বন্ধুদের নিয়ে ফানি স্ট্যাটাস
সকাল ৬ টায় হাটা"হাটি করার জন্য রাস্তায় বের হলাম।
---দেখি পাশের বাড়ির কদম " এই ভোর সকালে গোসল করছে। আমি তো অবাক। 🙆♂️
তার কাছে গিয়ে বললাম -
--"কিরে, কদম এই ভোর বেলা" এত ঠান্ডা পানি দিয়ে গোসল করছিস। কী বেপার কোথাও যাবি?
--"আরে ভাইয়া ভোর কোথায় পেলে " ৬ টার উপরে বাজে। এটা ভোর। আমি তো প্রতিদিন'ই এই সময় উঠে ঠান্ডা পানি দিয়ে গোসল করি।
'কদমের সাথে কথা বলছি' তার কিছুক্ষন পর দেখি তার মা রমেলা বেগম, পাতিলে করে কী মনে হয় নিয়ে আসছে।
--"আমি কিছু বলার আগেই কদম বলছে" মা এখন কেন এসেছ। 🤦♂️
আমি : রমেলা কাকি। কী এখানে?
কাকি : গরম পানি বাবা। 🐸
আমি : গরম পানি কেন?
কাকি : আর বলিও না" আজকে ৭ দিন যাবত গোসল করে না কদম। প্রাইবেট মাস্টার নাকি বলেছে " আজকে গোসল করে না আসলে " মেয়েদের সামনে উপমান করবে " তাই বাবু সকাল সকাল ই গোসল করতে আসছে।
আমি : কীরে কদম?
"কদম চুপসে গেছে " মুখে আর কোন কথা নেই। 🦥🐸
----সমাপ্ত----
অনু-গল্প শীতের_গোসল
বাংলা ফানি স্ট্যাটাস
- নে খা, খা বলছি...
-আরে আস্তে ,রাই লেগে যাবে, কি করছিস?
- না তোকে খেতেই হবে, খা, পুরোটা খা....
- ওরে পায়েসের সাথে চামচটাও খাইয়ে দিবি নাকি রে?
- হ্যাঁ দেবো, প্রিয়াঙ্কা কালকে কি বলছিল? 'রাইমা তো রান্নাই করতে পারেনা, আজ অবধি নুডলস এর বাইরে যায়নি' আর তুই? তুই ওর হ্যাঁ তে হ্যাঁ মেলাচ্ছিলি? পুরো বাটি আজকে আমি তোর মুখে পুরে দেবো।
- ওহ তো ম্যাডাম সেসব শুনে ফেলেছিলেন? তাই সকাল সকাল পায়েসের আয়োজন?
- তা নয় তো কি? সবই তো পারি আমি কোন কাজটায় তোর থেকে কম যাই? পারিনা শুধু রান্নাটা তাও শেখার চেষ্টায় আছি তবু তোকে তো আমার বদনাম করতেই হবে নাহলে স্বামী হওয়া সার্থক হবে কি করে? ঠিক বলেছিল মেঘা সব ছেলে এক সব, বসে আছিস কেন? রান্না করতে পারিনা বলে তো অনেক কথা শোনালি এবার করে এনেছি খা।
- দাঁড়া দাঁড়া পরে খাওয়াস আগে একটা কথা বল তো কাল অর্ধেক কথা শুনেই চলে গেছিলি, বাকিটা আর শুনিসনি তাই তো?
- তুই কি করে জানলি? হ্যাঁ গেছিলাম, নিজের অপমান ধৈর্য ধরে শোনার মতো মেয়ে নই আমি, বুঝলি?
- হ্যাঁ বুঝলাম সাথে এটাও যে পুরো কথা না শুনে তিল কে তাল করা মেয়ে আপনি।
- মানে?
- আমি প্রিয়াঙ্কার কথায় সায় দিয়েছিলাম যে তুই রান্না পারিস না সেটা ঠিক কিন্তু তারপরেই আমি ওকে পরিষ্কার জানিয়ে দিয়েছিলাম যে সবাইকে সবটা পারতেই হবে এমন কোনো কথা নেই, রাই যেটা পারেনা সেটা আমি পারি আবার আমি যেটা পারিনা সেটা ও পারে আমরা একে অপরের কমতি গুলোকে পূরণ করে নিই বলেই তো আমরা পরিপূরক।
- তুই সত্যি ওকে বলেছিস এটা?
- হ্যাঁ জানি আমার কথায় তোর বিশ্বাস হবেনা দাঁড়া ফোন করছি ওকে।
- এই না না সরি! ভেরি ভেরি সরি! আর কোনোদিন তোকে ভুল বুঝবো না ক্ষমা করে দে রৌনক.. please!
- হ্যাঁ সে দিতে পারি তবে তার আগে কথা দিতে হবে আর কখনো অর্ধেক কথা শুনে বাকিটা নিজের মতো সাজিয়ে নিবিনা।
- পাগল নাকি? এই ভুল আর করি? নেভার এভার!
