অভিনয় মিথ্যা ভালোবাসা
--একটা চুমু দাওনা জান।
--বিয়ের পরে দিবো। এখন এইসব দিতে পারবোনা বুঝছো।
--আমি তোমার Boyfriend একটা চুমু দিলে কি এমন হবে জানতে পারি কি।
--বিয়ের আগে এই সব হারাম? এই জন্যে তোমার সঙ্গে দেখা করতে আসতে চাইনা। কি সব বাহানা ধরো তুমি।
--ওহ এখন তো আমি খারাপ।
--বেশি কথা বলবেনা হাসিব। ইদানিং তুমি অনেক বাজে কথা বলো।
হাসিব : আমি অনেক খারাপ তুমি আমাকে ভুলে যাও সিগ্ধা।
সিগ্ধা : ভুলার জন্যে কি তোমাকে ভালোবাসছি নাকি। সারাটি জিবন এক সঙ্গে থাকার জন্যে ভালোবেসেছি।
হাসিব : ওহ। ঠিক আছে চলো এখন বাসায় যাই।
সিগ্ধা : রাগ করেনা সোনা পাখি আমি। বিয়ের পরে যা ইচ্ছে তাই করিও। আমি তো শুধুমাত্র তোমার।
হাসিব : হুমমম বুজতে পারছি।
"এই ভাবে কিছুক্ষন কথা বলার পরে দুজন দুজনার বাসার ডিকে রহনা দেয়" সিগ্ধা প্রায় বাসার কাছা কাছি আচ্ছে আর এমন সময় হাসিব ফোন করে।
"সিগ্ধা ফোনটি রিসিভ করা মাত্রই "
সিগ্ধা : বাসায় গিয়েছো।
--হ্যাল আপু আমি হাসিবের বন্ধু উদয়, হাসিব আপনার সঙ্গে দেখে করে আসার সময় এক্সিডেন্ট করেছে। বতর্মান আমাদের বাসায় আছে।
সিগ্ধা : কি বলেন উদয় ভাইয়া। আপনার বাসাটা কোন যায়গাই বলুন আমি এই মুহূর্তে আসতেছি।
--আমার বাসাটা হলো রংপুরের........এই খানে?
সিগ্ধা : ওকে আমি আসেছি।
"এর পরে সিগ্ধা তারা হুরা করে একটি রিকশা নিয়ে উদয়ের দেয়া জায়গাই চলে যায়।
"তো গন্তব্য স্থানে গিয়ে সিগ্ধা কলিং বেল বাজার সঙ্গে সঙ্গে উদয় এসে দরজাটি খুলে দেয়।
সিগ্ধা : ভাইয়া হাসিব কোথায়।
উদয় : চলো আমার রুমে শুয়ে আছি।
সিগ্ধা : হুমমম চলুন।
"তো সিগ্ধা উদয়ের সঙ্গে ওর রুমে আসা মাত্রই দরজাটি লাগিয়ে দেয় উদয়"
"এটা দেখে সিগ্ধা বলে "
সিগ্ধা : উদয় ভাইয়া দরজা লাগাচ্ছো কেনো। আর হাসিব কোথায়।
হাসিব : এইতো আমি এখানে। কেনো দরজা লাগাচ্ছি একটু পরেই বুঝবা।
সিগ্ধা : তুমি নাকি এক্সিডেন্ট করছো হাসিব।
হাসিব : না এক্সিডেন্ট করিনাই। তোমাকে এখানে নিয়ে আসার জন্যে এই সব নাটক করছি।
সিগ্ধা : মানে কি এই সবের বুঝলাম না।
হাসিব : মানে হলো এখন তোমাকে আপন করে কাছে টেনে নিবো আমরা ২ বন্ধু।
সিগ্ধা : না তুমি এমনটা করতে পারোনা।
হাসিব : এর চেয়েও বেশি কিছু করতে পারি আমি। যা তোমার ভাবনার বাহিরে।
সিগ্ধা : আমার তো দুজন দুজনকে বিশ্বাস করি ভালোবাসি। তুমি কেনো এমনটা করতে চাও হ্যা।
হাসিব : আমি তোকে ভালোবাসিনা। তোর দেহটাকেই ভালোবাসি।
"এই বলে উদয় ও হাসিব সিগ্ধার দিয়ে এগোতে লাগে"
সিগ্ধা : আমি কিন্তু চিৎকার করবো হাসিব।
হাসিব : তোমার এই চিৎকার কেউ শুনবেনা। হাহাহা হাহহা হহহাহা.. অনেক ঘুরাইছো তোমার পিছনে।
"এই কথাটি বলেই হাসিব ও উদয় সিগ্ধার উপরে পাগলা কুত্তার মতো ঝাপিয়ে পরে এবং.. ধর্ষন করতে থাকে। এই দিকে সিগ্ধা চিৎকার করে কান্না করতে থাকে কিন্তু কেউ তাকে বাছাতে এগোতে আসেনা।
"এই ভাবে এক পর্যায় নিজের ইচ্ছে মতো সিগ্ধার সঙ্গে মেলা মেশার পরে। তাকে বালিশ তাপা দিয়ে মেরে ফেলে লাশটি গুম করা হয়।
যা কেউ জানতে পারেনা। আর এই ভাবেই একটি বাবার রাজকন্যার জীবন শেষ হয়ে যায়।
◆এই ভালোবাসা এবং বিশ্বাস করার কারনে অনেক কাহিনী ঘটে আচ্ছে যা আমারা জানতে পাচ্ছিনা?
