ফেসবুকে প্রেম | রোমান্টিক প্রেমের গল্প

 প্রেমের গল্প

প্রেমের গল্প

ফেসবুক প্রেম 👇

-হটাৎ করে একটা ফ্রেন্ড রিকোয়েস্ট দিলো আইডি নাম ছিলো জিনিয়া আফরোজ ।ছেলেটি ভাবছে হয়তো তার কোনো ফ্রেন্ডের ফেক আইডি তাই এপছেট করে নাই।কিন্তু কিছু দিন পরে এপছেট করল।ছেলেটির রিয়েক্টার আইডি ছিলো আর মেয়েটার ও রিয়েক্টার আইডি ছিলো🥰


 রাব্বিঃ হ্যালো সার্পোট প্লিজ 🥰

জিনিয়াঃ হুম আপনি ও সার্পোট দেন🥰

ছেলেঃওকে


-এভাবে চলতে থাকে কথা বার্তা অনেক দিন ধরে।এক দিন ছেলেটা একটা গ্রুপ খুলছে গ্রুপের নাম (ধর্ষনের বিরুদ্ধে আন্দোলন) ভালোই চলছিল কথা বার্তা আন্দোলনের বিষয়। গ্রুপ মেম্বার ও হইছিল ৪০০+

দুই দিনে। কথা বলতে বলতে ছেলেটি মেয়েটার প্রেমে পরে যায়🥰।কিন্তু ছেলেটি মেয়েটারে কখনো দেখেনি😟


হটাৎ

রাব্বিঃ হ্যালো কেমন আছো?🥰

জিনিয়াঃ ভালো আপনি?

রাব্বিঃ ভালো। একটা কথা ছিলো তোমায় বলার জন্য🥰

জিনিয়াঃ হুম বলেন

রাব্বিঃ আমি তোমাকে ভালোবাসি🥰

 

রাব্বিঃ চুপ কেন? উত্তর দাও

জিনিয়াঃ আচ্ছা আপনি আমায় যে ভালোবাসেন আমি বুঝব কি ভাবে।তার জন্য আমার সাথে আট-নয় দিন কথা বলেন।তারপর ভালো মনে হলে উত্তর দিব।

রাব্বিঃ ওকে


এভাবে তাদের মধ্যে কথা চলতে থাকে। কিন্তু তাদের একে ওপরের বাসা পুরো একদিন লাগে বাস এ করে গেলে।

অতঃপর তাদের সাথে পরিচয় প্রায় দুই মাস হয়ে গেছে।


রাব্বিঃ কি হলো কোনো উত্তর দিলে না যে।

জিনিয়াঃ আমি দেখতে কিন্তু সুন্দরী না।সুতরাং আমায় ভূলে যাও

রাব্বিঃ আমি জিজ্ঞেস করছি তোমায় তুমি সুন্দরী নাকি।আর আমি তোমার সৌন্দর্যকে ভালোবাসি না।তোমার মনটা অনেক সুন্দর অনেক কিউট করে কথা বল।তোমার মনটাকে ভালোবাসি

জিনিয়াঃ সত্যি 

রাব্বিঃ হুম।

রাব্বিঃ আই লাভ ইউ

জিনিয়াঃ আই লাভ ইউ টু


তারপর তাদের মধ্যে ভালোবাসার আলাপ শুরু হয়।ছেলেটি বার বার একটা কথা বলত আমায় কোনো দিন ছেড়ে যাবে না কিন্তু।জিনিয়া বলে ছেড়ে গেলে।তোমায় ভালোবাসি এ কথা কখনো বলতাম নাহ।এভাবে ওদের সাথে কথা চলে থাকে।


তারপর চৌদ্দ-পনেরো দিন পরে 


হটাৎ


রাব্বিঃ কেমন আছো জানু

জিনিয়াঃ ভালো তুমি

রাব্বিঃ ভালো কি করো

জিনিয়াঃ কিছু না তুমি 

রাব্বিঃ বসে আছি


রাব্বিঃ আচ্ছা আমি তোমার ব্যাপারে আপুর কাছে বলব।এখন হয়েছে আপু যদি তোমায় দেখতে চায়।আমি কি দেখাব।তার জন্য তোমার তিন-চারটা ফটো দিতে হবে।

জিনিয়াঃ আচ্ছা দিতেছি।

রাব্বিঃ আচ্ছা

জিনিয়া ছয়টা ফটো দিল।কিন্তু জিনিয়া একটু শ্যামলা ছিলো।চেহারাটা অনেক সুন্দর কিউটের ডিব্বা।তারপর ছেলেটি তার আপুকে সব বললো এবং জিনিয়াকে দেখালো

মেয়েটিকে দেখে আপু পছন্দ হইছে।তারপর ছেলেটার আপু সব জিজ্ঞেস করে মেয়েটার বিষয়।


রাব্বির আপুঃ কে মেয়েটা 

রাব্বিঃ আপু আমি ওকে কখনো সামনা সামনি দেখেনি নাই।আমাদের ফেসবুকে পরিচয়।প্রায় ছয় মাস হয়ে গেছে।

আপুঃবাসা কই রে মেয়েটার

রাব্বিঃ ...........

