- স্বামী স্ত্রীর ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক
স্বামীর হার্টের সমস্যা,শব্দে ঘুমাতে পারেনা।অন্যদিকে আমার হাঁপানি,ঘুমালে ফুস ফুস শব্দ হয়।স্বামী প্রায় রাতে জেগে থাকে।
এই নিয়ে মনে তীব্র বেদনাবোধ হয়।আমার হাঁপানির জন্য স্বামী ঠিকমতো ঘুমাতে পারে না।অনেক চেষ্টা করেও ঘুমের মধ্যে বু"কের টান টা সামলাতে পারিনা।তার যে সামান্য শব্দেও ঘুম হয় না!
স্বামীর ঘুমের অসুবিধা হবে ভেবে সিদ্ধান্ত নিলাম অন্য ঘরে ঘুমাবো।যথারীতি রাতে অন্য ঘরে যেতেই স্বামী নিরীহ মুখ করে বললো
" কোথায় যাচ্ছো? "
" আমার হাঁপানির শব্দে তোমায় ঘুমের কষ্ট হয়,অন্য ঘরে যাচ্ছি "
" আমার তো কোনো সমস্যা হয় না,তুমি সাথেই থাকবে "
" সংসার জীবনের ৩০ বছরে কোনো সমস্যার কথাই তো মুখ ফুটে বলতে পারোনি।বুড়ো বয়সে এসে আর কি বলবে? "
" এই শেষ বয়সে এসে আলাদা থাকবো? "
" রাত টুকুই তো ব্যাপার,ঘুমাও তো।অনেক রাত হইছে "
এভাবেই আমাদের আলাদা ঘরে থাকা শুরু হলো।রাতে কিছুক্ষণ পরপরই ওনাকে দেখতে যাই।বু'কে কাঁথা জ"ড়িয়ে দেই,চোখে কোনে জমে থাকা জল আঁচলে মুছে দিই।একরাতে স্বামীর কাছে আসতেই বললো
" সেকি! একটু আগেই তো গিয়ে দেখে আসলাম তুমি বেঘোরে ঘুমাচ্ছো "
হকচকিয়ে বললাম " তুমি ঘুম ভেঙ্গে আমায় দেখতে যাও? "
" তুমি আসতে পারো,আমি পারিনা? "
৩০ বছরের দম্পতি।ভালোবাসা এখনো ফুলসজ্জা রাতের মতোই আবেগপ্রবণ।কি জানি, সঠিক মানুষকে পেলে হয়তো ভালোবাসা কখনো শেষ হয় না।
গল্প-খেয়াল
লেখক-জয়ন্ত_কুমার_জয়
- স্বামী স্ত্রীর ভালোবাসা
-" স্ত্রী আমার মানিব্যাগ থেকে টাকা চুরি করে।বিষয়টা বুঝেও না বোঝার ভান করে থাকি।
এমনি এক রাতে প্যান্ট খাটের স্টানের সাথে রেখে ওয়াসরুমে গেলাম।এসে দেখি প্যান্টের ভাজ অন্যরকম হয়ে আছে।মানিব্যাগ চেক করলাম,৭০ টাকা নেই।
স্ত্রীকে এ ব্যাপারে কিছু বলতেও পারি না।বললে যদি ভুল বুঝে!কষ্ট পায়! ওর কষ্ট সহ্য করতে পারিনা।
কিন্তু এভাবে না বলে টাকা নেওয়াও তো ঠিক না।আমি মধ্যেবিত্ত,অগাদ টাকা পয়সা নেই,তার মধ্যে থেকেও এভাবে টাকা নিলে কিভাবে হবে!
