খুব কষ্টের ভালোবাসার গল্প | খুব কষ্টের ২০২৪

জীবনটা খুব কষ্টের

জীবনটা খুব কষ্টের

 " লজ্জা করেনা! এই ৩৫ বছরে এসে ১৫ বছরের যুবতি মেয়ে কে বিয়ে করতে?


" আসলে হয়েছে কি!


"যৌ'বন উতল্লাছে আপনার যে আমাকে বিয়ে করছেন। নিজেকে দেখেছেন একবার আয়নায়। 


"আমার কোন ইচ্ছেই ছিলো না আপনাকে বিয়ে কারার? কিন্তু আমার মা বাবা জোর করে বিয়েটা দিছে। 


"জানা আছে আপনাদের মতো লোকদের? এমন সুন্দরী মেয়ে দেখলে কার বা মাথা ঠিক থাকে। 


"আমি অন্য কারোর মতো না। 


"সেটা দেখাই যাচ্ছে আপনি কেমন! 


"চিন্তা করিয়েন না। আমি আপনাকে ডিভোর্স দিবো। তবে এর জন্যে কিছু দিন ধৈর্য ধরতে হবে। 


"আমি এখনি ডিভোর্স চাই।


"এটা তো চাইলেই হবে না। এর জন্যে অপেক্ষা করতে হবে। আর আপনার যদি খুব সমস্যা থাকে তো আপনি আমাকে ডিভোর্স দিতে পারেন।


"এখন তো কতো বাহানা বের হবে।  


"চুলুন এখন ঘুমিয়ে পরি। আজ অনেক চাপের মধ্যে দিয়ে গিয়েছি। 


"যতো তারা তারি পারেন আমাকে ডিভোর্স দিবেন। আপনার সাথে আমি থাকতে পারবো না। 


"ঠিক আছে চেষ্টা করবো। 


"তো এর পরে এই ভাবে একটি মাস কেটে যেয়। কেউ কারো সাথে প্রয়োজন ছারা কথা বলে না।


"হঠাৎ একদিন মেয়েটি আলমারি তে কিছু একটা খুজতে গিয়ে একটি ডাইরি পায়। অনেক চিন্তা ভাবনার পরে কাউকে না বলে চুপি সারে পরতে থাকে। 


ডাইরিতে লেখা ছিলো :


-মা তোমার মৃ'ত্যুর ঠিক এক মাস পরেই বাবা বিয়ে করলো! বিয়ের কিছুদিনের মধ‍্যেই আমার সেই বাবা আর আগের বাবা নেই। ভাবছো কেনো! কারন তুমি যে নেই এই জন্যে । বাবা কে বলে ছিলাম বাবা আমি পরাশুনা করবো..? তখন সৎ মা বলেছিলো তুই পরাশুনা করলে এই সংসার কে চালাবে হ‍্যা। জমিতে কাজ করবে কে হ‍্যা। এর পরে সেখানেই আমার পরাশুনা ইতি। জানো মা সারা দিন রৌদ্রে কাজ করে আসি। কিন্তু এসে একটু খাবার পাইনা। মা আমার শরীরে রোদ লাগবে এই জন্যে তোমার মাথার কাপর দিয়ে আমার শরীর ঢাকতে। এখন দেখো তোমার এই ছেলে দিব্বি রোদে কাজ করে বেরায়। আমার বাব এখন আমার কথা শুনতে পায়না। কারন আমি নাকি মিথ্যা বলি। মা তোমার চলে যাওয়াতে আমি এই জীবনটা মরূভূমি হয়ে গিয়েছে। তুমি কি জিনিস ছিলে মা এখন বুজি? জানো মা তোমার ওই সুন্দর দেখতে ছেলেটা কাজ করতে করতে কুৎসিত হয়ে গিয়েছে। আরো জানো মা যখন বিয়ের বয়স হলো তখন আমাকে বিদেশ পাঠিয়ে দেয়া হলো টাকা উপাচার্যের জন্যে । ............ এই ভাবে মেয়েটি ডাইরিটি পরতে পরতে শেষ পৃষ্টায় চলে আসে।  


--জানো মা ভেবেছিলাম জীবনে শুখ তো করতে পাইলাম না। একটি বিয়ে করে শুখের জীবন কাটাবো। কিন্তু সেটাও হলোনা এই অভাগার কপালে। কেনো জানো মা ওই টাকা কামাই করতে করতে কখন যে যৌবনের বয়সটা চলে গেছে ভাবতেই পারিনাই। বলো এই 35 বছরে এসে তোমার ছেলেকে কোন মেয়ে পছন্দ করবে। তবুও বিয়ে একটি করলাম কিন্তু বাসর ঘরে ডুকতেই তোমার বউমা আমাকে এতো কথা শুনিয়েছে যে বিয়ে করে শুখের সংসার করার ইচ্ছেটাই মারা গিয়েছে। তাকে কথা দিতেছি মা আমি ডিভোর্স দিবো। জানো মা আমার কষ্টটা তুমি ছারা আর কেউ বুজলো না। 


( এখানে বুঝা যায় ছেলেটির মা ছোট্ট থাকায় মা"রা গিয়েছে )


--এই সব কিছু মেয়েটি পরার পরে, তার চোখে অশ্রু ঝরতে থাকে। কারন একটি মানুষ একটু শুখের জন্যে কতো কষ্ট করেছে আর সেই মানুষটাকেই এতো কস্ট দিয়েছি। না আর একটু ও কষ্ট পাইতে দিবো না তাকে। আমার ভালোবাসা দিয়ে তার জীবনটা রাঙ্গিয়ে তুলবো। এই সব ভাবতেছে ঠিক সেই সময় কারো একজন আসার শব্দ পাওয়ার সাথে সাথেই ডাইরিটা লুকিয়ে ফেলে। 


"লুকানো সাথে সাথে দেখতে পায় যে এটা তার স্বামী । রুমে এসেছে। 


বউ : এই যে শুনুন। 


স্বামী : হুম বলো! 


বউ: আমাকে মাপ করে দিন। 


স্বামী : কেনো! কি করলে যে মাপ করবো। 


বউ : আপনাকে অনেক কষ্ট দিয়েছি। 


স্বামী : আরে না কিসের কষ্ট?


বউ : আমি আপনার ডাইরিটা পরেছি। 


"এই কথাটি শুনার পরে পরেই স্বামী স্ত্রী জনেই কিচুক্ষন নিরব থাকে। 


বউ : প্লিজ আমাকে মাপ করে দিন। আমার ভূল আমি বুজতে পারছি। 


স্বামী : ঠিক আছে মাপ করে দিলাম। 


"মাপ করার কথাটি শুনেই মেয়েটি কান্না করতে করতে স্বামী কে জরিয়ে ধরে। 


বউ : সত্যি তুমি অনেক ভালো । যা আমি আগে বুজতে পারিনাই। 


স্বামী : পাগলি বউটা আমার আমি জানতাম তুমি একদিন সব মেনে নিবে। 


"আর এখানেই এই অনু গল্পটি শেষ হয়। 


অনু_গল্প : (১৫ বছরের বউ )


ভালোবাসার কষ্টের গল্প পড়ুন।