বাস্তব জীবন নিয়ে স্ট্যাটাস | জীবনের কিছু বাস্তব কথা

  • সমাজের কিছু বাস্তব কথা

সমাজের কিছু বাস্তব কথা

 জমজ কন্যা সন্তানের জন্ম দিলাম।ফর্সা মেয়েকে নিয়ে সবার উল্লাস,কালো মেয়েটাকে কেউ কোলে নিচ্ছে না।


বিষয়টা আমার মনে তীব্রভাবে আ"ক্রমণ করলো।এটা কেমন বিচার? দুইজনই তো আমার সন্তান,একজন হবে সবার চোখের মণি,অন্যজন হবে অবহেলিত? 


পাশে শুয়ে থাকা কালো রত্মকে দেখতেই কান্না পেলো।এখানে ফর্সা চা"মড়ার গুরুত্ব যে বড্ড বেশি,অনেক কষ্ট সহ্য করতে হবে রে মা তোকে! দেখলিই তো,জন্মের সাথে সাথেই তুই অবহেলার স্বীকার! সবাই চোখে আঙ্গুল দিয়ে দেখিয়ে দিচ্ছে কা"লোর কোনো মূল্য না"ই।


আমি দীর্ঘশ্বাস ফেলে বু"কে জড়িয়ে ধরে আছি কালো মানিককে।আমি তো মা!আমার কাছে ফর্সা কালো কোনো তফাৎ নেই।


কিছুক্ষণ বাদেই স্বামী এলো মিষ্টি নিয়ে।সবাই যখন ফর্সা মেয়েটাকে নিয়ে আহ্লাদ করছে তখন স্বামী আমার বু"কে ঘুমিয়ে থাকা কালো মানিকের ঠোঁ"টে চু'মু খেয়ে বললো


" ও কি সুন্দর হয়েছে দেখতে, তাই না? "


গল্প-বর্ণ 

লেখক-জয়ন্ত_কুমার_জয় 

  • বাস্তব জীবনের কষ্টের গল্প

দুই বোনের একটাই ঘর,এক খাট।রোজ শুতে গেলে ধাক্কাধাক্কি।ছোট বোন চেঁচিয়ে বলে " দিনদিন যা মোটু হচ্ছো,মনে হয় হাতির সাথে শুয়ে আছি "


বড়দি কিছুক্ষণ পরপর ছোট বোনের গায়ে পা তুলে দেয়।ছোটবোন বিরক্তি নিয়ে বলে " বিয়ে করে বরের গায়ে পা তুলে ঘুমাইও,এখন আমায় রক্ষে দাও "


বড়দি তখন অভিমানী স্বরে বলতো " গায়ে পা তুলে দেওয়া একদিন খুব মনে পড়বে, তখন আমি থাকবো না "


ছোট বোন মনে মনে ভাবতে লাগলো কবে যে খাটটা তার একার হবে! হাত পা ছড়িয়ে আরামে ঘুমাবো।দিদি তাড়াতাড়ি বিয়ে করে চলে যায় না কেন!


তার মাস চারেকের মধ্যে দিদির বিয়ে হলো।সারা বিছানায় ছোটবোন একাই।কোলবালিশটা গায়ের উপর রাখে,আফসোস! দিদির পায়ের মতো অনুভব আর পায় না।ছুটে যায় মায়ের কাছে,বলে 


" মা,আমার গায়ে পা তুলে দিয়ে ঘুমাও তো।যেমনটা দিদি ঘুমাতো! "।তার এমন আবদারে মায়ের চোখ ভিজে ওঠে।


অন্যদিকে নতুন বাড়ি,নতুন ঘর,নতুন বিছানায় শুয়ে বড় বোন অঝোরে কাঁদে।ছোট বোনটাকে জড়িয়ে না ধরলে যে তার ঘুম আসেনা!কত কাছাকাছি দুইজন এখন দুই বাড়িতে।দুইবোনের চোখে জল,নির্ঘুম রাত কাটে দু'জনের।


