পরকিয়া গল্প | অবহেলার কষ্টের গল্প ২০২৪

 পরকিয়া স্ট্যাটাস

পরকিয়া স্ট্যাটাস

রিয়া চল না আজ যাই, আমার বাসা পুরো ফাঁকা কেউ নাই,

-দেখ নাইম, তুই ফ্রেন্ড তাই তোকে একবার চান্স দিছি আর না,

--আবার যাই না, চল অনেক মজা দিবো,

--রাফি যদি জানতে পারে তাহলে শেষ করে ফেলবে আমাকে,

--এত ভয় পাস কেনো,একটা bf গেলে আরো ১০টা bf পাবি,তুই কি কম সুন্দরী,

--তা ঠিক বলছিস,কিন্তু ও ভালো একটা ছেলে বোকাসোকা, যা বলি তাই করে,                     

    

এমন আর পাবো না,

--আচ্ছা চল তো জানতে পারবে না,আজ ওয়ান টাইম খেয়ে শুরু করব,

-- ওয়াও আচ্ছা চল তাহলে,,,,

রিয়া চলল তার জাস্ট ফ্রেন্ড নাইমের সাথে রুমডেট করতে,

রাফি রিয়া কে অনেক ভালবাসে, আর বিশ্বাসও করে,

রিয়া আর নাইম ক্লাসমেট আর রাফি

এক ইয়ারের সিনিয়র,

রাফি রিয়া কে ফোন দিলো,

রিয়া; হ্যালো রাফি বলো

রাফি; তুই কই?

রিয়া; আমি তো মাত্র ক্যাম্পাস থেকে বাসায় আসলাম,

রাফি; তা আমাকে ফোন দিবা না,

রিয়াঃ ফোন তো দিয়েছিলাম,তোমার ফোন অফ ছিলো,,

রাফি; ক্লাসে ছিলাম,,,,

কথা শেষ হওয়ার আগেই রিয়া ফোন টা কেটে দেয়,

রাফি কিছু মনে করে না,

কিছুক্ষণ পর রিয়ার বান্ধুবি লিমা এসে

জিজ্ঞেস করে রাফি ভাইয়া রিয়া কে দেখছেন,

রাফি; ও তো বাসায় চলে গেছে,

লিমা; কি বাসায় চলে গেছে,কিন্ত রিয়ার বাবা আমাকে ফোন করে বলল,রিয়ার ফোন অফ বাসায় যায়নি,

তখন রাফির টনক নড়ে,

রাফি তখন রিয়া কে ফোন দেয়,কিন্তু অফ,

রাফি লিমা কে জিজ্ঞেস করে নাইম কে দেখছো,

লিমা; না ভাইয়া ওকেও তো দেখছি না,

তখন রাফির মনে সন্দেহ জাগ্রত হলো,

রাফির এক ফ্রেন্ড এসে বলল,

কি মামা তোমার পাখি কে দেখলাম নাইমের সাথে, ব্রেকাপ হয়ছে নাকি,

রাফি; কই দেখছোস,

--নাইমের বাসার দিকে যেতে দেখলাম,

রাফি; চল মামা তাহলে,

--আরে কই যামু,

রাফি বাইক Start দিয়ে বলল রাতুল বস,

রাতুল হচ্ছে রাফির ফ্রেন্ড,

রাতুল; কই যামু বলবি তো,

রাফি; নাইমের বাসায়,

রাতুল ; কেনো, রিয়া গেছে বলে,তুই কি রিয়া কে সন্দেহ করিস,

রাফি; আগে করতাম না একটু আগে থেকে করি,

রাতুল; কি ভাবে,

রাফি; রিয়া রে ফোন দিলাম ও বলল বাসায়,তুই বললি নাইমের বাসার দিকে যাচ্ছে,

রাতুল ; তাহলে মামা চল যাই,

কিছুক্ষনের মধ্যে নাইমের বাসার সামনে হাজির হল,

কিন্ত রাফি বাসার ভিতরে যেতে ভয় পাচ্ছে,যেয়ে কি বলব ও তো কোন কাজেও আসতে পারে কোন বই নিতে,

রাতুল; সালা তুই কথা আগে ভেবে বলতে পারলি না,

রাফি; আরে তখন তো মাথায় সন্দেহ ছিলো,চল চলে যাই,

রাতুল; দোস্ত খুব ক্ষুধা পাইছে,চল ভিতরে যাই,

রাফি; সালা এক লাথি খাবি,খাবি হোটেলে চল বাসার ভিতর কি করবি,,,

রাতুল; দেখ আমার কাছে টাকা নাই,আমরা নাইমের বড় ভাই, বাসায় গেলে না খেয়ে আসতেই দিবে না,

আর তোর সন্দেহ দূর হবে,

রাফি; যখন বলবে কেনো আসছেন তখন কি বলবি,

রাতুল; বলব বলব,আমরা একটা ফুটবল টুর্নামেন্ট,,,,,,,,,,,.

রাফি; মামা বুঝতে পারছি এবার চল আর বলতে হবে না,

দরজায় কলিং বেলে চাপ দেয় রাতুল কিন্ত কেউ দরজা খোলে না,

রাফি দরজা ধাক্কা দিতেই খোলে যায়, তার মানে দরজা খোলাই ছিলো,

এমন সময় নাইম এসে হাজির অর্ধ উলঙ্গ অবস্থায় শুধু একটা জাঙ্গিয়া পড়া,

তখন রাফির মাথায় আবার রিয়ার কথা চলে আসে,

রাতুল; নাইম তোমার এই অবস্থা কেনো,

নাইম ভয়ে চুপসে গেছে,চোকে মুখে বিষন্নতা,

নাইম আমতা আমতা করে বলল, ভাভাভাভাইয়া গোগোসল করছিলাম তো,

রাতুল; বাসায় কেউ নাই,

নাইম; না ভাইয়ায়ায়া,নানানু বাড়ি গেছে,

রাতুল; তুমি এমন করছো কেনো,

রাফির মনে এখন এক অজানা ভয় কাজ করছে,আর মন চাইছে ভিতরে যেতে,

কিন্ত ছোট ভাই নাইমের যে অবস্থা যাই কি করে,কিন্ত রাফির মন মানছে না,

কিন্ত রাফি এদিক সেদিক তাকাচ্ছে,হঠাৎ ফ্লোরে চোখ যায়,

আর যা দেখে রাফির চোখ কপালে উঠে যায়,

রাফি; নাইম আমাকে এক গ্লাস পানি খাওয়াতে পারবা,

নাইম; আসলে ভাইয়া পানি নেই, সাপ্লাই পানি তো,

রাতুল; দূর মিয়া তুমি না একটু আগে বললা গোসল করতে ছিলা,

রাফির মন তখন বলে ও মিথ্যা কেনো বলছে,

রাফির মন আর মানছে না তাই রাফি নাইম কে ঠেলে ভিতরে ঢুকে,

রাফি; নাইম কে বলে তোর রুম কোন টা,

রাতুল রাফি কে বলে বেশি বেশি হয়ে যাচ্ছে না,

কারন সোফার উপর রিয়ার ফোন টা দেখে বিশ্বাস হয়ে গেছে,

রাফি তখন নাইম কে একটা থাপ্পড় দেয় আর ধমক দিয়ে জিজ্ঞেস করে,

রিয়া আসছে কিনা,

নাইম ভয়ে বলে দেয়,

রাফি উপরে যায় রুমের দরজা খোলতেই যা চোখে পড়ে,

নিজের প্রিয় মানুষ টা কে এই ভাবে দেখতে হবে তা কখনো ভাবে নি,

রাফি দেখে রিয়া উ ল ঙ্গ অবস্থায় বসে আছে,,,

ওদের মধ্যে কিছু একটা হয়ছে তা রুমের অবস্থা দেখেই বুঝা যাচ্ছে,

রিয়া ভয় পেয়ে যায় আর আমতা আমতা করে বলে,,,,,,,,,


চলবে...!!!


