গল্পঃ_ফুলের_মতো_বউ | স্বামী স্ত্রীর ভালোবাসা

 ভালোবাসার গল্প

ভালোবাসার গল্প

গল্পঃ_ফুলের_মতো_বউ_(পর্ব_০১)

                     অবুঝ বউয়ের ভালোবাসা।

লেখকঃ আব্দুল্লাহ আল শাহজালাল। 


আমি অপুর্ব ইসলাম!আব্বু আম্মুর আদরের বড় ছেলে। পড়া শোনা শেষ করে বসে বসে খাচ্ছি, আর একটা চাকরির জন্য আপ্রান চেষ্টা করতেছি,বাট চাকরি পাচ্ছি না। অনেক চেষ্টার পরে অবশেষে একটা চাকরি হলো।

 


সবে মাত্র চাকরিতে জয়িন করলাম।। আর এরই মাঝে আমার আব্বু আম্মু ঘ্যান ঘ্যান শুরু করলো বিয়ে কর বিয়ে কর। কেবল মাত্র একটু একটু করে নিজের পায়ে দাঁড়াতে শিখেছি এর মাঝেই গলায় ডোল জুলিয়ে দেওয়ার প্ল্যান। 


কি আর করবো শেষ পর্যন্ত জোর জবস্তি করে আমার বিয়েটা দিয়েই দিলো।


আর এখন আমি ছাদের এক কোনে দাঁড়িয়ে আছি। হুট

করে কোথায় থেকে খালাতো ভাইয়ের বউ মানে আমার ভাবি এসে আমাকে বললো............


ভাবিঃ>দেবর জ্বি এবার বাসর ঘরে চলো। বউ তোমার জন্য অপেক্ষা করতে করতে ক্লান্ত হয়ে গেছে। 


আমি ভাবির কথাটা শুনে যেই আসতে যাবো ঠিক সেই সময় ভাবি আমাকে বলে উঠলো........ 


ভাবিঃ>দেবর জ্বি একটা কথা বলার ছিলো।


আমিঃ>বলো না ভাবি কি বলবে..??


ভাবিঃ>দেবর জ্বি বাসর রাতে যা কিছু করো আর না করো বিড়ালটা মাইরো কিন্তু। 


ভাবির কথাটা শুনে আমি কিছুটা অবাক হয়ে গেলাম।

বাসর রাতে বিড়াল পাবো কোথায় এই কথাটা ভেবে।

এরপর আমি ভাবিকে বললাম....... 


আমিঃ>ভাবি বিড়াল মারবো কি দিয়ে,, তুমি আমাকে আগে বলতে বাজার থেকে কিছু যন্ত্রপাতি কিনে নিয়ে আসতাম। আর তাছাড়া বাসর ঘরে বিড়াল পাবো কোথায়..??


ভাবিঃ-তোমাকে বুদ্ধি দিতে আসাটাই আমার বোকামি।

সিরিয়াস সাবজেক্ট নিয়ে হাসি তামাসা করা ঠিক না। এবার একটু সিরিয়াস" হ" বুঝলি! বুদ্ধু কোথাকার।


কথাটা বলে ভাবি চলে গেলো। আমি বিড়াল মারবো কি দিয়ে সেই টেনশনে আছি। আগে কখনো শুনিনি বিড়াল

মারার গল্প। যার কারনে একটু অস্বস্তিকরের মধ্যে পড়ে গেলাম।


যাই হোক অবশেষে আমি ছাদ থেকে নেমে আসলাম।

এখন বাসর ঘরের দরজার কাছে দাঁড়িয়ে আছি। ভয় লাগতেছে বাসর ঘরে যাবো নাকি যাবোনা সেটা চিন্তা 

করতেছি।


যাইহোক এতো চিন্তা করে লাভ নেই। রুম আমার, বউ আমার, আমাকেই তো যেতে হবে। অবশেষে এক বুক আশা নিয়ে বাসর ঘরে প্রবেশ করলাম।


রুমে গিয়ে আমি তো পুরাই অবাক হয়ে গেলাম। ও মা এই কি? এটা কি বউ?? করছে টা কি.?


বউ তো দেখি বসে বসে চকলেট খাচ্ছে। আমি যে রুমে এসেছি বউ মনে হয় সেটা বুঝতে পারেনি। তাই হালকা করে একটু শব্দ করলাম,, উহুহু উহুহু।


বউ শব্দ শুনে এক বার আমার দিকে তাকিয়ে আবার চকলেট খেতে শুরু করলো। বউয়ের কোনো রিয়েক্ট নেই। মনে হচ্ছে রুমটা ওর,বাসাটাও ওর,আর আমি ওর পরিচিত কাছের কেউ এক জন। আমি বউয়ের এমন রিয়েক্ট দেখে এবার একটু জোরেই বললাম......


আমিঃ>এই মেয়ে কি করছো..??


বউ আমার ধমক শুনে ভ্যা ভ্যা করে কান্না করেতে শুরু করলো। বউয়ের এমন কান্ড দেখে আমি বললাম.......


আমিঃ>এই কান্না করছো কেনো হুমম..??


আবার কাঁদছে। কি সাংঘাতিক বউ কান্না করেই যাচ্ছে।

কোনো কথা বলছে না, এটা দেখে মেজাজ আরো গরম হয়ে গেলো। এমনিতেই কান্না সহ্য হয় না। তার উপর আবার ন্যাকা কান্না। এবার একটু রেগে গিয়ে বললাম..

 


আমিঃ>এই তোমার কান্না করার কারনটা কি.? এই ভাবে কান্না করছো কেনো..??


এই কি এ তো সালা আরো বেশি কান্না করতেছে। তাই এবার শান্ত হয়ে ধীরে ধীরে কথা বলতে শুরু করলাম।

অনেকক্ষণ পর বউয়ের কান্না শেষ হলো। এবার আমি তাকে বললাম............ 


আমিঃ>আচ্ছা তুমি কান্না করলে কেনো..??


বউঃ>কেউ কখনো আমার সাথে এভাবে কথা বলেনি।


আমিঃ>কিহহহ..??


বউঃ>আমার সাথে কেউ কখনো রেগে কথা বলে না। কারন আমি ভয় পাই তারপর কান্না করি।


আমিঃ>এটা কোন ধরনের ভ্যাবলি রে। হে খোদা আমি 

ভেবেছি বউ পাবো কিন্তু এমন ভ্যাবলি পাবো এটা 

আমি কখনো আশা করিনি।


বউঃ>এই ভ্যাবলি মানে কি গো..??


আমিঃ>ও মাই গড!! কি এটা.? ভ্যাবলি মানে 

জানে না।


বউঃ>বলো না..??


আমিঃ>তোমাকে কেউ কখনো ভ্যাবলি বলেনি।


বউঃ>না আমাকে কেনো ভ্যাবলি বলবে..??


আমিঃ>যারা কথায় কথায় ঢংগীগুলোর মতো ন্যাকা কান্না করে তাদেরকে ভ্যাবলি বলে।


বউঃ>কি আমি ঢংগী...??


আমিঃ>কোনো সন্দেহ নেই।


বউঃ>কিহহ..??


বউ আমার কথাটা শুনে আবার কান্না শুরু করলো। এই পিচ্চিটাকে নিয়ে তো মহা ঝামেলায় পড়লাম। কোনো কথাই বলা যায় না। বউয়ের কান্না থামানোর জন্য মধুর 

কন্ঠে বললাম.......... 


আমিঃ>এই চুপ করো প্লিজ কান্না করিও না। কেউ কান্না করলে আমার খুব বোরিং লাগে। 


কে শুনে কার কথা এত সুন্দর করে বললাম তবুও কান্না থামছে না। এবার জোর গলায় বললাম........... 


আমিঃ>দেখো বেশি কান্না করলে রুম থেকে বের করে দিবো। তারপর দরজা লক করে দিবো। সারারাত 

একা একা বাহিরে থাকতে হবে।


এ কথা বলে আরো মহা ঝামেলায় পড়ে গেলাম।। এখন তো আরো কান্না বেড়ে গেছে। সাথে আবার ওর বাবাকে

ডাকতে শুরু করলো........ 


বউঃ>বাবা আমি তোমার কাছে যাবো। এরা ভালো

না এরা আমায় মারছে। আমি থাকবো না এখানে, আমাকে নিয়ে যাও।


কি জিনিস মাইরে, মারলাম কখন আবার। অনেক চেষ্টা করলাম কান্না থামানোর জন্য,কিন্তু কে শুনে কার কথা। 

কান্না ননস্টপ রেডিওর মতো চলেতেছে। 


বউয়ের কান্না থামাতে ব্যার্থ হয়ে আম্মুর কাছে গেলাম।

এরপর আম্মুকে আমার রুমে নিয়ে আসলাম। আম্মু এসে আমাকে এলোপাতাড়ি বকা দিতে লাগলো।


তারপর বউকে নিয়ে আম্মুর রুমে চলে গেলো..? হায়রে কপাল মানুষ বাসর ঘরে কত কি করে আর আমি কান্না থামাতেই পারলাম না। তাহলে বাকি মিশন কমপ্লিট করবো কি ভাবে। এমন কপাল কয় জনের আছে।


যদিও মেয়েটা দেখতে অনেক কিউট। প্রথম যখন আম্মু ওর ছবি দেখালো প্রথমে দেখাতেই হ্যা বলে দিয়েছি।

পরবর্তীতে আর ওকে দেখতেও যাইনি। এতটাই পছন্দ 

হয়েছিলো।


কিন্তু এখন তো দেখছি মেয়ে এখনো শিশু কালে পড়ে আছে। এখন তো ভয় হচ্ছে চিটিংবাজ শ্বশুর না বলে 

আমার ঘাড়ে অটিজম মেয়ে চাপিয়ে দিলো নাকি।।


সালার আগে আম্মুর কথামতো মেয়েকে দেখতে যাওয়া 

প্রয়োজন ছিলো। কেনো যে গেলাম না। সব কিছুতেই বেশি বেশি। 


এখন আর কিছু করার নেই বসে বসে কপাল চাপড়ানো ছাড়া। নাহহহ ভালো করে চেক করতে হবে আসলেই অটিজম কিনা।


এই মধুর রাতটা নিয়ে কতই না স্বপ্ন ছিলো। আর এখন আমি একা একা বাসর ঘরে বসে আছি। ভেরি সেড এ

দুঃখ কোথায় লুকাবো আর কার কাছেই বা বলবো। 


অনেক ক্লান্ত ছিলাম, তাই বিছানায় শুয়ে পড়লাম। আর কিছুক্ষণের মধ্যেই ঘুমিয়ে পড়লাম। ঘুমানোর আগে দরজা লক করা হয়নি।


চব্বিশ বছরের শুন্যতা আজ পুর্নতায় রুপান্তরিত হতে চলেছে তাও অসম্পূর্ণ রয়ে গেলো আমার কপাল।


কত স্বপ্ন দেখতাম সেই ছোট বেলা থেকে......বাসর ঘরে 

বউকে নিয়ে সারারাত গল্প করবো,গান শুনাবো, দুজনে ডান্স করবো। বাট আমার স্বপ্ন গুলো স্বপ্নই রয়ে গেলো।


যাইহোক অবশেষে রাতটা একা একা কাটিয়ে দিলাম।

সকাল বেলায় বউ এসে আমাকে বললো.......


বউঃ>এই উঠুন মা আপনাকে ডাকে..??


আমিঃ>কে..??


বউঃ>আমি...??


আমিঃ>ও ভ্যাবলি..??


বউঃ>কি আমি ভ্যাবলি..??


আমিঃ>তা নয়তো কি..??


বউঃ>কান্না করবো কিন্তু..?? 


আমিঃ>এই না না.? আচ্ছা একটা কথা বলবো..?? 


বউঃ>বলো..??


আমিঃ>কেউ যদি বলে বাসর রাত কেমন কাটলো, কি বলবে তুমি..?? 


বউঃ>বলেছে তো আমায়..??


আমিঃ>কে বলেছে..??


বউঃ>সকালে আমার ভাবি ফোন করেছিলো..?? 


আমিঃ>কি বলেছে..??


বউঃ>ওই যে ওটা বলেছে বাসর রাত কেমন কাটলো..?? 


আমিঃ>তুমি কি বলেছো..??


বউঃ>বলেছি তোমার মায়ের সাথে ঘুমিয়েছি..??


আমিঃ>তারপর ভাবি কি বললো..??


বউঃ>বুঝলাম না ভাবি শুধু হাসলো..??


আমিঃ>আর কিছু বলেনি..??


বউঃ>না..? আচ্ছা বাসর রাতে কি করে..??


আমিঃ>মানে..??


বউঃ>বাসর রাত মানে কি...??


আমিঃ>তুমি প্লিজ আমার সামনে আর এসো না.? নয়তো আমাকে রাঁচি যেতে হবে সিওর..??


বউঃ>ওহহ ঘুরতে যাবে.? আমিও যাবো...আমিও যাবো...???


আমিঃ>আম্মু ও আম্মু তোমার বউমাকে নিয়ে যাবে.? নয়তো তোমার ছেলেকে পাগল বানিয়ে ছাড়বে..??


বউঃ>তোমার মাকেও সাথে নিয়ে যাবে..??


আমিঃ>আচ্ছা তুমি কি বাড়িতেও এভাবে সবার মাথা খেতে...???


বউঃ>কেউ মাথা খেতে পারে...??


আমিঃ>তুমি তো রাক্ষসী তাই খেতেও পারো..??


বউঃ>কিহহ আমি রাক্ষসী..??


এই কথাটা বলেই বউ আমার কান্না শুরু করলো। আর বলতে লাগলো.......... 


বউঃ>বাবা আমি তোমার কাছে যাবো.? এরা ভালো না এরা আমায় মারছে। আমি থাকবো না এখানে আমাকে 

নিয়ে যাও...??


আমিঃ>আমি বাবার কাছে যাবো.? এরা আমায় মারে এরা ভালো না.? বাবা.... ও বাবা.? হে খোদা কি দোষ করেছি আমি। কেনো আমাকে এতো বড় সাজা দিলে। এ কেমন বউ জোটালে আমার কপালে...??


বউঃ>হ্যা...???


আমিঃ>তুমি অনেক ভালো একটা মেয়ে হ্যাপি..??


বউঃ>হুমমম...???


সালা কি মেয়েরে মাইরে..? এক নিমিষেই কান্না হারিয়ে গেলো? এরপর আমি বউয়ের হাতটা একটু ধরে বলতে

শুরু করলাম......


আমিঃ>আচ্ছা শুনো..??[পুরোটা বলতে না দিয়ে]


বউঃ>এই তুমি আমার হাত ধরছো কেনো..?? 


আমিঃ>হাত ধরবো না..??


বউঃ>হাত ধরলে কিন্তু আমি আবার কান্না করবো...?? 


আমিঃ>কেনো কান্না করবে কেনো..?? 


বউঃ>ভাবি বলেছে কোনো ছেলে যেনো শরীরে টাচ 

না করে.? বাবাও বলেছে কোনো ছেলের সাথে না মিশতে..??


আমিঃ>কবে বলেছে...??


বউঃ>আমি যখন ক্লাস নাইন এ পড়ি তখন...??


আমিঃ>এখনো মনে আছে..?? 


বউঃ>হুমমম..??


আমিঃ>তাহলে আমার সাথে বসে বসে গল্প

করছো যে...??


বউঃ>তুমি দেখতে অনেকটা আমার ভাইয়ার 

মতো তাই..??


আমিঃ>কিহহ...?


সালার এবার ইচ্ছে করছে কচু গাছের সাথে ফাঁশি দেই।

একটু রোমান্টিক হওয়ার জন্য বউয়ের হাতটা ধরলাম.।

কিন্তু হাত ধরার পর বড় ভাই হয়ে গেলাম.? সালার কি কপাল মাইরে আমার.? এরপর বউকে বললাম...........


আমিঃ>যাও বোন তুমি আমার মায়ের কাছে যাও..??


বউঃ>হিহিহিহি..?? 


আমিঃ>হাসছো কেনো..?? 


বউঃ>বউকে কেউ বোন ডাকে...??


আমিঃ>তুমি এটা বুঝো..??


বউঃ>হুমম.? বাবা মায়ের নাম ধরে ডাকতো.? ভাইয়া ভাবির নাম ধরেই ডাকে..??


আমিঃ>ভালো...?? 


বউঃ>তুমিও আমার নাম ধরে ডাকবে...??


আমিঃ>তোমার নাম কি...??


বউঃ>ওহহ তোমাকে তো আমার নামই বলিনি। আমার নাম আনহা ইসলাম পুতুল। সবাই আনহা বলে ডাকে। তুমিও আমাকে আনহা বলে ডাকবে..???


আমিঃ>আচ্ছা ঠিক আছে। আর আমি... [পুরোটা বলতে না দিয়ে ]


আনহাঃ>বলতে হবে না আমি তোমার নাম জানি। তোমার নাম হলো হারামজাদা।


আমিঃ>কিহহহ...??


আনহাঃ>হ্যা তোমার আম্মু-ই তো বললো দেখতো হারামজাদা ঘুম থেকে উঠলো কিন। তাইতো 

আমি তোমার কাছে এলাম।


আমিঃ>তাই বলে আমার নাম হারামজাদা...??


আনহাঃ>আমি কি জানি। নবাবজাদা নাম শুনেছি। কিন্তু হারামজাদা এই প্রথম শুনলাম। খারাপ না ভালোই।


আমিঃ>ও খোদা আমাকে উপরে তুলে নাও।


আনহাঃ>কোথায় যাবে..??


আমিঃ>জাহান্নামে যাবো নরকে যাবো।


আনহাঃ>মা বলেছে ওটা অনেক বাজে জায়গা, খুব কষ্ট দেয়,ওখানে যাওয়ার দরকার নেই। তুমি তার চেয়ে বরং অন্য কোথাও গিয়ে আমার জন্য চকলেট নিয়ে আসো। ভাইয়া যেগুলো দিয়েছে সব শেষ। 


আমিঃ>কি চকলেট...?? 


আনহাঃ>হুমমমম...??


আমিঃ>কাল রাতে তুমি চকলেট কোথায় পেয়েছিলে?


আনহাঃ>বাড়ি থেকে নিয়ে এসেছি। ভাবি বললো একা একা নাকি বসে থাকতে হবে তাই নিয়ে আসলাম।


আমিঃ>তোমার নাম তো গ্রিনিচ বুক অফ ওয়ার্ড_এ রেকর্ড হওয়া উচিৎ।


আনহাঃ>এই বইটার নাম আমি অনেক বার শুনেছি 

বাট রাইটারের নাম জানিনা। 


আমিঃ>আম্মু আমি পাগল হয়ে গেলাম কোথায় তুমি.?


আম্মুঃ>কি হয়েছে এমন ষাঁড়ের মতো চিৎকার করছিস কেনো..??


আমিঃ>তোমার এই পছন্দ করা বউ আমাকে পাগলা গারদে পাঠাবে সিওর।


আম্মুঃ>কেনো কি হয়েছে.?? 


আমিঃ>কিছু হয়নি তুমি ওকে নিয়ে যাও।


আম্মুঃ>কত লক্ষী একটা মেয়ে আয় মা তুই আমার সাথে আয়।


আনহাঃ>আচ্ছা আন্টি তোমার ছেলের নাম 

হারামজাদা না।


আম্মুঃ>কে বললো...??


আনহাঃ>আন্টি তুমিই তো বলছো তখন।


আম্মুঃ>আরে ওটা তো এমনিতেই বলেছি। কেনো তুই ওর নাম জানিস না..?? 


আনহাঃ>শুনেছিলাম অপুর্ব। কিন্তু তুমি যখন বললে হারামজাদা তখন ভাবলাম হয়তো হারামজাদা 

ওনার নিক নেম।


আম্মুঃ>পাগলী মেয়ে।


আমিঃ>তোমরা দুজনেই তাড়াতাড়ি করে রুম থেকে বের হবে নাকি..??


আম্মুঃ>যাচ্ছি তাড়াতাড়ি করে খেতে আয়।


এ কথা বলে দুজনে চলে গেলো। আমি ফ্রেশ হয়ে খেতে

গেলাম। গিয়ে দেখি বউ মানে আনহা টিভি দেখতেছে।

এ মা এতো কার্টুন দেখছে। যাইহোক বউয়ের সাথে তো 

একটা দিক মিল রয়েছে। কারন আমিও কার্টুন দেখতে খুব ভালোবাসি...


এতক্ষণ শুধু বউয়ের দিকে এক দৃষ্টিতে তাকিয়ে ছিলাম কিন্তু এবার বউয়ের পাশের জনকে দেখে তো আমার মাথা পুরা হ্যাং হয়ে গেলো। কারন আমার আম্মু 

ওকে খাইয়ে দিচ্ছে। আর ও বাচ্চাদের মতো খাবার খাচ্ছে আর টিভি দেখছে। আমি কি সত্যি আমার বাড়িতে আছি নাকি অন্য কোনো গ্রহে চলে আসলাম।


সালার বিয়ের আগে আম্মু খাবার খাইয়ে দিতো না...??

ভাবতাম বিয়ের পর বউয়ের হাতে খাবার খাবো। কিন্তু বউ নিজেই তো দেখি আমার আম্মুর হাতে খাবার খেয়ে নিচ্ছে,আর আম্মুও এখন কি সুন্দর করে খাইয়ে দিচ্ছে। 


আমি গত তিন বছরে আম্মু কে যতবার বলছি আমাকে খাবার খাইয়ে দিতে ততবার আম্মু বলেছে আল্লাহ তোর হাত দেয়নি। নিজের হাতে নিয়ে খা। আর এখন.....


দুই জনে কি হেসে হেসে কথা বলছে মনে হয় দুই শখীর অনেক দিন পর দেখা হয়েছে? হটৎ করে আমার ফোন বেজে উঠল? দূর এই অসময়ে আবার কে কল দিলো.?

কলটা রিসিভ করলাম আর বললাম.............


গল্পঃ_ফুলের_মতো_বউ_(পর্ব_০২)

                     অবুঝ বউয়ের ভালোবাসা।

লেখকঃ আব্দুল্লাহ আল শাহজালাল। 


আমি গত তিন বছরে আম্মু কে যতবার বলছি আমাকে খাবার খাইয়ে দিতে ততবার আম্মু বলেছে আল্লাহ তোর হাত দেয়নি.? নিজের হাতে নিয়ে খা..? আর এখন.....?


দুই জনে কি হেসে হেসে কথা বলছে মনে হয় দুই শখীর অনেক দিন পর দেখা হয়েছে? হটৎ করে আমার ফোন বেজে উঠল? দূর এই অসময়ে আবার কে কল দিলো.?

কলটা রিসিভ করলাম আর বললাম.............


আমিঃ>হ্যালো...??


ওপাশ থেকেঃ>হ্যালো অপুর্ব...?? 


আমিঃ>না আমি হারামজাদা..? 

 

ওপাশ থেকেঃ>কি....??


আমিঃ>না মানে আমি অপুর্ব আপনি কে..??


ওপাশ থেকেঃ>আমি ভাবি বলছি..??


আমিঃ>আমার তো কোনো ভাই নেই..?? 


ওপাশ থেকেঃ>আমি আনহার ভাবি বলছি...??


আমিঃ>কে আনহা...??


ওপাশ থেকেঃ>আনহাকে চিনো না। তোমার বউ..??


আমিঃ>ও হ্যা একটু আগেই তো নামটা শুনলাম.? কি যে হয়েছে কিছুই বুঝিনা.? সরি ভাবি..??


ভাবিঃ>ইটস ওকে.? কেমন আছো..?? 


আমিঃ>সেটাই তো বুঝতে পারছি না? এমন অবস্থায় আছি হাসবো নাকি কান্না করবো কিছুই বুঝতে 

পারছি না...?? 


ভাবিঃ>কেনো আনহা কিছু করেছে নাকি..??


আমিঃ>ও আবার কি করবে.? আচ্ছা ভাবি আনহার ১৮ বছর পুর্ণ হয়েছে তো...??


ভাবিঃ>কেনো...?? 


আমিঃ>কারন দেখে তো মনে হয় না তাই..??


ভাবিঃ>আসলে ওর এমন হওয়ার পিছনে কারন আছে? ও বাহিরের পরিবেশ, বাহিরের সমাজ সম্পর্কে কিছুই জানেনা..? ওরর তেমন ধারণা নেই মানুষ কেমন হতে পারে..?? আমরা যেমন ও সবাইকে তেমন ভাবে..?? তাই হয়তো ওইখানে সেগুলো করছে, যেগুলো বাড়িতে করতো.??


আমিঃ>ঠিক বুঝতে পারলাম না ভাবি..??


ভাবিঃ>কালকে মনে হয় বাবা তোমাদের নিয়ে আসতে যাবে, যখন আসবে তখন ওর সব কান্ড বলবো..??


আমিঃ>আচ্ছা ঠিক আছে..?? 


ভাবিঃ>ওর সাথে রাগ করে কথা বলতে যেওনা.? এক বার কান্না শুরু করলে আর থামাতে পারবে না...?? 


আমিঃ>তাই..?? 


ভাবিঃ>হুমম.? বাসর রাত তো ভালোই কাটালে সেটা আমি আগেই আন্দাজ করতে পারছিলাম..?? 


আমিঃ>বাসর হুহহ? কপালে না থাকলে ঘি ঠক ঠকালে 

হবে কি..??


ভাবিঃ>হাহাহা...?? 


আমিঃ>আপনি হাসছেন, আমার কান্না পাচ্ছে.? আপনার বাসরে কি আপনি এমন করেছেন.??


ভাবিঃ>আমি কি তোমার বউয়ের মতো...??


আমিঃ>সেটাও ঠিক.? সকালে আমি একটু ওর হাত ধরেছিলাম..?? 


