গল্পঃ_সিনিয়র_ডাক্তার_যখন_বউ | রোমান্টিক ভালোবাসার গল্প

 সেরা ভালোবাসার গল্প

সেরা ভালোবাসার গল্প

গল্পঃ_সিনিয়র_ডাক্তার_যখন_বউ

(পর্ব_০১)

লেখকঃ আব্দুল্লাহ আল শাহজালাল। 


বিকেল বেলায় রুমে বসে পাবজি খেলতেছি 😁😁ঠিক

তখনই আম্মুর ডাক পড়লো.......... 


আম্মুঃ স্বপ্নীল এদিকে আয় তো? 


আমিঃ এখন পারবো না পরে? 


এই কথা বলে খেলায় আবার মনোযোগ দিলাম। হটাৎ আম্মু এসে ফোনটা হাত থেকে নিয়ে গিয়ে বললো.....


আম্মুঃ আমাদের নতুন ভাড়াটিয়া আসছে। যা ওদের কাজে একটু হেল্প কর? 


আমিঃ আমি হেল্প করবো কেনো😠😠


আম্মুঃ তুই জাবি নাকি ঝাড়ু নিয়ে আসবো??


আমিঃ ওকে যাইতেছি 😠😠


আসলে আমাদের বাসায় নতুন ভাড়াটিয়া আসতেছে। আব্বু অবশ্য এই কথা বলেছিলো। কিন্তু কবে আসবে তা বলেনি। 


আর মরার ভাড়াটিয়া এখনই আসতে হবে! এই কথা বলতে বলতে তাদের কাছে গেলাম। দেখলাম যিনি ভাড়া নিয়েছেন উনি দাঁড়িয়ে আছেন।। আমি তাকে জিজ্ঞেস করলাম....... 


আমিঃ কেমন আছেন আংকেল? 


আংকেলঃ জ্বি বাবা ভালো আছি। তুমি কেমন আছো? 


আমিঃ ভালোই আছি আংকেল। আম্মু পাঠিয়েছে আপনাদের কাজে সাহায্য করার জন্য? 


আংকেলঃ ওহ আচ্ছা? 


এরপর আমি কাজ করতে শুরু করলাম,,সালার ৩ ঘন্টা হয়ে গেছে এখনো কাজ শেষ হয়নি। আর আংকেল নবাবের মতো অর্ডার করছে! এটা করো ওটা করো 🙉🙉 ধুরর কেনো যে আসছিলাম 😞 না আসলেই ভালো হতো।


মনে মনে ভাবতেছি। এই বেটার নিশ্চয়ই মেয়ে আছে।। আর আমি ওর সাথে প্রেম করবো 😘😘। আর কষ্টের উশুল তুলবো 😁😁।


কিছুক্ষণ পর খেয়াল করলাম,আংকেলের স্ত্রী আর তার পিচ্চি ছেলেকে নিয়ে বাসায় ডুকতেছে। তাদের দেখেই মনটা খারাপ হয়ে গেলো😥😥। কত শখ ছিলো 

তাদের একটা মেয়ে থাকলে ছুটিয়ে প্রেম করবো😘😘 তা আর হলো না🙉🙉।


ধুরর কপালের দোষ। আমার জীবনে প্রেম ভালোবাসা নাই 😔😔। হটাৎ পিচ্চিটা তার আম্মুকে বললো....... 


পিচ্চিটাঃ আম্মু আপু আসবে কখন? 


পিচ্চির আম্মুঃ এইতো চলে আসবে? 


এই কথা শুনে আমার মনটা ভালো হয়ে গেলো। খুশিতে নাঁচতে মন চাইছে😁😁 তার মানে একটা মেয়ে আছে। তাই খুশিতে আরো কতক্ষণ কাজ করলাম😁😁।


হটাৎ করে কিসের সাথে যেনো ধাক্কা খেলাম। মনে হচ্ছে আমি এখন তুলার বস্তার উপরে আছি😁😁 তখনই কে যেনো চিৎকার দিয়ে উঠলো। আর আমাকে বললো,এই ছেলে চোখ কোথায় থাকে হুম।


ঠিক তখনই আমি অবাক হয়ে,এ মা এটা তুলার বস্তা না একটা মেয়ে। আর মেয়েটা দেখতে খুব সুন্দর। হা করে তাকিয়ে আছি। মনের মাঝে কেমন কেমন লাগছে ঠিক বলে বুঝাতে পারবো না আপনাদেরকে।। প্রথম দেখায় আমি তার প্রেমে পড়ে গেছি।


ভাবতে লাগলাম যেই ভাবে হোক এই মেয়েকে আমার বউ বানাতেই হবে 😘😘।। ওর দিকে আমি এখনো পলকহীন ভাবে তাকিয়ে আছি। তখন মেয়েটা আবার বললো....... 


মেয়েটিঃ কি হলো কানে কম শুনছো নাকি। এভাবে হা করে তাকিয়ে কি দেখছো। মুখে মশা ডুকবে? 


আমিঃ পরী দেখতেছি? 


মেয়েটিঃ কি দেখছিস😠😠


আমিঃ পেত্নী দেখতেছি। আপনি দেখতে একদম 

পেত্নীর মতো 😘😘


আপনাদের কাছে একান্ত বিনীত অনুরোধ,গল্পটা কেমন লাগছে জানাবেন। অনেকে দেখা হলে বলে ভাই গল্প টা সেই হইছে।কিন্তু লাইক কমেন্ট করে না😥😥আপনারা আমাকে সাপোর্ট না করলে আমি কি ভাবে গল্প লিখবো বলেন😔😔।


মেয়েটিঃ তুই আমাকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দিলি কেনো। চোখ কি পকেটে নিয়ে চলাফেরা করিস 😠😠


আমিঃ চোখ পকেটে না কপালে নিয়ে চলাফেরা করি। আর আপনিই তো আমাকে ধাক্কা দিলেন। সুন্দর 

ছেলে দেখলে মাথা ঠিক থাকে না তাইনা? (একটা পাপর মারি দিলাম 😁😁)


মেয়েটিঃ কি বললি আমি ধাক্কা দিছি 😏😏


আমিঃ হ্যা আপনি ধাক্কা দিছেন। তা নয় তো কি? 


মেয়েটিঃ দাড়া আব্বুকে বলে তোকে এখনি কাজ থেকে বিদায় দিতেছি?


আমিঃ আলহামদুলিল্লাহ!! তাড়াতাড়ি করেন? (ভাই আপনাদের বলে বুঝাতে পারবো না। এ কথা বলায় আমি অনেক খুশি হয়েছি)


মেয়েটিঃ আব্বু আব্বু এদিকে আসো? 


আংকেলঃ কি হয়েছে মা? 


মেয়েটিঃ এদিকে আসো। এই ছেলেকে এখনই বাসা থেকে বিদায় করো? 


আংকেলঃ কেনো ও কি করেছে? 


মেয়েটিঃ আমার সাথে ঝগড়া করছে? 


আংকেলঃ আরে মা তুই একটু শান্ত হ আর রুমে গিয়ে ফ্রেশ হয়ে নে। আর ও কাজের লোক না এই বাসার মালিকের ছেলে? 


মেয়েটিঃ আচ্ছা আমি যাচ্ছি? 


এই বলে মেয়েটি চলে গেলো। তখন আংকেল আমাকে বললো.......


আংকেলঃ আচ্ছা বাবা তুমি কিছু মনে করো না। ও একটু জেদি রেগে যায় অল্পতেই? 


আমিঃ না আংকেল সমস্যা নেই? 


আংকেলঃ আচ্ছা অনেক কাজ করেছো। এখন রুমে গিয়ে রেস্ট নাও?


আমিঃ আচ্ছা আংকেল? 


