রোমান্টিক লাভ স্টোরি গল্প
গল্প-ফাজিলের_ডিব্বা
- দোস্ত দেখ মিলনকে মাইরা
একদম ভাঁজা ভাঁজা করে
দিছে (অমি)।
- কীইইইই কার এত্ত বড় সাহস
আমার বন্দুরে এমনে মারছে।
- কে আবার তোদের উপরের
ঐ মরিয়ম ।
- কী ঐ ছুছু এর এত্ত বড়
সাহস আমার এই দুধের সন্দেস
এর মতো বন্দুরে মারছে।
তুই টেনসন নিসনা ভাই ঐ
মাইয়া তোর যেই খানে যেই খানে
মারছে আমি ও ঠিক খানেই মারমু হুম।
- না না একটা জায়গায় লাথি দিছে
ওইটা বাদে।
- ভাই তুই তো ইতিহাস, ঐ ওরে এখন
ও বুকে নেস না কেরে।
ভাই তুই একটা মাল তোর ঐ খানে
লাথি মারার পর ও দাঁড়াই আছস,
তুই আমাগো গর্ব ভাই।
চল আজকে ওই মরিয়মকে
মজা দেখামু।
চল অ্যাটাক।
ভাই তোরা বাইরে থাক আমি
ভিতর থেকে টাইনা বের করে
আনতেছি।
- দড়জাই কয়টা ঠোকা দিতেই
আন্টি বের হয়ে আসল।
- আন্টি ছুছু কই, না না মানে মরিয়ম
কই।
- ওর ঘরেই আছে যা।
- হি হি ওকে।
মরিয়ম ঘরে ঢুকতেই।
গেঞ্জিটা ধরে টেনে নিয়ে গেল।
- ঐ ছাড় ছাড় একশো টাকা দিয়ে
কিনছি হুমমমম।
- হারামি, কু্ত্তা, শয়তান, তোরে
তো আজকে মেরেই ফেরমু।
- হায় হায় মারতে এসে আমিই
তো ফেঁসে গেছি।
- তোর ঐ ছেঁচরা বন্ধু যেমন ক্যালানি
দিছি, তোরে ও দিমু।
- কিন্তুু কেন।
- তোর ঐ বন্ধু মিলন আজকে আমাকে
প্রপোজ করছে তাই ওরে ক্যালানি
দিছি, আর তোরে ক্যালামু ওদের
সাথে সারাদিন বাঁদরামি করার জন্য।
- আল্লাহ কী ডাকাতের পাল্লাই ফ্যালাইলা,
মরিয়ম ওই দেখ মিলন আর অমি
নিচে মনে হয় দাঁড়াই আছে।
- কীইইইই তার মানে তুই ওদের ডাকছিস।
- না না জীবনে ও না এই যে নতুন
গেঞ্জি ছুঁয়ে কইতেছি।
আসল কথা বললে হেব্বি মাইর দিবে।
- তোকে একটা সুযোগ দিচ্ছি,
হয় তুই ওদের ক্যালানি দিবি,
না হয় আমার হাতে ক্যালানি খাবি।
- বন্দুরে তোরা মাফ করে দিস,
দূর আমি ক্যালানি দিমু।
এই যাচ্ছি আর ক্যালাই চলে আসমু।
- ওয়াও তোরে আমি চিনি না তুই,
ওদের থেকে বড় ছেঁচরা।
এই ধর পাইপ এই দিয়ে মারবি,
আমি তোর সাথেই থাকমু।
এবার চল।
- কী আর করার যাইতেছি।
- ঐ তুই এবার আগে গিয়ে মাইর
দিবি, আমি লুকাই লুকাই দেখমু।
- দূর কী ফাঁসাটাই না ফাঁসছি।
ঐ সালা তোরা মরিয়ম প্রপোজ
করছস, সাহস তো কম না।
দাঁড়া মজা দেখাই তেছি।
- কী হারামিরে তুই নিজেই ডেকে আনলি
আর নিজেই মারতে আসছিস।
- চুপ সালা এই নে কেমন লাগে
হুমমমম।
- সালা হারামি জীবনে আর কথা
বলবি না তুই।
- একটু কাছে গিয়ে আস্তে করে বললাম,
ওমন বলিস না ভাই ফাঁইসা গেছি,