ভাবিঃ>তারপর...??


আমিঃ>তারপর আর কি.? বললো আপনি নাকি ছেলেদের চাইতে দূরে থাকতে বলেছেন.? যেনো 

ওর গায়ে ছেলেদের টাচ করতে না করেছেন..??


ভাবিঃ>ওহহ আচ্ছা তাহলে ভালোই তো আছো.? নতুন বিয়ে করে ভালোই মজা নিচ্ছো...???


আমিঃ>শুধু কি মজা এর উপর মজাই হয় না...?? 


ভাবিঃ>তো আমার ননদ কি করছে..?? 


আমিঃ>উনি কার্টুন দেখছে.? আর মা খাইয়ে দিচ্ছে..?? 


ভাবিঃ>বাহহ তাহলে আমার কাজটা আন্টি করছে..??


আমিঃ>হ্যা সেটাই...??


ভাবিঃ>তুমি ওর সাথে উঁচু গলায় কথা বলো না তাহলে কিন্তু তোমার কাছেও আসবে না, বাসর তো কোন দূর..??


আমিঃ>হুমম বুঝলাম..??


ভাবিঃ>ও কিন্তু অল্পতেই অনেক ভয় পায়...??


আমিঃ>খুব ভালো...??? 


ভাবিঃ>এখন তুমি ওকে ফোন দাও দেখি তোমার জন্য কিছু করতে পারি কিনা...??


আমিঃ>আমার জন্য আবার কি করবেন....??? 


ভাবিঃ>চেষ্টা করে দেখি তোমার বউকে আন্টির রুম থেকে তোমার রুমে নেওয়া যায় কিনা..???


আমিঃ>তাই.? আচ্ছা ভাবি আরো একটা কাজ...?? 


ভাবিঃ>কি....??


আমিঃ>ও মাকে আন্টি বলে ডাকে...??


ভাবিঃ>ওওও আচ্ছা.? তুমি ফোন দাও আনহাকে আমি কথা বলে দেখি....??


আমিঃ>হুমম দাঁড়ান দিচ্ছি..? এই আনহা এদিকে আসো তোমার ভাবি ফোন করেছে.? 


আনহাকে ফোনটা দিয়ে রেকর্ড অন করে দিলাম.?? কি বলবে পরে শুনতে হবে তো তাই..?? আমি মোবাইল টা আনহার হাতে দিলাম? ও মোবাইল টা নিয়ে একটু দূরে গেলো? আমি আনহার জায়গায় বসলাম? ঠিক তখনই 

আম্মু উঠে চলে যেতে লাগলো, আমি আম্মুর উঠে চলে যেতে দেখ বললাম..........


আমিঃ>আম্মু কোথায় যাও...??


আম্মুঃ>কেনো...??


আমিঃ>আমাকে খাইয়ে দাও..??


আম্মুঃ>তুই কি বাচ্চা আছিস...??


আমিঃ>তাহলে কি ও বাচ্চা.....?? 


আম্মুঃ>হুমমম...??


আমিঃ>তাহলে এক কাজ করো ফিডার মুখে দিয়ে বসিয়ে রাখো...??? 


আম্মুঃ>ওই হারামজাদা কি বলিস এসব...??


আমিঃ>এখন ছেলের থেকে ছেলের বউয়ের প্রতি দরদ বেশি হলো...??


আম্মুঃ>চুপ থাক এখনকার যুগে এমন লক্ষী মেয়ে পাওয়া যায়..???


আমিঃ>ওটা লক্ষী....???


আম্মুঃ>তা নয়তো কি...??


আমিঃ>ওটা লক্ষীর প্যেঁচা...?? 


আম্মুঃ>তুই কি তাহলে....???? 


আমিঃ>আমি অপুর্ব.? আম্মু পেট তো খাই খাই করছে..??


আম্মুঃ>তো যা গিয়ে ভাত বেড়ে নিয়ে আয়...???


আমিঃ>বাহহ অন্যের মেয়েকে মুখে তুলে খাইয়ে দিচ্ছো

আর নিজের ছেলের বেলায়.....???


আম্মুঃ>তোর সাথে এমনই করা উচিৎ...??? 


আমিঃ>আম্মু আমার কেনো জানি সন্দেহ হচ্ছে...??? 


আম্মুঃ>কি...??


আমিঃ>একটা সত্যি কথা বলবে...???


আম্মুঃ>হুমম বল...??


আমিঃ>আমি কি সত্যিই তোমার ছেলে...?? 


আম্মুঃ>মানে...??


আমিঃ>নাকি হাসপাতাল থেকে নিয়ে এসেছো...??


আম্মুঃ>কি বলিস এসব....?? 


আমিঃ>ওই যে দেখোনা বাংলা সিনেমায় দেখায়

অনেক দিন বাচ্চা হয় না তারপর হাসপাতাল

থেকে নিয়ে আসে...?


আম্মুঃ>না না তোকে তো রাস্তায় কুড়িয়ে পেয়েছি...?? 


আমিঃ>কিহহহ...??


আম্মুঃ>হ্যা...??


আমিঃ>হে খোদা এটা তুমি আমাকে কি শুনালে আমি আর বাঁচতে চাই না...?? 


আম্মুঃ>পাশের রুমে মোটা দড়ি আছে....?? 


আমিঃ>তো ওটা নিয়ে আমি কি করবো.? 


আম্মুঃ>তুই তো বললি তুই আর বাঁচতে চাস না.? তাই বললাম দড়ি টা নিয়ে একটা মোটা গাছের সাথে বেধে গলায় দে.? তবুও কানের কাছে ঘ্যান ঘ্যান করিস না বাপ....???


আমিঃ>মুখ ফসকে কিনা কি বলে ফেলছি তাই বলে এতো বড় কথা.? খাবো না তোমার ভাত...??


আমার কথাটা শুনে আম্মু টেবিলে গিয়ে খাবার গুলো নিয়ে যেতে লাগলো.? আম্মুর এমন কান্ড দেখে আমি বললাম...........


আমিঃ>কি হলো...??


আম্মুঃ>তুই নাকি খাবি না..??


আমিঃ>কখন বললাম...??


আম্মুঃ>একটু আগেই তো বললি....??


আমিঃ>তাই বলে তুমি নিয়ে যাবে..??


আম্মুঃ>তো কি করবো...?? 


আমিঃ>আচ্ছা দাও খুব খিদে পেয়েছে...?? 


আম্মুঃ>হাহাহা বাঘ তো আর কম চাপে পড়লে ধান খায় না বাবা...??


আমিঃ>এই নবাব জাদীর কি সারাদিন লাগবে কথা বলতে...??


আম্মুঃ>তোর সমস্যা কি...??


আমিঃ>কই কিছু না...???


আম্মুঃ>তাহলে চুপচাপ বসে খা...??


আমিঃ>ঠিক আছে যাও তুমি...?? 


এরপর আম্মু চলে গেলো আমি খবার খাচ্ছি? কিছুক্ষণ 

পর আনহা এসে আমাকে মোবাইলটা দিলো? মোবাইল 

হতে নিয়ে আমি আনহাকে বললাম....... 


আমিঃ>আচ্ছা আনহা...??


আনহাঃ>হ্যা বলো...??


আমিঃ>তোমার কি কোনো কাপড় আয়রন করতে হবে...?? 


আনহাঃ>না তো কেনো...?? 


আমিঃ>ফোনটা যে পরিমান হট মানে গরম হয়েছে তাতে বাসার সবার কাপড় আয়রন করা যাবে..??


আনহাঃ>তাহলে দাও কাপড় গুলো আয়রন করি...??


সালা কি মেয়েরে মাইরে সত্যি সত্যি মোবাইলটা নিতে হাত বাড়িয়েছে?? ওর এমন কান্ড দেখে আমি বলতে শুরু করলাম.......


আমিঃ>এটা কি করছো..?? 


আনহাঃ>মোবাইলটা নিচ্ছি..??


আমিঃ>কেনো..?? 


আনহাঃ>কাপড় আয়রন করবো...??


আমিঃ>কিহ মোবাইল দিয়ে...?? 


আনহাঃ>হ্যা তুমিই তো বললে...??


আমিঃ>ও হ্যা...??


এরপর আনহা চলে যেতে লাগলো.? আমি পিছন থেকে তাকে ডেকে বললাম......... 


আমিঃ>এই শুনো..??


আনহাঃ>ডাকলে কেনো..?? 


আমিঃ>শুনে যাও...??


আনহাঃ>হুমম বলো...??


আমিঃ>ভাবি কি বললো..??


আনহাঃ>তোমাকে বলা যাবে না...?? 


আমিঃ>কেনো আমাকে বলা যাবে না কেনো..?? 


আনহাঃ>ভাবি বলেছে কাউকে যেনো না বলি...??


আমিঃ>ভাবি এটাতেও না করেছে.....??


আনহাঃ>হুমমম...??


আমিঃ>সালার কি কপাল আমার...??


আনহাঃ>কার কপাল..?? 


আমিঃ>আমার..আমার...??


আনহাঃ>ওওওও...?? 


ঠিক তখনই মনে পড়লো আমার তো রেকর্ড অন করা আছে?? খুশিতে মন আহ্লাদী আট-খানা হয়ে গেলো.? মোবাইল টা নিয়ে দিলাম এক দৌড়। এক দৌড়ে রুমে চলে গেলাম রেকর্ড গুলো শুনবো বলে..????


ননদ ভাবির ফোনালাপ নিশ্চয়ই অনেক গাঢ় হবে? মনে 

কত আশা ভরসা নিয়ে ফোন চেক করলাম.? সম্পুর্ণ মোবাইলটা চেক করা শেষ কিন্তু রেকর্ড খুঁজেই পেলাম না.?? মনের দুঃখে কষ্টে-এফ, এ, সুমন এর গান গাওয়া শুরু করলাম...?? 


কারন রেকর্ড ফোল্ডারে আমার বন্ধুর কয়েক টা রেকর্ড ছিলো। যেগুলো দিয়ে আমি তাকে হোয়াইট মেইল সরি ব্ল্যাকমেইল করতাম,মানে টাকা নিতাম আরকি.? আর 

সবাই মিলে পার্টি দিতাম.?? আনহা সেই রেকর্ড গুলো 

ডিলেট করে দিয়েছে..? 


এরপর একবুক কষ্ট অভিমান নিয়ে আনহাকে ডাকতে শুরু করলাম.........


আমিঃ>এই পুতুল শুনো...??


আনহাঃ>ডাকছো আমায়...??


এই মেয়ের সাথে তো রেগে কথা বলা যাবে না তাই মিষ্টি কন্ঠে বললাম...... 


আমিঃ>আসেন মহারাণী..?? 


আনহাঃ>হিহিহিহি...??


আমিঃ>বাচ্চাদের মতো হাসছো কেনো...?? 


আনহাঃ>মহারাণী বললে তো তাই...??


আমিঃ>ও তাহলে আসেন চাকরানি...?? 


আনহাঃ>এই তুমি এটা বললে কেনো আমি কিন্তু কান্না করবো...?? 


আমিঃ>হ্যা করো করো ওই একটা কাজই তো পারো...??


আনহাঃ>

কিহহ আমি আর কিছুই পারি না...??


আমিঃ>নাহ,, পুরোটাই তো আস্ত একটা আমড়া কাঠের ঢেঁকি...?? 


আনহাঃ>কিহহ..?😥😥


এই কথা বলে কান্না করতে শুরু করলো। এই রে আবার 

কান্না শুরু করে দিয়েছে,,মায়ের কানে কান্নার আওয়াজ 

গেলে আমার খবর আছে.? তাই বউয়ের কান্না থামাতে আমি আকুতি মিনতি করে বললাম......... 


আমিঃ>বউ কান্না থামাও, কান্না থামাও তোমাকে অনেক গুলো চকলেট এনে দিবো...??


সালা কি জিনিস মাইরে.? এখনই কান্না, কি কান্না? যেই চকলেট এর কথা শুনেছে তো মুখে হাসির বন্যা। এরপর 

আনহা আমাকে বললো..........


আনহাঃ>কি কি চকলেট আনবে..??


আমিঃ>ক্যাটবেরী......??


আনহাঃ>আচ্ছা সুন্দর সুন্দর আইসক্রিম কিনে আনবে ওকে..??


আমিঃ>চুপ থাক বোন তোকে সঙ্গে নিয়ে যাবো.? তোর যেটা মন চাইবে সেটাই নিস কেমন...??


আনহাঃ>আচ্ছা...?? 


আমিঃ>হ্যাপী...???


আনহাঃ>অনেক অনেক অনেক...??


আমিঃ>এখন আমাকে একটু বলবে ফোনের রেকর্ড কে ডিলেট করেছে....??


আনহাঃ>আমি.....??


আমিঃ>কেনো....?? 


আনহাঃ>ভাবি বলেছে যদি রেকর্ড করা থাকে তাহলে ডিলেট করে দিতে...??


আমিঃ>তাহলে তুমি তোমারটা ডিলেট করতে সবগুলো করছো কেনো...?? 


আনহাঃ>ওসব ফালতু কথা আমি কিছুই বুঝিনা তাই ডিলেট করে দিয়েছি...??


আমিঃ>কিহ তুমি ওগুলো প্লে করেছিলে...??


আনহাঃ>হুমমম...??


আমিঃ>কেনো প্লে করেছিলে? জানো না অন্যের জিনিস অনুমতি না নিয়ে দেখতে নেই.??


আনহাঃ>ভাবি বলেছে তোমার সব কিছুই আমার..?? 


আমিঃ>এটা বলেনি,,তোমার সব কিছুও আমার..??


আনহাঃ>বলেছে.? কিন্তু আমার জিনিস আমি কাউকে ভাগ দেই না..??


হে খোদা এ মেয়ে তো দেখি নিজের বেলায় ষোল আনা 

আর আমার বেলায় ঠনঠনা ঠনঠন.? 


বিকেল হয়ে আসলো.?? আমি বিছানায় শুয়ে শুয়ে গল্প লিখছি হটাৎ করে আনহা এসে আমার কাছে দাড়ালো?

কিছু বলতে চাইছে বাট বলছে না.? ওর এমন চুপ করে থাকা দেখে আমি বললাম........... 


গল্পঃ_ফুলের_মতো_বউ_(পর্ব_০৩)

                     অবুঝ বউয়ের ভালোবাসা।

লেখকঃ আব্দুল্লাহ আল শাহজালাল।


হে খোদা এ মেয়ে তো দেখি নিজের বেলায় ষোল আনা 

আর আমার বেলায় ঠনঠনা ঠনঠন.? 


বিকেল হয়ে আসলো.?? আমি বিছানায় শুয়ে শুয়ে গল্প লিখছি হটাৎ করে আনহা এসে আমার কাছে দাড়ালো?

কিছু বলতে চাইছে বাট বলছে না.? ওর এমন চুপ করে থাকা দেখে আমি বললাম...........


আমিঃ>কিছু বলবে..??


আনহাঃ>তুমি না আমায় আইসক্রিম দিতে চাইছিলে..??


আমিঃ>ফ্রিজে আছে খেয়ে নাও..??


আনহাঃ>তুমি বলেছো আমার জন্য চকলেট আনবে এখন শুধু আইসক্রিম..?? 


আমিঃ>কি ঝামেলায় পড়লাম বাবা..??


আনহাঃ>আমি কিন্তু কান্না করবো..?? 


আমিঃ>কেনো..?? 


আনহাঃ>তুমি আমার উপর রাগ করছো তাই..??


আমিঃ>সরি মনে ছিলো না.? আপনার উপর তো আবার রাগ করা যাবে না..?? 


এই কথা বলে আমি বাজারে যাওয়ার উদ্দেশ্যে রওয়ানা দিতে লাগলাম ঠিক তখনই আনহা বললো.........


আনহাঃ>কোথায় যাও..??


আমিঃ>বাজারে আপনার জন্য চকলেট নিয়ে আসি..??


আনহাঃ>আমিও যাবো আমিও যাবো..??


আমিঃ>কোথায় যাবে..??


আনহাঃ>বাজারে..??


আমিঃ>বাজারে মানে...??


আনহাঃ>আমি কোনো দিন বাজারে যাইনি,বাবা বলেছে তোর স্বামী তোকে সব জায়গায় ঘুরে দেখাবে..??


আমিঃ>সালার শ্বশুর মশাই কি পিসটাই না আমার জন্য তৈরি করেছে..?? [মনে মনে]


আনহাঃ>কি হলো...??


আমিঃ>কিছু না চলেন মহারাণী...??


আনহাঃ>কোথায়...?? 


আমিঃ>আমার স্বর্গে..??


আনহাঃ>তুমি আবার রাগ করছো...?? 


আমিঃ>কই না তো.? এই যে আমি হেসে হেসে কথা বলছি...হিহিহি.? এবার চলুন বাজারে যাই..??


এরপর আমি সেই সাংঘাতিক জিনিসটাকে সাথে নিয়ে বাজার চলে গেলাম?? বাজারে গিয়ে ও যা যা করেছে তা না হয় নাই বা বললাম। নয়তো আপনি পাগল নাকি আমি মানসিক রোগী সেটাই বুঝতে পারবেন না.??


বাসায় আসতে আসতে সন্ধা হয়ে গেলো.? বাসায় এসে রুমে গিয়ে ফ্রেশ হয়ে একটু শুয়ে পড়লাম.?? কিছুক্ষণ পরেই আম্মু আসলো আর বললো......


আম্মুঃ>কিরে ঘুমিয়েছিস...??


আমিঃ>না কিছু বলবে...??


আম্মুঃ>আনহার বাবা ফোন করেছিলো....??


আমিঃ>কি বলেছে...??


আম্মুঃ>কালকে তোদের নিতে আসবে..??


আনহাঃ>সত্যি কালকে বাবা আসবে...??


আম্মুঃ>হুমম...??


আমিঃ>খুব খুশি তাইনা...??


আনহাঃ>অনেক অনেক অনেক....??


আম্মুঃ>তোদের কাপড় গুছিয়ে রাখ..??


আনহাঃ>আচ্ছা মা....??


আমিঃ>তুমি হটাৎ আন্টি থেকে মা ডাকতে শুরু

করলে কখন..??


আনহাঃ>তোমাকে কেনো বলবো.? ভাবিও তো আমার  মাকে মা বলে ডাকে...??


আম্মুঃ>হুমম এখন তোরা বসে বসে ঝগড়া কর আমি চলে গেলাম...??


এই কথা বলে আম্মু চলে গেলো.? আম্মু চলে যাওয়ার 

সাথে সাথে আমি শুয়ে পড়লাম.? ঠিক তখনই আনহা আমাকে বললো........ 


আনহাঃ>কি হলো শুয়ে পড়লে যে...??


আমিঃ>তো কি করবো....??


আনহাঃ>মা কি বললো শুনোনি..??


আমিঃ>কি বলেছে..?? 


আনহাঃ>কাপড় গুছিয়ে রাখতে বলেছে...??


আমিঃ>তো গুছিয়ে নাও...??


আনহাঃ>আমার গুলো আমি গুছিয়েছি.? তোমার  গুলো গুছাও...??


আমিঃ>এটাও কি ভাবি শিখিয়ে দিয়েছে...??


আনহাঃ>কি...??


আমিঃ>এই যে আমার জিনিস আমাকে গুছাতে বলছো..??


আনহাঃ>হুমমম..??


আমিঃ>শুনো আমার সবকিছুই তো তোমার.? তাই আমার জিনিস গুলোকে তোমার মনে করে গুছিয়ে ফেলো...???


আনহাঃ>আচ্ছা ঠিক আছে.? কিন্তু গুছিয়ে কোথায় রাখবো...??


আমিঃ>তোমার ব্যাগে রাখাে...??


আনহাঃ>ভাবি দেখলে কি বলবে...??


আমিঃ>কিহহ..??


আনহাঃ>বলবে তোর ব্যাগে ছেলেদের কাপড় আসলো কি ভাবে...?? 


আমিঃ>বলবে না...??


আনহাঃ>বলবে...??  কারন একবার ভুল করে স্কুলের একটা ছেলের খাতা আমার কাছে এসেছিলো.? আর ভাবি সেই খাতাটা নিয়ে সবাইকে দেখিয়ে দেখিয়ে বলছে..ছেলেদের খাতা আনহা রাণীর কাছে কেনো.? এটা নিয়ে অনেকে হাসাহাসিও করেছে...???


আমিঃ>হে খোদা তুমি আমার জন্য এটা কি বানাইছো.?

এর তো দেখি চুলের নিচেও ফাঁকা হাঁটুর নিচেও ফাঁকা.??[আস্তে করে কথাটা বললাম]


আনহাঃ>এই কি বলছো একা একা...?? 


আমিঃ>কিছু না.? বলছি কাপড় গুলো তোমার ব্যাগে রাখো.? আমি তোমার বাসার সামনে গিয়ে আমার জামা কাপড় গুলো বের করে নিবো..??


আনহাঃ>আচ্ছা ঠিক আছে...?? 


কিছুক্ষণ পর আম্মু ডাকতে শুরু করলো খাবার খেতে যাওয়ার জন্য? খাবার খেয়ে আমি একটু বাহিরে চলে গেলাম ঘুরতে.? 


বাহিরে আড্ডা দিয়ে রুমে চলে আসলাম..? রুমে এসে দেখি আনহা বিছানায় শুয়ে আছে? আনহাকে আমার রুমে দেখে বললাম.........


আমিঃ>একি তুমি এখানে...?? 


আনহাঃ>হুমম আমি এখানে ঘুমাবো..??


আমিঃ>যদি আমি রাতে তোমাকে কিছু করি তখন...??


আনহাঃ>কি করবে হুমম আর কিছু করলেও আমি  ভাবিকে সব বলে দিবো...??


আমিঃ>হায়রে কপাল.? আচ্ছা শুয়ে পড়ো তাহলে কেমন..??


আমি জানি আনহা আমার সাথে ঘুমাবে না? তাই আমি 

গিয়ে বেলকনিতে দাঁড়ালাম.? একটু পর অনুভব করতে পারলাম কেউ একজন আমার পাশে দাঁড়িয়ে আছে.?? 

তাই পিছনে তাকালাম.? 


আর তাকিয়ে দেখি আনহা দাঁড়িয়ে আছে.?? আনহাকে দেখে আমি অনেকটা অবাক হলাম? অন্ধকারে আমার বাবু টাকে সেই সুন্দর লাগছে..? যা আমার মুখে প্রকাশ করা অসম্ভব.? 


ইচ্ছে করে বুকের মাঝে জড়িয়ে ধরে কপালে একটা ভালোবাসার পরশ এঁকে দিতে কিন্তু সবার সব ইচ্ছে 

কি পুরন হয়। যা আমারও অসম্পূর্ণ রয়ে গেছে.?


বিয়ের আগে কত স্বপ্ন ছিলো বউকে সারাজীবন বুকের উপরে রাখবো.? অথচো বুকের উপরে রাখা তো দূরের কথা একটা কিছ পর্যন্ত করতে পারিনি.? এই দুঃখ কার কাছে বলবো..?  এরপর আমি আনহাকে বললাম.......


আমিঃ>একি তুমি এখানে...??


আনহাঃ>হুমমম...??


আমিঃ>ঘুমাও না...??


আনহাঃ>না...??


আমিঃ>কেনো...??


আনহাঃ>আমি একা একা ঘুমাতে পারিনা...??


আমিঃ>কেনো..??


আনহাঃ>একা ঘুমাতে ভয় পাই...??


আমিঃ>ওওওও তাহলে এতদিন কিভাবে ঘুমাতে...??


আনহাঃ>এতদিন মা বাবার সাথে ঘুমাতাম..?


আমিঃ>আচ্ছা ঠিক আছে আমি মাকে ডাকতেছি তুমি মায়ের সাথে ঘুমাও...??


আনহাঃ>মায়ের রুমে গিয়েছিলাম উনারা ঘুমিয়ে পড়েছে...??


আমিঃ>তাহলে কি করবে..??


আনহাঃ>এখন তোমার সাথে ঘুমাবো...??


আমিঃ>কেনো ভাবি তোমাকে না করেছে না..??


আনহাঃ>তাতে কি হুম.?  ভাবিও তো ভাইয়ার সাথে ঘুমায়.? যদিও মাঝে মাঝে আমি ওদের মাঝখানে ঘুমাতাম....???? 


আমিঃ>কিহহ.? কিন্তু উনি তো উনার স্বামীর সাথে ঘুমাতেন..??


আনহাঃ>তাতে কি হয়েছে.? আমিও তো আমার স্বামীর সাথে ঘুমাবো...??


আমিঃ>তাই নাকি.? তা কে তোমার স্বামী...?? 


আনহাঃ>কেনো তুমি..??


আমিঃ>ও হ্যা তাইতো.? ভুলেই গিয়েছিলাম.? তো ম্যাডাম আপনি স্বামী মানে বুঝেন..??


আনহাঃ>হ্যা বুঝি তো..?? 


আমিঃ>আচ্ছা বলেন তো দেখি স্বামী মানে কি...??


আনহাঃ>স্বামী মানে বর...??


আমিঃ>সালা ইচ্ছে করছে কোমরে দড়ি দিয়ে আত্মহত্যা করি...?? 


আনহাঃ>কোমরে দড়ি দিয়ে কেউ আত্মহত্যা করে....


আমিঃ>তাহলে....??


আনহাঃ>গলায় দড়ি দিয়ে আত্মহত্যা করে এটাও জানো না....?? 


আমিঃ>গলায় দড়ি দিলে ওটাকে আত্মহত্যা বলে না..??


আনহাঃ>তাহলে কি বলে....??


আমিঃ>গলায় দড়ি দিলে তো এমনিতেই মারা যাবে.??  আর আত্মহত্যা হচ্ছে নিজেই নিজেকে মেরে ফেলা.??

