গল্প:দুটি__কালো__মেঘের_গল্প | ভালোবাসার কষ্টের গল্প

 না পাওয়া ভালোবাসার কষ্টের গল্প

না পাওয়া ভালোবাসার কষ্টের গল্প

আমি বাসর ঘরে ঢুকেই দরজা, জানালা লাগিয়ে দিলাম। গা থেকে শার্টটা খুলতে খুলতে মেয়েটার পাশে গিয়ে বসলাম। মেয়েটা তার স্বামীর জায়গায়! আমাকে দেখে কাঁপা কাঁপা গলায় বললো" কে আপনি? দরজা লাগিয়ে দিলেন কেন?"

বাসর রাতে দরজা বন্ধ করে যা করে। তাই করবো। তাই লাগিয়ে দিলাম।

মেয়েটা ভয়ে জড়োসরো হয়ে বললো" কি বলছেন এসব! আমার স্বামী কোথায়? '

মেয়েটার চোখে মুখে ভয়ের ছাপ দেখতে পেলাম। আমি পৈশাচিক হাসি দিয়ে বললাম -আমি ঠিকই বলছি। আপনার স্বামী আপনাকে আমার কাছে বিক্রি করে দিয়েছে ২ লাখ টাকার বিনিময়ে ! আর হ্যাঁ, এখন ন্যাকা কান্না-কাটি করবে না। কান্না-কাটি একদম পছন্দ না আমার ।

-বাসর রাতে অন্য পুরুষের মুখে এমন কথা শুনে কথার বুকঁটা ছ্যাঁত করে উঠলো! নাহ্ এ হতে পারে না। উনি আমাকে বিক্রি করে দিতে পারে না। উনি না আমায় ভালবাসতো। আমার মাথা ছুঁয়ে প্রমিজ করেছিল কোনদিন ছেড়ে যাবে না । ( কাঁদতে কাঁদতে কথাগুলো বললো কথা)

.

মিঃ রাফি একটু রুমে আসেন তো। ফোন করে বললাম।

- আমি মেয়েটার সামনে বসে আছি, শরীরে ভাঁজ গুলো দেখে নিচ্ছি। গ্রামের মেয়ে, লালগুড়া সুন্দর। দেখে যে কোন ছেলেরই কাম- তারণা জন্ম নিবে। মনে হচ্ছে স্বর্গের পরীটা আমার সামনে বসে আছে। মেয়েটার কাঁদছে ভয়ে বিছানায় এক কোণে গুটিসুটি মেরে বসে আছে। চোখ থেকে মুক্তার দানায় মতো চোখের পানি টপ-টপ করর পড়ছে। আমার সে দিকে কোন ভ্রুক্ষেপ নেই। হঠাৎ কলিং বেলটা বেজে উঠলো। আমি মৃদু হেসে দরজা খুলে দিলাম।

- মিঃ রাফি রুম এসে বললো, 'স্যার টাকা'টা পড়ে দিলেও পারতেন। আর মাল ঠিক আছে তো? একদম ট্রসটসা! আমি দু'মাস প্রেম করলেই একটা বার ছুঁয়ে দেখেনি। একদম ভার্জিন। আপনি আমার জীবনের প্রথম কাস্টমার। আপনার বিশ্বাস ঠিক রাখতে পেয়েছি আমি মনে করি!

- আমি মৃদু হেসে বললাম" হে মিঃ রাফি আমি জানি! আপনার সম্পর্কে মিঃ নাজমুলের কাছে সব শুনেছি। '

- "ধন্যবাদ স্যার অধমকে এতটা বিশ্বাস করার জন্য"কথাটা শেষ করার আগেই, ঠাস! ঠাস! করে মেয়েটা রাফির গালে চড় বসিয়ে দিল।

- ছিঃ তোর লজ্জা করে না, আমাকে মিথ্যা ভালবাসার প্রতিশ্রুতি দিতে। কেন এই কষ্টের বুকে ভালবাসার ফুল ফুটিয়ে ছিলি। তোর কোন দিন ভালো হবে না। আমি মা- বাবা হারা এতিম মেয়ে তোকে অভিশাপ দিচ্ছি। ( কাঁদতে কাঁদতে কথা গুলো বললো)

- রাফি চলে গেল! চলে যাওয়ার আগে মেয়েটার দিকে কেমন করে তাঁকালো।

- আমি রাফি সাহেবের অদ্ভূত ধৈর্য ক্ষমতা দেখে হতবাক!এই জন্যই এই সব ধান্দা করতে পারে।

