হঠাৎ বিয়ের রোমান্টিক গল্প | রোমান্টিক লাভ স্টোরি গল্প

রোমান্টিক ভালোবাসার গল্প

রোমান্টিক ভালোবাসার গল্প

 গতকাল আমার বিয়ে হয়েছে আর আজ শশুর বাড়িতে দুপুরের রান্নার দায়িত্ব আমার কাঁধে উঠেছে। বিয়ের পর দিনই নতুন বৌ রান্না করবে, এটা এই বাড়ির একটা বিশেষ রীতি। একে তো গায়ে ভারী শাড়ি জড়ানো তার উপর এত লোকের রান্না! রান্না ঘরে দাঁড়িয়ে ভাবছি কি দিয়ে শুরু করবো? এমন না যে রান্না জানি না তবে শখে রান্না করা আর শশুর বাড়ির অগ্নি পরীক্ষায় রান্না দু'টো তো সম্পূর্ণ ভিন্ন বিষয়। 


তিন দিন ধরে অনুষ্ঠানের ধকল শরীর জানান দিচ্ছে, সব চাইতে বড় কথা খুব বিরক্ত লাগছে। কি আজব নিয়ম যে মানুষ তৈরি করে! তবে সুবিধা হচ্ছে গ্রামের বাড়ি হলেও এখানে সিলিন্ডার গ্যাস আছে, যদি লাকড়ির চুলায় রান্না করা লাগতো উপায় ছিলো না! এত বড় বড় হাঁড়ি পাতিল দেখে আমার মাথা নষ্ট। ইস্ হাতগুলো একদম নষ্ট হয়ে যাবে, পার্লারে দুই দিন কয়েক ঘণ্টা সময় ব্যয় করে কত রুপ চর্চা করা হলো। এত সময় ব্যয় করে মেনিকিউর করে এত ধৈর্য নিয়ে বসে থেকে মেহেদীতে রাঙ্গানো হাতগুলোর জন্য মায়া হচ্ছে। হাতের মায়া করে আর কি লাভ। 


হঠাৎ পেছন থেকে কারো কথা শুনে চমকে উঠলাম,

- 'কি গো বউ, পারবি? খুব তো সবার সামনে কইলি পারবি। তখন যদি মানা করতি যে পারবি না তাইলে খুব একটা সমস্যা ছিলো না।'


আমার শাশুড়ি! গত কাল উনার সাথে দেখা হয়েছে, উনি আমার মুখ দেখে দুইটা সোনার চুড়ি পরিয়ে দিয়েছেন, তবে খুব একটা কথা হয়নি। উনাকে দেখে মনে হয়েছে খুব রাগী আর রাশভারী মহিলা। আজ উনার মুখে তুই শুনে মেজাজটাই বিগড়ে গেলো আমার। নতুন বৌকে তুই তোকারি করে কেউ? তাও আবার প্রথম কথায়! উনি প্রথমে রাজি ছিলেন না আমাদের বিয়ে হোক তাই বলে এমন ব্যবহার!


উনি আমার উত্তর শোনার জন্য এক দৃষ্টিতে তাকিয়ে রইলেন কিংবা আমাকে পড়তে চাইলেন আসলেই আমার দ্বারা সম্ভব কিনা। আমার উত্তরের অপেক্ষা না করেই বললেন, খুব বেশি কিছু রান্নার দরকার নেই, গরুর গোশত মাখিয়ে বসিয়ে দিতে, একটা সবজি আর ডাল করতে। 

এরপর বললেন অনেক পাকা রাঁধুনির ও পারফেক্ট পোলাউ হয় না। একটু মনোযোগ দিয়ে পোলাউটা করতে। এর পরে এর প্রণালী বললেন।


