শাশুড়িরা কতটা জুলুম করে বউদের উপর | বউ শাশুড়ি

বউ শাশুড়ির ঝগড়া

বউ শাশুড়ির ঝগড়া

হারা*ম জা*দী বুড়ি বেডি তুই আমার বাড়িত কির লাইগা আইছোস। তোরে না কইছি আমার বাড়িত আর না আইতে।। 


হাঁপাতে হাঁপাতে ৬৫ বছরের বৃদ্ধ হাসিনা বেগম বললো 


দাঁড়ারে বউ এত দূর হাঁটি হাঁটি আসলাম। খুব জ্বর আইছে কয়ডা দিন রাখ আমারে।। 


বুড়ি হারামি দূর হ এইখান থেইকা। তোর ছোট পোলার কাছে যা, না হয়লে মেজ পোলার কাছে যা আমার এইখানে থাকবি না বুড়ি তুই।

ময়না কই গেলি..  বুড়িরে বাইর কইরা দরজাডা লাগাইয়া দে।। 


--- বউ আমারে একটু পানি দাও।৫ কিলোমিটার হাঁটি আইছি হয়রান লাগের।।


--- ময়না তাড়াতাড়ি ১ জগ পানি দিয়া বুড়িরে বিদায় কর। আমার ঘরে কোনো বুড়ির জায়গা হইবো না। বুড়ির পোলা এই খানে ঘর বানাইয়া রাখে নাই কারো লাইগা,,, যে আইয়বো তারে থাকতে দিমু।। 


ময়না --- দাদী লও পানি খাও।।  ধরো গাছের পাকা আমটা ও খাও।।।


বুড়ি খুশি মনে আমটা নিয়ে বাড়ির উঠোনে বসে আমটা  খেতে লাগলো।। 


ময়না তুই এই বুড়িরে কিরলাইগা আমার গাছের আম খাইতে দিছো। আমার গাছে আম যার তার লাইগা না।।

এটা বলে রাগে ফোঁপাতে লাগলো কমলা খাতুন। । 


বুড়ি তুই তাড়াতাড়ি যা আমার বাড়ি থেইকা। 


ময়না --- ও মা দাদীরে রাইখা দাও না তুমি আজকের দিন ডা।


কমলা খাতুন -- দরদ এত উতলায় উঠে কেরে। নিজের ভাত জুটেনা পেটের মধ্যে ঠিকমত আবার আরেজনরে রাখবো।। 


ময়না বুড়িরে বিদায় কইরা তাড়াতাড়ি দরজা বন্ধ কর আমি পাশের বাগানে কয়টা লাড়কি কুড়িয়ে আনি। 

উনুন ধরাবার মত কিছু নাই। 


কমলা খাতুন মুখে ভেংচিয়ে হাসিনা বেগমের সামনে দিয়ে বাড়ির বাহিরে চলে গেলো। 


ময়না তার দাদীরে পাশের একটা ঘরে এনে রাখলো। তারপর কচুর লতি দিয়ে পান্তা ভাত খেতে দিলো। 


তার দাদী কাঁদতে কাঁদতে বললো 

ময়না রে আজকে আমারে কেউ দেখে না। আমার খবর কেউ লই না। সবাই আমার দূর দূর করে রে ময়না। 

তোর মার লগে জোয়ান কালে কম অত্যাচার করিনি আমি। হের লাইগা তোর মা আমারে দেখতে পারে না। 

কি করমু ক মেঝ পোলা ঘাড় ধইরা ফজরের নামাজের পর বাইর কইরা দিছে। 

কয়েকঘন্টা উঠানের সামনে বইসা আছিলাম। কিন্তুু কিছু খায়তে ও দিলো না।। 

পরে আস্তে আস্তে তোগো বাড়ি আয়লাম।। 

ময়নারে ভালো লাগের না একটু ঘুমামু।। 


ময়না--- হ দাদি তুমি ঘুমাও।।  দাঁড়াও তোমারে একটা শরীরের বেদনা দূর হইবার ওষুধ আইন্না দিতাছি।। 


ও দাদী লও ওষুধ খাও... 

