থাপ্পড় মারলো আমায়।

ভাবি : তোমাকে আমি আমার ভাইয়ের মতো ভালোবেসেছি।

আর তুমি আমার বোনের সাথে এমনটা করতে পারলে।

আমি চুপ করে দাড়িয়ে আছি।

বাবা আর ভাইয়া এসে আমাকে অনেক মারলো।

কিন্তু মারার শেষে বাবা যে কথাটা বললো তা শুনে আমার মুখে হাসি ফুটলো।

বাবা : শোনো যা হবার হয়ে গেছে বৌমা।

এখন ওদের বিয়ে দিয়ে দেওয়াই ভালো হবে।

ভাবিকে বললো।

ভাবি : আপনি যা ভালো মনে করেন বাবা।

তাই করেন।

তারপর ভাইয়া কাজি এনে আমাদের বিয়ে পড়ানো হলো।

বিয়ে পড়ানোর শেষেই বাবা আমার কাছে এসেই আমার হাত ধরে টানতে টানতে বাহিরে নিয়ে গেলো।

বাবা : আজ আমাদের সম্মান বাচাতে তোর বিয়ে দিয়েছি।

কিন্তু তুই এই বাড়িতে থাকতে পারবিনা।

আর 6 মাস পর ডিভোর্স পেপার পাঠিয়ে দিবি।

আর তোকে আমি ত্যাজ্যপুত্ত করলাম।

আজ থেকে আমাদের সাথে তোর কোনো সম্পর্ক নেই।

আমি সবার মুখ দেখলাম কেউই আমার সাথে কোনো সম্পর্ক রাখতে চায়না তা তাদের মুখ দেখেই বোঝা যাচ্ছে।

তাই আমি চলে আসলাম।

হাতে যে টাকা ছিলো তা দিয়ে একটা বাসের টিকিট কিনলাম।

আর মনে মনে ঝুমুর প্রতি রাগ হচ্ছে।

ও যদি আমার প্রপোজ এ রাজি হয়ে যেতো।

তাহলে আর আমার পরিবারের থেকে আলাদা হওয়া লাগতো না।

এখন ওর প্রতি একটা ঘৃণা কাজ করছে।

বাস এসে থেমে গেলো চার দিকে অন্ধকার।

আমি বাস থেকে নেমে হাটা ধরলাম।

কোথায় এসেছি আমি নিজেও বলতে পারিনা।

কিছু দুর যেতেই একটা বিকট শব্দ শুনলাম।

গিয়ে দেখি একটা গাড়ি এক্সছিডেন্ট করেছে।

ভালো করে দেখলাম এটা পুলিশের গাড়ি।

গাড়িতে যারা ছিলো সবাই আহত হয়েছে।

আমি গাড়িটার ভিতর ডুকে অনেক কষ্টে গাড়িটাকে রাস্তায় আনলাম।

তারপর গাড়িটা চালাতে লাগলাম কিছু দূর যেতেই অনেক দোকান দেখলাম সেখানের একজন জিজ্ঞেস করে জানলাম আরেকটু দূরেই একটা হাসপাতাল আছে।

