খুব রোমান্টিক গল্প | রোমান্টিক প্রেমের গল্প ২০২৪

রোমান্টিক ভালোবাসার গল্প

রোমান্টিক ভালোবাসার গল্প

 চার বছর পরে দেশে ফিরে বউয়ের মুখে ভাইয়া ডাকটা শুনে মেজাজ টা খারাপ হয়ে গেল। তবুও নিজেকে সংযত করে বললাম:


হৃদয়: আমি তোমার ভাই হবো কেন? কে বলেছে আমি তোমার ভাইয়া।


নীলিমা: আপনার আম্মু আব্বু তো আমাকে তাদের কে আম্মু আব্বু বলে ডাকতে বলেছে। তাহলেতো আপনি ভাইইয়াই হন।😃


হৃদয়: আরে আমি তোমার ভাইয়া হতে যাবো কোন দুঃখে। আমি তোমার স্বামী, বর বর।😠


নীলিমা: ওকে এখন থেকে বর বলে ডাকবো?😌


হৃদয়: নাম ধরে ডাকবে নাম নাম নাম! আমার নামটা জানো তো?🙄


নীলিমা: হ্যাঁ জানি তো।😀


হৃদয়: কি বলতো?🙂


নীলিমা: হারামজাদা।😇


হৃদয়: কি কে বলেছে এটা?😠


নীলিমা: আপনার আম্মু!🤐


কথাটা শুনে আমি আম্মু বলে চিৎকার করে উঠলাম। আম্মু ছুটে এসে বলল:


আম্মু:কি হয়েছে?😳


হৃদয়: আমার নাম হারামজাদা😠


আম্মু: এমা তা হবে কেন।😐


হৃদয়: তুমি নাকি নীলিমাকে বলছো🙄


নীলিমা :সেদিন তুমি বললে না ওই হারামজাদা টার জন্য নাকি তোমার শান্তি নেই।😀


আম্মু :আরে ওটা তো আমি এমনি বলছি ওর নাম হৃদয়।😅


হৃদয়: হৃদয় বলে ডাকবে আমাকে ওকে?😑


নীলিমা:আচ্ছা🙃


আমি আর কথা না বাড়িয়ে ফ্রেশ হয়ে দুপুরের খাওয়া-দাওয়া করে বেরিয়ে পড়লাম আমার সেই চিরচেনা শহর টা ঘুরতে।


সারা বিকাল ঘোরাঘুরি করলাম। বন্ধুবান্ধবের সাথে দেখা করলাম অনেকদিন পর তাদের সাথে দেখা। একেকটা তো হাতির মত মোটা হয়ে গেছে। 😁


তাদের সাথে আড্ডা দিয়ে সন্ধ্যায় বাসায় ফিরলাম।


রাতে ডিনার শেষ করে রুমের দরজায় এসে দেখি নীলিমা খাটের মাঝখানে বসে আছে।


আমাকে রুমে ঢুকতে দেখে।


নীলিমা: কি করছেন? একটা মেয়ের রুমে ছেলেমানুষ হয়ে এত রাতে ঢুকছেন।বেরিয়ে যান এক্ষুনি।😠


হৃদয়: কিহ!😳


নীলিমা: আপনার একটা মেয়ের রুমে ঢুকতে লজ্জা করে না।😠


হৃদয়: আজব, আমিতো তোর বর।🙁


নীলিমা: তো, তাই বলে আপনি আমার রুমে আসবেন?🙄


হৃদয়: তো কোথায় যাব।🙂


নীলিমা: সেটা আমি কি করে বলব। 😐আম্মু......


আমি দৌড়ে গিয়ে নীলিমার মুখটা চেপে ধরলাম।


হৃদয়:এই আম্মুকে ডাকতেছিস কেন?😱


নীলিমা: আমি আম্মুকে বলে দেব তুমি আমার রুমে আসছো! তুমি ভালো না বদমাইশ খারাপ ছেলে কোথাকার লুচ্চা লাল টিকটিকি তেলাপোকা বান্দর হনুমান।😞


হৃদয়: আরে বোন আমি আসলে সমস্যা কোথায়? 😭


নীলিমা: আম্মু বলেছে কোন ছেলের সাথে কথাও না বলতে ইউনিভার্সিটিতে গিয়ে। সবার থেকে দূরে দূরে থাকতে। আর তুমি ডাইরেক্ট আমার রুমে চলে আসছো।😠


