বাস্তব জীবনের কষ্টের গল্প | কষ্টের জীবন 2024

  • কিছু কষ্টের কথা

কিছু কষ্টের কথা

 ভাড়াটিয়ার ঘরে ঢুকতেই তার স্ত্রী বললেন " ভাবি বসেন,ঘরটা একটু এলোমেলো হয়ে আছে "


আমি অভয় দিয়ে বললাম " আরে এতো ব্যস্ত হবেন না, সমস্যা নাই " 


ভাড়াটিয়ার স্ত্রী ঘর গোছাতে গোছাতে বললো " আর বইলেন না ভাবী,ছোট বাচ্চা থাকলে কি ঘর গোছানো রাখা যায় বলেন? সারাক্ষণ ঘর অগোছালো হয়ে থাকে "


দীর্ঘশ্বাস ফেলে বললাম " বিয়ের ৭ বছর হতে চললো।আপনার মতো আমার ঘরটাও কেন অগোছালো হয় না ভাবী? "


গল্পঃ-হ্রদ_বিদ্ধ

লেখকঃ-জয়ন্ত_কুমার_জয়

  • অবহেলার কষ্টের স্ট্যাটাস

দাদার হাতের সোনার আংটি দেখে বললাম " দাদা, তোমার আংটিটা কি সুন্দর! "


দাদা হেসে বললো " তোর পছন্দ হয়েছে? "


" এতো সুন্দর আংটি,কার না পছন্দ হবে! "


" আচ্ছা কয়েকমাসের বেতনের টাকা জমিয়ে তোকে একটা কিনে দিবো "


দাদার কথায় মনে খারাপ লাগা তৈরি হলো।বউদি দামী কিছু পছন্দ করলে সেটা দাদার সাথে থাকলে সঙ্গে সঙ্গে দিয়ে দিতো।এইতো সেদিনের কথা,বউদির হাতের বালার খুব শখ।দাদাকে বলতেই ও নিজের বাইক বেঁচে দিয়ে বউদিকে বালা গড়িয়ে দিলো।


দাদা তো আংটিটা আমায় দিয়ে বলতেও পারতো যে এতোই যখন পছন্দ হয়েছে তুই রেখে দে।বললেই কি আমি রেখে দিতাম নাকি? দাদা কি আমায় এতটুকুও নিজের মনে করে না এখন? বউদি এসে এতোটা পরিবর্তন! 


অবাক করার বিষয় হলো আংটিটা কিছুদিন পর বউদির হাতে দেখলাম।মনে মনে ভিষণ হিংসে হলো।আমায় দেওয়া যায় না,আর বউকে তো দেওয়া যায় তাই না?কই বউকে তো অপেক্ষা করতে বলেনি! আক্ষেপ জমিয়ে রাখলাম।


চারমাস পর দাদা আংটি কিনে দিলো স্বর্ণের।তার কিছুদিন পর রান্না করার সময় বউদির হাতে আংটিটা দেখতে না পেয়ে জিগ্যেস করলাম " বউদি তোমার হাতের আংটি ছিলো,কোথায় সেটা? "


" তোমার দাদা নিয়ে গেছে,রং নষ্ট হয়ে গেছিলো "


" মানে?সোনার রং নষ্ট হয় কিভাবে? "


" ধূর বোকা মেয়ে,ওটা তো ছিলো স্বর্ণের পানিতে জল করা, রূপার "


বাকরুদ্ধ হয়ে দাঁড়িয়ে রইলাম।বউদি কাছে এসে বললো " ওমা,তুমি কাঁদছো কেনো? "


বললাম " চোখে কিছু একটা পড়েছে বোধহয় "


সত্যিই পড়েছে।কিন্তু চোখে না, আমার মনে।এতোদিন মনে সন্দেহ,হিংসা,ভুল বোঝার একটা কালো পর্দা পড়ে ছিলো।দীর্ঘদিন দাদার ক্লান্ত মুখটার দিকে আর তাকাতে পারিনি।


গল্প -ভুল_বোঝা

লেখক -জয়ন্ত_কুমার_জয় 

  • কষ্টের কিছু কথা

শা"রীরিক সম্পর্কের শুরুতেই পতি"তা মেয়েটা বললো " ঘরের সব আলো নিভিয়ে দিন না! "


পতি"তা পল্লিতে অতনু এই প্রথমবার আসলো।বিছানায় বসে থাকা রুপবতী মেয়েটির দিকে বিষ্ময়ে তাকিয়ে বললো 


" কেন? "


" অন্ধকারে সব পুরুষকেই একই মনে হয় " 


" মানে? সব পুরুষকে এক হতে হবে কেন? "


মেয়েটা মলিন হেসে বললো " ভালো তো একজনকেই বেসেছিলাম।প্রতিদান হিসেবে আমি এখানে,পাচার করেছে "


কথাগুলি বলতে বলতে মেয়েটির চোখ ভিজে উঠলো। অতনু বাকরুদ্ধ!মেয়েটির ওপর ভিষণ মায়া হলো।বেশ মোটা হাজার বিনিময়ে মায়াবী মেয়েটিকে মুক্তি দিলো অতনু।মেয়েটির মনের গভীর ভালোবাসার রেশ পেয়ে একরাশ অনুভূতি নিয়ে অতনু বললো 


