গল্প:নিষিদ্ধ ঘটনার মৃত্যু | রহস্যময় ভূতের গল্প

 রহস্যময় ঘটনা

রহস্যময় ঘটনা

নিষিদ্ধ ঘটনার মৃত্যু...☠️👹

পর্ব: ০১


প্রতি রাতেই কোচ দিয়ে মাছ ধরা রাজিবের একটি অভ্যাসে পরিণত হয়েছে। বর্ষার মৌসুম ঝিরঝির বৃষ্টি ও হাওয়া বইছে, যেনো একটানা আজ ১২ দিন লেগেই আছে, এক বার কমছে তো আবার বাড়ছে।


প্রতি রাতেই রাজিব একা একা মাছ ধরতে যায়।

সাথে কেউ যেতে চাইলেও রাজিব নিতে চায় না, 

এতে নাকি তার মাছ ধরার বেগাত ঘটে।


আজ রাত ও রাজিব মাছ ধরতে বাহির হয়েছে।


সারাদিন বিদ্যুৎ না থাকায় টর্চ লাইটের ব্যাটারিতে তেমন চার্জ নেই। তার পরও মাছ ধরার নেশায় বাহির হলো। প্রায় ৩০ মিনিটে অনেক মাছই কোচ দিয়ে ধরেছিলো।

লাইটের চার্জ শেষ,তাই বাড়ি চলে আসলো।

বাড়িতে এসে দেখলো ব্যাগে একটাও মাছ নেই!


রাজিব ভাবতে লাগলো মাছ গুলো যাবে কোথায়? 

আবার মনে মনে ভাবলো,মাঝ পথে ব্যাগটা রেখে পস্রাব করার সময় যে বিড়ার টা কে দেখেছিলো, ঐ বিড়াল টা কোনো মাছ গুলো খেয়ে ফেললো নাকি?

তা ও তো হতে পারে।

কিন্তু এত গুলো মাছ এক সাথে মাত্র দুই মিনিটের মধ্যে খাবে কি করে!


রাজিবের মা জিজ্ঞেস করলো, কিরে বাবা আজ কি মাছ পাস নি?

মা'কে তো এই সব বলা যাবে না,মা কি না কি ভাবে।

না মা আজ লাইটে চার্জ নেই,একটু যেতে না যেতেই দেখি লাইট বন্ধ হয়ে গিয়েছে।


খাওয়া দাওয়া করে ঘুমিয়ে পড়লো।


ঘুমের মধ্যে সেই রাতের বিড়ালটি কে স্বপ্নে দেখলো!

বিড়ালটি রাজিবকে বললো-- এই রাস্তাটা আমাদের, এই খানের সমস্ত মাছ গুলোও আমাদের,তুমি আর কোনো দিন এই রাস্তায় মাছ ধরতে আসবা না।


সকাল হলো, রাজিবের রাতের স্বপ্ন গুলো মনে পরে গেলো,

ভাবলো এটা মনের কোনো ভুল হতে পারে। হয়তো বিড়ালটি কে নিয়ে এতটা সিরিয়াসলি হয়ে যাওয়ার কারণে, এমন কিছু স্বপ্নে দেখেছে।


আজ আবার রাতে বাহির হলো কোচ নিয়ে।

আজ একটাও মাছ পেলো না। ভাবতেই যেনো কেমন লাগছে! কোনো দিন রাজিব খালি হাতে আসে নি,অথচ আজ দুই দিন কি যে হলো।


রাতে স্বপ্নে দেখতে পায়, গত রাতের বিড়ালটি দূরে দাঁড়িয়ে রয়েছে এবং রাজিবের দিকে চোখ গুলো বড় বড় করে তাকিয়ে রয়েছে। আর বলতেছে-- বলেছিলাম না, এটা আমাদের রাস্তা, এই রাস্তায় মাছ ধরতে না আসতে। বারন করা শর্তেও তুমি কেনো আসলে?

