হারিয়ে যাওয়া ভালোবাসা | হঠাৎ হারিয়ে যাওয়া

 হারিয়ে যাওয়া ভালোবাসার গল্প

হারিয়ে যাওয়া ভালোবাসার গল্প

মেয়ে: হ্যালো,,

ছেলে: হুম্ বলো..!

মেয়ে: আঙ্কেল অ্যান্টি কি বললো..

ছেলে: বলছে মানবে না।উল্টো আমার ফুফাতো বোনের সাথে বিয়ে ঠিক করলো ..

মেয়ে: এখন কি করবে (কেঁদে কেঁদে)

ছেলে: আরেহ পাগলী কান্না করো না তো। আমি আছি তো একটা ব্যাবস্থা ঠিক করে নিবো দেখো..

মেয়ে: হুম্

,,,,,,কিছুদিন পর,,,,,,,

ছেলে: হ্যালো

মেয়ে: হুম বলো। কিছু কী ভাবছো?

ছেলে : চলো আমরা পালিয়ে যাই,,,

মেয়ে :কি বলো এইগুলা,, আর পালিয়ে যাবেটা কথায় ?

ছেলে: এসব ভাবতে হবে না,, কালকে দেখা করতে পারবে?

মেয়ে : কথায় দেখা করবে বলো চলে আসবো,,,

ছেলে : যেখানে আমাদের প্রথম দেখা হয়েছিল।

মেয়ে :আচ্ছা,,। কখন আসবো?

ছেলে:বিকেলের দিকে আসো।

মেয়ে :ঠিক আছে,,

,,,,,,,,,,,,,,

মেয়ে : কি গো কখন আসবে,,

ছেলে: এইতো আর একটু..

মেয়ে ;সাবধানে আইসো,,

ছেলে : ঠিক আছে..!

হটাৎ পিছন থেকে কেউ জড়িয়ে ধরলো মেয়েটি ভয় পেয়ে যায় পরক্ষণেই দেখলো ছেলেটি,,

মেয়ে : তুমি ..আমি তো ভয়ই পেয়ে গেছিলাম ।

ছেলে: সরি..! 

মেয়ে: আচ্ছা বাদ দাও,,কি বলবে এখন বলো..

ছেলে: শোনো সামনে সপ্তাহে আমরা পালাবো,,

মেয়ে: পালিয়ে কথায় যাবা,,

ছেলে: সব ব্যাবস্থা হয়ে গেছে,,

মেয়ে : আচ্ছা ,,(খুশি হয়ে)

,,,,,সপ্তাখানেক পর,,,,

ছেলে: কোথায় তুমি,,

মেয়ে: একটু অপেক্ষা করো আসছি,,

ছেলে: হুমম

মেয়ে: চলো,, আচ্ছা শোনো এখনই কি কাজী অফিস যাবে?

ছেলে: হুম সব কিছুই ঠিক করা আছে,,

তারপর তাদের বিয়েটা হয়ে যায় তবে কেউ মেনে নেয় না ,, না ছেলের বাড়িতে না মেয়ের ,,এভাবে বেশ কিছুদিন যায় সব বেশ ভালোই কাটছিল,, দেখতে দেখতে পাচ বছর হয়ে যায়,, এখন তাদের পরিবারও তাদের সম্পর্ক মেনে নেয়,,তবে তাদের সম্পর্কটা আগের মত নয় ,, ছেলেটা এখন আর আগের মত মেয়েটাকে ভালবেসে না,,সময় দেয় না এখন মেয়েটাকে তার বিরক্ত লাগে,,একদিন রাতে...

ছেলে :এই তুমি সব সময় কেনো আমার বুকের উপর ঘুমাও.. আমার খুব বিরক্ত লাগে,,

মেয়ে: আমার ঘুম আসে না তোমার বুকের উপরে না ঘুমালে.. জানো তো তুমি,,

ছেলে : তুমি এত বেহায়া কেনো এটার জন্য এত মারলাম তারপরও...

এর পর ছেলেটি ঘুমিয়ে যায়,, শুধু ঘুমায় না মেয়েটি রাত জেগে ছেলেটির বুক ভাসায় চোখের পানিতে..ধীরে ধীরে মেয়েটি অনেক অসুস্থ হয়ে পড়ে,, তবে ছেলেটির সেইদিকে কোনো খেয়াল নেই,,হটাৎ একদিন ছেলেটি ঘরে এসে দেখে মেয়েটি অজ্ঞান হয়ে পড়ে আছে..