গল্প-স্মৃতি

লেখক-জয়ন্ত_কুমার_জয়

  • টাকা নিয়ে কিছু বাস্তব কথা

হতদরিদ্র ঘরের ছেলে,১২০ টাকা মজুরি।ঘরে বিয়ে উপযুক্ত বোন।গোটা শহর ভিক্ষা করে বোনের বিয়ে দিলো।


দীর্ঘদিন পড়ালেখা শেষ করেও চাকরি হচ্ছে না।ছেলেটা আশা ছাড়েনি।ভিক্ষা করে বোনের বিয়ের দেওয়ার দিনেই প্রতিজ্ঞা নিয়েছিলো,সচ্ছল অবস্থায় ফিরলে হতদরিদ্রদের পাশে দাঁড়াবে।


অনেক কাঠখড় পুড়িয়ে রেস্টুরেন্টে একটা চাকরির সুযোগ পেলো।বেতনের যে টাকা পায় সেটায় সংসার চালায়।লোকে খাওয়ার পর যা টিপস দেয় সেটা মাটির ব্যংকে জমিয়ে রাখে।


৬ মাস পর পর ব্যাংক ভাঙ্গে।যে টাকা জমা হয় সেটা দিয়ে খুঁজে খুঁজে হতদরিদ্র মেয়েদের বিয়ে দেয়।ভুলে যায়নি নিজের সাথে করা প্রতিজ্ঞা।


গল্প-প্রতিজ্ঞা

লেখক-জয়ন্ত_কুমার_জয় 

  • শিক্ষনীয় বাস্তব গল্প

হি"জরা দলের সাথে বাবার খুব ঘনিষ্ঠতা।বিষয়টা প্রচন্ড গা"য়ে লাগে।হি!জরার মতো নীচু শ্রেণীর সাথে বাবার এতো গদোগদো ভাব কিসের? 


বাবাকে এই নিয়ে অনেক কথা শুনিয়েছি,রোজ রাগারাগি করি।তবুও সেই এক ঘটনা! রোজ সন্ধা হলেই বেড়িয়ে পড়ে ওই হি"জরা পট্টির উদ্দেশ্য।সেখানে ওদের সাথে বসে চা খায়,আড্ডা দেয়।


ছোট থেকেই এই বিষয়টা লক্ষ্য করেছি।এখন বড় হয়েও বাবার এই ধরনের স্বভাব আর সহ্য হলো না।বাবাকে কঠিন স্বরে বললাম


" বাবা,তোমায় কতদিন বলবো ওই হি!জরা দলের সাথে মিশবে না "


বাবা আমতা আমতা করে বললো " রাগছিস কেনো বাবা?ওরাও তো মানুষ! "


" বাবা আমি এখন বড় হইছি।আমার বন্ধুরা, এলাকার লোকেরা এসব দেখে হাসাহাসি করে,বুঝো না কেন? তোমার কি গল্প করার লোকের অভাব আছে?ওদের সাথেই কেন তোমার মিশতে হবে? "


" ওরা খুব ভালো "


" বুঝেছি,তোমার মতিভ্রম আছে "


বলে বাবার ঘর থেকে বেড়িয়ে এলাম।রাগ যেন আর সামলাতে পারলাম না।হি!জরা মহল্লার দিকে রওনা হলাম।বাবা যার সাথে বসে গল্প করে তাকে খুঁজে বেড় করে বললাম 


" আপনি আমার বাবার সাথে আর গল্পগুজব করবেন না।বাবা আসলেও আপনি তাড়িয়ে দিবেন,বুঝতে পেরেছেন? "


হি!জরার চোখে জল।আমার গা"লে হাত রেখে বললো " তুমি এসছো! খুব খুশি হয়েছি।বসো ভাই,চা খাবে?যদিও আমাদের হাতের খাবার সবাই খায় না! "


" কি আজব! গা"লে হাত দিচ্ছেন কেনো? আমার মাথা কিন্তু গরম,যা বললাম তা শুনবেন।নইলে ঝামেলা হবে।বাবাকে এখানে আসতে দিবেন না "


