আমি প্রবাসী
--মা ১০ টা বছর হলো তোমার মুখটা দেখিনা! এখন দেশে চলে যাই প্লিজ?
মা : তুই এতো নাটক জানিস । এখন মুখ দেখার দরকার নেই।
ছেলে : মা তোমাকে দেখার জন্যে এই মন ব্যকুল হয়ে আছে।
মা : দেশে আসে কি করবি হ্যা! আরো ৩/৪ বছর থাক তোর ছোট বোনটার বিয়েটা শেষ হোক আগে?
ছেলে : যাই না মা প্লিজ! আমার আর ভালো লাগেনা এই প্রবাস জীবন।
মা : আশ্চর্য তুই দেশে এসে কি করবি শুনি।
ছেলে : এতো দিনে যতো টাকা ইনকাম করছি ওই গুলা দিতে একটা ব্যবসা করবো।
মা : কিসের টাকা হ্যা। তোই ওই টাকা আছে নাকি শুনি।
ছেলে : নেই মানে। আমি যে ১০ বছর টাকা পাঠাইলাম সেই টাকা কি করলে তোমরা।
মা : কি আবার করবো। তোকে বিদেশ পাঠাইছি মানুষের কাছে টাকা ধার নিয়ে। সেই টাকা শোধ করছি। আবার আমরা খাইছি। তোর ছোট ভাইকে একটা বাড়ি করে দিছে।
ছেলে : ওহ! কিন্তু মা তুমি যে বলেছিলে তোর একটি টাকা ও নষ্ট হয়নি। সব টাকা আমানত ভাবে আছে।
মা : বলছি তা বলছি।
ছেলে : আচ্ছা ঠিক আছে সমস্যা নেই। মা তোমার শরীর কেমন আছে। সুস্থ আছো তো। ঠিক ভাবে ওষুধ খাচ্ছো তো।
মা: হ্যা ভালো আছি। এখন ফোন কাট পরে কথা হবে।
ছেলে : মা তুমি জিঙ্গেস করবে না আমি কেমন আছি।
মা : বিদেশে কেউ খারাপ থাকে নাকি। সবাই তো ভালোই থাকে। এখানে জিঙ্গেস করার কি আছে।
ছেলে : ওহ সেটাও তো একটি কথা।
মা : আচ্ছা ফোন রাখ কাজে যা এখন!
ছেলে : মা আর একটু কথা বলিনা। প্লিজ? আমার ফোন কাটতেই ইচ্ছে করতেছে না। বলিনা আর একটু কথা।
মা : তোর কোন কাজ নেই দেখে আমার ও কজ নেই।
ছেলে : ওমা এমন করো কেনো। তোমার সন্তানের সাথেই তো কথা বলতেছো। বলোনা আর একটু কথা।
--ছেলের এই কথাটি শেষ হতে না হতেই মোবাইটি টু টু টু টু টূ কেটে যায়। আর বুঝার শেষ নেই ছেলের যে মা বিরক্ত হয়েছে।
--তাই ফোনটি কেটে দিয়েছে?
--মন খারাপ করে ছেলে কাজে চলে যায়। তো কাজে এসে দেখে আজ পামওয়েল তৈলের গাছ পরিষ্কার করতে হবে।
--মন দিয়ে গাছটি পরিক্ষার করতেছে হটাৎ একটি মারাত্মক বিষধর সাপ বের হয়ে তার পায়ে কামর দেয়। ছেলেটি বুজতে না পেরে কাজ করেই যাচ্ছে। যখন সেই সাপের বিষটা পুরা শরীরের এ বিস্তার হয়। তখন ছেলেটি বুজতে পারে তাকে সাপ কামর দিয়েছে। কিন্তু সেই সময় আর ছেলেটির কিচ্ছুটি করার ছিলো না। এর ঠিক ১০ মিনিট পরেই মারাত্মক বিষের প্রভাবে ছেলেটি মা-রা যায় সেখানেই!!
--এর পরে কিছু প্রবাসি তার ফোনে মায়ের ফোনে কল দেয় ওর ফোন নিয়ে।
--ফোনটি রিসিভ করার সাথে সাথেই ওই দিকে থেকে আওয়াজ আসতেছে।
--এই তোকে বলছি না এতো ফোন দিবিনা। বিদেশে শুখে আছিস তো কাজ কাম নেই তেমন। সব সময় ফোন দিতে হবে দেশে ।
--এই কথাটি শুনেই একজন এই পাশ থেকে বলে উঠে।
--খালা আম্মা আপনাকে আর কেউ ডিস্টাপ করবেনা। আপনার টাকা বানানোর মেশিন টা আজ পরিপূর্ণ ভাবে নষ্ট হয়েছে। আপনার সন্তান মা-রা গিয়েছে। আমার লাশ পাঠানোর ব্যবস্তা করতেছি। অন্তাত্ত তার মৃ'ত দেহ টাকে দেশের মাঠিতে কবর দিয়েন।
--কি হয়েছে আমার ছেলের!
--আপনার সন্তান আর এ পৃথিবীতে নেই। ও কে সাপ কামর দিয়ে ছিলো সেখানেই মা-রা গিয়েছে।
--এই কথাটি শুনেই মা কান্না করতে থাকে।
--আর এই দিকে কিছু প্রবাসি মিলে তার মৃ'ত দেহটায় টেপ পেছিয়ে দেশে পাঠিয়ে দেয়।
( আমরা এই প্রবাসিকেই ঘৃনা করি। এই প্রবাসিকেই নাটকবাজ বলি। এরাই নকি অযোগ্য মানুষ । আমি হাসিব বলি এটাই হলো দেশের খাটি সোনা। এরাই দেশের রত্ন। এটাই দেশের একটি শক্তি! )
ভালোবাসা নিও প্রিয় প্রবাসি ভাইয়েরা আমার 💝
★সত্য ঘটনা অবলম্বনে★
★সমাপ্ত★