গল্প; জাস্ট ফ্রেন্ড 

পর্ব-০১


গল্প জাস্ট ফ্রেন্ড 

পর্ব ২


রিয়া উ ল ঙ্গ অবস্থায় রাফি কে আমতা আমতা করে বলল তুমি যা ভাবছো তা কিছুই না,আমি জামা চেন্স করছিলাম,

রাফি তখন রেগে গিয়ে প্যান্টের বেল্ট

খোলার চেস্টা করলে,

তাই দেখে রিয়া এগিয়ে আসে আর বলে।

আগে বলবা তো তুমি,,,,,,,, চাও,

তোমরা ছেলেরা চোখের সামনে

মধু দেখলে আর না খেয়ে থাকতে পারো না,আচ্ছা আসো,

এতে রাফির আরো রাগ হয়,

তখন বেল্ট খোলে এলোপাতাড়ি মারতে

শুরু করে রাফি,

মারতে মা রতে এক টা সময় রিয়া অজ্ঞান হয়ে যায়,

সারা শরীর লাল হয়ে গেছে,

রাতুল এসে দেখে রিয়া অজ্ঞান হয়ে পড়ে আছে,

আর গায়ের উপর বিছানার চাদর দেওয়া,

রাতুল; রাফি তুই কি করেছিস রিয়াকে,

এমন পড়ে আছে কেনো,

রাতুল বুঝতে পারলো রিয়ার গায়ে কোন কাপড় নেই তাই, রাতুল তার বড় বোন কে ফোন দিলো,আর নাইমের বাসায় আসতে বলল,

রাতুল ব্যাপার টা কাউ জানাতে চায় না,

আর ঐ দিকে নাইম কে শক্ত করে বেঁধে রাখছে,

রাতুল আবার রাফি কে জিজ্ঞেস করলো,তুই কি করেছিস রিয়া কে,

কিন্ত রাফি চুপ করে বসে আছে,

রাফি কোন দিন ভাবতে পারে নাই রিয়া এমন একটা কাজ করবে,আর তাকে এই ভাবে মারবে,

সবার মত রাফিও স্বপ্ন ছিলো,রিয়া হবে রাফির লক্ষি একটা বউ ছোট্ট একটা সংসার হবে,,,

তা হয়তো নিমিষেই শেষ হয়ে গেলো,

রাফি চি

রাফি চুপ করে বসে আছে,কিচ্ছু বলছে,

কিছুক্ষনের মধ্যেই রাতুলের আপু এসে হাজির হল,    

আপু; রাতুল কি হয়েছে আমাকে এখানে আসতি বললি কেনো,

রাতুল; আপু রাফি তো একটা অঘটন ঘটিয়ে ফেলছে,

আপু ; কি করছে রাফি,

রাতুল তখন সব বলল,

রাতুলের বোন রুমে গিয়ে দেখলো,

রাফি বসে আছে আর একটা মেয়ে ফ্লোরে পরে আছে,

রাতুল রাফি কে ধরে তুলে বাহিরে নিয়ে গেলো,

আর রিয়া কে কাপড় পড়িয়ে,

রাতুল কে ডেকে বলল এই ভাবে কেউ কাউ কে মারে,মেয়েটা কে হাসপাতালে না নিলে বিপদ হতে পারে

রাতুল; কিন্ত আপু ব্যাপার টা যে জানাজানি হয়ে যাবে,

আপু; হাসপাতালে না নিলে কিছু একটা হয়ে যেতে পাড়ে,

কোন উপায় না পেয়ে হাসপাতালে নিয়ে যায়,আর রাতুল কিছু ফ্রেন্ড কে ফোন দেয় কিছু নাইম কে নিয়ে যাওয়ার জন্য,

রাতুল আর রাফি খুব ভালো বন্ধু রাতুলের বোন খুব ভাল ভাবে চিনে নিজের ছোট ভাইয়ের মতই দেখে,

রিয়া কে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হল,

আল্লাহর রহমতে বেঁচে যায় রিয়া,

আর তা না হলে রাফি খুব ভালো ভাবে ফেঁসে যেতো,

এদিকে রিয়ার বাসায় অলরেডি জানাজানি হয়ে গেছে,

আর রিয়ার ব্যাপার এলাকা+ক্যাম্পাস পুরো তোলপাড় ,,,

রাফি ৫দিন হল বাসা ছাড়া বাসায় যেতে পারছে না,রাফির বড় ভাই বাবার জন্য,বাসায় গেলেই কিছু একটা হতে পারে তার ভয়ে যায়নি, রাতুলের বাসায় থাকে,

রাফির বাবা দুপুরের খাবার খাচ্ছিলেন, এমন সময় কলিং বেল টা বেজে উঠে,

রাফির মা দরজা টা খোলে দেয়,

রাতুলের মা দরজা খোলে দেখলেন একজন ভদ্রলোক আর সাথে একটি মেয়ে,

--আপনারা কে চিনতে পারলাম না তো,

--এইটা রাফিদের বাসা কি ,

--জ্বী হে,কিন্ত আপনারা কে?

--আমি রিয়ার বাবা, আর ও রিয়া,

এমন সময় রাফির বাবা এগিয়ে এসে

কে আসছে,

রিয়ার বাবা, তখন বলল আপনি মনে আজমল সাহেব,

--জ্বী আমি আজমল, কিন্ত আপনি কে?

--আমি আঃরহমান, আপনার ছেলে রাফি কি করছে জানেন তো,

আপনার ছেলের জন্য আজ আমরা কোথাও মুখ দেখাতে পারছি না,

রাফির বাবা তখন রেগে বলল,যার কুকর্ম করেছে তার বাসায় যান এখানে আসছেন কেনো,

রহমান সাহেব ; দেখেন সব কিছু মুলে হচ্ছে আপনার ছেলে,আপনার ছেলে কে বলেন,আমার মেয়ে কে বিয়ে করতে,

আজমল সাহেব ঃঃআমার ছেলে কেনো একটা চরিত্রহীন মেয়ে কে বিয়ে

করতে যাবে,আমার ছেলে কে কেটে নদীতে ভাসিয়ে দিবো তাও এই মেয়ে কে বিয়ে করাবো না,

রহমান সাহেব; বিয়ে না করলে আমি আইনের আশ্রয় নিবো,ধ র্ষ ণের মামলা দিবো,

আর এই যে রেখে গেলাম আমার মেয়ে কে আপনারা কি করবেন জানি না,

আর রিয়া কে বলে গেলো তুই এই বাড়ি থেকে বের হবি না,তোর যায়গা আমার বাড়িতে নেই,আর যদি তুই আমার বাসায় আসিস তোর মরণ নিশ্চিত, পরে এদের ফাঁসাবো,

রিয়ার বাবা রাফির বাসায় রিয়া কে রেখে গেলো,


রাফির বাবা খুব চিন্তায় পড়ে গেলো,কি করবে এখন,অন্যের পাপের ফসল তার ছেলে কেনো নিবে,

রাতে মহল্লার চেয়ারম্যান আসলো আর থানা থেকে রিয়ার বাবা একজন পুলিশ কর্মকর্তা নিয়ে আসলেন,পারিবারিক ভাবে মিটিয়ে দিতে,

রাফি আসলো,

পারিবারিক মিটিং শুরু হল,

রাফির বাবার এক কথা সে এই মেয়ে ঘরে তুলবে না,

এর জন্য ছেলের জেল হয় ফাঁসি হয় হবে,তার এক কথা,

রিয়ার বাবাও হাল ছেড়ে দিলেন,

রিয়ার বাবা শেষ পর্যন্ত রাফির বাবার পায়ে পর্যন্ত ধরলেন,আর বললেন ভাই আমার মেয়ে টা কে মেনে নেন,নাহলে ও বাঁচবে না,

তখন রিয়া তখন সবার মাঝখান থেকে দাঁড়িয়ে বলল,আমাকে বিয়ে করতে হবে না,আমি শুধু রাফির সাথে ১০টা মিনিট কথা বলতে চাই আলাদা,