আমি গাড়ি চালিয়ে সেখানে গিয়ে পুলিশ দের এডমিট করালাম।

সারারাত সেখানেই ছিলাম।

সকালে খুব খিদে পেয়েছে।

তাই বাইরে এসে কিছু খেয়ে নিলাম।

পকেট এর টাকাও প্রায় শেষ।

আর দুই তিন দিন এর মতো চলবে।

হাসপাতালে এসে শুনলাম সবাই এখন বিপদ মুক্ত।

বিকালে তিন জনের জ্ঞান ফিরবে আর বাকি দুইজনের রাতে বা সকালে জ্ঞান ফিরবে।

গাড়িতে মোট 5 জন ছিলো।

দেখতে দেখতে বিকাল হয়ে গেলো তিন জনার ই জ্ঞান ফিরলো।

ডাক্তার এসে বললো আমাকে নাকি তারা ডাকছে।

আমি ভিতরে গেলাম।

প্রথম পুলিশ : বাবা তোমাকে কি করে ধন্যবাদ দেই বলে বোঝাতে পারবোনা।


আমি : না স্যার আমাকে ধন্যবাদ দিয়ে ছোট করবেন না।

এটা আমার কর্তব্য ছিলো।

পুলিশ অফিসার : আমাকে স্যার বলতে হবেনা আংকেল বলেই ডেকো।

আমি : আচ্ছা 

আংকেল : তা কি করো তুমি।

আমি  : কিছুই করিনা একটা কাজ খুজতেছি।

আংকেল : তা তোমার বাবা কি করে।

আমি : আমি এতিম আমার বাবা মা নেই।

{ মিথ্যা বললাম } 

আংকেল : তা পড়ালেখা করেছো।

আমি : জী আংকেল। ইন্টার সেকেন্ড ইয়ার পযর্ন্ত পড়া লেখা করেছি।

আংকেল : পুলিশ এর চাকরি করবে।

আমি : হুম। কিন্তু পুলিশ এর চাকরি আমি পাবো।

আংকেল  : হুম। পাবে আমি তোমার জন্য সুপারিশ করবো।

আমি : ধন্যবাদ আংকেল।

আংকেল;  ধন্যবাদ দিতে হবেনা।

তারপর আংকেল এর সহযোগিতায়।

আমি পুলিশ এর চাকরি পাই।

নতুন চাকরি খুব ভালো ভাবেই পালন করেছি ।

দেখতে দেখতে 5 বছর চলে গেলো।

আজ সকালে 

আমি : স্যার আসতে পারি।

স্যার : হুম আসুন।

আমি : স্যার আমাকে ডেকেছেন।

স্যার : হুম। রিমন সাহেব। 

আপনাকে বদলি করা হয়েছে।

আমি; কোথায় বদলি করা হয়েছে স্যার।

স্যার : আপনাকে বরিশাল থানায় বদলি করা হয়েছে।

আর 2 দুই দিন পর আপনি সেখানে জয়েন করবেন।

আমি : ওকে স্যার।

তাহলে আমি আমি যাই স্যার।

স্যার : হুম।

তারপর স্যার এর রুম থেকে চলে এলাম।

মনটা খুব খারাপ হয়ে গেলো 

যেতে যাই নি আর ওই শহরে। 

রেডি হয়ে  পাড়ি জমালাম সেই চেনা শহরে 


বতর্মান 


আপনাদের অতিত বলতে বলতে বরিশাল এসে পড়েছি।

ব্যাস থেকে নামলাম তারপর একটা বাসা বাড়া করলাম।

সারাদিন বাসাটা নিজের মতো গুছিয়ে নিলাম।

এখন রাত ৮ টা 

কেউ কলিং বেল বাজাচ্ছে।

দরজা খুলে দেখি।

একটা মেয়ে দাড়িয়ে আছে।

মেয়েটা : আপনি তাহলে নতুন বাড়াটিয়া।

আমি : হুম। কিন্তু আপনি কে? 

মেয়েটা: আমি বাড়ি ওলার মেয়ে।

আমি : ওহ 

মেয়েটা : আপনাকে বাবা রাতে খাবার জন্য ডেকেছে।

আমি : সমস্যা নেই বাইরে থেকে খেয়ে আসবো।

মেয়েটা : আজ প্রথম তাই আমাদের বাড়িতে খাবেন।

তারপর নিজে রান্না করে বা বাইরে থেকে খেয়ে আসেন কোনো সমস্যা নেই।

আর এখন খেতে চলুন।

আমি : হুম চলুন।

মেয়েটা : আপনার নামটা তো জানা হলো  না।

আমি : জী আমার নাম রিমন। আপনার নাম।

মেয়েটা : নিলা 

আমি : খুব সুন্দর নাম আপনার।

নিলা : সেটা আমি জানি আপনাকে বলতে হবেনা।

আমি : আমি আপনি এমন করে কথা বলছেন কেন?। একটু সুন্দর করে কথা বলতে পারেন না।

নিলা : তা কি রকম করে কথা বলবো।

ওগো শুনছো। এমন করে বলবো।

আমি : কি আপনাকে এমন করে বলতে বলেছি।

একটু ভালো করে বললেই হবে।

তারপর নিলা বললো 


 অপরাধ...

পর্ব: ০২ ও শেষ পর্ব


আমি : একটু ভালো করে কথা বললে কি হয়।

নিলা : আপনি কি আমার বয়ফ্রেন্ড যে আপনার সাথে ভালো করে কথা বলতে হবে।

আমি : বয়ফ্রেন্ড না। তবে বন্ধু হতে পারি।

নিলা : না। 

আমি : কেন? 

