- ভালোবাসার গল্প
-মরে যাবো তবুও তোমায় ছেরে যাবোনা জান।
-২ বছরের আগে আমাকে ভূলে যাবে এই কথাটি মাথায় রাখিও নীরা।
-কখনোই ছেরে যাবোনা দেখিও।
-হ্যাঁ দেখা যাবে।
-আচ্ছা তুমি আমাকে বিশ্বাস করোনা কেনো। তোমাকে কতোটা ভালোবাসি জানো।
-হুমম জানি।
-তাহলে এমন বাজে কথা বলো কেনো।
-কারন আমি গরিব তুমি কোটিপতির মেয়ে এই জন্যে বুঝছো।
-পাগল একটা।
-আসলেই পাগল আমি।
-রাগ করলে বুজি আমার কথায়' ময়না পাখিটা।
-আরে রাগ করবো কেনো।
-জানো তোমাকে নিয়ে আমি অনেক স্বপ্ন দেখি। আমাদের ছোট্ট একটি সংসার হবে যেখানে কোন দুঃখো থাকবেনা। শুধু থাকবে শুখ আর শুখ।
-এইটা কি কখনো সম্ভব হবে।
-হ্যা অবশ্যই সম্ভব হবে দেখিও। আমি কখনো মিথ্যা বলিনা বুঝছো।
-জানি।
'এই ভাবেই বেশ সুন্দর সম্পর্কটি চলতেছিলো' হঠাৎ একদিন মেয়েটি বলে উঠলো'
মেয়েটি : তোমাকে কিছু কথা বলতে চাই।
ছেলেটি : হুমম বলো।
মেয়েটি : তুমি আমাকে ভুলে যাও। আমি চাই আমাদের সম্পর্কটি এখানেই শেষ হোক।
ছেলেটি : কিন্তু কেনো।
মেয়েটি : আমার বাবা মা বিয়ে ঠিক করেছে।
ছেলেটি : তাদের বলো তুমি একটি ছেলেকে অনেক ভালোবাসো তাকেই বিয়ে করবা।
মেয়েটি : হ্যাঁ বলছি। কিন্তু তারা কোন গরিব ছেলের সঙ্গে আমার বিয়ে দিবেনা বলছে।
ছেলেটি : চলো পালিয়ে যাই তাহলে।
মেয়েটি : নাহ আমি পালাইতে পারবোনা। আমার বাবা মা কষ্ট পাবে।
ছেলেটি : যদি বাবা মায়ের অবাদ্ধ হতেই না পারবে তাহলে ভালোবাসলে কেনো আমাকে।
মেয়েটি : আমাকে মাপ করে দিও প্লিজজজজ।
ছেলেটি : এখনো ১ বছরেই হলোনা।
মেয়েটি : কিসের।
ছেলেটি : ভেবে দেখো বলছিলে কখনো আমাকে ছেরে যাবেনা' কিন্তু আজ ১ বছর হওয়ার আগেই ছেরে গেলে। আটকাবো না ভালো থাকিও। (কান্না করে)
মেয়েটি : এইইই পাগল কান্না করিওনা।
ছেলেটি : কেনো।
মেয়েটি : কারন আমাদের বাবা মেনে নিয়েছে। তোমার সঙ্গে একটু মজা করলাম আমি।
ছেলেটি : কিইইই।
মেয়েটি : হ্যা তোমার সম্পর্কে বাবাকে সব কিছু বলেছি উনি অনেক ভেবে চিন্তে রাজি হয়েছে। তোমার বাসা থেকে আমার বাসায় লোক পাঠাই দিও।
ছেলেটি : এই সব নিয়ে কেউ মজা করে।
মেয়েটি : হাহাহ একটু করলাম। কি মনে করছো তোমাকে এতো সহজেই ছেরে যাবো কখনোই না। তোমার সঙ্গে চিরটাকাল পাশে থাকতে চাই।
ছেলেটি : এখনি তো আমি।
মেয়েটি : এই এখন ব্যস্ত আছি কালকেই তোমার বাবা মাকে আমাদের বাসায় পাঠাই দিবা আমাদের বিয়ে সম্পর্কে কথা বলতে।
ছেলেটি : ঠিক আছে পাগলিটা।
মেয়েটি : I love you my life line 💖
ছেলেটি : I love you to my so sweet wife 💖
"আজ যদি এই গল্পের মতো সবার ভালোবাসার মানুটিকে বাসায় মেনে নিতো কতো ভালোবাসাই না প্রশান্তি পেতো। কতো ছেলে মেয়ে তার প্রিয় মানুষটার বুকে মাথা রেখে ঘুমাতে পারতো।