ছেলে: নয়না এই নয়না (মেয়েটির নাম)..

চোখ খুলতে না দেখে হাসপাতাল নেয়

ডক্টর: আপনার স্ত্রীর অবস্থা খুবই খারাপ আইসিইউ তে ভর্তি করানো লাগবে...

ছেলে: না সাধারণ ওয়ার্ড এই রাখুন এখন এত টাকা নাই..তারপর সাধারণ ওয়ার্ড এই রাখা হলো,,

এর পরে সন্ধায় ছেলেটি বাড়ি ফিরে,,বাড়ি গিয়ে খেয়ে ঘুমিয়ে পড়ে.. ধীরে ধীরে মেয়েটির অবস্থা খুবই খারাপ হয় এবং মেয়েটি মরে যায় ছেলেটিকে জানানো হলো তবে সে তেমন কিছুই মনে করেনা.. এমন করে নয়দিন যায় .. এখন ছেলেটি অনুভব করে তার জীবন থেকে বড় কিছু একটা হারিয়ে গেছে তারপর মাস খানেক পরে ছেলেটি ভেঙে পড়ে সে নিজের ভুল বুঝতে পারে ,,প্রায়ই ছেলেটা এখন মেয়েটার কবরে গিয়ে কান্না করে আগেরদিন গুলো ফিরে পেতে চায় এখন ছেলেটি আকাশে তাকিয়ে বলে হারিয়ে খুঁজছি তোমায়..!


🌿অনুগল্পঃ 🌿

হারিয়ে_খুঁজছি_তোমায়

হারিয়ে যাওয়া কিছু কথা

"মেয়েটা কে যেনো সময় মতো পাই।"

আরে ভাই আপনি এতো টেনশনে করছেন কেনো! এর আগে কতবার এই কাজ করেছি বলুন তো! কখনো কথার খেলাপ হয়েছে? ঠিক সময় মতো পাখি পেয়ে যাবেন। আমি কলেজের পেছন সাইডে দাঁড়িয়ে আছি। বের হলেই তুলে নিবো। 


পরী আজকে প্রথম বোরকা পড়েছে। এখন থেকে সে পর্দার সাথে চলবে বলে ঠিক করেছে। প্রথম প্রথম জন্য একটু হাঁটতে সমস্যা হচ্ছে। তবে ধীরে ধীরে ঠিক হয়ে যাবে। হঠাৎ একটা বাচ্চা ছেলে তাকে এসে বলল,


 "আপু আপনার একটা বান্ধবী আপনার জন্য কলেজ এর পিছনের রাস্তায় দাঁড়িয়ে আছে।"


বলেই এক দৌড়ে অনেক দূরে চলে গেলো। পরী মনে মনে ভাবলো এটা হয়তো পৃথার কাজ। মেয়েটা আজকেও বোধহয় ঘুরার প্ল্যান করেছে। ভাবতে ভাবতেই সেদিকে গেলো। কিন্তু কাউকে দেখতে না পেয়ে ডাকতে থাকলো,


 "পৃথা কোথায় তুই? আমি চলে এসেছি।" 


হঠাৎ পেছন থেকে কেউ তার মুখ চেপে ধরে। অনেক বার চিৎকার দেওয়ার চেষ্টা করেও পারে না পরী । টেনে হিঁ'চড়ে কেউ তাকে গাড়িতে তুলে। মুখ বেঁধেই নিয়ে যেতে থাকে। হঠাৎ লোকটার ফোন বেজে উঠে রিসিভ করে বলে,


 "ভাই কাজ হয়ে গেছে। কিছুক্ষণ এর মধ্যে আপনাদের গাড়ি পেয়ে যাবো। চলে এসেছি প্রায় পাখি নিয়ে। আরেকটু অপেক্ষা করুন।"


চেনা পরিচিত কন্ঠ শুনে চমকে যায় পরী। মুখের ভাষা হারিয়ে ফেলে। তার যে আর কিছুই বলার নেই। কার গলা শুনছে সে।"


