রোমান্টিক ভালোবাসার গল্প | ভালোবাসার গল্প

 সেরা ভালোবাসার গল্প

সেরা ভালোবাসার গল্প

ভাবি রুপা নাকি আসবে আজ আমাদের বাসায়?


-হুম আসবে, তোকে কে বললো রুপা আসবে। 


-কে আবার  বলবে ভাইয়ার মুখে শুনেছি, আজ রুপা আসবে। 


-ভাইয়া বলেছে নাকি কে বলেছে, সেটা ভালো  জানি দেবর বুজছো। 


-সবি দেখন জানো তবে এমন করো কেনো ভাবি হুম। 


এটা বলেই হাসিব কলেজ চলে যায়,  এই দিকে কলেজ প্রাইভেট শেষ করে প্রায় 6 টার দিকে হাসিব বাসায় ফিরে।  


সারা দিন এমন দৌড়ের উপর থেকে শরীর টা অনেক ক্লান্ত তাই রাতে না খেয়েই ঘুমিয়ে পরে হসিব! 


 তো, ঠিক রাত 11 টার দিকে, হাসিবের কেনো জানি মনে হচ্ছে  কেউ হাসিবের ঠোট দুটি নিজের করে নিয়েছে, তখনি হাসিব চোখ খুলে, আর  বলে।


হাসিব : এই কে কে? 


এই চুপ চুপ আমি রুপা। আজ এসেছি তোমাকে না ফোন করে বলেছি। 


হাসিব : তুমি আমার রুমে কি করতেছো। 


রুপা : বা রে আমার  স্বামী  একা ঘুমাতেছে। আর আমি  আসবো না কে আসবে। 


হাসিব : পাগলি যদি কেউ দেখে ফেলে তখন কি হবে। 


রুপা : তখন বিয়ে  হবে। ( এটা বলেই রুপা হাসতে থাকে )


হাসিব : হুম চলো এখন তোমার  রুমে কেউ না জানার আগেই। 


রুপা : না আমি তোমার  সাথে আজ ঘুমাবো, আজ সারা রাত তোমাকে  ভালোবাসা  দিবো। তোমার  বুকে মাথা রেখে ঘুম যাব? 


হাসিব : তাই কিন্তু  এখনো তো আমাদের  বিয়েই হয়নি। 


রুপা : চুপ করো তো। ( এটা বলেই রুপা আবার  ও হাসিব কে আপন মনে kiss করতে থাকে। 


এই ভাবে হাসিব রুপা দুজন প্রায় সারা রাত এক সাথে থাকে যখন ফজরের আযান দিবে তখন হাসিব বলে? 


হাসিব : রুপা এখন তোমার  রুমে যাও। 


রুপা : হুম যাইতে পারি তবে তুমি  আমাকে  কোলে করে রেখে আসবে তবেই যাবো? 


হাসিব : এই কি বলতেছো বাবা ভাইয়া মা ভাবি সবাই আছে বাসায় য‍দি দেখে তখন।


রুপা : তবে আমি  যাবো ও না, এখানেই থাকবো।


হাসিব : এমন পাগলামি করে কেউ। 


রুপা : হুম আমি করি এখন কোলে নাও তো । 


এর পর হাসিব কোন উপায় না পেয়ে রুপা কে কোলে নিয়ে ওর রুমের দিকে যায়, এই দিকে রুপা হাসিবের গলা জরিয়ে ধরে থাকে। 


যখনি রুপাকে রুমে দিতে আসতে ছিলো  হাসিব তখন পিছন থেকে কে জানি বলে উঠে।  বা লাইলি মজনুর প্রেম কি জমে উঠেছে?


হাসিব কথাটি শুনেই পিছনে তাকিয়ে দেখে ভাবি! 


হাসিব : ভাবি তুতুমি, 


ভাবি : হুম আমি  কি দেখলাম এই সব হ‍্যা। তোমার ভাইয়া বলি দেই আগে।


তখনি হাসিব গিয়ে ভাবির পায়ে পরে,


হাসিব : প্লিজ ভবি, এমনটা করবেন না?  আমি আপনার  পায়ে পরি,  আমি রুপাকে খুব ভালোবাসি ও আমাকে  খুব ভালোবাসে! 


ভাবি : এই এই কি করিশ কেউ দেখে ফেলবে  পা ছার বলছি আমার । 


হাসিব :  না আগে বলো কাউকে বলবে না, ।


ভাবি : আরে পাগল বলবো না এমনি একটো মজা করছিলাম।


হাসিব : সত্যি  বলতেছো ভাবি তুমি।


ভাবি : হুম সত্যি । এখন রুমে যা আর কেউ দেখর আগে।


এর পর হাসিব সোজা রুমে এসে নিচিন্তে ঘুম দেয়, 


  এর পরে রুপা প্রাহাসিবের সাথে সব সময়  মেলামেশা করে। গল্প করে ঘুরতে  যায়?  এই ভাবে ১০ দিন চলে গেলো আজ রুপা চলে যাবে হাসিবের ভিষন  মন খারাপ ? 


হাসিবের এমন   অবস্থা  দেখে রুপা এসে বলে? 


রুপা : তোমাকে  ছেরে যাইতে ইচ্ছা  করতেছে না, আমাকে  বিয়ে করে নাও না প্লিজ? 


হাসিব : কেমনে কি করবো বলো। 


রুপা : আমি  জানি না তুমি  যেমনে পারো আমাকে বিয়ে করে তোমার  সাথে রাখো। 


হাসিব : আচ্ছা  আমি ভাবি কে বলতেছি।


এর পর সোজা হাসিব ভাবির কাছে চলে যায়, 


হাসিব : ভাবি ভাবি।


ভাবি : কি হয়েছে এমনন চিল্লাচিল্লি করতেছিস কেনো? 