তারপর আমি চলে আসলাম।। আর মনে মনে বললাম। সালার এতক্ষণে মায়ার নজর পড়েছে। তারপর রুমে এসে ফ্রেশ হয়ে এক ঘুম দিলাম,এক ঘুমে রাত কাবার। 


সকালে উঠে ছাদে চলে গেলাম। সকালে প্রকৃতি দেখতে আসলাম। কিছুক্ষণ পর ওই মেয়েটাও আসলো। এসেই আমাকে বললো.......... 


মেয়েটিঃ সরি? 


আমিঃ কেনো? 


মেয়েটিঃ কালকে খারাপ ব্যাবহার করার জন্য?? 


আমিঃ আসলে আমিও সরি! আপনাকে পেত্নী বলার জন্য?? 


মেয়েটিঃ আমাদের তো পরিচয় হলো না। আচ্ছা তোমার নাম কি? 


আমিঃ স্বপ্নীল আহমেদ। তোমার নাম কি? ( তুমি করে বললাম কিন্তু) 


মেয়েটিঃ আমার নাম ঝর্না। কোন ক্লাসে পড়ো তুমি? 


আমিঃ ইন্টার সেকেন্ড ইয়ার। আপনি? 


ঝর্নাঃ মেডিকেল এ পড়ি। আমি তোমার সিনিয়র সো আপু বলে ডাকবে কিন্তু? 


আমিঃ আচ্ছা ঠিক আছে? 


ঝর্নাঃ কিন্তু আমি তোমাকে তুমি করে বলবো? 


আমিঃ আচ্ছা? 


তারপর দুজন মিলে অনেকক্ষণ আড্ডা দিলাম। আড্ডা দেওয়ার পরে রুমে চলে আসলাম। রুমে এসে বসে আছি। এমন সময় ঝর্নার আম্মু আসলো আর আমাকে বললো........


গল্পঃ_সিনিয়র_ডাক্তার_যখন_বউ

(পর্ব_০২)

লেখকঃ আব্দুল্লাহ আল শাহজালাল। 

 

তারপর দুজন মিলে অনেকক্ষণ আড্ডা দিলাম। আড্ডা দেওয়ার পরে রুমে চলে আসলাম। রুমে এসে বসে আছি। এমন সময় ঝর্নার আম্মু আসলো আর আমাকে বললো........


আন্টিঃ বাবা আমরা তো এখানে নতুন এসেছি। সুতারাং আমরা তো এখানে বেশি কিছু চিনি না। তুমি যদি ঝর্নাকে ওর মেডিকেল কলেজে দিয়ে আসতে। তাহলে খুব ভালো হবে আমাদের। নিশ্চিন্তায় থাকতে পারবো?


আমিঃ আচ্ছা আন্টি সমস্যা নাই। আমি দিয়ে আসবো? 


আন্টিঃ তোমাকে অসংখ্য ধন্যবাদ বাবা? 


আমিঃ আরে ধন্যবাদ দিয়ে ছোট করবেন না। আমি তো আপনার ছেলের মতোই? 


এরপর আন্টি রুম থেকে চলে গেলেন। আমি নাস্তা করে রেড়ি হয়ে বের হলাম। কিন্তু ২ ঘন্টা হলো বাহিরে ঝর্নার অপেক্ষায়  দাঁড়িয়ে আছি। ঝর্নার কোনো দেখাই মিলছে না। এই মেয়ে ডাক্তার হলে সিউর মানুষ মারবে। রোগীর কাছে যাওয়ার আগেই রোগী আল্লাহর কাছে পৌঁছে যাবে.... 


এসব কথা ভাবছি ঠিক তখনই তাকিয়ে দেখি মহারানী ঝর্না আসতেছে। এতো লেট করতে পারে মেয়েরা যেটা না বললেই নয়। সব কাজে লেট। কিন্তু আমার এক বোন আছে তিনি যে কোনো কাজে আগেই রেড়ি হয়ে যেতেন 😍😍। তার জন্য আমার পক্ষ থেকে দোয়া ও ভালোবাসা রইলো। 


বাহহ যে ভাবে সেজে নিচে আসতেছে আমি তো পুরা অবাক হয়ে হা করে তাকিয়ে আছি। চোখের পলক সরাতে পারছিনা তার দিক থেকে।। ঠিক তখনই ঝর্না কাছে এসে আমাকে বললো.......


ঝর্নাঃ কিরে হা করে বলদার মতো তাকিয়ে কি দেখছিস। মুখ বন্ধ কর নয়তো মুখে মশা

ঢুকবে 😁😁


আমিঃ দেখি না। ভাবতেছি 🤔🤔


ঝর্নাঃ কি ভাবতেছিস 😏😏


আমিঃ তুমি কলেজে যাচ্ছো। নাকি পার্কে ঘুড়তে যাচ্ছো?


ঝর্নাঃ চুপ কর বেয়াদব। যা রিকশা ডাক দে? 


আমিঃ ওকে ডাকতেছি। ওই মামা এই দিকে আসো? 


রিকশা ওয়ালা মামাঃ  কোথায় যাবেন? 


আমিঃ মেডিকেল কলেজের সাসনে? 


রিকশা ওয়ালা মামাঃ  ওকে উঠেন? 


তারপর ঝর্না উঠলো আর আমি দাঁড়িয়ে আছি। তখন ঝর্না আমাকে বললো........


ঝর্নাঃ কি হলো উঠছিস না কেনো? 


আমিঃ না মানে.......? ( পুরোটা না বলতে দিয়ে ঝর্না বললো)  


ঝর্নাঃ কি এতো মানে, মানে করছিস। ওঠ তাড়াতাড়ি? 


আমি আর কিছু না বলে সোজা রিকশায় উঠে গেলাম। মামা রিকশা চালাইতেছে।।আমি রিকশার এক সাইডে কোনো মতে বসে আছি। যে কোনো সময় পরে যেতে পারি। তাছাড়া অনেক আন ইজি ফিল করতেছি।


আর তাছাড়া কোনো মেয়ের সাথে কোনোদিন রিকশায় ঘুড়বো এটা কখনো ভাবিনি। তাই লজ্জা করছে প্রচন্ড।


কারন আমি কখনোই কোনো দিন কোনো  মেয়ের সাথে এতটা মিসতাম না। এমনকি মেয়েদের সাথে কথা পর্যন্ত বলতাম না। আমি ভিশন আন ইজি ফিল করতেছি। এটা ঝর্না বুঝতে পারলো?? ঝর্না বুঝতে পেরে আমাকে বললো..........


ঝর্নাঃ কিরে ওভাবে বসে আছিস কেনো। যে কোনো সময় পরে যাবি তো, ঠিক হয়ে বস? 


আমিঃ না ইয়ে মানে...........?(পুরোটা না বলতে দিয়ে ঝর্না বললো)


ঝর্নাঃ ধুর বোকা লজ্জা পাওয়ার কিছু নেই। এদিকে চেপে বস? 


তখন আমি আর কিছু না  বলে চেপে বসলাম।। কিন্তু বুকের ভিতর কেমন জানি ধুকধুক করতেছে। ঠিক 

বলে আপনাদেরকে বুঝাতে পারবো না। কোনো মতে ওর কলেজের সামনে গেলাম। ভাড়াটা ঝর্না দিচ্ছে।


অবশ্য আমি দিতে চেয়েছিলাম,কিন্তু ঝর্না বললো আমি দিতেছি। তাই আমি আর কিছু বললাম না।। এমন সময় ঝর্নার বান্ধবীরা দেখলো আমাদেরকে। দেখেই একটা বান্ধবী বললো....... 


ঝর্নার বান্ধবীঃ আরে ঝর্না এটা আমাদের দুলা ভাই নাকি? 


ঝর্নাঃ ও তোদের দুলা ভাই না। তোদের ছোট ভাই? 


ঝর্নার বান্ধবীঃ ওহ....


