গল্প: জ্বীন | রহস্যময় গল্প | রহস্যময়ী নারী

 রহস্যময় মানুষ

রহস্যময় মানুষ

বাসর রাতে স্বামী গায়েব।মেয়েদের শারীরিক সুখ পায় স্বামীর কাছে। তারা স্বামীর থেকেই সব সুখ আশা করে।স্বামীর আদর, স্বামীর স্পর্শ, স্বামীর শ্বাস তাদের সুখ।মিম নামের মেয়েটির এই অব্দি ১৬ টা বিয়ে ভেঙে গেছে। বিয়ের আগের দিনই হবু স্বামী মারা যায়। এভাবে অনেক ঝামেলার পর অবশেষে তার বিয়ে হয় রিয়াজ নামের এক ছেলের সাথে। কিন্তু অদ্ভুত ব্যাপার হচ্ছে, বাসর রাতেই রিয়াজ গায়েব। তোলপাড় শুরু হয়ে যায় পুরো বাড়ি জুড়ে৷ এতদিন বিয়ে হতে হতে ভেঙে গেছে। আর আজ হয়েও,বাসর রাতে স্বামী গায়েব। মিম কান্নায় ভেঙে পড়েছে। স্বামীর বাড়িতে এসে,বাসর রাতে স্বামীর গায়েবের কথা শুনে কোন মেয়ে ভালো থাকতে পারে। কত কিছু ভেবে রেখেছিলো মিম। ( অন্য কিছু কল্পনা করলে আপনি লুচ্ছা)


সারারাত রিয়াজের সন্ধান পায়নি কেও৷ মিম সারারাত বাসর ঘরে বসেই কান্না করেছে। বাড়ির সবাই মিমকে অলক্ষি বলে কথা শুনিয়ে যাচ্ছে। সকাল ৮ টায় হটাৎ দরজার কলিং বেল বেজে উঠে। রিয়াজের মা তাড়াহুড়ো করে দৌড়ে যায় দরজা খোলতে। দরজা খোলেই রিয়াজের মা দেখে রিয়াজ দাড়িয়ে আছে দরজায়। সারা শরীর ক্ষতবিক্ষত। মুখে রক্ত লেগে লাল হয়ে আছে। পায়ের মধ্যে জুতাও নেই। সাদা শার্টে রক্ত, প্যান্টে রক্ত,হেটে আসায় রাস্তায়ও রক্ত লেগে আছে। রিয়াজের মা রিয়াজকে দেখে সেখানেই জ্ঞান হারায়। রিয়াজ দুর্বল শরীর নিয়ে ধীরে ধীরে বাসার ভিতর প্রবেশ করে৷ বাসার সবাই রিয়াজের এমন হাল দেখে প্রায় নাজেহাল হয়ে যায়। মনে হচ্ছে শরীরে এমন কোনো জায়গা নেই,যাতে ক্ষত নেই। ক্ষত এর চিহ্ন চিহ্নিত করারও মুসকিল।  কারণ কয়টা ক্ষত,তার কোনো ইয়ত্তা নেই।  বাসার সবাই রিয়াজের দিকে অপলক দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে। যেনো এক পলকেই সবাই বস হয়ে গেছে কারো৷ মিম উপর তলা থেকে উপলব্ধি করলো, নিছে শনশান হয়ে গেছে। হটাৎ সবার হৈচৈ অফ হয়ে যাবার কারণ জানতে রুম থেকে বের হয়ে আসে। এসে দেখে রিয়াজের এই অবস্থা।মিম উপর তলা থেকে দৌড়ে নিছে নেমে আসে। এসেই রিয়াজের হাত তার কাধে নেয়। যেনো রিয়াজের সাথে তার অনেক বছরের সম্পর্ক।  সবাই থ হয়ে গেছে। একদিকে রিয়াজের অবস্থা দেখে হয়েছে, অন্যদিকে মিমের কান্ড দেখে আরো অবাক হচ্ছে। মিম এত পেরেশান কেনো,তারও উত্তর নেই কারো কাছে। মিম রিয়াজের এক হাত তার কাধে নিয়ে রুমের দিকে নিয়ে আসে৷ আরেকহাত দিয়ে ডাক্তারকে কল দিয়ে আসতে বলে। রিয়াজকে খাটে শুইয়ে দিয়ে মিম পানি আর জলপট্টি এনে রিয়াজের হাত পা পরিস্কার করে যাচ্ছে। বাড়ির সবাই এতক্ষণে রিয়াজের রুমে এসে কান্ড দেখে যাচ্ছে। অন্যদিকে রিয়াজের আম্মুকে রিয়াজের ছোট বোন জাগিয়ে তোলে মুখে পানি মেরে। এতক্ষনে ডাক্তারও বাসায় হাজির৷ ডাক্তার এসে রিয়াজকে স্যালাইন আর কিছু ট্রিটমেন্ট করে চলে যায়। ডাক্তার বলেছিলো, প্রচন্ড নখের আঘাত রিয়াজের দেহে। তাও চামড়ার অনেকটাই গভীরে যাওয়া আঘাত।  যেনো কোনো জন্তু জানোয়ারের কাজ। রিয়াজের মা হুট করে এসে মিমকে ধাক্কা মেরে সরিয়ে বলে," তুই অলক্ষী।তোর আসার সাথে সাথে আমার ছেলের এই অবস্থা হয়েছে। যা বেরিয়ে যা "। রিয়াজের মায়ের কথা শুনে মিম কাদতে শুরু করে দেয়। আর ওমনি রিয়াজ চোখ খুলে বলে, " মিম কোথাও যাবেনা। সবাই রুম থেকে বের হও একটু। মিমের সাথে কথা আছে আমার"। রিয়াজের কথা শুনে আধমফিজ হয়ে যায় সবাই। এ কেমন অদ্ভুত কথা বলছে রিয়াজ। তবুও রিয়াজের কথানুযায়ী সবাই রুম ত্যাগ করে বাহিরে যায়। মিম দরজার কোনায় দাড়িয়ে কান্না করেই যাচ্ছে। সবাই রুম থেকে বের হতেই মিম দরজা বন্ধ করে রিয়াজের পাশে এসে বলল,

যারা পুরো গল্পটা পড়তে চান,তারা আমার আইডিতে এড হবেন।তাহলে নেক্সট পর্ব দেওয়ার সাথে সাথেই নোটিফিকেশন পেয়ে যাবেন।না হলে পর্বগুলা মিস হবে।

- সত্যি রিয়াজ।আমি হয়তো অলক্ষী। বার বার আমার জন্যেই সবার বিপদ হয়। তুমি আমাকে ক্ষমা করে দাও।

- ওই ওই। বউ তুমি আমার। নেকামি কান্না কেদোনা তো? যা বলছি তা শুনো। আমাকে সব খোলে বলো কি হচ্ছে। কে করছে এসব।

- সত্যিই আমি কিছুই জানিনা। প্রতি ৩-৪ দিন পর একটা লোক আমার স্বপ্নে এসে বলতো, আমি যেনো বিয়ে না করি। আমাকে কেও বিয়ে করতে পারবেনা। 

- দেখতে কেমন লোকটা।

- আমি ঠিক খেয়াল করতে পারিনা। ঝাপসা দেখা যায়। 

- হুম বুঝলাম। তাহলে আমি তোমাকে বিয়ে করেছি কিভাবে। 

- সেটাই তো ভেবে যাচ্ছি। আমি ভেবেছি তুমিও মরে যাবে। গায়ে হলুদের দিন যখন শুনলাম তুমি বেচে আছো। তখন অদ্ভুত লেগেছে আমার। বিয়ের দিন যখন তুমি কবুল বলেছো,তখনও বিশ্বাস হচ্ছিলোনা। বাসর ঘরে ঢুকে এসব নিয়েই ভেবে যাচ্ছিলাম।  এরপর শুনলাম তুমি গায়েব। তখন থেকেই তোমার জন্য আমার মন কেদে যাচ্ছিলো। 

- এবার পুরো ঘটনা বলি? 