রাফি বাবা তখন বললেন না,

তখন চেয়ারম্যান বলল,আজমল সাহেব কথাই তো বলবে বলুক,

অনুমতি দেওয়া হল,দুজন এক টা রুমে গেলো,

২০মিনিট পর বের হয়ে,

রাফি সবাই কে বলল,আমি রিয়া কে বিয়ে করতে রাজি,আমি বিয়ে করতে চাই,,,,,,,,

,

বে শ্যা একটা মেয়ে কে বিয়ে করবি রাফি কথা আজমল সাহেব খুব রেগে বললেন,

রাফি তখন তার বাবা কে বললেন বাবা ও খারাপ মেয়ে না,

--তুই ভালো খারাপের কি বুঝিস,যে মেয়ে নিজের ইচ্ছায় অন্য ছেলের শুয়ে বেড়ায় তুই তাকে বিয়ে করবি,

--দেখো বাবা আমার যা বলার বলে দিয়েছি,

রাফির মা এগিয়ে এসে বলল,রাফি এমন কোন ভুল করিস নাই যেটার মাশুল তোকে দিতে হবে,

দেখ আমরা তোর বাবা মা,তোর ভাল চাই খারাপ না,তোকে কি এমন বলল,

তুই রাজি হয়ে গেলি,

এই বিয়ে আমি মেনে নিবো না,

রাতুল তখন রাফি কে বুঝানোর জন্য,

ব্যালকনিতে নিয়ে গেলো,

আর

রাতুল; রাফি তুই কি পাগল হয়ে গেছিস,এই মেয়ে কে তুই বিয়ে করবি,

রাফি; দেখ রাতুল, বিয়ে করলে রিয়া কেই করব,

রাতুল রেগে গিয়ে বলল,ঐ মাগী তোকে কি এমন বলল তুই রাজি হয়ে গেলি,

রাফি এক মুহুর্ত লেট করলো না রাতুলের গালে থাপ্পড় দিতে,

রাতুল অবাক হয়ে তাকিয়ে রইলো, রাফির দিকে,একি আমার বন্ধু রাফি,

রাতুল রেগে চলে গেলো,

আর রাফির বাবা মা কে বলে গেলো,

আন্টি আপনার ছেলে আর আপনার কন্ট্রোলে নেই,

যা চায় তাই করুন,

তখন আজমল সাহেব, তার ছেলে কে অপশন দিলেন,যদি এই মেয়ে কে বিয়ে করিস, তাহলে এই বাড়িতে থাকতে পারবি না,

আমাদের ভুলে যেতে হবে চিরদিনের জন্য,

রাফির মা রাফি কে বুঝায় কিন্ত বুঝে না,

সবার কাছে অবাক লাগলো,একটা রুমের ভিতর নিয়ে কি এমন বলল,যার

রাফি বিয়ে করার জন্য রাজি হয়ে গেলো,

রাফি কারো কথা না শুনে সবার সামনে রিয়ার হাত বাড়ি থেকে বের হয়ে যায় রিয়া,


রাফির বাবা মা কান্নায় ভেঙে পড়ে,

আর এদিকে নাইম নিখোঁজ কিন্ত রাতুল জানে নাইম কই,

সোজা নাইমের কাছে যায় রাতুল নিজের রাগ ঝারতে,সাথে কিছু বন্ধু নিয়ে,

যার জন্য এই ঝামেলার জন্ম,

আজ নাইম কে শাস্তি দেওয়ার পালা,

তাই নাইম কে শক্ত করে বাঁধা হল,

তারপর নাইম কে অর্ধ উ ল ঙ্গ করা হল,

রাতুল; সে  ক্স করতে খুব ভাল লাগে তাই না,এরকম করে কত মেয়ের জীবন নস্ট করছিস,

নাইম কান্নার সুরে ভাই আমাকে ছেড়ে দেন,আমি আর জীবনে এই সব করব না,

রাতুল ; না ছোট ভাই শাস্তি তোমাকে পেতে হবে,

১বন্ধু বলল কি করব অকে, কি করা যায় বল,

আরেক জন বলল,আগে জা ঙ্গি য়া টা খোলে পুরো লেংটা কর,

আরেকজন টান মে রে পুরো টা খোলে ফেলল,

রাতুল; খুব দাঁড়ায় তাই না,আজকের পর থেকে আর যাতে না দাঁড়াতে না সেই ব্যবস্থা করছি,১বার দাঁড়াতে গেলে ১০০বার চিন্তা করবে,

এই মুখ টা ভাল করে বাঁধ যাতে চিল্লাতে না পারে,

আর দেখ কোথাই বিষাক্ত পিঁপড়া আছে,আর ওর

 পুরু ষা  ঙ্গ মিস্টি কিছু লাগা,তার পর খেলা হবে,

নাইম চিৎকার করে কান্না করতে চাইলে পারে না,

সব রেডি করা হল,                    

    

তারপর পিঁপড়া ছেড়ে দেওয়া হল,

তারপর যে কথা সেই কাজ শুরু হয়ে গেলো,

পিঁপড়ার প্রতি টা কামড়ে বুঝে গেছে,কি যন্ত্রনা,এক সময় মুখ দিয়ে লালা ঝরতে থাকে আর অজ্ঞান হয়ে যায়,

এক বন্ধু আজ যে শাস্তি হয়ছে,ও কোন দিন কোন মেয়ের দিকে তাকানোর সাহস পাবে,দেখ না আমারই চোখে পানি চলে আসছে,

রাতুল;বাদ দে এই সব আমার মতে ঠিক আছে,জ্ঞান ফিরলে ছেড়ে দিবি,

আমি যাই কাজ আছে,,,

ঐ দিকে রাফি আর রিয়ার বিয়ে হয়,,

রাফি বিয়ে করে রিয়াদের বাড়ি থেকে যায়,

মানে যাকে আমরা বলি ঘরজামাই,

ভালই চল ছিলো,,,,

দুই বছর পর,,,,,,,

রাফি ছোট্ট একটা চাকরি নেয় আর ওদের একটা মেয়ে হয় নাম,

সিদরাতুল মুনতাহা,ডাক নাম মুনতাহা,

মেয়ে আর ছোট্ট সংসার খুব ভালো ভাবে যাচ্ছে,

একদিন,,,,,,

দিন টা ছিলো রাফি আর রিয়ার বিবাহবার্ষিকী,

সকালে ঘুম ভাঙতেই দেখে রিয়া নেই,

রান্না ঘরে যায় দেখে রান্না করছে,

রিয়া; আজ এত সকাল সকাল ঘুম ভাঙলো যে,

রাফি; খুব ব্যস্ত মনে হচ্ছে,

রিয়া; দেখছো না রান্না করছি,কিছু বলবা,

রাফি; হুম

রিয়া; বলো,,

রাফি ; আসলে লাগবে না কথা বলতে বলতে রিয়া কে পিছন থেকে জড়িয়ে ধরে,

রিয়া; কি করছো,দেখছো না রান্না করছি,

রাফি; একটু আদর করি না,এমন করো কেনো,

রিয়া; পরে তুমি এখন যাও মুনতাহা কাঁদবে,

কিন্ত রাফি ধরেই আছে ছাড়ছে না,

রিয়া গরম খুন্তি হাতে নিয়ে, তুমি ছাড়বা নাকি গরম খুন্তির ছ্যাকা খাবা,

রাফি; দূর নিজের বউ কে আদর করব তাও পারি না,

রিয়া; পাগল একটা,

রাফি নাস্তা করে অফিসে চলে গেলো,যাওয়ার আগে রিয়া কে বলল,আজ তোমার জন্য সারপ্রাইজ আছে,,,,, বলে চলে গেলো,

সেদিন বিবাহবার্ষি ছিলো তাই অফিস থেকে ছুটি নিয়ে একটা গোলাপ আর কেক নিয়ে তারাতাড়ি বাসায় ফিরে,

কলিং বেল দিতে যাবে দরজা খোলা,

মুনতাহা ফ্লোরে বসে কাঁদছে,

হাতের জিনিসপত্র রেখে কোলে নেয় মুনতাহা কে,তারপর রিয়া কে ডাকতে থাকে,

রিয়া তখন দৌড়ে আসে বেডরুম থেকে,

তার পিছে একজন অজানা লোক আসে,যাকে রাফি কোন দিন দেখিনি,

রাফি জিজ্ঞেস করে উনি, রিয়া বলে আমার কাজিন,

কিন্ত রাফি চিনে না,

আর দুজন কে অন্য রকম মনে হচ্ছে,আতংকিত মনে হচ্ছে,,

রাফির মনে সন্দেহের চাকা আবার ঘুরা শুরু হয়ে গেলো,আর লোকটি কোন কথা না বলে তারাতাড়ি চলে গেলো,