এতক্ষণে ব্যাপারটা আমি বুঝতে পারলাম। মনে হয় স্মৃতিশক্তি নষ্ট হওয়ার কারণে ভুলে গেছে স্বামী স্ত্রী কাকে বলে।😶


কি প্যারা এখন কি আমি বউয়ের সাথে থাকতেও পারবো না। 😭😭


হঠাৎ একটা আইডিয়া মাথায় আসলো।


হৃদয়: আচ্ছা আমার আব্বু আম্মু স্বামী-স্ত্রী তাই না?😪


নীলিমা: তো 🙄


হৃদয়: তারা তো একসাথে থাকে।😇


নীলিমা: হুমম।🤐


হৃদয়: এখন কি বুঝতে পারছিস। স্বামী স্ত্রী একসাথে থাকতে হয়।🙂


নীলিমা: ও আচ্ছা।🙄


যাক বুঝতে শেষ পর্যন্ত বুঝতে পেরেছে। আমিতো ভাবলাম আজকে আমাকে ঘরের বাইরে রাখবে। একটা মুচকি হাসি দিয়ে ঘরের ভেতরে ঢুকলাম।😃


আমি বাথরুম থেকে ফ্রেশ হয়ে এসে খাটে শুয়ে পরলাম। মনে মনে ভাবতেছি খাটে শোয়া নিয়ে আবার কি কাহিনী হয়।🙁


কিন্তু দেখলাম কিছু না বলে আমার পাশে এসে শুয়ে পড়ল।😃


যাক মনে হয় সবকিছু স্বাভাবিক করতে তেমন কষ্ট হবে না।😌


আমি একটু নীলিমার দিকে এগিয়ে আসতেই আমার হাত নীলিমার হাতের সাথে একটু স্পর্শ লাগতেই নীলিমা সজোরে এক ধাক্কা মেরে খাট থেকে দিল ফেলে।💔


এবার মনে হয় মাজা টা ভাঙলো গো....।😭


আমি খাট থেকে ঊঠে দেখি নীলিমা খাটের মাঝখানে বসে আছে। মনে হচ্ছে আছার মারি 😠


হৃদয়: ঐ আমায় ধাক্কা মেরে ফেলে দিলি কেন?😠


নীলিমা: তুমি আমার হাতে হাত দিলে কেন 🙄 তুমি একটা লুচু ছেলে। যাও সোফায় যাও।🤐


হৃদয়: আরে আমি কি ইচ্ছা করে হাত দিয়েছি? আর তুমি তো আমার বউ। তোমার গাঁয়ে হাত দিব না কার গাঁয়ে দিবো?☹️


নীলিমা: কি হাত দিয়েছ আবার বলছো কার গায়ে হাত দিব?😤


হৃদয়: আরে বউয়ের গায়ে হাত দিলে কি এমন হবে? আল্লাহ বাঁচাও আমায় 😭


নীলিমা: বউ বলে কি তার গায়ে হাত দেওয়া লাগবে নাকি? 🙄


হৃদয়: তো মানুষ কি বউকে বিয়ে করে নে বাক্সের ভেতর তুলে রাখে 🙄


নীলিমা: তুমি এর আগে কয়টা বিয়ে করছো? এর আগে বিয়ে না করলে তো জানার কথা নয় বর বউয়ের গায়ে হাত দিতে পারে।


হৃদয়: কয়টা মানে 🙄। তুমিই প্রথম।


নীলিমা: তারমানে আরো বিয়ে করার ইচ্ছা আছে?🤬


হৃদয়: কখন বললাম সে কথা?😐


নীলিমা: ওই যে বললে তুমি প্রথম। তারমানে দ্বিতীয় তৃতীয় চতুর্থ পঞ্চম আরো নিয়ে আসবে 🙄


হৃদয়: আমি সে কথা বলি নি।🤭


নীলিমা: আমি আর কিছুই জানতে চাই না তুমি এক্ষুনি সোফায় যাও।😤


হৃদয়: আর হাত দিবো না। থাকি না?😟


নীলিমা: যাবে না আম্মুকে ডাকবো?😒


হৃদয়: যাচ্ছি যাচ্ছি।😶


আমি আর কিছু না বলে সোফায় গিয়ে ঘুমিয়ে পরলাম। ধুর একসময় খাটে শোয়ার সুযোগ থাকলেও শুইতে চাইতাম। আর আজ খাটে শুইতে চেয়েও সোফায় শুতে হচ্ছে।😕


