বিয়ে নিয়ে স্ট্যাটাস | বিয়ের স্ট্যাটাস | বিয়ে নিয়ে ক্যাপশ

  বিয়ে মানে কি

বিয়ে মানে কি

''আপনি যদি একজন কর্মজীবী মেয়েকে আপনার জীবনের সঙ্গী হিসেবে চান। তবে আপনাকে মেনে নিতে হবে, সে ফুলটাইম আপনার বাড়িতে কাজ করতে পারবে না।


আপনি যদি একজন গৃহিণীকে আপনার জীবনসঙ্গী হিসেবে চান তাহলে আপনাকে মেনে নিতে হবে, যে সে আপনাকে আর্থিক ভাবে সহায়তা করতে পারবে না।

আপনি একজন স্টাইলিশ কর্মহীন মেয়েকে জীবন সঙ্গী হিসেবে চান। তবে তার লাইফ স্টাইলের জন্য ব্যয়, আপনাকেই করতে হবে।


 আপনি একজন সাধারণ মেকআপ এর স্তরে মুখ ঢেকে না রাখা মেয়েকে বিয়ে করতে চান। তবে আপনাকে মেনে নিতে হবে তার মুখের ছোট ছোট ব্রণের দাগ কিংবা গর্ত দেখে , আপনি কোনদিন তাকে বলতে পারবেন না। তুমি ঐ স্টাইলিশ মেয়ের মত নও!


কাউকে কারো মত বানানো যায়না। সবাই একটি নিজস্ব সত্তা নিয়ে জন্মগ্রহণ করে। আপনি যেমন মেয়ে চান তেমন মেয়েকেই বিয়ে করুন।


মাটির পুতুল ভেঙে নতুন করে গড়ানো যায়, কিন্তু মানুষ না।


একই শরীরে আপনি কারিনা, জরিনা, মিশেল ওবামা, সিদ্দিকা কবির সবাইকে চাইতে পারেননা। 


কারন আপনি নিজেও একই সাথে শাহরুখ খান, বিল গেইটস, টমি মিয়া নন।

বিয়ের পর বাবার বাড়ি

"ভাবী, ঘরে ডিম নেই?"


কথাটি বলতেই ভাবী যেনো মুখটা কেমন কালো করে ফেলল। আমাকে চোখ মুখ কালো করে বলল,


"একটা ডিম আছে, কিন্তু তোমার ভাইতো শাক-সবজি তেমন একটা পছন্দ করেনা। তাই রাতে ডিম ভেজে দিব।"


কথাটি শুনে আমি রান্নাঘরে আর এক মুহুর্তও দাঁড়ালাম না। মেয়েকে নিয়ে রুমে এসে দরজা বন্ধ করে দিলাম। মেয়েটা আমার ক্ষু'ধা'য় কথা বলতে পারছেনা। কা'ন্না করছে। বাচ্চা মেয়ে, পে'টে ভাত চাচ্ছে তাই কাঁ'দ'ছে৷ সে কি আর বুঝবে? আত্মসম্মানের আ'ঘা'ত কতটা প্রখর। ঊষাকে ব্যগ থেকে বিস্কুট বের করে দিয়ে বললাম,


"মা, খুব ক্ষি'ধে পেয়েছে? নাও বিস্কুট খাও।"


মেয়ে কা'ন্না থামিয়ে তা হাতে নিল। আমি বেলকনিতে গিয়ে দাঁড়ালাম। গা'ল বেয়ে পা'নি পড়ছে। হাতের ফোনটা বেজে উঠল। তুষার কল দিয়েছে। দুই তিনবার রাগ করে কল কে'টে দিলাম। আবারও ফোনটা বেজে উঠতেই রিসিভ করে বললাম,


"কল দিচ্ছ কেন? একদম কল দিবেনা আমায়।"


"আমি তোমার জন্য  নয়, আমার মেয়ের সাথে কথা বলার জন্য কল দিয়েছি। দাও মেয়েকে কলটা ধরিয়ে দাও।"


"দিবনা, তুমি আর কল দিবেনা।"


কথাটি বলেই কল রেখে দিলাম। রা'গ করে ওবাড়ি থেকে বাপের বাড়ি চলে এসেছি। তখনি দরজায় কেউ একজন কড়া নাড়ল। আমি দরজা খু'লে দেখলাম মা। 


"কিরে কি হয়েছে? এই অবেলায় দরজা বন্ধ করে বসে আছিস কেন? খেতে আয়।"


"তুমি গোসল করতে গিয়েছিলে মা?"


"এরজন্যই জানোনা। আমার বাড়ি,আমার ঘর। পরের মেয়ে কিভাবে সা'হ'স পায়? আমাকে বলতে, এইটা সম্ভব না, ওইটা সম্ভব না?"


"কে কি বলেছে তোকে মা?"


"আমার মেয়ের বাবার কি কম আছে মা? যে এইভাবে একটা ডিমের জন্য ভাবী এমন করেছে। আমার মেয়ের জন্য তার বাবা ফ্রিজ ভ'রে রাখে ডিম,ফল,চকোলেট দিয়ে। কোনো অ'ভা'বী'র কাছেতো মেয়ে বিয়ে দাওনি মা।"


কথাগুলো বলেই আমি ব্যাগ গুছালাম। কল দিলাম তুষারকে। কল দিয়ে বললাম, আমাদের বাসার নিচে এসে দাঁড়াতে। ভুলেও যেনো বাসায় না আসে।  আমি নিচে নামলে সোজা একসাথে বের হয়ে যাব এই বাসার গেইট দিয়ে। নিজের সংসার ফে'লে বাপের বাড়িতে অসম্মান শুনতে আর মন চায়লোনা। কি জানি! ডিভোর্সি মেয়েগুলো কতটা ক'ষ্টে জীবন অতিবাহিত করছে বাবার বাড়ি থেকে।

বাপের_বাড়ি

অনুগল্প

Writer:মারশিয়া_জাহান_মেঘ

নোট: গল্পটা শুধু বুঝানোর জন্য লিখেছি। যে, ডিভোর্সি মেয়েরা কতটা বি'ষা'ক্ত জীবন অতিবাহিত করছে। একটা মেয়ে কখনো স্বেচ্ছায় ডিভোর্সি হয়না। সে মনে প্রাণে চায়, সংসারটাকে টিকিয়ে রাখতে। যখন সে ব্যর্থ হয় তখনি 'বিচ্ছেদ' শব্দে বন্ধি হয়। এই সময় একটা মেয়ের সবচেয়ে বড় সাপোর্ট হতে হয় তার পরিবার। পরিবারের উদ্দেশ্যে আমার একটা কথা, "বিয়ের পর মেয়েকে পর করে দিবেন না, ভুলে যাবেন না, সে আপনার রাজকন্যা। 


বাছাইকৃত সেরা গল্প পড়ুন।