রাফির মনে আরও সন্দেহ চেপে বসলো,

মনে মনে ভাবছে রিয়া কি তাহলে পরকিয়া করছে,,,,,,,,,,,


আর একটু পিছনে নিতে যাই সেই দিন রুমে ডেকে কি এমন বলেছিলো,

সেই দিন রিয়া রাফির পায়ে পড়ে কেঁদেছিল, আর বলেছিলো আমি যা ভুল করেছি তা ক্ষমার যোগ্য না,

ভুল তো মানুষই করে, প্লিজ তুমি আমাকে বিয়ে কর,না হলে আমার বাবা আমি আমার পরিবার এই সমাজে বাঁচতে পারব না,তুমি যা বলবা যা করতে বলবা, যে ভাবে চলতে বলবা চলব।

৫ ওয়াক্ত নামাজ পরবো,

আমি কোন দিন তোমার অবাধ্য হবো না,

ধরে আমি একজন পতিতা আমি তোমার হাত ধরে ভালো হতে চাই,

তুমি কি সে সুযোগ দিবে না,

আজ যদি তুমি না বলো,

কাল থেকে আমি সত্যি পতিতা হয়ে যাবো,যখন তুমি কারো থেকে শুনবে আমি পতিতা তোমার কেমন লাগবে,

রাফি আমি ভাল হতে চাই,

সেদিনের কান্নায় রাফি নিজেকে ধরে রাখতে পারি নাই,

প্রিয়জন যত ভুল করুক যদি একবার এসে বলে আমার ভুল হয়ে গেছে মাফ করে দেও আর হবে না,

রাফির মনটা নরম হয়ে যায়,আর বিয়ে করে,

এই তো ছিলো রুমের ঘটনা,

(চলবে)রিয়া তাহলে পরকিয়া করছে,, রাফির তা মনে প্রানে বিশ্বাস হয়ে গেলো কারন কয়লা ধুইলে কোন দিন ময়লা যায় না,

রাফির মনে একটাই চিন্তা এ আমি কি করলাম,

কিন্ত রিয়া কে এখন কিছুই বলা যাবে না,

এতদিন তাহলে দুধ কলা দিয়ে কাল সাপ পুষেছি,

এর চাই তে যদি পতিতালয় থেকে একটা পতিতা নিয়ে আসতাম হয়তো সে ভাল হয়ে যেতো,

কিন্ত কপাল খারাপ হলে যা হয় এদিকে একটা মেয়েও হয়ে গেছে,

রাফি খুব চিন্তিত হয়ে পড়ে, কি কএবে ভেবে পাচ্ছে না,

জীবন নামের হিসেবের গড়মিল নিয়ে সংসার করে যাচ্ছে,

রিয়ার ব্যবহার, বাবুর প্রতি কেয়ার নেই,

ঝগড়াঝাটি লেগেই থাকে,

২দিন পর,,,,,,

কলিং বেল টা বেজেই চলেছে,

রিয়া দরজা খোলতেই দেখে,,,

নয়ন (রিয়ার প্রেমিক)  

রিয়া; ও জানু তুমি এত লেট করলে কেনো আসতে,আমি সেই কখন থেকে ওয়েট করছি,

নয়ন; সো সরি জান,তোমার স্বামী চলে গেছে,

রিয়া; ও তো সেই কখন বের হয়ে গেছে,

নয়ন ; এভাবে আর কত দিন, কবে জানি ধরা পরে যাই,

রিয়া; ধরা পড়বে না,আচ্ছা প্রটেকশন আনছো,,,

নয়ন হেসে ঐ টা ছাড়া কি আর কাজ

হবে,

রিয়া; চল তাহলে আমার তর সইছে না,

৩০মিনিট পর,,

নয়ন ; তোমার থেকে যে মজা পাই তা, আমার বউ কখনো দিতে পারে না,

রিয়া; তোমার বউ কি আর আমার মিত , যে দিবে,

নয়ন; তুমি এক কাজ কর, তুমি তোমার স্বামী কে ডিভোর্স দিয়ে দেও,এভাবে লুকিয়ে ভালো লাগে না,

রিয়া; ডিভোর্স দিতে পারব না বাবার জন্য,

নয়ন; তাহলে কি করবা,

রিয়া; অন্য কিছু করতে হবে আমাকে,

নয়ন ; কি করবা তুমি?

রিয়া; দুনিয়া থেকে সরিয়ে দিবো,

নয়ন ; কি বলছো, কোন ঝামেলা হবে না তো,

রিয়া; কে ঝামেলা করবে,এই শহরে ওর কেউ নাই,

ঐ দিকে সারাদিন পর রাফি অফিস শেষ করে বাসায় ফিরার পথে বাসার সামনেই একটা ফার্মেসিতে গেলো প্রটেকশন কিনতে,

রাফি; ভাই একটা প্রটেকশন দেন তো,

দোকানদার; আরে রাফি ভাই যে কেমন আছেন,

রাফি; এই তো ভাই ভালই আছি,আপনি কেমন আছেন,

দোকানদার; ভালো,ভাই একটা কথা বলতে চাই, যদি কিছু না মনে করেন,

রাফি; বলেন ভাই,

দোকানদার;ভাই একটা ছেলে কে দেখলাম সকাল ১১টার দিকে প্রটেকশন নিয়ে আপনার বাসার দিকে যেতে,

কথা টা শুনে রাফি হাসি খুশি মুখখানা কালো মেঘে ডেকে গেলো,

তাই দেখে দোকানদার বলল, ভাই মনে হয় দোতালায় গিয়েছিলো,

রাফি মুখ থেকে একটু হাসি বের করে হবে হয়তো,

রাফি মন মরা ভাব নিয়ে বাসায় প্রবেশ করলো,

রিয়া হাসি মুখে জিজ্ঞেস করলো, কি ব্যাপার মন খারাপ

কেনো,,

রাফি; কিছু হয়নি,

রিয়া; এসে এভাবে বসে পড়লে যে,জুতা ড্রেস চেন্স করবা না,

রাফি; হুম যাও পানি নিয়ে আসো,

রাফি মনে মনে আমি কি ভুল বুঝতাছি

না তো রিয়া তো ভাল হয়ে গেছে,

একটুপর আসলো পানি আর মুনতাহা

কে নিয়ে,

রিয়া; এই তোমার মেয়ে কে নেও তো

বাবা বাবা করে পাগল হয়ে যাচ্ছে,

মুনতাহার মুখের দিকে তাকালে সব দুঃখ কস্ট ভুলে যাই,

কিন্ত রাফি রিয়া কে জিজ্ঞেস কিরে,।

রিয়া আজ নাকি তোমার বন্ধু এসে ছিলো,

রিয়া; হুম এসে ছিলো একজন কিন্ত বন্ধু নাই কাজিন,(হাসিমুখে)

রাফি মনে মনে কি ব্যাপার ও তো লুকানো না,

মিথ্যা বললে তো ভয় কাজ করতো,মুখ টা কালো হয়ে যেতো, জিজ্ঞেস করতো তুমি কি করে জানলে,

তা হলে আমি যা ভাবছি তা কি ভুল,

কিন্ত দোকানদার যে বলল, কেউ একজন এসে ছিলো,

তাহলে কি মিথ্যা বলল,

রাফি মুনতাহা কে কোলে নিয়ে এই সব ভাবছে,সব কিছু কেমন জানি লাগছে,

পরেরদিন রাফি অফিসে কাজ করছিলো,

এমন সময় ফোন টা বেজে উঠলো,

ফোনের দিকে তাকিয়ে রাফি অবাক হয়ে যায়,২বছর পর প্রিয় বন্ধু রাতুলের ফোন,

ফোন টা রিসিভ করে,

রাফি; কেমন আছিস রাতুল?