প্রথমে একটা চুলায় গরম পানি বসিয়ে দিতে আর পোলাউয়ের চাল ধুয়ে পানি ঝরাতে দিতে। পোলাউয়ের চাল কতটুকু লাগবে পরিমাণ বললেন। সাহায্যকারী খালাকে সঙ্গে নিয়েই এসেছিলেন। তাঁকে বললেন পেঁয়াজ, মসলা সব রেডি করে দিতে। শাশুড়ি খুব তাড়াতাড়ি আর নীচু গলায় কথা বলছিলেন - কম আঁচে ঘিয়ের মধ্যে পেঁয়াজের বেরেস্তা ভেঁজে উঠিয়ে রেখে, সেই পাত্রে গরম মসলা দিয়ে পরে আদা বাটা, জিরা বাটা দিয়ে কষিয়ে চালগুলো দিয়ে কিছুক্ষণ ভাঁজতে হবে, এর পরে পানি দিতে হবে একপট চালের জন্য দুই পট পানি এই মাপে।'


এতটুকু বলতেই পেছন থেকে আমার চাচী শাশুড়ি ডেকে উঠলেন।


- 'আরে আরে কাকে রান্না ঘরে দেখি? বউ এর জন্য রান্না ঘরে পা পড়লো তোমার ভাবি! কয়েক বছর থেকে তো রান্নাই কর না।'


তিনি বলতে লাগলেন, ‘ভাবি যদি বউকে সাহায্যই কর তবে রান্না করতে দিলে কেন, নিয়ম তো মানা হলো না, আমরা বৌ হয়ে এই বাড়িতে এসে প্রথম দিন কি রান্না করিনি?’

কাজের খালাকে নিয়ে এসেছেন এই নিয়েও আপত্তি তুললেন চাচী।


আম্মা কাচুমাচু হয়ে বললেন,

- 'কি কস এই সব? আমি তো চা চাইতে আসছিলাম। বউ কেমন চা বানায় দেখি। তোরা কি এখন আমার উপরে নজরদারি শুরু করছস? আর কি কথা কস? খুশির মা’রে ছাড়া একদম একলা কেমনে সব কাজ করবো বউ, ও কি এত কিছু পারবো? শহরে বড় হইছে এত কাজ একলা পারবো? অতিরিক্ত কিছুই ভালো না ছোড!'


আমি খুব অবাক হলাম শাশুড়ি মায়ের কথা শুনে। একটু আগে উনার মুখে তুই ডাক শুনে কতটা বিরক্ত হলাম আর উনি আমাকে সাহায্য করতে কিভাবে কথা বলছেন! কি অদ্ভুত মানুষের মন! বুঝতে পারলাম উনার নিচু স্বরে কথা বলার কারণ।


আম্মার উত্তর শুনে চাচী শাশুড়ি মনে হলো সন্তুষ্ট হলো না তবে আম্মার উপরে গলা চড়িয়ে কথাও বলতে পারলেন না। বুঝতে পারলাম আমার শাশুড়ি এই বাড়িতে খুব দাপুটে একজন মানুষ কিংবা উনাকে সবাই ভালোবাসে, সম্মান করে। 


চাচী বলতে লাগলো, ‘নিয়ম নিয়মই তোমার ছেলের বউয়ের জন্য যেন আলাদা নিয়ম না হয়। তুমি তো চা চাইতে রান্না ঘরে আসার লোক না' , বলে মুখ টিপে হাসলেন চাচি।


আম্মাকে বললেন,

- 'ভাবি চল বের হও রান্না ঘর থেকে।' 


আম্মা বললেন,

- 'তুই যা আমি আসছি।'


চাচী বের হয়ে গেলে খালাকে বললেন,

- 'তুই তো সব কিছু জানস বউকে দেখিয়ে দে সব কিছু। একটু পর পর আমাকে সব কিছু জানিয়ে যাবি। এরা সব তো আমাকে আর আসতে দিবে না।'


এর পরে আমাকে বললেন,

- 'যদি কিছু না পার তাইলে সেইটা এক দোষ সেইখানেই শেষ কিন্তু যদি পার আর কর তাইলে সেই করার মাঝে হাজারো দোষ আর খুঁত বের করবে সবাই।'


আমার মনে হলো আমি পারবো, এই মানুষটির জন্য হলেও রান্নাটা ভালো করতে হবে।


মনে পরে যাওয়ার ভঙ্গিতে আম্মা বললেন,

- 'জরুরী কথা বলতেই ভুইলা গেলাম, তোমার শাড়ি পাল্টাইয়া আস। কোন দুর্ঘটনা ঘটলে তো আবার সবাই কইবো নতুন বৌরে পুড়াইয়া মারতে চাইছে। পঁচিশ ছাব্বিশ জন লোকের রান্না করতে পারবা তো?'