- বলো? 

- হলুদের দিন আমি এমনি এমনি ছিলাম না, সেদিন অনেক বিপদ গেছে। বিয়ের দিনও অনেক সমস্যার মুখোমুখি হয়েছি আমি। কিন্তু সামলে নিতে পেরেছি। আর বাসর রাতেই ঘটে যায় আসল ঘটনা।

- কি ঘটনা? 

- আমার বন্ধু রনিকে ছিনো?

- হ্যা, বিয়ের দিন নেচেছিলো খুব।

- হুম, রনি সহ এই ব্যাপারে ছাদে কথা বলেছি। হটাৎ একটা তারার মত কিছু উড়ে এসে রনিকে নিয়ে যায়। আমি ঠিক বুঝার আগেই,আরেকটা তারার মত কিছু এসে আমাকেও নিয়ে যায়।

- তারপর?

- তারপর আমার কিছু মনে ছিলোনা। অনেক্ষন পর চোখ মেলে দেখি,আমি একটা জঙলে আছি। আমার সামনে রনিও পড়ে আছে। চারপাশ অন্ধকার ছিলো। চাদের আলোয় শুধু গাছ আর গাছের ছায়া চোখে পড়ছে। আরেকটু চোখ বুলিয়ে দেখি,আমার সামনে একটা ভাঙা ঘর। সম্ভবত কাঠের ভাঙা ঘর ছিলো। আমি দৌড়ে গিয়ে রনিকে জাগিয়ে তুলি। আর ওমনি জঙলের চারপাশ থেকে,গাছ থেকে,সেই ভাঙা ঘরের ভিতর থেকে কয়েকটা বাঘ বেরিয়ে আসে।

-আল্লাহ,কি বলেন৷ তারপর?

- সবাই এসেই আমাদের উপর ঝাপিয়ে পড়ে। আমি ঝাপিড়ে পড়ি রনির উপর। কারণ আমি তো জানিই এদের আঘাত আমাকে ক্ষত করবে। তাই রনিকে রক্ষা করলাম। ওর গায়ে ঝাপিয়ে পড়ায়,বাঘ গুলো আমাকে আঁচড় কাটতে থাকে। এরপর আর কিছুই মনে নেই। চোখ মেলে দেখি,আমি বাগানে পড়ে আছি। আমার নিছে রনি এখনো শুয়ে আছে। যারা পুরো গল্পটা পড়তে চান,তারা আমার আইডিতে এড হবেন।তাহলে নেক্সট পর্ব দেওয়ার সাথে সাথেই নোটিফিকেশন পেয়ে যাবেন।না হলে পর্বগুলা মিস হবে।

শরীর আমার ক্ষত, আর ব্যাথা। পরে রনিকে জাগিয়ে তুলে একটা তাবিজের জন্য পাঠিয়েছি। আর আমি বাসায় এলাম।

- এতো কিছু হয়ে গেলো? 

- হ্যা, কিন্তু কে করছে এগুলো, তা সঠিক জানলাম না। খুব শীঘ্রই জেনে যাবো।

- কিভাবে। 

- তাবিজ আনার পর।

- কিসের তাবিজ? 

- তা তুমি পরেই জানতে পারবে। এখন কাছে এসে কয়েকটা কিস দাও। মন জুড়াই।


মিম রিয়াজের দুই গালে হাত রেখে ঠোট বরাবর, ওর ঠোট এগিয়ে নিতেই,টেবিল থেকে ফুলদানিটা পড়ে গেলো। মিম চমকে গিয়ে আবার বসে পড়ে। রিয়াজ বলল " আরে,বিড়াল হবে।তুমি আসো তো?  "।  রিয়াজের কথা শুনে মিম আবার এগিয়ে আসে রিয়াজের দিকে। ঠোঁটে ঠোঁট লাগাতেই জানালা থেকে কেও চিৎকার দিয়ে বলল,


গল্প- জ্বীন 

১ম পাঠ। 


গল্প- জ্বীন 

( পর্ব - ২)

-----------------

রিয়াজের কথা শুনে মিম আবার এগিয়ে আসে রিয়াজের দিকে। ঠোঁটে ঠোঁট লাগাতেই জানালা থেকে কেও চিৎকার দিয়ে বলল, 


" মৃত্যুর দিকে পা বাড়াস না। শেষ হয়ে যাবি "


আওয়াজটা শুনেই রিয়াজ ঘাবড়ে গিয়ে মিমকে ছেড়ে দেয়। মিম নিজেও ভয় পেয়ে আছে। রিয়াজ অসুস্থ শরীর নিয়ে বসা থেকে উঠে কোনোভাবে।  বহু কষ্টে জানালার পাশে গিয়ে আশপাশের পরিস্থিতি দেখতে লাগলো। সব কিছুই স্বাভাবিক আছে। তাহলে আওয়াজ করলো কে৷ এই সাজ সকালে কেও মজা করেনি তো? রিয়াজ আবার রুমে এসে মিমকে জড়িয়ে ধরলো। এর উদ্দেশ্য এইটা নয় যে ছয় নয় কিছু করবে। কারণ বাসর রাতে রিয়াজ গায়েব হয়েছে, মিমকে কিস করতে গিয়ে গায়েবি শব্দ এসেছে। মিমের সাথে মিলিত হতেই দিচ্ছেনা। সেটাই পরীক্ষা করার জন্য রিয়াজ মিমকে জড়িয়ে ধরে। যেই মিমকে জড়িয়ে ধরেছে, ওমনি একটা মরা পাখি জানালা দিয়ে উড়ে এসে রিয়াজের রুমে পড়লো। রিয়াজ আবার চমকে গিয়ে মিমকে ছেড়ে দেয়।  এবার রিয়াজ শিওর যে, কিছু একটা অবশ্য আছে। যেটা রিয়াজকে মিমের থেকে দূরে রাখতে চাইছে। রিয়াজ মিমকে ছেড়ে পাখিটি তুলে দেখলো,এইটা একটি মরা কাক। পাখিটির ঘাড়ে কেও কামড় দিয়ে গলা ছিদ্র করে ফেলেছে। এরপর যেনো জেদ করে কেও পাখিটি রুমে নিক্ষেপ করেছে৷ রিয়াজ ঘটনা পুরো আচ করতে পারলেও, এর পিছনে কে আছে তা জানেনা। কিন্তু তা তো জানতেই হবে। কিছুক্ষণ পর রনি দরজার ওপাশ থেকে নক করতে লাগলো। রিয়াজ গিয়ে দরজা খুলে দেখে  রনি তাবিজ নিয়ে হাজির। তাবিজটা হচ্ছে এরকম,  কোনো অশুভ কিছু তাবিজের এরিয়ায় প্রবেশ করতে পারবেনা। রিয়াজ প্রথমে ভেবেছে তাবিজটি রুমে রাখবে। কিন্তু বর্তমানে পরিস্থিতিতে যা বুঝলো,এইটা নিজের গলায় বেধে রাখতে হবে। রনিকে বিদায় দিয়ে রিয়াজ দরজা আটকে দেয়। এরপর মিমকে বলল,

- শুনো মিম৷ এসব এমন কিছু করছে, যা তোমার সাথে কাওকে মিশতে দিতে রাজিনা। কারণ তোমার বিয়ে ঠিক হবার আগেই যাদের মৃত্যু হয়েছে,  তারা সবাই তোমার সাথে মিশতে যাচ্ছিলো তাই মরেছে। আমাকেও মারতে চেয়েছে। ভাগ্যিস এই তাবিজটি আমার সাথে ছিলো।  তাই কিছু হয়নি।

- এই তাবিজ তুমি আগে থেকে পড়তে? 