অনুগল্প :প্রশান্তি
কাহিনী ও লেখনীতে:শূন্য_চিঠি
- ভালোবাসার স্ট্যাটাস
" এতোরাতে আপনি?আমাদের বাসায়! "
ছেলেটা বললো " আপনাকে একটা কথা বলার ছিলো "
" আচ্ছা সে নাহয় বলবেন,আগে ভেতরে তো আসুন "
" না, ভেতরে যাবো না "
" ঠিক আছে বলুন,কি বলবেন? "
" আমি আপনাকে ছেড়ে থাকতে পারছি না।মনে তীব্র ব্যথা হচ্ছে।বিয়ে করতে চাই "
হেসে বললাম " আপনার পরিবার তো আমায় পছন্দ করেনি।ওনাদের আরো সুন্দরী,স্মার্ট বউমা চাই "
ছেলেটা বললো " ঘরে তোলার দায়িত্ব আমার।পরিবারের ভুল ধারণা ভাঙ্গানোর দায়িত্ব আপনার।পারবেন না তাদের পছন্দের বউমা হয়ে উঠতে? "
ছেলেটার কথায় সেরাতে চরম বিস্মিত হয়েছিলাম।কিছুতেই আর "না" বলতে পারিনি।কথাটা খুব সাধারণ হলেও এর পেছনে লুকিয়ে ছিলো সারাজীবন পাশে থাকার আস্থা,ভরসা এবং বিশ্বাস।
গল্প-বিশ্বাস
লেখক-শূন্য_চিঠি
- স্বামী স্ত্রীর আদর ভালোবাসা
বউয়ের সাথে ঝগড়া করে মাঝরাতে রাস্তায়।বাচ্চা মেয়ের কান্নার শব্দ।ফুটপাতে বালতিতে ফুল নিয়ে বসে আছে একটা মেয়ে।
কাছে গেলাম।বললাম " কাঁদো কেনো? "
" ফুল বিক্রি হয়নি।খাইনি সারাদিন "
মেয়েটাকে দেখে ভিষণ মায়া হলো।বললাম " ফুলগুলো আমায় দাও,কত দিবো? "
" ২০০ টাকা "
ফুলগুলো কিনলাম।টাকা হাতে পেয়ে মেয়েটার মুখের বিষণ্ণ কিছুটা কমলো।বললাম
" এতোরাতে তো দোকান ও খোলা নাই,আমার সাথে চলো,খেয়ে বাড়ি যেও "
মেয়েটা আমার হাত ধরে হাঁটতে লাগলো।৬ বছরের নিঃসন্তান আমি নিজেকে বাবারুপে অনুভব করলাম।মেয়েটার হাত ধরে বাড়ি ফিরলাম।কলিং বেল চাপতেই স্ত্রী দরজা খুললো,চোখে জল।বললাম
" কাঁদছো? "
স্ত্রী জ"ড়িয়ে ধরে বললো " একটু কথা কাটাকাটি হলেই বাড়ি ছেড়ে চলে যেতে হয় বুঝি?আমার একা ভয় লাগে বুঝো না? "
গোলাপ এগিয়ে দিলাম।স্ত্রী ঠোঁ"ট ফুলিয়ে বললো " লাগবে না, ভাগো "
" আর এমন হবে না,রাগ করেনা রাগী মেয়ে।চোখের জল মুছো, অতিথি নিয়ে এসছি "
স্ত্রী ভ্রু কুঁচকে আমার পেছনে লুকিয়ে থাকা মেয়ে বাচ্চাটাকে দেখে বললো " এতোরাতে একে কোথায় পেলে? "
" রাস্তায় বসে কাঁদছিলো।সারাদিন খায়নি,খেতে দাও "
স্ত্রী ব্যস্ত হয়ে মেয়েটাকে নিয়ে রান্নাঘরে গেলো।একটু পর ফিরে এসে বললো " দুধ আছে,তুমি রহমত কাকার দোকান থেকে কলা নিয়ে আসো। উনি তো দোকানেই ঘুমায়,ডাকলে উঠবে "
রহমত কাকার ঘুম ভাঙ্গিয়ে কলা কিনে বাসায় এসে আমি রীতিমতো হতভম্ব।ধুলোয় ভরা মেয়েটার শরীর ফুটফুটে হয়ে আছে।কপালে কাজলের ছোঁয়া।পরনে আমার নতুন একটা টি-শার্ট।চুল আলোয় চিকচিক করছে।বললাম
" এতোরাতে স্নান করালে নাকি? "
" হু।গা ভর্তি ধুলো নিয়ে খেলে সে খাওয়া গায়ে লাগে নাকি? "
মেয়েটাকে বিছানায় বসিয়ে স্ত্রী পরম যত্নে দুধ ভাত কলা দিয়ে মেখে মেয়েটাকে খাইয়ে দিলো।লক্ষ্য করলাম মমতায় ওর চোখ ছলছল করে উঠছে।