এভাবেই কেটে গেল অনেকদিন। আমি এখন নীলিমার যন্ত্রণায় পুরাই অতিষ্ঠ হয়ে গেছি। মনে হচ্ছে বাড়িঘর ছেড়ে এখন পাবনা যাই।🤯


বাড়িতে ফিরতেই ইচ্ছা হয় না। মেয়েটাকে বিয়ে করার পর থেকে আমার জীবনটা তেজপাতা হয়ে গেছে। আমি ডাইনে গেলে ও বামে যায় আর আমি বামে গেলে ও ডাইনে যায় ।😞


মনে হইতাছে সব কিছু ছাইড়া হিমালয় চলে যাই।😩


রাতে বেলকুনিতে বসে থেকে এসব ভাবতেছি। অনেক রাত হয়েছে নীলিমা এখনো আসলো না রূমে। তাই বের হয়ে আসছিলাম। রান্নাঘরের কাছে আসতেই যা শুনলাম তার জন্য মোটেও প্রস্তুত ছিলাম না।😱


নীলিমা: বড় আম্মু, হৃদয় তো এখন দেশে ফিরেছে। আর এতদিনে অনেক জ্বালিয়েছি। এখন কি সবকিছু স্বাভাবিক করে নিলে হয়না? অনেক দিনই তো স্মৃতিশক্তি হারানোর একটিং করলাম।😌


আম্মু: না নীলু, আরো কিছুদিন। ও তোরে অনেক কষ্ট দিয়েছে। আরও কিছুদিন এভাবে থাকতে দে।🌝


আমি এসব শুনে পুরোটাই হতভম্ব হয়ে গেলাম। তার মানে সবই অভিনয়। বাহ আমার মা ওই এর মাথা। যারে বলে ঘরের শত্রু বিভীষণ


আমি রাগে গজতে গজতে রুমে গেলাম। 


শেষ_বেলার_তুমি

পর্ব ০১

মোহম্মদ

 

-শেষ_বেলার_তুমি

পর্ব ০২

মোহম্মদ

 

অনেক কষ্ট রিমিকে ভুলে চার বছর পর দেশে ফিরে যখন ভাবলাম বউ নিয়ে সুখে সংসার করবো।তখন দেখি বউ স্মৃতি শক্তি হারিয়ে ভুলেই গেছে আমি তার স্বামী।কিন্তু তখনও অতটা খারাপ লাগে নাই, স্মৃতি শক্তি হারিয়ে রোজ এত্ত এত্ত জ্বালিয়েছে তখনও অতটা খারাপ লাগে নাই, যতটা খারাপ লাগছে যখন জানতে পারলাম সব কিছুই মিথ্যে অভিনয় ছিল।নীলিমা স্মৃতি শক্তিহীন না।মেজাজ খারাপ করে বেলকুনিতে দাড়িয়ে ছিলাম।

                                                                                   দেখলাম একটু পরে নীলিমা রুমে এসে খাটে শুয়ে পড়ল। মহারানী এখনই জানে না আমি জানতে পারে গেছি তার সব অভিনয়ের কথা ।আমি কিছু না বলে সোফায় গিয়ে শুয়ে পরলাম।


নীলিমা তা দেখে কিছুক্ষন আমার দিকে এক দৃষ্টিতে তাকিয়ে রইল। হয়তো কিছুটা অবাক হয়েছে। 


যে ছেলেটা রোজ তার সাথে খাটে শোয়ার জন্য বাহানা খুঁজত সে আজ নিজে থেকেই সোফায় শুয়ে আছে। অবাক হওয়ারই কথা।


একটু পরে নীলিমা উঠে আমার মাথার পাশে এসে দাঁড়ালো।


নীলিমা: সোফায় শুয়ে আছ যে।


হৃদয়: তো কোথায় ঘুমাবো।


নীলিমা: কোথায় আবার খাটে।


হৃদয়: না একটা মেয়ের সাথে খাটে ঘুমানো ঠিক হবে না।


নীলিমা: মেয়ের সাথে কথাই ঘুমাচ্ছ? তুমি তোমার বউয়ের সাথে ঘুমাচ্ছ। তুমি তো বললে বউয়ের সাথে ঘুমানো যায় না।