পরে ঝর্না আমাকে সবার সাথে পরিচয় করিয়ে দিলো। তারপর ঝর্না তার ক্লাসে চলে গেলো। আমি চলে আসলাম আমার কলেজ ক্যাম্পাসে। আসতেই আমার বন্ধুরা আমাকে বললো....... 


বন্ধুঃ মামা ট্রিট দেও তাড়াতাড়ি? 


আমিঃ কিসের ট্রিট? 


বন্ধুঃ ওরে আমার নেকা সোনারে! কিছু বুঝোনা ফিডার খাও। তাড়াতাড়ি ট্রিট দেও আমাদেরকে? 


আমিঃ আরে সালা সোজা ভাবে বল! কিসের ট্রিট?


বন্ধুঃ ডুবে ডুবে জল খাও মনে করেছো আমরা কিছুই  জানিনা। তুই রিলেশন করছিস! সো ট্রিট দাও মামা। কোনো ফাকি বাজি চলবে না? 


আমিঃ মানে কি বলছিস। আমি কখন কার সাথে রিলেশন করলাম। কি যা তা বলছিস। আমি 

কিছুই বুঝতে পারছি না? 


বন্ধুরা তারপর আমাকে একটা ভিডিও দেখালো। আমি আর ঝর্না যে রিকশায় করে আসতে ছিলাম সেই ভিডিও। ভিডিওটা দেখে আমি বন্ধুদের কে বললাম.....


আমিঃ আরে ভাই বিশ্বাস কর এটা আমার জি এফ না? 


বন্ধুঃ তোর জি এফ না হলে এক রিকশায় করে আসবি কেনো? 


আমিঃ আরে ইয়ার বিশ্বাস কর আমার কথ.?( পুরোটা বলতে না দিয়ে এক বন্ধু বলে উঠলো) 


সালারে ধরে কেন্টিনে নিয়ে চল দেখি ট্রিট না দিয়ে যাবে কোথাই। এই কথা বলে ওরা সবাই আমাকে কেন্টিনে নিয়ে গেলো। আর সালারা এমন খাওয়া দিতেছে🙉🙈 আমার মনে হয় এতো খাবার জীবনেও খায়নাই 🤔🤔। আমার পকেটের ১২ টা বাজাই দিছে 😠😠


তারপর খাওয়া দাওয়া শেষে অনেকক্ষণ সবাই মিলে আড্ডা দিলাম.??


এরপর বাসায় যাওয়ার জন্য রিকশার জন্য অনেকক্ষণ অপেক্ষা করতেছি। কিন্তু রিকশা আসছেনা। মনে হয় 

না আজ রিকশা আমার কপালে আছে। আম্মু আব্বুকে কত বার বলেছি একটা বাইক কিনে দাও। কিন্তু তারা আমার কোনো কথাই শুনছে না। 


এই বলে হাঁটতে শুরু করলাম।। কি আর করার রিকশা আসছেনা। হটাৎ একটা রিকশা এসে সামনে দাঁড়ালো। তাকিয়ে দেখি রিকশায় ঝর্না বসে আছে। তখনই ঝর্না আমাকে বললো........ 


ঝর্নাঃ রিকশায় উঠ?


আমি আর কিছু না বলে রিকশায় উঠে বসলাম। তখন ঝর্না আমাকে বললো........


ঝর্নাঃ হেঁটে হেঁটে বাসায় যাচ্ছিস কেনো? 


আমিঃ কেনো আর! রিকশা নেই তাই হেঁটে হেঁটে বাসায় যাচ্ছি?


এভাবে দুজন গল্প করতে করতে বাসায় চলে আসলাম। বিকেল বেলায় ছাদে দাঁড়িয়ে আছি। তখন ঝর্নার পিচ্চি ভাই টা আসলো। 


ওর সাথে অনেকক্ষণ গল্প করলাম। ঝর্নার ভাই হেব্বি ফাযিল। এক কথায় তার মতো দুষ্ট লোক আর হয় না আমার সালা হলে ভালোই হবে। বেশ মজা করতে পারবো সালা দুলাভাই। 


একটু পরেই ঝর্না ছাদে আসলো। আমি তখন রুবিক কিউব বক্স মিলাইতেছি। 


তাকিয়ে দেখি ঝর্না কালো একটা জামা পড়েছে। খুব সুন্দর লাগছে ঝর্নাকে যা আমি মুখে বর্ণনা করতে পারবো না।


আমি তো আবারো ক্রাশ খেলাম। এই মেয়েকে বিয়ে করতে পারলে আমার জীবন ধন্য। ঠিক তখনি ঝর্না এসে আমাকে বললো.... 


ঝর্নাঃ তুই এগুলো মিলাইতে পারিস? 


আমিঃ হুম পারি কোনো ব্যাপার না! একেবারে সহজ? 


তখন ঝর্না আমাকে বললো...... 


ঝর্নাঃ তুই আমাকে এগুলো মিলানো শিখাবি? 


আমিঃ আচ্ছা ঠিক আছে শিখাবো? 


ঝর্নাকে মিলানো শিখাইতেছি, বাট সে পারছে না।। অন্য কেউ আমাকে ১ হাজার টাকা দিলে আমি তাকে আরো ৫০ টাকা বেশি দিয়ে বলতাম,, যা ভাই তুই বাড়িতে চলে যা! তোর এসব শিখা লাগবেনা। তবুও অনেক কষ্ট করে ঝর্নাকে মিলানতি শিখালাম। শত হোক দশটা না পাঁচটা না একটা মাত্র ভালোবাসা। শিখা শেষে ঝর্না আমাকে বললো..... 


ঝর্নাঃ এটা আমি নিয়ে যাই? 


আমিঃ হুম নিয়ে যাও? 


ঝর্নাঃ তোর কোনো সমস্যা নাই তো? 


আমিঃ না সমস্যা হবে কেনো? 


তারপর কিছুক্ষণ আড্ডা দিয়ে রুমে চলে গেলাম। রাতে খাওয়া দাওয়া করে ঘুমিয়ে পড়লাম। সকাল বেলা উঠে ফ্রেশ হয়ে আমি আর ঝর্না কলেজে গেলাম।


আসলে আমাদের কলেজ পাশাপাশি। কলেজে আড্ডা দিয়ে ক্লাস শেষ করে আবার ঝর্নার সাথে বাসায় চলে আসলাম। সন্ধার সময় আমি আম্মুকে বললাম......... 


আমিঃ আম্মু আমি প্রাইভেট পড়বো? 


আম্মুঃ প্রাইভেট পড়বি পড়। মানা করছে কে? 


আমিঃ টিচার বের করে দাও তাহলে। আর তাছাড়া ঝর্না আপুকে জিজ্ঞেস করো। সে আমাকে প্রাইভেট পড়াবে কিনা? 


আম্মুঃ আচ্ছা আমি ওর আম্মুকে বলে দেখি কি বলে? 


তারপর খাবার খেয়ে ঘুমিয়ে গেলাম। সকাল বেলা উঠে কলেজে যাই। আসলে আসল উদ্দেশ্য কলেজে যাওয়া না। আসল উদ্দশ্য হলো ঝর্নার সাথে সাথে থাকা।


আমাকে রেগুলার কলেজে দেখে বন্ধুরা টাসকি খেয়ে গেছে। কারন আমাকে মাসে একদিন কলেজে দেখা পাওয়া যেতো কিনা! আমি নিজেই কনফিউজড।


বিকেল বেলায় ছাদে আমি আর ঝর্না গল্প করতেছি,গল্প করতে করতে সন্ধা হয়ে গেলো। তারপর আমি রুমে চলে আসলাম। আম্মু এসে আমাকে বললো..... 


আম্মুঃ ঝর্না তোকে পড়াইতে রাজি হইছে? 


আমিঃ ও মা তাই নাকি। তা কখন থেকে পড়াবে? 


আম্মুঃ কালকে বিকেল থেকে পড়াবে? 


আমিঃ আচ্ছা ঠিক আছে?