তুমি শুইয়া পড়ো আমি কাথা তোমারে গায়ে দিতাছি।। 


ঘরে কেউ নাই এই ফাঁকে ময়না আয়না নিয়ে একটু লিপি স্টিক লাগিয়ে নিলো।। 

ময়নার বয়স ১৩ বছর। এ সময়টা বয়ঃসন্ধিকাল।।  


পাশের বাড়ির শাপলা আসলো ময়নার কাছে।। 


ও ময়না কি করোস তুই আমারে একটু দে আমি ও একটু লিপি স্টিক লাগায়।


ময়না-- ধর ধর দে ভালো কইরা দে। 


কমলা খাতুন হাঁক ছাড়তে লাগলো ময়না ধর লাকড়ি গুলা। 

মারে একটু পানি দে।।


ময়না তাড়াতাড়ি লিপি স্টিক মুছে কমলা খাতুন কে পানি এগিয়ে দিলো।। 


কামলা খাতুন--- মারে তাড়াতাড়ি চুলায় ভাত দিয়া দে। তোর ভাই কাম থেইকা আসলে ভাত খুঁজবো।। 


ময়না-- মা দাদীর জ্বর আইছে ঘুমায়তেছে।। 


তোরে কেডা কইছে কাবিলাতি করতে। আমারে কম জালাইছে। 

যা ভাত আধা পাবা বাড়াই দিস। 

বুড়ি মরে ও না আমারে না জ্বালাইলে তো হের শান্তি হইবো না।। 


তুই রান্না কইরা ল তাড়াতাড়ি আমি বিল থেইক্কা কিছু গরুর গোবর খুঁজে আনি। 

শিম গাছের গোড়ায় দিমু উর্বর হয়বো।। 


ময়না ভাত আর, লাউ কদুর তরকারি রাঁধলো। 


কমলা খাতুন গোবর খুঁজে এনে শিম গাছের গোড়াতে দিয়ে গোসল সেরে আসলো। 

এরপর সবাই মিলে ভাত খেতে বসলো।

বিলের মধ্যে কামলার কাজ করে ওর ছেলে জামিল। 

বয়স ১৬ বছর।।


ময়না গিয়ে ওর দাদীরে ও ডেকে আনলো।। 


বুড়ি আসলো।।

 

বুড়িকে দেখে কমলা খাতুন বলতে লাগলো আসেন আসেন খাইয়া আমাকে উদ্ধার করেন। 


আজকের রাইডটা থাইকা কালকে দয়া কইরা বিদায় নিবেন।। 

আপনারে আমার দু চোখে সহ্য হয়না। 


হাসিনা বেগম ভাতের মধ্যে কাঁদতে কাঁদতে  বললও বউরে আমারে বিদায় করিস না।। 

মেঝ পোলার বউ খালি কাম করায় এ বয়সে আর শরীরে দেয় না কাম করতে। 

আমার মইয়ার কাছে গেলে মইয়া ও ধানের কাম করাই। 

আর কুওার মতো করে। গায়ে হাত তুলে। তোর ২ টা পায়ে ধরি মা আমারে বিদায় কইরা দিস না। 

এই বৃদ্ধ বয়সে কই যামু মা।। 


হয়ছে আর নাটক করোন লাগবো না ভাত খাইয়া লন।। 


সবার ভাত খাওয়া শেষে কমলা খাতুন উঠানে কাঁথা নিয়ে বসলেন।। 

 ময়না ও মায়ের সাথে কাঁথা সেলাই করার জন্য বসলো।। 


ময়না--- আইচ্ছা মা তুমি দাদীর লগে এই রকম কইরো না। আমার কষ্ট লাগে বুড়া মানুষ। 


এখন তো কষ্ট লাগবোই।। কারণ তুই এই কষ্ট বুঝবি না। 


তোর বয়সে আমারে তোর দাদী আমারে পছন্দ কইরা হের বড় পোলার লাইগা লইয়া যায়।। 

আমার বাপ আছিল না। ২ ডা ভাই আছিল। ভালোই চলতো আমাগো সংসার আমার ২ ভাইয়ের ইনকামে।। 


আমি শশুর বাড়িতে পা রাখি লাল টুকটুকে বউ সাইজ্জা কত স্বপ্ন লইয়া।। 


বিয়ার দিন ১৫০ জন মানুষ আইবার কথা আছিল বরযাএী। 

কিন্তুু আসলো ২৫৪ জন।।  

এত মানুষ বাড়তি।। 

পরে রান্না আবার বসানো হইলো। কিন্তুু রান্না হয়তে হয়তে বিকাল ৫ টা বেজে যায়।। 

২য় বারের রান্নায় শুধু মাছ আর মুরগি রান্না হয়। গরু বা ডিম দেওয়া হয়না।। কারণ ওই মূহুর্তে এত টাকা আছিল না। 

