রোমান্টিক গল্প
গার্লফ্রেন্ড এর বিয়ে খেতে এসেছি.
কিন্তু মজার ব্যাপার হলো সাথে আম্মুর হাতের রান্না করা খাবার নিয়ে এসেছি..
গার্লফ্রেন্ড দাওয়াত দেওয়ার সময় বড়াই করে বলেছিলো..
.
শহরের সবচেয়ে বড় আর দামী বাবুর্চি কে আনা হবে..এসে খেয়ে যেয়ো..
কিন্তু সে কল্পনাও করতে পারেনি যে আমি সত্যি চলে আসবো...
.
যাই হোক..
আমি এসে বসে আছি..
সাথে তরকারির বাটি.
আসলে তরকারি বললে ভুল হবে..এতে গরু গোসত ভোনা আছে আর নিচের তাকে মুরগির রোস্ট আছে.
.
পুরো ১০০০টাকা খরচ করতে হয়েছে..গোসত কিনতে.
আর আম্মুকে বললে রেধে দিবেই..
এদিকে আমার জন্য বাসার সবাই একবেলা স্পেশাল খাবার পেয়ে গেলো..
আমার কুত্তা বোনটা তো সেই হাসছিলো..
আমি আসছি গার্লফ্রেন্ড এর বিয়ে খেতে আর সেদিকে আমার বোন হাসছে??
.
ইচ্ছে করছিলো ওর মাথা বারি মেরে ভেংগে দিতে..কিন্ত কিছু করতে পারলাম নাহ..
কারণ ওর আগে আরেকজনের মাথা ফাটাতে হবে..
.
এদিকে আমি গোসত বাড়িয়ে এনেছি..কারণ জানি অনেক জন কে বিলাতে হবে.
.
যাই হোক..বর চলে এসেছে..
এখন খাওয়ার কাহিনি শুরু হইছে..
প্রথমে পোলাও সার্ফ করা হচ্ছে..
সবার প্লেটে পোলাও দিয়ে প্রথমে যখন মুরগির রোস্ট দিচ্ছে আমি তখন আমার বাটি থেকে মুরগির রোস্ট বের করে খাচ্ছি..
.
এদিকে আমার গার্লফ্রেন্ড এর ছোট বোনকে দেখি...
আমি ওকে..ডাক দেই
.
.
আরে আয়ান ভাইয়া??আপনি এই বাটিতে করে কি আনছেন??
>তুমি খাইছো দুপুরে??
>না তো..
>এই নাও..এখান থেকে একটু খাও দেখি..
>আরে ভাইয়া না..
>আরে খাও..
>আচ্ছা..
.
সে একটু মুখে দিয়েই..বাটি ধরে টান দেয়..
>আরে আমার বাটি দাও.
.
সে কোন মতেই বাটি দিবে নাহ..
.
আমি তার পিছনে পিছনে যাচ্ছি..
সে তার আম্মুর পিছনে গিয়ে. বসেছে..
.
আন্টি আপনার মেয়ে আমার বাটি নিয়ে আসছে..ওকে বাটি দিতে হবে..
.
না দিবো নাহ..
>আন্টি দিতে বলেন নাহলে কিন্তু আমি পুলিশে কেস করবো..
.
>কি??কিসের এমন বাটি যার জন্য তুমি পুলিশে কেস করবা??
>অনেক মুল্যবান..এই শহরের সেরা..আসলে এই বিশ্বের সবচেয়ে দামি রাধুনির রান্না ওই বাটিতে..
>কে উনি??
>আমার মা..
>কি?? তুমি বিয়ে বাড়িতে তোমার মায়ের হাতের রান্না নিয়ে আসছো??
>হুম.
>পাগল নাকি?
>এই দিকে সারা বিয়ে বাড়ি ছড়িয়ে গেছে যে এখানে খাবার নিয়ে মারামারি শুরু করছে..
তাই তারাও ভাবছে কি এমন স্বাদের রান্না যা নিয়ে এতো মারামারি লাগছে..
.
একজন আমার রেখে আসা গরু গোসতের বাটি নিয়ে একটু খেয়ে সে তো চেচিয়ে উঠে..
আহ কি স্বাদ..
.