আমরা ২য় বার কাউকে বারন করি না,তারপরও তোমায় করলাম। এর পর আর যদি আসো তাহলে তোমার অনেক ক্ষতি করে ছাড়বো।


ঘুম থেকে সকালে উঠে রাজিব রাতের স্বপ্নের কথা গুলো চিন্তা করতে লাগলো। তার সাথে স্বপ্নে কেনো বিড়ালের ভেসে কেউ মাছ ধরতে নিষেধ করে, এটা ভেবে উঠতে পারছে না।

 রাজিব কারো সাথেই স্বপ্নে দেখা ঘটনার কথা গুলো শেয়ার করে নি।

রাজিব আজ রাতে খুবই রেগে আবার সেই পথেই মাছ ধরতে গেলো এবং মনে মনে স্থির নিলো যে বিড়াল টি কে পেলে কিছু একটা করবেই।


অনেক বড় একটা মাছ পেলো। একটু সামনে যেতেই বিড়ালটিকে দেখতে পেলো। বিড়ালটি খুবই রেগে রয়েছে দেখা যাচ্ছে। প্রথম রাতে মাছ ধরার সময় দেখা ও গত দুই রাতে স্বপ্ন দেখা বিড়ালটা আর এই বিড়ারটির শরীরের গঠন একই। রাজিব স্থির করলো এটাই সেই বিড়াল হতে পারে।

রাজিব রেগে গিয়ে কোচ দিয়ে আঘাত করে বিড়াল টি কে মেরে পেলে।


বিড়াল টি মারা যায়। কিন্তু নিমিষেই বিড়ালটি একটি কাকে পরিনত হয়!

রাজিব কিছুটা ভয় পেয়ে যায়। বিড়াল কিভাবে কাক হয়? এটা অন্য কিছু ছিলো না তো?

সেই রাতে রাজিব আর মাছ ধরে নি। তারাতাড়ি বাড়ি চলে যায়।

ঘুমিয়ে পড়লো, মাঝ রাতে ঘরের চার পাশে অসংখ্য কাকের ডাক শুনতে পেলো,এবং ঘরের টিনে কে যেনো অনেক ঢিল মারছে।

রাজিব বাহিরে এসে দেখে কাকও নেই, ঢিল গুলো ও মাটিতে নেই। কিছু না পেয়ে রাজিব ঘরে গিয়ে শুয়ে থাকে। 

২০ মিনিট পর আবার সেই কাকের ডাক ও কারা যেনো ঢিল মারছে টিনে। রাজিব এবার রেগে গিয়ে বাহিরে নেমে আসে, লাইট নিয়ে ঘরের চার পাশ ঘুরে দেখে, কোনো কাকই দেখে নি ও কোনো ঢিলের চিহ্ন খুঁজে পায় নি। রাজিব যেই ঘরে ঢুকবে, দরজার সামনে দেখে রাতে মাছ ধরতে গিয়ে যে বিড়ালটিকে মেরে ফেলছে সে বিড়ালটি তার দিকে চোখ রাঙিয়ে তাকিয়ে রয়েছে!

রাজিব নিজের অজান্তেই অজ্ঞান হয়ে মাটিতে পরে যায়। সকালে জ্ঞান ফিরে নিজেকে খাটে দেখতে পায়। পাশে তার মা বসে রয়েছে।


জ্ঞান ফিরে আসার পর রাজিবের মা জিজ্ঞেস করলো-- কি হয়েছিলো তোর বাবা, তুই যে দরজার সামনে পরে ছিলি।

রাজিব কিছুই বলে নি মা'কে।

বৃদ্ধ মা,কিছু বললে যদি চিন্তা করে।


রাজিব সিলেট একটি "জুট মেইলে" কাজ করে। 

সে ভাবলো যদি বাড়িতে থাকে তাহলে বিড়াল টি তার ক্ষতি করতে পারে, তাই সে সিদ্ধান্ত নিলো সিলেট চলে যাবে।আজ দূপুরেই রওনা দিলো। সিলেট গিয়ে রাতে পৌঁছলো।