পরের দিন আমি কলেজে গেলাম না৷ ঝর্নাও গেলো না। বিকেল বেলায় আমি তাদের বাসার দরজায় নক দিলাম। আন্টি এসে দরজা খুলে দিলো। তারপর আমি বললাম...... 


আমিঃ কেমন আছেন আন্টি? 


আন্টিঃ ভালো আছি। তুমি কেমন আছো? 


আমিঃ জ্বি আন্টি আমি ভালো আছি। আচ্ছা ঝর্না আপু কোথাই? 


আন্টিঃ ও রুমে আছে? 


আমিঃ আচ্ছা তাহলে আমি ঝর্না আপুর রুমে যাই? 


আন্টিঃ আচ্ছা যাও? 

 


গল্পঃ_সিনিয়র_ডাক্তার_যখন_বউ

(পর্ব_০৩)

লেখক: আব্দুল্লাহ আল শাহজালাল। 


তারপর আমি ওর রুমের দিকে গেলাম। দরজা বন্ধ তাই দরজায় নক করলাম, কিন্তু কেউ খুললো না। তাই আমি নিজেই দরজা ধাক্কা দিয়ে ডুকে গেলাম। রুমে ডুকে দেখি ঝর্না গোসল শেষ করে তোয়ালে পড়ে আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে আছে। হটাৎ তোয়ালে সরিয়ে ফেললো। আমি ঝর্নার এই অবস্থা দেখে ভ্যাবাচেকা খেয়ে গেলাম। একটু পরেই ঝর্না আমাকে আয়নায় দেখলো। আর আমার দিকে তাকিয়ে এক চিৎকার দিয়ে বলে উঠলো..


ঝর্নাঃ আম্মু..?


আমি ঝর্নার চিৎকার করা দেখে, আমিও চিৎকার করে বলতে লাগলাম...... 


আমিঃ আন্টি..?


আমার চিৎকার করা দেখে ঝর্না আমাকে বললো........


ঝর্নাঃ কিরে তুই আম্মুকে ডাকছিস কেনো? 


আমিঃ তুমি একা ডাকতেছো তাই। যদি শুনতে না পায়। তাই একটু হেল্প করলাম? 


তারপর ঝর্না আমাকে বললো...... 


ঝর্নাঃ দাঁড়া আজকে তোর খবর আছে..?


কথাটা বলে ঝর্না ওয়াশ রুমে ডুকে গেলো। আমি তখন বসে আছি। কিছুক্ষণ পর ঝর্নার আম্মু আসলো! এসেই আমাকে বললো..........


আন্টিঃ বাবা কি হইছে। ঝর্না চিৎকার করলো কেনো.??


আমিঃ আসলে আন্টি আপু টিকটিকি দেখছে তাই 

ভয় পেয়ে এভাবে চিৎকার করেছিলো?


আন্টিঃ ও আচ্ছা আমি তাহলে আসি? 


কথাটা বলে আন্টি চলে গেলো। আমি রুমে বসে আছি। একটু পরেই ঝর্না ওয়াশ রুম থেকে বের হলো। এরপর এসে আমার কলার ধরে বললো....... 


ঝর্নাঃ তুই এতো বড় বেয়াদব কেনো? 


আমিঃ আমি কি করেছি? 


ঝর্নাঃ অন্য কারো রুমে ডুকতে হলে নক দিয়ে ডুকতে হয়। সেটা তুই জানিস না? 


আমিঃ আমি ডুকার আগে নক দিছিলাম।। কিন্তু তুমি দরজা খুলোনি পড়ে আমি ডুকে পড়েছি। এবার 

আমার কলার টা ছাড়ো। তুমি টিচার না মাইয়া গুন্ডি? 


এই কথাটা বলার সাথে সাথেই ছেড়ে দিলো। আর আমাকে বললো....... 


ঝর্নাঃ তুই কিছু দেখিসনি তো? 


আমিঃ আরে কি যে বলোনা। আমি অবুঝ দুধের শিশু।নাক টিপ দিলেই দুধ বের হবে। আর আমি কিছু দেখিনি?( পুরাই মিথ্যা বলেছি )


ঝর্নাঃ সত্যি বলছিস তো? 


আমিঃ হুম একে বারে সত্যি? 


ঝর্নাঃ আচ্ছা এখন পড়তে বস?


আমিঃ কি পড়বো? 


ঝর্নাঃ কি পড়ার জন্য এসেছিস? 


আমিঃ ও হ্যা ইংরেজি পড়ার জন্য এসেছি? 


ঝর্নাঃ আচ্ছা এটা কি ভার্ব এর মধ্যে পড়েছে? 


আমিঃ কি ভাব 😁😁


ঝর্নাঃ ভাব না 😠😠 ভার্ব? 


আমিঃ ও আচ্ছা কি ভার্ব? 


ঝর্নাঃ পারিস না তুই? 


আমিঃ পারিনা বলেই তো প্রাইভেট পড়তে এসেছি? ( যদিও পারি মিথ্যা বললাম ) 


ঝর্নাঃ এটা হলো অক্সিলারি ভার্ব? 


আমিঃ কি বললা! আজগর আলীর বাপ 😁😁


ঝর্নাঃ আরে গাধা অক্সিলারি ভার্ব😠😠


আমিঃ ওহ অক্সিলারি ভার্ব? 


ঝর্নাঃ হুম? 


তারপর আরো কিছু সময় পড়ালো।।অনেক গুলো পড়া দিলো। আসলে এগুলো আগে থেকেই পারি আমি। হয়তো আপনারা বলবেন তাহলে প্রাইভেট পড়া দরকার কি।। আরে প্রাইবেট পড়ি শুধু ঝর্নার কাছাকাছি থাকার জন্য। এরপর সাথে সাথে পড়া কমপ্লিট করে দিলাম। তারপর ঝর্না আমাকে বললো........... 


ঝর্নাঃ এতো তাড়াতাড়ি মুখস্ত হয়ে গেলো?


আমিঃ জ্বি হ্যা? 


ঝর্নাঃ থ্যাংক ইউ সো ম্যাচ?


আমিঃ কোথায় টাংকির ভিতর কই মাছ😁😁


ঝর্নাঃ আরে তুই কানে কম শুনিস নাকি 🤔🤔


আমিঃ আরে একটু মজা করলাম তোমার সাথে 😀


ঝর্নাঃ ও তাই নাকি। আচ্ছা কালকে এগুলো শিখে আসবি কেমন? 


আমিঃ ওকে? 


কলেজে যাওয়ার সময় এক সাথে যাই।। আবার বাসার আসার সময় এক সাথেই আসি। বিকেল বেলায় প্রাইভেট পড়ার উদ্দেশ্য শুধু ঝর্নাকে দেখার জন্য, আর কিছুই না।


আবার প্রাইভেট পড়া শেষে ছাদে দুজন মিলে আড্ডা দেই। এক কথায় ওর সাথে সারাদিন লেগে থাকি।


এই ভাবে ৩ মাস চলে গেলো।। এর মধ্যে ঝর্নাকে অনেক ভালোবেসে ফেলেছি। যা আমার মুখের ভাষায় 

প্রকাশ করা অসম্ভব। কারন আমি যাকে ভালোবাসি এক বুক সমুদ্র নিয়ে ভালোবাসি। আর ওই ভালোবাসার কোনো সীমানা নেই।


হয়তো কেউ যদি আমার ভালোবাসার সীমানা খুজতে যায়। যুগ যুগ কেটে যাবে আমার ভালোবাসার সীমানা তবুও খুজে পাওয়া অসম্ভব।


তাই ভাবতেছি এবার ঝর্নাকে মনের কথাটা বলে দেওয়া দরকার। কিন্তু মনের ভিতরে অনেক ভয় লাগে। তবুও ভাবলাম কালকেই ওকে প্রপোজ করবো।


পরের দিন বসে আছি কলেজ ক্যাম্পাসে। এক বন্ধুকে ফুল আনতে পাঠিয়েছি। কিন্তু সে এখনো আসছে না। প্রায় এক ঘন্টা পর ফুল নিয়ে আসলো। তারপর আমি তাকে বললাম.......