রাতুল; ভালো, তুই কেমন আছিস,

রাফি; ভালো,এত দিন পর কি মনে করে,

রাতুল; তুই তো খোঁজ নিবি না,তাই আমি নিলাম,

রাফি; কি করিস এখন কই তুই,

রাতুল; একটু টাংগাইল আসছিলাম,এখন আমি ভিক্টোরিয়া রোডে আছি বাড়ি চলে যাবো,

রাফি; তুই কই বললি?..

রাতুল; ভিক্টোরিয়া রোডে আছি,


রাফি; ওখান থেকে আমার বাসায় যেতে ৫মিনিট লাগবে, আমি ঠিকানা বলছি তুই যা আমি আসছি,

রাতুল; যাওয়ার ইচ্ছে নাই,

রাফি; রাতুল আমরা ভুল করছি ,

কিন্ত আমার মেয়ে টা কে দেখে যাবি না,ও তো কোন ভুল করেনি,

রাতুল এখন আর না করতে পারলো না, কি তোর মেয়ে আছে,,,,

রাফি; হুম

রাতুল; ঠিকানা বল,

ঠিকানা নিয়ে যায় বাসায় রাতুল কিন্ত বাসায় যেয়ে যা দেখে তা বলার মত না,

রাফি এসে দেখে রাতুল বাহিরে দাঁড়িয়ে আছে,

রাফি; কি রে বাসার ভিতরে যাস নি,

রাতুল; ভালই তো বেশ্যা খানা খোলেছিস দেখি,

ভালো ইনকাম হচ্ছে তো,

রাফি; কি বলছিস এই সব (রেগে)

রাতুল ; ভাগ্যিস আন্টি কে বাহিরে বসিয়ে রেখে গিয়ে ছিলাম,

না গলে কি লজ্জায় পড়ে যেতেতাম,

রাফি; মা আসছে?আর তুই এই সব কি বলিস,

রাতুল; ও আমরা তো মিথ্যা কথা বলি তাহলে ঐ বে শ্যা মা গী কে জিজ্ঞেস কর,,,ভিতরে গিয়ে দেখ,,,,

বিঃদ্রঃ অন্য রকম ভাষা ব্যবহার করা হয়েছে সবাই ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন।


ঐ বে শ্যা টা কে গিয়ে জিজ্ঞেস কর,কার সাথে শুয়ে ছিলো,

আসছিলাম তোর মেয়ে টা কে দেখতে,

কিন্ত এসে যে তোর বউয়ের এই সব দেখতে হবে ভাবতে পারেনি,

রাফি অসহায়ের মত শুধু কথা গুলো শুনছেন,

কিছু বলতে পারছেনা,

রাফি; রাতুল মা কোথায় মা কে নিয়ে আয়,

রাতুল; আন্টি কে ঐ পতিতালয়ে নতুন য়ে যেতে চাই না,উনি ৫ ওয়াক্ত নামাজ পড়েন,

রাফি; রাতুল কি বলছিস এই সব ভাই,

রাতুল ; হুম ঠিক বলছি,আন্টি জানে না তোর সাথে দেখা করতে আসছি,ভাবছিলাম বলব কিন্ত তা আর বলা হবে না,,,,

রাফি; ভিতরে চল?

রাতুল; না,তোর মেয়ে কে নিয়ে দেখে চলে যাবো,

রাফি খুব রাগ নিয়ে ভাসার ভিতরে গেলো,

রিয়া রান্না করছিলো আর মুনতাহা কাঁদছিলো,

রিয়া; কাঁদে না মা,তোমার বাবা চলে আসবে,কেঁদো না মা আমার অনেক কাজ আছে,

রাফি মুনতাহা কে কোলে নিতে গেলে,

রিয়া বলল,আরে তুমি আজ এখনি চলে আসলে যে,

কি বলবে রিয়া কে রাফির মনে হচ্ছে সব তো ঠিক ভাবে চলছে,

রিয়ার সামনে এসে কিছুই বলতে পারে না,                        

    

রাফি; আমি একটু আসছি তুমি রান্না শেষ করো,

রিয়া; আচ্ছা

মুনতাহা কে রাতুলের কাছে নিয়ে গেলো,

রাতুল দেখে অবাক এত সুন্দর একটা বাচ্চা আল্লাহ এই হারামিদের ঘরে দিসে,

মনে মনে,

রাতুল; নাম কি রে?

রাফি; সিদরাতুল মুনতাহা.

রাতুল; বাহ খুব সুন্দর নাম,

আমি আন্টি কে দেখিয়ে নিয়ে আসি,তোর আসতে হবে না,রাফি মন খারাপ করে দাঁড়িয়ে রইলো,

রাতুল মায়ের কাছে নিয়ে গেলো,

রাতুল; আন্টি আন্টি দেখেন কাকে নিয়ে আসছি,

আন্টি ; এই রাতুল, তুই বাচ্চা কই পাইলি,কার বাচ্ছা,

রাতুল; আন্টি আমার বন্ধুর বাচ্ছা,

আন্টি; খুব সুন্দর আমার কোলে দে,কি সুন্দর বাবু,

মা তার গলা থেকে স্বর্নের চেইন টা খোলে মুনতাহার গলায় পড়িয়ে দিলেন,।

রাতুল মাকে বললেন,আন্টি এটা কি করলেন আপনার স্বর্নের চেইন টা দিয়ে দিলেন,

আন্টি; এত সুন্দর মিস্টি একটা বাচ্চা না দিয়ে পারি,

রাতুল ; আন্টি আমি একটা ভুল করে ফেলছি,

--কি করছিস,

--আসলে এটা এটা আমাদের,

--কি বল,

--আসলে এটা আমাদের রাফির মেয়ে,

--কোন রা,,,,,বলে থেমে গেলেন,আর বাচ্ছাটার দিকে একবার তাকালেন আর বুকে একটু জরিয়ে নিলেন,

কিন্ত আন্টি রেগে যার বাচ্ছা তার কাছে দিয়ে আয় যা,

--কিন্ত আন্টি?

--যা বলছি তাই কর,

রাতুল মনে মনে আন্টি আপনি বাহিরে যত রাগ দেখান আমি ভিতরের আনন্দ টা দেখে ফেলেছি,আপনি যে দেখে খুশি হয়ছেন বুঝেছি,

এই বাচ্চার টানে একদিন আসবেন,

একটু পর;;;

রাতুল এই নি তোর মেয়ে,আন্টি দেখে খুশি হয়ছে,

--বলছিস ও আমার মেয়ে,

--না,(মিথ্যা বলল রাতুল)