সাথে সাথে আরো কয়েক জন এসে তা নিয়ে কারাকারি শুরু করে দেয়..
.
এই আমায় দে..আমি খাবো..
>আরে না আমি খাবো আমায় দে..
>এই আমারে চিনোশ??আমি জন ড্যা ডন এর ফ্যান..আমাকে দে..
>ওই আমায় না দিলে কিন্তু আমি বিয়েই বাদ করে দিবো..
.
এবং লাস্ট এ ফেলে দেয়...মানে কারাকারি তে পরে যায়..
.
.
আমি যেনো এই সুযোগটাই খুজছিলাম..
.
এখন আমি বলে উঠি..
.
আমার খাবার নষ্ট করার অপরাধে আমি পুলিশে দিবো সবাইকে..
.
আমি পুলিশের নাম্বার টিপতেই জান্নাত(আমার এক্স) এর বাবা চলে আসে..
.
আরে এ কি করতেছো তুমি??
>আমার খাবার ফেরত চাই আমি..
>না মানে বাবা এটা তো সম্ভব না..
>না সম্ভব করতে হবে..
>না মানে কিভাবে করবো??
>আমার মায়ের কাছে জান..তাকে আবার রান্না করতে বলেন..আর আমাকে এনে দেন. নাহলে আমি কেস করবো..
.
এবার জান্নাত এর বাবা বিপাকে পরে যায়.
সে আমার মায়ের কাছে যাবে আবার রান্না করিয়ে আনতে..
আর আনতে আনতে দেরি হলে আজ বিয়ে বাদ..
.
আমার এক্স মানে জান্নাত কে দেখি রাগে জ্বলছে..কিছু দিন আগে যেই মেয়ে আমার জন্য পাগল ছিলো আজ সে জ্বলছে বিয়ে হচ্ছে না দেখে??বাহ সেই..
.
.
.
মানে পুরাই এলাহি কান্ড মা কে তো আমি শর্ত দিয়ে এসেছি যে যদি এমন হয় তাহলে যাতে বলে আপনার ছোট মেয়ের সাথে আমার ছেলের বিয়ে দিলে আমি রান্না করে দিবো না হলে নাহ..
.
.
এখন জান্নাতের আব্বু কি করে এটাই,দেখার..হাহাহা।।
.
.
.
.
.
গল্প প্রেমের জ্বালা
Ayan
পর্ব_০১
.
.
গল্প প্রেমের জ্বালা
Ayan
পর্ব_২শেষ
.
.
এক্স এর বিয়ে বাদ করার জন্য কি কি না করলাম..কিন্তু এইখানে মজার বিষয় হলো..
আমি বিয়ে করতে চাচ্ছি তার ছোট বোনকে..
.
জান্নাত এর বাবার খুব জলদি।মানে মেয়ের বিয়ে দিতে হবে..
তাই তিনি জলদি আমাদের বাসায় যান..
।
গিয়ে কলিং বেল বাজাতেই বেরিয়ে আসেন আম্মু..
.
দরজা খুলে দেন.
.
আপা আপনি নাকি সেই লেভেল এর রান্না করেন??
>মানে??
>আপা আমি আপনার হাতের রান্না খেতে চাই রান্না করে দিবেন কি??
>না মানে কে আপনি??চিনি না জানি না রান্না করে দিবো মানে??
>মনে করেন আমি গরীব মানুষ..দেন না আমায়..
>আরে কিসের গরীব??ভাই যান যান..আমরা শুক্রবার ছাড়া ভিক্ষা দেই নাহ..
>ওই তোর আমারে দেইখা ভিখারি মনে হয়??(চেচায়া)
>মানে??তুই তাই??
>না মানে আপা..প্লিজ একটু রান্না করে দেন নাহ..
>না দিবো নাহ..
>আরে বেল রান্নাই তো করতে বলছি??কর না...ওইদিক দিয়া তোর ছেলে মাথা খাইতেছে আর এই দিয়া তুই..
>কি??আমার ছেলে কি করছে??আর অভদ্রের মতো তুই তাই কেনো করতেছেন??
>না মানে..আপা প্লিজ..
.
.
জান্নাত এর আব্বু পাগল এর মতো ব্যবহার করছে. এবং আম্মুকে সব বলে
আর আমার বোন আয়েশা বসে বসে মজা নিতেছে ভিতর থেকে..