আমিঃ কিরে সালা ফুল নিয়ে আসতে এতো লেট কেনো? 


বন্ধুঃ কি আর করবো বল। আমি ফুল আনতে গেছি। আর আমার গার্লফ্রেন্ড সেটা দেখে ফেলেছে?


আমিঃ পরে কি হয়েছে? 


বন্ধুঃ পরে কি আর হবে উনি ভাবছে আমি ফুল নিয়ে অন্য কাউকে প্রপোজ করতে যাচ্ছি। পরে লেগে 

গেলো জগড়া ওকে ম্যানেজ করে আসতে লেট হয়ে গেছে?


আমিঃ দোস্ত তুই আমার জানের জিগার দোস্ত। আচ্ছা তুই ওই সুরা পারিস না, ওইটা পড়ে ফু,দে আমাকে?


বন্ধুঃ কেনো রে? 


আমিঃ আরে ওকে যে প্রপোজ করবো! ভয় লাগে তাই বলছি সুরাটা পড়ে ফু, দে আমাকে? 


বন্ধুঃ আরে যা আল্লাহর নাম নিয়ে। দেখিস সফল হয়ে আসবি? 


আমিঃ আচ্ছা আমি তাহলে প্রপোজ করতে যাই? আজকে ঝর্নাকে প্রপোজ করবোই..??

এই কথাটা বলতে বলতে ঝর্নার কলেজের সামনে চলে আসলাম। মনের ভিতর কেমন জানি ভয় হচ্ছে। তবুও বারবার কে যেনো বলে তুই পারবি একবার বলে দেখ, তুই পারবি। এরপর আমি কলেজের ভিতরে গিয়ে 

দেখি ঝর্না ওর বান্ধবিদের সাথে আড্ডা দিচ্ছে।। আমি ঝর্নাকে ডাক দিলাম.......


গল্পঃ_সিনিয়র_ডাক্তার_যখন_বউ

(পর্ব_০৪)

লেখকঃ আব্দুল্লাহ আল শাহজালাল। 

 

এই কথাটা বলতে বলতে ঝর্নার কলেজের সামনে চলে আসলাম। মনের ভিতর কেমন জানি ভয় হচ্ছে। তবুও বারবার কে যেনো বলে তুই পারবি একবার বলে দেখ, তুই পারবি। এরপর আমি কলেজের ভিতরে গিয়ে 

দেখি ঝর্না ওর বান্ধবিদের সাথে আড্ডা দিচ্ছে।। আমি ঝর্নাকে ডাক দিলাম.......


আমিঃ ঝর্না আপু একটু এদিকে আসো? 


ঝর্নাঃ কি বলবি বল? 


আমিঃ আরে সবার সামনে বলা যাবে না। একটু এদিকে আসো? 


ঝর্নাঃ আচ্ছা বল কি বলবি? 


আমিঃ আরে এখানে বলবো না। একটা যায়গায় চলো সেখানেই বলবো? 


ঝর্নাঃ কোথায় যেতে হবে? 


আমিঃ আরে আগে চলো তো। তারপর বলছি? 


ঝর্নাঃ তোর হাতে ফুল কিসের। কাউকে প্রপোজ করবি নাকি? 


আমিঃ  হুম চলো তো আগে? 


ঝর্নাঃ আচ্ছা ঠিক আছে চল? 


তারপর আমার সাথে ঝর্না হাটতে লাগলো। আমি আর ঝর্না একটা নদীর পাড়ে আসলাম। অবশ্য আমাদের কলেজের থেকে নদীটা বেশি ধুরে না। জাষ্ট ৫ মিনিট লাগে। আসার কিছুক্ষণ পর ঝর্না আমাকে বললো.....

ঝর্নাঃ কিরে তোর মনের মানুষ কোথাই? 


আমিঃ আছে তো...? 


ঝর্নাঃ কোথাই? 


আমিঃ আমার সামনে দাঁড়িয়ে আছে? 


ঝর্নাঃ মানে কি বলছিস? 


তারপর আমি ফুল টা এগিয়ে দিয়ে বলতে লাগলাম......

 

আমিঃ আসলে ঝর্না তুমি আমার মনের মানুষ। আমি তোমাকে অনেক ভালোবাসি। তোমাকে ছাড়া আমি আমাকে ভাবতে পারি না। জানি তুমি আমার বয়সে বড়.? কিন্তু ভালোবাসা কখনো বয়স দেখে হয় না।  প্লিজ আমাকে পিরিয়ে দিয়ো না.??

|||

দেখো আমি তোমাকে অনেক ভালোবাসি। তুমি যদি আমাকে ভালো না বাসো, তাহলে আমি বিষ খেয়ে 

মরে যাবো..??


এই কথাটা বলা শেষ করতে না করতেই ঝর্না আমাকে ঠাসস ঠাসস করে দু গালে বসিয়ে দিলো৷ এবং বলতে লাগলো.......


ঝর্নাঃ লজ্জা করেনা আমাকে এগুলো বলতে।। কি করে ভাবলি আমি তোর মতো একটা পিচ্চির সাথে প্রেম করবো। নাক টিপ দিলেই দুধ বের হবে। আর কি বললি মরে যাবি। আসলে আমি চল্লিশা খাইনা অনেক দিন ধরে.??


আমিঃ কিহহ? কিন্তু এই আশা তোমার কোনোদিন ও পুরণ হবে না??


ঝর্নাঃ কেনো রে আমার এ আশা পুরণ হবে না?


আমিঃ আমার বাবা যে কিপ্টে চল্লিশা কখনো করবে না? ( বলেই হেঁসে দিলাম 😁😁)


ঝর্নাঃ লজ্জা করেনা হাসতে? 


আমিঃ আসলে আমার লজ্জা সরম একটু কমই? 


ঝর্নাঃ ভালো তুই থাক? 


এই কথাটা বলে ঝর্না চলে যেতে লাগলো।। আমিও ওর সাথে যেতে লাগলাম। ঝর্না একটা রিকশা নিলো বাসায় যাওয়ার জন্য। যেই আমি রিকশায় উঠতে যাবো, ঠিক তখনই ঝর্না বলতে লাগলো........ 


ঝর্নাঃ তুই রিকশায় উঠিস কেনো? 


আমিঃ বাসায় যাবো তাই? 


ঝর্নাঃ একা একা যা, আমার সাথে না? 


এই কথা বলেই ঝর্না চলে গেলো। আমার অবশ্য মনটা খারাপ হয়ে গেলো। কারন প্রথম প্রপোজ করছি,, বাট রিজেক্ট করে দিয়েছে😥😥 মন টা কে সন্তনা দিলাম। কে যেনো বলেছিলো একবার না পারিলে দেখো শতবার। আমিও হাল ছেড়ে দেওয়ার পাত্র নই। এবার যেহেতু হয়নি পরে অবশ্যই হবে।


তারপরে আমি আরেক টা রিকশায় করে বন্ধুদের কাছে চলে গেলাম। বন্ধুদের কাছে যেতেই আমাকে বললো....


বন্ধুঃ কি বন্ধু কাজ হয়ে গেছে । এখনই ট্রিট দিবি কোনো কথা শুনবো না ? 


আমিঃ কাছে আয়? 


কাছে আসতেই ঠাসসস ঠাসসস করে দুইটা চড় বসিয়ে দিলাম। তারপর বন্ধু আমাকে বললো....... 


বন্ধুঃ আমাকে মারলি কেনো? 


আমিঃ সালা তুই কি সুরা পড়ে ফু দিছস। কোনো কাজ   হয়নি 😞😞


বন্ধুঃ আরে যতটুকু পারছি ততোটুকু পড়েই ফু দিছি? 