এবার তুমিই বলো গলায় যদি দড়ি দেয় তাহলে কি সে নিজেই নিজেকে মারতে পারবে,,পারবে না.? তাহলে এটা কিভাবে আত্মহত্যা হলো....???


আনহাঃ>না.? কিন্ত তাহলে আত্মহত্যা মানে কি....??


আমিঃ>এসব জানতে হয় না.? তবে বর্তমানে মানুষ যে গুলোকে আত্মহত্যা বলে সেগুলো আত্মহত্যা নয়.? জীবনে কখনো এসব কাজ করবে না কেমন..?? 


আনহাঃ>হুমম কিন্তু কেনো...?? 


আমিঃ>কারন তোমার জীবনের মুল্য তুমি ছাড়া আর কেউ বুঝবে না.? দেখো না টিভিতে মন্ত্রীরা বডিগার্ড নিয়ে ঘুরে বেড়ায়..?? 


আনহাঃ>হুমমম...??


আমিঃ>কেনো নিয়ে ঘুরে জানো...??


আনহাঃ>কেনো...?? 


আমিঃ>কারন জীবন অনেক দামি আর তাই তারা নিরাপত্তার জন্য বডিগার্ড নিয়ে ঘুরে বেড়ায়...??


আনহাঃ>ওওওও.....??


আমিঃ>ওদের জীবনটা যতটুকু মুল্যবান ঠিক তোমার জীবন ততটাই মুল্যবান? তারা নিজের জীবনের নিরাপত্তার জন্য বডিগার্ড নিয়ে ঘুরে বেড়ায়.? আর

সেম ভ্যালু তোমার জীবনেও...??

|||

তুমি শুধু হতাশার জন্য নিজের জীবন বিসর্জন দিতে পারো না.? মনে রাখবে জীবন আর মান সম্মান এমন একটা জিনিস যা একবার হারালে শত চেষ্টা করেও আর ফিরে পাওয়া যায় না...???


আনহাঃ>হুমমম বুঝতে পারছি...?? 


আমিঃ>সুতারাং এমন কোনো  কাজ করবে না যাতে তোমার ক্ষতি হয়...??


আনহাঃ>হুমমম....??


আমিঃ>তুমি আমার কথা শুনবে কেনো.? তুমি তো শুধু ভাবির কথাটা শুনো...??


আনহাঃ>ভাবি বলেছে তোমার সব কথা শুনতে...??


আমিঃ>তাই নাকি..? তা আর কি কি বলেছে...??


আনহাঃ>বলেছে তোমাক অনেক ভালোবাসতে..? সেটা 

তোমাকে বলা যাবে না.? আর আমি তোমাকে বলবোও না..? 


আমিঃ>ও তাহলে ভাবি তোমাকে বলেছে আমাকে ভালোবাসতে আর সেটা আমাকে বলা যাবে না.?? 


আনহাঃ>না...??


আমিঃ>আচ্ছা তুমি যাও ঘুমাও আমি আসছি...?? 


আনহাঃ>তাড়াতাড়ি আসবে আমি কিন্তু ভয় পাই..?? 


আমিঃ>আচ্ছা ঠিক আছে.....?? 


জীবনে আমি এমন একজন মেয়েকে চেয়েছিলাম যাকে আমি যেটা বুঝাবো সেটাই বুঝবে.? যার কাছে একমাত্র 

আমি সত্যি বাকি সব মিথ্যা? যাকে নিজের মরের মাঝে 

রাজরাণী করে রাখতে ইচ্ছে করবে...??


হয়তো খোদা আমাকে সেটাই দিয়েছে..?? মেয়েটা শুধু শারীরিক দিক থেকে বড় হয়েছে.? কিন্তু মানসিক দিক থেকে মেয়েটা এখনো অনেকটা ছোট.? এরপর আনহা আমাকে বললো......... 


আনহাঃ>কই আসো...?? 


আমিঃ>হ্যা আসছি...??


আচ্ছা আসি তাহলে বউ আমার খুব ভয় পায়..? 👇👇


নিজের জীবনের মুল্য দিতে শিখুন..?? আবেগের বসে এমন কিছু করবেন না যার ক্ষতি পুরণ দেওয়া কখনো সম্ভব নয়.??


আর হ্যা সত্যি এটাই আবেগ দিয়ে জীবন চলে না.? শত কষ্ট হলেও বিবেক দিয়েই জীবন নির্ধারণ করতে হয়.??

কি করছি, কি করবো, বারবার না করে!! ভেবে চিন্তে একবার করাটাই বেটার? হোক না কষ্ট তাতে কি,একটা কথা ভুলে গেলে চলবে না""শুন্যতা একদিন না একদিন পুর্ণতা পাবেই.??


কোনো কিছু করার আগে নিজের বিবেককে একটা বার প্রশ্ন করুন..?? যদি বিবেক পজেটিভ বলে তাহলে সেটা করবেন..??? নয়তো সেই কাজ থেকে অবশ্যই অবশ্যই বিরত থাকবেন..??


একটা কথা কখনো ভুলে গেলে চলবে না.? কিছু ভুলের মাশুল আপনাকে দিতেই হবে। সেটা আজ হোক নয়তো 

কাল.? সেই ভুলের মাশুল আপনাকে দিতে হবে নয়তো আপনার সন্তানকে দিতে হবে...?? সেই ক্ষেত্রে আপনি যতই শক্তিশালী কিংবা প্রভাবশালী হোন না কেনো.??? 


কথাটা সব সময় মনে রাখবেন 👉আজ হয়তো আপনি শক্তিশালী.?? কিন্তু সময় আপনার চাইতে শক্তিশালী.? সুতারাং ভেবে চিন্তে লক্ষ নিয়ে এগিয়ে যাওয়ার জন্য কাজ করতে হবে......??? 👇👇👇


কারন আজ আপনি যেই জায়গায় দাঁড়িয়ে আছেন গত কালকে আমি সেই একই জায়গায় দাঁড়িয়ে ছিলাম ✅


এবং আজকে আমি যেই জায়গায় দাঁড়িয়ে আছি আগামী কালকে আপনাকে সেই একই জায়গায় দাঁড়াতে হবে✅


মনে করেন আমার আম্মু এক সময় ছোট ছিলো। এর পরে আম্মু হলো আবার একটা সময় আসবে শ্বাশুড়ি হবে আবার সময়ের পরিবর্তে দাদু নানু হবে.?? 


সুতারং আপনি আপনার শ্বাশুড়ির সাথে যেমন আচরন করবেন ঠিক সেই আচরন টা আপনার সাথে সময়ের পরিবর্তে আপনার ছেলের বউ করবে.? এতে সন্দেহের বিন্দু মাত্র অবকাশ নেই..??? 


বিবেক দিয়ে কাজ করুন দেখবেন এতে করে আপনার সাথে কিছু না কিছু ক্ষতির হাত থেকে বেঁচে যাবে.?

যাইহোক এবার রুমে চলে যাই? বউ আমার একা একা বসে আছে? রুমে গিয়ে দেখি আনহা বসে আছে? ওকে

বসে থাকতে দেখে আমি বললাম............ 


আমিঃ>কি ব্যাপার ঘুমাওনি..??


আনহাঃ>বললাম না আমার একা একা ঘুম 

আসে না..?? 


আমিঃ>আরে বাবা না শুইলে ঘুম আসবে কি করে আগে তো শুয়ে পড়ো...???


আনহাঃ>ভয় করে...??


আমিঃ>কি আজব কয়েকদিন পর বাচ্চার মা হবে.? এখনো নাকি বাচ্চাদের মতো ভয় পায়..??


আনহাঃ>কি বললে তুমি...?? 


আমিঃ>কিছু না...??


আনহাঃ>আসো ঘুমাবো..??


আমিঃ>হ্যা আসছি...??


আনহাঃ>এটা তোমার বালিশ এটা আমার..??[ দেখিয়ে দিয়ে ]


আমিঃ>আচ্ছা...?? 


বিছানায় শোয়ার একটু পরেই আনহা ঘুমিয়ে পড়লো? 

কত ইচ্ছে ছিলো আমার রুমে একটা বালিশ থাকবে.?

আমার বউ আমার বুকে মাথা রেখে ঘুমাবে.? কিন্তু না সেটা আর হলো না.? 


বালিশের পাশেই মোবাইলটা রাখা ছিলো? মোবাইলটা নিয়ে গল্পটা লিখতে শুরু করছি.? কিছুক্ষণ পর বুকের উপর ভারি কিছু একটা অনুভব করলাম? 


এরপর তাকিয়ে দেখি আনহা বালিশ ছেড়ে আমার বুকে মাথা রেখে ঘুমাচ্ছে,মেয়েটা যেমন মিষ্টি তোমন মায়াবী? শুনেছিলাম যাকে মানুষ ভালোবাসে তার সবকিছু নাকি ভালো লাগে,,সেই ক্ষেত্রে সে যেমনই হোক না কেনো.?? হয়তো আমারো ঠিক তাই.??


মেয়েটা যেমন মিষ্টি তেমনই সুন্দরী..? কে যেনো বলেছে ঘুমালে নাকি মানুষের আসল সুন্দর্য ফুটে উঠে.? সে মনে হয় তার মনের মানুষকে খুব কাছে থেকেই দেখছে।


বাচ্চা একটা মেয়ে। কেউ বুঝতে পারবে না এই মেয়েটা  এতোটা বাচ্ছাদের মতো। আমি অনেক রাত পর্যন্ত ওর  দিকে তাকিয়ে থাকি কিন্তু তবুও জেনো মন ভরছে না.? 

তাছাড়া জীবনে প্রথম কোনো মেয়ের স্পর্শ...? এরপর

কি হয়েছে জানতে চান তাহলে অবশ্যই লাইক কমেন্ট করে পরের পর্বের জন্য অপেক্ষা করুন...........


গল্পঃ_ফুলের_মতো_বউ_(পর্ব_০৪)

                     অবুঝ বউয়ের ভালোবাসা।

লেখকঃ আব্দুল্লাহ আল শাহজালাল।


এরপর তাকিয়ে দেখি আনহা বালিশ ছেড়ে আমার বুকে মাথা রেখে ঘুমাচ্ছে,মেয়েটা যেমন মিষ্টি তোমন মায়াবী? শুনেছিলাম যাকে মানুষ ভালোবাসে তার সবকিছু নাকি ভালো লাগে,,সেই ক্ষেত্রে সে যেমনই হোক না কেনো.?? হয়তো আমারো ঠিক তাই.??


মেয়েটা যেমন মিষ্টি তেমনই সুন্দরী..? কে যেনো বলেছে ঘুমালে নাকি মানুষের আসল সুন্দর্য ফুটে উঠে.? সে মনে হয় তার মনের মানুষকে খুব কাছে থেকেই দেখছে।


বাচ্চা একটা মেয়ে। কেউ বুঝতে পারবে না এই মেয়েটা এতোটা বাচ্ছাদের মতো। আমি অনেক রাত পর্যন্ত ওর দিকে তাকিয়ে থাকি কিন্তু তবুও জেনো মন ভরছে না.? 

তাছাড়া জীবনে প্রথম কোনো মেয়ের স্পর্শ.....??


আনহার মুখের দিকে তাকিয়ে থাকতে থাকতে কখন যে ঘুমিয়ে পড়েছি বুঝতেই পারিনি.? সকাল বেলায় সুর্যের আলো এসে চোখে পড়েছে.? এই সকাল বেলায় আবার কে জানালার পর্দা সরিয়ে দিলো..?? 


চোখ খুলেতেই আমি অবাক হয়ে তাকিয়ে আছি। কারন

আমার সামনে ঘনো লম্বা চুলে কালো শাড়িতে দাঁড়িয়ে আছে এক স্বর্গের পরী..? আমি তো দেখেই একদম মুগ্ধ হয়ে গেছি...?? নিজের অজান্তেই আমি আনহার হাতটা ধরে আমার বুকের মাঝে জড়িয়ে নিলাম.?? 


এরপর কেনো জানি না নিজেকে আর কন্ট্রোল করতে পারলাম না? আনহার কোমল ঠোঁটের মাঝে নিজেকে আবৃত করলাম.?? আর লিবিস্টিক এর স্বাদ নিলাম.? ফাস্ট টাইম লিবিস্টিক খেয়েছি যার জন্য অনুভুতি টা খুব গভীর ছিলো.? ঠিক তখনই আনহা বললো......... 


আনহাঃ>এই কি হচ্ছে টা কি.? আমি কিন্তু ভাবিকে সব বলে দিবো..??


আমিঃ>আমাদের স্বামী স্ত্রীর মাঝে ভাবি আসলো কোথায় থেকে...??


আনহাঃ>ভাবিকে বলবো না.? আমি ভাবিকে সব বলি..??


আমিঃ>আমাদের মাঝে যা কিছু হবে সব বলবে...??


আনহাঃ>হুমমম..??


আমিঃ>এখন যে আমি তোমাকে ইয়ে করলাম এটাও বলবে...??


আনহাঃ>হুমমম..??


আমিঃ>তোমার লজ্জা করবে না...?? 


আনহাঃ>লজ্জা কেনো করবে.? ভাবি আমাকে কতো পাপ্পি দিয়েছে তবে.....???


আমিঃ>তবে কি..??


আনহাঃ>তোমার মতো করে ঠোঁটে দেয়নি,,গালে দিয়েছে...??


আমিঃ>প্লিজ ভাবিকে বলো না...??


আনহাঃ>কেনো বললে কি হবে..??


আমিঃ>ভাবি লজ্জা পাবে...??


আনহাঃ>সত্যি...?? 


আমিঃ>হুমম সত্যি...?? 


আনহাঃ>তোমার ফোনটা কোথায়...?? 


আমিঃ>কেনো..?? 


আনহাঃ>দাওনা...?? 


পাগলীটা মোবাইল নিয়ে সাথে সাথে ভাবিকে কল দিয়ে লাইন বাই লাইন সব বলে দিলো..? আমি শুধু ছাগলের তিন নাম্বার বাচ্চার মতো বসে বসে শুনলাম.?


এটা কাকে বিয়ে করেছি আমি..?? এখন তো আমার নিজেরই লজ্জা লাগতেছে..??


কথা বলা শেষ করে আনহা আসলো মোবাইল দিতে.? 

ঠিক তখনই আমি তাকে বললাম....... 


আমিঃ>কথা গুলো ভাবিকে বলা কি খুব জরুরি ছিলো.? 


আনহাঃ>হুমমম.? ভাবি নাকি লজ্জা পায়না..??


আমিঃ>তো...??


আনহাঃ>তুমি বললে ভাবি নাকি লজ্জা পাবে তাই বলছি...??


আমিঃ>তো ভাবি কি লজ্জা পেয়েছে..?? 


আনহাঃ>হুমম ভাবি লজ্জা পেয়েছে কি মজা কি মজা..??


এটা কি হলো মেয়ে তো এবার খুশিতে আত্মহারা হয়ে নিজে থেকে আমাকে একটা কিছ করলো.?? এরপর 

আমি তো থথথ হয়ে ওর দিকে তাকিয়ে রইলাম.?


যাইহোক ভাবিও লজ্জা পাইছে আমিও একটার সাথে আরেো একটা বোনাস পেলাম.? 


পাগলীটা হাসতে হাসতে চলে গেলো.? মেয়েটার মনটা অনেক ভালো.? এরপর বিছানা থেকে উঠে ফ্রেশ হয়ে আসলাম আর আম্মুকে বললাম......... 


আমিঃ>আম্মু খিদে পেয়েছে কিছু খেতে দাও..??


আম্মুঃ>বস আসছি...??


আনহা আর আম্মু আগেই খেয়ে নিয়েছে.? আমি খবার খেয়ে টিভি অন করলাম..? বসে বসে টিভি দেখতেছি.? 

হটাৎ আনহা এসে আমার পাশে বসে পড়লো.? আমার পাশে বসতেই আমি তাকে বললাম............ 


আমিঃ>কি ব্যাপার মহারাণী আমার পাশে বসে 

পড়লে যে..??


আনহাঃ>ভাবি বলেছে সব সময় তোমার পাশে পাশে থাকতে...??


আমিঃ>আবার ভাবি...??


আমরা দুজনে সোফায় বসে গল্প করছি ঠিক সেই সময় আনহার বাবা মানে আমার শ্বশুর আব্বা আসলেন.?


আনহা ওর বাবাকে দেখে আনন্দে আত্বহারা হয়ে গেছে। বাচ্চাদের মতো আচরন করছে ওর বাবার সাথে। আমি শুধু দাঁড়িয়ে ওদের কাহিনী দেখতেছি আর মনে মনে ভাবতেছি....হে খোদা আমার বউটা যেমন ঠিক তেমনই 

একটা মেয়ে আমাকে দিও...???


এরপর আমি এগিয়ে গিয়ে সালাম করলাম.? তারপর কিছুক্ষণ গল্প করলাম.?? গল্প শেষে লাঞ্চ করে শ্বশুর বাড়ির উদ্দেশ্যে রওয়ানা হলাম...??


শ্বশুর বাড়ি খুব বেশি দূরে না। তাই পৌঁছাতে খুব বেশি একটা সময় লাগেনি.?? শ্বশুর বাড়ি গিয়ে দেখি সবাই কাজে ব্যাস্ত.? 


শ্বশুর বাড়ি পৌঁছাতেই শ্বাশুড়ি মা আর ভাবি আসলেন। তাদেরকে সালাম দিলাম.? ভাবি এসেই আমাদের ব্যাগ নিলো.? তারপর ভাবি আমাদেরকে রুমে নিয়ে গেলো.?

রুমে আসার পরে ফ্রেশ হয়ে তিন জনে মিলে কিছুক্ষণ গল্প করলাম.? একটু পর ভাবি বললো.......... 


ভাবিঃ>এই যে আনহা ইসলাম পুতুল তা বাসর রাত কেমন কাটলো...?? 


ভাবিঃ>ভাবি লজ্জা না দিলে কি হয় না...?? 


ভাবিঃ>লজ্জার কি আছে...??


আনহাঃ>বাসর অনেক ভালো কেটেছে ভাবি.? তুমি জানো আমি না মায়ের কাছে ঘুমিয়েছি...???


ভাবিঃ>আমি জানতাম তুমি এটাই করবে যাও ফ্রেশ হয়ে আসো..??


আনহা চলে গেলো ওয়াশ রুমে.? এরপর ভাবি আমাকে বললো........


ভাবিঃ>অপুর্ব তুমি কি ভাবছো আনহার কোনো মানসিক রোগ আছে...?? 


আমিঃ>না ভাবি ঠিক তা নয়...??


ভাবিঃ>আসলে ওর নাম যেমন পুতুল,দেখতেও পুতুলের মতো, আর কাজও করে পুতুলের মতোই?আসলে পুতুলের মতো করেই ওকে ওর বাবা ভাই লালন পালন করেছে...? 

|||

তুমি শুনলে অবাক হবে..? ক্লাস ফাইভ-এ কোনো স্যার ওকে মেরেছে। এরপর থেকে ওর ভাই ওকে আর স্কুলে যেতে দেয়নি..?

|||

ছোট থেকেই ওর পৃথিবী হচ্ছে এই বাসা। বাহিরে ঘুরতে কখনোই দিতো না.? ওর ভাই এক হাতে স্কুলে নিয়ে যেতো অন্য হাতে নিয়ে আসতো.? কারো সাথে কখনো মিশতে দিতো না তাই বাহিররর পরিবেশ সম্পর্কে ওর তেমন ধারণা নেই.??


আমিঃ>আচ্ছা...??


ভাবিঃ>তুমি একটু মানিয়ে নিও প্লিজ..?? 


আমিঃ>সমস্যা নেই ভাবি বিয়ে যেহেতু করেছি মানিয়ে নিতে তো হবেই...???


ভাবিঃ>আর ওর সামনে বেশি রেগে কথা বলো না.? প্রচুর ভয় পায়? আর যদি কান্না শুরু করে তবে..??


আমিঃ>আরে ভাবি কোনো সমস্যা নেই.? আমি সব ম্যানেজ করে নিবো...??


ভাবিঃ>আচ্ছা ঠিক আছে.?


ভাবি এই কথা বলে চলে যেতে লাগলো? দরজার কাছে 

গিয়ে আবার পিছনে তাকিয়ে বললো........


ভাবিঃ>চিন্তা করো না,এবার তোমার বউকে সব শিখিয়ে পড়িয়ে দিবো হাহাহা..???


ভাবি কথাটা বলে হাসতে হাসতে চলে গেলো.? আমি একটু লজ্জাই পেলাম.? কিছুক্ষণ পর আনহা ওয়াশ রুম থেকে ফেশওয়াশ চাচ্ছে...?? 


আমি ব্যাগ থেকে ফেশওয়াশ বের করে ওকে দেওয়ার জন্য ওয়াশ রুমের দরজার কাছে গিয়ে দরজা নক করলাম..? আনহা দরজা খুলে ফেশওয়াশ এর বদলে আমার হাত ধরে টেনে ভিতরে নিলো...???


ভিতরে গিয়ে আমি যা দেখলাম তাতে আমি পুরাই থথথ হয়ে গেলাম.?? কারন আনহা গোসল করছে.?? এই অবেলায় গোসল? ব্যাপার কি? এরপর আনহা আমাকে

বলতে শুরু করলো........ 


আনহাঃ>তুমি,, তুমি এখানে কেনো..?? 


আমিঃ>সরি আমি কিছু দেখিনি.? [ডাহা মিথ্যা কথা]


কথাটা বলেই আমি বাহিরে চলে আসলাম? আমি রুমে বসে আছি.?? কিছুক্ষণ পর আনহা ওয়াশ রুম থেকে বের হলো আর আমাকে বললো......... 


আনহাঃ>এই তুমি ওয়াশ রুমে ঢুকেছিলে কেনো..??


আমিঃ>আমি কখন ঢুকলাম...??


আনহাঃ>মানে...??


আমিঃ>তুমিই তো আমার হাত ধরে টেনে ভিতরে 

নিয়ে গেলে...??


আনহাঃ>আমি কিন্তু ভাবিকে সব বলে দিবো..??


আমিঃ>এর মাঝে ভাবি আসলো কোথায় থেকে...?? 


আনহাঃ>তুমি কেনো ওয়াশরুমে গেছো..??


আমিঃ>আরে বাবা আমি কিছু দেখিনি তো..??


এমন সময় ভাবি রুমে চলে আসলো.? আর এসেই বললো....... 


ভাবিঃ>আনহা আর অপুর্ব দুজনেই খেতে আসো..??


আনহাঃ>ভাবি তুমি জানো ও কি করেছে..??


ভাবিঃ>কি..??


আনহাঃ>আমি গোসল করেছিলাম তখন ও ওয়াশ রুমে 

ঢুকেছিলো..??


ভাবিঃ>তো কি হয়েছে...?? 


আনহাঃ>একটা ছেলে হয়ে ও আমার সাথে ওয়াশ রুমে

ঢুকেছিলো..??


ভাবিঃ>আনহা এবার কিন্তু বেশি বেশি হয়ে যাচ্ছে..?? 

 

আনহাঃ>কেনো ভাবি তুমিই তো বলো ছেলেদের কাছ থেকে দূরে থাকতে...??


ভাবিঃ>হুমম বলেছি..?? কিন্তু ও তোমার স্বামী ওর অধিকার আছে ওখানে যাওয়ার.? এই বিষয় নিয়ে যেনো আর কোনো কথা না হয়.?

|||

আর আনহা তুমি তোমাদের কোনো কথা আমাকে বলবে না বুঝতে পারছো..???


আনহাঃ>হুমমম....???


ভাবিঃ>অপুর্ব আমি ওর হয়ে সরি বলছি.? তাড়াতাড়ি খেতে এসো...??


ভাবি এই কথাটা বলে চলে গেলো.? মনে মনে আনহার প্রতি অনেক রাগ হচ্ছে কিন্তু কিছুই বললাম না.? ফ্রেশ হয়ে খাবার খেতে গেলাম.? 


সেদিন আর আনহার সাথে কথা বলিনি.। যদিও আনহা বেশ কয়েক বার কথা বলেছে কিন্তু তাতে আমি কোনো রিসপেন্স করিনি.? 


রাতে শুয়ে আছি..? হুমম একাই শুয়ে আছি.?? আনহা হয়তো ওর বাবার সাথে ঘুমিয়েছে..? মোবাইলটা হাতে নিয়ে গল্পটা লিখতে শুরু করলাম ঠিক সেই সময় ভাবি আর আনহা রুমে আসলো.?? এরপর আনহাকে রেখে ভাবি চলে গেলাে.?? একটু পর আনহা আমাকে বলতে শুরু করলো........ 


আনহাঃ>এই কি করো...??


আমি কোনো কথা বলিনি। আনহা আমাকে চুপ থাকতে 

দেখে আবারো বললো.........


আনহাঃ>এই কথা বলো না কেনো..?? 


আমিঃ>ঘুমাবো...??


আনহাঃ>আচ্ছা....?? 


আর কোনো কথা না বলে আমি শুয়ে পড়লাম..? কারন রাগটা তখনও ছিলো.? দেখলাম আনহা আমার পাশে শুয়ে পড়লাে.? তাই আমি উঠে গিয়ে লাইট আর দরজা বন্ধ করে দিলাম.? 


কিছুক্ষণ পরে কারো কান্নার শব্দ পাচ্ছি.? খুব আস্তে আস্তে কাঁদছে.? তাই আমি মোবাইল এর ফ্লাস লাইট জ্বালিয়ে আনহার দিকে তাকালাম.? তাকিয়ে দেখি আনহা কান্না করছে। এ-মা এই মেয়ে তো দেখি কান্না করতে করতে বালিশ ভিজিয়ে ফেলেছে.? ওর এমন কান্না দেখে আমি বললাম............ 


