কষ্টের ভালোবাসার গল্প | স্বামী স্ত্রীর কষ্টের স্ট্যাটাস

 চাপা কষ্টের স্ট্যাটাস

চাপা কষ্টের স্ট্যাটাস

রাগের মাথায় মিমের পেটে লা* থি মে*রে ছিলাম কিছু দিন আগে'ভেবেছিলাম আমি লাথি মারার আগেই মিম সড়ে যাবে। কিন্তু না মিম সড়েনি'

লাথিটা ওর পেটের উপর গিয়ে লাগলো।মিম

আমার দিকে চেয়ে রইলো'কিছু বলতে সাহস হয়নি'আমাকে অনেক ভয় পায় সে।


ঐসময় মিম প্রেগন্যাট ছিলো।


আমি মনে মনে অনেকটা ভয় পেয়ে গেছিলাম'

আমার মাথায় চিন্তা ঢুকে গেলো।

এখন যদি মিমের কিছু হয়ে যায়'আমি অনেক ঘাবড়ে গিয়েছিলাম'মিমের গর্ভে আমার ছেলে বা মেয়ে সন্তানের কিছু হয়ে যায়।


মিম আমার দিকে তাকিয়ে কান্নার স্বরে বলে"তুমি আমায় লাথি মেরেছ না'একদিন আমার জন্য পস্তাবে।


আমি মিমকে কিছু বলিনি'শুধু ভাবতাম মেয়েটা এমন চুপচাপ কেন'অন্য মেয়েদের মত রেগে কিছু বলে না কেন।কিছুদিন আগে রাতে খাবার খাওয়ার মাঝে কষে একটা চড় মেরে ছিলাম।মেয়েটা ভাত না খেয়ে উঠে চলে গেলো।একটা কথা নিয়ে তর্ক করে ছিলো আর'যখন আমার মাথা ঠান্ডা হয়েছে।


আমি ভাতের প্ল্যাট নিয়ে ওর কাছে গেলাম।বললাম'ভাত না খেয়ে উঠে চলে আসলে কেন?মিম আমার কথার কোনো সাড়া শব্দ দিলো না'


আমি ওর পাশে গিয়ে মাথায় হাত বুলিয়ে বললাম'দেখ একটু একটু এমন হয়'তাই বলে যে ভাত খাবা না এটা কিন্তু আমার একদম পছন্দ না'

মিম আমার কথার উত্তরে বলে"বাবা মায়ের ঘর বাড়ি ছেড়ে তোমার বাড়ি এসেছি'তোমার সাথে সারাজীবন একসাথে বাঁচবো বলে'আর তুমি সেই কি না'কথায় কথায় আমাকে মারো'তাহলে আমি কার কাছে যাবো।


মিম মাঝে মধ্যে কিছু কথা বলে'আমার মন একদম ঘেমে যায়'আমি বললাম'ঠিক আছে আর মারবো না তোমাকে'এখন ভাত খেয়ে নাও?

মিম বলল'দেখ না রাগ করে আছি'তুমি আমাকে খাইয়ে দাও'ওর কথায় আমি হাসি দিয়ে বললাম'পাগলী মেয়ে একটা'মিমকে ভাত খাইয়ে দিলাম'


পরের দিন'সকালে আমার ছোট বোনের সাথে পাঁচ টাকা দামের একটা খোঁপা নিয়ে ঝগড়া হয় মিমের'

ছোট বোন বলতেছে খোঁপা টা নাকি মিমে হারিয়ে ফেলেছে'তার আমার ছোট বোন মিমের গায়ে হাত তুলে ফেলেছে।এই অপরাধের আমার ছোট বোনকে আমি কিছু বলতে পারিনি।


কারণ কি জানেন'


আমি বিয়ের আগে সংসারে মাসে টাকা দিতাম বিশ হাজার'আর এখন বিয়ের পড়ে সংসারে টাকা দেয় দশ হাজার'এই নিয়ে আব্বু আম্মুর সাথে ঝগড়া হয়ে ছিলো আমার।