নিলা : আমার বয়ফ্রেন্ড মানা করেছে।

আমি : আপনার বয়ফ্রেন্ড আছে।

নিলা : না থাকলে কি। লাইন মারতেন।

আমি : না এমনি জিজ্ঞেস করলাম।

নিলা : আমার বিষয়ে কিছু না জিজ্ঞেস করলেই খুশি হবো।

আমি : আচ্ছা।

তারপর নিলাদের বাড়িতে গেলাম।

নিলার বাবা : তা বাবা তোমার বাড়ি পছন্দ হয়েছে।

আমি : হুম আংকেল। খুব সুন্দর আপনাদের বাড়ি।

আংকেল : তা কোনো সমস্যা হলে আমাকে বলো।

আমি; আচ্ছা।

তারপর নিলাদের বাড়ি থেকে খাওয়া দাওয়া শেষ করে চলে এলাম।

নিজের রুমে এসে শুয়ে পড়লাম।

পরেরদিন।

সকালে ঘুম থেকে উঠে বাইরে থেকে নাস্তা করে নিলাম।

কাল জয়েন করবো তাই আজ একটু ঘুরলাম।

এখন এসেছি।

সেই চিরচেনা পার্কে 

অনেক বা বন্ধুদের সাথে এখানে এসেছি।

হঠাৎ চোখ গেলো একটা বেঞ্জ এর দিকে আমার ফ্রেন্ড আশিক একটা মেয়ের সাথে বসে আছে।

মেয়েটা চিনিনা।

আশিক এর বউ হবে হয়তো।

5 বছর চলে গেছে বিয়ে করে নিয়েছে মনে হয়।

হঠাৎ ও আমার দিকে তাকালো কিছুক্ষণ তাকানোর পর।

আমার কাছে এসেই আমাকে মারা শুরু করে দিলো।

আশিক : শালা 5 বছর পর বন্ধুদের কথা মনে পড়লো।

কোথায় গিয়েছিলি তুই। জানিস তোকে কত যায়গা খুজেছি।

তোদের বাড়িতেও গিয়েছি।

কিন্তু তর বাবা বলেছে তুই কোথায় গিয়েছিস তা জানেনা আর তার সাথে তোর কোনো সম্পর্ক নেই।

কি হয়েছিলো যে 5 বছর আমাদের সাথে যোগাযোগ রাখলি না।

আর তোর বাবা ওই কথা বললো।

আমি : পরে একসময় বলবো।

আশিক : আচ্ছা।

তখনি আশিক এর সাথের মেয়েটা আমাদের কাছে এসে বললো।

মেয়েটি : আপনি কি? রিমন ভাইয়া।

আমি : হুম।

মেয়েটি : আপনার কথা আশিক এর মুখ থেকে অনেক শুনেছি।

আমি : ওও।

আশিক : দোস্ত এই হলো আমার বউ তিসা।

আমি : শালা আমাকে না বলেই বিয়ে করে ফেললি।

আশিক : শালা তোকে বলবো কেমনে।

তুই আমাদের সাথে যোগাযোগ রাখিস নাই।

আমি; তুই যাই বলিস না কেন? 

তর বিয়ে খেতে পারিনি তাই এখন তুই ট্রিট দিবি।

তিসা: চলেন ভাইয়া আজ আপনাকে আমি খাওয়াবো।

আমি : তুই না খাওয়ালে কি হবে দোস্ত ভাবি তো খাওয়াবে।

আশিক : তাতে কি হবে দোস্ত নাম তোর ভাবির হবে কিন্তু বিলতো আমাকেই দিয়ে হবে।

আমি : হুম চল অনেক দিন তোর পকেট ফাকা করিনা।

আজ করবো।

আশিক : কি আর করার চল।

তারপর আশিক ট্রিট দিলো।

অনেক কথা হলো আশিক এর সাথে তারপর আশিক চলে গেলো।

আমি নদীর পারে এলাম।

হঠাৎ আমি যাকে দেখলাম তাকে আমি 

এখানে দেখবো আশা করিনি। 


 ্আমি ঝুমুকে যে এখানে দেখবো আশা করিনি আজ ওর জন্যই আমার পরিবারের থেকে আলাদা হয়েছি। ও যদি আমার ভালোবাসাটা বুঝতো তাহলে হয়তো আমার আজ একা থাকা লাগতো না আমি আরও অবাক হলাম কারণ একটা বাচ্চা এসে ঝুমুকে বললো।