আমিঃ সুরা পড়ার আগে ওজু করছিলি😠😠


বন্ধুঃ নাহহ 🙉🙉


আমিঃ আরে সালা সারাদিন থাকিস নাপাক কাজ হবে কিভাবে 😠😠


বন্ধুঃ ঠিকই বলছিস? 


তারপর ওদের সাথে কিছুক্ষন আড্ডা দিয়ে বাসায় চলে আসলাম। বিকেল বেলায় ঝর্নার কাছে গেলাম। ঝর্না আমাকে দেখে বললো...... 


ঝর্নাঃ কিরে কি জন্য আসছিস হুমম?


আমিঃ পড়ার জন্য? 


ঝর্নাঃ আমি তোকে আর পড়াবো না? 


আমিঃ কেনো গো? 


ঝর্নাঃ কি বললি তুই? 


আমিঃ বলছি কেনো পড়াবে না? 


ঝর্নাঃ তুই আমাকে প্রপোজ করছোস তাই? 


আমিঃ আরে এটা কোনো ব্যাপারই না? 


তারপর অনেক কষ্ট করে আমাকে পড়ানোর জন্য রাজি করালাম৷ আজ এমন পড়া দিছে, আমার দাদাও এতো পড়া পড়ে নাই। আমার উপর প্রতিশোধ নিতেছে৷ তবুও কষ্ট করে পড়লাম। ছুটির সময়.........


আমিঃ ঝর্না একটা কথা বলি? 


ঝর্নাঃ কিরে তুই আমার নাম ধরে ডাকিস কেনো৷ তোর খুব সাহস বেড়ে গিয়েছে। তোর সাহস তো কম না তুই আমাকে তুই করে বলছিস? 


আমিঃ বউ কে কি বলে ডাকবো। আচ্ছা এখন থেকে টুনির মা বলে ডাকবো? 


ঝর্নাঃ এই কে তোর বউ? 


আমিঃ বউ এখনো হওনি। কিন্তু খুব তাড়াতাড়ি আমার  বউ হবা? 


ঝর্নাঃ দাঁড়া তুই.....?


কথাটা বলে ঝর্না ঝাড়ু নিয়ে আসতে গেলো। আমি এক দৌড়ে বাসায় চলে আসলাম।ওদিকে আমার চোদ্দগুষ্টি উদ্ধার করতেছে। 


বিকেল বেলায় আমি ছাদে বসে আছি। কিছুক্ষণ পর ঝর্নাও ছাদে আসলো। আমি ঝর্নাকে বললাম......


আমিঃ কিগো বউ। জামাইকে দেখার জন্য আসছো? 


ঝর্নাঃ কে আমার জামাই? 


আমিঃ কেনো আমি তোমার জামাই? 


ঝর্নাঃ ওহ তাহলে একটু দাঁড়া আমি ঝাড়ুটা নিয়ে আসছি?


এই কথা শুনে আমি বাসায় চলে আসলাম। রাতে একটু পড়লাম তারপর ঘুমিয়ে পড়লাম। সকালে বেলায় ঝর্না কলেজে যাবে আমি তার পিঁছু নিলাম ওর সাথে গেলাম আর ভালোবাসার কথা বলতে লাগলাম। 


এরপর একটা রিকশা নিয়ে চলে গেলাম। ক্লাস করতে কিছুতেই মন চাইছে না। তাই ক্লাস না করেই বাসায় চলে আসলাম। 


বিকেল বেলায় প্রাইভেট পড়তে গিয়ে আবার প্রপোজ করলাম। আবারো দুইটা চড় বসিয়ে দিলো আমার গালে।। আর বললো তোমাকে আর প্রাইভেট পড়াবো না। আমি বললাম.......


আমিঃ তুমি কিন্তু আম্মুকে বলেছিলে আমাকে প্রাইভেট পড়াবে। কথা দিয়ে কথা না রাখলে কি হবে একবার ভাবছো তো??


তারপর ঝর্না আর কিছু না বলে বাধ্য হয়ে আমাকে পড়াতে লাগলো। আমি ওর পিছু সারাদিন লেগে থাকি। 

ঝর্না যেখানে আমি সেখানে। এভাবে ৩ মাস চলে গেছে। 


এই তিন মাসে হাজার বার প্রপোজ করেছি। কখনো চড় খাইছি কখনো দৌড়ানি তার কোনো হিসাব নেই।


আমার মনে হয় কোনো জ্বীনকে এভাবে প্রপোজ করলে সেও রাজি হয়ে যেতো।


হটাৎ একদিন দেখলাম ঝর্না একটা ছেলের সাথে বসে আছে। দেখে বিশ্বাস করতে পারছিলাম না। ঝর্না আমার সাথে এমন টা করলো কিভাবে। বুকের ভিতর টা কেমন জানি ব্যাথা করতেছে।। মন চাইছে সালাকে আচ্ছা ভাবে ধরে ক্যালাই।


ঝর্নার পাশে এই ছেলেটাকে দেখে আমি আর নিজেকে সামলাতে পারলাম না। তাই আমি গিয়ে ঝর্নার পাশে দাঁড়ালাম আর বললাম........


চলবে কি? 


গল্প পড়ে কেমন লাগলো আশাকরি লাইক কমেন্ট করে জানাবেন। আপনাদের মতামত আমার অনুপ্রেরণা। ভালো রিসপেন্স ফেলে পরের পর্ব দ্রুত দেওয়ার আগ্রহ বাড়বে। 


ভুলক্রটি ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন।  ভালো লাগলে লাইক কমেন্ট করে সাথে থাকবেন। শুভ কামনা রইলো পাঠক পাঠিকাদের প্রতি?


গল্পঃ_সিনিয়র_ডাক্তার_যখন_বউ_পর্ব

(০৫_শেষ_পর্ব)

লেখকঃ আব্দুল্লাহ আল শাহজালাল। 


হটাৎ একদিন দেখলাম ঝর্না একটা ছেলের সাথে বসে আছে। দেখে বিশ্বাস করতে পারছিলাম না। ঝর্না আমার সাথে এমন টা করলো কিভাবে। বুকের ভিতর টা কেমন জানি ব্যাথা করতেছে।। মন চাইছে সালাকে আচ্ছা ভাবে ধরে ক্যালাই।


ঝর্নার পাশে এই ছেলেটাকে দেখে আমি আর নিজেকে সামলাতে পারলাম না। তাই আমি গিয়ে ঝর্নার পাশে দাঁড়ালাম আর বললাম........


আমিঃ এই বউ তুমি এই ছেলের সাথে কি করো? 


ঝর্নাঃ এই কে তোর বউ? আর এই ছেলে কে মানে? 


আমিঃ তুমি আমার বউ। আর এই ছেলে তোমার ফ্রেন্ড তাই না? 


ঝর্নাঃ না তো? 


আমিঃ তাহলে কে হয় শুনি? 


ঝর্নাঃ আমার বয়ফ্রেন্ড? 


এই কথা শুনে অনেক কষ্ট পাইছিলাম। তবুও ঝর্নাকে বললাম...... 


আমিঃ সত্যি করে বলো এই ছেলে কে? 


ঝর্নাঃ আরে আজব তো? মিথ্যা বলার কি আছে? 


আমিঃ ঝর্না প্লিজ ফান করিও না। আমি তোমাকে অনেক ভালোবাসি? 


ঝর্নাঃ তোর সাথে ফান করবো কেনো,এটা আমার বফ। আর শোন ও মেডিকেল এর ভালো একটা ছাত্র ওর সাথে আমার লাইফ স্যাটেল হয়ে যাবে?? 

|||

আর হ্যা তুই বেহায়ার মতো আমার পিছু ঘুরিস না বলে দিলাম। আর ভালো ফ্যামিলির ছেলে হলে এমনিতেই আর আসবি না..???


আমি আর কি বলবো বুঝতে পারছি না। তারপর আমি বললাম...... 