রাজিব সিলেট যে রুমে থাকে,একই সাথে তাদের দেশের বাড়ির দুই জন থাকে, তারা ও রাজিবের সাথে জুট মেইলে সুতার কাজ করে। একজন হলো আরিফ, আরেকজন নিহাল। 

সবাই ঘুমিয়ে পড়লো। 


রাত দুইটার দিকে একটি বিড়ালের ডাকে রাজিবের ঘুম ভেঙে যায়। চোখ মেলে দেখে দেশের সেই বিড়ালটি। কিছুক্ষণ পর আবার নিমিষ হয়ে যায়।

সেই রাত রাজিবের ভয়ে ভয়ে কেটে যায়।


পরদিন রাজিব আর কাজে যায় নি।মনের মাঝে শুধু একটি চিন্তা ঘুর পাক খাচ্ছে, সেই বিড়ালটি কে এখানে দেখেছে তারমানে সে তার ক্ষতি করেই ছাড়বে।

কিছু একটা করতে হবে। কালই একজন হুজুরের কাছে যাবে।


আজ রাতেও সবাই মিলে ঘুমিয়ে পড়লো।


রাজিবের বন্ধু আরিফ ও নিহালের একটি বিড়ালের ডাকে ঘুম ভেঙে যায়। উঠে দেখতে পায় রাজিব মারা গিয়েছে। বিড়ালটিকে আর দেখা যায় নি।


রাজিবের হঠাৎ মৃত্যুতে তার বন্ধুরা চিন্তিত হয়ে পড়ে।


দেশের বাড়িতে খবর পাঠানো হয়। রাজিবের মা ছাড়া পরিবারে আর তো কেউ নেই। তাই তারা দু'জন পরদিন রাজিবকে নিয়ে একটি এম্বুলেন্সে করে দেশের বাড়িতে রওনা দেয়।

আসতে আসতে পথে রাত্র হয়ে যায়।


সব কিছু স্বাভাবিকই ছিলো।


সামনে একজন বৃদ্ধ লোক দাঁড়িয়ে হাতের ইশারা করছে গাড়ি থামানোর জন্য। 


সবাই মনে করলো সামনে কোনো সিগনাল আছে নাকি,, তাই তারা গাড়ি থামালো। বৃদ্ধ লোকটি সাথে সাথেই উধাও। 

সবাই ভয় পেয়ে গেলো। এটা কি কোনো মনের ভুল ছিলো না কি? কিছুক্ষণ আগেই তো বৃদ্ধ লোকটি গাড়ি ধামাতে বললো, এখন সে কি করে উধাও!


কিছুপথ গাড়ি চলার পর, হঠাৎ করে গাড়ির সামনে কোথায় থেকে এসে একটি কুকুর পড়লো, এবং কুকুর টি মারা গেলো।


কিছুক্ষণ গাড়ি চলার পর আবার সামনে এক দল বিড়াল মাঝ রাস্তায় দৌড়াদৌড়ি করছে। ড্রাইভার অনেক চেষ্টা করে পাশ কাটিয়ে এই পর্ব পার হলো।

বার বার এমন ঘটনা কেনো ঘটছে, নিহালের মনে পরে যায় একটি কথা।

লাশ বিহীন গাড়ীর সামনে নাকি রাত্রে নেওয়ার সময় অনেক কিছুই ঘটে। তাই এমনটা ঘটছে মনে হয় তাদের সাথে।


কিছুপথ যাওয়ার পর হঠাৎ কে যেনো গাড়ী পিছন দিকে টানছে। গাড়ি সামনে আগাচ্ছে না, ঘুরেফিরে একই জায়গায় গাড়ী।


ড্রাইভার সবাই কে দোয়া পড়তে বললো। এখন গাড়ি কিছু টা আস্তে আস্তে চলছে।


সামনে প্রচুর কাক দৌড়াদৌড়ি করছে। আরিফ ও নিহাল গাড়ি থেকে নেমে...