- মেয়েটা আমাকে অবাক করে দিয়ে যখন নিজেই দরজা লাগিয়ে দিলো!তখন বিস্ময়ের দৃষ্টিতে মেয়েটার দিকে তাকালাম।

চোখ দিয়ে টপটপ করে পানি পড়ছে এখনো । সত্যি মেয়েটাকে আল্লাহ্ তায়ালা বিশেষ সৌন্দর্য দিয়ে সৃষ্টি করেছে। যতই দেখছি মেয়েটার মাঝে হারিয়ে যাচ্ছি।

- মেয়েটা তার শাড়ির আচলটা বুক থেকে টান মেরে খুলে ফেলে দিয়ে, কাঁদতে কাঁদতে বললো" এই নেন শুরু করেন "। ভোগ করেন আমাকে। শাড়ির নিচে নরম কিছু মাংস পেশীতে হাত রেখে, লজ্জাস্হানটাকে পশুদের মতো উপভোগ করে। আপনি পুরুষ তার পরিচয় দেন। আপনারা পুরুষরা ভুলে গেছেন,বাম স্তনের দু'আঙুল নিচে একটা ছোট্ট মাংসের টুকরা আছে যা সব পুরুষরাই দখল করে নিতে জানে না। তারা জানে শরীরটা চিঁড়ে ফুঁড়ে খেতে। কি হলো শাড়ির আচল ফেলে দিয়েছি, আপনার কষ্ট হলে আমি সবকিছু খুলে দেয়? জানেন কাল হয়তো আমার পরিচয় হবে আমি একজন নষ্টা মেয়ে। তবে হাশরের দিন আমি আমার ইজ্জতের হারানোর বিচার চাইবো মহান আল্লাহর কাছে। একটা বার পরম করুণাময় আল্লাহ্ তায়ালার কাছে বলবো কেন আমাকে এতো কষ্ট দিয়েছে। ছোট বেলায় মা-বাবাকে কেড়ে নিয়েছে তখন কেন আমাকে নিয়ে নেয়নি। কি হলো কাঁদছেন কেন? কাঁদবো তো আমি।

.

- ফ্লরে পড়ে থাকা শাড়ির আচলটা তুলে মাথায় ঘুমটা দিয়ে দিলাম! মেয়েটা করুণ দৃষ্টিতে একবার তাকালো আমার দিকে ।

- ভয় পাবেন না, আপনি নিরাপদ। পৃথিবীর সব পুরুষরা যেমন ভালো না তেমনি সব পুরুষরাও খারাপ না। আপনি এখানে কিভাবে এলেন? আর কেমন করে আপনাকে দালালটা বিয়ে করলো?

- মেয়েটা চোখের পানি মুঁছতে মুঁছতে বললো " আমি পালিয়ে এসেছি!

- মানে! কেমন করে?

- তাহলে শুনেন, সাতবছর বয়সেই মা-বাবা মারা যায় গাড়ি একসিডেন্টে! তারপর মামা- মামীর কাছে বড় হয়। মামী আমাকে দু'চোখে দেখতে পারতো না! আমার বয়স যখন ১৫ বছর তখন, ক্লাস টেনে থাকাকালীন মামা প্যারালাইজ হয়ে যায়। মামা অসুস্থ হওয়ার পর, মামীর অত্যাচার আরো বেড়ে গেল। সারা বাড়ির কাজ আমি একাই করতাম। প্রতিদিন বাসি - পান্তা ভাত দিতো। কোনদিন কোন অভিযোগ করিনি। মনকে এ বলে স্বান্ত্বণা দিতাম যে তারা আমাকে আশ্রয় দিয়েছেন এতেই অনেক! একদিন কাঁচের একটা গ্লাস হাত থেকে পরে যায়! মামী রান্নাঘরে রান্না করতেছিল। রান্নাঘরে থাকা ভাজা -কাটি দিয়ে মাছ উল্টাতে ছিল। তিনি যখন দেখলেন ভাঙা গ্লাসের টুকরাগুলো মাটি থেকে তুলতেছিলাম তখনি, পিছন থেকে আমার পিঠে গরম ভাজা-কাটি চেঁপে ধরে। মাগো বলে এক চিৎকারে জ্ঞান হারিয়ে ফেলি। পড়ে যখন হুশ হয় তখন দেখি আমি ফ্লরেই পড়ে আছি। কেউ একফোটা পানিও মাথায় দেয়নি! পিঠে হাত দিয়ে দেখি, জামা পুড়ে পিঠের চামড়াগুলো ক্ষত হয়ে গেছে। সেদিন রাতে অনেক কেঁদেছিলাম। মাঝরাতে উঠে দু'রাকাত নামায শেষ করে আল্লাহর কাছে কান্না করে দিয়ে বললাম" হে পরুম করুণাময় আল্লাহ সারাজাহানের অধিপতি আর কত কষ্ট দিবেন আমায়। আমি যে আর সইতে পারছি না। আমাকে আপনার কাছে নিয়ে নেন। কেউ ভালোবাসে না আমায়। তুমি তো তোমার বান্দীকে ভালবাসো। ওগো, আল্লাহ্ আমার চোখের পানি কি তুমি দেখতে পাও না? প্রতিদিন ফজরের নামায শেষ করে, জায়নামায থেকে উঠতাম।