আমিঃ আচ্ছা বাই ভালো থেকো? 


কথাটা বলে চলে আসলাম ঝর্নার কাছ থেকে।মনে মনে প্রতিজ্ঞা করলাম আর যাবো না ওর সামনে। আসলে বেশি ভালোবাসি বলেই বেহায়ার মতো পিছু ঘুরতাম। আর ঘুরবো না।। আমি খারাপ হতে পারি,, বাট আমার ফ্যামিলি খারাপ না।


কালকে থেকে নতুন রুটিন তৈরি করবো?? এতে করে ঝর্নার পিছু ঘুরা থেকে বিরত থাকতে পারবো। বুকের বাম পাশে খুব ব্যাথা করতেছে। রাতে অনেক কান্না করলাম। খাওয়া দাওয়া না করেই শুয়ে পড়লাম।

সকালে উঠলাম আম্মুর ডাকে। আম্মু আমাকে দেখেই বললো...... 


আম্মুঃ কিরে কান্না করছিস নাকি। তোর চোখ মুখ 

লাল কেনো? 


আমিঃ আরে না কান্না করবো কেনো। ঘুম হয়নি তাই হয়তো এমন। ফ্রেশ হলে ঠিক হয়ে যাবে? (পুরাই 

মিথ্যা বললাম) 


আম্মুঃ ওকে যা ফ্রেশ হয়ে নাস্তা করতে আয়? 


আমিঃ ওকে আসছি! তুমি যাও? 


এরপর আম্মু চলে গেলো। আমি ফ্রেশ হয়ে নাস্তা করার জন্য গেলাম। কিন্তু খেতে ইচ্ছে করছিলো না। কারন বারবার ঝর্নার কথা মনে পড়ছে।। তবুও আম্মুর জন্যই খেতে হলো। 


এরপর নাস্তা করে ছাদে চলে গেলাম। ছাদে গিয়ে দেখি ঝর্না দাঁড়িয়ে আছে। তাকে দেখে আর ছাদে থাকলাম না। সোজা রুমে চলে আসলাম। 


একটু পর কলেজে যাওয়ার জন্য বের হলাম, দেখি ঝর্না দাঁড়িয়ে আছে।আমি সোজা নিচের দিকে তাকিয়ে হেঁটে হেঁটে অনেক টুকু পথ চলে আসলাম। এসে রিকশার জন্য দাঁড়িয়ে রইলাম। ঝর্না আমাকে এই ভাবে আসতে দেখে পুরাই অবাক।এরপর ঝর্না একটা রিকশা নিয়ে চলে গেলো। আমিও একটা রিকশা নিয়ে কলেজে চলে আসলাম। তারপর কলেজে ক্লাস করে বাসায় চলে গেলাম। এখন আর ঝর্নার কাছে প্রাইভেট পড়তে যাই না। কারন ঝর্নাকে দেখলে নিজের অজান্তেই চোখে পানি চলে আসে।। আর খুব কষ্ট লাগে।। আর তাছাড়া ঝর্নার কাছ থেকে দূরে দূরে থাকার চেষ্টা করি। তাই প্রাইভেট পড়তে যাই না।


তবুও মাঝে মাঝে ভুল বশতো সামনে পরে যাই।। এখন ছাদেও বেশি একটা যাই না৷ ঝর্না ভালো করেই বুঝতে পারছে আমি তাকে ইগনোর করি। 


আমার সাথে অবশ্য কথা বলতে চায়। কিন্তু এর আগেই আমি কেটে পরি। আমাদের রুমে আগে আসতো বাট কম। কিন্তু এখন একটু বেশি বেশি আসে।।আম্মুর কাছ থেকে খোঁজ খবর ও নেয় আমার।


যখন আমাদের রুমে ডুকে তখন আমি অন্য রুমে গিয়ে দরজা বন্ধ করে শুয়ে থাকি। আমার এমন আচরন দেখে ঝর্না অনেক কষ্ট পায়। এই ভাবেই কয়েকটা দিন চলে গেলো।


একদিন কলেজ থেকে আসার সময় রিকশা না পেয়ে রাস্তা দিয়ে হেটে আসতেছি।


হটাৎ একটা মেয়ে পিছনে থেকে এসে আমাকে জড়িয়ে ধরলো। তখন ঝর্না মেডিকেল থেকে বের হয়ে রিকশায় করে বাসায় যেতে লাগলো। এমন সময় আমাকে 

এই অবস্থায় দেখে ফেললো। ঝর্না রাগী লুক নিয়ে আমার দিকে তাকালো। তারপর চলে গেলো। এরপরে আমি মেয়েটাকে বললাম.........


আমিঃ কি ব্যাপার পিছন থেকে জড়িয়ে ধরলেন কেনো? 


মেয়েটাঃ আসলে ভাইয়া সরি। আপনাকে পিছন থেকে আমার বয়ফ্রেন্ড এর মতো লাগছিলো? 


আমিঃ বয়ফ্রেন্ড হলেই কি পাবলিক প্লেসে এভাবে জড়িয়ে ধরবেন। দিলেন তো বারোটা বাজিয়ে? 


কারন ঝর্না আমাদেরকে এভাবে দেখে মনে করেছিলো মেয়েটা আমার জি এপ।। এভাবে জড়িয়ে ধরতে দেখে খুব রেগে গিয়েছে। রাগে চোখ মুখ লাল হয়ে গেছে।


এরপর আমি বাসায় চলে আসলাম। রুমে শুয়ে আছি তখন ঝর্না রুমে ডুকলো। আমি পালাতে যাবো তখনি কলার ধরে বললো.......  


ঝর্নাঃ কিগো কোথায় পালাচ্ছো? (তুমি করে বললো ) 


আমিঃ কই কোথাও না?


ঝর্নাঃ আমাকে ইগনোর করো কেনো? 


আমিঃ আরে আপু আপনাকে ইগনোর করবো কেনো। আমি তো আপনার কথা গুলো মানার চেষ্টা করছি? 


ঝর্নাঃ ওই তুমি আপনে আপনে করতেছো কেনো? 


আমিঃ বড়দের আপনে করে বলবো নাতো কি বলে ডাকবো? 


ঝর্নাঃ তাহলে আগে তুমি করে বলতে কেনো? 


আমিঃ আগে আপনাকে ভালোবাসতাম তাই? 


ঝর্নাঃ এখন আমাকে ভালোবাসো না? 


আমিঃ নাহ.... ভালোবেসে আর লাভ নাই। আপনি অন্য কারো হয়ে গেছেন?


ঝর্নাঃ আরে শুনবা তো আগে? 


আমিঃ আমার একটু তাড়া আছে আমি গেলাম? 


এ বলে আমি চলে আসলাম।। এই কথা গুলো না বললে বুঝবে না প্রিয় মানুষকে দুরে ঠেলে দিলে কেমন কষ্ট হয়। আমারও এক সময় হয়েছিলো। কয়েকটা দিন কষ্ট দিয়ে পরে মেনে নিবো। 


ঝর্নাকে দেখিয়ে তার বান্ধবীদের সাথে হেসে হেসে কথা বলি। ঝর্না দেখে আর অনেক রেগে যায়। ঝর্নাকে রাগাতে অবশ্য আমার ভালোই লাগে।


পরক্ষনেই মনে পড়ে যায় ওর তো বফ আছে। আর ইদানিং ঝর্না ওনেক শুকিয়ে গেছে।


মনে হয় ঠিক মতো খাবার খায়না। আর কান্না করে মনে হয়। কারন তার চোখ মুখ লাল হয়ে গেছে। এই ভাবে কয়েকটা দিন চলে গেলো।


একদিন রাতের বেলায় বাসায় আসতেছি। আমি একটা ফ্রেন্ডের জন্মদিনে গেছিলাম। ওই খান থেকে আসতে লেট হয়ে গেছে। এরই মধ্যে বৃষ্টি নামতে লাগলো। এমন সময় দেখলাম কিছু বখাটে একটা মেয়েকে ডিষ্টার্ব করতেছে৷ 


আমি ওদের কাছে গেলাম।মেয়েটা আর কেউ নয় ঝর্না। ওরে দেখে আরো বেশি রাগ উঠেছে। কারন এতো রাতে এখানে কেনো আসছে। আমি বখাটেদের বললাম....... 


