- চাপা কষ্টের স্ট্যাটাস
মায়ের খাবারে বি"ষ মেশাতেই স্ত্রী বললো " নিজের মা কে বি"ষ খাইয়ে মা-র"বে? "
বললাম " হ্যা মা"রবো "
" পাগল হয়ে গেলে নাকি? "
" হ্যা পাগল,মা কে এ অবস্থায় আর কিছুদিন দেখলে খুব শীঘ্রই পাগল হয়ে যাবো "
" তুমি সত্যিই এই বি"ষ মাখা সুজি মাকে খাওয়াবে? "
প্রতিত্তোরে " হ্যা " বলে সুজির বাটিটা নিয়ে মায়ের ঘরের দিকে এগিয়ে গেলাম।ঘর ভর্তি তীব্র বিকট চিৎকার, মায়ের পচন রোগ ধরেছে,হাত,পা এমন কি পে'টের কিছুটা অংশ পঁচে গেছে।সেখানে ছোট ছোট পোকায় গিজগিজ করে,পঁচে যাওয়া শরীরের মাংস খায়।
মায়ের এই ছটফটানি আমি দেখছি দীর্ঘ ৬ মাস ধরে।আর দেখা সম্ভব না।এতো কষ্ট কোনো মানুষের কাম্য নয়।মা কখনো ঘুমান না,প্রতিক্ষণ পে"টে থাকা পোকাগুলোর কাম"ড়ে ভয়ঙ্কর ভাবে চিৎকার করে,কাঁদে।
অনেকক্ষণ চেষ্টার পর এক চামচ সুজি মায়ের মুখে তুলে দিয়ে ঘর থেকে বেড়িয়ে এলাম।বাইরে আমার স্ত্রী দাঁড়িয়ে।মায়ের মৃ"ত্যুপ্রায় চিৎকার ভেসে আসতে লাগলো।স্ত্রী বললো
" নিজের মা'কে মে"রে ফেলার মতো পাপ কি করে খেয়া করবে? "
মায়ের স্বর আর শোনা গেলো না।বোধহয় চির ঘুমে তলিয়ে গেলেন।হেসে বললাম
" পাপ করেছি কিনা জানিনা, এই পাপটা অনেক আগেই করা উচিত ছিলো।আমি পাপী হলে যদি মা এই কষ্ট থেকে মুক্তি পায়,তবে পাপী হতে দোষ কিসের? "
-গল্প -পাপ
- ভালোবাসার কষ্টের স্ট্যাটাস
-স্বামি ১ম সন্তান ন"ষ্ট করলে নাকি পরবর্তীতে কোন সন্তান হয়না।
-আরেনা এই সব ভূয়া কথা।
-ভূয়া কথা হলেও আমি প্রথম সন্তানটি নষ্ট করবো না।প্রথম সন্তান আল্লাহ্ রহমত।
-না এখন সন্তান নেহা হবেনা।
-কেনো। এখন সন্তান নিলে সমস্যা কোথায়।
-এতো কথা বলতে পারবোনা। তোমার পেটের বাচ্চাটি এখন ন'ষ্ট করতে হবে?
