হঠাৎ বিয়ের রোমান্টিক গল্প | গল্প রোমান্টিক

 রোমান্টিক হাসির স্ট্যাটাস

রোমান্টিক হাসির স্ট্যাটাস

কাল আমাদের বিয়ে। প্রবাসী জীবন শেষে কিছু অর্থ গুছিয়ে দেশে ফিরেছি।

ইচ্ছে শহরের বুকে একটি রেস্টুরেন্টে  দিবো।

যাকে আমি বিয়ে করতে যাচ্ছি, শুনেছি সে বেশ শিক্ষিতা।

আমার পড়াশোনা বেশি নয়,ভূমধ্যসাগর পাড়ি দিয়ে জীবনের রিস্ক নিয়ে ইউরোপে পাড়ি জমাই।


এরপর লড়াই সংগ্রাম করে মোটামুটি ভাবে ফুলেফেঁপে উঠি।

মেয়েটির সাথে আমার বিগত দুইমাস কথা হচ্ছে।কথায় কথায় তার মুখে ইংরেজি ফুটে। শুনতে আমার ভালোই লাগে তবে অনেক কিছু বুঝিনা মাঝে মাঝে।

একদিনের ঘটনা আমি তখন সদ্য উবারে কয়েকটি ট্রিপ শেষ করে আমার ছোট্ট রুমটায় এসেছি।

রুমে আসতেনা আসতেই তার ফোন।

ফোন করেই প্রাথমিক কুশলাদি জিজ্ঞেস করে সে আমাকে ইংরেজিতে জিজ্ঞেস করলোঃ


- I am desperate for our marriage, Aren’t you?


আমি ডেস্পারেট শব্দটা ছাড়া আর সবই বুঝলাম মোটামুটি। 


শুনেই উত্তর দিলাম, বিয়েতে ডেক্সপোর্টিন এর জন্য তুমি এক্সাইটেড কেন?তুমি চাইলে এই দেশের দামি পানি  নিয়ে আসবো আমি। এরপর এই পানি নিয়ে অনেক ঝামেলা হয়েছিলো যদিও আমি পানি টানি খাইনা।

যাইহোক তার সাথে দুইমাসের আলাপ আর সাথে কিছু ইংরেজি চর্চা করে আমি একটা লেভেলে আসছি এখন।

আমি থেকেছি জার্মানিতে এখানে ইংরেজির দাপট খুব বেশি একটা না।

 কাল তো আমাদের বিয়ে,আমিও খুব এক্সাইটেড। 

ঢাকা এসে তার সাথে গুলশানের একটি রেস্টুরেন্টে একবার শুধু দেখা হয়েছে।

সেদিন আমি তাকে একটা বিষয় খুব করে জিজ্ঞেস করেছিলাম কিন্তু সে বিষয়টি এড়িয়ে গিয়েছে। 

আমার প্রশ্নটা খুব সাদামাটা ছিলো " সে এত শিক্ষিতা হয়ে এই অশিক্ষিত মানুষকে কেনো বিয়ে করতে চাচ্ছে"

নোয়াখালীর মানুষ আমি কথাবার্তায় আঞ্চলিকতা চলে আসে বারবার,দেখতেও খুব যে হ্যান্ডসাম তাও নয়,এদিকে মেয়ের পরিবারে যে টাকা পয়সার অভাব তাও নয়।

আমাদের মাঝে বয়সের দূরত্ব প্রায় ৮ বছর।

আমি ৩২ আর সে ২৪, 

যে কিনা সদ্য গ্রাজুয়েশন শেষ করেছে দেশের প্রথম সারির একটি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় হতে।

সে আমাকে কোনো সদুত্তর দেয় নি সেদিন, শুধু বলেছিলো সময়ের সাথে সাথেই নাকি আমি বুঝে যাবো কেনো সে আমাকে বিয়ের জন্য পছন্দ করেছে।

বেশ ধুমধাম করেই আমাদের বিয়ে হলো, সব কিছুই খুব সুন্দর ভাবে শেষ হলো।

সময় হলো একান্ত হবার,ঢাকায় আমাদের কেনা ফ্লাটের দক্ষিনের রুমটা আমাদের বাসর ঘর।


রাত তখন ১২.৩৩, আমি রুমে ঢুকলাম সব ব্যস্ততা শেষে।

রুমে ঢুকেই তার কাছে না গিয়ে জানালার কাছে চলে গেলাম। থাই গ্লাসটা খুলে দিলাম, ঠান্ডা বাতাস আসতে থাকলো রুমে।

এরপর আবার তার কাছে না গিয়ে ওয়াশরুমে গেলাম, একটু চাপ ছিলো তাই  ফ্রেশ হয়ে ফিরলাম।খুব নার্ভাস লাগছিলো তাই আবারও তার কাছে না গিয়ে, একটু বেলকুনিতে গেলাম, একটা সিগারেট ধরালাম মুখে দুর্গন্ধ নিয়ে ফিরলাম। 

মনে মনে ভাবলাম প্রথম রাতে মুখে দুর্গন্ধ নিয়ে তার কাছে যাওয়া অভদ্রতা হবে তাই আবারো তার কাছে না গিয়ে ওয়াশরুমে বেসিনের কাছে গেলাম। হাতে তুলে নিলাম টুথপেষ্ট আর ব্রাশ।

সুন্দর করে ব্রাশ করে ফিরলাম এসেই শুনি নাক ডাকার ভয়ানক আওয়াজ।

আমি চুপচাপ পাশে গিয়ে শুয়ে পড়লাম,ভদ্রতা আর ক্লান্তির অজুহাতে আর তাকে ডেকে তুললাম না।

তবে আমার ঘুম আসছিলো না।এত ভয়ানক নাক ডাকার আওয়াজ আমি কল্পনাও করিনি একটা নারীর নাকের থেকে।

হঠাৎ আমার মাথায় এলো সেই পুরনো চিন্তা আর তার সাথে কিছু কথোপকথন এর অংশ।

একদিন সে জিজ্ঞেস করেছিলোঃ


- Can you tolerate my horrible snoring? 


আমি উত্তর দিয়েছিলামঃ


- Yes I love Snowing very much.


(সমাপ্ত) 


-নাক_ডাক 

-নিলয়_নীল


এমন আরও রোমান্টিক গল্প পড়ুন।