আমিঃ কি ব্যাপার বড় ভাই মেয়েটাকে ডিস্টার্ব

করছেন কেনো? 


বখাটেঃ তোকে বলা লাগবে? 


আমিঃ অবশ্যই বলতে হবে? 


এই কথাটা বলতেই আমাকে এক ঘুসি। তারপর আমি দিলাম সব গুলোকে উরা ধুরা মাইর। এক পর্যায় 

তাদের চাকুর আঘাতে আমার হাত কেটে যায়। এবং তারা পালিয়ে যায়। তখন ঝর্না এসে তার ওড়না ছিড়ে আমার হাত বেধে দেয়। এবং বললো........


ঝর্নাঃ ছাতার নিচে আসো? 


আমিঃ লাগবে না? 


ঝর্নাঃ পরে জ্বর আসবে তো? 


আমিঃ বেশি কথা বললে একা রেখে চলে যাব? 


ঝর্নাঃ ওকে চুপ করে থাকলাম? 


তারপর ঝর্না আর কথা বললো না।। আমি বাসায় এসে কাপড় চেঞ্জ করে ফ্রেশ হয়ে আসলাম। তারপর একটা ঘুম দিলাম। রাত্রে তেমন কিছু না হলেও সকালে 

কেমন জ্বর জ্বর লাগলো । বিকেলে জ্বর আরো বেড়ে গেলো। বিছানা থেকে উঠতে পারছি না। 


সন্ধা বেলায় হসপিটালে নিয়ে গেলো আমাকে পরে আর কিছুই মনে নেই আমার। সকাল বেলায় উঠে দেখি ঝর্না আমার বুকের উপর শুয়ে আছে। রাতে মনে হয় জেগে ছিলো। আমি নড়াচড়া করতেই ঝর্না জেগে গেলো। তারপর ঝর্না মাথায় হাত দিয়ে বললো.......


ঝর্নাঃ জ্বর তাহলে একটু কমেছে?


আমিঃ হুম? 


ঝর্নাঃ স্বপ্নীল একটা কথা বলি? 


আমিঃ একটা কেনো হাজারটা বলেন? 


ঝর্নাঃ স্বপ্নীল আমি তোমাকে অনেক ভালোবাসি? 


আমিঃ আর কিছু বলবেন? 


ঝর্নাঃ এমন করো কেনো। সত্যি আমি তোমাকে অনেক ভালোবাসি? 


আমিঃ আমি ভালোবাসি না....  এখন আসতে পারেন? 


এরপর ঝর্না কান্না করতে করতে চলে গেলো?? আমিও ভাবলাম আর ওকে কাঁদানো যাবে না। দুদিন পর ওর জন্মদিন ওকে মেনে নিবো। এসব ভাবতে ভাবতে আম্মু এসে আমাকে বললো....... 


আম্মুঃ কিরে ঝর্নাকে কি বলেছিস। কান্না করতে করতে চলে গেলো? 


আমিঃ কই কিছু বলিনি? 


আম্মুঃ মেয়েটা কতো লক্ষী সারাটা রাত  ঘুমায়নি। না ঘুমিয়ে তোর সেবা করেছে? 


এরপর হসপিটাল থেকে বাসায় চলে আসলাম। দেখতে দেখতে ২ দিন চলে গেলো। ওর জন্মদিন চলে আসলো। 


তারপর আমি রাতে কল দিলাম ঝর্নাকে।। পাঁচ বারের মাথায় কল রিসিভ করলো। এরপর আমি বললাম....


আমিঃ ঝর্না একটু ছাদে আসো প্লিজ? 


ঝর্নাঃ এতো রাতে কেনো ছাদে আসবো? 


আমিঃ আসতে বলেছি আসো? 


একটু পর ঝর্না ছাদে চলে আসলো৷ ঝর্না আসার সাথে সাথে আমি ছাদের লাইট জ্বালিয়ে দিলাম। টেবিলে একটা জন্মদিনের কেক আছে। এগুলো সব আগেই প্লান করে রেখেছি। কেক দেখে জিজ্ঞেস করলো......


ঝর্নাঃ কার জন্মদিন? 


আমিঃ তোমার জন্মদিন? ( শুনে অবাক হয়ে গেলো) 


তারপর ঝর্নাকে উইস করলাম আর একটা আংটি দিয়ে প্রপোজ করলাম.......


আমিঃ  আই লাভ ইউ ঝর্না।


ঝর্নাঃ এভাবে হবে না? 


আমিঃ তাহলে কিভাবে? 


ঝর্নাঃ আগে গোলাপ ফুল নিয়ে আসো? 


আমিঃ এতো রাতে কোথায় পাবো গোলাপ ফুল? 


ঝর্নাঃ ওকে ছাদের ওপাশ থেকে ফুল নিয়ে 

করলেই হবে?


তারপর আমি ছাদের এক পাশ থেকে ফুল আনলাম?? আর ওকে প্রপোজ করলাম....... 


আমিঃI love you.... Do you love me?

 I will marry you.... You will marry me? 


ঝর্নাঃ Yes.... love you too?


তারপর দোলনায় বসে আছি। ঝর্না আমার কাঁদে মাথা রেখে বসে আছে। ঝর্না বলতে লাগলো....... 


ঝর্নাঃ জানো বাবু আমি তোমাকে অনেক আগে থেকেই ভালোবাসতাম। আমি তোমার পরিক্ষা নিয়েছিলাম। আর ওই ছেলেটা আমার ফ্রেন্ড? 


আমিঃ ওহ তাই? 


ঝর্নাঃ হুম? 


আমি ঝর্নাকে বললাম আচ্ছা এখন একটা মিষ্টি দাও?? যেই আমাকে মিষ্টি দিতে যাবে ঝর্নার ভাই এসে হাজির। অবশ্য আমার আম্মু ঝর্নার আম্মু জানে আমরা যে দুই জন দুই জনকে ভালোবাসি। ঝর্নার ভাই ছাদে এসে আমাদের বললো...... 


ঝর্নার ভাইঃ তোমাদের কে নিচে ডাকতেছে? 


আমিঃ হুম চলো? 


নিচে গিয়ে আমিতো পুরাই অবাক কারন বাসায় অনেক লোক? সাথে একজন হুজুর ও আছেন। আমি আম্মুকে বললাম...... 


আমিঃ কি ব্যাপার আম্মু ডাকছো কেনো? 


আম্মুঃ তোদেরকে আজ এখনই বিয়ে দিবো তাই ডেকেছি? 


আমি তো পুরাই অবাক। মনে মনে খুব খুশি হলাম। ঝর্না লজ্জায় মাথা নিচু করে আছে। অবশেষে বিয়ে টা হয়ে গেলো এরপর একেএকে সবাই চলে গেলো রাত অনেক হয়েছে। আম্মু বললো বউ কে নিয়ে ঘরে যা।


তারপর আমি বউকে নিয়ে ঘরে গেলাম। বউকে বললাম বউ এবার একটা মিষ্টি দাও। তারপর বউ অনেক গুলো মিষ্টি দিলো।


তারপর কি হয়েছে আমি নিজেও জানিনা। কারন আমি তো অবিবাহিত কিভাবে জানবো বলেন।

আর হ্যা  আপনারাও শুনার জন্য বসে আছেন। আরে ভাই আপনারা না হয় বাকিটা বুঝে নেন।


**********সমাপ্ত**********


পর্রবের আরও গল্প পড়ুন এখানে ক্লিক করে।