.

তার একবছর পর যখন কলেজে উঠলাম। তখন টিউশনি করে মামীকে টাকা দিতাম। রাতে দর্জি কাজ করে নিজের পড়াশোনা চালাইতাম। একদিন রাতে একটা রং নাম্বার খেকে ফোন আসে। সালাম দিয়ে পরিচয় জানার পর ফোনটা কেটে দেই রং নাম্বার বলে।

- কিন্তু লোকটি প্রায়ই ফোন দিতে। প্রথমে বকা-ঝকা করলেও পরে আর পারিনি। তারপর বন্ধত্ব। আবার বন্ধুত্ব থেকে কখন যে, নিজের অজান্তেই ভালবেসে ফেলেছিলাম বুঝিবার । প্রথম যেদিন মিট করেছিলাম, ওই আমাকে ছুঁয়েও দেখেনি। চোখ দুটি মাটির দিকে করে বলেছিল, আমি তোমায় বিয়ের আগে স্পর্শ করবো না কথা! আমি নিজেকে অনেক ভাগ্যবতী মনে করেছিলাম। কারণ বর্তমানে সময়ে যেখানে। ফিজিক্যাল রিলেশন সম্পর্কের সাথে কমন একটা বিষয়। সেখানে রাফি আমার হাতটাও স্পর্শ করে দেখেনি। আমার চোখে কখন যে আনন্দের অশ্রু এসে পড়লো। বুঝতে পারলাম না।

' এই কথা, তুমি কাঁদছো কেন?'কথাটা বলে আমার চোখের পানি মুঁছে দিয়েছিল।

আমার নাম হচ্ছে কারিমা জাহান কথা। সবাই কথা বলে ডাকতো সে সুবাদে সেও কথা বলে ডাকতো।

.

এদিকে বাসায় মামী বিয়ের জন্য চাপ দিচ্ছিল। মামী টাকার লোভে পাশের গ্রামের ৬০ বছরের মোড়লের কাছে আমার বিয়ে দেওয়ার জন্য দিন তারিখ ঠিক করে ফেলে। আমি রাফিকে সব জানায়। সে বলে। পালিয়ে যেতে তাঁর সাথে। মামাকে সব খুলে বলি। মামা মাথায় হাত বুলিয়ে দিয়ে বলে, যারে মা। তোর কোন দায়িত্ব পালন করতে পারলাম না। তোর অভাগা মামাকে ক্ষমা করে দিস। বাড়ি থেকে রাতের আঁধারে পালিয়ে এসে বিয়ে করি রাফিকে।

-তারপর এই বাসায় নিয়ে আসে।

- মেয়েটার কথা শুনে চোখের পাতাগুলো ভেজে যাচ্ছে।

- চোখ মুছে বললাম বাস্তবতা বড়ই কঠিন!

- আচ্ছা আপনাকে একটা কথা বলি?

- হুমম বলেন।

- আমাকে এত টাকা দিয়ে কেন কিনেছেন? চাইলে তো পতিতালয়ে থাকা কোন মেয়ের সাথে কাম-তারণা মেটাতে পারতেন।