এক মুরগীর ব্যবসাী থেকে বাকিতে মুরগি আনা হয়।। 


হের লাইগা শশুর বাড়ির সবাই কত কথা শুনায়লো। 

আমরা ছোট লোক।বিয়ার দিনই বলা শুরু করলো বহুত ভুল করছে আমাগো লগে আত্মীয়ত্বা কইরা।।


আমারে আধা ভরি গয়না দেওয়ার কথা আছিল। বিয়ের দিন সেটা ও দিলো না। শুধু নাক ফুল দিছিলো। 

ভাইয়েরা বিয়ে ভেঙে দিতে চাইলো। 

কিন্তুু মান সম্মান এর ডরে মা বিয়ে ভাঙতে দিলো না।। 

এশার পর শশুর বাড়িতে প্রবেশ করেছি..

শাশুড়ীর প্রতিরাগ

পর্ব:০১

Nusrat Haq


শাশুড়ীর প্রতি রাগ 

২য় এবং শেষ খন্ড 

Nusrat Haq


শশুরবাড়িতে প্রবেশ করার পরপরই আমারে শাশুড়ী কইতেছিলো দেখ দেখ সর্বনাশী ঢুকলো। ঘরের ঘাস সহ জ্বইলা যাইবো। 


নতুন বউ আমি কিছু কইলাম না। অল্প বয়সী মাইয়া আমি কি কমু আর। আর মা বার বার কইয়া দিছে শাশুড়ীর মুখে মুখে যেন তর্ক না করি।। 


বিয়ের পরের দিনই আমারে কইলো বাড়ির উঠানে কয়টা গাছ কাটা আছে। ওগুলো যেন ছোট ছোট কইরা কাইটা সাইজ করে রোদে শুকায়ইতে দি। কারণ ওগুলো লাকড়ী হিসাবে জ্বালানো হয়বো।। 


বৌভাত আর হয়লো না। কারণ হেরা বৌভাত এসব নাকি পছন্দ করে না। 

বিকেলের দিকে মা আর ভাই আইসা আমারে দেইখা গেলো। 

আসার সময়  কত রকমের ফলমূল আর মিষ্টি আনলো। কিন্তুু আমার মা ভাইরে কয়টা শুধু চা বিস্কুট খায়তে ছিলো। 

ভাত ও খায়তে কইলো না। 

আমার ভাই আমারে বার বার কইলো যে ওখানে সংসার করোন লাগবো না চইললা আয়।হেরা মানুষ ভালো না যা বুঝন গেলো।। 

কিন্তুু আমার মা বললও জন্ম মৃত্যু বিয়ে সব আল্লাহর হাতে।। 

লাল শাড়ী গায়ে নিয়া ঢুকছো কাফন এর কাপড় গায়ে নিয়া বাহির হয়বা।। 


আমার জামাই আছিল হাবলা। তার মা যা বলতো তা শুনতো। এর বাহিরে কিছু শুনতো না।। 

আমারে শুধু রাতের বেলা শরীর পাইবার লাইগা চিনতো।। 

মুরগীর মাংস রাঁধলে আমাকে দিতো না। বলতো তরকারি দিয়া খা।

বাপের বাড়ি যাইতে চাইলে ও দিতো না বলতো ঘরের এত কাম কে করবে। 

নীরবে সব সহ্য কইরা পার করছি।। 


বছর ঘুরতেই আমার পোলা পেটে আসলো। কত কিছু খায়তে মন চাইতো৷ কিন্তুু খেতে পারতাম না৷ ভাইয়েরা এটা সেটা দিয়ে যেতো কিন্তুু তারা সবাই মিলেমিশে খেয়ে ফেলতো আমি ভাগে পেতাম না তেমন।। 