আর রাতুল বলে গেলো,পারলে এই পতিতা কে ছাড়,

বলে চলে গেলো রাতুল,,

রাফি বাবু কে নিয়ে বাসায় গেলো,,

আর রিয়া কে বলল,

রাতুল আসছিলো বাসায়,,

--তোমার ঐ বন্ধু রাতুল।

--হুম,

--কই না তো,কিন্ত কেনো জিজ্ঞেস করছো,

--না, এমনি ও আসার কথা ছিলো তো,

--ওহ,,,,

রাফির খুব ইচ্ছে হল বাসায় কি হয় জানতে এই সব সত্যি নাকি মিথ্যা,

তাই একটি পেন ক্যামেরা কিনে আনে

আর রুমের এমন জায়গায় বসায়,

যে খান থেকে সব দেখা যায়।

সব সেট করে পরেরদিন অফিসে চলে গেলো,

আর যাওয়ার আগে বলে গেলো,

আজ অফিস থেকে ফিরতে অনেক রাত হবে,

বলে চলে গেলো,

ঐ দিকে রাফির মা বাসায় গিয়ে সবাই কে ডেকে বলল,রাফির একটা মিস্টি মেয়ে হয়েছে

সবার কাছে অনেক প্রশংসা করলো,

তখন রাফির ভাবি তার শাশুড়ী কে জিজ্ঞেস করলো,মা আপনার স্বর্নের চেইন টা কই,

--বউমা আমি ওটা রাফির মেয়ে কে দিয়ে আসছি,

রাফির বাবা তখন রেগে বলল তুমি ঐ কুলাঙ্গারটাকে দেখতে গিয়ে ছিলে।

--আমি তো রাফির সাথে দেখাও করি নাই,কথাও বলি নাই,রাতুল নিয়ে আসছিলো ওর মেয়ে কে,

কি মিস্টি মেয়ে,

--হয়েছে তোমাকে আর সাফাই গাইতে হবে না,

রাত ১১টায়,,,,

রাফি বাসায় আসে,

এসেই সেই পেন ক্যামেরা থেকে মেমোরি কার্ড খোলে ফোনে উঠায়,

আর যা দেখে তা দেখার জন্য মোটেও

প্রস্তুত ছিলো না,

পাশে ঘুমিয়ে থাকা মেয়ে টা কে কোলে নেয় চুমু খায়,

কিন্ত যা দেখছে তা রিয়া কে কিছু বলে না,


কিছুক্ষন পর রিয়া এসে বলে তোমার মেয়ে কিচ্ছু খায়নি,

তুমি ওকে ডেকে তুলো আমি দুধ গরম করে আনছি,

রিয়ার কথা মত মুনতাহা কে ডেকে তোলে, রিয়া দুধ গরম করে নিয়ে আসে,

আর বলে তুমি একটু খাওয়াও কস্ট করে আমার হাতে কাজ আছে

আর খাওয়ানোর আগে

তুমি একটু খেয়ে টেস্ট করে দেখো গরম আছে কিনা,

যেই কথা সেই কাজ,

একটু পর রিয়া এসে দেখে জনে ঘুমিয়ে আছে,

রাফি কে ডাকলো রিয়া কিন্তু কোন সারা নেই,

তারপর রিয়া ফোন টা বের করলো,

আর নয়ন কে কল দিয়ে বলল,,

খেলা শেষ বাবা মেয়ে দুজনই দুনিয়া থেকে বিদায়,,,,,,,,,,,,,?


গল্প- জাস্ট ফ্রেন্ড 

পর্ব-৩শেষ 

,

রিয়া তার ২বছরের মেয়েকেও বিষ খাইয়ে মে রে ফেলল,সাথে তার স্বামী রাফি কেউ,

রিয়ার বিন্দু মাত্র কোন দুঃখ হচ্ছে কারন সে প্রতিশোধ নিতে পেরেছে,

যার জন্য তার বাবাকে ছোট হতে হয় সমাজের কাছে,নিজেকে শুনতে হয় প তি তা বে শ্যা কত রকমের বাহারি নাম,

প্রতিশোধ এমন একটা নেশা যা আজ দুজন নিষ্পাপ এর জীবন কেরে নিলো,

রাফি আর ছোট মুনতাহার মৃত বডি পরে আছে বিছানায়,

ফোন দিলো, আবার নয়ন কে বলল তুমি কখন আসছো,

নয়ন বলে তুমি কি সত্যি তোমার মেয়ে আর স্বামী কে মে রে ফেলেছো নাকি

আমার সাথে মজা নিচ্ছো,

রিয়া; সত্যি বলছি আমি বাবা মেয়ে কে মেরে ফেলেছি,এখন বলো তুমি কখন আসছো,আর কখন পালাবো,

নয়ন; আর ইউ ম্যাট,তুমি একটা সাইকো,কেউ ২বছরের মেয়ে কে মে রে ফেলে,স্বামী কে মে রে ফেলে

রিয়া; আরে পাগল সব তো তোমার জন্য?

নয়ন; তোর মত মেয়ে আমার দরকার নেই,

রিয়া; নয়ন তুমি এই সব কি বলছো, এমন টা বলো না প্লিজ,

তাহলে আমার কি হবে,

নয়ন; আজ তুই আমার জন্য তোর স্বামী কে মে রে ফেলেছিস,নিষ্পাপ একটা মেয়ে কে মেরে ফেলেছিস,কাল অন্য কারো জন্য আমাকে মেরে ফেলতে পারিস,

তার চেয়ে বাই ভালো থাক,বাই,

নয়ন শেষ পর্যন্ত রিয়ার সাথে বেইমানি করলো,ঠিকি তো নয়ন ছিলো মধুর পাগল, মধু খাওয়ার জন্য যা বলতে হয় তাই বলছে,

রিয়া এখন একুল ওকুল দুই কুল হারালো,

কি করবে ভেবে পাচ্ছে না।

এরকম ভাবতে ভাবতে ঘুমের দেশে হারিয়ে যায় রিয়া,                         

    

কিন্ত সেই ঘুম ছিলো রিয়ার কাল ঘুম,কারন ঘুম থেকে উঠার পর যখন মুনতাহার লাশ টা দেখে তখন থেকে

রিয়া মানুষিক ভারসাম্য হারায়,

বের হয়ে যায় বাসা থেকে আর ঘুরতে থাকে রাস্তায় রাস্তায়,

যে ছিলো একসময় ৮ -১০টা ছেলের ক্রাশ,সে আজ রাস্তার কুকুরের সাথে ঘুমায়,খাবার খায়,

যে যৌবনের জ্বালায় অন্যের খাট কাপাতো সে আজ কোথায়,,,

আল্লাহ আমাদের এই সব কাজ থেকে হেফাজত করুন,

গল্প এখনো শেষ হয়নি,

নয়ন একদিন একটি আবাসিক হোটেলে যায় কলগার্লের খোঁজে আর একটি দালালের সাথে কথা বলে,

নয়ন দালালকে বলল,

--আপনার কাছে কেমন মাল আছে বলবেন(নয়ন)

--আরে ভাই আপনি বলেন আপনার কোন ধরনের মাল লাগবে,সব আইটেম আছে,

--আচ্ছা এমন কোন মাল আছে,যেটা শুধু আমার সাথেই হবে,

--আছে কাল একটা নতুন মাল জয়েন্ট হয়ছে,কিন্ত কমিশন বেশি লাগবে,

--কমিশন নিয়ে চিন্তা করবেন না।

সব পেয়ে যাবেন,

--তাহলে কবে লাগবে,আপনার বাসার এড্রেস আর ফোন নাম্বার দিয়ে যান।

মাল সময় মত পৌছে যাবে,

যেই কথা সেই কাজ, নয়ন একটি বাসা

ভাড়া করে এই সব কাজের জন্য,

আর সেই বাসার ঠিকানা দিয়ে দেয়,

যে বাসার কথা ঠিকানা নয়নের বউ

নাদিয়া জানে না,

১দিন পর,,,,

দালাল ফোন করে বলে স্যার মাগী টা কে কিন্ত পাঠিয়ে দিয়েছি,আপনি বাসায় থাইকেন,

কিছুক্ষন পর,,,

দরজায় ঠকঠক আওয়াজ হয়, ক

নয়ন খোলে দেখে একটা বোরখা পড়া

মহিলা,

নয়ন জিজ্ঞেস করে আপনাকে কি

দালাল নটবর দাস পাঠিয়েছে,

মেয়েটি মাথা নেরে হ্যাঁ বলে,

নয়ন মেয়েটিকে ভিতরে নিয়ে যায়,

আর নয়ন এক এক করে নিজের

শার্ট-প্যান্ট সব খোলে ফেলে, কিন্তু মেয়ে

টি দাঁড়িয়ে আছে বোরখা খোলছে না,

নয়ন তখন বলল, কি ব্যাপার দাঁড়িয়ে রইলে কেনো,সব খোলে ফেলো আয়ার আর তর সইছে না,

মেয়েটি তখন বলল,আমার একটা শর্ত আছে,

নয়ন হেসে বলল তুই একটা মাগী তোর আবার শর্ত আছে,

--আমি মা গী বলে কি আমি কোন মানুষ না,

--তুই আবার মানুষ, তাহলে আমরা কি?

