- স্বামী স্ত্রীর ভালোবাসা
রাতে স্ত্রীর সাথে প্রচন্ড ঝগড়া শুরু হলো।ঝগড়ার এক পর্যায়ে স্ত্রী আমার গা"লে চ"ড় মে'রে বললো
" কম্বল,বালিশ নিয়ে ঘর থেকে বেড়িয়ে যাও "
ছলছল চোখে তাকিয়ে বললাম " এই ঠান্ডায় কোথায় যাবো? "
" কোথায় যাবে জানিনা।চোখের সামনে থেকে ভাগো। নইলে কিন্তু ঘু"ষি মে'রে দাঁত ফেলে দিবো শয়তান "
আর রিস্ক নিলাম না।হালকা মোটা কম্বলটা নিয়ে ঘর থেকে বেড় হলাম।বাইরে শিরশির করে বাতাস বইছে,সাথে বৃষ্টির মতো কুয়াশা।পুটুসের ঘরে গেলাম।পুটুসের বয়স ৭ বছর।বিছানার এক কোনে শুতেই পুটুসের ঘুম ভাঙ্গলো।ঘুম জরিত স্বরে বললো
" বাবা তুমি আমার সাথে শোবে?"
" হু "
" তাহলে তো খুব মজা হবে।আমায় গল্প শোনাবে বাবা? "
" অনেক রাত হইছে।ঘুমাও,কাল গল্প বলবো "
ঘন্টাখানেক পর পুটুস বিছানায় বসতে বসতে বললো " বাবা,প্যান্ট ভিজিয়ে ফেলেছি "
বিরক্তির স্বরে বললাম " তাহলে তো ভালোই হলো।গরমে গরমে ঘুম ভালো হবে।প্যান্টটা খুলে ঘুমিয়ে পড়ো "
" নেংটু হয়ে ঘুমাবো?"
" নেংটু হও আর উ"লঙ্গ হয়ে ঘুমাও,আমার যায় আসেনা।তোমাদের দুই মা ছেলের সাথে আমার কোনো সম্পর্ক নাই "
পুটুস মেঝেতে প্যান্ট ছুড়ে ফেলে শুয়ে পড়লো।প্যান্ট ছুড়ার সময় কিছুটা বিদেশি জল আমার গা"লে এসে পড়লো।গা ঘিনঘিন করে উঠলো।
মুখ ধুয়ে বারান্দায় আসতে স্ত্রী কটমট দৃষ্টিতে তাকিয়ে বললো " পুটুসের প্যান্টটা পাল্টে দিতে কি হাত ক্ষয় হয়ে যেত? ঘরে এসো "
ভয়ে ভয়ে ঘরে এলাম।লক্ষ্য করলাম স্ত্রীর চোখে জল।বিস্মিত হয়ে বললাম
" তুমি কাঁদছো? "
" আজ আমাদের বিবাহবার্ষিকী।অথচ তুমি দিব্যি ভুলে আছো! "
" আমার ঠিকই মনে ছিলো "
স্ত্রী কটমট করে তাকিয়ে বললো " এখন একদম বানিয়ে বলার চেষ্টা করবে না।আমি বোকা না "
" বিছানার চাঁদরটা তুলতেই বুঝতে পারতে আমার মনে আছে কিনা "
স্ত্রীর চোখে মুখে রহস্য খেলে গেলো।বিছানার কাছে যেতেই ওকে পেছন থেকে জ"ড়িয়ে ধরলাম।তাল সামলাতে না পেরে দু'জনই বিছানায়! ওর শরীরের উপর আমার শরীর! হাতে ভর করে বললাম
" তাহলে চলো,বিবাহবার্ষিকীর দ্বিতীয় উপহারটাকে পৃথিবীতে আনি "
গল্প উপহার
লেখক জয়ন্ত_কুমার_জয়
- ভালোবাসা নিয়ে কিছু কথা
মুরগীর রান স্বামীর প্লেটে তুলে দিয়ে শাশুড়ী বললো " মুরগীর রান ছেলেকে না দিয়ে আমায় দিছো কেন?ওর রান খুব পছন্দের "
