- কবিতা
বউকে শুনিয়ে শুনিয়ে কবিতা আবৃত্তি করছিঃ
"বাসায় আমি বসে আছি, লাগছে বড় একা, 😳😌
বউ আমার কয় না কথা, খাইছি আমি ছ্যাঁকা।" 🤭😁
কবিতা শুনে বউ মুচকি হেসে জবাব দিলোঃ
"সারাদিন তোমার মতন, আজাইরা থাকি না আমি,
অফিসে তুমি না গিয়ে, কেনো করো পুংটামি।" 🙄🙄
রুমে মা হাজির। আমাদের এমন ছন্দ দেখে মা বললোঃ
"ছেলে আমার রইছে বাসায়, করে না কেউ যতন!
মুখটা তার হইছে এখন বিড়ালের মতন।" 😁😆
আব্বা বারান্দায় বসে পেপার পড়ছে। আমাদের এমন ছন্দ শুনে হাসতে থাকলো। আম্মা রাগি ভাব নিয়ে বললো.... 😡😤
-- 'মনে পরে সেই কথা?? চুবাইলাম তোমায় বিলে!!
তখন কিন্তু তুমি আশিকের মতন ছিলে।" 😂😆
আব্বায় মনে হয় কিছুটা লজ্জা পেলো। সেই টপিক বাদ দিয়ে পরক্ষণেই বললোঃ
- 'অফিসে না গিয়ে আশিক, বাসায় রইছে কেনো বসে?? 🤔
আমি কিন্তু উঠলে ওর গালে, চড় দিব কষে।'" 😡😡
দাঁত খোঁচাতে খোঁচাতে "রোদেলা" রুমে হাজির।
সেও বললোঃ
-- 'ভাইয়াকে একা পেয়ে দিচ্ছে সবাই বকা,
ভাইয়ার মুখ চিকার মতন, লাগছে বোকাসোকা।' 😆😁
সবার এমন ছন্দ শুনি শিহরিত। রোদেলাও দেখি কম না। এই হতচ্ছাড়ি ছন্দ পারলো কেমনে?? 🤔🤔
একটু পর আবার রুমে ছোট ভাই হৃদয় হাজির। সেও বললোঃ
- 'ভাইয়া তুমি রাগ করে, বাসা থেকে যাও চলে,
সেই খুশিতে লাফালাফি করবো, উঠে আব্বার কোলে।"' 😜🤭
আব্বা ভ্রু-কুঁচকে তাকিয়ে বললোঃ 🤨
-- 'ফাজলামো তুই করবি না, এইখান থেকে সর,
নইলে তোর গালে, মারব একটা চড়।" ✋
আমাদের সবাইকে অবাক করে ডিগবাজি দিয়ে রুমে আমার ফ্রেন্ড 'রিয়াদ' হাজির। সে এসেই আমার পেটে গুতো মারলো৷ তারপর বললোঃ
- 'সবাই এতো বকছে তোরে, লজ্জায় যা মরে..!
সেই সুযোগে চল্লিশা খেয়ে, ঘুরবো ঘোড়ায় চরে।" 😁🤭
তারপর আর কিছু মনে নাই। জ্ঞান ফিরে নিজেকে হাসপাতালে আবিষ্কার করলাম। ডাঃ আমায় দেখেই বললোঃ
- 'তোমাদের পরিবারে ছন্দের মেলা,
এই যে দিলাম ঔষধ, খেয়ো তিন বেলা।' 😂😁🤣
কেমন লাগলো??
.
.