মেয়েটি তখন রেখে বলে,, তুই যদি নিজেকে মানুষ বলে দাবি করিস তাহলে সাধারণ নিজেদের কে ফেরেস্তা দাবি করবে,তোরা মানুষ রুপি জানোয়ার, কুত্তা,তোদের মত মানুষের জন্য আমরা আজ বে শ্যা,মা গী,

নয়ন; এই শালী বেশি কথা বলবি না,টাকা দিয়ে তোকে ভাড়া করে আনছি ঐ টাকা কি তোর,,,,,,,,,,,,, ভাড়ায় চলে,

মেয়েটি বলল,তুই ইচ্ছে কর কিন্তু আমি মুখ খোলব না,

নয়ন; না তা তো হবে না,


মেয়েটি বলল, হলে বল না চললাম,

নয়ন চাপে পড়ে রাজি হয়ে যায় কারন,

সে অন্য মোডে আছে,মানে হট।

তাই রাজি হয়ে যায়,

তারপর তাদের মধ্যে শা রী রি ক সম্পর্ক হয়,

কিছুক্ষন পর,,,,,

শা রী রি ক সম্পর্ক শেষ হওয়ার পর

নয়ন বলে আজ তোর থেকে অনেক মজা পাইছি,এই তোর টাকা আর ১০০০টাকা বেশি দিলাম খুশি হয়ে কিন্তু

মুখটা দেখাতি আরও বেশি মজা পাইতাম, নেক্সট টাইম যদি দেখাস পেমেন্ট বেশি পাবি,

মেয়েটির চোখ দিয়ে তখন অঝরে পানি পড়তে থাকে,কাঁদতে কাঁদতে তখন বলে আমার মুখ দেখবি,

নয়ন; দেখাবি,

--হুম কিন্ত ঠিক থাকতে পারবি,

--হেসে দিয়ে নয়ন বলে কেনো না,তুই দেখা,

--ওকে, বলে মেয়েটি মুখ থেকে ওড়না সরাতে নয়ন লাফ দিয়ে পিছনে ফ্লোরে পড়ে যায়,একি তুতুতুমি এখানে,,,,,

সবাই ক্ষমা করবেন কিছু খারাপ ভাষা ইউস করার জন্য,আর এখন আগের মত সারা পাচ্ছি না,

আপনাদের থেকে সারা না পেলে এই গল্প এখানেই স্টপ করে দিবো

,

প তি তা ভেবে যার সাথে এতক্ষন সে  ক্স করলো নয়ন,কিন্ত সে হচ্ছে নয়নের স্ত্রী নাদিয়া,যার কারনে নাদিয়া মুখ দেখাইনি,

নাদিয়া; কি অবাক হচ্ছো?

নয়ন; না মানে তুমি এই কাজ করো,

নাদিয়া; তুমি করতে পারলে আমি পারব না কেনো,

নয়ন; আমি ছেলে মানুষ আমি যা ইচ্ছা তাই করতে পারি কিন্ত তুমি পারো না,যা ইচ্ছে তাই,

নাদিয়া; আমি মেয়ে বলে কি মানুষ না, আমাকে কি রোবট মনে হয়,

নয়ন; তাই বলে তুমি যা ইচ্ছে তাই করে বেড়াবে,

নাদিয়া;তো কি করব, তুমি আমাকে কত টুকু টাইম দেও হে,সব সময় বাসার বাহিরে থাকো আর এই সব করে বেড়াও,

নয়ন তখন মাথা নিচু করে থাকে কোন জবাব নেই,

তখন নাদিয়া ব্যাগ কাধে নিয়ে বের হতে চাইলে,

নয়ন জিজ্ঞেস করে, কোথাই যাও,

নাদিয়া; আমার আরেকটা ক্লায়েন্ট আছে,

নয়ন তখন পথ আগলে দাঁড়ায় আর বলে তুমি কোথাও যেতে পারবে না,

নাদিয়া;সম্ভব না,তুমি তোমার কাজ করো আমি আমার কাজ করছি,

নয়ন; প্লিজ তুমি এই কাজ করো না,

নাদিয়া; এখন বলে লাভ নাই আমাকে যেতে হবে,

নয়ন; প্লিজ নাদিয়া যেয়েও না,

নাদিয়া চোখের পানি ছেড়ে আমাকে কোন দিন বুঝতে চেয়েছো,ভালো করে কোন দিন একটু কথা বলেছো,

বাধ্য হয়ে আমি এই পথে এসেছি,

আমি যাই,

নয়ন তখন দরজা আগলে দাঁড়ায় আর বলে আমি তোমাকে যেতে দিবো না,

প্লিজ আমাকে ক্ষমা করে দেও,প্লিজ আমি তোমার পায়ে পড়ি,আমি ভালো হয়ে যাবো প্লিজ যেয়ো না,                      

    

নয়ন তখন নিজের ভুল টা বুঝতে পারে,

তখন নাদিয়া বলে মনে থাকবে তো,।

বলে নাদিয়া কান্না মাখা মুখ টা নয়নের বুকে লুকিয়ে ফেলে,

তখন নয়ন বলে তুমি আর এই সব করবে না,

নাদিয়া আরে পাগল আমার এই দেহ মন প্রান শুধু তোমার জন্য এই গুলো শুধু তোমার, আমি কিছুদিন ধরে ফলো করছিলাম আর জানিতে পারি তুমি এই খানে তাই আসি আর হয়ে যায় এই সব,,

note: যদি আপনি পর কি য়ায় লিপ্ত হন তাহলে কোন একদিন হলেও জানতে পারবেন আপনার স্ত্রী/স্বামী করছে, শুধু পর কি য়া না অনেক অসৎ খারাপ কাজ আছে,

গল্প কিন্ত শেষ হয়নি,,,

রাফির বাড়িতে একদিন বাড়ির সবাই বসে কথা বলছিলেন,

ঐদিন রাতুলও ছিলো,

রাত ১১টা বাজে,হঠাৎ কলিং বেল টা বেজে উঠে,

রাফির বাবা বলে এত রাতে আবার কে এলো রাজু দেখ তো,

রাতুল বলে ভাইয়া তুমি বসো আমি দেখছি,

দরজা টা খোলেই, রাফি তুই এত রাতে এখানে,আঙ্কেল বাসায় আছে দেখলে প্রব্লেম হবে,

রাফি; তার চেয়ে আমি অনেক বড় সমস্যায় আছি,

রাফি মা রাতুল কে জিজ্ঞেস করে কে আসছে রাতুল,

রাতুল তখন রাফির মা কে ডাকে,

আন্টি একটু আসবেন,

রাফির মা; এত রাতে কে এসেছে রাতুল,

রাতুল ; আপনি এসে দেখে যান,

এসে দেখে তার ছেলে রাফি কোলে তার ছোট্ট মেয়ে মুনতাহা,

সবাই রাগ করে থাকলে মা কিন্তু কোন দিন রাগ করে থাকতে পারে না, রাফির মা এক দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে অনেক দিন পর রাফি কে দেখছে তার মা,

আর ছেলে কে দেখে চোখ থেকে মনের অজান্তেই জল গড়িয়ে পড়ছে,

এত রাতে এখানে দেখে জিজ্ঞেস করে রাফি কে কি হয়ছে তুই এত রাতে এখানে,ভিতরে আয়,

রাফি কিছু বলে না চুপ করে আছে,

রাফির মা কয়েকবার জিজ্ঞেস করে কিন্তু কোন উত্তর দেয় না শুধু চোখ দিয়ে পানি পড়ছে ওঝরে,

রাফির চুপ করা থাকা দেখে রাতুল ধমক

আর বলে এই কথা বলছিস না কেন,

ধমক শুনে রাফির বাবা এগিয়ে আসে,

এসে দেখে রাফি দাঁড়িয়ে আছে একটা বাচ্ছা কোলে নিয়ে,

রাফির বাবা রাগ দেখিয়ে বললেন, রাতুল এই কুলাঙ্গার টা এখানে কি করছে,

তখন রাফি কথা বলে বাবা আমি,,,,,

রাফির বাবা,ঃ আমি তোর বাবা না,বাবা বলবি না আমাকে আমার একটি মাত্র ছেলে সে হচ্ছে রাজু,

রাফি; মা আমি এখানে থাকতে আসি নাই,

আমি শুধু আমার মেয়ে টা কে রেখে যেতে চাই কিছুদিনের জন্য,,,,

রাফির বাবা; এটা কোন আশ্রয় কেন্দ্র না আর এই,,,,,

তখন রাফির মা তার স্বামী কে থামিয়ে দিয়ে বলে রাফির মেয়ে এখানেই থাকবে,দেখি কে কি বলে,যদি কোন ভুল করে থাকে তাহলে আমাদের ছেলে আর ঐ মেয়ে করছে এই ছোট্ট বাচ্চা তো কোন ভুল করে নাই,বলে মুনতাহা কে কোলে নেয়,