আমিঃ> এই আনহা কাঁদছো কেনো..??


আনহা কোনো কথাই বলছে না.? আমি আবার বলতে লাগলাম......


আমিঃ>কি হলো কথা বলবে না.? আর এভাবে কাঁদছো কেনো তুমি..?? 


আনহাঃ>তুমি...??


আমিঃ>আমি কি...??


আনহাঃ>তুমি আমার উপর রাগ করছো কেনো..?? 


আমিঃ>তাই বলে তোমাকে কাঁদতে হবে..??


আনহাঃ>হুমমম..??


আমিঃ>আচ্ছা বাবা এখন তো কান্না থামাও...???


আনহাঃ>আমি আর কখনো ভাবিকে কোনো কিছু বলবো না...?? 


আমিঃ>তাই...??


আনহাঃ>হুমমম..??


আমিঃ>আচ্ছা এখন কান্না থামাও...?? 


আনহাঃ>তাহলে বলো তুমি আর রাগ করবে না...?? 


আমিঃ>আচ্ছা করবো না...??


ঠিক তখনই মোবাইলে কে জেনো মেসেজ করেছে.?মোবাইলটা হাতে নিয়ে দেখি ভাবি মেসেজ করেছে? মেসেজে লিখা ছিলো....কি বউ কি একটু পরিবর্তন হয়েছে।


এখন বুঝতে পারলাম ভাবি ওকে কিছু উল্টো পাল্টে বুঝিয়েছে.? কিন্তু কি এমন বললো.? এখন রিপ্লাইও করা যাবে না.? 


কারন আনহা আমাকে যেই ভাবে জড়িয়ে ধরে আছে তাতে ভাবিকে রিপ্লাই দেওয়া সম্ভব নয়..? তার উপর জামা কাপড় সব ভিজে গেছে..? একটা মানুষ এতো 

কান্না কিভাবে করে বুঝিনা? এরপর আমি আনহাকে বললাম......... 


আমিঃ>এই সরো..??


আনহাঃ>কেনো..?? 


আমিঃ>কাপড় চেঞ্জ করবো...??


আনহাঃ>কেনো...?? 


আমিঃ>পুরোটা তো চোখের জলে ভিজিয়ে দিয়েছো..??


এরপর আনহা কাপড় আনতে গেলো..? কিন্তু এটা কি করে সম্ভব..? মাত্র কয়েক ঘন্টার মধ্যে একজন মানুষ এতোটা বদলে যায় কি করে..? নিশ্চয়ই ভাবির কাছে জাদু আছে.? একটু পর আনহা কাপড় নিয়ে আসলো

আর আমাকে বললো......... 


গল্পঃ_ফুলের_মতো_বউ_(পর্ব_০৫)

                     অবুঝ বউয়ের ভালোবাসা।

লেখকঃ আব্দুল্লাহ আল শাহজালাল।


এরপর আনহা কাপড় আনতে গেলো..? কিন্তু এটা কি করে সম্ভব..? মাত্র কয়েক ঘন্টার মধ্যে একজন মানুষ এতোটা বদলে যায় কি করে..? নিশ্চয়ই ভাবির কাছে জাদু আছে.? একটু পর আনহা কাপড় নিয়ে আসলো

আর আমাকে বললো.........


আনহাঃ>এই নাও তোমার কাপড়...??


আমিঃ>আচ্ছা তুমি তাহলে যাও ঘুমাও...? 


আনহা আমার কথা শুনে কোনো কথা বললো না চুপ করে দাঁড়িয়ে রইলো। তাই আমি আবার বললাম...... 


আমিঃ>কি হলো ঘুমাবে না..?? 


আনহাঃ>হুমম..??


আমিঃ>তাহলে যাও...??


আনহাঃ>কোথায় যাবো..??


আমিঃ>তোমার আব্বু আম্মুর কাছে...??


আনহাঃ>আমি এখানে ঘুমাবো...?? 


আমিঃ>ওওও,, তারপর রাতে কি হবে না হবে সব ভাবিকে বলবে তাইতো...??


আনহাঃ>এই না আমি ভাবিকে কিছুই বলবো না..?? 


আমিঃ>সত্যি তো...??


আনহাঃ>হুমমম..??


আনহাঃ>তাহলে আসো ঘুমাও...?? 


আনহা খাটে উঠে ডিরেক্ট আমার বুকে মাথা রেখে শুয়ে পড়লাে? ভাবি কি এমন জাদু করেছে জানতে খুব ইচ্ছে 

করছে.? এরপর আমি আনহাকে বললাম....... 


আমিঃ>এখন ঘুমাও...??


আনহাঃ>একটা কথা বলবো তোমায়...??


আমিঃ>হুমম বলো...??


আনহাঃ>একটু জড়িয়ে ধরো না...??


আমিঃ>ধরেছি তো...?? 


আনহাঃ>আরো শক্ত করে...?? 


আমিঃ>বাব্বাহ আজ এতো রোমান্টিক হলে কি করে..??


আনহাঃ>ভাবি আজ অনেক কিছু বলেছে আমায়...??


আমিঃ>কি কি বলেছে...??


আনহাঃ>ওসব স্বামীদের বলতে হয় না...?? 


আমিঃ>তাই...??


আনহাঃ>হুমমম...??


আমিঃ>তাহলে একটু আদর করি...??


আনহা কোনো কথা বলছে না,চুপচাপ আমাকে জড়িয়ে ধরে আছে?? আমি আরো শক্ত করে আনহাকে জড়িয়ে বুকের মাঝে নিলাম.? 


এরপর ধীরে ধীরে ওর ঠোঁটের দিকে এগোতে থাকলাম।

কিন্তু আমি এগোনের আগেই........আচ্ছা থাক সেটা না হয় নাইবা বললাম..? আর আপনারাও শুনার জন্য বসে থাকেন কেনো হুমম.? পাঠক পাঠিকা আপনারা আজব একটা মানুষ.??? অন্যের পার্সোনাল কথা গুলো শুনতে নেই বুঝলেন..??? 


সকাল বেলায় ঘুম থেকে উঠে ফ্রেশ হয়ে বাহিরে বের হলাম.? ভাবি আমাকে দেখে মুচকি মুচকি হাসছে??


ভাবির এই রহস্যময় হাসির মানে বুঝতে পারলাম না? 

তাই গাধার মতো আমিও মুচকি হেসে দিলাম.?


এরপর খাওয়া দাওয়া শেষ করে বসে বসে টিভি দেখছি ঠিক তখনই ভাবি পাশে এসে বসলো আর বললো.......


ভাবিঃ>কি অপুর্ব রাত কেমন কাটলো..?? 


আমিঃ>অসাম..? না ইয়ে মানে রাত আবার কেমন  কাটবে যেমন কাটার তেমনই কেটেছে..?? 


ভাবিঃ>আমার কাছে লুকিয়ে কোনো লাভ নেই। যদিও আনহা আমাকে কিছু বলেনি.? কিন্তু কালকে তো ওর ক্লাস নিয়েছি তাইনা..??


আমিঃ>আচ্ছা ভাবি আপনি কি এমন করেছেন, "যে" ও এতো তাড়াতাড়ি চেঞ্জ হয়ে গেলো..?? 


ভাবিঃ>ওকে শুধু বুঝিয়েছি স্বামী মানে কি...??


আমিঃ>আচ্ছা...?? 


ভাবিঃ>তবে কখনো মেয়েটাকে কষ্ট দিওনা.? ও অনেক আদরের মেয়ে.? কোনো কাজে কোনোদিন কেউ ওকে হাত দিতে দেয়নি.? 

|||

কোনটা ঠিক আর কোনটা ভুল এটা সম্পর্কে তেমন কোনো ধারণা নেই ওর.? একটু মানিয়ে নিও..?? 


আমিঃ>ওটা নিয়ে চিন্তা করবেন না আপনি শুধু আমার বউটাকে ইয়ে করে দেন...??


ভাবিঃ>কি..??


আমিঃ>না মানে সমস্যা নেই আমি সব মানিয়ে নিবো..??


ভাবি আর আমি কথা বলতেছি ঠিক সেই সময় আনহা আসলো আর এসেই আমার পাশে বসলো..?? আমার পাশে বসতেই ভাবি বলে উঠলো.........


ভাবিঃ>কিরে আগে তো এসে আমার পাশে বসতি আর এখন......???


আনহাঃ>তোমার পাশে বসার সময় শেষ...?? 


ভাবিঃ>তাই..? আচ্ছা তোমরা বসে গল্প করো আমি চা করে নিয়ে আসছি...??? 


ভাবি কথাটা বলে চলে গেলো.? আমি আর আনহা বসে আছি.? আনহা আমার দিকে আর আমি আনহার দিকে তাকিয়ে আছি? দুজনের কেউ কোনো কথা বলছি না.?


হটাৎ আনহা চোখ সরিয়ে মাথা নিচু করলো.? বুঝতে পারছি কিছুটা লজ্জা পেয়েছে..? এরপর আমি ওকে আরো কাছে নিয়ে আসলাম..?? ঠিক তখনই আনহা  আমাকে বলে উঠলো........... 


আনহাঃ>এই কি করছো ভাবি আসবে তো...??


আমিঃ>আগে তো সবকিছু ভাবিকে বলতে এখন আবার কি হলো...?


আনহাঃ>আগে তো আমি এমন ছিলাম না এখন আমি সব জানি...???


আমিঃ>কি জানো...?? 


আনহাঃ>সব কিছু....? 


আমিঃ>সব কিছু বলতে কি কি.? নাকি আমায় বলা যাবে না...?? 


আনহাঃ>তোমায় বলা যাবে...?? 


আমিঃ>তাহলে বলো...??


এমন সময় ভাবি রুমে চলে আসলো আর আমাদেরকে বললো....... 


ভাবিঃ>এই নতুন পায়রা পায়রি এমন সুপার গ্লু আঠার মতো চিপকে বসে আছো কেনো.? এখন বাচ্চাদের লজ্জা সরম যে কই গেলো শ্বশুর বাড়িও বুঝে না..??


ভাবি কথা গুলো বলছে আর হাসছে.? এরপর আমি একটু এদিকে সরে বসলাম.? আনহা মনে হয় লজ্জা একটু বেশিই পেয়েছে,তাই উঠে চলে যেতে লাগলো?

আনহার এমন কান্ড দেখে ভাবি বলে উঠলো......... 


ভাবিঃ>এই যে মহারাণী কোথায় যাচ্ছেন..?? 


আনহাঃ>রুমে..??


ভাবিঃ>হয়েছে অনেক লজ্জা পেয়েছেন। লজ্জায় লাল টমেটো হয়ে গেছে.? এখন আসেন চা খাবেন..??


তারপর আনহা ধীরে ধীরে হেঁটে এসে এবার ভাবির পাশে বসলো.? ঠিক তখনই ভাবি বললো........


ভাবিঃ>কি ব্যাপার এখানে বসলে কেনো...??


আনহাঃ>এমনি....??


ভাবিঃ>যাও অপুর্বের পাশে গিয়ে বসো..??


আনহাঃ>আচ্ছা...?? 


আনহা এবার আমার পাশে এসে বসলো.? ঠিক তখনই ভাবি বলে উঠলো.......... 


ভাবিঃ>তোমাদের দুজনকে অনেক সুন্দর লাগছে..?? 


আমি আনহাকে এক হাতে জড়িয়ে ধরে বললাম..... 


আমিঃ>ভাবি নজর দিবেন না কিন্তু...?? 


ভাবিঃ>তোমাদের নজর দিবো কেনো আমার কি স্বামী নেই.? তো আনহা রাণীর রাতটা কেমন কাটলো.?? 


আনহাঃ>তোমায় বলবো কেনো...?? 


ভাবিঃ>আমায় বলা যাবে না...?? 


আনহাঃ>না যাবে না..?? 


ভাবিঃ>আনহা তো অনেক বড় হয়ে গেছে.? আচ্ছা তোমরা থাকো আমি রান্না করবো...??? 


এই কথা বলে ভাবি রান্না করতে চলে গেলো.?? এরপর আনহা উঠে রুমে চলে গেলো? আমিও একা একা বসে না থেকে রুমে চলে আসলাম?? রুমে আসতেই আনহা আমাকে বললো......... 


আনহাঃ>কি ব্যাপার রুমে আসলে যে...?? 


আমিঃ>আমার বউ রুমে আসলো তাই....??


আনহাঃ>ভাবি কি ভাববে...??


আমিঃ>এখন তো দেখি পুরা লজ্জাবতী লতা হয়ে গেছো...??


আনহাঃ>জানো ভাবি কালকে আমাকে অনেক কিছু বলেছে....???


আমিঃ>কি কি বলেছে...??


আনহাঃ>স্বামী স্ত্রী কি কি করে.? স্বামীর চাওয়া পাওয়া কি? আর স্বামী স্ত্রীর কথা বাহিরের কাউকে বলতে নেই এগুলো...??


আমিঃ>তাই...??


আনহাঃ>হুমমম...??


আমিঃ>তাহলে তো আমার বউ বেশ বড় হয়ে গেছে..??


আনহাঃ>আমি কি ছোট নাকি..??


আনহাঃ>তাইতো ভাবতাম..?? 


এই কথা বলে আমি গিয়ে দরজা বন্ধ করে দিলাম। ঠিক 

করা আনহা আমাকে বললো......... 


আনহাঃ>এই কি করছো..??


আমিঃ>দেখতেই তো পাচ্ছো দরজা বন্ধ করছি..??


আনহাঃ>কেনো...?? 


আমিঃ>স্বামী স্ত্রী যা যা করে তা করতে...???


আনহাঃ>এই না আমার সামনে আসবে না..??


আমিঃ>কেনো..?? 


আনহাঃ>আসবে না বলছি...??


এই কথা বলে আনহা পিছনে যেতে লাগলো.? পিছাতে পিছাতে আনহার পিঠ দেওয়ালে আটকে গেছে? আমি ওর কাছে গেলাম.? এতটাই কাছে গেলাম যে আনহার বেড়ে যাওয়া শ্বাস প্রশ্বাস আমার কানে আসতেছে? ও মনে হয় একটু ভয় পেয়েছে তাই আমি বললাম..........


আমিঃ>ভয় পেয়েছো...???


আনহাঃ>ভাবি বলেছে মানসিক ও শারীরিক ভাবে প্রস্তুত থাকতে হয়...??


আমিঃ>আমি জানি তুমি এখন প্রিপেয়ার্ড না


আনহাঃ>তাহলে এভাবে এগিয়ে আসছো কেনো..?? 


আমিঃ>তুমি পিছনে পিছচ্ছো তাই। আর তোমার শরীর ঘেমে যাচ্ছে দেখে আমার খুব হাসি পাচ্ছে তাই.?? 


আনহাঃ>ওওওও....?? 


আনহাকে টেনে বুকের মাঝে নিলাম.? ও আমাকে শক্ত করে জড়িয়ে ধরলো..? এরপর আমি আনহাকে বলতে শুরু করলাম..........


আমিঃ>শুনো আমি তোমার স্বামী.? সুতরাং তোমার সুবিধা অসুবিধা যদি না বুঝতে পারি তাহলে আমার আর বাহিরের একটা মানুষের মাঝে কি পার্থক্য থাকলো বলো..??


আনহাঃ>ভাবি ঠিকই বলে তুমি অনেক ভালো....???


আমিঃ>তাই..? কিন্তু তুমি কান্না করছো কেনো...?? 


আনহাঃ>আমি তো ভয় পেয়ে গেছিলাম 


আমিঃ>আচ্ছা এখন কান্না থামাও...?? 


আনহাঃ>হুমমম..??


আমিঃ>এতো ভয় পেলে হবে অন্তত একটা ইয়ে তো দিতে পারবো তাইনা...??


আনহাঃ>না..??


আমিঃ>আচ্ছা...?? 


আনহাকে ছেড়ে দিয়ে রুম থেকে বের হয়ে যাচ্ছি ঠিক তখনই আনহা সামনে এসে দাঁড়ালো আর বললো.....


আনহাঃ>কোথায় যাও...?? 


আমিঃ>বাহিরে...??


আনহাঃ>রাগ করেছো..??


আমিঃ>না রাগ করবো কেনো,,রাগ করিনি..?? 


আনহাঃ>তোমায় বলেছি না আমার উপর রাগ 

করবে না..?? 


আমিঃ>আরে বাবা আমি রাগ করিনি তো। আমি তো.......???


আর কথা বলতে পারলাম না.? এর আগেই আনাহার ঠোঁট আমার বাকশক্তি কেড়ে নিয়েছে.?? ঠোঁট থেকে ঠোঁট সরিয়ে পাগলীটা লজ্জা পেয়েছে?? যার কারনে আমার বুকে মুখ লুকিয়েছে। এরপর আমি আনহাকে বললাম..........


আমিঃ>পিচ্চিটা লজ্জা পেয়েছে বুঝি..??


আনহাঃ>এই আমাকে একদম পিচ্চি বলবে না..?? 


আমিঃ>বাসর ঘরে বসে যে চকলেট খায় তাকে পিচ্চি বলবো না তো কি বলবো..??


আনহাঃ>ও চকলেট খাবে আমার কাছ অনেক গুলো চকলেট আছে..??


আমিঃ>না এখন খাবো না..?? 


আনহাঃ>কেনো..?? 


আমিঃ>মাত্রই তো একটা চকলেট খেয়েছি...?? 


আনহাঃ>কখন..??


আমিঃ>এখনই তো তুমি খাইয়ে দিলে..??


আনহা আমার কথা শুনে হালকা ধাক্কা দিয়ে বললো.....


আনহাঃ>যাহহ দুষ্টু কোথাকার..??? 


বুঝতে পারলাম বউ একটু লজ্জা পেয়েছে.? তবে আনহা রাণী যদি চায় তাহলে আমি তার চকলেট ফিরিয়ে দিবো.? এরপর আমি বললাম............ 


আমিঃ>আনহা রাণী যদি চায় তাহলে আমি তার চকলেট ফিরিয়ে দিবো..?? 


আনহাঃ>হুমম দাও...??


এরপরের ফিলিংস টা না হয় নাইবা বললাম? এরপরের 

দিন দুপুরের খাবার খেয়ে বাসায় চলে আসলাম.? 


বউ আগের থেকে অনেক বেশি এক্টিভ হয়েছে..? তবে আমি ভাবতেছি ভাবি কি জিনিস.? এতো তাড়াতাড়ি আমার বউকে চেঞ্জ করে দিলো.? বাসায় এসে আবার অফিসের চাপ শুরু হলো??? এরপর আমি আনহাকে  ডাক দিলাম............ 


আমিঃ>আনহা...??


আনহাঃ>হ্যা বলো...??


আমিঃ>সকাল সকাল আমাকে ডেকে দিও..??


আনহাঃ>কেনো..?? 


আমিঃ>অফিস আছে...??


আনহাঃ>আচ্ছা ডেকে দিবো...??


আমিঃ>আমি ঘুমালাম..?? 


আনহাঃ>এখনই ঘুমাবা..??


আমিঃ>হ্যা বেবি খুব ক্লান্ত লাগছে..??


আনহাঃ>ঠিক আছে ঘুমাও...?? 


আমি ঘুমিয়ে পড়লাম?? মাঝ রাতে কারো হাসির শব্দে আমার ঘুম ভেঙে গেলো??ঘুমের কারনে চোখ খুলতে চাচ্ছে না তবুও জোর করে খুললাম?? চোখ খুলে দেখি আনহা আমার বুকের উপর মাথা রেখে মোবাইলে গেম খেলছে আর হাসছে.? আনহার এমন কান্ড দেখে আমি বললাম........


গল্পঃ_ফুলের_মতো_বউ_(পর্ব_০৬)

                     অবুঝ বউয়ের ভালোবাসা।

লেখকঃ আব্দুল্লাহ আল শাহজালাল। 


আমি ঘুমিয়ে পড়লাম?? মাঝ রাতে কারো হাসির শব্দে আমার ঘুম ভেঙে গেলো??ঘুমের কারনে চোখ খুলতে চাচ্ছে না তবুও জোর করে খুললাম?? চোখ খুলে দেখি আনহা আমার বুকের উপর মাথা রেখে মোবাইলে গেম খেলছে আর হাসছে.? আনহার এমন কান্ড দেখে আমি বললাম........ 


আমিঃ>কি ব্যাপার তুমি এখনো ঘুমাওনি..??


আনহাঃ>ঘুম আসছে না..?? 


আমিঃ>কি করছো..??


আনহাঃ>গেমস খেলি..??


আমিঃ>মোবাইলটা কার..??


আনহাঃ>এটা আমার মোবাইল..?? 


আমিঃ>আচ্ছা এবার তাহলে মোবাইলটা রেখে ঘুমিয়ে পড়ো..?? 


আনহাঃ>আমাকে জড়িয়ে না ধরলে ঘুম আসেনা..?? 


আমিঃ>আরে বাবা সেটা বললেই তো পারো,, আসো কাছে আসো..??


আনহাঃ>তুমি তো তখন ঘুমিয়ে গেছো..??


আমিঃ>আচ্ছা বাবা আসো এবার ঘুমাও..??


আনহাকে জড়িয়ে ধরলাম.?? আনহা বাচ্চাদের মতো গুটিসুটি হয়ে শুয়ে পড়লো.? 


আসলে এই মেয়েকে বড় কে বলবে.? যে মেয়ে রাত ১২ টায় মোবাইলে গেমস খেলে তাকে কি কেউ বড় বলবে?

এরপর দুজনে ঘুমিয়ে গেলাম.?? সকাল বেলায় ঘুমিয়ে ছিলাম আনহা এসে আমাকে বললো......... 


আনহাঃ>এই তোমার অফিস আছে না..??


আমিঃ>কে,, ও তুমি...?? 


আনহাঃ>উঠবে না..??


আমিঃ>হ্যা উঠতেছি..??


আনহাঃ>তোমার অফিস আছে তো কখন যাবে..??


আমিঃ>যাবো এখনই যাবো..??


আনহাঃ>তাড়াতাড়ি উঠো আজকে মা আর আমি রান্না করেছি..??


আমিঃ>তাই..??


আনহাঃ>হুমমম..??


আমিঃ>আমার হাতটা একটু ধরবে..??


আনহাঃ>কেনো..?? 


আমিঃ>উঠতে পারছি না..?? 


আনহাঃ>আচ্ছা..?? 


এই কথা বলে আনহা হাতটা বাড়ালো.?? আনহা হাতটা বাড়াতেই আমি ওর হাত ধরে টেনে আমার কাছে নিয়ে আসলাম.? আমার কাছে নিয়ে আসতেই আনহা বলতে

শুরু করলো........... 


আনহাঃ>এই কি করছো মা চলে আসবে তো..??


আমিঃ>আরে বাবা আমার বউ আমি যা ইচ্ছে তাই করবো তাতে মা এসে কি করবে..??


আনহাঃ>এই তাড়াতাড়ি রেডি হয়ে নাও নয়তো তোমার অফিসের দেরি হয়ে যাবে..?? 


কথাটা বলতে না বলতেই বাহিরে থেকে আম্মু বলতে শুরু করলো....... 


আম্মুঃ>এই অপুর্ব তাড়াতাড়ি ওঠ অফিসে যাবি কখন..??


আমিঃ>আসছি মা...??


এই অফিসের জ্বালায় বউয়ের সাথে একটু রোমান্স-ও করা যাবে না..??


নতুন বউয়ের সাথে একটু রোমান্স করবো সেটারও কোনো উপায় নেই.??


বিছানা থেকে উঠে ফ্রেশ হয়ে ব্রেকফাস্ট করে নিলাম?? অফিসে যাবো সব ঠিকঠাক করে নিলাম কিন্তু সমস্যা একটাই টাই বাধতে পারি না তাই আম্মুকে ডাকতে শুরু করলাম.......


আমিঃ>আম্মু ও আম্মু...??


আম্মুঃ>আসছি...??


কি ব্যাপার আজকে এতো শান্ত.?? কোনো বকাবকি করছে না.? মনে হয় আজ মুড ভালো আছে.? আম্মু আর আনহা রুমে আসলো.? আর রুমে এসেই আম্মু আমাকে বললো........... 


আম্মুঃ>কি হলো ষাঁড়ের মতো চিৎকার করছিস কেনো.??


আমিঃ>জানতাম এই কথা বলবে কারন এই কথাটা না বললে তোমার পেটের ভাত হজম হয় না..?? 


কথাটা বাহিরে থেকে বললে মনে হয় ফিলিংস কম লাগতো তাই রুমে এসে বললো.?? আমি আম্মুকে বললাম......... 


আমিঃ>মা টাঁই টা বেধে দাও...??


আম্মুঃ>আজ পর্যন্ত একটা টাঁই বাঁধতে পারিস না..??


আমিঃ>এতো কথা বলো কেনো বেঁধে দাওনা..??


আম্মুঃ>তোর বউ টাঁই বাঁধতে পারে,, আমাকে না ডেকে তোর বউকে ডাকলেই তো পারিস..??


আমিঃ>কি বললে ও টাই বাঁধতে পারে.? আগে যদি জানতাম বউ টাই বাঁধতে পারে তাহলে কি তোমাকে ডাকতাম বকা খাওয়ার জন্য....???


আম্মুঃ>তোর তো এটা অভ্যাস বকা না খেলে পেটের ভাত হজম হয় না.? আমি গেলাম আর হ্যা সাবধানে যাস কেমন..??


আমিঃ>আচ্ছা..?? 