.
>আচ্ছা আপনি ভিতরে আসুন..(আম্মু)
.
হে বলুন..
>আমার ছেলে যাই করুক..আজ যদি ও না সরে আপনার মেয়ের বিয়ে আটকে যাবে..
আর এটা হলে আপনার মানসম্মান শেষ হয়ে যাবে এ ছোট মেয়ের জন্য বড়টার বিয়ে ভাংছে..আর খাবারের জন্য ভাংছে শুনলে তো মানুষ হাসতে হাসতে শেষ হয়ে যাবে..
.
>তো এখন কি করার??(জান্নাতের আব্বু হতাশ হয়ে)
>আপনি এক কাজ করুন..দুই মেয়ের বিয়ে এক সাথে দিয়ে দিন..
>মানে??
>মানে আমার ছেলে কারো কথা রাখে না..কিন্তু আপনি যদি আপনার ছোট মেয়ের সাথে আমার ছেলের বিয়ে দেন তাহলে সে মানবে নাহলে সে জিদ এ অটল থাকবে আর আমি রান্না না করে দিলে তো এই বিয়ে একেবারে বাদ হয়ে যাবে..
.
আম্মুর শর্তে অনেকটা অবাক হয়ে গেলো জান্নাতের বাবা..
.
কিন্তু কোন উপায় নেই..
সে প্রথমে চেচালেও পরে ঠিক ই হতাশ হয়ে ফেরত যায়..
.
এদিকে বিয়ে পিছিয়ে গেছে আমার এক্স জান্নাত এর..
এভাবে যে এতো কিছু হয়ে যাবে ভাবে নি সে..
.
জান্নাত এর আব্বু বাসায় এসে মাথায় হাত দিয়ে বসে..
আর আমি আমার বাসায় বসে ভালো করে বসে পোলাও আর রোস্ট খাচ্ছি..
আজ এই রোস্ট যা কামাল দেখাইছে..
মানে মাথা নষ্ট অবস্থা..
.
যাই হোক..আমাকে এখন জান্নাত দের বাসায় যেতে হবে..
.
কিন্তু মেইন গেট এর দারোয়ান কে কনফেস কিরে ভিতরে কিভাবে ঢুকবো এটাই হচ্ছে ব্যাপার.
.
আমি তার ও প্ল্যান বানায়া নিছি..
.
রাত ১২টা.. প্ল্যান মাফিক জিনিস নিয়ে আমি জান্নাত দের বাসার সামনে..
.
মাথায় থালি..মানে যেভাবে মানুষ হাওয়াই মিঠাই বিক্রি করে সেরকম জিনিশ কিন্তু ভিতরে অন্য কিছু..
.
আসলে দারোয়ান পেটুক..ফ্রাই বলতে পাগল..মুরগি ভাজা তার অনেক পছন্দ..
.
তাই বলে এই না যে মুরগি ভাজা দিলে সে আমায় ভিতরে যেতে দিবে..
প্ল্যানটা আলাদা..
.
সে ইংরেজি ও কম জানে..কিন্তু এইটা জানে মুরগি ভাজাকে ফ্রাই বলে..
.
প্ল্যান অনুযায়ী আমি তার গেটের সামনে দিয়ে যাচ্ছি আর বলে যাচ্ছি...
.
আরে ফ্রগ ফ্রাই ফ্রগ ফ্রাই..
রাতে অল্প কিছু আছে ফ্রিতে দিবো..কারো লাগলে বলবেন..
.
বেচারা তো কথা শুনে জিহ্বায় পানি এনে ফেলছে..
.
আমাকে আটকিয়ে ফেলছে..
>ভাই আমি নিবো..
>আচ্ছা দিবো..
>তো দিন..
>কিন্তু একটা শর্তে..
>কি শর্ত??
>আমার এইখানে ৮টা আছে..
আপনি একা এতো গুলা তো আর খাইতে পারবেন নাহ..তাই আপনি বাসায় নিয়ে সবাই কে দিন গিয়ে..
>আচ্ছা দিবো..
এই বলে সে আমার হাত থেকে সব গুলো ব্যাং ভাজা..উরুফে ফ্রগ ফ্রাই নিয়ে নেয়..