- না,তবে বিয়ের আগে পড়েছি। আর তোমাকে বিয়ে করার উদ্দেশ্য আমার দুইটা। একটা হচ্ছে সংসার করা। আর অন্যটা হচ্ছে এই রহস্য খুজে বের করা।

- তো তাবিজ তোমার কাছে থাকলে,বাসর রাতে গায়েব হয়েছো কিভাবে।  যেহেতু তাবিজ ছিলোই। তাহলে সম্ভব হয়েছে কিভাবে।  

- আমি গায়েব হবার ৩০ মিনিট আগে এক হুজুর আমার সাথে দেখা করেন। উনি বলল,বাসর রাতে তাবিজ সাথে থাকলে সংসার টিকেনা। হুজুরের কথা শুনে আমি রনির মায়ের কাছে তাবিজটি জমা দিয়ে ফেলেছি। কিন্তু আমি বুঝিনি,এই হুজুরের ভিতরেই ঘাবলা ছিলো। আর ৩০ মিনিট পরেই আমাকে গায়েব করে।

- আরেকটা প্রশ্ন, তোমাকে তো কাল রাত মেরে ফেলতে পারতো। তাহলে বাচিয়ে রেখেছে কেন। আর যদি তার টার্গেট তুমিই হও,তবে ছেড়ে দিল কেন।

- তা তো জানিনা। কিন্তু দেখতে হবে। এখন আমি তাবিজটি হাতে বেধে তোমার সাথে যৌনমিলন করবো৷ আর তুমিও পড়বা এই তাবিজ। দেখি এর নিধন এখানেই পাওয়া যায় কিনা।।

- আচ্ছা।


রিয়াজ তাবিজটি মিমের হাতে বেধে দেয়৷ আর নিজের হাতেও একটা বাধে। যখন তাবিজ বাধতেছিলো। তখন যেনো একটা ভূমিকম্প গেলো বাড়ির উপর দিয়ে।রিয়াজ মুচকি হেসে মিমকে বলল " দেখো,অশুভ শক্তিটা ক্ষেপে যাচ্ছে। লাভ নেই,আজ আমি তোমাকে করবই ( বেশি বুইঝেন না)  "।  

রিয়াজ তাবিজের মিশন শেষ করে মিমকে জড়িয়ে ধরেছে। বুঝতে পারছে জানালার পাশের আম গাছটা কেও ভেঙে ফেলার মুডে চলে এসেছে। এসবে রিয়াজের পরোয়া নেই। রিয়াজের উদ্দেশ্য হচ্ছে, অশুভ শক্তিটাকে চিহ্নিত করা,এরপর তার সমস্যা,পরে তার দুর্বলতা আর এরপর বিনাশ। এই অসুস্থ দেহ নিয়ে যৌনমিলনের কোনো মানে হয়না। কিন্তু রহস্য তাড়াতাড়ি খুজতে হবে। নয়তো বিপদ ঘটে যাবে।অর্থাৎ যেকোনো সময় যে কিছু হতে পারে। রিয়াজ বুদ্ধি করে জানালা খোলা রেখেই এই কাজটা করতে যাচ্ছে। যেনো, সেটা যেই হোক তাকে দেখতে পায়৷ রিয়াজ মিমকে বিছানায় নিয়ে শুয়ানোর সাথে সাথে, রিয়াজের টেবিল থেকে তৈলের বতলটা পড়ে যায়। রিয়াজ বুঝেও না বুঝার ভান ধরে মিমের উপর ঝাপিয়ে পড়ে। এবার ঘরের দেয়াল গুলো যেনো থরথর করে একাধারে কাপতে লাগলো। রিয়াজ সুযোগ বুঝে আসল মিশনে যেতে প্রস্তুত নেয়। আর তখনি বাড়ির বাহির থেকে রনি চিৎকার দিয়ে বলল


" রিয়াজ, তোর মা মারা গেছে "।  


রিয়াজ কথাটা শুনেই মিমকে রেখে জামাকাপড় পড়ে নেয়। এরপর নিছে এসে দেখে রিয়াজের মা ফ্লোরে পড়ে আছে। রিয়াজ সিড়ি বেয়ে নামতে নামতে স্তব্ধ হয়ে গেছে। হুট করে এ কি হয়ে গেলো। রিয়াজের চোখের কোনায় পানি জমা হচ্ছে। রনি বলতে লাগলো " হটাৎ করে আন্টি শূন্যে ভাসতে লাগলো,আর উপর থেকে হুট করে পড়েই মারা যায় "।  রনির কথা শুনে রিয়াজ বুঝে যায়,এইটা নিশ্চয়ই অশুভ শক্তির কাজ। যে তাবিজের কারণে তাদের এট্যাক করতে না পেরে, রিয়াজের আম্মুকেই মেরে দেয়। রিয়াজের চোখ লাল হয়ে আছে। মিমকে বিয়ে করা কি পাপ ছিলো তার? রহস্যের বাধন খুলতে নাকি অনেক কিছু হারাতে হয়। কিন্তু এভাবে নিজের জন্মদায়িনী মা কে হারাবে তা কখনো ভাবেনি। রিয়াজের আব্বু অনেক আগেই মারা যায়। যখন রিয়াজের বয়স ৬ বছর ছিলো তখনই। একটা রহস্যের ছায়ার আকৃতি বুঝার জন্য নাকি ছুটেছিলেন। যার জন্য নিজেকেই বলি দেয়। আর সে থেকেই রহস্যের পিছনে ছুটা রিয়াজের নেশা হয়ে দাড়ায়। প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হয়, যে কারনে নিজের আব্বুকে হারিয়েছে,সে কারণটাকেই হার মানেবে সে। কিন্তু অবশেষে আবার হেরে গেলো নিজের মা কে হারিয়ে। এবার আরো জেদি হয়ে যায় রিয়াজ। মিম বাড়ির এক কোনে দাড়িয়ে কান্না করছে। রিয়াজ মায়ের লাশের পাশ থেকে উঠে সবার উদ্দেশ্যে বলল।


- এখানে মিমের দোষ নেই। একটা অভিশাপ আমাদের পিছু পড়ে আছে। আর যেকোনো ভাবেই এই অভিশাপকে শেষ করবো আমি। মায়ের লাশ দাপনের ব্যবস্থা করা হোক।