আম্মু চলে গেলো.? আনহা আমার সামনে দাঁড়িয়ে টাই বেঁধে দিচ্ছে.? এমনিতেই অনেক কাছে আছে.? তার উপর আবার ওর কোমর ধরে আরো কাছে টেনে নিয়ে আসলাম.? এরপর আনহা আমাকে বললো........... 


আনহাঃ>এই তোমার টাই বাঁধা শেষ..??. 


আমিঃ>তো..??


আনহাঃ>এখন ছেড়ে দাও..?? 


আমিঃ>তুমি টাই বাঁধতে পারো আগে বলবে না...??


আনহাঃ>তুমি কি আমাকে বলেছিলে..??


আমিঃ>তা অবশ্য ঠিক,, আচ্ছা আমি গেলাম..??


আনহাঃ>এই শুনো...??


আমিঃ>হুমম বলো..?? 


আনহাঃ>ভাইয়া রোজ অফিসে যাওয়ার সময় ভাবিকে একটা ইয়ে দেয়..??


আমিঃ>তো তোমারও কি ইয়ে লাগবে..?? 


আনহাঃ>না ইয়ে মানে ভাইয়া ভাবিকে দেয় সেটাই তোমাকে জানালাম..??


আমিঃ>ও আচ্ছা বাচ্চা মেয়ের তো দেখি বুদ্ধি ভালোই আছে..??


আনহাঃ>ওই একদম বাচ্চা বলবে না...?? 


আমিঃ>আচ্ছা বলবো না.? উম্মাহহ এখন যাই..?? 


আনহাঃ>যাই না আসি বলতে হয়..??


আমিঃ>এটা আবার কার কাছ থেকে শিখলে..??


আনহাঃ>এটাও ভাবি ভাইয়াকে সব সময় বলতো..??


আমিঃ>পাগলী আচ্ছা আসি.? মায়ের সাথে থেকো সব সময় কেমন..??


আনহাঃ>আচ্ছা ঠিক আছে..?? 


প্রায় অনেক দিন পর অফিসে গেলাম.? কলিগরা সবাই আমাকে দেখে মজা নিচ্ছে.? তার উপর আবার অনেক দিনের কাজের প্রেসার?? অফিসে গিয়ে সেই লেবেলের ব্যাস্ত হয়ে পড়লাম? বাসায় যে একটা কল করবো সেটা

মনেই ছিলো না?? কারন মোবাইল হাতে নেওয়ার সময় হয়নি..??


রোজ সন্ধা ৭ টার মধ্যে আমি বাড়িতে পৌঁছে যাই। কিন্তু 

আজ ৯ টা বেজে গেছে তবুও আমি অফিসে। 


ফোনটা হাতে নিয়ে দেখি ২০ বার কল দিয়েছে। ফোনটা

সাইলেন্ট মুডে ছিলো যার জন্য বুঝতে পারিনি।


এখন আমি কি কল করবো। না থাক একটু পর তো বাসায় চলে যাবো। 


অবশেষে বাসার উদ্দেশ্য অফিস থেকে বের হলাম ঠিক তখনই মোবাইল বেজে উঠলো। মোবাইলটা হাতে নিয়ে দেখি ভাবি কল করেছে?? কলটা রিসিভ করলাম আর বললাম........... 


আমিঃ>হ্যা ভাবি বলুন...???


ভাবিঃ>তুমি এখন কোথায়..?? 


আমিঃ>এইতো ভাবি মাত্র অফিস থেকে বের 

হলাম..?? 


ভাবিঃ>বাসায় ফিরবে কখন..??


আমিঃ>এইতো এখনই ফিরবো..??


ভাবিঃ>বাসা খেকে যে তোমাকে কল দিয়েছে রিসিভ করোনি কেনো.? বাসায় যে একটা নতুন বউ আছে সেটা কি তোমার মনে আছে..?? 


আমিঃ>মনে থাকবে না কেনো..?? 


ভাবিঃ>একবারও কল করেছো..??


আমিঃ>না করিনি..??


ভাবিঃ>মেয়েটা কান্না করছে..??


আমিঃ>সরি ভাবি....


ভাবিঃ>আমাকে সরি বলে লাভ নেই,, তাড়াতাড়ি 

করে বাসায় চলে যাও..??


আমিঃ>আচ্ছা ঠিক আছে ভাবি..??


ভাবিঃ>আচ্ছা রাখি তাহলে...?? 


আমিঃ>ওকে বায়..??


এই কথা বলে ফোন কেটে দিয়ে তাড়াতাড়ি করে বাসায় চলে গেলাম.? বাসায় ফিরার আগে দোকান থেকে কিছু

চকলেট কিনলাম?


বাসায় এসে কলিং বেল চাপ দিতেই আম্মু এসে দরজা খুলে দিলো?? যেই ভাবে আম্মু আমার দিকে তাকালো মনে হয় আমি কাউকে হত্যা করে এসেছি?? আমার সাথে কোনো কথা বললো না.? তারপর আমি আম্মুক বললাম...................


আমিঃ>আমি আম্মু খিদে পেয়েছে..?? 


আম্মুঃ>টেবিলে রাখা আছে যা খেয়ে নে..?? 


আমিঃ>তোমরা খেয়েছো..??


আম্মুঃ>হুমম খেয়েছি শুধু তোর বউ খায়নি..??


আমিঃ>কেনো..?? 


আম্মুঃ>আমি কি জানি,,তোর মোবাইল কোথায়..?? 


আমিঃ>এইতো আমার কাছেই আছে..??


আম্মুঃ>কতবার ফোন করেছে একবার দেখ..??


আমিঃ>কে ফোন করেছিলো..??


আম্মুঃ>আনহা ফোন করেছিলো.? মেয়েটা কান্না করে  না খেয়ে শুয়ে পড়েছে..???


আম্মুঃ>আচ্ছা ঠিক আছে আম্মু,, তুমি রুমে যাও

আমি আসছি..??


এই কথা বলে আমি রুমে চলে আসলাম?? রুমে এসে দেখি আনহা শুয়ে আছে? ধীরে ধীরে আমি ওর কাছে গেলাম.? গিয়ে দেখি আনহা এখনো কাঁদছে.? ভিতরে কেমন জানি অপরাধ-বোধ কাজ করছে..??


পিছন থেকে আনহার গায়ে হাত দিতেই আমার দিকে ঘুরে তাকালো। আমাকে দেখেই কোনো কথা না বলে জড়িয়ে ধরে কান্না শুরু করলো। আনহার এমন করে কান্না করতে দেখে আমি বললাম...........


আমিঃ>এই পাগলী কি হয়েছে..?? 


আনহা কোনো কথা বলছে না,কান্না করেই যাচ্ছে.? ওর এমন কান্ড দেখে আমি আবার বললাম............ 


আমিঃ>আরে বাবা কান্না করছো কেনো,,বলবে তো কি হয়েছে..?? 


অনেকক্ষণ ধরে চেষ্টা করার পর আনহাকে স্বাভাবিক করলাম। এরপর আমি আনহাকে বললাম......... 


আমিঃ>কি হয়েছে আমাকে বলো..??

 

আনহাঃ>তুমি একবারও আমাকে ফোন করোনি কেনো..?? 


আমিঃ>সরি ভুল হয়ে গেছে..?? 


আনহাঃ>মা বললো তুমি প্রতিদিন ৭ টা বাজে বাসায় আসো। যখন দেখলাম ৭ টা বেজে গেছে কিন্তু তুমি আসোনা তখন কত ভয় হচ্ছিলো জানো তুমি..??


আমিঃ>আর হবে না প্রমিস..??


পাগলীটা এই কয়েক দিনে আমাকে এতটা ভালোবেসে ফেলবে বুঝতে পারিনি.? পাগলীটাকে বুকে জড়িয়ে নিলাম?? এখনো একটু একটু কাঁদছে?? আরে আমার তো মনেই নেই ওর জন্য তো চকলেট নিয়ে এসেছি??

এরপর আমি আনহাকে বললাম........... 


আমিঃ>আনহা..??


আনহাঃ>হুমম


আমিঃ>মুখটা একটু তুলো..??


আনহাঃ>কেনো..?? 


আমিঃ>তোমার জন্য চকলেট নিয়ে এসেছি..?? 


আনহাঃ>আমার চকলেট লাগবে না..?? 


আমিঃ>কেনো চকলেট লাগবে না..?? 


আনহাঃ>তাহলে তুমি রোজ দেরি করে বাসায় আসবে..??


আমিঃ>কে বললো রোজ দেরি করে বাসায় আসবো..??


আনহাঃ>বাবা এমন করতো..??


আমিঃ>আচ্ছা ঠিক আছে.? ডিনার করোনি 

কেনো..?? 


আনহাঃ>তোমাকে ছাড়া খেতে ইচ্ছে করছে 

না তাই..??


আমিঃ>আচ্ছা চলো খেতে যাই..?? 


কথাটা বলে আমি আনহাকে নিয়ে খাবার খেতে ডাইনিং টেবিলে আসলাম?? এরপর দুজনে খাবার খেতে শুরু করলাম? আমি আনহাকে খাইয়ে দিচ্ছি?? খাবার শেষ করে ওকে কোলে করে রুমে নিয়ে আসলাম?? তারপর আমি আনহাকে বললাম.............. 


আমিঃ>আনহা একটা কথা বলবো..?? 


আনহাঃ>হুমম বলো..??


আমিঃ>আর কখনো কান্না করবে না,, কান্না করলে তোমাকে পেত্নীর মতো লাগে..??


আমার কথাটা শুনে আনহা রেগে গিয়ে আমার কলার ধরে বললো.....


আনহাঃ>কিহহ আমি পেত্নী..?? 


আমিঃ>সেটা তো বলিনি..?? 


আনহাঃ>তাহলে কি..??


আমিঃ>কিছু না..??


আনহাঃ>এই আমি চকলেট খাবো..??


আমিঃ>আচ্ছা খাও,,অনেক গুলো নিয়ে এসেছি..?? 


আনহাঃ>ওইই চকলেট না..??


আমিঃ>তাহলে কোন চকলেট..?? 


আনহাঃ>সেদিন আমি তোমাকে যে চকলেট দিয়েছিলাম সেটা খাবো..??


আমিঃ>তো খাও আমি কি মানা করেছি..??


কথাটা শেষ করতে না করতেই আনহা আমাকে একটা পাপ্পি দিলো.? তবে পাপ্পি দিয়ে বউ মনে হয় লজ্জা পেয়েছে.? তাই লজ্জায় আমার বুকে মুখ লুকিয়েছে.??

ওর লজ্জা মাখা মুখ দেখে আমি বললাম.............


গল্পঃ_ফুলের_মতো_বউ_(পর্ব_০৭)

                     অবুঝ বউয়ের ভালোবাসা।

লেখকঃ আব্দুল্লাহ আল শাহজালাল। 


কথাটা শেষ করতে না করতেই আনহা আমাকে একটা পাপ্পি দিলো.? তবে পাপ্পি দিয়ে বউ মনে হয় লজ্জা পেয়েছে.? তাই লজ্জায় আমার বুকে মুখ লুকিয়েছে.??

ওর লজ্জা মাখা মুখ দেখে আমি বললাম.............


আমিঃ>কি হলো মহারাণী আপনি কি লজ্জা পেয়েছেন..??


আনহাঃ>কই না তো..??


আমিঃ>তাহলে মুখ লুকিয়েছেন কেনো..??


আনহাঃ>এমনি..??


আমিঃ>ঘুমাবেন না..??


আনহাঃ>হুমম ঘুমাবো..??


আমিঃ>তো চলুন শুয়ে পড়ি..??


আনহাঃ>আচ্ছা আমাদের বেবি কবে হবে..??


আমিঃ>তোমার মাথায় আবার বেবির চিন্তা আসলো কোথায় থেকে..?? 


আনহাঃ>ভাবি বলেছে..??


আমিঃ>কি বলেছে ভাবি..??


আনহাঃ>বলেছে যদি বেবি হয় তাহলে বেবির জন্য হলেও বারবার ফোন করবে..??


আমিঃ>আরে পাগলী আমাদের বিয়ের তো এখনো

এক মাস হয়নি..??


আনহাঃ>তাই বলে কি আমাদের বেবি হবে না..??


আমিঃ>কিছুদিন যাক তারপর..??


আনহাঃ>না আমার এক্ষুনি বেবি লাগবে তুমি 

আমাকে ফোন করো না..??


আমিঃ>কাল থেকে রোজ ফোন করবো ওকে..??


আনহাঃ>সত্যি..?? 


আমিঃ>হ্যা সত্যি,, এখন চলো ঘুমাবো..??


আনহাঃ>হুমম চলো..??


এরপর দুজনে শুয়ে পড়লাম.? আনহা আমাকে জড়িয়ে ধরে আছে.? পাগলীটা ওর বালিশ রেখে আমার বুকের উপরে শুয়ে আছে.? 


এটাই তো চেয়েছিলাম আল্লাহর কাছে?? সকাল বেলায় কারো ভেজা চুল থেকে কয়েক ফোঁটা জল আমার মুখে পড়লো..?? চোখ খুলে দেখি একটা পরী আমার সামনে বসে আমার দিকে তাকিয়ে আছে.? 


আমার চোখ তো সরাতেই পারছি না ওর দিক থেকে.?? ইচ্ছে করছে অনন্ত কাল ধরে এই ভাবে তাকিয়ে থাকি ওর দিকে। আমার এমন তাকানো থাকতে দেখে আনহা বললো.......


আনহাঃ>এই এমন হা করে কি দেখছো..??


আমিঃ>পরী দেখছি..??


আনহাঃ>তাই..??


আমিঃ>হুমম.? বাচ্চা মেয়েটাকে আজ অনেক

বড় লাগছে..??


আনহাঃ>আমি কি এখনো বাচ্চা আছি..??


আমিঃ>না না আপনি তো এখন অনেক বড় হয়ে গেছেন..??


আনহাঃ>হুমম.? অফিসে যাবে না..?? 


আমিঃ>ইচ্ছে করছে না তবুও যেতে হবে..?? 


আনহাঃ>হুমম তাহলে উঠো..??


আমিঃ>একটু কাছে আসো না..?? 


আনহাঃ>না না তুমি দুষ্টুমি করবে..?? 


আমিঃ>আমি একাই করি দুষ্টুমি আর আপনি 

করেন না তাইনা..??


আনহাঃ>আমি কখন করলাম..?? 


আমিঃ>আচ্ছা ঠিক আছে আমিও আর দুষ্টুমি 

করবো না..?? 


আনহাঃ>এই রাগ করছো..?? 


আমিঃ>আমি কারো উপর রাগ করি না..??


আনহাঃ>তাহলে মুখ ঘুরালে কেনো..?? 


আমিঃ>আমার ইচ্ছে তাই..??


আনহাঃ>আমার দিকে তাকাও..??


আমিঃ>পারবো না..??


আনহাঃ>কান্না করবো কিন্তু..?? 


আমিঃ>এই না না কান্না করো না..?? 


আনহাঃ>তাহলে রাগ করছো কেনো..?? 


আমিঃ>আচ্ছা ঠিক আছে বাবা আর করবো না..?? 


আনহাঃ>সত্যি তো..??


আমিঃ>হ্যা সত্যি..?? 


আনহাঃ>তাহলে জড়িয়ে ধরো..??


আমিঃ>পাগলী একটা..??


এরপর উঠে ফ্রেশ হয়ে ব্রেক-ফাস্ট করে অফিসে চলে গেলাম.? দুপুর বেলায় মনে হলো আনহাকে তো ফোন করিনি.? তাই সাথে সাথে বাসায় ফোন করলাম,,আর বললাম.......... 


আমিঃ>হ্যালো আম্মু..??


আম্মুঃ>হুমম বল..??


আমিঃ>দুপুরে খেয়েছো...??


আম্মুঃ>হ্যা তুই..??


আমিঃ>আমি এখনো খাইনি,,আনহা খেয়েছে..?? 


আম্মুঃ>না খায়নি..??


আমিঃ>আচ্ছা,,কোথায় ও..??


আম্মুঃ>দাঁড়া দিচ্ছি..?? 


এরপর আম্মু আনহাকে মোবাইলটা দিলো? মোবাইলটা হাতে নিয়ে আনহা আমাকে বললো........ 


আনহাঃ>হুমম বলো..??


আমিঃ>এই যে মহারাণী আপনি এখনো খাবার

খাননি কেনো..??


আনহাঃ>খিদে পায়নি,, আর খাওয়ার আগে তো তোমাকে ফোন করতাম...??


আমিঃ>ওও আচ্ছা..?? 


আনহাঃ>তুমি খেয়েছো..??


আমিঃ>না খাইনি..??


আনহাঃ>কখন খাবে..??


আমিঃ>একটু পরে খেয়ে নিবো..?? 


আনহাঃ>তাড়াতাড়ি খেয়ে নিও কিন্তু..?? 


আমিঃ>আচ্ছা ঠিক আছে..?? 


আনহাঃ>বাসায় কখন আসবে..??


আমিঃ>সন্ধ্যায়..??


আনহাঃ>গতদিনের মতো দেরি করবে না কিন্তু..?? 


আমিঃ>তোমার ফোন নাম্বার টা দাও তো..??


আনহাঃ>আমার তো ফোন নাম্বার নেই..?? 


আমিঃ>তোমার হাতে ফোন দেখলাম যে..??


আনহাঃ>শুধু ফোনটা আছে সিম নেই..?? 


আমিঃ>তাহলে ফোন কিনেছো কিসের জন্য..?? 


আনহাঃ>গেমস খেলার জন্য..?? 


আমিঃ>হায়রে বাচ্চা মেয়ে..?? 


আনহাঃ>কি বললে..??


আমিঃ>কিছু না,,বায় মহারাণী..?? 


আনহাঃ>এই তাড়াতাড়ি বাসায় আসবে কিন্তু..?? 


আমিঃ>আচ্ছা ঠিক আছে আসবো..??


এরপর কলটা কেটে দিয়ে অফিসের কাজে মনোনিবেশ করলাম.? কাজের চাপে আজকেও দেরি হয়ে গেলো??

পাগলীটা মনে হয় আজকেও কান্না করেছে.? অফিসের কাজ শেষ করে তাড়াতাড়ি বাসায় চলে আসলাম??


বাসায় এসে কলিং বেল চাপ দিতেই আনহা এসে দরজা খুলে দিলো.? দরজা খুলে দিয়েই আনহা চলে গেলো?? 


একি আজকে আনহা আমার সাথে কথা না বলে চলে গেলো?? মনে হয় কোনো ঘাবলা আছে?? 


আম্মু আর আনহা বসে বসে টিভি দেখতেছে?? আমি আসার পর আনহা আর টিভিও দেখলো না? চুপচাপ রুমে চলে গেলো? এরপর আমি আম্মুকে বললাম..... 


আমিঃ>আম্মু খেয়েছো..??


আম্মুঃ>না তোর জন্য বসে আছি.? তোর আব্বুও খায়নি..??


আমিঃ>আব্বু এসেছে..??


আমিঃ>হ্যা..??


আমি রুমে গিয়ে আব্বুর সাথে দেখা করে আমার রুমে

চলে আসলাম? আমার রুমে এসে দেখি আনহা ফোনে গেমস খেলছে.? চুপিচুপি ওর কাছে গেলাম.? 


এরপর পেছন থেকে জড়িয়ে ধরলাম? আনহা কিছুটা চমকে উঠলো? কি আজব কোনো কথাই বললো না?

বুঝতে পারছি নিশ্চয়ই অভিমান করেছে তাই আমি আনহাকে বললাম.......... 


আমিঃ>কি ব্যাপার কথা বলবে না..?? 


আনহাঃ>.........??


আমিঃ>এমন করে না লক্ষী বউ.? আম্মু খেতে ডাকছে চলো খেতে যাই..??


আনহা আমার সাথে কোনো কথা না বলে মোবাইলটা রেখে বাহিরে চলে গেছে?? আমিও ফ্রেশ হয়ে খাবার খেতে আসলাম.?


খাওয়া দাওয়া শেষ করে আনহা রুমে চলে আসলো??

আমি বসে বসে আব্বুর সাথে ব্যাবসা নিয়ে একটু কথা বলেছিলাম.? তারপর আমিও রুমে চলে আসলাম??


কিন্তু বউ তো এখনো আমার সাথে কথা বলছে না?? দেরি করে বাসায় এসেছি এটাই আমার দোষ? ওহহ গড এখন কিভাবে বউয়ের রাগ ভাঙাবো??


গত কালকে অফিস থেকে এসে বউয়ের কত আদর পেয়েছি,,কিন্তু আজ বউ আমার সাথে কথাই বলছে না.?? মনে মনে অফিস অফিসের বস আর কাজের গুষ্টি শুদ্ধো উদ্ধার করলাম.??


আনহা রুমে এসে ফোন নিয়ে আবার গেমস খেলছে??

এখন তো ইচ্ছে করছে ফোনটাই ভেঙে ফেলি? এরপর আমি আনহাকে বললাম........... 


আমিঃ>আনহা রাণী..??


আনহাঃ>.........??


আমিঃ>ওও আনহা রাণী..??


আনহাঃ>কি হয়েছে কি..??


আমিঃ>আরে কথা বলো না কেনো..?? 


আনহাঃ>কখন আসার কথা ছিলো..??


আমিঃ>সরি তো..??


আনহাঃ>আমার বেবি চাই..??


আমিঃ>আবার..??


আনহাঃ>তুমি আমায় বেবি দিবে কিনা বলো..??


কথাটা কান্না করতে করতে বললো.? ওর এমন কান্না মাখা মুখ দেখে আমি বললাম.......... 


আমিঃ>এই পাগলী তুমি কান্না করছো কেনো..?? 


আনহাঃ>তুমি খুব বাজে,, খুব খুব খুব বাজে..??


আমিঃ>কি বললে আমি খুব বাজে..??


আনহাঃ>হ্যা তুমি খুব বাজে..?? 


আমিঃ>সত্যি..?? 


আনহাঃ>না..??


আমিঃ>পাগলীএকটা.? সরি বউ আর এমন

হবে না..?? 


আনহাঃ>এটা কালকেও বলেছিলে..??


আমিঃ>কাজের চাপ ছিলো তো..??


আনহাঃ>সব সময় শুধু কাজ আর কাজ। আমার কথা তোমার মনেই পড়ে না তাইনা..??


আমিঃ>কে বলেছে মনে পড়ে না.? আমি তো সব সময় তোমার কথা ভাবি..??


আনহাঃ>মিথ্যা কথা,, তাহলে একবারও ফোন 

করোনি কেনো..??


আমিঃ>করেছিলাম তো...??


আনহাঃ>শুধু একবার..??


আমিঃ>তাহলে কয়বার করবো..??


আনহাঃ>ভাইয়া দুই ঘন্টা পর পর ভাবিকে 

ফোন করে..??


আমিঃ>আচ্ছা বাবা আমিও করবো,,এবার কান্না থামাও..??


আনহাঃ>আমি জানি তুমি করবে না..?? 


আমিঃ>আরে পাগলী বলছি তো করবো..??


আনহাঃ>সত্যি তো..??


আমিঃ>হুমম সত্যি? আর তাছাড়া কালকে তো রবিবার কালকেও কি অফিসে যাবো নাকি..??


আনহাঃ>ও হ্যা তাইতো কালকে তো রবিবার..??


বউয়ের মুখে হাসি ফুটেছে? প্রিয় মানুষের সাথে সময় কাটাতে মানুষ এতো খুশি হয় ওকে না দেখলে বুঝতে পারতাম না.? এরপর আমি আনহাকে বললাম......... 


আমিঃ>তো এখন..??


আনহাঃ>এখন কি..??


আমিঃ>আমি কি আমার পাওনা আদর পাবো না..?? 


আনহাঃ>না পাবে না..??


আমিঃ>কেনো..?? 


আনহাঃ>কারন তুমি অপরাধ করেছো আর 

এটা তার শাস্তি..?? 


আমিঃ>কি বলো,, এমন করো না প্লিজ..?? 


আনহাঃ>বেশি কথা বলো কেনো,, যাও ঘুমাও..?? 


পিচ্চি বউ দেখি রীতিমতো শাসন করছে? এমনটাই তো চেয়েছি.?? কেউ একজন আমাকে ভালোবাসবে আদর করবে শাসন করবে.??


মহান আল্লাহ তায়ালার কাছে অনেক অনেক শুকরিয়া আনহাকে আমার জীবন সঙ্গী হিসেবে দেওয়ার জন্য?? 

এরপর আমি আনহাকে বললাম.......... 


আমিঃ>সত্যি তুমি আমার সাথে এমন করতে পারবে..?? 


আনহাঃ>হ্যা পারবো..??


আমিঃ>এটাও কি তোমাকে ভাবি শিখিয়ে দিয়েছে..?? 


আনহাঃ>হুমম.? হয় তুমি আমাকে বেবি দিবে নয়তো আজ থেকে তোমার আদর বন্ধ..?? 


আমিঃ>বেবি এখন হবে কিভাবে,অনেক 

দেরি হবে..??


আনহাঃ>না আমার বেবি এখনই লাগবে..??


আমিঃ>আচ্ছা গুগল থেকে ডাউন লোড করে 

নামিয়ে দেই..??


আনহাঃ>কিহহ আমার সাথে পাইজলামি হচ্ছে..?? 


আমিঃ>তাহলে তোমাকে এই মুহূর্তে বেবি কোথায়

থেকে দিবো..??


আনহাঃ>তাহলে যাও নিচে শুয়ে পড়ো..??


আমিঃ>সিরিয়াসলি..??


আনহাঃ>হুমম..??


আমিঃ>কালকেই থানায় গিয়ে পুরুষ নির্যাতনের

মামলা করবো..??


আনহাঃ>যা ইচ্ছে তাই করো আমি কাউকে 

ভয় পাই না..?? 