-স্বামি প্লিজজ এমন কথা বলিওনা।
-এখন কোন ভাবেই সন্তান নেয়া যাবেনা। সন্তান নেয়ার অনেক সময় আছে বুজছো।
-তবুও।
'কথাটি বলার সঙ্গে সঙ্গে স্বামী তার গালে কশে একটি থাপ্পড় বসে দেয়'
-ঠাসসস! ঠাসস! বেশি কথা বলতে বারন করছিনা তোকে। তবুও এতো কথা বলিশ কেনো।
-ঠিক আছে তুমি যা ভালো বুঝো তাই হবে।
'এর পরে স্বামীর কথা মতো ২ মাসের সন্তানটি পেটের ভিতরেই মেরে ফেলা হয়।
'এর ঠিক ৩ বছর পরে যখন জুই ও নিরব বাচ্চা নেয়ার সিদ্ধান্ত নেয়া হলে জুইয়ের গর্ভে আর কোন ভাবেই সন্তান আসেনা।
'এই সস্যার কারনে বড় ডাক্তারের কাছে গেলে তারা সবাই বলে আপনার স্ত্রী আর কখনোই মা হতে পারবেনা। তার গর্ভে সন্তান আসবেনা'
'কথা গুলা শুনার পরে জুয়ের মাথায় কেনো জানি আকাশ ভেঙ্গে পরলো।
'এর পরে এই ভাবে বেশ কয়েক'মাস যাওয়ার পরে নিরব একদিন জুইকে বলে'
-দেখো জুই এইভাবে আর সম্ভব না।
-কি সম্ভব না।
-আমাদের ডিভোর্স হওয়া দরকার এখন।
-কেনো?
-কারন তুমি কখনোই মা হতে পারবেনা। তুমি মা হতে না পারলে আমি বাবা ডাকটি শুনতে পারবোনা। এই জন্যে তোমাকে ডিভোর্স দিয়ে নতুন কাউকে বিয়ে করতে হবে আমাকে।
-কিইইই বললে এই সব।
-হ্যাঁ সব সত্যি বলছি। অনেক ভেবে দেখলাম আমি।
-এই পাগল সন্তান হবেনা তাতে কি। আমার সন্তান দত্তক নিবো।
-নাহ আমি মানুষের সন্তান কে লালন পালন করতে পারবোনা।
-প্লিজজ বুঝার চেষ্টা করো নিরব।
-আমার বুঝা শেষ।
-এমনটা করিওনা আমার জীবন শেষ হয়ে যাবে।
-তোমার কি হয় হোক তাতে আমার কিছু যায় আসেনা। আমার যেকোন প্রকারে সন্তান চাই।
-ধৈর্য ধরো আল্লাহ্ সব ব্যবস্তা করবে।
-এতো ধৈর্য আমার নেই। কল তোমাকে ডিভোর্স দিবো চিন্তা করিওনা যতো পাওনা পাবে সব দিবো ঘুমাও এখন।
-কথাটি শুনেই জুই কান্নায় ভেঙ্গে পরে আর ভাবতে থাকে এখন সে কি করবে। কোথায় যাবে? ভালোবাসার মানুষটির কারনে বাড়ি ছেরেছে। সেই মানুষটা আজ এমন করতেছে।
'এর পরে নীরব যখন ঘুমিয়ে পরে' তখন জুই চুপা সারে ফ্যানের সঙ্গে উরনা টাঙ্গিয়ে নিজের গলাটি প্যাচিয়ে আত্মহত্যা করে' এবং আত্মহত্যার আগে একটি ডাইরিতে লিখে যায়।
'নিরব তোমাকে অনেক ভালোবাসি। তোমার কারনে বাড়ি ছেরেছি এখন যদি তুমি আমাকে ছারো আমার যাওয়ার কোন পথ নেই, এই জন্যে সবার থেকে অনেক দুরে সরে গেলাম
তোমার পাগলি বউ জুই☺
"আসলেই কিছু পুরুষ বা কিছু নারীর জন্যে এই ভালোবাসা নামক জিনিসটা উঠে যাচ্ছে' যদি হাজারো সমস্যার মাঝে হাতটি ধরে রাখতে পারবেনা তাহলে কিসের এতো ভালোবাসা 🤖
-অনুগল্প :-অপূর্ণতা