আমি হেসে বললাম,

- 'পারবো মা।'


আমার দিকে চেয়ে মুচকি হাসলেন তিনি। আমার মনে হলো উনার হাসি অদ্ভুত সুন্দর, উনার ছেলেও ঠিক উনার মতো করে হাসে। 


আমি চটপট এক কাপ চা বানালাম। চায়ের দিকে তাকিয়ে আব্বুর কথা মনে হলো, আমার হাতের চা অসম্ভব পছন্দ করেন। আব্বু বলতেন, ‘তোর হাতের চা দিনে একবার না খেলে মনে হয় সারাদিন চা খাইনি।’ আমার চোখ ভিজে উঠলো।


মা'কে চা দিতেই গলা নিচু করেই বললেন,

- 'আমি তো চায়ের কথা এমনিই কইছি, বাড়তি ঝামেলা করতে গেলা ক্যান?'


আমিও নিচু স্বরে বললাম,

- 'মা চিন্তা করবেন না, আমি মোটামুটি রান্না জানি। যদি একদমই না জানতাম তাহলে মানা করতাম।'


মা শুষ্ক হাসি হাসলেন।


উনার কথা শুনে ছোটবেলার কথা মনে পড়ে গেলো, দুষ্টুমি করে আম্মুর হাতে ধরা পড়লে ভাইকে বাঁচাতে এমন করেই আম্মুকে মিথ্যা বলতাম, এর পরে অবশ্য ভাই ওর লুকিয়ে রাখা চিপস খাওয়ার সময় আমাকেও ভাগ দিতো। 


রুমে গেলাম শাড়ি পাল্টাতে। সালোয়ার কামিজ পরে এলাম। সব ধরনের রান্নার আইডিয়া থাকলেও মসলার পরিমাণ নিয়ে সমস্যা হবে মনে হচ্ছে। মোবাইল সাথেই আছে তবে রান্না ঘরে নেটওয়ার্ক পাচ্ছে না, মোবাইলে নেটওয়ার্ক পেলে ইউটিউব দেখলে কাজ সহজ হয়ে যেতো।   


হাসব্যান্ড মহাশয় সোয়েব কল দিয়ে আদুরে গলায় জিজ্ঞেস করলো আমার মাথা ব্যথা কমেছে কিনা, এত লোকের রান্না করতে পারবো কিনা, এটাও বললো সহজ কোন আইটেম করে ফেলতে। একটা ভালো লাগা ছুঁয়ে গেলো ওর কথা শুনে। আমার জন্য চিন্তা করছে এটাই অনেক। মানুষের একটা ভালো কথা, কেয়ারিং, একটু হাসি অন্য মানুষটাকে কতটা ভালোলাগায় ভাসিয়ে দিতে পারে যে কোন অসাধ্য সাধনে সাহায্য করে সেটা যদি সবাই বুঝতো তাহলে কোন সমস্যাই থাকতো না। আমার শাশুড়ি মা'কে খুব ভালো মানুষ মনে হলো, উনার ভালো গুণগুলোই মনে হয় ছেলে পেয়েছে।


সোয়েবের সাথে আমার পরিচয় দুই বছরের, তবে ভালোবাসা হয় পাঁচ মাস আগে। ও সব কিছু বলেছে ওর পরিবারের কথা, গ্রামের কথা, আমার এডজাস্ট হবে না তাও বলে। আমি খুব কনফিডেন্সের সাথে বলেছি আমি সব কিছু মানিয়ে নিবো। আর সব সময় তো আর গ্রামে থাকতে হবে না। যখন আমাদের মনে হয় আমরা হয়তো এক সাথে সারাটা জীবন কাটাতে পারবো তখনই সিদ্ধান্ত নিলাম বিয়ে করবো। ওর মা আর আমার আম্মু- আব্বু  রাজি হন না সেই একই কথা আমাদের দুই পরিবারের মধ্যে অঞ্চল থেকে শুরু করে বড় হওয়া, বসবাস সব কিছুতেই ভিন্নতা! অবশেষে তাঁরা রাজি হয়েছেন আর আমাদের বিয়েটা হলো।


.