আমার তো এখন সন্দেহ হচ্ছে.?? কেউ আমার বউকে বদলে নিয়ে গেলো না তো? আমার বউ তো দেখি বড্ড চালাক হয়ে গেছে? রীতিমতো আমাকে শাসন করছে?

এরপর আমি আনহাকে বললাম........ 


আমিঃ>আচ্ছা যাচ্ছি তার আগে একটা কথা বলবো..?? 


আনহাঃ>কি কথা বলবে বলো..??


আমিঃ>আজকে সারাদিন কার কার সাথে কথা বলেছো..??


আনহাঃ>কেনো..?? 


আমিঃ>এটাও একটা গেম..??


আনহাঃ>ভাবি আর আব্বুর সাথে..??


শ্বশুর মশাই তো এমন কিছুই করবে না.? তাহলে কে এমনটা করলো.? যার কারনে বউ আমাকে এতোটা অত্যাচার নির্যাতন করছে.? এরপর আমি আনহাকে বললাম....... 


আমিঃ>কার সাথে বেশিক্ষণ কথা বলেছো..??


আনহাঃ>কেনো ভাবির সাথে..?? 


আমিঃ>ও আচ্ছা..??


আনহাঃ>এখানে গেমের কি হলো..??


আমিঃ>অনেক কিছু.? এখন চলো ঘুমাবো..??


আনহাঃ>এই তুমি নিচে নামো..?? 


আমিঃ>সত্যি সত্যি উপরে ঘুমাতে দিবে না..?? 


আনহাঃ>না একদম না,,নিচে নামো বলছি..??


আমি আর কিছুই বললাম না?সোজা নিচে একটা চাদর বিছিয়ে নিলাম?


পাশের রুম থেকে কোলবালিশটা নিয়ে আসলাম.?যেটা বিয়ের পর অন্য রুমে রেখে দিয়েছি সেই কোলবালিশটা আবার আনতে হলো.? একাই নিচে শুয়ে পড়লাম.?? 


মোবাইলটা হাতে নিয়ে কিছুক্ষন গল্পটা লিখলাম? লিখে 

মোবাইলটা পাশে রেখে চুপচাপ শুয়ে পড়লাম.? একটু পর আনহা আমাকে বলতে শুরু করলো......... 


আনহাঃ>এই ঘুমালে..??


আমি শুনেও না শোনার ভান করে আছি?? আরো বেশ কয়েকবার আনহা আমাকে এই ভাবে ডাকলো?? কিন্তু আমি আগের মতো চুপচাপ শুয়ে আছি.?? 


এরপর আনহা নিচে নামলো আর আমাকে জড়িয়ে ধরে শুয়ে পড়লো? আমি তো মনে মনে খুব হাসছি.? এরপর

একটু জেগে যাওয়ার অভিনয় করলাম,,,এবং জেগেই গেলাম? কারন আনহা যেনো বুঝতে পারে আমি ঘুমিয়ে 

ছিলাম তাই একটু চমকে উঠলাম আর বললাম........... 


গল্পঃ_ফুলের_মতো_বউ_(পর্ব_০৮)

                     অবুঝ বউয়ের ভালোবাসা।

লেখকঃ আব্দুল্লাহ আল শাহজালাল। 


আমি শুনেও না শোনার ভান করে আছি?? আরো বেশ কয়েকবার আনহা আমাকে এই ভাবে ডাকলো?? কিন্তু আমি আগের মতো চুপচাপ শুয়ে আছি.?? 


এরপর আনহা নিচে নামলো আর আমাকে জড়িয়ে ধরে শুয়ে পড়লো? আমি তো মনে মনে খুব হাসছি.? এরপর

একটু জেগে যাওয়ার অভিনয় করলাম,,,এবং জেগেই গেলাম? কারন আনহা যেনো বুঝতে পারে আমি ঘুমিয়ে 

ছিলাম তাই একটু চমকে উঠলাম আর বললাম...........


আমিঃ>একি তুমি এখানে..??


আনহাঃ>তাহলে কোথায় থাকবো..??


আমিঃ>খাটে যাও..??


আনহাঃ>তুমিও চলো..??


আমিঃ>লাগবে না আমি এখানেই বেশ ভালো 

আছি..??


আনহাঃ>তাহলে আমিও এখানে থাকবো..??


আমিঃ>থান্ডা লেগে যাবে তো..??


আনহাঃ>তোমারও তো থান্ডা লেগে যাবে,,তুমিও  উপরে চলো..?? 


আমিঃ>কেনো..?? 


আনহাঃ>তোমায় ছাড়া আমার ঘুম আসে না..?? 


আমিঃ>তো আমি কি করবো..?? 


আনহাঃ>খাটে চলো..??


আমিঃ>আচ্ছা চলো..??


বউকে নিয়ে খাটে আসলাম আর বললাম.......


আমিঃ>জানতাম পারবে না তবুও কেনো নিচে 

শুতে বললে..??


আনহাঃ>তুমি দেরি করে আসো কেনো। আমার বাজে লাগেনা বুঝি.? তাই রাগ করে বলেছি..??


আমিঃ>আমি বলছি তো আর হবে না..?? 


আনহাঃ>গতদিনেও এই কথা বলেছো..??


আমিঃ>আচ্ছা বাবা সরি..??


আনহাঃ>আমায় একটা বেবি দিবে..??


আমিঃ>এই বেবির ভুত আবার চাপলো..??


আনহাঃ>দিবে কিনা সেটা বলো..??


আমিঃ>দিবো বাবা দিবো,, আমি আগে একটু স্যাটিসফাই হই তারপর..??


আনহাঃ>আচ্ছা..?? 


আমিঃ>এখন আমার আদরটা..??


আনহাঃ>আচ্ছা উম্মাহহ🥰🥰


তারপর দুই জনে কিছুক্ষণ উম্মাহ উম্মাহহ করে ঘুমিয়ে 

পড়লাম? আজকে একটু তাড়াতাড়ি ঘুম ভেঙে গেলো?

আনহা রুমে নেই মনে হয় ওয়াশ রুমে? কোলবালিশটা নিচে পড়ে আছে? তাড়াতাড়ি ওটা তুলে নিলাম?এবার

কোলবালিশটা জড়িয়ে ধরে শুয়ে পড়লাম? 


কিছুক্ষণ পর আনহা রুমে আসলো? এসে আমার দিকে তাকিয়ে আছে? তবে সেটা রাগী লুক নিয়ে? তবে আমি সেটা খুব ভালো করে জানি কোলবালিশ নিয়েছি বলেই রাগ করেছে??


আমি চুপি চুপি ওর দিকে তাকাচ্ছি  কিন্তু আনহা বুঝতে পারছে না? রাগে তো একদম লাল টমেটো হয়ে গেছে? 

না জানি কি করে বসে? তবে আজ রবিবার ছুটির দিন?

আজকে সারাদিন তোমাকে জ্বালাবো বউ??


আপনাদের কাছে বউ জ্বালানোর কোনো উপায় জানা থাকলে অবশ্যই অবশ্যই কমেন্ট করে জানাবেন??

আমার কাছেও বউ জ্বালানোর আইডিয়া আছে তবুও আপনাদের কাছ থেকে শিখতে চাই??


কোনো কথাই বলছি না চুপ করে শুয়ে আছি?? আনহা বেশ কয়েকবার আমাকে জাগানোর চেষ্টা করলো কিন্তু আমি তো জেগেই আছি আমায় আর কি জাগাবে?? 

এরপর আনহা আমাকে বললো....... 


আনহাঃ>এই উঠো না আর কতো ঘুমাবে..??


আমি ধীরে ধীরে চোখ খুললাম আর বললাম.......... 


আমিঃ>কি হয়েছে ডাকছো কেনো..?? 


আনহাঃ>আর কতো ঘুমাবে..??


আমিঃ>আর একটু ঘুমাই..??


আনহা আমার আরো কাছে এসে আমার মুখের কাছে মুখ নিয়ে আসলো? আমি ইচ্ছে করে কোলবালিশটার মাঝে মুখ লুকালাম? এবার আর আনহার দিকে না তাকিয়ে চুপচাপ শুয়ে রইলাম? 


কিছুক্ষণ পর একটু একটু কান্নার শব্দ ভেসে আসতে লাগলো? পাগলীটা কি কান্না করছে নাকি? তাকিয়ে দেখি পাগলীটা সত্যি সত্যি কান্না করছে.? ওর এমন কান্ড দেখে আমি বললাম............

আমিঃ>এই পাগলী কান্না করছো কেনো..?? 


আনহাঃ>তুমি যদি কোলবালিশকে এতো ভালোবাসবে তাহলে আমাকে বিয়ে করার কি দরকার ছিলো..??


আমিঃ>মানে কি বলছো..??


আনহাঃ>তুমি কোলবালিশকে জড়িয়ে ধরে শুয়ে আছো আমার দিকে একটি বারের জন্যেও তাকাও না..??


আমিঃ>আরে বাবা বেশ কিছুদিন পর কোলবালিশটা পেলাম অনেক দিনের বন্ধু..??


আনহাঃ>কোলবালিশ পেয়ে তুমি আমাকে ভুলে গেছো..?? 


আমিঃ>কি বলো কিভাবে..??


আনহাঃ>তুমি আমার দিকে একবারও তাকাওনি..??


আমিঃ>তাকালাম তো..??


আনহাঃ>আমি শাড়ি পড়েছি দেখেছো..??


বউটাকে দেখার জন্য মনের ভিতর লাড্ডু ফুটেছে। কিন্তু 

না তাহলে সব শেষ হয়ে যাবে?? এই জন্য হালকা ভেবে বললাম.......... 


আমিঃ>হ্যা দেখেছি অনেক ভালো লাগছে..?? 


আনহাঃ>কোলবালিশ পেয়ে আজ তুমি আমাকে একবারও জড়িয়ে ধরলে না..??


আমিঃ>শাড়ি পড়েছো তাই,, কারন শাড়ি সমস্যা 

করতে পারে..??


আনহাঃ>তাহলে এক্ষুনি শাড়ি চেঞ্জ করছি..??


এই যা এবার ফেসে গেলাম মনে হয়?? আনহা আমার কাছ থেকে উঠে একটু পাশে গিয়ে শাড়ি খুলতে শুরু করলো? আমি চুপিচুপি পিছনে গিয়ে জড়িয়ে ধরলাম আর বললাম........... 


আমিঃ>এই পাগলী কি করছো..??


আনহাঃ>শাড়ি খুলছি..??


আমিঃ>কেনো..?? 


আনহাঃ>শাড়ি সমস্যা করে তাই..?? 


আমিঃ>কে বলেছে..??


আনহাঃ>তুমিই তো বলেছো..??


আমিঃ>আমি তো তোমাকে রাগানোর জন্য বলেছি..??


আনহাঃ>কেনো..?? 


আমিঃ>আমার পিচ্চি বউটাকে আমি না রাগালে 

কে রাগাবে..??


আনহাঃ>আমি কিন্তু বাচ্চা নেই..??


আমিঃ>শাড়ি পড়ার কারনে বাচ্চা বউটাকে অনেক 

বড় লাগছে...??


আনহাঃ>আমি বাচ্চা না..??


আমিঃ>তাহলে একটু আগে ভ্যা ভ্যা করে কান্না শুরু করেছিলে কেনো...?? 


আনহাঃ>তুমি আমার দিকে তাকাওনি তাই..??


আমিঃ>শুধু এটার জন্য..?? 


আনহাঃ>হুমম আর আমার আদর কোলবালিশকে দিচ্ছো..?? 


আমিঃ>পাগলী একটা তোমার আদরের ভাগ কেউ নিতে পারবে না..??


আনহাঃ>সত্যি করে বলো আমার আদরের ভাগ 

কখনো কাউকে দিবানা..??


আমিঃ>কখনো না,, আমার এতো সুন্দর পিচ্চি বউ থাকতে কাকে আদর করতে যাবো বলো..??


আনহাঃ>তাহলে কোলবালিশটা আমি লুকিয়ে রাখবো..??


আমিঃ>কেনো ওটা আবার কি করলো..??


আনহাঃ>ওটা তো আজ আমার আদরের ভাগ নিয়েছে..??


আমিঃ>ওটা তো কোনো মেয়ে না..??


আনহাঃ>তাতে কি হয়েছে? বেশি কথা বললে আমি ওটাকে কেটে ফেলবো..??


আমিঃ>এই না তুমি ওটাকে লুকিয়ে রাখো এটাই বেটার..??


আনহাঃ>আচ্ছা ঠিক আছে..?? 


আমিঃ>তো আমি এখন আদর করবো কাকে..??


আনহাঃ>কেনো আমায় করবে..??


এবার বউকে কোলে তুলে নিলাম? তারপর নিয়ে খাটে রাখলাম? খাটে নিয়ে রাখতেই বউ আমাকে বললো..... 


আনহাঃ>এই কি করছো..??


আমিঃ>আমার পিচ্চি বউকে আদর করছি..??


আনহাঃ>এখন হবে না? তুমি গিয়ে গোসল করে নাস্তা করতে আসো..?? 


আমিঃ>আর তুমি..??


আনহাঃ>আমি মায়ের সাথে খাবার রেডি করবো..??


আমিঃ>আর একটু পরে যাও..?? 


আনহাঃ>না এমনিতেই অনেক দেরি হয়ে গেছে..?? 


আমিঃ>আচ্ছা যাও..??


আমি ওয়াশ রুম থেকে ফ্রেশ হয়ে নাস্তা করতে গেলাম?

গিয়ে দেখি আব্বু আম্মু সবাই বসে আছে? আনহা শাড়ি পড়েছে বলে সবাই বলছে ওকে অনেক সুন্দর লাগছে.?


আমি শুধু শুনছি আর মনে মনে বলছি..দেখতে হবে না বউটা কার.? 


তবে অবাক হলাম এটা দেখে যে আনহা আব্বুর সাথে হেসে হেসে কথা বলছে.? আমি যাকে এতো ভয় পাই তার সাথে হেসে হেসে কথা বলছে আনহা?? 


আমি গিয়ে চুপচাপ বসে পড়লাম?? চেয়ারে বসতেই আম্মু আমাকে বললো.......... 


আম্মুঃ>আজ দুপুরে রান্না হবে না..?? 


আমিঃ>কেনো আম্মু..?? 


আম্মুঃ>আমার রান্না করতে ভালো লাগছে

না তাই..??


আমিঃ>আজকে তো সানডে আমার ছুটি..??


আম্মুঃ>তো..?? 


আমিঃ>আজকে আমি আর আনহা রান্না 

করবো..?? 


আনহাঃ>কিন্তু আমি তো ভালো করে রান্না 

করতে পারি না..?? 


আমিঃ>আমি শিখিয়ে দিবো..?? 


আনহাঃ>আচ্ছা..?? 


আব্বুঃ>এবার একজন নতুন মেম্বার আনার 

ব্যাবস্থা করো..??


আমিঃ>মানে..??


আব্বুঃ>তুই তো আর আমার ব্যাবসা দেখবি না তাইনা? আমিও তে বুড়া হয়ে যাচ্ছি। আমার নাতিকে আমার ব্যাবসা বুঝিয়ে দিতে হবে না? তাড়াতাড়ি একটা নাতি আনার ব্যাবস্থা করো..?? 


আমি কোনো কথা বলছি না? শুধু নিচের দিকে তাকিয়ে 

কথা গুলো শুনছি?? কিছুক্ষণ পর আড়চোখে আনহার দিকে তাকালাম? তাকিয়ে দেখি ও মিটিমিটে হাসছে??

শুধু হাসছে না আব্বুর দিকে তাকিয়ে ধন্যবাদ বলছে??


বুঝতে পারলাম এটা ওদের মাস্টারপ্ল্যান? কিছুক্ষণ পর আব্বু আনহাকে বলে উঠলো......... 


আব্বুঃ>এই আনহা..??


আনহাঃ>জ্বি বাবা বলুন..??


আব্বুঃ>আমি আর তোমার মা একটু বাহিরে যাবো সন্ধায় ফিরবো। তোমরা শুধু নিজেদের খাবার 

রান্না করিও..??


আনহাঃ>আচ্ছা ঠিক আছে..?? 


এরপর আব্বু আম্মু নাস্তা শেষ করে রেডি হয়ে আব্বুর কোন বন্দুর বাসায় চলে গেলেনা? আমি রুমে এসে শুয়ে পড়লাম?কিছুক্ষণ পর আনহা রুমে এসে হাসতে লাগলো? ওকে এমন হাসতে দেখে আমি বললাম....... 


আমিঃ>কি হলো হাসছো কেনো..?? 


আনহাঃ>আমায় বেবি দিবেনা তুমি.? এবার

কোথায় যাবে..??


আমিঃ>জানি তো তোমরা সবাই মিলে মাস্টারপ্ল্যান করছো..??


আনহাঃ>হুমম..??


আমিঃ>দাঁড়াও দেখাচ্ছি মজা..?? 


কথাটা বলেই আনহাকে টেনে খাটের উপর শুইয়ে দিলাম? ঠিক তখনই আনহা বলে উঠলো..........


আনহাঃ>রান্না করতে হবে না..?? 


আমিঃ>আব্বু আম্মু তো চলে গেছে সুতরাং আমরা আজকে বাহিরে খেয়ে নিবো..?? 


আনহাঃ>না তুমি আজ আমাকে রান্না শিখাবে.? মা বলেছে তুমি অনেক ভালো রান্না করতো পারো.??


আমিঃ>আম্মু তোমাকে শিখিয়ে দিবে..??


আনহাঃ>না তুমি...??


আমিঃ>কি করতে হবে আমাকে..??


আনহাঃ>তুমি শুধু আমায় বলবে কোনটা কখন 

কতটুকু দিতে হবে..?? 


আমিঃ>আচ্ছা চলো..??


আনহা আর আমি রান্না ঘরে আসলাম? আমি সব কিছু দেখিয়ে দিচ্ছি আর ও তাই তাই করছে? কিন্তু আমি আনহাকে পিছন থেকে জড়িয়ে ধরার লোভ সামলাতে পারলাম না?


পিছন থেকে জড়িয়ে ধরলাম.? আনহা চমকে উঠলো এবং শিউরে উঠলো? হাতে থাকা বাটিটা ফ্লোরে পড়ে গেলো.? এমনকি বাটিটা ভেঙেও গেলো??


নিজেদের অজান্তে কোনো এক অজানা দেশে হারিয়ে যাচ্ছি আমরা.? হটাৎ আনহা চিৎকার করে উঠলো?? আনহার চিৎকারে বাস্তবে ফিরে আসলাম?? 


নিচের দিকে তাকিয়ে দেখি আনহার পা কিছুটা কেটে গেছে?? পড়ে যাওয়া বাটিরে একটা ভাঙা টুকরোতে লেগে? আনহা অনেক কান্না করছে? ওর কান্না দেখে আমি বললাম.........


আমিঃ>এই পাগলী কান্না করছো কেনো

আমি আছি তো..??


আনহাঃ>.......??[কান্না করেই যাচ্ছে ]


আমিঃ>আরে বাবা কিচ্ছু হবে না কান্না করিও না প্লিজ..??


কিন্তু পাগলীটা আমার কোনো কথা শুনছে না? কান্না করেই যাচ্ছে? এখন ওর ভয়টা কাটাতে হবে? আনহা শক্ত করে জড়িয়ে ধরে আছে আমাকে? 


মাঝে মাঝে একটু কান্না করতে চাইলেও পারছে না কারন আমি ধমক দিয়ে চুপ করিয়ে দিচ্ছি?


এরপর আনহাকে কোলে করে রুমে নিয়ে গেলাম? রুমে গিয়ে ওর পা ব্যান্ডেজ করে দিলাম? এরপর ওকে খাটে শুইয়ে দিয়ে আমি রান্না ঘরে আসলাম? রান্না শেষ করে আবার রুমে গেলাম? গিয়ে দেখি আনহা ঘুমিয়ে গেছে?


তাই ওকে আর না ডেকে আমি ছাদে চলে গেলাম? ছাদ থেকে এসে দেখি আনহা জেগে আছে? আর বাচ্চাদের মতো ভ্যা ভ্যা করে কান্না করছে? ওর এমন কান্না দেখে একটু ধমকের গলায় বললাম............. 


আমিঃ>এই বাচ্চা মেয়ে কান্না করছো কেনো..?? 


এক ধমকে কান্না স্টপ হয়ে গেলো? বুঝতে পারছি ভয় পেয়েছে? তাই ওর কাছে গিয়ে বসলাম? ওর হাতটা ধরলাম? কিন্তু কিছুতেই ধরতে দিচ্ছে না?? ওর এমন বিহ্যাভ দেখে আমি বললাম............ 


আমিঃ>কি হয়েছে এমন করছো কেনো..?? 


আনহাঃ>কোথায় কি হয়েছে,, কিছু হয়নি..??


আমিঃ>আমাকে বলবে না..?? 


আনহাঃ>কি বলবো..??


আমিঃ>কান্না করছো কেনো..?? 


আনহাঃ>তুমি আমাকে একা রেখে কোথায় গিয়েছিলে..??


আমিঃ>আরে পাগলী আমি ছাদে গিয়েছিলাম..??


আনহাঃ>তুমি জানো না আমি একা একা ভয় পাই..??


আমিঃ>সরি আর এমন হবে না.? আর এটুকুর জন্য কান্না করতে হয় বুঝি..??


আনহাঃ>কান্না করবো না তো কি করবো? বাসায় কেউ নেই,, আমিও হাঁটতে পারছি না..??


আমিঃ>পায়ে খুব ব্যাথা করছে..?? 


আনহাঃ>হুমমম..??


আমিঃ>আচ্ছা আমি খাবার নিয়ে আসছি.? খাবার খাওয়ার পর তোমাকে একটা ব্যাথার ঔষধ খাইয়ে দিবো..?? 


আনহাঃ>আমি গোসল করবো না..??


আমিঃ>সকালেই তো গোসল করছো..??


আনহাঃ>তাই বলে কি এখন করতে হবে না..?? 


আমিঃ>না করলেও সমস্যা নেই..?? 


এরপর একটা প্লেটে করে খাবার নিয়ে আসলাম? এসে দুজনে খেতে লাগলাম? আমি আনহাকে খাইয়ে দিচ্ছে আর ও আমাকে খাইয়ে দিচ্ছে?? কিছুক্ষন পর আনহা আমাকে বলে উঠলো........ 


আনহাঃ>এই তুমি না আমার খুব ভালো একটা স্বামী..?? 


আমিঃ>তাই,, কিভাবে শুনি..??


আনহাঃ>অনেক ভাবে? তুমি আমাকে কত 

ভালোবাসো কত যত্ন করো..??


আমিঃ>এই পাগলী তুমি কি অন্য কেউ? তুমি তো আমার শরীরের একটা অংশ,,আমার হাড়?

তোমাকে ভালো না বাসলে কাকে ভালোবাসবো বলো..??

 

আনহাঃ>হুমমম..??


খাবার শেষ করে আনহার হাত পরিষ্কার করে আনহাকে শুইয়ে দিয়ে আমি ফ্রেশ হলাম? এরপর রুমে এসে ওকে ঔষধ খাইয়ে দিলাম?? তারপর আমি রুমে এসে শুয়ে পড়লাম?? আনহা আমার বুকের উপর মাথা দিয়ে শুয়ে আছে?? হুট করে আনহা আমাকে বলে উঠলো...........


গল্পঃ_ফুলের_মতো_বউ_(পর্ব_০৯)

                     অবুঝ বউয়ের ভালোবাসা।

লেখকঃ আব্দুল্লাহ আল শাহজালাল। 


খাবার শেষ করে আনহার হাত পরিষ্কার করে আনহাকে শুইয়ে দিয়ে আমি ফ্রেশ হলাম? এরপর রুমে এসে ওকে ঔষধ খাইয়ে দিলাম?? তারপর আমি রুমে এসে শুয়ে পড়লাম?? আনহা আমার বুকের উপর মাথা দিয়ে শুয়ে আছে?? হুট করে আনহা আমাকে বলে উঠলো...........


আনহাঃ>এই বলো তো আমাদের ছেলে বেবি হবে

নাকি মেয়ে বেবি হবে..?? 


আমিঃ>আবার বেবি..??


আনহাঃ>বলো না..??


আমিঃ>কি বলবো..??


আনহাঃ>আমাদের ছেলে বেবি হবে নাকি মেয়ে 

বেবি হবে..??


আমিঃ>মেয়ে বেবি..??


আনহাঃ>কেনো...??


আমিঃ>কারন আমার মেয়ে বেবি অনেক ভালো

লাগে আর পছন্দ করি..??


আনহাঃ>ও আচ্ছা.? তা নাম রাখবে কি..?? 


আমিঃ>টুনি পাখি..??


আনহাঃ>ছিহ এটা কোনো নাম হলো..??


আমিঃ>হ্যা..??


আনহাঃ>থাক বাবা তোমার দেওয়ার দরকার নেই আমার বাবা মা দিবে..??


আমিঃ>আচ্ছা ঠিক আছে..?? 


আনহাঃ>এই শুনো না..?? 


আমিঃ>হ্যা বলো..??


আনহাঃ>শাড়িটা চেঞ্জ করবো..?? 


আমিঃ>কেনো..?? 


আনহাঃ>অস্বস্তিকর লাগছে..??


আমিঃ>আচ্ছা যাও..??


আনহাঃ>তুমি চেঞ্জ করে দাও না..?? 


আমিঃ>তুমি করো..??


আনহাঃ>তুমি থাকতে আমাকে চেঞ্জ করতে হবে?  আর তাছাড়া আমি তো অসুস্থ...?? 


আমিঃ>আমি একটা ছেলে হয়ে তোমার শাড়ি 

চেঞ্জ করবো..?? 