" বিয়ে করবে? "


মেয়েটার চোখে জল।অতনুর মনে নতুন ভালোবাসার বীজ বপন হতে লাগলো।


গল্পঃ -মেয়েটা_মায়াবী 

লেখকঃ -জয়ন্ত_কুমার_জয়

  • ইমোশনাল ছেলেদের কষ্টের স্ট্যাটাস

দেয়াল রং করে সেখানে লিখে দিলাম " পোস্টার লাগানো নিষেধ "


খানিক্ষন বাদেই দেখলাম কিছু কাগজ হাতে একটা ছেলে এসে দেয়ালের কাছে ঘুরঘুর করছে।ছেলেটির কাছে গিয়ে বললাম


" কি ভাই? কাউকে খুঁজছেন? "


ছেলেটা ইতস্তত করে বললো " না মানে দেয়ালে একটা পোস্টার লাগাতে চাচ্ছিলাম।সাহস হচ্ছে না "


" কিসের পোস্টার? "


" টিউশনির।চার বছর চেষ্টা করেও চাকরি পাচ্ছি না।বাবা হাত খরচের টাকাও বন্ধ করে দিয়েছে।ভাবলাম পোস্টার লাগিয়ে যদি একটা টিউশনি জোগাড় করতে পারি! "


ছেলেটার সরল ভাবমূর্তি আমার পছন্দ হলো।বললাম " দেয়ালটা আমার।পোস্টার লাগাও,সমস্যা নাই "


ছেলেটা দেয়ালে পোস্টার লাগালো।আমি রংমিস্ত্রি ডেকে " পোস্টার লাগানো নিষেধ" লেখাটা মুছে ফেললাম।


তার ঠিক একবছর পরেই আমার দুই ছেলে-মেয়েকে শহরের সবচেয়ে বড় কোচিং সেন্টারে ভর্তি করাতে নিয়ে গেলাম।কোচিং চেয়ারম্যানকে দেখে আমি হতভম্ব।একবছর আগে এই ছেলেটাই এসছিলো দেয়ালে পোস্টার লাগাতে।


গল্প-পোস্টার

লেখক-জয়ন্ত_কুমার_জয়

  • কষ্টের গল্প

উফ ব্য"থা লাগে আমাকে ছাড়ুন স্যার।আমি আর পারছি না কি করছেন আমার সাথে তবুও ছাড়ছে না তার মতো সে তার শারীরিক চাহিদা মিটাচ্ছে।


এই দিকে আমার যেন ব্লাড পড়তেই আছে সেই দিকে তার কোনো খেয়াল নাই।


আমি আগে কখনো বুজতে পারি নাই স্যার আমাকে কেমন ভাবে তাকাতো।


আমি লায়লা ক্লাস ৮ পড়ি আমার আম্মু হোম মাস্টার রাখছে।


যেদিন আমার সাথে এই কাজ করে আম্মু বাসায় ছিল না।

তারপর তার শারীরিক চাহিদা শেষ আমাকে বলে এই কথা কাউকে বললে ভিডিও ভাইরাল করে দিবে। আমি আরো ভয় পায়। স্যার চলে গেলো। আমি ওয়াশরুম যাইয়া অনেক কান্না করি। অনেক ব্যাথা করছে। এবং সারা শরীর ব্যাথা।


কোনো রকম গোসল করে এসে রুমে আসলাম। এখন আমি কি করবো। বুজতে পারছি না। তারপর আমার আম্মু আসলো বলে তর স্যার আসছিলো। আমি বললাম হুম।


আমি অনেক্ষন ভাবার পরে আম্মু কে সব বলি আর অনেক কান্না করি।


আম্মু আমার কথা শুনে সেও ভেঙ্গে পড়ে। আমি কাকে বিস্বাস করলাম। একজন শিক্ষক তো বাবার সমান। উনি এই কাজ কিভাবে করলো।


তারপর লায়লার আম্মু এবার আর বসে থাকতে পারলো না। উনি সোজা থানায় গেলো আর কমপ্লেন করলো। ধ"র্ষণ স্যার এর নামে।


পুলিশ তাকে গ্রেফতার করলো তার উপযুক্ত শাস্তি পেলো।


আমি সবার উদ্দেশ্য একটা কথা বলবো এই রকম ভুল আপনারা করবেন না বাড়িতে মাস্টার রেখে।


আপনার মেয়ের জন্য মহিলা মাস্টার রাখবেন।


কখনো কোনো পুরুষ শিক্ষক রাখবেন না। যদি এমন হয় প্রতিবাদ করবেন বসে থাকবেন না মানসম্মান এর ভয়তে। তাহলে এই সব ন"রপশু দ্বিতীয় বার সুযোগ পাবেনা।


সমাপ্ত

এটি একটি শিক্ষামূলক গল্প 


-নরপশু_শিক্ষক

-লেখা_আরিয়ান


মন ছুঁয়ে যাওয়া বাস্তব গল্প পড়ুন।