নিষিদ্ধ ঘটনার মৃত্যু...☠️👹

পর্ব: ০২ ও শেষ 


সামনে প্রচুর কাক দৌড়াদৌড়ি করছে। আরিফ ও নিহাল গাড়ি থেকে নেমে রাস্তার পাশ থেকে ইটের টুকরো নিয়ে কাক গুলোকে নিক্ষেপ করে। ঢিল পড়ে দুইটি কাক মারা যায়। সবগুলো কাক চলে যায়।

রাস্তায় আর কোনো ধরনেরই সমস্যা হয় নি।


রাজিবকে বাড়িতে এনে মাটি দেওয়া হয়।


ঘটনা এই খানেই শেষ হতে পারতো।

কিন্তু না,এইখান থেকে মূল ঘটনা শুরু।


পরদিন সকালে রাজিবের লাশ কবরে পাওয়া যায় নি!মাটি খুঁদিয়ে কে মনে হয় লাশটা চুরি করে নিয়ে গিয়েছে। এবং রাজিবের কবরের পাশে একটি মরা বিড়াল পাওয়া যায়!

'এইদিকে তো এলাকায় গুঞ্জন পড়ছে। রাজিবের লাশ রাতে চুরি হয়েছে। এলাকায় নতুন লাশ চুরির আমদানি ঘটেছে, রাজিবের লাশের মতো কারো লাশ যাতে চুরি না হয়। সবাই সাবধান হচ্ছে। 


রাজিবের লাশের জায়গায় একটি মৃত বিড়াল পাওয়া যায়, এটা শুনে আরিফ ও নিহাল গীবরে পরে।কেননা, রাজিবের লাশের গাড়ি আনার সময় অনেক গুলো বিড়াল সামনে পড়েছিলো,সব গুলো একই কালারের বিড়াল ছিলো,রাজিবের কবরের পাশেও তেমনই একই কালারের বিড়ালটি ছিলো ।

ভাবতে ভাবতে দুইজন অস্থির হয়ে পরে। 


সন্ধ্যা থেকে আরিফের প্রচুর জ্বর আসছে। এই দিকে বাহিরে অনেক কাক ডাকছে। রাতের বেলা কাক ডাকে ভেবে নেওয়া যাচ্ছে না। আরিফের পরিবার একজন ডাক্তার আনে। ডাক্তার আরিফের জ্বর মেপে দেখেন ১০৪° ডিগ্রি জ্বর। রাতে খুবই বেশি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। রাতের মধ্যে যত তারাতাড়ি সম্ভব আরিফকে উপজেলা বা জেলা হাসপাতালে ভর্তি করাতে, তা না হলে কিছু একটা ঘটে যেতে পারে।

আরিফের পরিবার একটি গাড়ি করে আরিফকে সদর হাসপাতালে নিয়ে আসে।

ডাক্তাররা বিভিন্ন চেকাপ নিকাপ করে ট্রিটমেন্ট দেয়।


কিছুতেই আরিফের জ্বর কমাতে পারে নি।

রাতেই আরিফ মারা যায়।


সকালে বাড়িতে এনে আরিফকে মাটি দেওয়া হয়।


পরের দিন আরিফের লাশ কবরে পাওয়া যায় নি!কবরের পাশে দুইটি মৃত কাক পাওয়া যায়।

এলাকার আবার সেই গুঞ্জন রটে,রাজিবের লাশের ন্যায় আরিফের লাশও নাকি চুরি হয়ে গিয়েছে।

রাজিবের কবরের পাশে ছিলো মরা বিড়াল, আরিফের কবরের পাশে দুইটি মৃত কাক!