- কষ্টের কিছু কথা ভালোবাসার
২ বছর চুটিয়ে প্রেম করার পর যখন দেখছি, আমাদের পরিবারের কেউ এই সম্পর্ক মেনে নিবে না, তখন বাধ্য হয়ে আমি আর সাদিয়া পালিয়ে বিয়ে করছি।
দুই মাস ভাড়া বাসায় সংসার করার পর একদিন শশুড়বাড়ী থেকে ফোন আসলো আমার বউ সাদিয়া কাছে। শশুড় বাড়ীর লোকজন আমাদের সম্পর্ক মেনে নিয়েছে।
আমাদের এখন ভাড়াবাসা ছেড়ে শশুড়বাড়ী চলে যেতে হবে। আমাকে ঘরজামাই থাকতে হবে।
বউ কে প্রচুন্ড ভালোবাসি তাই ঘর জামাই থাকতে আমার কোনো অসুবিধা ছিলো না। আমাদের আলাদা বাড়ীতে থাকতে দিছে।
শশুড় বাড়ীতে কয়েক দিন থাকার পর একদিন বউ বললো আমাকে রান্না করতে।
বউ কে মারাত্মক ভালোবাসি, তাছাড়া মেয়েটা আমার সাথে আমার উপর ভরসা করে নিজের বাসা থেকে পালিয়ে এসেছিলো, তার যেনো কোনো কষ্ট না হয় সেদিকে আমাকে খেয়াল রাখতে হবে।
তাই রান্না না পারার শর্তে ও রান্না করলাম,মানচিত্রের মতো রুটি বানিয়েছিলাম, বউ রুটি হাতে নিয়ে হাসতে হাসতে মজা করে রুটি দিয়ে আমার মাথায় বারি দিছিলো, এত শক্ত রুটি হইছিলো যে আমার মাথা ফেটে গেছিলো।
যাক সেই সব কথা এভাবে বেশ কয়েকদিন যাওয়ার পর বউ বলে কাপড় ধুইতে ভালো লাগে না কষ্ট হয় ওয়াশিং মেসিন লাগবে। আমি এনে দিয়েছি।
সাদিয়া ইদানীং প্রায়ই বলে রান্না করতে তার ভালো লাগে না। কষ্ট হয়।
প্রতিদিন এমন কথা শুনতে শুনতে আমার বিরক্ত এসে গেছে, অলস হয়ে গেছে। সাদিয়ার কষ্ট কমানোর জন্য অনেক ভেবে চিন্তে একটা উপায় বের করলাম।
বউ এর কষ্ট কমানোর জন্য বউ কে না জানিয়ে আমি সুমাইয়া নামের একজনকে বিয়ে করে
বউ কে সারপ্রাইজ দিতে বাসায় নিয়ে এসেছি।
সুমাইয়ার সাথে পরিচয় করিয়ে দেওয়ার পর সাদিয়া পর পর তিন বার ফিট হইয়া গেছে।
তারপর আমার প্রথম বউ সাদিয়া কে বুঝালাম তোমাকে মারাত্মক, সেই লেভেলের ভালোবাসি তো, রান্না করতে তোমার ভালো লাগে না বলে আরেক টা বিয়ে করেছি যেনো আমরা তিন জনে মিলে বাসার সব কাজ করেতে পারি, তাতে তোমার কষ্ট কিছু টা কম হবে।
সাদিয়া কি জানি কি মনে করে সুমাইয়া কে নিয়ে আমাদের রুমে নিয়ে গেছে।
এর পর দিন থেকে সাদিয়া আর সুমাইয়া লুডু খেলে আর বাসার সব কাজ আমি করি।
রাতে ওরা দুজন ঘুমায় এক খাটে আর আমি সোফায়।
কাজ করবো না বললেই দুইজন একজোট হয়ে আমাকে মা/রে ভাই🥺🥺
ভাবতাছি আরেক টা বিয়ে করে ওই বউ সাথে থাকবো। কিন্তু ভয় লাগতাছে সে ও যদি সাদিয়া,সুমাইয়ার,জোটে চলে যায়।
এই অবস্থা আমার করনীয় কি?
😂😂😂😂😂😂😂😂😂
-গল্প -আমার_বিয়ে