ভালোবাসা কষ্টের গল্প | না পাওয়া ভালবাসা

 ভালোবাসার গল্প

ভালোবাসার গল্প

---৬ মাস হলো ডিভোর্স হয়েছে মেয়েটির। 

---হঠাৎ একদিন তার আগের Boyfriend এর সাথে রাস্তায় দেখা হয়। 


---কেমন আছো ইশা! শুনলাম তোমার নাকি ডিভোর্স হয়েছে। (ছেলেটি )


---হুমম ৬ মাস হলো আমার ডিভোর্স হয়েছে। কিন্তু তোমাকে কে বললো এই সব। (মেয়েটি)


---সেটা জানার দরকার নাই তোমার। (ছেলেটি)


মেয়েটি : তোমার কি খবর ভালো আছো।


ছেলেটি : যাকে ঘিরে আমি ভালো থাকতাম সেই মানুষটাই তো নেই। 


মেয়েটি : কেনো বিয়ে করোনাই। 


ছেলেটি : তাকে ভুলতে পারলেই তো বিয়ে করবো। যদি কখনো ভূলতে পারি অবশ্যই  বিয়ে করবো। 


মেয়েটি : এখনো ভালোবাসো আমাকে। 


ছেলেটি : কিইই মনে হয় তোমার। 


মেয়েটি : এখনো ভালোবাসা আমাকে এটাই মনে হচ্ছে। 


ছেলেটি : হুমমমম? 


মেয়েটি : ওহ!  তোমার পরিবারের সবাই কেমন আছে। 


ছেলেটি : বাবা মারা যাওয়ার কিছুদিন পরে মা ও মারা জায়। বতর্মান একাই বেছে আছি। 


মেয়েটি : বিয়ে করে নাও ভালো একটি মেয়ে দেখে?


ছেলেটি : আমার যে সেই তুমি টাকেই দরকার। 


মেয়েটি : এটা সম্ভব না হাসিব। (ছেলেটির নাম হাসিব)


ছেলেটি : অসম্ভব ও কিন্তু না? 


মেয়েটি : আমি একটা ডিভোর্সি মেয়ে। অন‍্য জায়গাই সংসার করেছি। সমাজের লোক অনেক কিছু বলবে।


ছেলেটি : সমাজ কি বললো আমি সেটা জানতে চাইনা আমার তোমাকে দরকার। 


মেয়েটি : এটা হয়না হাসিব।


ছেলেটি : কেনো হয়না শুনি? আমার যদি কোন সমস্যা না থাকে তাহলে তোমার কিসের সমস্যা। 


মেয়েটি : তোকে এক বছর আগে কষ্ট দিয়ে অন‍্য জনের বউ হয়ে গেলাম। তবুও আমাকে চাও।


ছেলেটি : আমি জানি তুমি পরিস্থিতি শিখার হয়েছিলে। তোমার বাবা মা তোমাকে চাপ দিয়েছিলো। এই কারনে তুমি এমন করতে বাধ‍্য হয়েছো।


মেয়েটি : হুমম আমার বাবা মা তখন বলেছিলো। তুই যদি হাসিব কে বিয়ে করিশ আমাদের মরা মুখ দেখবি। আমরা যেখানে বিয়ে দিবো সেখানেই তোকে করতে হবে। 


ছেলেটি : হুমমম আমি সব জানি। 


মেয়েটি : আমাকে অনেক ভালোবাসো তাই না হাসিব।


ছেলেটি : নিজের থেকেও বেশি।


মেয়েটি : তোমার ভালোবাসার মর্যাদা রাখতে পারবো কি আমি। 


ছেলেটি : ইনশাআল্লাহ পারবে। শুধুমাত্র একবার আমার হাতটী ধরে দেখো।


মেয়েটি : ঠিক আছে? আমার পরিবারের সঙ্গে কথা বলো। যদি তারা রাজি হয় আমি ও রাজি। 


ছেলেটি : ওহ? কেনো তোমার কথার কোন দাম নেই বাসায়। 


মেয়েটি : তুমি বুঝবে না। যা বলছি তাই করিও। 


ছেলেটি : ঠিক আছে? 


মেয়েটি : ভালো থাকিও আজ আসি। 


ছেলেটি : আচ্ছা? সন্ধ্যায় আসতেছি তোমার বাসায়। 


মেয়েটি : অপেক্ষা করবো? 


"কথা বার্তা শেষ করে দুজনে দুজনের কাজে চলে যায়? এর পরে সন্ধ্যা টাইমে হাসিব ইশার বাসায় চলে যায়। সেখানে হাসিবকে দেখে সবাই একটু অবাক হয়। 


'তখন ইশার বাবা হাসিব কে জিঙ্গেস করে'


---কি ব‍্যপার হাসিব হঠাৎ করে আমাদের বাসায়। (ইশার বাবা)


হাসিব : আমি ইশাকে বিয়ে করতে চাই। যদি আপনারা রাজি থাকেন।


---ইশার ডিভোর্স হয়েছে। তোমার মতো ছেলে কি ইশাকে এখনো বিয়ে করবে?


হাসিব : আমি করবো। আপনি কি রাজি আছেন। 


---হুমমম রাজি আছি। 


হাসিব : এখনি কাজি কে ফোন দিয়ে ডাকতেছি। আমি আর এক মুহূর্ত দেরি করতে চাইনা।


---এখনি কেমন হয়না। 


হাসিব : কোন সমস্যা নেই। 


---ঠিক আছে তুমি যা ভালো বুজো তাই করো।


হাসিব : ঠিক আছে। 


"এর পরে হাসিব কাজিকে সঙ্গে সঙ্গে ফোন দিয়ে ডেকে আনে আর সেই মুহূর্তেই বিয়েটা করে ফেলে "


( সবাই বলতে পারেন ইশার বাবা এতো তারা তারি রাজি হলো। সত্যি বলতে একটি ডিভোর্সি মেয়ে কেউ চায়না বাসায় থাকুক। প্রিটা বাবা মা চায় তার ডিভোর্সি

মেয়েটা শুখে সংসার করুক)


অনু_গল্প: পূর্ণতা

কাহিনী ও লেখা : মি_হাসিব  


এমন আরও গল্প পড়ুন।