দশলাখ টাকা নিয়ে খুশিতে আত্মহারা হয়ে বাড়ি ফেরে রাফশান। কালকে বোন কে শপিং করাতে নিয়ে যাবে। আদরের বোনটার যা যা লাগবে সব কিনে দিবে। আজকে শুধু বাড়ি আসার আগে চকলেট নিয়ে এসেছে। বাড়ি ফিরেই ডাকতে থাকে,

"পরী কোথায় তুই বোন। তাড়াতাড়ি আয় দেখ কি এনেছি। মা পরী কে ডাকো তো।"


পরীর মা কাঁদতে কাঁদতে বের হয়ে বললেন,

"পরী কলেজ থেকে আজকে বাড়ি ফিরেনি। কতবার ফোন দিয়েছি তোকে ধরিস নি কেনো। বড্ড টেনশন হচ্ছে আমার। যেখান থেকে পারিস তাকে খুঁজে এনে দে।"


রাফসান চেঁচিয়ে উঠে,

"কিহ বলছো মা!! আমি এখনই দেখছি। 


বলে দৌড়ে বের হওয়ার সময় পেছন থেকে তার মা ডাক দিয়ে বলে, "দাঁড়া পরী কিন্তু আজকে বোরকা পরে গেছে। তুই তাকে চিনতে পারবি ?


রাফসান থেমে যায়। হটাৎ তার মনে ভয় বাসা বাঁধে। না না এমন হতেই পারে না। তবুও মন বলতে থাকে, 


 "তুই যা ভাবছে তাই নয়তো!!"


সমাপ্ত 


-দশলাখ (মূল্য) 

-Mishka_Moon 

-অনুগল্প

|| অপরের জন্য খাল কাটলে একদিন সেখানে নিজেকেও পড়তে হয়।🙂||


"মন ছুঁয়ে যাওয়া গল্প পেতে এখনি আমাদের আইডি ফলো করে রাখুন। 🦥🤧

হারিয়ে যাওয়ার স্ট্যাটাস

-বাদাম দিন ২০ টাকার?


-কিরে' অনু তুই প্রতিদিন এই ছেলের দোকানে বাদাম নিস কেনো। আর অন‍্য দোকান নেই।


-তুই বুজবিনা?


'অনু বাদাম নিয়ে একটু সাইডে এসে তার বান্ধবীকে কে বলতে থাকে'


-শোন ছেলেটাকে আমি ভালোবাসি। আর ওকে দেখার জন্যেই প্রতিদিন ওর দোকানে যাই।


-কিইইই বাদাম বিক্রি করে সেই ছেলেকে তুই পছন্দ করিশ' তোর রুচি এতোটা নিছে।


-বেশি কথা বলিশ না।


-তুই কোথায় আর ও কোথায়? তোর দিন গেলেই ৩/৪ হাজার টাকা চলে যায়। আর বাদাম বিক্রেতা মাসে ৩/৪ হাজার টাকা ইনকাম করে। 


-তুই চুপ করবি।


-ভালোবাসিস তাহলে গিয়ে বল। আমি গেলাম?


-ঠিক বলেছিস এই মুহূর্তে বলতে হবে'


'কথাটি বলেই অনু হন হন করে দোকানের সামনে এসে বলতে থাকে'


-এই যে শুনেন।


-জ্বী বলুন কি বলবেন।


-আপনাকে আমি ভালোবাসি। আপনার সঙ্গে চিরকাল থাকতে চাই।


-আমি জানি আপনি আমাকে পছন্দ করেন। 


-তাই। কিন্তু কিভাবে জানলেন যদি একটু বলতেন প্লিজজজজ। 


-আপনার আব ভাব দেখেই বুজেছি।


-তাহলে ভালোই হলো।


-একটুও ভালো হয়নি। 


-কেন। 


-আপনি কখনো আমাকে এই দোকানে বাহিরে যাওয়া বা আসা দেখেছেন। 


-নাহ। আচ্ছা কেনো আসেন না বাহিরে।


-কারন আমার একটি পা নেই। আমি প্রতিবন্ধি।


-ওহ।


-হ‍্যা আপনি এখন আসতে পারেন। দোয়া করি সুন্দর একটি মানুষ আপনার জীবন সঙ্গি হোক।


'কথাটি শুনেই অনু মন খারাপ করে চলে আসতে লাগে' বেশ কিছুদুর আসার পরে - আবার দৌরে সেই বাদাম বিক্রিতার কাছে চলে যান'


