ব্যর্থ ভালোবাসার কষ্টের গল্প | ইমোশনাল ভালোবাসার কষ্টের স্ট্যাটাস

 ভালোবাসার কষ্টের গল্প

ভালোবাসার কষ্টের গল্প

প্রাক্তন বয়ফ্রেন্ড ১১৮ বার কল করার পরে বিরক্ত হয়ে সিম বন্ধ করে রেখেছিলাম ২১ দিন আগে। তারপর থেকে নিজের খুব পরিচিত বন্ধুদের সঙ্গেও যোগাযোগ নেই। কিন্তু আজকে ঈদের দিন সেই উপলক্ষে পুরাতন সিমটা চালু করলাম শুধু অনেকের নাম্বার সেখানে সেভ করা সেজন্য। 


খুব কাছের বান্ধবী ফারিয়াকে কল দিলাম, কিছুক্ষণ পর রিসিভ করে বললো। 


- কিরে তিথি, তোর তো কোন খবর নেই। 


- আর বলিস না, রাফসানের সঙ্গে ব্রেকআপ হবার পর কিছুদিন যোগাযোগ ছিল না। তারপর একদিন হঠাৎ করে অনেকবার কল দিয়েছে তাই বিরক্ত হয়ে সেই যে সিম বন্ধ করেছি আর আজকে চালু করলাম। নতুন সিম আছে সেটাই ব্যবহার করবো, তোকে আমি নতুন নাম্বার দিয়ে কল দেবো। 


- একটা কথা জিজ্ঞেস করবো তিথি? 


- কি কথা? 


- রাফসান ভাইয়ের সঙ্গে তোর ব্রেকআপ হয়েছে কেন, তুই কি একটু ক্লিয়ার করে বলবি? 


- তেমন কিছু নয়, ওর অতিরিক্ত ন্যাকামি আর কেমন আচরণ নিতে পারছিলাম না তাই। 


- ওহ্ আচ্ছা। 


- আচ্ছা এখন রাখি তাহলে, তোকে নতুন নাম্বার দিয়ে কল দেবো পরে। 


- তিথি শোন। 


- বল। 


- এই সিমটা বন্ধ করার দরকার নেই, আমি কথা দিচ্ছি রাফসান ভাই কখনো কল করবে না। 


- তুই ওকে চিনিস না, অবশ্যই কল দেবে। 


- আমি জানি সে কল দেবে না। 


- এতটা নিশ্চিত কীভাবে বল তো? 


- রাফসান ভাই মারা গেছে, তোকে যখন কল করা হয়েছে তখন সে অসুস্থ অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি ছিল। আরও সপ্তাহ খানিক বেঁচে ছিল তারপর মারা গেছে চিকিৎসাধীন অবস্থায়। এটা আত্মহত্যা নাকি অসুস্থতায় আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু সঠিক জানি না, গরীব মানুষের মৃত্যু নিয়ে কখনো তদন্ত হয় না। তাছাড়া সে যেহেতু হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছে তাই কোন প্রশ্ন ওঠে নাই। 


ফারিয়ার কথাগুলো আমার কানের মধ্যে গরম পানির মতো প্রবেশ করলো, আর সেই সঙ্গে একটা মানুষের করুণ চেহারা স্পষ্ট ভেসে উঠেছে চোখের সামনে। এক মুহূর্তের জন্য যেন মেনে নিতে কষ্ট হচ্ছে মানুষটা সত্যি সত্যি মারা গেছে।


----------------সমাপ্ত-----------


কলমে : মোঃ সাইফুল ইসলাম সজীব।


ভালোবাসার কষ্টের গল্প পড়ুন।