সোয়েব আরো কয়েকবার কল করলেও রিসিভ করতে পারলাম না। 


অনেক সময় ভাবনার চাইতেও কাজ অনেক কঠিন হয়ে যায়। পারবো সহজে ভাবলেও খুব সহজ হলো না, মাংস সেদ্ধ হয়েছে কিনা দেখতে গিয়ে ঢাকনা উঠাতেই হাতে ভাপ লেগে গেলো আর তারাতাড়ি হাত সরাতে গিয়ে পাতিলে লেগে হাতে ছ্যাঁকা লেগে গেলো। অসম্ভব জ্বলুনি শুরু হলো। অন্যদের বলতে গেলে মানা করলাম। কিছুক্ষণ পানি ঢালার পরে খালা হলুদের সাথে লবণ মিশিয়ে একটা প্রলেপ লাগিয়ে দিলো পোড়া জায়গাটায়। এতে কাজ হবে কিনা জানিনা, কখনো কাউকে পোড়া জায়গায় হলুদ লাগাতে শুনিনি, তবে জ্বালা ভাবটা কিছুটা কমলো। কাজ করতে কষ্টের চাইতেও কষ্টকর হয়ে গেলো।

 

এর মধ্যে কয়েকজন খবর নিয়ে গেলো রান্না হয়েছে কিনা। অবশেষে শেষ হলো, তবে খাওয়ার সময় পার হয়ে গেলো। বড় বারান্দায় দুই পাশে সারিবদ্ধভাবে সবাই এক সাথে খেতে বসলো। আইটেম দেখে আম্মা বললেন,


- 'দেখছ তোমরা সোয়েবের বউ কত কিছু রান্না করছে! পোলাউ, গরুর গোশত, ডিমের কোরমা, মাছ ভাজা, ডাল, সবজি আর কি সুন্দর কইরা সালাদ করছে!'


সবাই খেয়ে প্রশংসা করলো। তাঁরা অবাক হলো শহরে বড় হয়ে কিভাবে রান্না করতে পারি!


আমি তাদের বললাম,

- 'আমি এবং আমার ছোট ভাইকে আম্মু রান্না শিখিয়েছে। তবে নাস্তার আইটেম বেশি পারি।'


আমার ভাই রান্না করতে পারে শুনে তাঁরা খুব অবাক। আমি বললাম,

- 'আম্মু সব সময় বলেন সবাইকেই ঘরের কাজগুলো শেখা উচিত, শিখে রাখলে কাজে লাগে, ছেলে- মেয়ের জন্য আলাদা কাজ বলে কিছু নেই। আমার ভাই আমার চাইতেও ভালো রান্না পারে।'


তবে আজ এত লোকের রান্না করা খালার জন্যই  সম্ভব হয়েছে। খালা খুব সাহায্য করেছে। খালাকে সুন্দর একটা গিফট দেবো ভেবে রাখলাম। খালা কাজে অনেক দক্ষ আর অমায়িক।


আমি তাকিয়ে দেখি আম্মার মুখে তৃপ্তির হাসি। সোয়েবও মনে হলো খুব খুশি। আমারও ভালো লাগছে।


আম্মা সবাইকে উদ্দেশ্য করে বললেন,

- 'নতুন বৌ বাড়িতে আসলে বিয়ের পর দিনই রান্না করতে হবে এমন কোন নিয়ম থাকবে না এখন থেকে। একটা নতুন মানুষ অন্য পরিবেশে এসে খাপখাওয়াতে একটু সময় লাগে, এর মধ্যে কোন কিছু চাপিয়ে দেয়া জুলুমের সমান। একটা নতুন মানুষ এসে প্রথমেই যদি কোন ঝামেলাপূর্ণ বা খারাপ পরিস্থিতিতে পড়ে স্বাভাবিক ভাবেই শশুর বাড়ির মানুষদের সে ভালো চোখে দেখবে না।