-কি হলো ফিরে আসলেন যে।


-আচ্ছা আপনি আমাকে দুইবেলা ভাত খাওয়াতে পারবেন' 


-হ‍্যা কিন্তু কেনো।


-আমি আপনাকে বিয়ে করে আপনার সঙ্গে থাকতে চাই। 


-পাগলি নাকি আপনি।


-হ‍্যা আমি আপনার জন্যে পাগল হয়ে গিয়েছি। আপনাকে ছারা কিচ্ছু ভাবতে পারিনা। 


-আমি প্রতিবন্ধি।


-সমস‍্যা নেই আমি তোমার দুটি পা হয়ে থাকতে চাই।


-আমি বাদাম বিক্রেতা এতে চলবে আপনার। 


-হ‍্যাঁ চলবে।


-ভেবে দেখুন ভালো করে।


-l love you আমি আপনাকে ভালোবাসি। 


-লজ্জাও নেই আপনার। 


-নাহ! এখন বলুন আপনি আমাকে ভালোবাসেন কিনা।


-আমিও অনেক ভালোবাসি কিন্তু কখন বলার সাহস হয়নি প্রতিবন্ধি বলে। 


-এই আর কখনো প্রতিবন্ধি কথা মুখে আনবে না। আমি আছিনা তোমার পাশে।


-হুমম।


-এখন আই লাভ ইউ বলো।


-l love you অনু? আমিও তোমাকে অনেক ভালোবাসি।


"সত‍্যি কারের ভালোবাসা হলে' সে কখনোই ছেরে যায়না..সারাট জীবন পাশে থাকে।


অনু_গল্প : প্রতিবন্ধি_ছেলেটা

কাহিনী ও লেখনীতে!-- GaMing Ta'Mu

হারিয়ে যাওয়া

আমার স্ত্রী সাদিয়া পা-লি-য়ে যাবার আজ ৭ মাস হয়েছে।নীরা, আমার একমাত্র মেয়ে।মাত্র সাড়ে ৭ বছর বয়স।সাদিয়া যাবার পর ছোট্ট মেয়েটা খুব একাকীত্বে ভুগতো। 


খুব খারাপ লাগতো ওকে দেখে।এই মেয়েটার কী অ/প/রা/ধ?কেনো ওর মা ওকে ফেলে গেলো? হিসাব মেলাতে পারতাম না৷ ভালোবাসা,টাকা,কোনকিছুর তো অভাব রাখি নি।তবে?


এক রাতে সাদিয়ার ফোন থেকে কল এলো।স্ক্রীনে নাম্বারটি দেখে আমার হঠাৎ বুক ধুকপুক শুরু হলো।রিসিভ করবো না করবো না করেও সবুজ বাটনে চাপ দিলাম। 


-- "হ্যালো!"


ইশ! এতোদিন পর চিরচেনা কণ্ঠ! আমি কোন কথা বলতে পারছিলাম না। 


সাদিয়া বললো,


-- " আসিফ, আমি ফিরতে চাই।আসবো?" 


আমি বুঝতে পারছিলাম না কী বলবো!কী উত্তর হবে আমার!সাদিয়াকে তো এখনো ভালোবাসি!অনেকক্ষণ চুপ থেকে লাইনটা কেটে দিলাম আমি। 


পরদিন সকালে মেয়েকে কবলাম,


-- " মামণি, মা ফিরে এলে কী করবে শুনি?"


নীরা কোন কথা বললো না।আবার বললাম, 


-- " মা ফিরে এলে আমরা আবার আগের মতো হাসি খুশি থাকবো।একসাথে খাবো,একসাথে ঘুরবো।ঠিক আছে না?"  


মেয়ে জোরে জোরে 'না' সূচক মাথা নাড়লো। 


বললাম, 


-- "মানে? তুমি মাকে গ্রহণ করবে না?"


উত্তর এলো, 


-- "নেভার এভার।মা ছাড়াই ভালো আছি।শুধু তুমি আমায় ছেড়ে কখনো যেও না।" 


আমি মেয়েকে বুকে জড়িয়ে ধরলাম আর প্রথম বারের মতো হু হু করে কেঁদে উঠলাম।মনে মনে বললাম, " সাদিয়ার প্রশ্নের জবাব পেয়ে গেছি আমি। "


মন ছুঁয়ে যাওয়া অসাধারন গল্প।