আপুঃএতো দূরে 

রাব্বিঃ হুম


তাদের এতো কথা হতো।যে এক জনের সাথে অন্য জনের কথা না হলে থাকতে পারত না।


হটাৎ একদিন ছেলেটা বললো জিনিয়াকে 

ভিডিও কলে আসো তোমাকে দেখব।কিন্তু মেয়েটি রাজি হয়নি ভিডিও কলে আসার জন্য।ভিডিও কলে না আসায় তাদের মধ্যে প্রথম অনেক কথা কাটাকাটি হয়।


রাব্বি চাইত জিনিয়া সব সময় বকবক করবে।ভিডিও কলে আসবে।বয়েস কলে আসবে।রাব্বি যখন তাকে দেখতে চাইবে তখন ফটো তুলে দিবে।


কিন্তু জিনিয়ার কোনো নিজস্ব ফোন ছিলো না।কারন জিনিয়া দশম শ্রেনিতে পরতো।তাই বাসা থেকে নিজেস্ব ফোন দেয় নাই। জিনিয়ার আম্মু ফোন দিয়ে ফেসবুকে চ্যাটিং করত।যদি বয়েজ কলে কথা বলে বাসার সাবাই জানলে আর ফোন ধরতে দিবে না।এ বিষয় ছেলেটা মেনে নিছে।কিন্তু সময় পেলে বাসায় কেউ না থাকলে বয়েজ কলে কথা বলতে হবে। জিনিয়া এ ব্যাপারটা মেনে নিছে।যখন ই সময় পায় কল দেয় মেয়েটা।


কিন্তু ভিডিও কলে আসতে রাজি না।অনেক বার রাব্বি বলছে কেন আসবা না ভিডিও কলে।উত্তর আসলো এমনি ভালো লাগে না।এ নিয়া অনেক কথা কাটাকাটি হয়।


তাদের রিলেশনের যখন ছয় মাস হয়।তখন ও মেয়েটাকে বুঝায় ছেলেটা যে তোমায় ছাড়া ভালো লাগে না।আমি এতোটা তোমায় ভালোবাসি মন চায় সব সময় তোমায় দেখি।কিন্তু জিনিয়া বলে আমার ভিডিও কল ভালো লাগে না।


এক দিন রাব্বি বলে ফেললো।তোমার যদি আমার সাথে ভিডিও কলে আসতে লজ্জা লাগে তবে আমার সাথে কথা ও বলা লাগবে না। ছেলেটা একটু রাগ করে বলে।কিন্তু জিনিয়া কোনো কিছু না বলেই বলে দিলো।আচ্ছা কথা বলবো নাহ।ছেলেটা রেগে বললো ওকে যা আমার চাই না কারো।


পরের দিন রাব্বি জিনিয়ার মেসেজের জন্য অপেক্ষা করে।কিন্তু সকাল গেলো বিকাল গেলো কোনো মেসেজ আসলো না।দ্বিতীয় ও কোনো মেসেজ আসলো না। রাব্বি একটু পর পর অনলাইনে আসে মেসেজ পাওয়া জন্য। কিন্তু চার দিন গেলো কোনো মেসেজ পঞ্চম দিন ও জিনিয়ার কোনো মেসেজ যায় নাই। রাব্বি চিন্তা করতেছে ওর কিছু হয়ে গেলো না তো। রাব্বি আবার নিজেই মেসেজ দিলো


রাব্বিঃ কি খবর তোমার

জিনিয়াঃ কোনো উত্তর নেই


রাব্বি বাধ্য হয়ে কল দিলো।কলটা এক বয়স্ক কন্ঠে এক মহিলা ধরে।রাব্বি একটু ভয় পেলো কারণ যদি মেয়েটার আম্মু ধরে।তাহলে হয় তো ওদের সম্পর্ক আর থাকবে না।


রাব্বিঃ হ্যালো

মহিলাঃ হুম কে বলছো।

রাব্বিঃ আপনি কে

মহিলাঃ আজব তো তুমি কল দিছো।তুমি কে বলো।

রাব্বিঃ আমি যার কাছে কল দিছি সে তো আপনি না সুতরাং আপনি কে??

মহিলাঃ একটু রেগে এই ছেলে কে তুমি কার কাছে কল দিছো??