হি!জরার চোখে মুখে বেদনার ছাপ স্পষ্ট ফুটে উঠলো।আর কথা বাড়ালাম না।বাড়িতে চলে আসলাম।কিছুদিন বন্ধ ছিলো,তারপর বাবা আবারো ওদের কাছে যাওয়া শুরু করলো।এরপরেও কি মাথা ঠিক থাকে!বাবাকে তো কিছু বলতে পারিনা,বন্ধুদের নিয়ে গেলাম মহল্লায়।যার সাথে বাবার এতো খাতির তাকে দেখে আর ঠিক থাকতে পারলাম না।ক"ষে একটা চ"ড় মা"রলাম।তাল সামলাতে না পেরে সে পড়ে গেলো কংক্রিটের রাস্তায়।গা"ল ছিলে গিয়ে র"ক্তার"ক্তি কান্ড! আসার সময় শুধু বললাম " এটা ডেমো দেখালাম।তোরা তো ভালো কথা বুঝতে চাস না "।


এই ঘটনা বিকেলের।সন্ধায় লক্ষ্য করলাম বাবা কাঁদছে।বাবার কান্না দেখে আমার বু" ক হুহু করে উঠলো।বাবাকে আমি অত্যন্ত সমীহ করি।কাছে গিয়ে বললাম 


" বাবা,তুমি কাঁদছো কেনো? "


" আমার বড় সন্তানটা খুব কষ্ট পাচ্ছে "


বাবার মুখে এই কথা শুনে আমার চারপাশটা কেঁপে উঠলো।বললাম 


" বড় সন্তান মানে?তোমার একমাত্র সন্তান তো আমি! "


বাবা চোখের জল মুছে বললো " হি!জরা পল্লিতে যার সাথে বসে গল্প করি,ও তোমার বড় বোন।জন্মের পর ওর অস্বাভাবিকতা দেখে হি!জরা মহল্লায় দিয়েছিলাম।তুমি কষ্ট পাবে ভেবে জানাইনি।ওর পরিচয় কেউ জানেনা।আমি তো বাবা,কিকরে ওকে দূরে সরিয়ে দিই?সন্ধায় কিছুক্ষণ গল্পগুজব করে আসি।এতেই ওর সুখ!প্রতিদিন তোমার কথা জিগ্যেস করে।সেদিন আমি কিনেছি বলে যে পাঞ্জাবিটা তোমায় দিলাম,সেই পাঞ্জাবিটা ও দিয়েছে।ভাইফোঁটার উপহার হিসেবে "


বাবার কথায় আমায় দম আঁটকে যাওয়ার মতো অবস্থা হলো।বাবা বললো 


" কারা যেন ওকে মে"রেছে।দেখে এলাম,মেয়েটা আমার ব্যথায় ছটফট করছে "


" কে মে"রেছে বলেনি তোমায়? "


" না,বারবার বলছিলো রাস্তায় পড়ে গেছে।একজন এসে আড়ালে ডেকে নিয়ে বললো কারা যেন বিকেলে এসে ওকে মে"রেছে।ওর সাথে কার এতো শত্রুতা?মুখ ফুলে গেছে,র"ক্তে মাখামাখি।বাবা হয়ে আমি কিচ্ছু করতে পারছি না।আমার বাঁচার আর বিন্দুমাত্র ইচ্ছে নাই "


আমি বাকরুদ্ধ!এই পাপের প্রায়শ্চিত্ত কিকরে করবো? ওই রাতে ডাক্তারকে সাথে নিয়ে মহল্লার কাছে আসতেই ডাক্তার বললো 


" এদিকে কোথায় যাচ্ছেন? "


" আমার বোন ভেতরে আছে "


" হি!জরা? "


" ওকে হি!জরা বলবেন না।ও আমার বোন "


" ধুর মিয়া,মাথা খারাপ নাকি আপনার?হি!জরার চিকিৎসা করতে ডেকেছেন? করবো না চিকিৎসা "


" ব্যান্ডেজ,ঔষধ যা যা লাগে আমায় দিন।আমি নিজেই ওর চিকিৎসা করবো "


ডাক্তার প্রয়োজনীয় সব আমার হাতে দিলো।নিয়ে ঢুকলাম মহল্লায়।বোনের কাছে আসতেই আমার বু"ক হাহাকার করে উঠলো।