আমি সংসারে টাকা দেয় না'সব টাকা আমি আমার বউয়ের পিছনে খরচ করে ফেলি'বাবা মামাকে আমি এটা বোঝাতে পারিনি'বিয়ের পড় একটা ছেলে সংসারে টাকা দিবে কি ভাবে'এখন ছেলের বউ আছে ছেলের ভবিষ্যৎ আছে। আরো কি কত কি'ঐসব কথা আপনাদের নাই বলি।


মিম আমার কাছে এসে বলে"দেখ আজ তোমার ছোট বোন আমার গায়ে হাত তুলে ফেলেছে'তাও তুমি কিছু বলছ না'চুপচাপ রুমে চলে আসলে'


আমি মিমকে বুঝিয়ে ব্যপার টা আর বড় করলাম না'এখানেই শেষ করে দিলাম'


মিম মেয়েটা বুঝের মানুষ'হয়তো আমার কথা সে বুঝে।তার জন্য সে আর দ্বিতীয় বার প্রতিবাদ করে না।


কিছু দিন এভাবে চলে গেলো।একদিন মিম আমার কাছে পাঁচশো টাকা চেয়ে ছিলো'বলে ছিলাম'এখন আমার কাছে টাকা নেই'পরে কোনো একসময় দিব'মেয়েটা দ্বিতীয় বার টাকা চাইলো না'বলল"ঠিক আছে আছে লাগবে না'


ভাবলাম মেয়েটা কোনোদিন আমার কাছে পাঁচশো টাকা আবদার করেনি'আজ করছে কেন'আমি মনে মনে মিমকে সন্দেহ করে ছিলাম'


অফিস থেকে বাসায় এসে মিমকে বললাম'খাবার দাও?মিম বললো বেড়ে নাও না আমি উঠতে পারছি না'নোড়া চড়া করলে অনেক ব্যথা পায়'আমি রাগি স্বরে বললাম'বেড়ে দিবা নাকি উঠে চলে যাবো?মিম বলল'আচ্ছা উঠতেছি তুমি ওখানে বস।


মেয়েটা কিছুক্ষণ পড় তরকারি গরম করে আমায় ভাত বেড়ে দিলো।


খাবার খেয়ে দুজনে ঘুমিয়ে গেলাম' মধ্যে রাতে ব্যথায় মিমের ঘুম ভেঙে যায়'মিম আমাকে বলল"

ঐ উঠো না'পাশের রুম থেকে একটা ব্যথার ঔষধ নিয়ে আসো?আমি বিরক্ত হয়ে বললাম'তুমি আনতে পারো না'আমাকে ডাকছো কেন।দ্বিতীয় বার মিম আমাকে কিছু বললো না'ও নিজে উঠেই ঔষধ খেয়ে নিলো।মিম আমাকে বলল'তুমি আমার জন্য একদিন খুব পস্তাবে মনে রেখ।

আমি কিছু বললাম'মিম ঘুমি গেলো।


কয়েন দিন যাবার পড় কন্যা সন্তানের বাবা হলাম'নিজের স্ত্রীকে আর ফিরে পেলাম না'চলে গেলো না ফেরার দেশে।আজ বড্ড একাবোধ হয়'মিম কে ছাড়া এক রাতও ঘুমাতে পারিনি'বাম পাশের বিছানা টা খালি খালি লাগে'আজ আমি খুব পস্তাচ্ছি মিমের জন্য'ও বলে ছিলো'আমি খুব পস্তাব'ওর কথাটাই রয়ে গেলো' মধ্য রাতে আমার ঘুম ভেঙে যায়'নিজেকে অনেক অসহায় মনে হয়।


মিমকে আমি ফিরে পেতে চাই'চাইলেও আর ফিরে পাবো না'সে আজ আমার কাছ থেকে অনেক অনেক দূরে চলে গেছে।


------------------------*সমাপ্ত*-----------------------------


অনু-গল্প

গল্পঃতোমার মায়া


বাস্তব জীবনের ঘটনা ও গল্প পড়ুন।