খাওয়া শেষে স্ত্রী বললো " মেয়েটা কি মায়াবী তাই না? ওকে আমাদের সাথে রেখে দিই? "
" কি বলো! চিনি না জানিনা রেখে দিবো? "
" ওর পরিবার কেই নেই।ফুটপাতেই ঘুমায়।প্লিজ,রেখে দিই না!আমার ওকে ভিষণ মনে ধরেছে "
" বেশ,রেখে দাও "
মেয়েটা এরপর থেকে আমাদের সাথেই থাকতে শুরু করলো।বলা বাহুল্য, স্ত্রী তার নিজের মা হয়ে উঠলো।বাচ্চাটা ওকে মা বলে ডাকে,আমায় মাঝেমধ্যে লজ্জায় কুঁকড়ে গিয়ে বাবা ডাকে।
কে'টে গেলো ১৭ বছর।ওর বিয়ের আয়োজন চলছে।ছেলেপক্ষ্য দেখে গেছে।রাতে মেয়েটা আমায় জ"ড়িয়ে ধরে সে কি কান্না! তার একটাই কথা,
" আমি বিয়ে করবো না।তোমাদের ছাড়া থাকবো কি করে?বিয়ে দিতে হলে তোমাকে আর মাকেও আমার সাথে যেতে হবে "
মাথায় হাত বুলিয়ে দিয়ে বললাম " বোকা মেয়ে "।কিছুদিন পর মেয়েটা চলে গেলো।স্ত্রী সারাক্ষণই কাঁদে,আমিও লুকিয়ে ছাঁদে গিয়ে কাদি।মেয়েটা নিজের মেয়ে হয়ে ছিলো এতদিন।ওকে ছাড়া বাড়িটা নিস্তব্ধ শ্মশান হয়ে পড়ে রইলো।
গল্প-আগন্তুক
লেখক-জয়ন্ত_কুমার_জয়
- ভালোবাসার কষ্টের স্ট্যাটাস
-ছেলেটা কে রুপা।
-কোন ছেলের কথা বলতেছো রাকিব তুমি বুঝলাম না।
-যার কাধে মাথা রেখে রিকশায় ঘুরলে সেই ছেলেটার কাথা জিঙ্গেস করছি।
-আরে ওটা আমার Friend হয়।
-কেউ friend এর কাধে মাথা রেখে রিকশায় ঘুরে বেড়ায় নাকি বুঝলাম না।
-হ্যাঁ বেড়ায়।
-আমি তোমার boyfriend কখনো-ত আমার কাধে এমন মাথা রেখে ঘুরলেনা।
-তোমার সমস্যা কি অভ্র বুঝিনা।
-আমার আবার কিসের সমস্যা হতে যাবে।
-তাহলে এমন সন্দেহ করো। আমি ঘুরতে পারিনা আমার best friend এর সঙ্গে।
-আমি বুজিনা boyfriend থাকতে best friend এর কি দরকার তোমার। কোন সমস্যা হলে আমাকে বলবে।
-তুমি এমন করলে কিন্তু সম্পর্ক টিকবেনা।
-আচ্ছা এই বেষ্ট ফ্রেন্ড তোমার কবে হলো। আগেতো ছিলোনা কোন ছেলে বন্ধু।
-ছিলোনা হয়েছে।
-তুমি ভালো করেই জানো আমি তোমার পাশে কোন ছেলেকে সজ্য করতে পারিনা। সো কোন ছেলের সঙ্গে যেনো তোমাকে পরবর্তীতে না দেখি।
-সজ্য করতে পারোনা brack up করে দাও।
-তোমার কথায় কেমন জানি বুজা যাচ্ছে তুমি আমার সঙ্গে আর থাকতে চাওনা।
-হ্যাঁ ঠিকেই বুঝছো।
-আমাকে ছারা কি তুমি সুখে থাকবে।
-অবশ্যই।
-ঠিক আছে তোমাকে আজ মুক্ত করে দিলাম। যদি কখনো আমাকে মনে পরে তাহলে ফিরে আসিও। তোমার অপেক্ষায় থাকবো।
-অপেক্ষা করার প্রয়োজন হবেনা।
-দোয়া করি আমার ভালোবাসায় যেমন ৩ ব্যক্তি এসে সম্পর্কটি নষ্ট হলো' তেমনটা যেনো তোমার সঙ্গে না হয় আল্লাহ্ হাফেজ।
"আসলেই ৩য় ব্যাক্তির আগমনে সুন্দর একটি সম্পর্ক ক্ষনিকের মধ্যেই শেষ হয়ে যায়।
-অনুগল্প: ৩য় ব্যাক্তি