তোদের একটু..........।
- ঐ কীইইইই বলতেছিস মার
- হুমমমম মারতেছিই তো, সালারা
মরিয়ম প্রপোজ করা হুমমমম।
এর পরে ওরা দৌড়ে চলে গেছে।
- দেখলি কী মাইরটাই না দিছি
হি হি হি।
- তাই না হারামি পাইপটা নিয়ে আমারে
ও দুইটা বারি দিছে কিন্তুু আস্তে,
তার থেকে জোরে আমি চিল্লানি দিছি।
আসলে মরিয়ম আমাকে মারতে আসে
ঠিক কিন্তুু মারে না, আর মাইর
দিলে ও আস্তে।
আসলে ওর সাথে ওমন দুষ্টুমি ভালই
লাগে।
হাজার হোক কিউটি মেয়ে বলে কথা।
- শোন এবার গিয়ে পড়তে বসবি তা না
হলে আবার মাইর খাবি।
- হুমমমম ঠিকআছে।
- এবার যা।
- বাসাই গিয়ে দেখি সব কাপড়
কেমন গন্ধ করতেছে, মেলা দিন
থেকে ধুয়ে দেওয়া হয় নাই।
তাই সব কাপড় গুলো ধুয়ে
ছাঁদে শুকাইতে দিতে যাচ্ছি।
গিয়ে দেখি মরিয়ম ও কাপর
শুকাইতে দিয়ে গেছে এদিক ও
দিক না দেখেই সব কাপড় এক
জায়গায় রেখে দিয়ে, আমার কাপড়
গুলো আরামছে শুকাইতে দিছি।
পিছনে তাঁকাইতেই আআআআআআ।
- ঐ আমার কাপড় এখানে কেন।
- না না এমনি, বাতাসে না সব পড়ে
গেছিল। তাই ভাবলাম এক জায়গায়
রেখে যাই, আমার গুরো শুকাইতে
দিয়ে এসো তোর গুলো ও শুকাতে
দিব হুমমমম সত্যি।
- তাহলে এবার শুকাইতে দে।
- যাক বাবা অন্তত ধরা পড়ি নাই।
চলে আসছিলাস।
হঠাৎ মরিয়মের ডাক।
- ঐ দেলোয়ার শোন।
- হুমমমম কীইইইই।
- আংকেল ও তো নাই, আজকে দুপুরে
রান্না কী করছি।
- কিচ্ছু না খাব না আজকে।
- চুপ শয়তান, খাবি না ক্যান।
- গোসল করে আমাদের বাসাই
আসবি কেমন।
- না পারমু না, পারলে তুই আমাদের
বাসাই আসিস আমি গেলাম।
- গোসল করে শুয়ে আছি।
দূর মরিয়ম বাসাই যাওয়াই ভাল
ছিল এখন হেব্বি খিদে লাগছে।
- ঐ খিদে পাইছে তাই না।
- মরিয়ম তুই।
- হুমমমম খিদে পাইছে তাই না।
- মাথা নাড়ালাম শুধু।
- জানতাম আমি, এইনে ধর খেয়ে
নে।
- যেমন বিদ্যুৎ এর গতিতে খেতে
লাগলাম, ঐ হা করে কী দেখছিস
হুমমমম।
- না কিছু না, আমি খাইছি কী না
জিজ্ঞেস করবি না।
- এই রে ভুলেই গেছিলাম, হি হি
তুই খাইছিস।
- না এক সাথে খাব তাই দুই জনের
খাবার আনছি।
- এইরে আমি তো সব এক বারে মেখে ফেলছি, এখন কী হবে, এই গুলো তুই
খাবি না আমি জানি।
- তোরে বলছে কু্ত্তা।
- তার মানে খাবি,, আচ্ছা আমি খাওয়াই
দেই, না না থাক মারার দরকার
নাই এমনি বলছি।
- দূর গাধা,,, আচ্ছা দে খাওয়াই দে।
- আমার এই মাখা খাবার খাবি।
- হুমমমম খাব, এমন হা করেই রাখবি
নাকি খাবার দিবি।
- হি হি এই নে ধর।