সযত্নে কে"টে যাওয়া অংশ পরিষ্কার করলাম।ঔষধ লাগালাম,ব্যা"ন্ডেজ করলাম।বোনের চোখে জল,জিগ্যেস করলাম " ব্যথা করছে? "


বোন হাউমাউ করে কান্না করতে করতে বললো " এই ব্যথা মনের,কখনো নিরাময় হবে না।এই ব্যথার ব্যা"ন্ডেজ নাই "


গল্প-ও_আমার_বোন

লেখক-জয়ন্ত_কুমার_জয় 

  • বাস্তব জীবনের ফেসবুক স্ট্যাটাস

বোনের বিয়ের পর প্রথম ওর বাড়িতে গেলাম।আমায় দেখে ওর সে কি আনন্দ! জ"রিয়ে ধরে বললো " দাদা তুই!না বলে হঠাৎ,আয় না ভেতরে আয় "


কথাটা বলে বোন হাত ধরে টেনে ঘরে নিয়ে গেলো।বললো " তুই বস আমি খাবার নিয়ে আসি "


" এতো ব্যস্ত হচ্ছিস কেন?সামনে বস,তোকে একটু দেখি "


" আগে খাবার নিয়ে আসি তারপর দেখিস।গাছের পাকা পেঁপে আছে,আনতেছি দাড়া "


বলেই ছুটে গেলো।কিছুক্ষণ পর ফিরলো এক বাটি ভর্তি পেঁপে নিয়ে।


" এতো পেঁপে আমি খেতে পারি নাকি! "


" পারবি,শুরু কর তো।শরীরের কি অবস্থা! আমি না থেকে তো ভালোই হয়েছে তোর,খাওয়া নিয়ে জেদ করার কেউ নেই "


দু চারটা পেঁপে মুখে দিতেই বোন ভাত নিয়ে এলো।আমি তখন ফোন চালাচ্ছি।বললাম " এখনি তো পেঁপে খেলাম।ভাত খাবো না রে "


" পেঁপে এতোক্ষণ পে'টে থাকে নাকি?আমি জানি,ফোন টিপতে অসুবিধা হবে জন্য খেতে চাইছিস না।আমি খাইয়ে দিই "


বলেই জোর করে খাইয়ে দিলো।মুখ ধুয়ে এসে বললাম " বোন গামছা কোথায়?"


বোন ছুটে এলো গামছা নিয়ে।ওর হাত ভর্তি ময়দার প্রলেপ।বললো " লুচি মাংস করতেছি,তোর পছন্দের "


" একদিনেই সব খাওয়াবি নাকি! "


" প্রথমবার আমার বাড়িতে এসছিস,খাওয়াবো না? "


বোনের মুখে "আমার বাড়ি" কথাটা শুনে মন প্রশান্তিতে ভরে গেলো।শ্বশুর বাড়িটাকে সে নিজের করে নিতে পেরেছে।


ওর যন্ত্রণা দেওয়া যেন বাড়তেই লাগলো।বললো " এই দাদা,চুলার কাছে একটু বস না।গল্প করি "


চুলার কাছে বসলাম।বোন খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে সবার খোঁজ নিলো।এরমধ্যে দুইটা লুচি সহ তরকারিও খেতে হলো।এখন ও লুচি বেলছে।কপালের কোনে ময়দার ছাপ।রীতিমতো ঘরোয়া বউ হয়ে উঠেছে।


ওর বাড়িতে এইটুকু সময়ের জন্য এসছি তাতেই ও যতকিছু আয়োজন করলো দেখে বিস্মিত হলাম।আর মনে মনে ভাবলাম, এই বোন বাড়িতে থাকতে আমি কিছু করতে বললে বলতো " আমি পারবো না।তুই কর "


সেই বোন আজ আমাকে নিয়ে আহ্লাদে আটখানা! ভাইবোনরা বোধহয় এমনি হয়,এক বাড়িতে থাকলে সবসময় ঝগড়া,বিয়ে হলেই অপেক্ষায় থাকে কখন ভাইটা তার বাড়িতে আসবে।একটু আদর যত্ন করবে।


বোনকে বললাম " মনে পড়ে?বাড়িতে তোকে কিছু করতে বললে ফোরন কেমন কা"টতি?ওইসব দিনগুলো খুব মনে পড়ে রে "


