হাসতে পারলে জীবন সুন্দর | জীবনে প্রচুর হাসতে হবে

শব্দ করে হাসতে মানা

শব্দ করে হাসতে মানা

 😆হাসতে হাসতে দাত খুলে যাবে🤣

খাবার টেবিলে বসে আমার ৭ বছরের ছোট ভাই নিজের পেটে হাত রেখে আদুরে গলায় বলল ও আমার লাল আজ থেকে আমি ভালোমতো খাব শুধুমাত্র তোর জন্য!


আমি আম্মুর দিকে তাকালাম। আমার চোখে প্রশ্ন কি বলে এসব?


আম্মু বিস্ময়ের সাথে ছোট ভাইকে জিজ্ঞেস করল বাবা কাকে কি বলছো? কার জন্য তুমি ভালোমতো খাবে?


ছোট ভাই ভুবন ভুলানো হাসি দিয়ে বলল আম্মু আমার পেটে যে তোমার নাতি বেড়ে উঠছে। বেশি করে খেতে হবে না এখন?


আমার গলায় খাবার আটকে গেছে। আম্মু চোখ কপালে তুলে আবার ছোট ভাইকে জিজ্ঞেস করল তুমি কিভাবে বুঝলে যে তোমার পেটে আমার নাতি আছে?


ছোট ভাই বলল আমার খুব শখ আমার একটা বাবু হবে। আমি তার সাথে খেলব। তাই সৃষ্টিকর্তা কে বলেছি আমাকে একটা বাবু দিতে! এরপর আমার পেট গুড়ুম গাড়ুম করছে!


আমার পায়ের র/ক্ত মাথায় উঠে গেল ওর কথা শুনে। এমনেই মেজাজ খারাপ হয়ে আছে। একটা মেয়ে হাই লিখে মেসেজ দিয়েছিল ।।আমি সাধারণত কোন মেসেজ রিকোয়েস্টের রিপ্লাই করি না। কি বা ভাগ্যে রিপ্লাই করলাম জি? তারপর মেয়েটা বলে নাথিং! আরে আ/বা/ল কিছু বলার নাই তো আজাইরা মেসেজ দিলি কেন? অনেক কড়া কথা শোনানোর ইচ্ছা থাকলেও শুনাই নি। আগুন তুষে চা/পা দিয়ে দিয়েছিলাম। এখন ভাইয়ের কথায় তুষের আগুন দাউদাউ করে জ্বলে ঊঠল। চিৎকার দিয়ে বললাম ছেলেদের বাচ্চা হয় কখনো শুনেছিস?


ছোট ভাই মুখ গো'ম'ড়া করে বলল Oggy কার্টুনে ওগির পেটে বাবু হইছিল না? ওগি কি ছেলে না?


মনটা চাচ্ছে থা/প্প/ড় দিয়ে দাঁত ফেল দিতে।


----ঐ আ/বা/ল কার্টুনের সাথে তোর সাথে? ওগি কার্টুনে এটা একটা চাল ছিল ঐ তিনটার। কি জানি নাম! যাক গে! ছেলেদের কখনোই বাচ্চা হয় না।


ছোটভাই এবার মেঝেতে হাত পা ছড়িয়ে দিয়ে ভ্যাঁ করে কান্না জুড়িয়ে দিল! কেন তার বাচ্চা হবে না! কি সমস্যা!


আম্মুর অবস্থা খারাপ! আর আমি নিজের চুল নিজেই ছিড়তেছি! এটা কোন জাতের ছেলেরে বাবা!


আম্মু অবশেষে বলল মেয়েদের বাচ্চা হয় ছেলেদের হয় না। তোমার বিয়ের পর তোমার বউয়ের বাবু হবে!


কথাটা মুভের মতো কাজ করল। ছোট ভাই কান্না থামিয়ে বলল তাহলে আমাকে বিয়ে দিয়ে বউ আনো। আমার ক্লাসের রিয়াকে আমার খুব পছন্দ।

হাসতে হাসতে পেট ব্যাথা

পাঁচু রাত ১২ টায় নাচুকে ফোন করেছে ---


পাঁচুঃ নাচু, একটু আমার বাড়িতে আয় না, জরুরী কাজ

আছে।

নাচুঃ আমি এখন আসতে পারবো না, ঘুম পাচ্ছে।


পাঁচুঃ প্লিজ আয় না, জরুরী কাজ আছে।

নাচুঃ বললাম তো আসতে পারবো না, ঘুমাবো। গুড নাইট।

(ফোন বন্ধ)

কিছুক্ষন পর নাচু ভাবলো খুব জরুরী কাজ হবে হয়তো,

এইসব ভাবতে ভাবতে নাচু পাঁচুর বাড়ি গেলো।


নাচুঃ কিরে, কি জরুরী কাজ তোর, এতো রাতে ...??

পাঁচুঃ বোস, চা-কফি কিছু খাবি??

(পাঁচু মনে মনে বললো,"যদি তুই কিছু খাস তোকেই বানাতে হবে, এই শীতে আমি আর উঠছি না।)


নাচুঃ নাহ, এতো রাতে অত ফর্ম্যালিটি করতে হবে না। কি

কাজ করতে হবে তাড়াতাড়ি বল...।

আমাকে বাড়ি ফিরতে হবে।


পাঁচুঃ টিভি আর লাইটের সুইচটা একটু বন্ধ করে দিয়ে

যা, খুব শীত লাগছে, লেপ ছেড়ে উঠতে পারছি না,

তাই তোকে ফোন করে ডাকলাম।


নাচু টিভি আর লাইটের সুইচটা বন্ধ করে ফ্যানের সুইচটা চালু করে দিয়ে চলে গেলো।

দেখ, কেমন লাগে??


এমন আরও অনেক গল্প পড়ুন।