1. রোমান্টিক ফানি স্ট্যাটাস
আজকের সন্ধ্যা আপুকে পাত্রপক্ষ দেখতে আসবে। আপুর রুমে গিয়ে দেখি আপু মন খারাপ করে বসে আছে। আমি আপুর কাছে গিয়ে জিজ্ঞেস করলাম।
-- আপু তুই মন খারাপ করে বসে আছিস কেন?
-- ভাই আমি এখন বিয়ে করতে চাইছিনা। তুই কিছু করতে পারবি?
-- মানে তুই কি বিয়ে ভে/ঙ্গে দেওয়ার কথা বলছিস?
-- হ্যাঁ।
-- বিয়ে ভে/ঙ্গে দিলে আমি কি পাবো বল?
-- বল তোর কি চাই?
-- আমাকে এক হাজার টাকা দিতে হবে। তাহলে চেষ্টা করে দেখতে পারি।
-- ঠিক আছে।
তারপর আমি আপুর রুম থেকে বের হয়ে আসলাম। সন্ধ্যা পাত্রপক্ষ আমাদের বাসায় চলে আসছে। সবাই বসে আছে আপুর অপেক্ষায়। একটু পরে আম্মু গিয়ে আপুকে নিয়ে আসছে। আপু সবার সামনে বসল।
একজন আপুর নাম জানতে চাইল আপু নাম বলল। দেখলাম আপুর বয়সী একটা মেয়েও আসছে। মেয়েটা আপুকে জিজ্ঞেস করল -- আপনার সব থেকে পছন্দের জিনিস কি?
আমি আপুর আগে বললাম -- ময়ে ময়ে।
-- ময়ে ময়ে মানে কি?
-- বোঝো না দুধু খাও?
একটা ভদ্রলোক বলে উঠলো -- এই ছেলেটা কে?
-- তুই এখনও আমার পরিচয় জানিস না? আমার পরিচয় পাইলে তো এখন তুই খাড়াইয়া মুইতা দিবি বহনের টাইম পাবিনা।
-- কি অসভ্য ছেলে। এই ছেলে তুই আমাকে চিনিস?
-- নাতো, কে আপনি?
-- আমার নাম বাদশা।
-- আপনার নাম যদি হয় বাদশা তাহলে আমার নাম কি হইতে পারে? আপনাগো মতো কিছু ফ*কি*ন্নি*র পোলার নাম বাদশা বলেই আজ দেশের এই অবস্থা।
-- বেয়াদব ছেলে একটা।
-- তুই দেখি বেশি কথা কস আয় যাইগা পাট খেতে।
-- এই ছেলে কি শুরু করছে এসব?
-- হিসাব বুঝনা দুধু খাও?
এবার আমার আম্মু বলল -- এই তুই কি শুরু করলি এসব? আপনার কেউ কিছু মনে করবেন না। ও আমার ছেলে। আসলে আপনাদের সাথে মজা করছে।
-- এই পরিবারে কিছুতেই আমাদের ছেলেকে বিয়ে করানো যাবেনা। এখানে কি আমাদের অপমান করার জন্য নিয়ে আসা হয়েছে? এই চল সবাই।
সবাই চলে গেলো রাগ করে। আম্মু আমার কাছে এসে বলল -- তুই এটা কি করলি? তুই জানিস তোর জন্য তোর বোনের কতো বড় ক্ষতি হইছে।
-- আমি কি একবারও বলছি আমি নির্দোষ?