>একটা খেয়েই বলে..
ভাই তিতা কেন??
>আরে এওটা তিতা না..নতুন স্বাদ(আমি কিন্তু আবার খাই নাই..আন্দাজে বলতেছি🤪🤪)
>আচ্ছা ভাই..
.
সে বাসায় নিয়ে যায়..আর আমি এই সুযোগে চলে যাই জান্নাতের রুমের সোজা..নিচে.
আর দারোয়ান বাসায় নিয়ে সবাইকে বলে..
.
এই সবাই আসুন ফ্রিতে তে ফ্রগ ফ্রাই পাইছি..খাই চলো..ম্যাডাম আসেন আপনি ও
>কি??পাগল হইছো তুমি?? ভাই??(জান্নাত)
>কেনো??ফ্রগ ফ্রাই খাওয়া কি খারাপ নাকি??
>আরে বলদ ফ্রগ ফ্রাই মানে ব্যাং ভাজা.. মুরগি ভাজা নাহ..
.
এই কথা শুনে দারোয়ান শেষ..সে দৌড়ে বাথ্রুমে গিয়ে বমি করতে থাকে..
আর সবাই হাসতে হাসতে শেষ৷
।
এদিকে আমি পাইপ দিয়ে উপরে উঠে খাটের নিচে লুকাই আর অপেক্ষা করতে থাকি কখন জান্নাত আসবে৷
।
কিন্তু কেউ ই আসছে নাহ..
তাই অদৈর্য্য হয়ে আমি খাটের নিচ থেকে বের হই..
এমন সময় খাটের থেকে কাথা আমার উপর পড়ে..
.
আর সবচেয়ে মজার বিষয় হলো এমন সময় ই জান্নাতের ছোট বোন রুমে ঢুকে..
.
যাও বাবা দেখাও খেলা..
.
সে তো পুরা বাড়ি চিল্লায়া একাকার করে ফেলছে..
.
ভুত আসছে ভুত আসছে.
.
সবাই তো লাঠি দাও খুন্তা সব নিয়ে যেমন রুমে আসছে..বাড়ি ভরতি আবার মেহমান.
.
এখন আমার কি হবে??সবাই আমার দিকেই আসছে.
.
কিন্তু শেষে দেখি যে জান্নাতের বাবা বন্দুক নিয়ে আসছে.
.
এইটা দেখে আমি তো পুরাই শেষ..জীবন এর মায়া না করে জানালা দিয়ে দিলাম লাফ..
.
এমন সময় মনে পড়লো আমি তো তিন তালা থাইকা লাফ দিছি..
.
ওরে আল্লাহ..বাচাও আমারে........
তিন তালার উপর থেকে লাফ দিছি..
কিন্তু ভাগ্য বসত নিচে একটা কুকুর বসা ছিলো..
আমি কুকুরটার উপরেই পরি..আমার ভর সহ্য করতে না পেরে বেচারা কুকুর শহীদ হয়.
আমি আর কিছু চিন্তা না করে উরাধুরা দৌড়.
.
ভাগ্যের বিষয় হলো দাড়োয়ান বেটা গেটে ছিলো না..হয়তো ভুতের কথা শুনে উপরে চলে গেছিলো.
.
আমি বাড়ি চলে আসি.
.
ওদিকে জান্নাতের বাসার সবাই নিচে এসে দেখে কাথা পরে আছে..
.
তা উঠিয়ে দেখে নিচে মৃত কুকুর.
তারা সবাই যেনো ভয় পেয়ে যায়..
উপর থেকে পড়লো মানুষ কিন্তু তা ভুত হয়ে গেলো কিভাবে??
.
মানে সবাই ভয়ে শেষ..
সবচেয়ে মজার ব্যপার হলো বর পক্ষের কিছু লোক বাড়িতে ছিলো.
তারা বরের বাবাকে জানিয়ে দেয় যে এই বাড়িতে ভুত আছে.
বর আবার ভুতে ভয় পায় খুব..
সে সাথে সাথে বিয়ে বাতিল করে দেয়..
.
মানে এক এলাহি কান্ড.
আর এইদিকে জান্নাতের বাবার মাথায় যেনো আকাশ ভেংগে পরে.
