এ কেমন প্রেমের গল্প | ব্যর্থ প্রেমের গল্প

 ভালোবাসার গল্প

ভালোবাসার গল্প

নুসরাত নামের একটা মেয়ের ছবি দেখলাম! মেয়েটা কী যে সুন্দর!  দেখলেই কেমন নেশা ধরে যায়! শুধু তাকিয়ে থাকতে ইচ্ছে করে! এমন একটা মেয়ে যদি জীবনে আসত। জীবনে আর কিছুই চাওয়ার থাকত না!


নুসরাত কে দেখলাম আমার এক বান্ধবীর ফেসবুক ওয়ালে! আমার বান্ধবীর লিস্টে আছে কিন্তু আমার লিস্টে নাই!


আইডির নামটা দেখে রাখলাম। বান্ধবীকে কিছু বললাম না। বাসায় এসে খুঁজে বের করে রিকোয়েস্ট পাঠালাম। একসেপ্ট করবে কি না কে জানে! এত সুন্দরী মেয়ের লিস্টে কত হাজার ঝুলে আছে! 


প্রতিদিন চেক করি একসেপ্ট করল কি না! না এখনো করেনি! মনে হয় করবে না!  ইশ! লিস্টেও বুঝি ঢোকা হবে না!


সাপ্তাখানেক পরে এক সকালে নোটিফিকেশন দেখলাম নুসরাত আমার রিকোয়েস্ট একসেপ্ট করেছে! আমার কী যে ভালো লাগছে!  কতটা সময় ধরে নোটিফিকেশনের দিকে তাকিয়ে রইলাম!


খুব একটা ছবি পোস্ট করে না মেয়েটা। কয়েকটা ছবি আছে। ছবিগুলোর দিকে তাকিয়ে থাকি প্রোফাইলে গিয়ে। 


নুসরাতের প্রতিটা পোস্ট লাভ দেই। ও অবশ্য বিভিন্ন ধরনের ছবিই পোস্ট করে বেশি। এখন পর্যন্ত ৫৩২ টা পোস্ট করেছে ফেসবুকে!  সব পোস্টে রিয়াকশন দিয়েছি!


একদিন অনেক সাহস করে একটা মেসেজ দিলাম। " কেমন আছেন? "


জানি মেসেজের জবাব দিবে না। আমার মত কত ছেলেই ওকে মেসেজ দেয়। আমার ঠিক বিশ্বাস হচ্ছে না। নুসরাত মেসেজের জবাব দিয়েছে 


"ভালো। আপনি কেমন আছেন?"


আমি তো এখন দুনিয়ার সবচেয়ে সুখী মানুষ!  আমার কী যে ভালো লাগছে! 


"খুব ভালো! "


আর তেমন কথা হলো না। নুসরাতের পোস্টে কমেন্ট করি। ও জবাবে ধন্যবাদ দেয়। মেসেজ করতে সাহস হয় না! 


বেশ কিছুদিন পরে আবার মেসেজ দিলাম " কেমন আছেন? "


"ভালো।  আপনার তো কোন খবর নাই! খুব ব্যস্ত মনে হয়?"


হায় আল্লাহ!  আমি মেসেজ দেই না বিরক্ত হবে বলে। মেয়ে দেখি আমাকে মিস করে!


আমাদের আলাপ হয়। নুসরাত অনার্সে পড়ে। চট্টগ্রামে থাকে। ছবি তুলতে খুব পছন্দ করে। আমি আল্লাহর কাছে নুসরাত কে পাবার জন্য দোয়া করি। জীবনে কিছু চাইনি শুধু এই মেয়েটাকে চাই! একে পেলে জীবনটা সুখের হয়ে যাবে।


নুসরাতের সাথে একদিন দেখা করতে গেলাম। এমন দিন আমার জীবনে আসবে কল্পনাও করতে পারিনি! ওকে এখনো ভালোবাসার কথা বলা হয়নি। তবে আমাদের এখন অনেকটা সময় কথা হয়!


সমুদ্রের পাড়ে আমরা দেখা করলাম। নুসরাত সাদা রংয়ের একটা জামা পরে এসেছে!  ছবির চেয়ে আর বেশি সুন্দরী লাগছে!  আমি আকাশের দিকে তাকিয়ে মনে মনে বলি এই মেয়েটাকে আমার চাই! 


অনেকটা সময় আমরা একসাথে কাটালাম। সময় কত দূর তো চলে গেল বুঝতেই পারলাম না। তিন ঘন্টা মনে হলো তিন মিনিট! নুসরাতের কথা শুনতে কী যে ভালো লাগছিল!


আজ নুসরাত কে প্রোপোজ করবো। জানি না রাজি হবে কি না? যদি রাজি হয় এই মেয়েটাকে আমি জীবন দিয়ে সুখে রাখবো। আর কত কী স্বপ্ন দেখি ওকে নিয়ে। 


একটা লাল গোলাপ নিয়ে হাজির হলাম। নুসরাত আজ নীল রংয়ের  একটা জামা পরে এসেছে!  দেখে মনে হচ্ছে নীল একটা পরি! আমি আবার আকাশের দিকে তাকিয়ে বলি জীবনে শুধু এই মেয়েটাকে চাই!


বাটারফ্লাই পার্কে এসেছি আমরা। পার্কটা বেশ সুন্দর!  একটা গাছের তলায় বসে আছে নুসরাত। আমি হাঁটু গেড়ে বসে গোলাপটা দিয়ে বললাম, "আমার  দায়িত্ব নিবা নুসরাত? "


নুসরাত একটু হেসে গোলাপটা নিলো। মাথা নাড়িয়ে হ্যা বললো। আমার কী যে ভালো লাগছে! আমি এই মেয়েটাকে পাইলাম!


জীবনটা কেমন জানি! নুসরাত সারাক্ষণ মেসেজ দেয়!  এত কিছু জানার কী আছে বুঝি না! নুসরাতের সাথে কথা বলতে ভালো লাগে না! ওকে দেখলেই মনে হয় বিশ্বকাপের ফাইনাল খেলার মত আগে খুব উত্তেজনা ছিলো কে জিতবে! এখন সব জানা অস্ট্রেলিয়া টসে জিতে বোলিং নিবে ভারত হারবে! একই খেলা কয়বার দেখা যায়? 


তানিয়া মেয়েটাকে দেখে ভালো লাগে!  কী যে সুন্দর মেয়েটা দেখলেই তাকিয়ে থাকতে ইচ্ছে করে!  এই মেয়েটাকে পেলে জীবনে আর কিছুই চাওয়ার থাকত না!


এমন আরও বাস্তব প্রেমের গল্প পড়ুন।