- আমি হাহা করে হেসে দিয়ে বললাম " কেন আপনাকে কিনেছি জানেন? আজকে আপনার যেমন ফুলশর্য্যা রাত । তেমনি আজ আমার ভালবাসার মানুষের ফুলশর্য্যার রাত অন্য কারো সাথে। মেয়েটার পায়েও পড়েছ। বলেছিলাম তোমার ভালবাসা আমাকে ভিক্ষা দাও। দেয়নি। বরং,আমার ভালবাসাকে উপেক্ষা করে, শহরের সব চেয়ে বড়লোকের ছেলের বউ হতে। আমাকে দূরে সরিয়ে দিয়েছে। তাই মনের কষ্ট ভুলতে এটাই করেছি। মেয়েদের প্রতি ছোটবেলা থেকেই ঘৃণা আমার কারণ আমার মা আমাকে চার বছরের রেখে, অন্য একটা লোকের সাথে পালিয়ে গেছে


গল্প: দুটি__কালো__মেঘের_গল্প

_পর্ব ০১

গল্প:দুটি__কালো__মেঘের_গল্প

পর্ব ২ ও শেষ পর্ব


আজ আমার ভালবাসার মানুষের ফুলশর্য্যার রাত অন্য কারো সাথে। মেয়েটার পায়েও পড়েছ। বলেছিলাম তোমার ভালবাসা আমাকে ভিক্ষা দাও। দেয়নি। বরং,আমার ভালবাসাকে উপেক্ষা করে, শহরের সব চেয়ে বড়লোকের ছেলের বউ হতে। আমাকে দূরে সরিয়ে দিয়েছে। তাই মনের কষ্ট ভুলতে এটাই করেছি। মেয়েদের প্রতি ছোটবেলা থেকেই ঘৃণা আমার কারণ আমার মা আমাকে চার বছরের রেখে, অন্য একটা লোকের সাথে পালিয়ে গেছে। অামার বাবা মায়ের ছবিটা নিয়ে মাঝে মাঝে কাঁদতো। আমার বাবাকে দেখেছি, কতটা অসহায় মানুষ হতে পারে। বাবাকে যখন মা'র কথা জিজ্ঞেস করতাম। বাবা চুপ করে থাকত। কোন কথা বলতো না। শুধু আমাকে বুকের সাথে জড়িয়ে ধরে কাঁদতো। যখন একটু বড় হলাম। পঞ্চম শ্রেণিতে পড়ি। তখন বুঝতে পারি যে, আমার মা চরিএ ভালো ছিল না। পাড়ার লোকে নানান প্রকার কুটুক্তি ছিল। বাবা তাদের কথায় কান না দিতে বলতো। আমার বাবা আমার কষ্ট হবে যেন দ্বিতীয় বিয়ে করিনি। অথচ বাবা চাইলে আম্মুর চেয়ে সুন্দর মেয়েকে বিয়ে করতে পারত। কারণ আমাদের অর্থ সম্পর্দের কোন অভাব ছিল না।  


- দিনগুলি ভালোই কাটতেছিল। কলেজে উঠে, সাথি নামের একটা মেয়ের বাকা চাহনীর মায়ায়। নিজেকে জড়িয়ে ফেলি। প্রথমে বন্ধুত্ব তারপর তা রুপ নেয় ভালবাসায়। মেয়েটা আমাকে অনেক ভালবাসতো। সবসময় আমায় কেয়ার করতো। পারিবারিক ভাবে বিয়েও ঠিকছিল। কিন্তু হঠাৎ বাবা রোড একসিডেন্টে মারা গেলে। আমার জীবনে আবারো অন্ধকার নেমে আসে। বাবার মৃত্যুতে আমি সম্পূর্ণ ভেঙে পড়ি! ব্যবসায় মোটামুটি বড়সড় একটা ধাক্কা খায়। অন্যদিকে সাথিও কেমন যেন এড়িয়ে চলে আমাকে। রাত তিনটা পর্যন্ত ফোন ব্যস্ত দেখায়। কিছু বললেই বলে, গ্রুপ স্টাডি, বন্ধুদের সাথে কথা বলায় ব্যস্ত থাকে। আমি কিছু মনে করি না।  


- কিন্তু যেদিন দেখলাম, পার্কে একটা ছেলের কুলে মাথা রেখে শুয়ে আছে! সেদিন আমার পৃথিবীটা উলট-পালট হয়ে গেল। বুকের ভেতরটা যন্ত্রণায় পুড়ে যাচ্ছিল। পরে খোঁজখবর নিয়ে জানতে পারলাম। সাথি আর ছেলেটা নিউ রিলেশনশীপে গেছে। নাজমুল যখন বলল" ভাইয়া, সাথি আমি সজিবের সাথে অশ্লীল কাজ করেছে। " 

' কথাটা শুনে নাজমুল কে একটা চড় মারি। কি বলছিস তুই ' সাথি কখনো আমাকে টকাতে পারে না!  