গল্পটি বাস্তব জীবন থেকে নেয়া।
মিথ্যা ভালোবাসা স্ট্যাটাস
--বিয়ে ৭ মাসের মধ্যেই বউয়ের বাচ্চা হলে তাকে জিঙ্গেস করি।
--অহনা এই বাচ্ছার বাবা কি সত্যি আমি। নাকি অন্য কেউ।
--তোমার বাচ্চা এটা। অন্য কারো হতে যাবে কেনো। আমি কি পরকীয়া করি।
--বিয়ের এখন পযর্ন্ত ৭মাস ও পরিপুর্ণ হয়নি। তাতেই এমন সতেজ বাচ্চা পাওয়া অসম্ভব।
--তুমি কি হাসিব আমাকে সন্দেহ করো।
হাসিব : এটা সন্দেহের বিষয় তুমি ও ভালো জানো।
অহনা : ভালো খুব ভালো।
হাসিব : এই বাচ্চার মাথায় হাত রেখে বলতে পারবা এই বাচ্চা জন্মদাতা বাবা আমি।
"হাসিবের মুখে এই কথাটি শুনেই অহনা কেমন জানি থমকে গেলো ক্ষনিকের জন্যে "
হাসিব : কি হলো চুপ হয়ে গেলে যে অহনা।
"অহনা কান্না জরিত চোখে বলতে থাকে"
অহনা : আমি তোমাকে সব সত্যি বলবো কিন্তু তার আগে বলো আমাকে ছেরে যাবেনা।
হাসিব : ঠিক আছে বলো।
অহনা : না আগে কথা দাও আমাকে।
হাসিব : আচ্ছা কথা দিলাম তোমাকে। এখন তো বলো।
অহনা : আসলে বিয়ের আগে আমার একটি সম্পর্ক ছিলো, যাকে আমি ভিষন ভালোবাসতাম। কিন্তু হঠাৎ সে আবদার করে আমার সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক করবে। প্রথমত আমি রাজি ছিলাম না কিন্তু পরবর্তীতে ভেবে দেখলাম আমরা তো দুজন দুজনকে ভালোবাসি বিয়ে ও করবো তাহলে শারীরিক সম্পর্কে গেলে সমস্যা কোথায়। এই সব চিন্তা ভাবনা করে আমিও রাজি হয়ে যাই। তো শারীরিক সম্পর্কের ২ মাস পরে ও আমাকে ধোকা দিয়ে চুপি সারে বিয়ে করে ফেলে অন্য একটি মেয়েকে। ঠিক তার কিছুদিন পরে তোমার সঙ্গে আমার বিয়ে হয়ে যায়। বিশ্বাস করো হাসিব আমি ওকে ভুলে গিয়েছি তোমাকে পেয়ে।
"বউয়ের মুখে এই সব কথা শুনে হাসিব নিস্তব্ধ হয়ে যায়। কি করবে ভেবে পাচ্ছেনা। এই ভাবে বেশ কিছুক্ষন চুপ থাকার পরে "
হাসিব : তুমি এই বাচ্চা কে রাখতে চাও নাকি কাউকে দত্তক দিতে চাও।
অহনা : তুমি যেইটা বলবে সেটাই হবে? (একটু কান্না চোখে)
হাসিব : আমি চাই বাচ্চাটি আমার পরিচয়ে বাছবে। আমি তার বাবা তুমি হলে মা? আর হ্যা এই কথাটি যেনো আর কেউ না জানে।
অহনা : সত্যি তুমি একে তোমার পরিচয়ে বড় করবে।