আনহাঃ>তো কি হয়েছে তুমি আমার বেবির 

বাবা না হুমম..??


আমিঃ>শাড়িতে তোমাকে অনেক সুন্দর 

লাগছে তো..??


আনহাঃ>তাই..?? 


আমিঃ>হুমম..??


আনহাঃ>থ্যাংক ইউ..??


আমিঃ>তুমি জানো শাড়ি পড়া মেয়েদেরকে দেখতে আমার অনেক ভালো লাগে..?? 


আনহাঃ>কিহহ তার মানে তুমি শাড়ি পড়া মেয়েদের দিকে তাকিয়ে থাকো..??


আমিঃ>এটা কখন বললাম..??


আনহাঃ>তুমি এটাই বলেছো..??


আমিঃ>না না আমি এটা বলিনি..??


আনহাঃ>লজ্জা করেনা নিজের বউ থাকতে অন্য মেয়েদের দিকে তাকাতে..??


আমিঃ>এখানে লজ্জার কি আছে.? আচ্ছা তুমি কি আমার সাথে ঝগড়া করছো..??


আনহাঃ>হ্যা করছি


আমিঃ>তুমি ঝগড়া করা কবে শিখলে..??


আনহাঃ>কেনো ভাবির কাছ থেকে শিখেছি কিন্তু তোমাকে বলা যাবে না..?? 


আমিঃ>ভাবির কাছে শিখেছো কিন্তু আমায় বলা 

যাবে না বাহ গুড ভেরি গুড? ভাবি আমার পিচ্চি

বউটাকে এতো বড় বানাচ্ছে কোনো সেটাই তো 

বুঝতে পারছি না..?? 


আনহাঃ>তুমি আবার আমায় পিচ্চি বললে..??


আমিঃ>তুমি তো পিচ্চি.? আর পিচ্চিকে পিচ্চি বলবো না তো কি বলবো..??


আনহাঃ>আমি পিচ্চি না? আমি এখন বড় হয়ে গেছি..??


আমিঃ>সেটা তো বুঝতেই পারছি? ভাবির কাছ থেকে শিখেছো আর সেটা আমাকে বলা যাবে না হিহিহি..?? 


আনহাঃ>যেটা তোমাকে বলা যাবে না সেটা বলবো কেনো তোমায়..??


আনহা আর আমি কথা বলছি ঠিক সেই সময় আনহার আব্বু মানে আমার শ্বশুর মশাই কল দিয়েছে?? কলটা রিসিভ করে আনহাকে দিলাম?? আনহা কথা বলছে??


যদিও আনহা আমার বুকের উপর মাথা রেখে ফোনে  কথা বলছে তবুও ওদিকে তেমন লক্ষ করিনি?? 


কথা বলা শেষ আমি আনহার দিকে তাকিয়ে আছি.? আমার ওমন তাকানো দেখে বললো.......... 

আনহাঃ>কি হলো..??


আমিঃ>কিছু না..??


আনহাঃ>তাহলে এভাবে তাকিয়ে আছো কেনো..?? 


আমিঃ>তোমাকে দেখছি..??


আনহাঃ>আমাকে দেখার কি আছে হুম..??


এই কথাটা বলে আনহা আমার ঠোঁটের সাথে ওর ঠোঁট গুলো মিলিয়ে দিলো?? প্রায় দুই মিনিট এভাবে থাকার পর আনহা আমাকে বললো........... 


আনহাঃ>এই আমার খুব লজ্জা করছে..??


আমিঃ>বাচ্চা মেয়েদের এই একটাই সমস্যা..?? 


আনহাঃ>বাচ্চা বলবে না..?? 


আমিঃ>আচ্ছা বাবা বলবো না.? এখন বলো শ্বশুর মশাই কি বললো..??


আনহাঃ>আমাকে নিতে আসবে..??


আমিঃ>আচ্ছা কতদিন থাকবে..??


আনহাঃ>দশ দিন..??


আমিঃ>ভেরি গুড,, তা কবে যাবে..??


আনহাঃ>কালকে..??


আমিঃ>অনেক খুশি তাইনা..?? 


আনহাঃ>হুমম,, তুমি আর আমি এক সাথে যাবো..??


আমিঃ>আমি যাবো মানে..??


আনহাঃ>তুমি যাবে না..?? 


আমিঃ>আমার অফিস আছে তো..??


আনহাঃ>তাহলে আমি একাই যাবো নাকি..??


আমিঃ>হুমম তোমাকে একাই যেতে হবে..?? 


আনহাঃ>তুমি একাই থাকবে...??


আমিঃ>হুমম..??


আনহাঃ>আচ্ছা আমি দুদিন থেকে চলে আসবো..??


আমিঃ>তুমি কোলবালিশটা দিয়ে যাও তারপর তুমি যতদিন ইচ্ছে থাকো..?? 


আনহাঃ>আমি কোনো কোলবালিশ দিবো না..?? 


আমিঃ>খুঁজে বের করবো..??


আনহাঃ>আমি সাথে করে নিয়ে যাবো..??


আমিঃ>পাশের রুমে যেটা আছে ওটা নিয়ে আসবো..??


আনহাঃ>এই বাবাকে ফোন করো..??


আমিঃ>কেনো..??


আনহাঃ>করতে বলেছি করো..??


এরপর আমি শ্বশুর মশাইকে ফোন করলাম?? আনহা কথা বলছে?? কথা বলা শেষ করে আমাকে মোবাইল দিয়ে দিলো? মোবাইল দেওয়ার সাথে সাথে আনাহকে বললাম.......... 


আমিঃ>একটু আগেই তো কথা বলছো,, এখন আবার কল দিয়ে কি বলছো..??


আনহাঃ>বাবাকে আসতে না করলাম..??


আমিঃ>কেনো..?? 


আনহাঃ>তুমি আমার আদরের ভাগ কোলবালিশকে দিবে এটা আমি মেনে নিবো..??


আমিঃ>তাহলে যাবে না তুমি..??


আনহাঃ>যাবো তোমার অফিস যেদিন বন্ধ 

থাকবে সেদিন..??


আমিঃ>আচ্ছা..?? 


আমার বউটা আসলেই অবুঝ? শক্ত করে বুকের মাঝে জড়িয়ে নিলাম পাগলীটাকে? পিচ্চিটা আমার বুকের সাথে একদম মিশে গেছে?? 


আমি আলতো করে আনহার কপালে ১ টা চুমু দিলাম? 

আনহা আমার দিকে তাকালো,,তাকিয়ে আরো শক্ত করে জড়িয়ে ধরলো আমাকে? 


ঠিক সেই সময় মোবাইলটা বেজে উঠলো? মোবাইলের স্কিনে তাকিয়ে দেখি আব্বু কল করেছে?কলটা রিসিভ করলাম আর বললাম.......... 


আমিঃ>হ্যা আব্বু বলো...??


আব্বুঃ>আমরা আজকে বাসায় আসবো না..?? 


আমিঃ>কেনো..?? 


আব্বুুঃ>তোর সহেল আঙ্কেলের বাসায় থাকবো..??


আমিঃ>ওহহ আচ্ছা..?? 


আব্বুঃ>তোরা শুধু নিজেদের খাবার রান্না করে 

খেয়ে নিস..??


আমিঃ>আচ্ছা ঠিক আছে..?? 


এরপর ফোনটা কেটে দিলাম? আনহা তখনও আমার বুকে মাথা রেখে শুয়ে আছে? কিছুক্ষন পর আনহা আমাকে বললো........


আনহাঃ>বাবা কি বললো..?? 


আমিঃ>উনারা নাকি আসবেন না..??


আনহাঃ>কেনো..?? 


আমিঃ>বাবার বন্ধুর বাসায় থাকবে..??


আনহাঃ>ওহহ..রাতে কি খাবো..??


আমিঃ>নো টেনশন একটু পর আমি বাহিরে গিয়ে 

নিয়ে আসবো..??


আনহাঃ>আমি একা একা বাসায় থাকবো না..?? 


আমিঃ>তো কি করবে..??


আনহাঃ>তোমার সাথে যাবো..??


আমিঃ>আপনার যে পা কেটে গেছে সেটা মনে আছে..?? 


আনহাঃ>তাতে কি হয়েছে,, তুমি আমাকে কোলে করে নিয়ে যাবে..??


আমিঃ>আমার কি আর কোনো কাজ নেই..?? 


আনহাঃ>দেখো কান্না করবো কিন্তু..?? 


আমিঃ>বাচ্চাদের মতো কান্না করবো কান্না করবো এমন করো কেনো তুমি..??


আনহাঃ>তুমি আবার আমায় বাচ্চা বললে..??


আমিঃ>কোই না তো..??


আনহাঃ>আচ্ছা আমি যাবো..?? 


আমিঃ>না তুমি যাবে না। তুমি গেম খেলো আমি গিয়ে নিয়ে আসছি..??


আনহাঃ>না আমিও যাবো..??


আমিঃ>চলো রান্না ঘরে চলো রান্না করবো..?? 


আনহাঃ>আচ্ছা চলো। আমি রান্না করবো কিন্তু..??


আমিঃ>দরকার নেই.? একবার রান্না করতে গিয়ে এই অবস্থা পরের বার না জানি কি হয়..??


আনহাঃ>আমি কি করেছি,, তুমিই তো পিছনে থেকে এসে...??


আমিঃ>থাক আর বলতে হবে না.? এখন সব দোষ আমার একার আপনি তো কিছুই করেননি..??


আনহাঃ>আমি আবার কি করলাম..?? 


আমিঃ>বাধা দিলেই তো হতো..??


আনহাঃ>আমার স্বামী আমাকে আদর করছে আমি কেনো বাধা দিতে যাবো? এতে তো আমার ক্ষতি?? 


আমিঃ>বাধা না দিয়েও তো ক্ষতি আপনার 

হয়েছে ম্যাম..?? 


আনহাঃ>এখন ঝগড়া না করে রান্না ঘরে চলো..?? 


আমিঃ>আচ্ছা চলো..??


আনহাঃ>এই আমাকে নিয়ে যাও..??


আমিঃ>হেঁটে আসো..??


আনহাঃ>পারবো না আমাকে কোলে করে নিয়ে যাও..??


আনহাকে কোলে করে রান্না ঘরে নিয়ে যাচ্ছি? আনহা আমার গলা জড়িয়ে ধরে আছে আর মুখে চুমু দিচ্ছে? 

তাই আমি আনহাকে বললাম......... 


আমিঃ>শুরু তো তুমি করো..??


আনহাঃ>আমার স্বামীকে আমি আদর করবো

না তো কে করবে..?? 


আমিঃ>বুঝতে পারছি তোমাকে রান্না ঘরে নিয়ে 

গেলে আমার আর রান্না করা হবে না.? সিওর 

আবার কারো না কারো ক্ষতি হবে..?? 


আনহাঃ>না কিছু হবে না আমি তোমার পিছনে 

বসে থাকবো..?? 


আমিঃ>দরকার নেই তুমি সোফায় বসে

টিভি দেখো..?? 


আনহাঃ>না আমি তোমার সাথে রান্না ঘরে 

যাবো..?? 


আমি আনহাকে জোরে একটা ধমক দিলাম?? আনহা চুপ হয়ে গেলো? টলটলে চোখে আমার দিকে তাকিয়ে আছে.? কিছু বলার সাহস পাচ্ছে না? এই মনে হয় দুই চোখ দিয়ে বৃষ্টি নামবে?? 


আনহার দিকে তাকিয়ে আমার খুব হাসি পাচ্ছে? একটু ধমক দিলে কেউ এতো ভয় পায়?? এরপর আমি গিয়ে আনহার পাশে বসলাম আর চোখের টলটলে জলগুলো মুছে দিলাম?? 


এটা কি হলো?? চোখের জল মুছে দেওয়ার সাথে সাথে তো দেখি ওর কান্না আরো বেড়ে গেলো? আনহার কান্না দেখে আমি বললাম.........


আমিঃ>এই পাগলী কান্না করছো কেনো..??


আনহাঃ>তুমি অনেক বাজে আমাকে ধমক 

দাও..??


আমিঃ>আচ্ছা বাবা আর হবে না এবার কান্না থামাও..?? 


আনহাঃ>সব সময় তুমি এই কথা বলো কিন্তু পরে আবার সব ভুলে যাও..??


আমিঃ>এই সামান্য ধমকে কেউ এতো ভয় পায়..?? 


আনহাঃ>তুমি জানো না আমি ভয় পাই..?? 


আমিঃ>জানি তো,,তুমি তো একটা বাচ্চা..?? 


আনহাঃ>আমি মোটেও বাচ্চা না..??


আমিঃ>আচ্ছা বাবা তুমি বাচ্চা না.? তুমি তিন বাচ্চার মা.? এখন বসে বসে টিভি দেখো..?? 


আনহাঃ>আচ্ছা আমাদের বেবি কবে হবে..?? 


এই রে কথাটা বলে মনে হয় ফেঁশে গেলাম? এরপর আমি আনহাকে বললাম....... 


আমিঃ>আচ্ছা তুমি থাকো আমি রান্না করছি..??


আমি আনহার কপালে একটা চুমু দিয়ে রান্না ঘরে চলে গেলাম? আনহা পিছন থেকে বেশ কয়েকবার আমাকে ডাকলো? আমি একবারও পিছনে তাকালাম না? 


আমি রান্না ঘরে রান্না করছি.? আনহা টিভি দেখছে না?

টিভি অন করা আছে কিন্তু উনি টিভি না দেখে রান্না ঘরের দিকে তাকিয়ে আছে?? মনে হচ্ছে রান্না ঘরে মটু পাতলু হচ্ছে? রান্না শেষ করে আনহাকে খাইয়ে দিচ্ছে

আর ও খাচ্ছে? একটু পর আনহা আমাকে বললো..... 


আনহাঃ>এই তুমি খাওনা কেনো..??


আমিঃ>তুমি খাও আমি পরে খাবো..?? 


আনহাঃ>না এসব বললে হবে না? দুজন এক সাথে খাবো? দাঁড়াও আমি তোমাকে খাইয়ে দিচ্ছি..??


আমিঃ>ওকে..??


খাবার শেষ করে আবার আনহাকে কোলে করে রুমে নিয়ে গেলাম। রুমে নিয়ে আনহাকে খাটে শুইয়ে দিয়ে বললাম....... 


আমিঃ>এখন কি ব্যাথা কমেছে..??


আনহাঃ>হুমম তবে একটু ব্যাথা আছে..?? 


আমিঃ>ঔষধ খেয়ে নাও সব ঠিক হয়ে যাবে..?? 


আনহাঃ>আচ্ছা দাও..??


পরদিন সকাল বেলায় ঘুম থেকে উঠে ফ্রেশ হয়ে রেডি হচ্ছি অফিস যাওয়ার জন্য?? আনহা এখনো ঘুমাচ্ছে তাই ওকে আর ডাকলাম না?? কিন্তু সমস্যা হচ্ছে টাই পড়তে পারিনা?? 


আনহাকে কি ডাকবো.? না থাক.? এতো সুন্দর ঘুম নষ্ট করা ঠিক হবে না.? 


ঘুমের মধ্যে আনহাকে খুব মায়াবী লাগছে যা ভাষায় প্রকাশ করার ক্ষমতা নেই?? ইচ্ছে করছে অফিস না গিয়ে শুধু ওর দিকে তাকিয়ে থাকি??


এদিকে অফিস যাওয়ার সময় হয়ে যাচ্ছে?? বাসায় তো কেউ নেই? হটাৎ করে যদি জেগে যায় তাহলে তো কান্না করবে??


এরপর আম্মুকে ফোন করে তাড়াতাড়ি বাসায় আসতে বলে দিলাম?? আমি রুম থেকে বের হচ্ছি ঠিক তখনই আনহা আমাকে বলে উঠলো......... 


আনহাঃ>কোথায় যাচ্ছো..??


এই যাহ..এই অসময়ে ঘুমটা ভাঙার সময় হলো? ঘুম ভাঙার আর কোনো সময় ফেলো না.? এরপর আমি আনহাকে বললাম....... 


আমিঃ>অফিসে যাচ্ছি..?


আনহাঃ>ওহহ মা এসেছে..?? 


আমিঃ>না এখনো আসেনি একটু পর আসবে..??


আনহাঃ>তুমি আমায় একা রেখে যাচ্ছো..??


এই কথা বলে আবার কান্না শুরু করলো? কি মেয়ের পাল্লায় পড়লাম রে বাবা? কথায় কথায় শুধু কান্না করে? এরপর আমি আনহাকে বললাম........... 


আমিঃ>তুমি কান্না করছো কেনো..?? 


আনহাঃ>আমি একা একা বাসায় থাকতে পারবো 

না গো..??


আমিঃ>তাহলে..?? 


আনহাঃ>তুমি আমার সাথে বাসায় থাকো..??


আমিঃ>পাগল হয়েছো নাকি। অফিসে না গেলে 

চাকরি থাকবে..??


আনহাঃ>তাহলে আমাকেও তোমার সাথে অফিসে

নিয়ে যাও..??


আমিঃ>তুমি অফিসে গিয়ে কি করবে..??


আনহাঃ>কেনো তোমার সাথে থাকবো..??


আমিঃ>না তুমি বাসায় থাকো..??


আনহাঃ>দেখো কান্না করবো কিন্তু..?? 


আমিঃ>করো কান্না,, আমি গেলাম..?? 


এই কথা বলে আমি রুম থেকে বের হয়ে গেলাম? হটাৎ রুম থেকে চিৎকার শুনতে পেলাম? 


চিৎকার শুনে দৌড়ে আবার রুমে আসলাম? রুমে এসে দেখি পাগলীটা হয়তো তাড়াতাড়ি করে নামতে গিয়ে আবার সেই কাটা জায়গায় আঘাত পেয়েছে?? 


আমি দৌড়ে আনহার কাছে গেলাম? এরপর ওকে ধরে খাটে বসালাম? 


ইচ্ছে করতেছে কষে একটা থাপ্পড় মারি কিন্তু রাগটাকে কন্ট্রোল করলাম?? রাগ করে ওর দিকে তাকিয়ে আছি তাতেই কান্না শুরু করে দিয়েছে.?? আনহার পা আবার নতুন করে ব্যান্ডেজ করে দিলাম.? ব্যান্ডেজ করা শেষে আনহা আমাকে বললো........ 


গল্পঃ_ফুলের_মতো_বউ_পর্ব_(১০_শেষ_পর্ব)

            অবুঝ বউয়ের ভালোবাসা।

লেখকঃ আব্দুল্লাহ আল শাহজালাল। 

 

এই কথা বলে আমি রুম থেকে বের হয়ে গেলাম। হটাৎ রুম থেকে চিৎকার শুনতে পেলাম।


চিৎকার শুনে দৌড়ে আবার রুমে আসলাম। রুমে এসে দেখি পাগলীটা হয়তো তাড়াতাড়ি করে নামতে গিয়ে আবার সেই কাটা জায়গায় আঘাত পেয়েছে।।


আমি দৌড়ে আনহার কাছে গেলাম। এরপর ওকে ধরে খাটে বসালাম।


ইচ্ছে করতেছে কষে একটা থাপ্পড় মারি কিন্তু রাগটাকে কন্ট্রোল করলাম। রাগ করে ওর দিকে তাকিয়ে আছি তাতেই কান্না শুরু করে দিয়েছে। আনহার পা আবার নতুন করে ব্যান্ডেজ করে দিলাম।। ব্যান্ডেজ করা শেষে আনহা আমাকে বললো........


আনহাঃ>আমিও তোমার সাথে যাবো..??


আমিঃ>আম্মু একটু পরেই চলে আসবে..??


আনহাঃ>আমার একা একা খুব ভয় করে গো..??


উফফ কি যে করি এই বাচ্চা মেয়েটাকে নিয়ে তো মহা ঝামেলায় পড়লাম। কিছু করার নেই আনহাকে নিয়ে অবশেষে অফিসে চলে আসলাম।


অফিসের সবাই আমার দিকে তাকিয়ে আছে।। কারন আনহা হাঁটতে পারছিলো না। তাই কোলে করে ভিতরে নিয়ে যাচ্ছিলাম??


লজ্জা লাগছে কিন্তু কিছুই করার নেই।। এরপর আমার কেবিনে এসে আনহাকে বসালাম। কিছুক্ষণ পর পিয়ন 

এসে আমাকে বললো..বস নাকি আমাকে ডাকছে।


এটা শুনে বুঝতে পারলাম যে বস আজকে আমার ক্লাস নিবে। এরপর আমি আনহাকে বললাম......... 


অনুগ্রহ করে সম্পুর্ণ গল্পটা পড়বেন।। কথা দিচ্ছি হৃদয় ছুঁয়ে যাবে।


আমিঃ>আনহা..??


আনহাঃ>হুমম বলো..??


আমিঃ>তুমি এখানে বসে গেমস খেলো আমি আসছি..??


আনহাঃ>কোথায় যাবে তুমি..?? 


আমিঃ>পাশের রুমে যাচ্ছি..??


আনহাঃ>আচ্ছা ঠিক আছে..??


আমিঃ>স্যার আসবো..??


স্যারঃ>আরে অপুর্ব সাহেব আসেন আসেন..??


আমিঃ>স্যার আমাকে ডেকেছেন..?? 


স্যারঃ>দেখলাম বউকে নিয়ে অফিসে এসেছেন

তাও আবার হিরো স্টাইলে..??


আমিঃ>আসলে স্যার ওর পা কেটে গেছে। তাছাড়া বাসায় কেউ নেই। আর ও একটু ভয় পায় তো..??


স্যারঃ>ফোন করে বললেই তো পারতেন? তাহলে অবশ্য আজকের এই নতুন রোমিও জুলিয়েটকে দেখতে পেতাম না..??


লজ্জায় কি বলবো কিছুই বুঝতে পারছি না তাই চুপ করে রইলাম। স্যার আবার বলতে লাগলো........ 


স্যারঃ>আপনার আজকে আর কাজ করতে 

হবে না..?? 


আমিঃ>বুঝলাম না স্যার..??


স্যারঃ>আপনার আজকে ছুটি। বউকে নিয়ে 

বাসায় যান..??


আমিঃ>আচ্ছা ঠিক আছে স্যার..?? 


স্যারঃ>অপুর্ব সাহেব ভালোবাসাটা যেনো সারাজীবন এমনই থাকে.? এটা এমন একটা জিনিস যা একবার হারালে আর খুঁজে পাবেন না..??


আমিঃ>দোয়া করবেন স্যার..??


বসের রুম থেকে বের হয়ে আমার কেবিনে আসলাম।

কেবিনে এসে দেখি অফিসের সব কলিগরা আনহার সাথে কথা বলতেছে.........


ফারহিনঃ>আপনি তো অনেক ভাগ্যবান এমন স্বামী কয়জনে পায়..??


নিলাঃ>আমার স্বামী টা যদি এই রকম হতো..??


নিশিঃ>অপুর্ব কে অনেক বার ভালোবাসার কথা বলেছি কিন্তু কানেই নেয়নি..??


সব কলিগরা আনহাকে এসব কথা বলছে। আর আনহা নীরবে শুনছে। এরা সবাই তো দেখছি উদ্ভট উদ্ভট মন্তব্য করতেছে।। আর আমার অবুঝ বউটা সবার মুখের দিকে তাকিয়ে আছে। কোনো কথা বলছে না। মুখের মধ্যে কেমন একটা বিরক্তিকর ছাপ পড়ে আছে। বুঝতে পারলাম বাবুটার এগুলো ভালো লাগছে না।


আনহা হয়তো আমাকে দেখতে পেয়েছে।। আমার দিকে তাকিয়ে হাসছে। এরপর আমি কাছে গিয়ে বললাম..... 


আমিঃ>কি হচ্ছে এসব..??


নিলাঃ>আপনার বউয়ের সাথে পরিচিত হচ্ছি..??


আমিঃ>পরিচিত হওয়া শেষ হয়েছে..??


নিলাঃ>আমরা তো কত কি বললাম কিন্তু আপনার 

বউ তো কথাই বলছে না..??


আমিঃ>এই জন্যই তো আমার বউ.? যান আপনারা আপনাদের কাজ করুন..?? 


সবাই যার যার কাজে চলে গেলো.? এরপর আমি আনহাকে বললাম...... 


আমিঃ>আনহা চলো..??


আনহাঃ>কোথায়..?? 


আমিঃ>বাসায় যাবো..??


আনহাঃ>অফিসে কাজ করবে না..?? 


আমিঃ>না করবো না..?? 


আনহাঃ>আচ্ছা চলো..??


আনহাকে নিয়ে সোজা বাসায় চলে আসলাম।। যদিও কোনো পার্কে যাওয়ার ইচ্ছে ছিলো। কিন্তু আনহা তো হাঁটতে পারবে না তাই যাওয়া হলো না। আর কোলে করে নিয়ে ঘুরাও সম্ভব নয়।


বাসায় এসে দেখি আব্বু আম্মু বাসায় এসেছে। আম্মু আমাদেরকে দেখেই বললো........


আম্মুঃ>কিরে কোথায় গিয়েছিলি..??


আমিঃ>অফিসে গিয়েছিলাম..??


আম্মুঃ>আনহা আবার কবে অফিসে জয়িন করলো..??


আমিঃ>তোমরা কেউ বাসায় ছিলে না তাই ওকে আমার সাথে অফিসে নিয়ে গিয়েছিলাম..??


আম্মুঃ>ওওওও..?? 


এভাবে কেটে গেলো বেশ কিছুদিন।। একদিন অফিসে বসে কাজ করছি হটাৎ আম্মু ফোন করে বললো.......


আম্মুঃ>হ্যালো অপুর্ব..?? 


আমিঃ>হ্যা আম্মু বলো..??


আম্মুঃ>তাড়াতাড়ি করে বাসায় আয়..??