কথাটা বলেই রিয়াজ চলে যায় উপরে। মিম অবাক হয়ে যাচ্ছে রিয়াজের কর্মে।তার আগমনের কারণেই এসব হচ্ছে সে বুঝতে পারছে। তবুও রিয়াজ তাকে এতোটা ভালোবাসে। এইটা ভেবেও অশ্রুপাত আরেকটু ঘন হয়ে মিমের। 

এদিকে মিমের বাপের বাড়ি,অর্থাৎ রিয়াজের শশুর বাড়ির লোকজন এসে পড়ে। রিয়াজের আম্মুর মৃত্যুতে সবাই শোকাহত।  মিমের পরিবার মিমকে জিজ্ঞেস করলে সে একটা কথাই বলে" আকাশের চাদ কয় জনের কপালে জুটে "। ( নিজেরে ২ কেজি পাম দিলাম) 😂 


সারাদিন কেটে যায় রিয়াজের আম্মুর দাপনে। জানাযার নামাজ শেষে অনেকেই চলে যায় যে যার বাড়িতে। রিয়াজের পরিবারের অনেকেও চলে যায়। তাদের মন্তব্য, এই বাড়িতে অভিশাপ আছে। পরে যদি তাদের কিছু হয়? সেই ভয়েই অনেকে পালিয়ে যায় বাড়ি থেকে। নানান অজুহাত তখন উপচে আসে। বাহানার মেলার ভিড়ে লুকাতে বাধ্য হয় সবাই।  কথায় তো আছেই, নিজে বাচলে বাপের নাম।

বাড়িতে শুধু রয়েছে রিয়াজের ছোট বোন, রনি,রিয়াজ আর মিম। আর রিয়াজের দাদী তো নাড়াচাড়া করতেও কষ্ট পায়। বয়স হয়ে গেছে,বৃদ্ধ মানুষ। রাতে মিম রান্না করে। সবাই এসে খেয়েদেয়ে ঘুমিয়ে পড়ে। রিয়াজের পাশের রুমে রনি ঘুমিয়েছে। আর রিয়াজের দাদীর সাথে ঘুমিয়েছে রিয়াজের ছোট বোন। এদিকে মিম রুমে এসে আধাঘন্টা বসে আছে। রিয়াজ ব্যালকনি থেকে আসছেই না। রিয়াজকে কিছু বলতেও পারেনা মিম। মেলামেশা করতে গেলেই তো একটা অঘটন ঘটে যায়। তবে মেলামেশা করার ইচ্ছাটার থেকে বেশি ইচ্ছে হয় মিমের,রিয়াজের বুকে মাথা রেখে ঘুমুতে।  সেটাও হয়তো মিমের কপালে নেই। কারণ বুকে মাথা রেখে ঘুমুতে গেলেই হয়তো আওয়াজ আসবে " রিয়াজ,তোর দাদী মারা গেছে"।  

অন্ধকার রুমে চাদনী আলোয় মিষ্টি ঘ্রান ছড়াচ্ছে বেলি ফুলের গন্ধ। বিছানায় মন খারাপের দেশে ঢুবে বসে আছে মিম। রহস্যের কালো জটের থেকে মুক্তির সমাধান খুজতে,ব্যালকনিতে বসে ভাবছে রিয়াজ। এই এক নিরবচ্ছিন্ন রহস্য।  রিয়াজের মনে প্রশ্ন জাগে কয়েকটা। যেটা সে নিজের চোখে দেখতে পায়না,অর্থাৎ একটা বাতাস।সেই বাতাসের সঙে লড়াই করা যাবে কিভাবে।  যার অনেক শক্তি,অনেক ক্ষমতা, তার কাছে রিয়াজ তুচ্ছ মাত্র। যাকে ছুয়া যায়না,স্পর্শ করা যায়না,তাকে কিভাবে শেষ করবে। রিয়াজের আব্বু রিয়াজকে ছোট বেলায় বলতো,মানে রিয়াজের যখন ৫ বছর ছিলো,তখন অনেক শিক্ষা দিতো। তার মধ্যে একটা ছিলো " যেখানে তুই থেমে যেতে চাস,সেখান থেকেই শুরু কর, সফলতা তোর দুয়ারে ( দরজায়) এসে কড়া নাড়বে "। এখন রিয়াজ শুধু একটাই ভাবছে,এখানেই তো শেষ।তবে শুরুটা হবে কোথা থেকে৷ কিজানি, দেখি কি হয়। সফলতা বড়ই নিষ্টুর। এখন কড়া নাড়লে কি হয়। ঘুষ দেওয়াও যায়না, নয়তো সেটাই দিতাম।


ভাবতে ভাবতে রাত ১ টা বেজে যায়। রিয়াজ ব্যালকনি থেকে উঠে নিজের রুমে আসে। এসে দেখে মিম যেভাবে বসে অপেক্ষা করছিলো,ঠিক সেভাবেই খাটের মাথার সাথে হেলান দিয়ে ঘুমিয়ে পড়েছে। রিয়াজ কিছুক্ষণ চাদনীর আলোয় মিমের মুখটার দিকে তাকায়। এ জেনো এক মায়াবী শহরের যাত্রাপথের সন্ধান। মায়ার দেশে যেতে হলে,এই চেহারাটাকে সবার আগে দেখা দরকার। মিমকে ঠিকমতো শুইয়ে দেওয়ার জন্য রিয়াজ মিমের পাশে গিয়ে দাড়ায়। পিঠে হাত দিতেই রিয়াজ খেয়াল করলো,জানালার পাশে আম গাছটা নড়ে উঠলো। বুঝতে পেরেছে,সে এখানেই আছে৷ রিয়াজ আর মিমকে স্পর্শ না করে,পাশেই শুয়ে পড়ে। শুয়ার সময় কয়েকটি ইচ্ছাকৃত কাশি দিয়ে মিমকে জাগিয়ে দেয়। যার ফলে মিম রিয়াজের উপস্থিতি টের পেয়ে,নিজেই ঠিকমতো শুয়ে পড়ে। রিয়াজ চোখটা অফ করে দিতেই তলিয়ে যায় ঘুমের দেশে। গল্পের সকল পর্ব গ্রুপে পোস্ট করা সম্ভব না।পরবর্তী পর্ব সন্ধ্যায় আমার আইডিতে পোস্ট করব।যারা পড়তে চান,তারা অব্যশই আমার আইডিতে এড হবেন।