বাচ্ছাটা : আম্মু আম্মু চলো সন্ধ্যায় হয়ে গেছে।

ঝুমু : হুম মামনি চলো।

আমার আর বুঝতে বাকি রইলো না।

বাচ্চাটি ঝুমুর। 

ঝুমু মনে হয় বিয়ে করে নিয়েছে।

বাচ্চাটির বয়স 4 বছরের মতো হবে।

বাচ্চাটি দেখতে ঝুমুর মতোই হয়েছে।

আজ যদি ঝুমু আমার ভালোবাসাটা বুঝতো।

তাহলে আমাদের এমন একটা বাচ্চা থাকতো।

ঝুমু আর বাচ্চাটি চলে যাচ্ছে।

আমি ওদের দিকে চেয়ে আছি।

আমি একটু দুরে তাই আমাকে দেখতে পায়নি।

 ঝুমু আর বাচ্চাটি কিছু দুর যেতেই কিছু ছেলে এসে ঝুমুকে বিরক্ত করা শুরু করে দিয়েছে।

আমার খুব রাগ হলো।

কারণ ভালোবাসাটা আগের মতোই আছে ঝুমুর প্রতি শুধু একটা অবিমান তৈরী হয়েছে।

আমি মুখে রুমাল দিয়ে ওদের কাছে গেলাম।

আমি : ভাইয়া আপনার ওনাকে বিরক্ত করছেন কেন?।

প্রথম ছেলেটি : এই বিরক্ত করছি। তাতে তর কি আয়।

ভালোয় ভালোয় এখান থেকে চলে যা নয়তো।

আমি : আপনারা ওনাকে ছেড়ে দিন।

আমি চলে যাবো।

2য় ছেলেটি : আমি ওকে ছাড়বোনা তুই কি করবি।মারবি আমাকে মার মার আমাকে এই বলে আমাকে ঠেলা দিয়ে ফেলে দিলো।

আমি : মাটি থেকে উঠে ছেলেটিকে।

একটা গুসি মারলাম ছেলেটি শুয়ে পড়লো।

তারপর ওরা সবাই আমার কাছে আসলো।

ওরা মোট 4 জন ছিলো।

তারপর ওদের সাথে অনেক মারামারি হয়।

আমি ওদের অনেক মেরেছি। শত হলেও পুলিশ তাই ওরা পারেনি।

ওরা চলে যায়।

আমি তারপর ঝুমু কে বললাম।

আমি : আপনি এখন সুরক্ষিত তাই এখন আপনি যেতে পারেন। আর কেউ আপনাকে বিরক্ত করবেনা।

তারপর আমি চলে যাবার জন্য পিছে ফিরতেই ঝুমু বললো।

ঝুমু : রিমন।

আমি : এবার মুখে হাত দিয়ে দেখি রুমালটা নেই মারামারি সময় হয়তো খুলে গিয়েছিলো।

ঝুমু : রিমন তুমি এতদিন কোথায় ছিলে জানো তোমাকে আমরা কত খুজেছি।

আমি : আপনারা কেন? আমাকে খুজবেন? 

 ঝুমু : রিমন তুমি আমাকে আপনি করে কেন? বলছো।

আর তোমার পরিবার তো তোমাকে খুজবেই।

আমি : আমি একজন ধর্ষক আর আমাকে কেন? সবাই খুজবে।

ঝুমু : রিমন আমাকে ক্ষমা করে দেও আমি প্রথমে তোমার ভালোবাসাটা বুঝলে আজ এমন হতোনা।

আমি : এসব কথা আর এখন বলার প্রয়োজন এখন আছে এটা আমার মনে হয় না।

হঠাৎ বাচ্চাটি বললো।

বাচ্ছাটি মা তুমি এই লোকটি কে চেনো 

ঝুমু : মা এই তোমার বাবা 

আমি : অবাক হয়ে বললাম মানে?