.
কি থেকে কি হয়ে গেলো বেচারা বুঝলোই নাহ.
আর দারোয়ান বেটা তো ভয়ে কাজেই আসে নাহ..
সে মনে করছে তার কাছে ফ্রগ ফ্রাই বিক্রি করা লোকটা ভুত.
.
জান্নাত যেনো পুতুলের মতো চুপচাপ বসে আছে..
তা দেখে জান্নাতের বাবার খুব মন খারাপ লাগছে..
.
সে সকাল গড়িয়ে দুপুর হতেই মিষ্টি পান নিয়ে চলে যায় আয়ানের বাসায়..
কলিং বেল দিতেই দরজা খুলে দেয় আয়ানের মা..
.
জান্নাতের বাবার হাতে মিষ্টি দেখে বুঝে যায় যে হয়তো জান্নাতের ছোট বোনের সাথে বিয়ে দিতে রাজি আয়ানকে..
.
জান্নাতের বাবার সাথে জান্নাত ও এসেছে..
.
জ্বি তাহলে আপনারা রাজি??(আয়ান)
>আহ আয়ান চুপ থাক নাহ..ওদের বলতে দে(মা)
>না মানে আমি আমার মেয়ের সাথে আপনার ছেলের বিয়ে দিবো ঠিক কিন্তু.
>কিন্তু কি??আমরা যৌতুক মাফ করতে পারবো নাহ একবারে..(আয়ান)
>উফফ আয়ান চুপ কর উনাকে বলতে দে..
>আসলে আমি আমার বড় মেয়ে জান্নাতের সাথে আয়ানের বিয়ে দিতে চাই যদি আপনার অমত না থাকে তো..
>কি??এই পেচির সাথে বিয়ে করবো আমি??আস্তা ঘাড় তেড়া একটা..
>ওই কি বললি??আমি ঘাড় তেড়া??(জান্নাত)
>হে ঘাড় তেড়া.. তোর ১৪গুষ্টীর মাঝে তুই একাই ঘাড় তেড়া..
>আব্বু কিছু বলবা ওকে??
>আয়ান চুপ কর তো..(মা)
>আচ্ছা বেয়ান আপনি বলুন কি করার??
>আচ্ছা আমি রাজি..
>না মা এই মেয়েকে ঘরে এনে আমি জীবন নষ্ট করতে চাই নাহ..
>আয়ান??(মা)
.
আচ্ছা আমি ও রাজি.
.
.
কি আর করার সবাই রাজি..বিয়ে হয়ে যাবে আমাদের..
কিন্তু জান্নাত অন্য কাউকে বিয়ে করতে রাজি কিভাবে হলো??এটাই মাথায় আসছে নাহ..
ও হে.এখন মনে পরলো..
একদিন বলেছিল.
আমার যদি বিয়েও হয়ে যায় জানি তুই আমায় ভাগিয়ে নিয়্র যাবি.তোর উপর সম্পুর্ন ভরসা আছে..
এ থেকেই হয়তো সে..
.
.
যাই হোক বাসর ঘরের সামনে দাড়িয়ে আছি এখন আমি..
ভিতরে গিয়ে কুত কুত খেলি গিয়া..
.
কিন্তু বাসর ঘরে ঢুকেই দেখি৷
এমা..
আমার নতুন বউ শাড়ি বেনারসি না পরে জুবেন্টাস এর জার্সি আর ফুটবলের শর্ট পেন্ট পরে আছে..
.
আরে তুই এই অবস্থায় কেন??
>ফুটবল খেলবো..
>কি??কিন্তু আমি তো কুতকুত খেলতে আসছিলাম..
>না না.. আমি ফুটবল খেলবো..
>কিন্তু ফুটবল কই??
>তুই.
>কি??
.
হে আমি তো ঘাড় তেড়া..পেচি..আজ তোকে শিক্ষা করেই ছাড়বো..
.
এই বলে সে আমার পিছনে দৌড়াতে থাকলো..
.
আমি খাটের উপর থেকে নামি আর উঠি..
জীবন তো বাচাতেই হবে..
.
কিন্তু একটা কথা সত্য.
এই প্রেমে জ্বালাতন চলতেই থাকবে...
.
.
.
------সমাপ্ত.