কেমন বাচ্চাদের মতো খাচ্ছে, আমি
জানি এই সময়ের কোন মেয়েই আমার
মাখা খাবার খেত না,
কিন্তুু মরিয়ম একদম আলাদা,
আমি জানি মরিয়ম পাগলিটা
আমাকে খুব ভালবাসে।
সেটা আরো আগে থেকে জানি আমি,
কিন্তুু আমরা সব সময় কেমন
ঝগড়া করতে থাকি।
খাওয়া শেষ ছুছু এবার একটু
মাথা টিপে দিবি।
কী বললি শয়তান, বলেই মারতে
শুরু করে দিল।
এক পর্যায়ে ও আমার বুকের উপরে পড়ে
গেল,
কী আর কমু ভাই পুরো সিনেমার
স্টাইল এ,
সিনেমাই তো ওমন ভাবে পড়লে
নাইকা লজ্জা পেয়ে চলে যায়।
কিন্তুু এ মেয়ের তো কোন লাজ লজ্জা
কিচ্ছু নাই,
এক হালে মেরেই চলেছে।
আচ্ছা মরিয়ম তোকে একটা কথা
বলার চাচ্ছি অনেক দিন থেকে
কিন্তুু বলা হচ্ছে না।
- হুমমমম কী কথা বল।
- না এখন না রাতে ছাঁদে বলব।
- ওকে তা হলে আমি এখন গেলাম।
- হুমমমম রাতে ছাঁদে আসবি কিন্তুু।
- ঠিকআছে....... আসব না হি হি।
বলেই দৌড়ে চলে গেল।।
কী হুমমমম কী ভাবছেন এই দিন
দুপুরে ভালবাসার কথা বলে
থাপ্পড় খামু আর একটু অভিমান
নিয়ে ঘুমাই যামু, আর রাতে ঘুম হবে
না তাই তো।
আর ভাই রাতে বলমু একটা চর খাইলে
খামু, রাতে ভাল ঘুম হবে। আর সকালে
ওঠে সব ঠিকঠাক।
তারপরে রাতে ছাঁদে গিয়ে দেখি
মরিয়ম আগেই এসেছে।
- পিছন থেকে ডাক দিতেই ঘুরে
তাঁকাল।
- হুমমমম কী বলবি শুনি।
- ছুছু আমি তোকে।
- কীইই বললি হারামি।
- না মানে মরিয়ম তোকে আমি
খুব ভালবাসিরে তোকে ছাঁড়া
আমার কেমন লাগে।
সবই বলে সুন্দরী মেয়ে আর
স্কয়ার কম্পানির জিনিস অল্পতেই
অন্যের হয়ে যায়, তাই মেলা সাহস
নিয়ে তোরে মনের কথা বলে
দিছি, এখন সব তোর হাতে
যদি থাপ্পড় দিতে চাস তাহলে
একটু আস্তে দিস, আর কালকে আবার
একটু খাবার নিয়ে আসিস প্লিজ।
- হি হি হি শয়তান এটা কোন প্রপোজ হইল,
আমাকে যদি সত্যি ভালবাসিস তা
হলে যা কাছের এর বাগন থেকে
পাঁচটা গোলাপ নিয়ে আয়।
- বলা শেষ দৌড় শুরু।
একটু পর।
- দেলোয়ার কী হইছে তোর, এত্ত রক্ত কেন
বল না কী হয়েছে।
- দৌড়ে আসার সময় একটা বাইক
এর সাথে ধাক্কা লাগছিলাম।
- কেমন কান্না কান্না ভাবে জরাই ধরল,
ঐ তোর কিছু হলে আমার কী হত
হুমমমম, আমি বললেই যেতে হবে।
- হুমমমম, সত্যি যে তোকে ভালবাসিরে
পাগলি।
- দেখি কোথায় কোথায় লাগছে।
- এই যে ঠোঁটে ও লাগছে।
- দেখি বলেই কেমন আমার দুইটা
ঠোঁট চারটে হয়ে গেছে হি হি হি হি।
যান তো আর পড়তে হবে না আমার
লজ্জা করতেছে হি হি হি হি।।।।।
>>সমাপ্ত<<
>>The End<<