- সাথিকে পরের দিন পার্কে দেখা করতে বললাম।  


- কেন ডেকেছো?

- কেন ভালবাসার মানুষকে ডাকতে পারি না? 

-হুম, তা পারো! তুমি জানো না সামনে আমার এক্মাম।

- তাই বুঝি! আচ্ছা! পার্কে বাদাম খাওয়া। হোটেলে একান্ত সময় কাটানো কী তোমার পরিক্ষা?

- রাজ তুমি পাগল হয়ে গেলে? কি বলছো এসব?

- আমি ঠিকই বলছি। তুমি সজিবের সাথে অবৈধ কাজ করনি?আমার কাছে তোমার সবকিছুর প্রমাণ আছে।

- হুম করেছি, কারণ তুমি রোমাঞ্চ করতে পারো না। তোমাদের কি আছে? রাফি এখন বাংলাদেশের নামকরা ধনী।  

- সাথির মুখে কথাটা শুনে চমকে গেলাম! এই কি আমার ভালবাসার সাথি?নাহ্ সময়ের সাথে মানুষটাও পরিবর্তন হয়ে গেছে। সাথি যাওয়ার আগে বলে গেল' আমার সামনে যেন তোকে কোনদিন না দেখি! ' 

- আমি পার্কে দাঁড়িয়ে ছলছলে চোখে তাকিয়ে ছিলাম সাথির চলে যাওয়া দিকে।


- যেদিন সাথির বিয়ে হয়, সেদিন তার কাছে খুব করে কেঁদে ছিলাম। কারণ তাকে যে এক মূর্হুতের জন্যও ভুলতে পারিনি। কিন্তু সে আমার বুক ফাঁটানো আত্মচিৎকার শুনেনি। আজ সে নিজেকে বিলিয়ে দিতে ব্যস্ত।   


'কি হলো আপনি কাঁদছেন কেন?


- আপনার কষ্ট আমার চেয়েও অনেক বেশি।

- নাহ্ ছেলেদের কোন কষ্ট নেই।  


"কে বলছে কোন কষ্ট নেই?"

-"আমি বলছি"

- ভুল বলছেন আপনি।

" আচ্ছা বাদ দেন,। আপনার সাথে দুব্যবহারে জন্য ক্ষমাপ্রার্থী। আমাকে ক্ষমা করবেন। আপনি ঘুমিয়ে পড়েন।  


"যদি ক্ষমা না করি?"

- কেন করবেন না?

- আচ্ছা! ক্ষমা করবো একশর্তে।

- কি শর্ত?


- আপনার মনের ছোট্ট ঘরে একটুকরো জায়গা দিতে পারবেন? আপনার পায়ের নিচে চিরজীবনের জন্য একটু ঠাঁয় দিবেন?

- এসব কি বলছেন। মেয়েদের আর কোনদিন হয়তো বিশ্বাস করতে পারবো না। আর আমি একটা কালো মেঘের টুকরার মতো।আপনার জীবনটা কেন নষ্ট করবেন।

- আপনি হয়তো ভুলেই গেছেন ' দু্টি কালো মেঘের ঘর্ষণে বৃষ্টি ঝরে পড়ে! সেখান থেকে সবুজের সৃষ্টি হয়। 

- মেয়েটার করুণ চোখে এই প্রথম ভালবাসা দেখতে পেলাম। মেয়েটার চোখের পানি মুছে দিয়ে কাছে টেনে নিলাম। পরের দিন কথাকে বিয়ে করি।  


'প্রায় পাঁচবছর পর। রাইসাকে কুলে নিয়ে বসে আছি। রাইসা কথা আর আমার মেয়ে। দেখতে ঠিক মায়ের মতোই হয়েছে।


-কথা কিচেনে রান্না করছে। আমি টিভি দেখছি। হঠাৎ একটা নিউজ দেখে চমকে উঠলাম" সুনার্মধন্য ব্যবসায়ীকে পরকীয়ার দায়ে,তারই স্ত্রী খুন করল। টিভিতে সাথির ছবিটা দেখে মনে মনে বললাম" নিশ্চয়ই আল্লাহ তায়ালা উওম বিচারকারী।" চোখ থেকে নিজের অজান্তেই এক ফোঁটা পানি গড়িয়ে পড়ল। 


গল্প:দুটি__কালো__মেঘের_গল্প

                   

 🌸সমাপ্ত🌸


এমন আরও গল্প পড়ুন।