রাব্বিঃ আচ্ছা সরি,জিনিয়া আছে

মহিলাঃহুম আছে।আমি জিনিয়ার আম্মু 

রাব্বিঃ কেমন আছেন আন্টি

আন্টিঃভালো কিন্তু কে তুমি 

রাব্বিঃ আন্টি সত্যি কথা বলবো।কিছু বলবেন না তো

আন্টিঃহুম অবশ্যই।না কিছু বলবো না।

রাব্বিঃ আমি রাব্বি।আমি জিনিয়াকে খুব ভালোবাসি।আর জিনিয়া ও অনেক ভালোবাসে

আন্টিঃআচ্ছা তোমার আব্বুর নাম্বার দেও


রাব্বি বাধ্য হয়ে ওর আব্বুর নাম্বার দেয় !! রাব্বি জানে আন্টি যাদি আব্বুর কাছে বিয়ার কথা বলে তবে আব্বু রাজি হয়ে যাবে।কারন বিয়ার জন্য বাসা থেকে মেয়ে দেখে কিন্তু কোনো মেয়ে পছন্দ হয় না।আর বাসা থেকে যদি জিনিয়াকে দেখে সবার পছন্দ হবে।কিন্তু সাবার একটা জিনিস পছন্দ হবে না।তাদের একে অপরের বাসা অনেক দূর।


হটাৎ করে আব্বু কিরে জিনিয়া কে রে!রাব্বি মনে মনে ভাবছে আন্টি কল দিছে মিথ্যা বললে কোনো লাভ হবে না।আমি সব সত্যি কথা বলে দিলাম।আব্বু বলতে লাগলো কালকে সকালে রেডি থাকিস।আমরা কালকে জিনিয়াদের বাড়ি যাব।


রাব্বি শুনে তো মহা খুশি।কিন্তু এ সব ব্যাপারে জিনিয়া কিছুই জানে না।


আন্টিঃজিনিয়া কালকে ছেলে পক্ষ তোমায় দেখতে আসবে রেডি থেকো।

জিনিয়াঃ মা হটাৎ করে আগে তো কিছু বলো নাই।আর আমি এখন বিয়া করার জন্য প্রস্তুত নেই।

আন্টিঃআগে ই তো বললাম কালকে আসবে আজকে বললাম।আর প্রস্তুত নেও এক দিন তো আছে।

জিনিয়াঃ আমি কোনো বিয়া টিয়া করতে পারবো না।

আন্টিঃপারবি না মানি।কালকে রেডি থাকিস


জিনিয়া রাব্বিকে কল দিলো।কিন্তু কোনো লাভ হলো না রাব্বির ফোন বন্ধ ছিলো।


পরের দিন সকালে রাব্বি, রাব্বির আব্বু, রাব্বির বোন,আর কাকু রওনা দিলো জিনিয়াদের বাড়ি।অনেক দূর তার জন্য তারা তারাতারি বের হলো সকাল ৬টায়।


তারপর জিনিয়াদের বাসায় পৌছায় বিকাল ৪টায়।সবাইকে বসতে দেয় এবং বিয়ের কথা বার্তা বলে।সব কিছু বলার পরে রাব্বির বাবা মেয়ে দেখতে চাইলো।

জিনিয়ার আব্বা জিনিয়াকে সবার সামনে দেখতে আনার আগে রাব্বি বুদ্ধিমানি করে বাধরুমের কথা বলে ওখান দিয়ে চলে আসে।যাতে জিনিয়া না দেখে রাব্বি কে ।সারপ্রাইজ দিবে বলে নিজেকে একটু আরাল করে।আর জিনিয়াও এখন পর্যন্ত বুঝতে পারেনি রাব্বিরা দেখতে আসছে।


যাই হোক রাব্বির আব্বা মেয়ে দেখে খুব পছন্দ হয়েছে।বিয়ের দিন তারিখ দিবে তার আগে জিনিয়ার আব্বা বললো ছেলে মেয়ের মতামত যানা উচিৎ তাই ওদের একান্ত কথা বলতে দেওয়া উচিৎ।


রাব্বির আব্বা বললো আচ্ছা। রাব্বিকে ডেকে জিনিয়ার রুমে একান্ত কথা বলার জন্য। রাব্বি রুমে গিয়ে দেখে জিনিয়া অন্য দিকে তাকিয়ে আছে।


রাব্বি বলে উঠলো আপনাকে আমার অনেক পছন্দ হয়েছে।আমার বিয়ে করতে কোনো সমস্যা নেই।জিনিয়া বললো আপনার সমস্যা নেই আমার সমস্যা আছে।আমি এক জনরে অনেক ভালোবাসি।তখন ও জিনিয়া রাব্বিকে বুঝতে পারেনি। রাব্বি বলে উঠলো হ্যা জানি সেটা হয়তো আমারে।জিনিয়া হটাৎ পিছনে তাকিয়ে দেখে রাব্বি দাঁড়িয়ে আছে।তুমি এখানে কি ভাবে। রাব্বি সব বললো জিনিয়ারে।


তারপর রাব্বি কিছু সময় কথা বলে রুম থেকে বের হয়ে বলে দিছে কোনো সমস্যা নেই।তারপর তাদের দুমদাম করে বিয়ে দেয়।


----সমাপ্ত----


গল্পঃ ফেসবুক_প্রেম🥰


পুরো গল্পটা পড়ার জন্য ধন্যবাদ। 🌺🥰


এমন আরও অনেক গল্প পড়ুন।