কিছুক্ষণ ঘুমানোর পর হটাৎ রিয়াজ জেগে যায়৷ একটা বোটকার গন্ধ পাচ্ছে রিয়াজ। 

রিয়াজ চোখটা মেলতেই দেখে, রিয়াজের রুমে,ঠিক রিয়াজের খাটের পাশে ফ্লোরের উপর একটা লোক দাড়িয়ে আছে। সাদা পাঞ্জাবি গায়ে দেওয়া৷ পাঞ্জাবিটা যেনো নিজে থেকেই জ্বলজ্বল করেই যাচ্ছে৷ লোকটা দেখতে ইয়া বড়৷ পুরো ৮-৯ ফুট লম্বা হবে। পশ্চিম দিকে মুখ করে আলিফের মত দাড়িয়ে আছে। রিয়াজ ভয়ে পুরো নাজেহাল অবস্থা৷ সরাসরি এমন অলৌকিক কিছুকে আগে কখনো দেখেনি রিয়াজ৷ কিছুক্ষণ পর লোকটি হাটুতে হাত দিয়ে মাথা নিচু করে। রিয়াজ চুপ মেরে দেখে যাচ্ছে সব। লোকটির হাবভাবে বুঝা যাচ্ছে,রুকুতে গেছে।অর্থাৎ তিনি নামাজে আছে। রিয়াজের কপাল ঘেমে ঘাম বের হচ্ছে। লোকটির রুকু,সিজদাহ্, সব দেখে যাচ্ছে রিয়াজ। দেখতে দেখতে লোকটির নামাজ শেষ হয়ে যায়। নামাজ শেষ হতেই সে রিয়াজের দিকে হুট করেই চোখ বড় বড় করে তাকায়। মুখটি বিষণ কালো,আর চোখ দুটো সাদা সাদা।  রিয়াজের দিকে তাকাতেই রিয়াজ ভয়ে একটু কুকিয়ে উঠলো।


গল্প- জ্বীন 

 ( পর্ব - ৩ )


-----------------

মুখটি বিষণ কালো,আর চোখ দুটো সাদা সাদা।  রিয়াজের দিকে তাকাতেই রিয়াজ ভয়ে একটু কুকিয়ে উঠলো।


লোকটি রিয়াজের দিকে তাকিয়ে অদৃশ্য হতে লাগলো। সাদা আলোয় যেনো মিশে যাচ্ছে। উনার পুরো শরীর ছোট ছোট আলোর রুপ ধারণ করেই গায়েব হয়ে গেলো। বাতাসে যেনো মিলে গেলো উনি। রিয়াজ অপলক দৃষ্টিতে তাকিয়েই আছে। এইটা কি ছিলো। কোনো জ্বীন? সম্ভবত সেটাই হবে। কারণ সাদা পাঞ্জাবি পরিহিত লোক নামাজে ছিলো। তাও কিছুক্ষণ পর গায়েব হয়ে গেলো। নিজের চোখে না দেখলে যা কেও বিশ্বাস করেনা,তারই একটা ইঙ্গিত।  রিয়াজ ধীরে ধীরে মিমকে ডাকতে লাগলো৷ মিম ঘুমের মাঝে তলিয়ে গেছে। কোনো হুশ নেই। রিয়াজ পিছু ফিরে মিমকে ডাকতে গিয়েই দেখলো, মিমের ওপাশে,অর্থাৎ খাটের পাশে সেই লোকটি দাড়িয়ে আছে। রিয়াজ লোকটিকে দেখেই ভয়ে আবার উল্টোদিকে মুখ ফিরিয়ে ফেলে। ভয়ংকর এই চেহারা সে আর নিতেই পারছেনা। এইবার রিয়াজের কাছে সব কিছু ধীরে ধীরে পরিস্কার হতে লাগলো। এই জ্বীনটাই মিমকে শান্তি দিচ্ছেনা। সম্ভবত মিমিকে পছন্দ করে। কিন্তু কিভাবে এই জ্বীনকে রাস্তা থেকে সরিয়ে নিবে। ওর অনেক শক্তি। নিজের উপর আস্থা রাখার ব্যবস্থাটাও কাচা হয়ে গেলো। মনে মনে রিয়াজ বলল " তোরে তো আমি ল্যাংটা কইরা ভাগামু শালা।বউয়ের লগেও এট্টু ইয়ে করতে দেস না "। 


সকালে ঘুম থেকে উঠে দেখে মিম জানালার পাশে চুল ঝাড়ছে। শাড়ী আর ব্লাউজ পড়ে চেয়ারে বসে আছে। কোমরটা দেখতেই রিয়াজের দাড়িয়ে যায় ( লোম) । 

বাহিরের সূর্যর আলোটা সোজা মিমের চুলে এসে সাংঘর্ষিক খাচ্ছে। রিয়াজের কামভাব বেড়ে গেলো। এমনিতেই সকালবেলা ছেলেদের গ্রামীণ টাওয়ারের নেটওয়ার্ক 4G থাকে। এর মাঝে এই দৃশ্য দেখে কন্ট্রোল করতে পারবে বলে মনে হয়না কেও। রিয়াজ ধীরে ধীরে বিছানা ছেড়ে মিমের দিকে এগুতে লাগলো। আস্তে আস্তে গিয়ে মিমকে জড়িয়ে ধরবে ধরবে ভাব, ঠিক তখনি..

( আপনারাও খালি বিপদের কথা ভাবেন। পড়ার আগেই চিন্তাশক্তি অন্যদিকে নেন কেন। আবার বলতেছি শুনুন)  

রিয়াজ ধীরে ধীরে বিছানা ছেড়ে মিমের দিকে এগুতে লাগলো। আস্তে আস্তে গিয়ে মিমকে জড়িয়ে ধরবে ধরবে ভাব, ঠিক তখনি মিম একটু নড়ে উঠে। রিয়াজ ঝানুউউ বলেই মিমকে পিছন থেকে জড়িয়ে ধরে৷ মিমও হাসতে হাসতে রিয়াজের দিকে নিজেকে ঠেলে দেয়৷ রিয়াজ মিমের গলায় চুম্বন আকতে গিয়ে চোখ গেলো সোজা সামনের আম গাছে। আম গাছের মধ্যে একটা পেচা পাখি বসে আছে। অদ্ভুত ব্যাপার হচ্ছে,  পাখিটির পুরো দেহ পাখির মত হলেও, মুখটি মানুষের মত। অর্থাৎ সেই রাতের বেলা দেখা লোকটির মত। রিয়াজ হুট করেই মিমকে ছেড়ে দেয় আবার। মিমও একটু ইতস্তত বোধ করে। না করারই বা কি আছে। 4G হটাৎ 2G হয়ে গেলে কোন মেয়েরই বা রাগ না উঠে। কিন্তু কি আর করার, সে নিজেও জানে ফোনটার চার্জার চিকন,আর ঘরে আছে চেপ্টা চার্জার। 


রিয়াজ ফ্রেশ হয়ে রুমে আসে। এরপর জামাকাপড় চেঞ্জ করে নিছে চলে যায়। সবারই মন খারাপ রিয়াজের আম্মুকে নিয়ে। কিন্তু রিয়াজ ততটা আফসোস করেনা। রিয়াজ যখন ৪ বছরের। তখন তার মা মারা যায়। আর রিয়াজের দেখাশুনা করার জন্য,রিয়াজের আব্বু আরেকটা বিয়ে করে। পরের ঘরের সন্তান হচ্ছে রিয়াজের ছোট বোন। অর্থাৎ তারাও আপন ভাই বোন না৷ রিয়াজের আব্বু বিয়ে করার ১ বছর পর বাচ্চা নেয়। গর্ভবতী হয় রিয়াজের সত মা। এরপর রহস্যের ভেড়া জালে মিশতে মিশতে, রিয়াজের  ৭ বছর বয়সে তার আব্বুও মারা যায়৷ রিয়াজকে সব সময় সত মা আদর করলেও, রিয়াজ উনাকে কখনো মা হিসেবে দাবি করেনি। কারণ মায়ের জায়গায় রিয়াজের আসল মায়ের জায়গা। এবার হোক তিনি মৃত। কিন্তু সত মা যতই করুক, তাকে লালনপালন করেছে বলেই তার জন্য মন কেদেছে। কিন্তু অতটাও আপসেট না। যা গেছে,তা নিয়ে ভেবে কি লাভ। রিয়াজ একটা বই পড়েছিলো। পিপীলিকা নামক এক বইয়ে। সেখানে একজন মূর্খ লেখকের উক্তি ছিলো,