আমি হতভম্ব হয়ে তাকালাম স্বামীর দিকে।স্বামী ইতস্তত হয়ে মাকে বললো
" মা,আমি কি এখনো ছোট আছি? একটা হলেই হলো "
মা হেসে বললো " সে কি আমি বুঝিনা? ছোট থেকেই মুরগীর রান ছাড়া তুই কোনো মাংসই নিতিস না।বুঝলে বৌমা,ছেলেটা আমার রান ভিষণ পছন্দ করে "
খাওয়া শেষে ঘুমাতে গিয়ে স্বামীকে জিগ্যেস করলাম " তুমি রান পছন্দ করো! তাহলে এতোদিন কেন বলতে রান তোমার পছন্দ না? "
স্বামী ভ্যাবাচ্যাকা খেয়ে বললো " আরেহ বাদ দাও না "
" না দিবো না।আগে বলো কেন এমন বলেছিলে?আমি রান পছন্দ করি সেজন্য? "
স্বামী প্রতিত্তোরে শুধু হাসলো।সঙ্গে সঙ্গে আমার কান্না পেয়ে গেলো।আমি রান পছন্দ করি জন্য লোকটা সবসময় রান আমার প্লেটে তুলে দিতো আর বলতো রান ওনার পছন্দ না।
কি আশ্চর্য্য! এতো ছোটখাটো বিষয় গুলোতেও লোকটার দায়িত্ববোধ এতো প্রখর?
জড়িয়ে ধরে বললাম " কেন এতো যত্ন করো? "
" ভালোবাসি যে "
" ভালোবাসলে সেক্রিফাইজ করতে হয় বুঝি?আগে বাবা একই কাজ করতো,নিজে না খেয়ে আমায় দিতো।আমার জন্য কেনো তোমরা সবাই সেক্রিফাইজ করো?"
" এটাকে সেক্রিফাইজ বলে না "
" তাহলে কি বলে? "
" তুমি এখনো ছোট।বড় হও,বুঝবা "
" বিয়ের ১৬ বছর হয়ে গেলো।এখনো আমি ছোট আছি? "
" আমার কাছে তুমি সেই ছোট্ট মেয়েটিই রয়ে গেছো।তাই তো এতো যত্ন করি "
" আর তুমি আমার কাছে এখনো সেই রহস্যময় পুরুষ, যাকে বুঝতে গেলে এ জীবন কম পড়ে যাবে "
গল্প দায়িত্ব
লেখক জয়ন্ত_কুমার_জয়
- ভালোবাসার কষ্টের স্ট্যাটাস
ছেলের বিয়েতে মায়ের মন ভারাক্রান্ত।ছেলেটা হাতছাড়া হয়ে গেলো।এখন বউ যা বলবে ছেলে তাই করবে।
বিয়ের আগেরদিন ছেলে বললো " মা তোমার কি মন খারাপ?ইদানীং দেখছি তুমি কথা বলা বন্ধ করে দিয়েছো "
" কিছুদিন পর তো মুখ বন্ধ করেই থাকতে হবে।বিয়ে দিলে ছেলে আর ছেলে থাকে না।পর হয়ে যায়,তখন বউ আপন হয়ে যায় "
" মা তুমি এসব কি বলছো?প্রেরণা এতোটা খারাপ মেয়ে না যে আমার মাকে অত্যাচার করবে।তার থেকে ছেলেকে কেড়ে নিবে "
" ওসব আমার জানা আছে "
মায়ের কথায় ছেলের বু"ক তীর বিদ্ধ হয়ে গেলো।ভারাক্রান্ত মন নিয়ে পরেরদিন বিয়ে সম্পন্ন হলো।এদিকে মায়ের মনে নতুন বৌমাকে নিয়ে বিষের কলসি পূর্ণ হতে লাগলো।যাই হয়ে যাক,বৌমার সাথে নরম ব্যবহার করা যাবে না।মাথায় চড়ে বসবে।
পরেরদিন নববধূর কোমল স্বর ভেসে এলো -