হৃদয়: এসব মিথ্যা বলেছি, তোমার সাথে থাকার জন্য।


নীলিমা: ও আচ্ছা।


নীলিমা আর কিছু না বলে চলে গেল। দেখলাম নীলিমার মনটা অনেক খারাপ।


আমি মনে মনে হাসতেছি। আমার সাথে অ্যাক্টিং!☹️


এবার বুঝবে নিলু কত ধানে কত চাল।😌কোন দিক দিয়ে যায় কোন দিকের হাল🤣


সকালে ঘুম থেকে উঠে ফ্রেশ হয়ে ব্রেকফাস্ট করতে গেলাম।


দেখলাম নিলু এসে আমার পাশের চেয়ারে বসতেছে। তা দেখে আমি উঠে অন্য চেয়ারে চলে গেলাম। নিল কিছু না বলে শুধু তাকিয়ে রইল।


আমারে অনেক জ্বালিয়েছিশ নীলু। ভেবেছিলাম দেশে ফিরে কোথায় বউ নিয়ে শান্তিতে সংসার করবো। আর তুমি কি করলে! অ্যাক্টিং । আমিও কম অ্যাক্টিং পারিনা। দেখো তোমার কি অবস্থা করি।


এরপর থেকে আমি আবার নিলুর সাথে তেমন কথা বলতাম না। রাতে সোফায় ঘুমাতাম, নিলু কথা বলতে আসলে এড়িয়ে যেতাম।


দেখলাম নিলু আবার কষ্ট পেয়েছে। কিন্তু আমি কি করবো বুঝতে পারছি না। আমি যদি আবার তাকে আপন করে নিতে যাই তাহলে সে আবার একটিং শুরু করবে।


কিছু ভাবতে না পেরে রিয়াজ কে ফোন করে বিকেলে দেখা করতে বললাম।


রিয়াজ:কি হয়েছে হঠাৎ তলব।


হৃদয়: আরে দোস্ত আর আমি প্যারা নিতে পারছিনা।


রিয়াজ:কি হয়েছে। খুলে বল আমায়।


আমি এরপর রিয়াজকে শুরু থেকে সব খুলে বললাম।


রিয়াজ: আসলেই চিন্তার ব্যাপার। আচ্ছা আমাকে একটু ভাবার সময় দে।


হৃদয়: আচ্ছা।


রাতে ব্যালকনিতে দাঁড়িয়ে ভাবছি রিয়াজ কি কোন উপায় বের করতে পারবে। এমন সময়ে রিয়াজের ফোন আসলো।


হৃদয় :হ্যালো


রিয়াজ: দোস্ত আইডিয়া পাইছি।


হৃদয়: যাক দোস্ত তুই আমারে বাচালি।


রিয়াজ: কাল আমার বাসায় আসিস সব বলবনি।


হৃদয়:ওকে।


রিয়াজ:গুড নাইট।


হৃদয়:গুড নাইট হ্যাভ এ নাইস ড্রিম।


আমি খুশি মনে যে ঘুমিয়ে পড়লাম। পরদিন রিয়াজের বাসায় চলে গেলাম।


কলিংবেল চাপতেই রিয়াজ এসে দরজা খুলে দিল।


আমি তো ভিতরে ঢুকে অবাক। আমার ছোটবেলার বান্ধবী সামিয়াও আছে এখানে।


হৃদয় কিরে তুই।


সামিয়া: হ্যাঁ আমি। শালা হারামী বিয়েতে তো দাওয়াতও দিসনে।


হৃদয়:সরি রে দোস্ত। সবকিছু হুট করে হয়ে গেছে।


সামিয়া:আচ্ছা ঠিক আছে।


রিয়াজ: ওটাই তোর ভাবি।


হৃদয়: মানে।


রিয়াজ: দুই বছর হলো আমাদের বিয়ে হয়েছে।


হৃদয়: শেষ পর্যন্ত বান্ধবীকে! শালা লুচ্চা তুই সেই লুচ্ছাই থেকে গেলি।


রিয়াজ: বান্ধবীকে পাওয়ার জন্যে একটু লুচ্চা হলে সমস্যা নাই 😅🙊🙈


সামিয়া: চুপ করবা! লুচ্চা কোথাকার।


রিয়াজ: আচ্ছাআচ্ছা।আমি সামিয়াকে তোদের ব্যাপারে সব কথা বলেছি। এবার তুই শোন কি করতে হবে।