হাসিব : ভাবি আমি  রুপা কে বিয়ে করবো তুমি  বাবা কে বলো। 


ভাবি : তোর মাথা  ঠিক আছে হ‍্যা।  তোর বয়স কতো হয়েছে শুনি। 


হাসিব : জানি না। তুমি  বাবা  কে গিয়ে বলবে বিয়ের কথা। 


ভাবি : আচ্ছা  ঠিক আছে বলবো? 


হাসিব : এখনি বলবে যাও। আজ তো রুপা চলে যাবে এখনি বলবে, 


ভাবি : এখনি বলবো?


হাসিব : হুম এখনি বলবে যাও। 


এর পর হাসিবের ভাবি সোজা  শশুরের কছে চলে আসে। 


কিছু বলবে তুমি  বৌমা।  ( শশুর )


বাবা একটি কথা বলতে চাই কি যেনো বলেন আপনি ? (ভাবি)


শশুর  : বলো সমস্যা  না মা।


ভাবি : বাবা হাসিব আছে না আমার ছোট বোন কে খুব ভালোবাসে আমার বোন ও খুব ওকে ভালোবাসে। ওরা বলতেছে বিয়ে করতে চায়?  তোমাকে  বলার সাহস পাইনাই তাই আমাকে  বলেছে। 


কথাটি শুনা মাত্রই বলে উঠে? 


শশুর  : কি এখনো ওর বিয়ের বয়স হয়েছে হ‍্যা ও বিয়ে করতে চায়, ও কি কোন চাকরি করে নাকি যে বিয়ে করবে  এখন।


তখনি ভাবি বলে উঠে? 


ভাবি : বাবা যদি রাজি না হই ওরা  ভুল কিছু করে বসে?  ধরেন পালিয়ে গেলো এতো আমাদের  মান সন্মান শেষ, যদি খারাপ  কিছু করে, বি*শ খায় বা গলায় দরি দেয় তখন কি হবে। 


এই সব শুনে হাসিবের বাবা ও ওকটু ভয় পায়, তখন বলে উছে?


শশুর  : তুমি  যাও আমি তোমাকে  ভেবে যানাচ্ছি।


এর পরে ভাবি আবার  চলে আসে হাসিবের কাছে, 


ভাবি : হাসিব বাবা তো রাজি প্রায় এমন পাম দিয়েছি না। এখন ট্রি দে ভাই আমাকে। 


হাসিব : দিবো তো সমস্যা  নাই,  আমি কি পালাইতেছি আমার লক্ষি ভাবি টা? আচ্ছা  ভাবি রুপাকে জানিয়ে আসি। 


ভাবি : আচ্ছা  ঠিক আছে।


এর পরে হাসিব  রুপার রুমে এসে বলে। 


হাসিব : এই জান বিয়েটা হয়েই যাবে বুজি আজ রেডি থাকিও। 


রুপা : সত্যি  বলতেছো। 


হাসিব : হুম ৩ সত্যি  বলতেছি।


এটা শোনার পর রুপা হাসিব কে জরিয়ে ধরে। গালে মুখে ঘারে কিস করতে থাকে।


এর পরে সবাই সবার মতো চলতে থাকে ঠিক দুপুর 4 /5 টার দিকে হাসিবে বাবা হাসিবের রুমে চলে আসে? 


 

এতো বড় হয়েছিস জানতাম না, বিয়ের পর আমার  ব‍্যবসায় মন দিয়ে কাজ করিশ,, এই নে এখানে পান্জাবি আছে পরে আয়। কাজি অফিসে যাবো! ( বাবা)


হাসিব খুশির ঠেলায় বলে উঠে?


হাসিব:  আচ্ছা  বাবা আচ্ছা  আমি রেডি হয়েই আসতেছি? 


এর পরে রুপা, বাবার সাথে ফোনে কথা বলে  হাসিবের বাবা এই সম্পর্কে  ওরা ও রাজি হয়ে যায়, কারন যেখানে একটি মেয়ে আছে শুখে, আজ পযর্ন্ত  কোন কনা আসলো না  তবে ২য় মেয়টি ও শুখে থাকবে এই আশায় তারা ও রাজি হয়ে যায়? 


হাসিবের বাবা এর পরে কাজি অফিসে গিয়ে রুপা ও হাসিবের বিয়েটা করিয়ে নিয়ে আসে। 


বিয়ে শেষে বাবা বলে।


তোরা কি এখন খুশি?  (বাবা)


হাসিব রুপা এক সাথে বলে উঠে হ‍্যা বাবা আমরা খুশি। অনেক খুশি i love  you baba..


হয়েছে এখন বাসায় চলে, (বাবা)


এর পরে সবাই বাসায় চলে আসে,  রাত অনেক হয়েছে এখন বাসর ঘরে ডুকবে এমন সময়  ভাবি বলে উঠে? 


ভাবি : বাসর ঘর সাজাইছি এখন ট্রি দে ভাই তার পরে রুমে ডুকবি? 


হাসিব ও কিছু না ভেবে ভাবিকে 1000 টাকা বের করে দেয়?  এর পরে হাসিব রুপা বাসর ঘরে ডুকে  যায়! 


এই ভাবেই একটি ভালোবাসা পুর্ণতা পায়। 


শুধুমাত্র ভালোবাসলেই হবে না ভালোবাসার মানুষটি কে পাবার জন্যে  একটু পাগলামি ও করতে হয় তবেই আপন করে পাওয়া যায়? 


----সমাপ্তি


লেখা : মি. হাসিব


এমন আরও একটি গল্প পড়ুন।