নিহাল সিলেট চলে গিয়েছে কাজ করতে, আরিফের মৃত্যুর খবর শুনে রীতিমতো মনের মধ্যে ঝড় বইছে।


নিহাল সিলেট একজন হুজুরের কাছে গিয়ে সজিবের লাশ রাতে গাড়িতে করে বাড়ি ফেরার পথে ঘটে যাওয়া সকল ঘটনা খুলে বললো।


হুজুর কিছু দাওয়াইপত্র নিহাল কে দিলো। 

নিহালের মন থেকে সেই চিন্তা কেটে গেলো।


প্রতিদিনই কাজ থেকে বাসায় আসতে নিহালের রাত হয়। তেমনি এক রাতে বাসায় ফিরতেছে, 

মনে হচ্ছে পিছন থেকে নিহালের পিছু নিচ্ছে কেউ। নিহাল পিছন তাকালে কাউকেই দেখতে পায় নি।কিছুপথ হাঁটার পর আবার পিছন থেকে কেউ ফলো করছে মনে হচ্ছে। পিছন তাকিয়ে দেখতে পেলো একটি কুকুর। কুকুরটি দেখে ভয় কেটে যায় নিহালের,কেননা রাতের বেলা কুকুরের হাঁটা হাটি করার অভ্যাস রয়েছে।


'আজ রাত নিহালের সাথে আর কিছুই ঘটে নি।


পরদিন রাতে নিহাল কাজ ছুটি করে বাড়ি রওনা দিয়েছে। 

পথিমধ্যে দেখতে পাচ্ছে রাস্তার পাশে একটি মরা গরু।গরুটির মাংস দুইজন মানুষ কেটে কেটে একটি ব্যাগে নিচ্ছে। গরুটি থেকে অনেক দুর্গন্ধ আসতেছে। এক মিনিট গরুটির পাশে দাঁড়ানোর ক্ষমতা কারো নেই,এত দুর্গন্ধ। 

নিহাল মনে মনে ভাবলো। নিশ্চয়ই কোনো গরীব পরিবারের হবে উনারা, ক্ষুধার তাড়নায় কিছু না পেয়ে মরা গরুটার মাংস কেটে নিচ্ছে।

 মরা প্রাণীর মাংস খাওয়া তো হারাম। তাছাড়া এটা থেকে তো দুর্গন্ধ বের হচ্ছে। 

উনাদের বারন করা উচিত। 

নিহাল লোকগুলোর কাছে এগিয়ে গেলো,এবং পিছনে দাঁড়িয়ে বলতে লাগলো এই ভাইয়েরা আপনারা জানেন না মরা প্রাণীর মাংস খাওয়া হারাম। কিছু মনে না করলে, এই ধরুন আমি কিছু টাকা দিতেছি এক কেজি মাংস কিনে পরিবারকে সাথে নিয়ে খান, তারপর ও মরা গরুর মাংস খেয়েন না।

লোক গুলো নিহালের কোনো কথাই শুনে নি, মাংস কাটতেছে তো কাটতেছেই।

বাদ্য হয়ে নিহাল উনাদের একজনের হাত ধরে বললো ভাই আমার কথা কি শুনতে পাচ্ছেন। লোক গুলো নিহালের দিকে তাকালো। কি ভয়ঙ্কর চেহেরা। চোখ গুলোতে আগুন জ্বলছে। তাদের একজন নিহালকে একটি থাপ্পড় দেয়। নিহাল অজ্ঞান হয়ে পরে যায়।


পরদিন বিকাল বেলা একটি হাসপাতালে নিহালের জ্ঞান ফিরে। একজন নার্স এসে বললো-- একজন ট্রাক ড্রাইভার আপনাকে রাস্তার পাশে পরে থাকতে দেখে হাসপাতালে এনে ভর্তি করে দিয়ে যায়।