হাসিব : হুমম ভুল যখন করেই ফেলছো এখন আর কি করার। আমি চাইনা এই বাচ্চাটি ইতিম বা রাস্তা ঘাটে বড় হোক। আমি চাই সে আমাদের নিজর সন্তানের মতো বেরে উঠুক।
"হাসিবের এমন মহত কথা শুনে অহনা কি বলবে তা যেনো ভেবে পাচ্ছেনা"
হাসিব : তুমি কি খুশি অহনা।
অহনা : হুমমম আমি অনেক খুশি। কেনো জানি মনে হচ্ছে আমি স্বপ্ন দেখতেছি।
হাসিব : পাগলি বউ আমার।
অহনা : হুম❣
"আসলেই ভালোবাসা মানুষ বা নিজের স্বামী টা যদি একটু ভালো মনের হয় তাহলে এই পৃথিবীতে জান্নাতের সুখ খুজে পাওয়া যায়"
"গল্পটি কাল্পিক"
"অনু_গল্প : ক্ষমা_করো_প্রিয়
কাহিনী ও লেখনিতে : মি_হাসিব
মিথ্যা ভালোবাসার গল্প
--১ গ্লাস দুধ দাওতো মা।
--তোর লজ্জা করেনা আমাকে মা বলে ডাকি। সারা দিন শুধুমাত্র খাই খাই করোস।
--আমার শরীর টা ভিষন ক্লান্ত। এই জন্যে একটু দুধ চেয়েছি যদি থাকে দাও।
--নাই কোন দুধ নাই। আমার সামনে থেকে এখন চলে যা।
"ঠিক সেই মুহূর্তে আমার সৎ ভাই হাসিব এসে বলে"
হাসিব : মা এক বাটি দুধ দাওতো আমার বিড়ালটি খাবে। সারা দিন কিচ্ছু খায়নি।
--থাম বাবা আমি দুধ দিচ্ছি বাটিতে। আচ্ছা ভর্তি করে দিবো নাকি হাপ দিবো।
হাসিব : ভর্তি করে দিও মা।
"এর পরে ছোট ভাইটি দুধ নিয়ে যাওয়ার পরে আমার সৎ মাকে জিঙ্গেস করি "
--মা এইতো দুধ ছিলো। তবুও কেনো বললে দুধ ছিলোনা। আমি তো সব সময় চাইনা মাসে একবার বা দুইবার খেতে চাই।
--তোকে সেই প্রশ্নের উত্তর দিতে হবে। একটু দুধ ছিলো হাসিবের বিড়ালকে খাওয়ানোর জন্যে।
--আমার থেকে বিড়ালটাই বড় হলো তোমাদের কাছে।
--এইই তুই আমার মুখে মুখে তর্ক করিশ কেনো। যবি এখান থেকে নাকি ঝাটার মার খাবি।
--মা আমার শরীর টা সত্যি খুব অসুস্থ। ডাক্তার দেখালে একটু ভালো লাগতো মনে হয়।
--তোর মা টাকা কামাই করে রেখে গিয়েছে যে ডাক্তার দেখাবি। সবাই মরে তুই মরতে পারিশ না।
"সৎ মায়ের এই কথা গুলা শুনে আবির চুপ চাপ নিজের রুমে এসে শুয়ে পরে।
"তো পরের দিন যখন জমিতে কাজ করা লাগবে তখন আবিরের সৎ মা আবির কে ডাকতে গিয়ে দেখে আবির আত্মহত্যা করেছে। যা দেখে সঙ্গে সঙ্গে বলে উঠে যাক আল্লাহ্ অবশেষে আমাদের মুক্তি করলো।
"এটাই হয়তো সৎ মায়ের গুনা গুন? আবার সব সৎ মা কিন্তু এমন হয়না।
অনু_গল্প : সৎ_মা
মি_হাসিব