আমার বড় পোলা দুনিয়াতে আইলো।। আমার মা কত কিছু আনলো৷ 

সবাই পেট ভইরা খাইলো তাও তাদের শুকরিয়া বলতে কিছু নাই।।  


আমার বড় ভাইয়ের বিয়ে ঠিক হয়লো।কিন্তুু আমার শাশুড়ী আমারে যাইতে দেয় নাই৷ 

বলে আমার নাতি এখনও ছোট এসব বিয়ে শাদীতে যাওন লাগবো না। 

২০ জনের বিয়ের খাবার পাঠায় দিতে বলিও তোমার মা ভাইরে।। 

আমি সেদিন শুধু কান্না করে বুক ভাসাইলাম কিছু করার ছিলো না।। 


আমার বিয়ের ৪ বছর পর আমার মেজ জা আনলো। অনেক বনেদী ঘরের থেকে। ওরা অনেক বড় লোক৷ 

আমার শাশুড়ীর খুশি আর ধরে না।।  

মেজ বউ ঘুম থেকে উঠতো ৮ বাজে আর আমি উঠতাম ফজরের পরপর। 

আমার পোলডা আমার অনেক জ্বালাইতো রাতে ঠিক মত ঘুমায়তে ও পারতাম না। তাও উইঠা সবার নাস্তা বানান লাগতো। 

মেজ বউ নিজের কাজ ছাড়া কোনো কাজ করতো না।। 

তাও আমার শাশুড়ী ওরে কিছু বলতো না কারণ বনেদী ঘরের মেয়ে। 

আমাকে কথায় কথায় ফকির এর মাইয়া ডাকতো।। 

আমি আবার গর্ভবতী হই।। 

পেট লইয়া কাম করতে মন চাইতো না৷ তাও করতে হতো। 

আমার ছেলেডার কি জ্বর৷ ১ মাস পার হয় জ্বর ভালো হয়না। 

আমার শাশুড়ী ডাক্তার কাছে নেই না।কবি রাজী ওষুধ খাওয়াই শুধু। শাশুড়ী শুধু কবিরাজী লতাপাতা এনে দেয়। 

ডাক্তার কাছে নিতে দেয় না। 

পরে পোলডা আমার টাইফয়েড এ মারা যায়।। 


আমি হেই রাগে বাপের বাড়ি চইলা গেলাম।।আর আমার শাশুড়ী আমারে কইলো আমি নাকি ডং করি আমার পোলা মরছে আমার কোনো শোক বলতে নাই। 


আমার আর আনবে না। 

মায়ের ঘরে ২য় ছেলের জন্ম দিলাম। আমার পোলাডা হয়লো কেউ আমার পোলডারে একটু দেখতে ও আসলো না।। 

উলটো আরো শুনলাম আমার জামাইরে নাকি বিয়ে করাবে।। 

এদিকে আমার ছোট ভাইয়ের ও বিয়ে ঠিক হলো।। 

ঘরোয়া আয়োজন এ ছোট ভাবিরে নিয়ে আসলো।। 


আমার ভালো লাগতো না সবার কথা জামাই আর নিবে না হ্যান ত্যান। সবাই কেমন নিচু চোখে দেখতো। 

তবে কোনোদিন আমার ভাবীরা আমাকে কিছু বলে নাই। 

উল্টো উনারাই বলতো তোমার যাওয়া লাগবে না। তোমাগো রে আমরা পালতে পারমু৷ 

কিন্তুু লোক লজ্জার ভয়ে পোলডারে লইয়া নিজে নিজে চলে আসি। 

আসার পর কথা যেনো আরো বাড়তে লাগলো। বাপের বাড়িতে জায়গা হয় না তাই চলে আসছি। 

আমি বেহায়া বেশরম। 

এর মধ্যে আমার ছোট জায়েরে ও আনলো। 

আমার শাশুড়ীর খুশি আর ধরে না।। 


আমি হলাম ঘরের বান্দী আর ওরা ঘরের বউ।। 


আর আমার জামাই এর ইনকাম ও কম আছিল। আমার জামাই কিছু কইতে গেলে জুতা, এটা সেটা মারি দিতো।। 