আজ সকালে স্ত্রী বললো " বসন্ত এসে গেছে প্রিয়।চলো না একটু মার্কেটে যাই,কেনাকাটা করবো "
বিষ্মিত হয়ে বললাম " এখন মার্কেট!আমার কাছে টাকা কোথায়? "
" আমার কাছে আছে।চলো "
মার্কেটে গেলাম।স্ত্রী একটা পাঞ্জাবি দেখিয়ে বললো " বাবার জন্য নিবো এটা।কেমন হবে? "
" এটায় তো ফুলের ছবি আকা,বাবা এতো রং পড়ে না "
" বসন্ত তো আসেই সবার মনে রং লাগিয়ে দিতে।আর আমি কিছু কিনলে বাবা পড়বে না তা হতে পারে? "
অতঃপর স্ত্রী বাবা মায়ের জন্য শাড়ি পাঞ্জাবি কিনলো৷ আমার জন্যও পাঞ্জাবি কিনে বললো " কেনাকাটা শেষ,চলো "
" চলো মানে? তুমি তো কিছুই নিলে না"
" আমার তো আলমারি ভর্তি জামা।নতুন কিনে অপচয় করার কি দরকার? "
বুঝলাম ও মিথ্যা বলছে।ওর কাছে আর টাকা নাই।আমার পাঞ্জাবি দোকানিকে ফেরত দিয়ে টাকা নিলাম।
স্ত্রী অভিমান করে বললো " আমি শখ করে নিলাম, ফিরিয়ে দিলে? "
হেসে বললাম " এইটুকু মেয়েকে বিয়ে করে আনলাম।এতো বড় হয়ে গেলে! "
" মানে? "
" তুমি পাশে থাকলে নতুন,পুরাতন সব পোশাকেই বসন্ত উৎসব করা যায় "
" ধুর,তুমি সবসময় লজ্জা দাও।এই টাকা দিয়ে এখন কি করবে? টাকা কিন্তু ফেরত নিয়ে যেতে দিবো না।অনেক কষ্ট করে কামিয়েছি "
" এমন কিছু নাও যেটা দুজনার সাথেই থাকবে "
" পারফিউম? "
এরপর থেকে মানিব্যাগে ইচ্ছে করেই ৫০,১০০ টাকা রেখে দিই।নিজে তো সঞ্চয় করে কাউকে উপহার দিতে পারিনা।ও দিতে পারলে দিক,মেয়েটা আমার কাছে এখনো রহস্যময় থেকে গেলো।
গল্প-রহস্যময়ী
লেখক-জয়ন্ত_কুমার_জয়
- স্বামী স্ত্রীর রক্তের গ্রুপ কেমন হওয়া উচিত
"৯ মাসের সন্তান পেটে নিয়ে একটু সুয়ে ছিলাম। এমন মূহুর্তে শাশুড়ি বাহির থেকে বলে উঠলো।
'সারা দিন এইভাবে সুয়ে থাকলে হবে। খাওয়া দাওয়ার ব্যবস্তা কে করবে শুনি।
-মা আমার পেট ভিষন ব্যথা করতেছে। যদি কষ্ট করে আপনি একটু আজ রান্না করতেন।
-তোমার এই নাটক দেখতে দেখতে আমি ক্লান্ত। বেশি কথা বলতে পারবোনা তারা তারি রান্না ঘরে যাও।
-প্লিজজ মা।
-বলছিনা এই সব নাটক আমি পছন্দ করিনা। বেরিয়ে আসো রুম থেকে।
'শাশুডির রাগান্বিত কথা শুনে জান্নাত এক মুহূর্ত দেরিনা করে বাহিরে চলে আসে।
-এখন রান্না ঘরে গিয়ে রান্না করো।
-ঠিক আছে মা যাচ্ছি।
'এর পরে জান্নাত অসুস্থ অবস্থায় রান্না ঘরে এসে রান্না করতে থাকে।
'বেশ কয়েক মিনিট পরে জান্নাতের স্বামী বাসায় এসে জান্নাত জান্নাত করে চিৎকার শুরু করে।
'স্বামির এমন চিৎকারের আওয়াজ শুনেই জান্নাত তার কছে চলে যায়।
-হ্যাঁ বলো।
-কোথায় ছিলে তুমি এতক্ষন।
-রান্না ঘরে রান্না করছিলাম সবার জন্যে।
-এইই তোমাকে কতোবার বলেছি এমন অবস্থায় তোমার কোন কাজ করা যাবেনা।
-একদিকে কাজ না করলে তোমার ভালো। অন্য দিকে কাজ না করলে তোমার মা বাজে কথা বলে। কার কথা শুনবো আমি।
"বউয়ের কথাটি শুনেই ছেলেটি আবার চিৎকার করে তার মাকে ডাক দেয়। এবং তার মা আসলে বলতে থাকে।
-সমস্যা কি তোমার মা।
-আমার আবার কিসের সমস্যা হবে।
-তুমি জান্নাতকে রান্না ঘরে পাঠাইছো কেনো। তুমি জানোনা এই অবস্থায় ওর কাজ করা নিষেধ।
-আমারা বাচ্ছা হওয়ার আগে পযর্ন্ত কাজ করেছি। আর এখনকার মেয়েদের নাটক।
-বুঝলাম। কিন্তু তুমি তোমার মেয়ে যখন গর্ভবতী হয়েছিলো তখন তাকে ৬ মাসের মাথায় কেনো বাড়িতে নিয়ে এসেছিলে। তাকে কেনো কাজ করতে দাওনি। তার কেনো এতো যত্ন করেছো। উত্তর দাও আমাকে। কেনো এইটা নিজের মেয়ে না বলে এমন করতেছো।
"ছেলের কথায় মা কি উত্তর দেবে ভেবে পাচ্ছেনা?
-শোন জান্নাত তুমি সব কিছু গিছিয়ে নাও তোমাকে আজ তোমার মায়ের কাছে রেখে আসবো। এই কয়েকদিন ওখানে রেষ্ট নিও।
-আরে সমস্যা নেই।
-একদম চুপ থাকো। আমি যা বলেছি তাই হবে সব কিছু গুছিয়ে নাও!
"ছেলেটি কি সঠিক সিদ্ধান্ত নিয়েছে' সবাই একটু কমেন্ট করে জানাবেন প্লিজজ। আমাদের সমাজে সত্যি এখন এমন হচ্ছে' নিজের মেয়েটা মেয়ে' কিন্তু ছেলের বউটা মেয়েনা'
অনুগল্প:-যত্নশীল_স্বামি