এরপর রিয়াজ আমাকে সব কিছু খুলে বলল।


রিয়াজ: শোন তোরা দুজন এমন অভিনয় করবি যাতে মনে হয় তোরা অনেকদিন ধরে প্রেম করিস। আর নীলিমা এটা জানতে পারলে অবশ্যই সে রাগের মাথায় স্বীকার করবে যে তার স্মৃতিশক্তি নষ্ট হয়ে যায় নি।


 পরিকল্পনা মোতাবেক পরদিন আমি নীলিমাকে নিয়ে পার্কে গেলাম। পার্কে নিলীমাকে নিয়ে একটা বেঞ্চে বসে আছি।

পরিকল্পনা মোতাবেক সামিয়া পার্ক এল।


হৃদয়: তোমার আসতে এত দেরি হল কেন।


সামিয়া:আরে বলোনা রাস্তায় অনেক জ্যাম ছিল।


হৃদয়: ওকে।


আমি নীলিমা কে উদ্দেশ্য করে বললাম।


হৃদয়:নিলু এই হল সামিয়া। অনেকদিন আগে থেকে আমরা একে অপরকে ভালোবাসি।


আমার কথাটা বলার সাথে সাথেই দেখি নীলুর দুচোখ রক্তের মত লাল হয়ে গেছে।


আমি নীলুকে আর একটু রাগানোর জন্য বললাম।


হৃদয়:তুই এখানে একটু বসে থাক আমরা দুজন একটু ঘুরে আসি।


কথাটা বলে আমি যখন ঐ সামিয়াকে নিয়ে হাটা শুরু করব নিলু আমার সামনে এসে শার্টের কলার চেপে ধরল।


নীলিমা:ওই ওটা তোর কোন জন্মের গার্লফ্রেন্ড। আমাকে মিথ্যা বলিস!


হৃদয়:আরে অনেকদিন আগের।


নীলিমা :আবার মিথ্যা বলিস। ও তোর গার্লফ্রেন্ড না। কেন মিথ্যা বলছিস। বল কে ও?


হৃদয়: আরে তোর স্মৃতিশক্তি নষ্ট হয়ে যাওয়ায় তোর মনে নেই। ও আমার ছোটবেলার গার্লফ্রেন্ড।


নীলিমা প্রচন্ড রাগে ফুলতে ফুলতে মুখ ফসকে বলে ফেলল:


নীলিমা: আমার স্মৃতিশক্তি নষ্ট হয়ে যাইনি যাইনি যাইনি যাইনি যাইনি!🤯


হৃদয় :আরে অ্যাক্সিডেন্টে তোর স্মৃতিশক্তি নষ্ট হয়ে গেছে তাই তুই মনে করতে পারছিস না।😁


নীলিমা: বললাম না আমার স্মৃতিশক্তি নষ্ট হয়ে যায় নি।🤬


-শেষ_বেলার_তুমি

পর্বঃ৩ ও শেষ


নীলিমা: বললাম না আমার স্মৃতিশক্তি নষ্ট হয়ে যায় নি।🤬


হৃদয়: আরে আব্বু আম্মু বলেছে তোর স্মৃতিশক্তি নষ্ট হয়ে গেছে। তাই তুই মনে করতে পারছিস না ও আমার গার্লফ্রেন্ড তাই না সামিয়া!😁


সামিয়ার দিকে ঘুরিয়ে তাকিয়ে কথাটা বলতেই আবার নীলিমা চিৎকার করে বলে উঠলো


নীলিমা: বললাম না আমার স্মৃতিশক্তি নষ্ট হয়ে যায় নাই। তুমি আমাকে ছেড়ে বিদেশে চলে যাওয়ায় আমি এক্টিং করেছি। সবকিছু নাটক ছিল। সবকিছু সাজানো।😟


হৃদয়:তাই নাকি।🙄


নীলিমা: হ্যাঁ হ্যাঁ হ্যাঁ হ্যাঁ হ্যাঁ।


হৃদয়:আমার বিশ্বাস হয়না।


নীলিমা: তোমার বিশ্বাস করা লাগবে না।


নীলিমা কথাটা বলে আমাকে টানতে টানতে বাড়ি নিয়ে আসলো। রুমের ভেতরে আসতেই আমি আর আমার হাসি আটকে রাখতে পারলাম না।


নীলিমার দিকে তাকিয়ে একটা অট্টহাসি দিলাম। নীলিমা আমার দিকে অবাক হয়ে তাকিয়ে রইল। মেয়েটা হয়তো বুঝতে পারছে না কিছুই।


হৃদয়: যাক শেষ পর্যন্ত তাহলে স্বীকার করলি তুই এক্টিং করতে ছিলি!