- যাহা হারাবা তাহা নাহি ছিলো আপোনার,

যাহা মিলিবে,তাহাও কভু হইবেনা আপোনার।

জীত পরাজিত এই জগৎ সংসারে, 

উপস্তিতি বস্তুর মালিকই আপোনা।


এই মূর্খ লেখকের উক্তিটাকে জীবনের সাথে মিলিয়েই এতোটুকু এসেছে রিয়াজ। যাইহোক, আজাইরা বকবক করে লাভ নেই। ফিরে আসি উপস্থিত ঘটনায়।

রিয়াজ নিছে এসে নাস্তা শেষ করেই চলে গেলো ঝাকানাকা বাবার কাছে।এই ঝাকানাকা বাবা হচ্ছে ভূত প্রেতের রাজা। উনি নাকি যেকোনো অশরীরীকে নিজের আয়াত্তে আনতে পারে। এরপর বন্দি করেও ফেলতে পারে। রিয়াজ উনার খোজ পেয়েছে একটা ফেসবুক পেজে। উনার পেজের নাম " কাব্য  "। ( সার্চ করে লাভ নাই। ইহা ভূয়া সংবাদ)  


রনিকেও সাথে করে নিয়ে যায়। ঝাকানাকার ফাকা রুমে প্রবেশ করে রিয়াজ উনার সামনে বসে। উনি তখন চোখ বন্ধ করে ধ্যানমগ্ন হয়ে আছে। বিড়বিড় কি যেনো বলছিলো। হটাৎ একটা চিৎকার দিয়ে উনি মন্ত্র পড়া শুরু করে, 


- ওম ক্রম অপেরা মিনি,

গুগুল ম্যাফ আপা মনি,

ক্রং বং হু হা,

ঝাকানাকা বাবা হা হা হা। 


হটাৎ এই মন্ত্র শুনে রনি এক লাফে রিয়াজের কোলে উঠে যায়। 

রিয়াজ রনিকে নামিয়ে বলল, 

- ঝাকানাকা বাবা,আমার হেল্প লাগবে। 

- বল বাচ্চা,কি হেল্প।

যারা পুরো গল্পটা পড়তে চান,তারা আমার আইডিতে এড হবেন।তাহলে নেক্সট পর্ব দেওয়ার সাথে সাথেই নোটিফিকেশন পেয়ে যাবেন।না হলে পর্বগুলা মিস হবে।

এরপর উনাকে একে একে সব ঘটনা বলে রিয়াজ। উনি চোখ বন্ধ করে ঘটনা শুনেই যাচ্ছে। ঝাকানাকা বাবা রিয়াজের ঘটনা শুনতেছে,আর মাঝে মাঝে পেজের মেসেজের রিপ্লে দিচ্ছে। রনি রিয়াজকে কানে মুখে বলল," উনি কি ভন্ড নাকি"।  রিয়াজ কোনো উত্তর দেয়নি।ভন্ড হোক আর যাইহোক,উপকার করতে পারলেই হলো। রিয়াজ উনাকে সব বলার পর উনি বলল,


- আজ রাত সাড়ে বারোটায় আমি তোকে মেসেঞ্জারে নক দিবো।

- মেসেঞ্জারে কেনো ঝাকানাকা বাবা, একটা মিসকল দিলেই আমি ব্যাক করবো।

- মিসকলের টাকা নেই। ৫০ এমবি আছে ফোনে। 

- ওও আচ্ছা, হ্যা তারপর আমি কি করবো।

- তুমি তখন তোমার বউকে নিয়ে জানালার পাশে আসবে। 

- ব্যালকনিতে? 

- হ্যাঁ, আর আমি তখনি শুরু করবো আমার কাজ।

- ব্যালকনিতে গিয়ে কি দাড়িয়ে থাকবো?

- না, তোমার বউকে আদর করবা। নইলে তো জ্বীন বের হবেনা। 

- আচ্ছা দয়াল বাবা। 

- দয়াল বাবা না বাচ্চা।

- ওও সরি,ঝাকানাকা বাবা। 

- হ্যা,এবার যাও। 

- আচ্ছা। 

- শুনো, কিছু দিয়ে তো যাও।

- ওও সরি,ওয়েট দিচ্ছি।

যারা পুরো গল্পটা পড়তে চান,তারা আমার আইডিতে এড হবেন।তাহলে নেক্সট পর্ব দেওয়ার সাথে সাথেই নোটিফিকেশন পেয়ে যাবেন।না হলে পর্বগুলা মিস হবে।

উনাকে এডভান্স ১০০ টাকা দিয়ে রনি আর রিয়াজ বের হয়ে গেলো। রনি কখন থেকে জ্বলতেছে। কিন্তু কিছুই তো করার নেই। সফল হলেও তো হতে পারে। রিয়াজ বাসায় গেলো। গিয়ে দেখে মিম শুয়ে শুয়ে কেদে যাচ্ছে৷ রিয়াজ মিমের পাশে বসে বলল,

- চিন্তা করোনা। আজ এক তান্ত্রিক আসবে। জ্বীনকে তাড়ানোর জন্য।

- কি বলো। কে সে।

- চিনবেনা। রাত সাড়ে বারোটায় আসবে।

- পারবে তো? 

- মনে হয়। দেখি। 

- আচ্ছা।


দুপুর গেলো বিকেল এলো। বিকেল গেলো সন্ধা এলো। সন্ধা গেলো রাত এলো। রাত  যায়নি এখনো।  ঘটনা শুরু এখান থেকে।

১২ টা বেজে গেছে। একটু পর মিশন স্টার্ট হবে। আর এরপর হয়তো কোনো বিপদ থাকবেনা। সাড়ে ১২ টা বাজতেই রিয়াজের ফোনে মেসেজ এলো ঝাকানাকা বাবার। লেখা আছে " hlw bro..suro koira daw, now "। 

রিয়াজ আর দেরি করেনি।


রাত ০৩:২৩ মিনিট।  রিয়াজের ঘরের কিছুই ঠিকঠাক নেই। রিয়াজ অজ্ঞান ছিলো।মাত্র উঠলো শুয়া থেকে। উঠে দেখে মিম এখনো ফ্লোরে অজ্ঞান অবস্থায় পড়ে আছে। আলমারির উপর থেকে লটকে আছে ঝাকানাকা বাবা।  উনার মুখে মাইরের দাগ। যেনো কেও উনার মুখে লাথি ঘুষি মেরে চেপ্টা বানিয়ে ফেলছে। রিয়াজ মনে করতে লাগলো,১২: ৩০ মিনিটের পর কি হয়েছিলো। 