রাফি লেট করে না।রাফি চলে যাবে রাতুল ফিরিয়ে বলে

আচ্ছা কি হয়ছে,তুই তোর মেয়েকে রেখে যাচ্ছিস,আর ওর মা কই,


রাফি; সে সব বলতে চাই না,আমাকে যেতে হবে,আমি যাই এখন বলে চলে যায় রাফি,

আর বের হয় রিয়ার খোঁজে,

এখন একটু পিছনে চলে যাই যে রাফির আর মেয়ে তো মারা গেছে তো বাঁচলো কি ভাবে,

আমি বলছি ঐ রাফি প্যান ক্যামেরায়

রিয়ার প্ল্যান সব দেখে ফেলে, আর নয়নের সাথে সেক্স করা,মারার প্ল্যান , আর বিষ টা কোথায় রাখে তাও দেখে, আর সেই বিষের শিশিটা পাল্টে দেয় আর একটু ঘুমের ট্যাবলেট দিয়ে দেয় যার কারনে মুনতাহা

ঘুমিয়ে থাকে,আর রাফি ভ্যান করে থাকে,

এই তো কাহিনি,

এখন আবার মূল গল্পে ফিরে যাই,

রাফি রিয়া কে খোঁজতে থাকে কারন মেয়ে টা কে তো বাঁচাতে হবে,

মায়ের আদর তো আর অন্যে কোথাও পাবে না,ভুল করছে রিয়া যা কোন মা করে না,।

খোঁজতে থাকে রাফি এভাবে এক মাস পার হয়ে যায়,একদিন অফিস থেকে ফিরার পথে দেখে কিছু কু কু র একটা

,

গল্পের নায়কের নাম চেন্স করলাম,রাফি থেকে মাহমুদ,

একদিন রাতে অফিস শেষ করে বাসায় ফিরছিলো রাত তখন ৯টা বাজে,

হঠাৎ চোখ গেলো রাস্তার পাশে কিছু কুকুর

কিছু একটা ছিড়ে খাচ্ছে কিছু আবার মানুষের মত হচ্ছে তাই দেখার জন্য এগিয়ে যায়,

আবার আরেকটু এগিয়ে যায়,গিয়ে দেখে

একটা মেয়ের লাশ মুখ টা দেখা যাচ্ছে না,

তখন একটা লাঠি হাতে নিয়ে কুকুর গুলো

কে তাড়ানোর চেস্টা করে,

আর তখনি মুখখানি স্পষ্ট দেখা যাচ্ছে

এত রিয়া,

মাহমুদ দেখে শুধু একটু চমকে যায়,কিন্তু রিয়ার জন্য একটুও মন খারাপ হচ্ছে না,

এই কদিনে তা বুঝতে পেরেছে তাই খোঁজা ছেড়ে দিছে,

মাহমুদ সেখান থেকে মুচকি হাসি দিয়ে চলে আসে আর কুকুর গুলো আবার লাশ টা কে ছিড়ে ছিড়ে খেতে থাকে,

আর মানুষজন তাকিয়ে তাকিয়ে দেখছে,

কিন্ত কেউ কিছু বলছে না,

এটাই আল্লাহর শাস্তি,

আর মাহমুদ এটাও জানতে পারে রিয়া কি ভাবে মারা যায়,তা হল মহল্লার কিছু পোলাপান ইটপাটকেল মেরে মেরে রিতা কে মেরে ফেলে,

কারন একটা বাচ্চা চুরি করতে যেয়ে ধরা খায়,

মাহমুদ বাসায় ঢুকতে যাবে এমন সময় মাহমুদের মা ফোন দেয়,

--Hello মা বলো,

--তোর বাবা বাড়িতে আসতে বলছে,

--মা কাল আমার অফিস আছে?

--অফিস ছেড়ে দে,আর বাড়ি চলে আয়,

--বাবা তো আমাকে দেখতেই পারে না,

---আরে পাগল ছেলে তোর বাবাই বলে আসতে বলছে,সব গুছিয়ে চলে আয়,

---তাহলে আমি কাল সকালেই চলে আসবো,

--হুম তাই আয় আর আমরা সব জানি,

---মা মুনতাহা কেমন আছে,

---ও তো অনেক ভালো আছে,তোর বাবা তো এখন তোর মেয়ে কে ছাড়া কিছু বুঝে না,

তখন মাহমুদ দীর্ঘ নিশ্বাস ফেলে বাঁচা গেলো,

মেয়ের সত্যি ম্যাজিক আছে,

দেখলেই মায়ায় পড়ে যায়,

২বছর পর,,,,,,

আজ মাহমুদের বিয়ে বাবা মা মাহমুদের বাবা মা বিয়ে ঠিক করছে আর মুনতাহার তো বেশ পছন্দ মাইশা কে,

মাইশা হচ্ছে মুনতাহার কিন্ডারগার্টেন স্কুলের ম্যাডাম,

বাসার সামনেই স্কুল তাই মা নিয়ে যায়,

শুধু অভ্যাস করার জন্য নিয়ে যায়,

বিয়ে টা আমি করতে চাইনি,

বাবা মায়ের ইচ্ছে যদি না শুনি এবার হয়তো আমার কপালে খারাপ কিছু আছে,

আর মুনতাহা যা চায় আমিও তাই,

এখন আমি বিয়ে বাড়ি মানে মাইশাদের বাড়ি,

আমি বর সেজে বসে আছি,আমার মেয়ে মুনতাহা এসে বলল বাবা বাবা জানো আমার মিস আজ অনেক সেজেছে তার নাকি আজ বিয়ে,

আচ্ছা বাবা আমারও কি বিয়ে হবে,

পাশে বসা ছিলো ভাবি এই মেয়ে ও মিস না, ও তোমার নতুন মা,

মুনতাহা ; তুমি তো আমার বড় মা, উনি নতুন মা,

ভাবি; হুম নতুন মা,আচ্ছা মুনতাহা তোমার নতুন মা কেমন,

মুনতাহা ; নতুন মা পঁচা,

ভাবি অবাক হয়ে কেনো পচা কেনো,     

    

মুনতাহা ; দেখো না নতুন মা একাই সেজে বসে আছে আমাকে তো সাজিয়ে দিচ্ছে না,

ভাবিঃ চুপ দুস্টু মেয়ে,চল আমরা নতুন মায়ের কাছে যাই,

মাইশা খুবই নম্র ভদ্র রুপে গুনে কম না,

আমার চাইতে ভাল ছেলের সাথে বিয়ে হতে পারতো কিন্ত তা কোন দিন হবে না,

কারন মাইশা ১বছর ধর্ষণের শিকার হয় যার বিয়ে আসছিলো না,

যাক সে কথা, বিয়ে করে নিয়ে আসলাম মাইশা কে,

বাসর ঘরে বসে আছে মাইশা মুনতাহা মাইশার কোলেই ঘুমিয়ে পড়েছে,

আমি বাসর ঘরে প্রবেশ করলাম,

মাইশা উঠবে আমি বললাম উঠতে হবে না আপনি বসেন,

মাহমুদ ; আচ্ছা আপনার কোন সমস্যা হচ্ছে না তো,

মাইশা; না না,কোন সমস্যা হচ্ছে না,

মাহমুদ ; আচ্ছা মুনতাহা কে নিজের মেয়ের মত দেখে রাখতে পারবেন,

মাইশা; আপনি এই সব কি বলেন, ও তো এখন আমার মেয়ে,মুনতাহার কপালে একটা কিস দিয়ে বলল,আমি অকে সারাজীবন আমার কাছে রেখে দিবো,কি মিস্টি একটা মেয়ে,

মাহমুদ ; মুনতাহা ঘুমাচ্ছে লাইট টা অফ করে দেই,

মাইশা লজ্জা সেটা আপনার ইচ্ছে, বাকি টা ইতিহাস,

তারা সুখে শান্তিতে বসবাস করতে লাগলো,


সমাপ্ত---


পর্বের আরও গল্প পড়ুন।