নীলিমা: তার মানে?


হৃদয়: আমি সেদিন তোকে আর আম্মুকে রান্নাঘর এ কথা বলার সময় সব শুনেছিলাম।


নীলিমা: নীলিমা তার মানে তুমি সব জানতে।😠


কথাটা বলেই নীলিমা আমার বুকে কিল ঘুসি মারতে শুরু করলো। আমি নীলু কে শক্ত করে জড়িয়ে ধরে বললাম:


হৃদয়: সরি নীলু। আমি বুঝতে পারি নি তোমায় কবে ভালবেসে ফেলেছি। তুমি কি আমার আঁধার ঘরের আলো হবে?


নীলিমা: আগে বল সামিয়া টা আবার কে।


হৃদয়: আরে ও আমার ছোট্ট বেলার বান্ধবি। আর রিয়াজ এর বর্তমান বউ। আমাদের কথা শুনে ঐ এই আইডিয়া টা দেয়।


নীলিমা: তাইলে ঠিক আছে।


হৃদয়: কি ঠিক আছে।


নীলিমা: কিছু না। এবার আমায় প্রোপজ করো।


হৃদয়: আমি ওসব প্রোপজ টপোজ পারি না।


নীলিমা: কি অন্য মেয়ে বললেই নেচে নেচে প্রোপজ করতে। এখন নিজের বউকে প্রোপজ করতে পারো না 😠


হৃদয়: করতেছি করতেছি।


নীলিমা:হুমম।


আমি বেলকুনি থেকে একটা গোলাপ ধরা গোলাপ ফুল এর গাছের টব সহ্ নিয়ে এসে হাঁটু গীরে বসে বললাম:


হৃদয়:


 কবির লেখা যত কবিতা,   

 শিল্পীর আঁকা যত ছবি।

 তোর রূপের মায়ার কাছে,   

 হার মেনে যায় যেন সবই।


তুমি কি হবে আমার পথ চলার সঙ্গী,

রোজ করবো মোরা নিত্য নতুন ভঙ্গি।


নীলিমা: হুমম। তবে একটা জিনিস বুজলাম না। মানুষ ফুল দিয়ে প্রোপজ করে। তুমি ফুলের টব দিয়ে কেন।


হৃদয়: গাছের কাছে ফুল গুলো তার সন্তানের মতো। আমি চাই না আমাদের ভালবাসার চিহ্ন কারু সন্তান হারানোর হাহাকার না হোক।


নীলিমা: ঠিক বলছো! আমাদের উচিৎ এসব গাছ গুলোর যত্ন নেয়া।


হৃদয়: হুমম। ঐ শোন।


নীলিমা: কি।


হৃদয়: আমাদের মেয়ে কবে আসবে 😁


নীলিমা: যাহ লুচ্চা কোথাকার..........🙈


................................সমাপ্ত.....................


সত্যিকারের ভালোবাসা সব সময় পুর্নতা পায়। আর সত্যিকারের ভালোবাসো বলতে একমাত্র স্বামী স্ত্রীর ভালোবাসা কেই বুঝায়।।


বর্তমান যুগে আমরা প্রেম ভালোবাসা বলতে একটা ছেলে মেয়ের যে অবৈধ সম্পর্ক কে বুঝি তা সম্পূর্ণই হারাম। একটা কথা সবসময় মাথায় রাখবেন।


বিসমিল্লাহ বলে মদ খাওয়া,

আর গার্লফ্রেন্ড/বয়ফ্রেন্ডকে বউ/বর ভাবা একই কথা।


পরিশেষে এটাই বলি,

মহান আল্লাহ তায়ালা সবাইকে সঠিক বুঝ দান করুক।


বাস্তব জীবনের গল্প পড়ুন।