 পর্ব - ৪ ও শেষ 


-----------------

রাত ০৩:২৩ মিনিট।  রিয়াজের ঘরের কিছুই ঠিকঠাক নেই। রিয়াজ অজ্ঞান ছিলো।মাত্র উঠলো শুয়া থেকে। উঠে দেখে মিম এখনো ফ্লোরে অজ্ঞান অবস্থায় পড়ে আছে। আলমারির উপর থেকে লটকে আছে ঝাকানাকা বাবা।  উনার মুখে মাইরের দাগ। যেনো কেও উনার মুখে লাথি ঘুষি মেরে চেপ্টা বানিয়ে ফেলছে। রিয়াজ মনে করতে লাগলো,১২: ৩০ মিনিটের পর কি হয়েছিলো। 


মাথায় হাত রেখে বিছানার সঙে হেলান দিয়ে আছে রিয়াজ। ফ্লোরে পা দুটি মেলে ভাবছে,কি হয়েছিলো তখন। কি বা হলো,যাতে করে ঘরের আসবাবপত্র এতোটা এলোমেলো। রিয়াজ মনে করতে লাগলো ঝাকানাকা বাবার মেসেজের পর থেকে।


 উনার মেসেজ পাবার পর রিয়াজ ব্যালকনিতে যায়। মিমকে জড়িয়ে ধরে এক রোমান্টিক মুহুর্তে হারিয়ে যায়। ঠোঁটে ঠোঁটের চুম্বনে এই কোন অনুভূতির মাঝে হারিয়ে গেলো। তখনি পূর্বের মত আম গাছটা নড়ে উঠে৷ রিয়াজ সঙে সঙে মিমকে রেখে সেদিকে তাকায়৷ তাকিয়ে দেখে সেই পাখিটিই ডালে বসে আছে। যার মাথাটা মানুষের মত,আর দেহটি পাখির মত৷ রিয়াজের রুমের লাইট অফ৷ চাদনি আলোয় ঝাপসা ভাবে পাখিটিকে চিহ্নিত করা যায়। বাসার গেইটে লাগানো লাইটের এক চড়াক আলো এসে পড়েছে পাখিটির গায়ে। রিয়াজ এদিক সেদিক তাকিয়ে ঝাকানাকা বাবাকে খুজে চলছে৷ উনাকে কোথাও দেখা যাচ্ছেনা।ভন্ড ভেবে রিয়াজ কিছুটা ভয়ও পায় বটে৷ কিন্তু সেই ভয় কাটিয়ে হটাৎ ঝাকানাকা বাবার আগমন ঘটে। উনি আমগাছের উপরেই ছিলো। পাখিটি যে ডালে ছিলো,ঠিক তার উপরের ডালেই লুকিয়ে ছিলো ঝাকানাকা বাবা৷ উনি মন্ত্র শুরু করে,


- আকালে যাকালে ফু পা ফুউ,

সর্বছাড়া ঝাকানাকা ভাবার ঘরে নাই বউ,

চিটখানি তোর চক্ষু গভীর,

অতলে হারিয়ে খা।

আমার মন্ত্র পড়বে গিয়ে,

যা সোনাডা বাড়ি যা..... 


ঝাকানাকা বাবা এই মন্ত্রটা পড়েই উপরের ডাল থেকে জ্বীনের গায়ে ঝাপ দেয়৷ আর তখনি জ্বীনটা পাখি থেকে মানুষের রুপ ধারণ করে,ঝাকানাকা বাবাকে এক থাপ্পড়ে রিয়াজের জানালা ভেঙে রুমে ঢুকিয়ে দেয়।ঝাকানাকা বাবার এই করুন হাল দেখে রিয়াজ আর মিম ব্যালকনি ছেড়ে রুমে চলে আসে। এসে দেখে ঝাকানাকা বাবা বিছানায় লম্বা হয়ে শুয়ে আছে। সম্ভবত অজ্ঞান হয়ে গেছে৷ রিয়াজ ঝাকানাকা বাবাকে ডাকতে গিয়ে দেখে, বিছানার সামনে হটাৎ দেই জ্বীন হাজির হয়। কেমন যেনো অদৃশ্য থেকে দৃশ্যমান হয়ে যায়। রিয়াজ উনাকে দেখে আর না এগিয়ে ফ্লোরে পড়ে যায়। লম্বাতে লোকটি প্রায় ৯ ফুট। পুরো রুমের সিলিং এ উনার মাথা স্পর্শ হচ্ছে৷ রিয়াজ হাত পা ছিটকিয়ে পিছনে আসার চেষ্টা করে। কিন্তু,,, তার আগেই সেই জ্বীন তার হাত লম্বা করে রিয়াজের গলা টিপে ধরে৷ রিয়াজ জ্বীনের হাতটি ধরে ছুটতে চেষ্টা করছিলো।আর তখনি অনুভব করলো, উনার হাতটি অনেক ঠান্ডা। একেবারে যেনো ফ্রীজ থেকে মাত্র হাতটি এনেছে। বরফ হয়ে যাচ্ছে রিয়াজ। জ্বীনটি এবার অন্য হাত দিয়ে মিমকে এক চড় মারে,সঙে সঙে মিম সেখানেই অজ্ঞান হয়ে পড়ে যায়। রিয়াজের হয়ে যায় মেজাজ গরম। তখনি রিয়াজ চোখ মুখ লাল করে জ্বীনের দিকে তাকিয়ে বহু কষ্টে বলল," শয়তান, কে তুই। অন্যের স্ত্রীর গায়ে হাত তুলতে তোর বিবেকে বাধেনা? "। রিয়াজের এই কথা শুনে জ্বীনটি রিয়াজকে ছুড়ে মারে দেওয়ালে। রিয়াজ উড়ে গিয়ে উপচে পড়ে দেওয়ালে,আর তারপর ফ্লোরে। ফ্লোরে রিয়াজ শুয়ে আছে। অনেক ব্যাথা পেয়েছে। বহু কষ্টেও উঠতে সক্ষম হচ্ছেনা। এরপর জ্বীনটি রিয়াজকে বলল, " জানতে চাস তুই? কেনো আমি মিমকে ছাড়ছিনা। তবে শুন। 

আজ থেকে আরো ১৫ বছর আগের কথা। তখন মিমের বয়স বয়স ছিলো মাত্র চার বছর। আমি থাকতাম একটা নারিকেল গাছে৷ নামাজ পড়ার জন্য সবসময় একটা নির্দিষ্ট জায়গায় যেতাম আমি। যেটা মানুষরা নিজের হাতে বানিয়েছে। একটা মাদ্রাসা ঘর ছিলো। একদিন সন্ধা আমি নামাজ পড়তে সেখানে যাই। আর গিয়ে দেখি ওখানে কয়েকজন লোক মাদ্রাসা ভেঙ্গে দিচ্ছে। আমি কিছু করতে পারিনা,কারণ ওটা ওরাই বানিয়েছে। কিন্তু ফিরে আসার সময় আমি দেখলাম আমার পিছনে মিম দাড়িয়েছিলো। ছোট একটি মেয়ে। কি আর বুঝে। আমি মানুষের রুপ নিয়ে দাড়িয়েছিলাম। তখন মিম আমাকে বলল, " হুজুর, আপনার মাদ্রাসার ছাত্রদের সাথে এই ছেলেগুলোর ঝগড়া হয়েছে। তাই ওরা মাদ্রাসা ভেঙে দিচ্ছে চুরি করে "।  মিমের কথাটা শুনেই আমার ভালো লেগে যায় তাকে। এতোটুকু একটা মেয়ে এত বড় দায়িত্ব কিভাবে নিতে পারে। এরপর সে বলল " আচ্ছা চলেন হুজুর, আমরা মাদ্রাসা ভাঙা বন্ধ করি। নইলে ইসলাম শিক্ষা দেওয়ার ঘরটা ভেঙে যাবে "।  এই কথা শুনে আমি আরো দুর্বল হয়ে যাই। এরপর দেরি না করে,সেই মাদ্রাসার হুজুরের রুপ নিয়ে ছেলেগুলোকে তাড়া করি। তারাও চলে যায়। মিম আমাকে ঠিক চিনতে পারেনি। তাই ভেবেছো হুজুর। কিন্তু আমি রুপ পাল্টানোর কারণে সে ভয় পেয়ে যায়। আর ওমনি ঘুরে পড়ে যায়। আমি ওর পুরোনো স্মৃতিগুলো মুছে দিয়ে,ওর বাড়ির পিছনে রেখে আসি। আর তখন থেকেই অপেক্ষায় আছি,মিমকে নিয়ে যাওয়ার। আর মাত্র ৩ মাস পর সময় হবে। এরপর আমি মিমকে নিয়ে যাবো আমার রাজ্বে।"। 