ঝুমু : হুম রিমন ও তোমার আর আমার বাচ্চা।

আমি : হুম কার না কার বাচ্চাকে এখন আমার বাচ্চা বলছো।

আর তোমার স্বামী যদি এই কথা শুনে তাহলে কি হবে ভেবে দেখেছো।

ঝুমু : আমার কথা বিশ্বাস করো রিমন।

সেইদিন জোড় করে হলে কিন্তু তুমি আমাদের শারীরিক মিলন পূর্ণ করেছিলে।

আর বিয়ে মেয়েদের জীবনে একবারি হয় রিমন 

আর সেই দিন কিন্তু আমাদের বিয়ে হয়ে গিয়েছে। আর তুমিই আমার স্বামী রিমন 

আমি : আমি ভালো করে ভেবে দেখলাম হুম সেইদিন ওর সাথে আমি জোর করেই শারীরিক মিলন করেছিলাম আর তা পূর্ণ ও করেছিলাম।

তার মানে এই বাচ্চাটি আমার।

বাচ্চাটি: তুমি আমার আব্বু 

আমি : আমি ওকে কোলে নিয়ে বললাম হুম আম্মু।

আমিই তোমার আব্বু ।

রিদি : [ রিদি হলো আমার মেয়ের নাম মানে বাচ্চাটির নাম ] 

রিদি : আব্বু তুমি এতদিন কোথায় ছিলে।

আমি; আমি এতদিন বিদেশ এ ছিলাম আম্মু 

তখনি ঝুমুর ফোনে কল আসে।

ঝুমু ফোনে কথা বলার পর ঝুমুর হাত থেকে ফোনটা পড়ে যায়।

আমি : আমি কি হয়েছে?

ঝুমু : বাবা হাট আট্যাক করেছে?

আমি : কিই?

ঝুমু : হুম তুমি যাওয়ার কিছুদিন পর 

চলুন পাচ বছর আগের কথা বলি 

তোমাকে বাড়ি থেকে বের করে দিয়েছে।

তার কিছুদিন পরি আমি তোমাকে মিস করতে থাকি?

কয়েকমাস পর আমি বুঝতে পারি আমি পেগ্যনেট।

সবাই আমাকে বাচ্চাটি নষ্ট করে ফেলতে বলে?

কিন্তু আমি চেয়েছি বাচ্চাটি কে জন্ম দিতে।

তারপর সবার মতের বিরুদ্ধে গিয়ে আমি ওকে জন্ম দেই।

সবাই আর কিছু বলেনি।

কিন্তু তোমার বাবা যে খুব তোমাকে মিস করছিলো।

সবার সাথে আস্তে আস্তে কথা বলা বন্ধ করে দেয়।

এই এক বছর ধরে তোমার বাবা খুব অসুস্থ।

আর তোমাকে অনেক বার দেখতে চেয়েছে কিন্তু পারেনি।

তুমি কোথায় ছিলে আমরা কেউ জানতাম না তাই তোমাকে খবর দিতে পারেনি।

এই কয়দিনে বাবা খুব অসুস্থ হয়ে পড়েছে প্লীজ রিমন আমার সাথে হাসপাতালে চলো।

নইলে আর বাবাকে বাচানো যাবেনা।

আর কিছু না ভেবেই চলে গেলাম হাসপাতালে।

এই কথা শোনার পর কোনো ছেলেই তার পরিবারের উপর রাগ করে থাকতে পারবেনা।

আমিও পারিনি সব রাগ অভিমান ভুলে চলে গেলাম।

হাসপাতালে 

গিয়ে দেখি সবাই বাবার কেবিনি বসে আছে।

আমি দরজার কাছে দাঁড়িয়ে  

ঝুমু দৌড়ে বাবা

ঝুমু : বাবা তুমি ঠিক আছো তো 

বাবা : হুম ঠিক আছি।

ঝুমু : দেখো বাবা কে এসেছে।

 আমাকে দেখিয়ে।

 আমাকে দেখে সবাই চমকে গেলো।

বাবা : তুই এসেছিস। প্লীজ বাবা তুই আমাকে ক্ষমা করে দে।

আমি : বাবা আমাকে তুমি ক্ষমা করে দেও।

বাবা : হুম বাবা।

তারপর বাবা আমাকে জড়িয়ে ধরলো।

আস্তে আস্তে সবাই ক্ষমা চেয়ে নিলো।

আর আমিও কারোও উপর রাগ করে থাকতে পারিনি।

মিলে গেলাম আবার আমরা সবাই 

হয়ে গেলাম একটা সুখী পরিবার ।।


........সমাপ্ত........


গল্প-অপরাধ

লেখক : Rimon 


এমন আরও অনেক গল্প পড়ুন।