- আর একটা প্রমিজ করতে হবে এটা আগেরটার থেকেও ভাইটাল।
- আবার কি? আচ্ছা বেশ, বল....
- আর কোনোদিন রান্না করতে যাস না মা পায়েসে চিনি দেওয়া হয় নুনে পোড়া করে দিয়েছিস তুই।
- হ্যাঁ কি? এবাবা সরি সরি রাগের চোটে একদম খেয়াল করিনি..কি বড়ো ভুল হয়ে গেল রে আচ্ছা আচ্ছা তোকে আর ওটা খেতে হবেনা আমি তোর জন্য বিরিয়ানি বানাচ্ছি..
- ও গড নোওওওও.....!!!!!!
ফানি পোস্ট মেয়েদের
" এই বুয়া,কাল আসোনি কেন? তোমায় না বলেছি কাজে ফাঁকি দিবা না।এরকম করলে কিন্তু কাজে রাখবো না "
বুয়া হাসি হাসি মুখ করে বললো " সোয়ামি আইতে দেয় নাই মেডাম "
" কেন আসতে দেয়নি? "
" বলতে পারুম না।হেয় কাইল একখান গোলাপ লইয়া আইছিলো।সক্কালে মোর কানে গুঁজায়ে দিয়া কইলো আইজ কামে যাওন লাগবোনা!কাইল নাকি পেরেম ডে আছিলো "
বুয়ার কথায় বেশ অবাক হলাম।বললাম " তারপর? সারাদিন প্রেম করলে? "
" কি যে কন মেডাম।অহন কি পেরেম করার বয়স? হেতি তো বুঝে না,জোর কইরা সারাদিন রিসকায় নিয়া ঘুরছে।পার্কে বসে বাদাম কিনছে,হোটেলে পরোটা চা খাওয়াইছে "
দীর্ঘশ্বাস ফেলে বললাম " আচ্ছা,এখন কাজ করো "
বুয়া গুনগুন করে গান গাইতে গাইতে রান্নাঘরে ঢুকলো।বিষণ্ণ মনে স্বামীকে কল করলাম।কল রিসিভ করে স্বামী বললো
" তোমায় কতবার বলেছি অফিস টাইমে কল করবে না? "
" তুমি আসবে কখন? "
স্বামী কিছু না বলেই ফোন কে'টে দিলো।রান্নাঘর থেকে বুয়ার গানের গ"লা ভেসে এলো
কাছে আইসো আইসো রে বন্ধু,প্রেমের কারণে
ভালোবাসবো বাসবো রে বন্ধু, তোমায় যতনে
গল্প-গুরুত্ব
লেখক-শূন্য_চিঠি
- রোমান্টিক ফানি পোস্ট
তিন কবুল বলে যেই বেডারে বিয়া করছি সে আমারে দেখলেই শরমে ম'রেই যায়। এমন ভাবভঙ্গি করে মনে হয় আমি ছেলে উনি মেয়ে। বিয়ের রাতে এসে লাজুক মুখে কাচুমাচু করে বললো,
"তৃষা আমি কি তোমার হাতটা স্পর্শ করতে পারি?"
বলেই লজ্জায় নুয়ে পরলো।অনুমতি নিচ্ছে ভালো কথা। তাই বলে সে লজ্জা পাবে কেন? লজ্জা তো আমার পাওয়ার কথা। আমি লজ্জা কি পাবো, হতভম্ব হয়ে তার দিকে তাকিয়ে রইলাম। বেটাকে আচ্ছা করে একটা দৌড়ানি দিতে পারলে মনটা শান্তি পেতো। রাগে ইচ্ছে করছিলো মাথার ওড়না খুলে বলতে,
"নে ভাই, আমার মাথার ওড়নাটা ধর। এরপর মাথায় বড় করে ঘোমটা টেনে খাটের মাঝে বস। আমি ঘোমটা তুলে তোর মুখটা দর্শন করি।"
কিন্তু তাও বলতে পারছিলাম না। বিস্ময়ে মুখ দিয়ে কথাই বের হচ্ছে না। পুরুষ মানুষ এতো লাজুক মানায়? সে মিনমিনে গলায় বললো,
'কই হাতটা দাও?"
বলেই মাথা নিচু করে চোখ খিচে বিছানার চাদর খামচি দিয়ে ধরলো। এবার কনফিউশানে পরে গেলাম। একটা কথা মনে পরতেই চমকে উঠলাম। হাসফাস করতে করতে, ঘাড় কাত করে অসহায় গলায় জিজ্ঞেস করলাম,
"ভাই, তুই কি আসলেই পুরুষ? নাকি মনে মনে?"
--সমাপ্ত
-কনফিউশান
-Writer_NOVA