অশান্তিতে আরো কয়টা বছর যায়। তুই ময়না পেটে আইলি।। 

তুই পেটে আসার পর আমার খুব মন চাইতো ইলিশ মাছের ডিম দিয়ে ভাত খায়।। 

কিন্তুু ডিম তো আর দেয় না।। একদিন বাজার থেকে অনেক বড় ইলিশ মাছ আনে।। 

মাছটা আমি কুটে রান্না করি। ২ টা বড় বড় ডিম হয়। 

আমি আর লোভ সামলায়তে না পেরে রান্না করার পরপরই ডিম গুলো চুরি করে খেয়ে ফেলি।। 


আমার শাশুড়ী ভাত খায়তে গিয়ে ডিম না দেখে আমাকে চুল ধরে চোর বলে অপবাদ দেয়।। 

আমি সেদিন কান্না ছাড়া কিছু বলতে পারি নাই। 

তুই ময়না দুনিয়াতে আসলি। 

তুই তো জানোস তোর যখন ৭ বছর বয়স তোর বাপ অসুস্থ হইয়া শয্যাশয়ী হয়ে যায়।। 

বাড়ি ভাগ করে ফেলে মেজ দেবর৷। 

তোর দাদী আমাগোরে ঘর থেকে বাইর কইরা দেয়।। 


তারপর আমার মা ভাইয়ে এই ভিটায় আমাদের কোনোরকম ঘর বেঁধে দেয়।বাপের ভিটায় থাকা এতটা সুখে ও না৷। 

চারপাশে জঙ্গল তোরা ছোট ছোট তার উপর তোর বাপে অসুস্থ   আমি ভয় পাইতাম।। 


তোর বাপে এত অসুস্থ থাকা অবস্থায় ও আমাদের খেতের কোনো ফসল কিংবা চিকিৎসার জন্য টাকা তারা দিতো না। 

অথচ আমার শাশুড়ী তার বাকি ২ বউ দের নিয়ে কত সুখে আছে।। 

তোর বাপ বিনা চিকিৎসায় মারা গেলো। আমি কিছুই করতে পারলাম না। 

মৃত্যুর পর আসলো নাটক কইরা কাঁদতে।। 

হায়রে আল্লাহ মানুষ কত রঙের হয়।। 


এজন্য তোর দাদীর প্রতি আমার কোনো মায়া আসে না রে মায়া আসে না।। 


ময়না---- ও মা দেখো না দাদী কেমন জানি করতেছে।। 


দৌড়ে গেলাম।। মুখে পানি দিলাম। আর তারে কালিমা পড়ালাম।। 

আমার শাশুড়ী দুনিয়া থেকে বিদায় নিলো।। 

তার মৃত শরীর টা দেখে বিন্দু মাএ আমার কান্না আসলো না। 

পোলডারে কইলাম যা কবর খুড়ার ব্যবস্থা কর সবাইরে খবর দে। হের পোলাদের ও খবর দে। 


গ্রামের মহিলারা এসে তারে শেষ গোসল করালো।


আমার মেয়ে ময়না অনেক সময় ধরে তার পাশে কোরআন শরীফ পড়লো। 

আমি তজবী নিয়ে তার কাফন মুড়ানো শরীর এর দিকে তাকিয়ে শুধু জিকির করতেছিলাম। 


 আমার টাকায় নতুন কাফন এর কাপড় পড়িয়ে মাগরিব এর পর বিদায় দেওয়া হলো মাটির ঘরে। 

তার উপর সমস্ত রাগ অভিমান সব সব মাফ করে দিলাম। 

হয়তো কয়দিন পর তার সাথে রোজ হাশরে আমার ও দেখা হবে।। 


তার কোনো সন্তান আসলো না তাদের খবর দেওয়ার পরে ও৷। মেজ ছেলের বউ ১ হাজার টাকা পাঠালো দাফন কাফন করার জন্য। 

সে টাকা আমি ফেরত পাঠিয়েছি।। 


এশার পর নামাজে দাড়িয়ে আল্লাহরে বললাম আল্লাহ উনারে জান্নাত দিয়েন আপনি সব গুনাহ মাফ করে দিয়েন।। 


সমাপ্ত....


এমন আরও অনেক গল্প পড়ুন।