আমিঃ>কেনো আম্মু..??


আম্মুঃ>আনহা অনেক অসুস্থ? পারলে সাথে করে একজন ডাক্তার নিয়ে আসিস..??


আমিঃ>কি বলো আমি এখনই আসছি..??


এই কথা বলে কলটা কেটে দিলাম।। আমি বসের রুমে গিয়ে বসকে বলে অফিস থেকে ছুটি নিয়ে বের হলাম।


বাসায় আসার পথে আকাশকে ফোন করলাম।। রিং হচ্ছে বাট কল দরছে না। একটু পর কলটা ধরলো।

কলটা ধরতেই আমি বললাম......... 


আমিঃ>হ্যালো আকাশ..?? 


আকাশঃ>কিরে শালা কেমন আছিস,, বিয়ে করে তো ভুলেই গেছিস.? 


আমিঃ>তুই কোথায় রে..??


আকাশঃ>এই তো বাসায় আসলাম একটু..??


আমিঃ>তাড়াতাড়ি করে আমার বাসার সামনে আয়..??


আকাশঃ>কেনো রে কি হয়েছে? আর তোর গলা এমন শুনাচ্ছে কেনো..?? 


আমিঃ>আম্মু ফোন করে বললো আনহা নাকি 

খুব অসুস্থ..?? 


আকাশঃ>আনহা মানে ভাবি অসুস্থ..?? 


আমিঃ>হুমম..??


আকাশঃ>কি হয়েছে..??


আমিঃ>এতকিছু জানিনা.?তুই তাড়াতাড়ি করে আমার বাসার আয়..??


আকাশঃ>আচ্ছা আচ্ছা আমি আসছি..??


আকাশ আমার স্কুল জীবনের বন্ধু। আমাদের বন্ধুত্বটা খুবই মজবুত। তাড়াতাড়ি করে বাসায় চলে আসলাম।

বাসায় এসে আম্মুকে বললাম.......... 


আমিঃ>কি হয়েছে আম্মু..?? 


আম্মুঃ>হটাৎ কেনো জানি পড়ে গেছে..?? 


আমিঃ>কি বলো এসব..?? 


আম্মুঃ>ডাক্তার কোথায়..?? 


আমিঃ>ফোন করেছি ও আসতেছে..??


কিছুক্ষণ পর ডাক্তার মানে আকাশ আসলো। এসেই আমাকে বললো....... 


আকাশঃ>কি হয়েছে ভাবি কোথায়..?? 


আমিঃ>এদিকে আয় আমার রুমে..??


আকাশঃ>তাড়াতাড়ি চল..??


আমিঃ>হুমম চল..??


আকাশ রুমে এসে আনহাকে দেখতেছে।। কিছুক্ষণ পর দেখি আকাশ একবার আমার দিকে তাকাচ্ছে একবার আনহার দিকে তাকাচ্ছে।


কিছুই তো বুঝতে পারছি না। আকাশ কি রোগী দেখছে 

নাকি লুকোচুরি খেলছে।


এইদিকে আমার জান বের হওয়া অবস্থা।। আর শালা হাসতেছে। ওর এমন কান্ড দেখে আমি বললাম........


আমিঃ>সালা তোকে ডাকাটাই ভুল হয়েছে তুই ভাগ আমি অন্য ডাক্তার নিয়ে আসি..??


আকাশঃ>কেনো রে আমি আবার কি করলাম..?? 


আমিঃ>টেনশনে আমার বুকটা পেটে যাচ্ছে আর তুই শালা হাসছিস.? কি হয়েছে সেটা তো বল..??


আকাশঃ>ভাবি সমস্যা নেই ছোট একটা সমস্য.? কিন্তু অনেক বড় হতে পারে..?? 


আমিঃ>কি বলছিস ভাই কিছুই তো বুঝতে পারছি না? এবার কিন্তু তোকে পিটাবো..??


কিছুই তো বুঝতে পারছি না আকাশও হাসছে আম্মুও হাসছে। এখানে কি লাফিং গ্যাস ছেড়েছে নাকি।। কই না তো..। তাহলে তো আমিও হাসতাম...আনহাও হাসতো।। এরপর আকাশ আমাকে বললো............


আকাশঃ>তুই কি এখন অফিসে যাবি..??


আমিঃ>না যাবো না..?? 


আকাশঃ>তাহলে আমার সাথে আয় তোকে ঔষধের দোকানে নিয়ে যাই..?


আমিঃ>আচ্ছা চল..??


এরপর দুজনে বাজারের উদ্দেশ্য রওয়ানা দিলাম।।কিন্তু আকাশ আমাকে ঔষধের দোকানে না নিয়ে মিষ্টির দোকানে নিয়ে আসলো। তাই ওকে আমি বললাম........ 


আমিঃ>কিরে শালা তুই তো বললি ঔষধ নিতে হবে.? তাহলে মিষ্টির দোকানে নিয়ে আসলি কেনো..?? 


আকাশঃ>হাহাহা এটাই তো ঔষধ..?? 


আমিঃ>মানে..??


আকাশঃ>আরে শালা তুই বাবা হতে চলেছিস..??


আমিঃ>কিহহ সত্যি..?? 😱😱


আকাশঃ>হুমম..??


আমিঃ>শালা আগে বলবি তো আমি শুধু শুধু চিন্তা করছি..??


আকাশঃ>তুই যে এতটা বলদ সেটা তো আমি আগে জানতাম না.? নে এবার মিষ্টি খাওয়া..?? 


আমিঃ>ভাই তোর যতগুলো মিষ্টি খেতে ইচ্ছে 

করে তুই খা..??


আকাশকে মিষ্টি খাইয়ে ওর বাসার জন্য মিষ্টি পাঠিয়ে দিলাম। এরপর অফিসে গিয়ে সবাইকে মিষ্টি খাইয়ে আসলাম শ্বশুর বাড়িতেও মিষ্টি পাঠালাম। সবশেষে মিষ্টি নিয়ে বাসায় আসলাম।।।


আজকে আমার কি যে আনন্দ লাগছে আপনাদের বলে বুঝাতে পারবো না। প্রথম বার বাবা হবো সেই আনন্দে বাসায় এসে চিৎকার করে বলতে শুরু করলাম............


আমিঃ>আনহা আমি বাবা হতে চলেছি..??


আম্মুঃ>আমরা জানি তো,,এতো চিৎকার করে বলতে হবে না..?? 


আমিঃ>তোমরা কিভাবে জানলে,, আকাশ তো কিছুই বলেনি..??


আম্মুঃ>সবাই কি তোর মতো বলদ..??


আমিঃ>আম্মু আনহা কোথায়..?? 


আম্মুঃ>রুমে আছে..??


এরপর আমি রুমে চলে আসলাম।। রুমে এসে দেখি আনহা আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে নিজেকে দেখছে।

আমি দৌঁড়ে গিয়ে আনহাকে জড়িয়ে ধরলাম। ঠিক তখনই আনহা আমাকে বললো.......... 


আনহাঃ>এই কি করছো..??


আমিঃ>আমার লক্ষী বউটাকে আদর করছি..?? 


আনহাঃ>পেটে শক্ত করে ধরছো কেনো বেবির 

লাগবে তো..??


আমিঃ>ও তাই তো..??


এরপর আমি আনহার পেটের উপর মাথা দিয়ে বলতে শুরু করলাম.......


আমিঃ>এই যে মিস্টার আপনি ভালো আছেন তো.? আপনার মা একটা বাচ্চা..?? 


আনহাঃ>ওই আমি বাচ্চা না..??


আমিঃ>ও সরি আপনার মা এখন আর বাচ্চা নেই অনেক বড় হয়ে গেছে..?? 


আনহাঃ>এই তুমি কি করছো..??


আমিঃ>কেনো দেখতে পাচ্ছো না বেবির সাথে

কথা বলছি..??


আনহাঃ>বেবি কি শুনতে পায়..??


আমিঃ>হুমম আমার সাথে কথা বলছে তো..??


আনহাঃ>তাই হিহিহি..?? 


আমিঃ>হুমম,,তোমার চাওয়াটা পুরন হলো..??


আনহা আমাকে জড়িয়ে ধরলো।। আমিও আনহাকে জড়িয়ে ধরলাম। পরম সুখে একে অপরকে জড়িয়ে ধরে বসে আছি?? 


এইভাবে কেটে গেলো আরো বেশ কিছুদিন। পরিবারের সবাই আনহার অনেক যত্ন নেই। কখনো কোনো কাজে হাত দিতে দেই না। আনহার বাচ্চা হতে আর দুই মাস বাকি।। অফিস থেকে এসে রুমে বসে আছি কিছুক্ষণ পর আম্মু এসে আমাকে বললো..........


আম্মুঃ>অপুর্ব তোর আব্বু তোকে ডাকতেছে..??


আমিঃ>আচ্ছা আমি আসছি..??


আম্মুঃ>হুমম তাড়াতাড়ি আয়..??


এই কথা বলে আম্মু চলে গেলো.? আমিও কিছুক্ষণ পর আব্বুর কাছে গেলাম.? আব্বুর কাছে গিয়ে বললাম.....


আমিঃ>আব্বু আমায় ডেকেছো..??


আব্বুঃ>হুমম এখানে বস বলছি..??


আমিঃ>হুমম বলো..??


আব্বুঃ>আজকে থেকে তোমার অফিসে যাওয়া বন্ধ..?? 


আমিঃ>কেনো আব্বু..??


আব্বুঃ>এখন থেকে তুমি বাসায় থাকবে এবং আনহার দেখা শোনা করবে ঠিক মতো ওকে..??


আমিঃ>কিন্তু অফিস..??


আব্বুঃ>যেটা বলছি সেটাই? তোর আম্মু বাসায় একা থাকে কখন কি হয় না হয়..??


আমিঃ>তাই বলে আমার চাকরি..??[পুরোটা বলতে 

না দিয়ে ]


আব্বুঃ>তোমার চাকরি দিয়ে আমার সংসার চলে না?

তোমার চাকরির থেকে আনহার দিকে খেয়াল রাখাটা অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ..??


আমিঃ>আচ্ছা ঠিক আছে..?? 


এখন থেকে আমি সব সময় বাসায় থাকি আর আনহার সাথে গল্প করি।আনহা আমায় জড়িয়ে ধরে ঘুমায় আর আমি ওর মাথায় হাত বুলিয়ে দেই।


আল্লাহর কাছে সব সময় পার্থনা করি.. হে আল্লাহ তুমি আমার বউকে সুস্থ করে দিও। আমার সন্তানকে সুস্থ ভাবে পৃথিবীতে আসার তৌফিক দান করো আল্লাহ।।


হে আল্লাহ আমার জীবন সঙ্গীনী কে আমার কাছ থেকে কেড়ে নিওনা আল্লাহ।। আমি একা একা জীবন যাপন করতে পারবো না আল্লাহ।


হে আল্লাহ..আমার জীবন সঙ্গী হিসেবে দ্বিতীয় কাউকে চাই না আল্লাহ। যতদিন বাঁচবো দুজন যেনো একসাথে বাঁচতে পারি সেই তৌফিক দান করো আল্লাহ।। 


একদিন আনহার কিছু পছন্দের আচার আনাতে আমি বাজারে গিয়েছিলাম।  হটাৎ আম্মু ফোন করলো আর বললো........


আম্মুঃ>হ্যালো অপুর্ব..?? 


আমিঃ>হ্যা বলো আম্মু..?? 


আম্মুঃ>আনহা অনেক অসুস্থ হয়ে গেছে তুই তাড়াতাড়ি করে বাসায় আয়..??


আমিঃ>আম্মু আমি এখনই আসছি..?? 


আম্মুঃ>এম্বুলেন্স নিয়ে আসিস হসপিটাল নিয়ে 

যেতে হবে..?? 


আমিঃ>আচ্ছা ঠিক আছে..?? 


এই কথা বলে কলটা কেটে দিলাম।। এরপর আকাশকে ফোন করলাম আর বললাম............ 


আমিঃ>হ্যালো আকাশ..?? 


আকাশঃ>হুমম বল কি অবস্থা..??


আমিঃ>অবস্থা ভালো না দোস্ত তাড়াতাড়ি করে এম্বুলেন্স পাঠিয়ে দে আমার বাসায়..?? 


আকাশঃ>ভাবি কি খুব অসুস্থ..?? 


আমিঃ>হ্যা খুব অসুস্থ..??


আকাশঃ>আচ্ছা আচ্ছা আমি এখনই এম্বুলেন্স 

পাঠিয়ে দিচ্ছি তুই তাড়াতাড়ি করে ভাবিকে 

নিয়ে হসপিটাল চলে আয়..??


আমিঃ>আচ্ছা ঠিক আছে..?? 


বাসায় এসে দেখি আব্বু আমার আগেই বাসায় চলে এসেছে। আব্বু আমাকে দেখেই বললো.......... 


আব্বুঃ>তোকে বাসায় থাকতে বলেছি তুই বাহিরে বাহিরে কি করিস..??


আব্বুর কথায় আমি কিছুই বললাম না।। কিছুক্ষণ পর এম্বুলেন্স আসলো।আমরা সবাই মিলে আনহাকে নিয়ে 

হসপিটাল চলে গেলাম।


আকাশ হসপিটালে আগে থেকেই সব কিছু রেডি করে রেখেছিলো। হসপিটালে আসার সাথে সাথে আনহাকে  OT-তে নিয়ে গেলো।


কিন্তু আনহা শক্ত করে আমার হাত ধরে রেখেছে। তাই আমি আনহাকে বললাম......... 


আমিঃ>আনহা হাতটা ছাড়ো দেরি হলে তোমার 

সমস্যা হবে..?? 


আনহাঃ>এই তুমি আমার সাথে চলো,,,আমার একা একা খুব ভয় করবে গো..??


সবাই মিলে আনহাকে অনেক বুঝানোর চেষ্টা করতেছে কিন্তু আনহা কারো কথাই শুনছে না। ও একটা কথাই বলছে তুমি আমার সাথে চলো।


অবশেষে আকাশ আমাকে ভিতরে যেতে বলে। এরপর আমিও ভিতরে গেলাম। আমি শক্ত করে  আনহার হাত ধরে আছি। এরপর আমি আকাশকে বললাম.......


আমিঃ>ভাই আমার প্রাণটা এখন তোর হাতে..??


আকাশঃ>চিন্তা করিস না আল্লাহকে ডাক ভাই..??


আনহাকে অঘ্যান করা হলো আমি তবুও আনহার হাত শক্ত করে ধরে আছি।। আমার অজান্তেই চোখ দিয়ে বৃষ্টি নামছে।। আমার চোখে অশ্রু দেখে আকাশ বলতে শুরু করলো............


আকাশঃ>ভাই প্লিজ তুই বাহিরে যা তুই এখানে থাকলে আমি ঠিকমতো অপারেশন করতে পারবো না..??

|||

তুই ভালো করেই জানিস তোদের বন্দুদের চোখের জল আমার সহ্য হয় না..??


আমি আকাশের কথায় কোনো উত্তর দিলাম না। কারন আমি না চাইলেও আপনা আপনি চোখ থেকে জল বের হচ্ছে। তাই আনহার হাতটা খুব যত্ন সহকারে ছেড়ে দিয়ে আমি বাহিরে চলে আসলাম। 


মনে হচ্ছে ওর হাতটা আমায় বলছে..একা রেখে যেওনা আমার খুব ভয় করছে গো। কান্না করতে করতে বাহিরে 

এসে আম্মুর পাশে বসলাম।। আম্মু আমার কান্না দেখে বললো............


আম্মুঃ>কান্না করছিস কেনো? আল্লাহকে ডাক দেখবি সব ঠিক হয়ে যাবে..?? 


কিছুক্ষণ পর একটা নার্স এসে আমাকে একটা কাগজ দিয়ে বললো.........


নার্সঃ>দ্রুত এই ঔষধ গুলো নিয়ে আসুন..??


আমি দৌড়ে গিয়ে ঔষধ গুলো নিয়ে আসলাম। প্রায় ত্রিশ মিনিট পর আকাশ OT_থেকে বের হলো। বের হতেই আমি বললাম.......... 


আমিঃ>কি অবস্থা ভাই..??


আকাশঃ>বাচ্চা ভালো আছে.? তোর মেয়ে হয়েছে..?? 


আমিঃ>থ্যাংকস গড.? আনহা কেমন আছে..??


আকাশঃ>ভাবি...??


আমিঃ>কি হয়েছে বল? কি হয়েছে আমার আনহার..??


আকাশঃ>কান্না করিস না..?? 


আমিঃ>বল দোস্ত কি হয়েছে আমার আনহার..??


আকাশঃ>সব ঠিক হয়ে যাবে..?? 


আমিঃ>কি হয়েছে সেটা বল..??


আকাশঃ>ভাবির এখনো জ্ঞান ফিরেনি.? যদি ৪ ঘন্টার মধ্যে জ্ঞান না ফিরে তবে.....??


আমিঃ>এই চুপ একদম চুপ,,এই কথা মুখে আনবি না?

প্লিজ দোস্ত ওই কথা মুখে আনবি না..??


আকাশঃ>আল্লাহকে ডাক ভাই সেটা যেনো কখনো না হয়.? এখন সব কিছু আল্লাহর হাতে..??


আব্বু আম্মু দুজনে কান্না করছে। আমি কি বলবো কিছু বুঝতে পারছি না। এরপর আমি আকাশকে বললাম....


আমিঃ>আকাশ আনহাকে এখন কোথায় নিয়ে গেলো..??


আকাশঃ>কেবিনে দেওয়া হয়েছে তবে....??


আমিঃ>তবে কি..??


আকাশঃ>তুই ভিতরে যাস না..??


আমিঃ>এই ভাবে বলিস না ভাই প্লিজ আমাকে ভিতরে যেতে দে.। নয়তো বউটা অভিমান করে আর কখনো চোখ খুলবে না। প্লিজ ভাই আমাকে ভিতরে যেতে দে.? 


আকাশকে অনেক রিকুয়েষ্ট করার পর ভিতরে ঢুকতে দিলো। আনহার হাত ধরে বসে আছি? শুধু আনহার চোখ খোলার অপেক্ষা করছি। কিছুক্ষণ পর আকাশ আসলো। আকাশ ভিতরে আসতেই আমি বললাম.... 


আমিঃ>আকাশ আনহার জ্ঞান ফিরেছে..?? 


আকাশঃ>না রে এখনো জ্ঞান ফিরেনি..?? 


আমিঃ>প্লিজ ভাই এই কথা বলিস না আমি আর সহ্য করতে পারছি না.? ও আমায় ছেড়ে কোথাও যেতে পারে না কোথাও না..?? 


আমি পাগলের মতো ফ্লোরে বসে আনহার মাথায় হাত রেখে আনমনে ওকে বলে যাচ্ছি......👇👇👇


এই পাগলী এই দেখো...দেখো আমি তোমার সাথে বসে আছি...। চোখ খুলো না প্লিজ...। আমার সাথে আর অভিমান করে থেকো না..তুমি অভিমান করলে আমার 

খুব কষ্ট হবে..... 


আনহা তুমি তো আমায় জড়িয়ে না ধরে ঘুমাতে পারো না তাহলে তাহলে আজ কেনো এতটা সময় ধরে চোখ বন্ধ করে ঘুমিয়ে আছো......


এই পাগলী চোখ খুলো না প্লিজ চোক খুলো...আমার কষ্টে বুকটা ফেঁটে যাচ্ছে....নিঃস্ব হয়ে যাচ্ছে আমি..


আমার এই অবস্থা দেখে আব্বু আম্মু পাশে থেকে কান্না 

করছে। আকাশও কান্না করছে।। আনহার আশা প্রায় ছেড়ে দিয়ে চিৎকার করে কান্না শুরু করলাম..


মনে হচ্ছে অনেক দামি একটা জিনিস হারিয়ে ফেলতে যাচ্ছি। কষ্টে আমার বুকটা পেটে যাচ্ছে।


কিন্তু সবাইকে অবাক করে দিয়ে কিছুক্ষণ পর আনহার হাতটা নড়ে উঠলো। এটা দেখা মাত্রই আকাশ আনহার

বিট চেক করলো।


এবার আকাশের মুখে হাসির আভা এলো। আকাশের হাসি মাখা মুখ দেখে আমি বললাম.......... 


আমিঃ>তুই হাসছিস কেনো..?? 


আকাশঃ>তোদের ভালোবাসার জোরে হয়তো ভাবি আবার আমাদের মাঝে ফিরে এলো..?? 

|||

বিশ্বাস কর আল্লাহ মনে হয় তোদের ভালোবাসায় অনেক খুশি..??


কয়েকদিন পর আনহা আর বাচ্চাকে নিয়ে বাসায় চলে আসলাম। শুরু হয় নতুন একটা সংসার। স্বপ্ন দেখি কারো নতুন ভবিষ্যত প্রজন্ম নিয়ে।


তবে এখন আর জব করি না।। আব্বুর ব্যাবসা দেখতে হচ্ছে আমাকে। আর আব্বু আম্মু আমার মামনিকে দেখছে।


ফ্যামিলির সবাই আমার মামানি টাকে খুব আদর যত্ন করে।। যেমনটা ওর দাদা দাদু ঠিক তেমনই ওর নানা নানু.।। ভালোবাসার কমতি নেই তার..।


আনহার নামের সাথে নাম মিলিয়ে মামানির নাম দিলাম 

তাসফিয়া হাসান আখিঁ..।


এখন আর লেট করে বাসায় যাই না।। সব সময় ৮ টার আগে বসায় পৌঁছে যাই। এবং সময় মতো ফোন করি।


একদিন অফিস থেকে বাসায় এসে ফ্রেশ হয়ে খাবার খেয়ে শুয়ে আছি ঠিক তখনই আনহা রুমে আসলো।

তাও আবার শাড়ি পড়ে। ওকে দেখে আমি জড়িয়ে ধরলাম আর বললাম.........


আমিঃ>বউ..?? 


আনহাঃ>কি..??


আমিঃ>ও বউ..??


আনহাঃ>কি সেটা তো বলো..??


আমিঃ>দিবা..??


আনহাঃ>কি..??


আমিঃ>আদর..??


আনহাঃ>ইশশ আদর কি মামার বাড়ির মোয়া যে চাইলেই পাওয়া যায়...??


আমিঃ>বউয়ের হাতের মোয়া..??


এরপর আমি আনহাকে খাটে শুইয়ে দিয়ে আমার ঠোঁট গুলো ওর ঠোঁটের সাথে মিশিয়ে দিলাম। আনহা লজ্জা

পেয়ে চোখ বন্ধ করে আছে।। এভাবে প্রায় পাঁচ মিনিট ছিলাম  আনহা প্রছন্ড হাঁপাচ্ছে। 


এক অজানা অনুভুতি কাজ করতেছে দুজনের মধ্যে।। হটাৎ করে আনহা আমার ঠোঁটে একটা কামড় বসিয়ে দিলো। ওহহ প্রছন্ড ব্যাথা পেলাম।।  তাই আমি ওকে বললাম.......


আমিঃ>এটা কি করলে..??


আনহাঃ>আদর..??


আমিঃ>তোমার সাথে আর কথা বলবো না..??


আনহাঃ>আমার বাবুটা কি রাগ করেছে..??


আমিঃ>হুমম..??


এবার আনহা নিজে থেকে এসে আমাকে খাটে ফেলে দিলো। এরপর আমাকে কিছ করতে শুরু করলো।

আমার বুকের ভেতর ধুকধুক করতে লাগলো। আমি নিচে আর আনহা আমার উপরে থেকে কিছ করছে।।


আমি যেনো আনহার ঠোঁটের স্পর্শ ও চুলের সুগন্ধে মাতাল হয়ে যাচ্ছি। নিজেকে আর কন্ট্রোল করতে 

না পেরে আমি উঠে আনহাকে নিচে ফেলে দিলাম।।


দুইজনে হারিয়ে যাচ্ছি গভীর এক অজানা ভালোবাসার  ঠিকানায়। যে ঠিকানায় শুধু আমি আর আনহা রয়েছি। ভালোবাসার মাতাল স্পর্শে দুজন পাগলের মতো হয়ে যাচ্ছি।। জড়িয়ে নিলাম ভালোবাসার পরম আদরে.।।


এরপর কি হয়েছে আমি আর জানিনা.। তবে জানলেও বলতে চাচ্ছি না। কারন শরম করে আমার মানে লজ্জা করে আমার।। বাকিটা না হয় আপনারা বুঝে নেন।


আশা করা যায় এবার মনে হয় বেবি আরেকটা হবে।।


তবে এবার যদি একটা ছেলে হয় তাহলে আমার আম্মুর সাথে আমার ছেলের বিয়ে দিয়ে দিবো। আর মামনির সাথে আব্বুর বিয়ে কনফার্ম😊😊


শত হোক শ্বশুর শ্বাশুড়ির দিকটা দেখতে হবে তাই চিন্তা করলাম আরো ২টা বাচ্চা নিবো তাহলে শ্বশুর শ্বাশুড়ির সমস্যাটাও সমাধান হয়ে যাবে..😄😄


আমার পাগলীটা বাচ্চার মা হয়ে গেছে।। কিন্তু এখনো

কথায় কথায় কান্নার অভ্যাসটা পরিবর্তন করতে পারেনি। এই ভাবেই আমার সংসার কাটে। খুব ভালো 

আছি আপনাদের দোয়ায়।


সবার কাছে দোয়া চাই,সবাই দোয়া করবেন যেনো সারা জীবন এভাবে সুখে শান্তিতে জীবন যাপন করতে পারি।



 ________________সমাপ্ত____________


পর্রবের আরও গল্প পড়ুন মন ছুঁয়ে যাওয়ার মতো গল্প।