কাল সকালে আমার আইডিতে নতুন গল্প পোস্ট করব।যারা পড়তে চান তারা এক্ষুনি আমার আইডিতে এড হয়ে নিন।আশা করি গল্পটা আপনাদের খুবই ভালো লাগবে। কাব্য পেইজ

জ্বীন কথাগুলো বলেই হাসতে লাগলো জোরে জোরে৷ পৈশাচিক হাসিটাও মনে হয় সুন্দর এই জ্বীনের হাসির থেকে। ঠিক সেই মুহূর্তে রিয়াজও হাসতে লাগলো জোরে জোরে৷ জ্বীন এবার থেমে যায়। রিয়াজ কেনো হাসছে,তা নিয়ে চিন্তায় পড়ে গেলো। জ্বীন রিয়াজকে বলে,

- তুই হাসিস কেন।

- তুই শালা একটা মফিজ।

- মানে? 

- একটা ছোট মেয়ে কি না কি বলেছে,আর তুই ওর প্রেমে পড়ে গেছিস? এই,তুই কি জ্বীনের দেশের পাবনা নামক এলাকায় থাকিস? 

- আমাদের রাজ্ব্যে পাবনা নামক কিছু নেই।

- তাইলে নিশ্চিয় পৃথিবীরর পাবনায় থাকতিস।


রিয়াজ কথাগুলো ইচ্ছা করেই বলে যাচ্ছে। কারণ ঝাকানাকা বাবা অজ্ঞান থেকে হুশে এসেছে। বিছানা ছেড়ে ঝাকানাকা বাবা একটা তাবিজ হাতে নেয়। আর চুপি চুপি জ্বীনের পিছনে আসে। জ্বীন প্রথমে কিছু না জানলেও, পরে টের পেয়ে যায়। আর ওমনি বসা থেকে উঠে ঝাকানাকা বাবাকে আরেক থাপ্পড় দেয়৷ ঝাকানাকা বাবা উড়ে গিয়ে টেবিলে পড়ে। ভেঙে যায় টেবিল। আবার ধরে নিক্ষেপ করে ড্রেসিং টেবিলের দিকে। আয়না সহ ভেঙে ঝাকানাকা বাবা হাবা হয়ে গেছে। আর পর জ্বীন ঝাকানাকা বাবাকে ধরে আলমারির উপরে মারে। আলমারির উপরের কাটের সঙে ঝাকানাকা বাবার পা আটকে যায়। আর ঝুলে যায় আলমারিতে। ঝাকানাকা বাবা অজ্ঞান হওয়ার আগে রিয়াজকে বলল," আজকে ভাত কম খাইছি। নইলে দেখাইতাম"।  বলেই অজ্ঞান হয়ে গেলো।


রিয়াজ এবার নিজেই মফিজ হয়ে গেলো। এই কেমন বাবা। জ্বীনটা রাগে রিয়াজের দিকে এগিয়ে আসতেই পিছন থেকে মিম বলল,


- রিয়াজ স্পর্শ করলেই আমি নিজেকে নিজে হত্যা করে ফেলবো। ( কথাটা মিম জ্বীনের উদ্দেশ্যে বলে। জ্বীনটা দেখে,মিমের হাতে ভাঙা আয়না। অর্থাৎ ড্রেসিং টেবিলের ভাঙা আয়না। নিজের গলায় নিজেই ধরে আছে। ভয়ে জ্বীনটা বলল,)

- না মিম, এইটা করোনা। কখনো না।

- তাহলে তুই আমার লাইফ থেকে চলে যা। আমি তোকে চাইনা।কাল সকালে আমার আইডিতে নতুন গল্প পোস্ট করব।যারা পড়তে চান তারা এক্ষুনি আমার আইডিতে এড হয়ে নিন।আশা করি গল্পটা আপনাদের খুবই ভালো লাগবে।

- আমি তোমাকে আমার বউ করতে চাই মিম।

- আমি এখন অন্যের বউ৷ রিয়াজ আমার বিবাহিত স্বামী। যদি আমি রিয়াজকে না পাই,তবে আমাকে কেও পাবেনা৷ আমি নিজেই মরে যাবো।

- আচ্ছা আচ্ছা,আমি তাকে মারবোনা।

- তুই আজ থেকে আমার জীবন থেকে সরে যা। আর কোনোদিন আমাকে সমস্যায় ফেলবিনা।

- ঠিক আছে ঠিক আছে, যাচ্ছি।

আর কখনো আসবোনা আমি। তুমি সুখে থাকো।

- হ্যাঁ, তুই গেলেই আমি সুখি হবো। তার আগে না। 

- ঠিক আছে যাচ্ছি। 


এ বলেই জ্বীনটি বাতাসের গতীতে উড়ে চলে যায়। যেনো কোনো বিজলি চমকে উঠেছিলো। পুরো রুমটা একবার কেপে উঠেছে। আর ওর গতি এতোই বেশি ছিলো যে,যার ফলে রুমে একটা বাতাস সৃষ্টি হয়,আর সব কিছু এদিক সেদিক উপচে পড়ে। সাথে মিম আর রিয়াজও। আর কিছু মনেই নেই। অর্থাৎ অজ্ঞান হয়েছিলো৷ রিয়াজ ইয়েএএ বলে এক চিৎকার দেয়। আওয়াজে লাফিয়ে উঠে মিম। মিম উঠেই রিয়াজকে জড়িয়ে ধরে। রিয়াজও মিমকে শক্ত করে ধরে। এতদিন পর অভিশাপ মুক্ত হলো তাহলে। এমন সময় ঝাকানাকা বাবার জ্ঞান ফিরে এসেছে। রিয়াজ আর মিম ঝাকানাকা বাবার দিকে তাকিয়ে আছে। ঝাকানাকা বাবা উঠেই বলতে লাগলো,

- কই জ্বীন,সামনে আয়, হাই ফাই ফু, শেষ কইরা দিমু, মাইরালামু,হাড়িয়ালামু,খাইয়ালামু।


ঝাকানাকা বাবার কথা শুনে রিয়াজ বিছানা ছেড়ে উঠে রুমের দরজাটা বন্ধ করে। 


***************সমাপ্ত***********


পর্বের আরও গল্প পড়ুন।