-- তুই এতো বড় একটা কাজ করে এখনও কথা বলছিস।
-- আমি নির্দোষ দাবী করছিনা। আমি যখন জানি আমি দোষী তখন আমি কেন নিজেকে নির্দোষ দাবী করব আমি দোষী। আমি কি আপনাদের একবারও বলেছি আমি নির্দোষ? তখন আমার আবেগ কাজ করছে বিবেক কাজ করে নাই। পৃথিবীর সব থেকে বড় আদালত হচ্ছে মানুষের বিবেক। তখন যদি আমার বিবেক কাজ করত তাহলে আমি এতো বড় পাপের মধ্যে জড়িয়ে যেতাম না।
-- তোর আব্বু আসুক তারপর তোর বিচার হবে।
-- আমার ভুল হয়েছে আমাকে ক্ষমা দেন।
আম্মু রেগেমেগে চলে গেলো। আপু তো হাসতে হাসতে অবস্থা খারাপ। আপু আমাকে এক হাজার টাকা দিয়েছে। টাকা নিয়ে আমি গায়েব। পরে যা হবার হবে। বিয়ে ভেঙ্গে দেওয়ার এক হাজার টাকা তো পেয়ে গেছি। ইয়া হুউউউ।
2. ফানি স্ট্যাটাস বাংলা
হারালালঃ বুউ তাড়া তাড়ি জামা দাও জামা দাও😳
বউঃ কেন কি হয়েছে? 🙄
হারালালঃ কিছু দিন আগে একটা মেয়ে রে*প হয়ে মা'রা গেল না সেই কেসে পুলিশ আমাকে সন্দেহ করছে 😳
বউঃ ইস কি সাংঘাতিক ব্যাপার এই শোনো তুমি বেশি কথা বলবা না আর সব কথাই ইংলিশ দিয়ে বলবা তাহলে বুঝতে পারবে তুমি খুব শিক্ষিত এসব নোংরা কাজ করতেই পারো না 🤨
হারালালঃ কিন্তু আমি তো ইংরেজি পারিনা 🥹
বউঃ পাড়তে হবে না শুধু বলবা Yes, No, very good
পুলিশঃ এই বাড়িতে কে আছে? 🤨
হারালালঃ এইতো স্যার কি হয়েছে স্যার🥹
পুলিশঃ তোর নাম কি?
হালালঃ হারালাল সামন্ত স্যার
পুলিশঃ ও হারাধন সামন্ত🤨
হারালালঃ না স্যার হারালাল সামন্ত 🙂
পুলিশঃ ওই একি হলো হারাধন🙄
হারালালঃ না স্যার ওই এক না আপনি ধন কেটে লাল করুন তারপর কথা বলুন 😤
পুলিশঃ আচ্ছা আচ্ছা ধন কেটে লাল করলাম হারালাল এখন বল এর আগে একটা মেয়ে রে*প হয়ে মা'রা গেছে, তুই কি এই গ্রূপের সাথে জড়িত? 🤔
হারালালঃ Yes
বউঃ এই তুমি এগুলো কি বলো 😳😳😳
পুলিশঃ আপনি চুপ থাকুন।🤨
পুলিশঃ তোর সাথে কি আর কেউ ছিল?
হারালালঃ No
পুলিশঃ আজি তোকে ফাঁ'সি'র দড়িতে ঝো'লা'বো চল বেটা 😤
হারালালঃ Very good 👍
বউ বে/হু/স 🥴🥴🥴🥴
3. রোমান্টিক ফানি পোস্ট
---শোন আমি গর্ভবতী?
---কিইই এই কথা বিয়ের আগে বলোনাই কেনো। বাসর ঘরে এসে বলতেছো।
---তখন আমি ভয়ে ছিলাম। যদি আপনি আমার বাবা মাকে বলে দেন তাই বলিনাই।
---তুমি কি সত্যি বলতেছো নাকি আমার সঙ্গে ফাজলামি করতেছো।
---বিশ্বাস করো হাসিব সত্যি আমি প্রেগনেন্ট। কিন্তু বিশ্বাস করো আমাকে জোর করে ধর্ষন করা হয়েছে।
-নতুন বউয়ের মুখে এমন ধর্ষন কথাটি শুনেই হাসিব বেশ আশ্চর্য হয়। আর জিঙ্গেস করে।
হাসিব : আচ্ছা মায়া তোমাকে কে ধর্ষন করেছে আমি কী সেইটা জানতে পারি।
মায়া : আমার চাচাতো ভাই সবুজ?