নিহাল ভাবতে লাগলো এখনও পৃথিবীতে ভালো মানুষ বসবাস করে।


নিহাল হাসপাতাল থেকে আর দেড়ি না করে সরাসরি গ্রামের বাড়িতে চলে আসে। একজন ভালো কবিরাজের কাছে যায়,উনাকে সব খুলে বলে। কবিরাজ সব কিছু অনুভব করে বললো। এটা ছোটোখাটো কিছু নয়, বিশাল কিছু একটা হতে পারে। এবং সে একা নয় তার সাথে অনেক সঙ্গী রয়েছে।

 আমি যতটুকু পারি তোমাকে সুস্থ করার চেষ্টা করবো।


তিন-চারদিন নিহাল কিছুটা স্বাভাবিক ছিলো। একরাতে নিহালের অনেক জ্বর উঠে। এতই জ্বর যে এক পর্যায়ে নিহাল মারা যায়।


'নিহাল কে মাটি দেওয়া হয়।


এইদিক দিয়ে তো এলাকার সবাই আগের দুইটা ঘটনার কারনে, কেউ মারা গেলে, মাটি দেওয়ার পর তিন চার দিন পাহারা দিতো, কেউ যাতে লাশ চুরি করতে না পারে।

তেমনি নিহালের কবর ও পাহারা দিতেছিলো। 

ভোররাতে সবাই যখন ঘুমিয়ে পরে তখনই নিহালের লাশ আর খুঁজে পাওয়া যায় নি। কবরের পাশে দুইটি কাক পাওয়া যায়।


পরবর্তীতে কোনো লাশ আর চুরি হয় নি ঐ এলাকায়। 


এলাকায় বিভিন্ন ধরনের গুজব ছড়ায়,রাজিব,আরিফ ও নিহাল সিলেট একই রুমে থাকতো,নিশ্চয়ই তারা কোনো অন্যায় বা কোনো অশোভন জ্বীনের কলবে পরেছিলো, তাই তাদের এমন মৃত্যু ও লাশ খুঁজে পাওয়া যায় নি।


সজিব যে রাস্তাটি দিয়ে মাছ ধরেছিলো। সে রাস্তাটি দিয়ে কেউ মাছ ধরতে গেলে সুস্থ ফিরে আসে নি।

কেউ পিছলে পরে হাত ভেঙে যায়,কাহারো পা ভেঙে যায়। আবার কারো কারো একটানা অনেক দিন জ্বর হয়। সেই থেকে রাতের বেলা আর ঐ রাস্তাটা দিয়ে কেউ মাছ ধরতে যায় নি। যে যায় সেই কিছু না কিছু একটা দেখতে পায়।


প্রায় চার বছর চলে গেলো। একদিন ঐ গ্রামের এক মসজিদের হুজুর স্বপ্নে দেখতে পেলো ঐ রাস্তার মোড়ে একটি গাব গাছ রয়েছে। সেখানে কিছু ভিন্ন প্রাণীর বসবাস। তাদের প্রধান খাদ্য মাছ। যার কারনে কাউকে তারা এই পথে মাছ ধরতে দেয় নি। তারাই রাজিব,আরিফ ও নিহাল কে হত্যা হরেছিলো।

সে গাব গাছ টি কেটে ফেললে এই সমস্যা আর হবে না।


সে গাছটি কাটতে হবে ৪০ জন হুজুরকে দাঁড় করিয়ে রেখে এবং ঐ গ্রামের সবাই মিলে মিলাদ পরালে হয়তো এই সকল জ্বীন গুলো এই খান থেকে চলে যাবে।

 

হুজুরের কথা সবাই বিশ্বাস করে,তাই করেছিলো।তারপর থেকে সেই গ্রামে এখন আর এমন কোনো সমস্যা হয় নি।

(সংক্ষিপ্ত) 


.......সমাপ্ত........


লেখক: জুরা চৌধুরী


এমন আরও অনেক গল্প পড়ুন।