" মা, ও মা।তুমি কি ঘুম থেকে উঠছো?চুলায় চা দিয়েছি।তাড়াতাড়ি উঠো "
নববধূর মুখে এমন মধুর সুরে মা ডাক শুনে মায়ের মন ভালোবাসায়,আবেগে ভরে উঠলো।আনন্দে চোখ ছলছল করে উঠলো।
বিয়ের দুমাস কে'টে গেলো।রোজ সকালে বৌমা রুটি বেলে দেয়,শাশুড়ী রুটি ভাজে।সে এখন আর বৌমা নেই,ছেলের মতো মেয়েটাও এখন নিজের মেয়ে হয়ে গেছে।
ব্যবহার
জয়ন্ত_কুমার_জয়
- রোমান্টিক ভালোবাসার গল্প
আত্নীয়ার বাড়িতে রুপবতী এক তরুণীকে দেখে মনের সাগরে উথাল-পাতাল ঢেউ শুরু হলো।সানগ্লাসটা পড়ে ভাব নিলাম।
মেয়েটা একটু পর পর তাকাচ্ছে,মুচকি হাসছে।মনের ঢেউ আরো বাড়তে লাগলো।সুযোগ বুঝে মেয়েটার কাছাকাছি দাঁড়ালাম।মেয়েটা হাসতে হাসতে বললো
" ঘরের ভেতর সানগ্লাস পড়ে আছেন!হাউ ফানি "
লজ্জায় পড়ে গেলাম।দ্বিতীয়বার সেই তরুণীর দিকে আর তাকানোর সাহস পেলাম না।
গল্প লজ্জা
জয়ন্ত_কুমার_জয়
- দূর থেকে ভালোবাসার স্ট্যাটাস
প্রচন্ড মাথা ব্যথা করছে।ছাত্রীদের দিকে তাকিয়ে বললাম
" কারো কাছে মাথা ব্যথার টেবলেট আছে? "
একটা মেয়ে উঠে দাঁড়ালো।বললাম " নিয়ে এসো "
দুইহাতে মাথা চেপে ধরে চেয়ারে বসে আছি।মেয়েটা আসলো।মৃদু স্বরে বললো
" স্যার,এইযে ট্যাবলেট "
ট্যাবলেটটা নেওয়ার সময় ছাত্রীর চোখে চোখ পড়লো।মাথা ব্যথা মুহুর্তেই শেষ।মনের ব্যথা শুরু হয়ে গেলো।ছাত্রীকে ভিষন বলতে ইচ্ছে করলো
" এই মেয়ে,মনের ব্যথা ঠিক করতে পারো? "
আফসোস! বলতে পারলাম না।
গল্প একপলক
লেখক জয়ন্ত_কুমার_জয়
- ভালোবাসা কাকে বলে
গত কয়েকমাস থেকে অরুণীর স্বামী টাকা কম পাঠাচ্ছে।অরুণীর মনে হাজারো কুচিন্তা।লোকটা কি বদলে গেলো?
দৈনন্দিন খরচ,বাচ্চার টিউশনির টাকা দিতে গিয়ে রীতিমতো হিমশিম খেতে হচ্ছে।অরুণী কল করলো
" বেতনের বাকি টাকা কি করো?এতো কম টাকা দিয়ে সংসার চলে? "
" বাড়তি খরচ যাচ্ছে কয়েকমাস ধরে।একটু সামলে নাও "
" কিভাবে সামলাবো? কি এমন বাড়তি খরচ তোমার? মেয়ের চক্করে পড়েছো নাকি? "
" আরেহ,কি বলো এসব।ফোন রাখি, পরে কথা বলবো "
অরুণী রীতিমতো হতভম্ব! লোকটা উপেক্ষা করা শুরু করেছে।সত্যিই কি অন্য মেয়ের চক্করে পড়েছে নাকি?
দুইমাস পর নতুন প্রাইভেট কার নিয়ে স্বামীর আগমন।অরুণী হতভম্ব! স্বামীর মুখে তৃপ্তির হাসি,বললো
" তোমার ২৫ তম জন্মদিনের উপহার "
অরুণীর চোখে জল।পুরুষ মানুষের মন বোঝা সহজ নয়।
উপহার
জয়ন্ত_কুমার_জয়