নতুন জায়গাটা নতুন মানুষের জন্য যেন ভয় আর ঘৃণার কারণ না হয়ে যায়। আস্তে ধীরে পরে রান্না করবে। তাঁদের সময় ভিন্ন ছিলো আর এখনকার সময়ে সেই পুরনো রীতি মেনে চলার মানে হয় না। সোয়েবের চাচাত ভাই আছে দুইজন। ওদেরও তো বিয়ে হবে, তখন যেন এমন নিয়ম চাপানো না হয়।'


এই কথা শুনে সব চাইতে খুশি হলেন চাচী। 


চাচী বললেন,

- 'গরুর গোস্তে খুব সুন্দর একটা ঘ্রাণ হইছে কি দিস বৌ?'


- 'মাংসে নামানোর আগে সরিষার তেলে রসুন আর মেথি ভেজে মাংসের উপর ঢেলে দিয়েছি। এতে সুন্দর ঘ্রাণ হয়।'


- 'ফোঁড়ন দিছো, এই জন্যই সুন্দর ঘ্রাণ হইছে আর খাইতেও মজা হইছে খুব।'


আমাকে খেতে বসতে বললে, বললাম ঘামে ভেজা শরীর নিয়ে একদম খেতে পারবো না। গোসল করে বিছানায় শুয়ে পড়লাম সটান হয়ে, হাতে পায়ে ব্যথা শুরু হয়ে গেছে। 


সোয়েব খাবারের প্লেট নিয়ে এলো কিন্তু কিছুতেই খেতে ইচ্ছে করছিলো না। সোয়েব বললো, ‘সেও খায়নি, তারও খুব ক্ষুধা লেগেছে। আমি না খেলে সেও খাবে না।’


আমার দিকে খাবারের লোকমা বাড়িয়ে ধরলো, আমার কি সাধ্য মুখ বন্ধ করে থাকি। একটু খেতেই ক্ষুধায় পেটে আগুন লেগে গেলো, মনে হচ্ছে এই মাত্র ক্ষুধার প্রেতকে কেউ জাগিয়ে তুলেছে। টপাটপ খেতে লাগলাম। সে বড় বড় চোখ করে মুখ টিপে হেসে বললো,


- 'মৌনী তোমার ক্ষুধা লাগেনি তাতেই এমনে খাচ্ছ আর ক্ষুধা লাগলে কি করতে?'


- 'তোমাকেও গিলে খেতাম।'


দু'জনেই হেসে উঠলাম।


আমি তাকে বললাম,

- 'নতুন বলে এমন আদর দেখাচ্ছ সারা জীবন এমনটাই থাকবে তো?'


সে মিষ্টি হেসে বললো,

- 'ইনশা-আল্লাহ, দুজনেই অবশ্যই এমনটা থাকবো।'


আমি তার হাতটা মুঠোয় ভরে বললাম,

- 'ভালোবাসা যেন কখনো বিবর্ণ না হয়ে যায়, ভালোবাসা যেন রং ছড়ায় সারা জীবন।'


সে কিছু বলতে চাইলো তখনই আমার হাতের দিকে তার চোখ পড়তেই সে চমকে উঠলো। পোড়া জায়গায় ফোস্কা পড়েছে। হাত পুড়েছে এই কথা আগে কেন বললাম না তাকে এই জন্য রাগ দেখাতে লাগলো। 'এতটুকু পোড়াতে কিছুই হবে না' এই বলে তাকে আশ্বস্ত করলেও সে শুনলো না, ফার্মেসিতে ছুটে গেলো বার্ণা ক্রীম আনতে।


(সমাপ্ত)


-ছোটগল্প

-রান্না_কাহিনী

-ফাহমিদা_লাইজু


মন ছুঁয়ে যাওয়া অসাধারন গল্প।