হাসিব : এই সব তোমার পরিবারের কাউকে বলোনাই কেনো।
মায়া : আমি বলতে চেয়েছিলাম। কি ও বলেছে যদি এই সব কথা বাড়ির কাউকে বলি তাহলে আমাকে আত্মহত্যা করবে। এই ভয়ে আমি কাউকে বলিনাই!
"মায়ার কথা হাসিব বুজে যায় মেয়েটি সহজ সরল আছে এই কারনেই এই অবস্থা হয়েছে"
হাসিব : আচ্ছা তুমি কি ভাবে বুজলে তুমি প্রেগনেন্ট।
মায়া : আমি অনুভব করতে পারি। আমার সঙ্গে এমন হওয়ার ২ মাস পর থেকে কেমন জানি মনে হয়।
হাসিব : কেমন মনে হয়।
মায়া : মনে হয় আমার পেটের ভিতরে কিছু একটা আছে।
হাসিব : ওহ।
মায়া : প্লিজজ আমার বাবা মাকে বলিয়েন না।
হাসিব : তাহলে আমাকে বললে কেনো এই কথাটি।
মায়া : আপনি তো পরে জানতেই পারবেন তাই আগে বললাম।
হাসিব : ওহ?
"এর পরে হাসিব নিশ্চুপ হয়ে ভাবতে থাকে এখন কি করবে। সাদ্ধ নতুন বিয়ে করে এসে যদি জানতে পারি বউ গর্ভবতী তাহলে কার মন মানুষিকতা ভালো থাকে।
হাসিব কে এমন চিন্তিত দেখে মায়া আবার জিঙ্গেস করে।
মায়া : আপনি কি আমাকে ডিভোর্স দিবেন। প্লিজ ডিভোর্স দিয়েন না আপনার দুটি পায়ে পরি। ( কথাটি বলেই হাসিবের পায়ে ধরে বলে)
হাসিব : এইইই পা ছারো তোমাকে আমি ডিভোর্স দিবোনা।
মায়া : সত্যি।
হাসিব : হুমমম সত্যি। কিন্তু আমাকে একটি কথা দিতে হবে।
মায়া : কি কথা বলুন।
হাসিব : তুমি যে গর্ভবতী এই কথাটি যেনো আর অন্য কেউ না জানে। আমি তোমার চিকিৎসা করাবো গোপনে।
মায়া : আচ্ছা আপনাকে কথা দিলাম আর কেউ জানবে না।
হাসিব : গুড।
মায়া : আপনি অনেক ভালো একজন মানুষ। একটি ধর্ষিতা মেয়েকে এত সহজেই আপন করে নিলেন।
হাসিব : এখন যদি আমি তোমার সম্পর্কে তোমার বাসায় বলি বা আমার বাসায় বলি এতে অনেক বড় একটি ঝামেলা হয়ে যাবে। আবার মান সন্মান চলে যাবে। এতে সমাজে মুখ দেখাতে পারবে না। তাই আমার বউয়ের সমস্যা আমি সমাধান করবো এটাই স্বাভাবিক।
"হাসিবের এমন কথা শুনে মায়ার চোখে বেয়ে অঝরে পানি পরতে থাকে।
হাসিব : কান্না করিওনা। আর খারাপ মানুষ কাছ থেকে সব সময় দুরে থাকবে।
মায়া : হুমমম।
হাসিব : এই পাগলি কান্না করিওনা একটু হাসো প্লিজজ বাসর রাতে কান্না করতে নেই।
"হাসিবের এমন কথা শুনে মায়া হাসতে হাসতে ওকে জরিয়ে ধরে"
"গল্পটি কাল্পনিক! কিন্তু একজন স্বামী যদি ভালো হয় তাহলে সেই নারী এই পৃথিবীতেই একটি জান্নাত খুজে পাবে।
অনুগল্প : স্বামির_ভালোবাসা