বোনের চোখে বিন্দু জল।বললো " শুধুই কি ঝগড়া করেছি? ভালবাসাটা চোখে পড়েনি? "


" পড়বে না কেনো? আমার এখনো মনে পড়ে,সুজন যখন চিঠি দিলো, কি মা"রটাই না মে"রেছিলাম তোকে।পরে যখন জানলাম তোর কোনো দোষ নেই তখন এমন খারাপ হলো! "


" মন খারাপে জ্বর বাঁধিয়ে ফেলেছিলে "


" হ্যা।তখন সারারাত তুই আমার হাত ধরে বসে ছিলি।আমার তখন কি যে খারাপ লেগেছিলো।এতো ভালো বোনটাকে না জেনেই গা"য়ে হাত তুলেছিলাম।আর তুইও এমন! এতো মা'রলাম অথচ তোর একটুও অভিমান হলো না? সেই রাতেই বেলজ্জার মতো আমার পাশে বসে ছিলি! "


বোন ঠোঁ"ট ফুলিয়ে বললো " তোমরা ভাইরা তো শাসন করতে পারলেই বাঁচো।বোনদের হয়েছে জ্বালা,ভাইদের একটু অসুস্থতা দেখলে যতোই রাগ,অভিমান থাকুক আর ঠিক থাকতে পারেনা "


" তোকে ভালো চাই জন্যই তো শাসন করেছিলাম "


" সেটা আমি জানিনা বুঝি? আমি কি কখনো অভিযোগ করেছিলাম?কখনো বাবা মাকে নালিশ করেছিলাম দাদা আমায় কেন শাসন করলো? "


ওর কথায় হাসলাম।শুধু ভাবি,নিজের বোন না হয়েও ও এতো ভালোবাসে কি করে!ও যে আমার সৎ বোন মাঝেমধ্যে সেটা ভুলেই যাই।সে ভুলে যাইয়াই বরং ভালো,ও আমার নিজের বোনের থেকেও বেশি আপন।


গল্প-ভাই_বোনের_সম্পর্ক

লেখক-জয়ন্ত_কুমার_জয় 

  • বাস্তব জীবনের কিছু গল্প

বাস ছাড়ার মুহুর্তে তৃতীয় লি"ঙ্গের একজন বাসে উঠে আমার পাশে বসে থাকা ছেলেটাকে মায়াবী স্বরে বললো " কই যাও বাবু? "


ছেলেটা কর্কষ স্বরে বললো " আবাসিক হোটেলে যাচ্ছি,যাবি? "


উনি কিছু বললেন না।আমার দিকে হাত বাড়িয়ে বললো 


" বাবু কয়টা টাকা দিবা?সকালে খাওয়ার টাকা এখনো জোগাড় হয়নি "


খুব অসহায় বোধ করলাম।কেননা আমার কাছে গাড়ি ভাড়ার দেড়শো টাকা ছাড়া বাড়তি একটি টাকাও নেই।বললাম


" দিদি আমার কাছে গাড়ি ভাড়ার টাকাটা ছাড়া বাড়তি কোনো টাকা নেই যে! "


উনি কিছু না বলে পাশ কে'টে চলে গেলেন।যাত্রীদের থেকে টাকা তুলে পুনরায় আমার পাশে দাঁড়িয়ে বললেন


" বাবু,এইযে টাকা টা রাখো।দূরের পথ যাচ্ছো,বাড়তি টাকা তো সাথে রাখতে হয়।বিপদ আপদ কি বলে কয়ে আসে? "


হতভম্ব হয়ে তাকিয়ে রইলাম।উনি আমার হাতে টাকাটা গুঁজে দিয়ে বাস থেকে নেমে গেলেন।হাত মেলে দেখলাম একশ টাকার নোট।শ্রদ্ধায়,সম্মানে মুহুর্তেই আমার চোখ ছলছল করে উঠলো।


গল্প-শ্রদ্ধা 

লেখক-জয়ন্ত_কুমার_জয়


মন ছুঁয়ে যাওয়া অসাধারন গল্প পড়ুন।