- স্বামী স্ত্রীর আদর ভালোবাসা
সকাল থেকে স্ত্রীর মন বিষণ্ণ।বিয়ের পর এই প্রথম তাকে মনম"রা দেখছি!ভাবতে লাগলাম কি করলে ওর মন খারাপ চলে যাবে।
কারন জানতে জিগ্যেস করলাম " তোমার কি পি"রিয়ড চলছে? "
" না "
" সকাল থেকে চুপচাপ যে! "
" কোথায় চুপচাপ! ঠিকি তো আছি "
ওর চোখের দিকে তাকিয়ে এক টুকরো মেঘ দেখতে পেলাম।মেয়েদের হঠাৎ মন খারাপ হয়ে যাওয়ার এই ব্যাপারটা আমার খুব অদ্ভুত লাগে।
অসুস্থতার নাম করে অফিস থেকে ছুটি নিলাম।যদিও বস বলে দিয়েছে মাইনে থেকে জরিমানা কে'টে নিবে।সে নিক, স্ত্রীর মন খারাপটাই আগে।বাকি সব পরে দেখা যাবে।
ওকে নিয়ে সারাদিন ঘুরলাম,ফুসকা,পার্কে বসে হাওয়াই মিঠাই,পেয়ারা মাখা,লাইট জ্বলে একধরনের বেলুন কিনে দিলাম।সারাদিন এসব করে সন্ধ্যায় রওনা হলাম ওদের বাড়িতে।স্ত্রী অবাক হয়ে বললো " তুমি সত্যিই যাবে? "
" হ্যা যাবো "
যাওয়ার সময় দু-কেজি ময়দা আর মুরগীর মাংস নিলাম।শ্বশুর শ্বাশুড়ির সাথে জমিয়ে গল্পগুজব করতে করতে রাতে লুচি তরকারি খেলাম।শ্বশুর মশাই তার মোটা কন্ঠে ভাওয়াইয়া গান ও শোনালেন।আমি বেসুরো কন্ঠে রবীন্দ্র সঙ্গীত গাইলাম।স্ত্রীও তার স্নিগ্ধ স্বরে গান গাইলো,আমি মুগ্ধ হয়ে শুনলাম।মেয়েটা এতো সুন্দর গান গাইতে পারে!
রাতটা শ্বশুর বাড়িতে থেকে পরেরদিন স্ত্রীকে নিয়ে বাড়ি ফিরলাম।ওর চোখে মুখে ঝলমলে সুখ।চোখে বিষাদের মেঘ পুরোপুরি কে'টে গেছে,সূর্য উঠেছে।ওর মন খারাপ সহ্য করতে পারিনা।
গল্প-অন্তর্যামী
লেখক-জয়ন্ত_কুমার_জয়
- স্বামী স্ত্রীর ভালোবাসার পোস্ট
পিরিয়ড হয়ছে আপনি আমাকে স্পর্শ করবেন না পিলিজ।
এটা কেমন কথা ইতি আজ আমাদের বাসর রাত তুমি জানো না নাকি?
আসলে আমি বুজতে পারিনি
আমি কিছু জানিনা ইতি আমি আজই বাসার করবো।
আচ্ছা নীল ৩/৪দিন পরে করলে কি হয় না।
কি বলছো তুমি ইতি আজ আমাদের বাসর আর আমি এই সুন্দর মুহুর্তটা নষ্ট করতে চাইনা।
কিন্তু.....
কোনো কিন্তু না ইতি তুমি কাপড় খুলো আমি একটু বাইরে যাচ্ছি।
এই বলে নীল বাইরে চলে গেলো। আর ইতি বাধ্য হয়ে শরীর থেকে এক একটা করে কাপড় খুলতে লাগলো। কতোই না সপ্ন ছিলো ইতির তার স্বামিকে নিয়ে আজ সব মাটিতে মিষে গেলো😥
কিছুসময় পর নীল ঘরে এলো হাতে কিছু জিনিস নিয়ে।
আপনার হাতে এসব কি আনছেন?
পিরিয়ড হলে যে সমস্ত জিনিস লাগে এতে সব আছে এই নাও।
আপনি এসব এখন কোথায় পেলেন?
আমি আমার ভাবির কাছ থেকে নিয়ে এসেছি।
কি আপনার কোনো লজ্জা সরম নাই। আপনি ভাবির কাছে গিছেন আনতে।
লজ্জা করলে কি হবে এটাতো আমার বউয়ের সমস্যা। আর বউয়ের সমস্যা তো আমাকেই দেখতে হবে।
ওরে আমার স্বামি গো কিন্তু প্রথমে এসে ওইসব বললেন কেনো?
আমি তোমার সাথে মজা করতেছিলাম
বউ❤️
ও আচ্ছা তাহলে আর একটা কথা শোনেন?
কি বলো?
আমার পিরিয়ড হয়নি।
তাহলে আমাকে মিথ্যা কেনো বললে তুমি?
আসলে আমি আপনাকে পরিক্ষা করতেছিলাম। 🤪
তা পরিক্ষা করে কি পেলে আমার দুষ্টু বউ।
আমার স্বামিটা অনেক ভালো ❤️
তাই বুঝি।
হুম। i love you আমার বরটা🌹
I love you to আমার কিউট দুষ্টু বউটা🌹
অনুগল্গ~~বাসর_রাত
লেখনিতে সাদিয়া সুলতানা
- স্বামী স্ত্রীর ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক
-এই নীল শারিটার দাম কতো সাহেব।
-বেশি না মাত্র ৭৫০ টাকা।
-একটু কম রাখেন না সাহেব। আমি শারিটা পছন্দ হয়েছে বউকে তার জন্মদিনে উপহার দিবো।
'লোকটির কথা শুনে দোকানদার বলে' ঠিক আছে তোমার জন্যে মাত্র ৫০০ টাকা।
-ঠিক আছে সাহেব আমি কালকে রাতে আসবো নিতে আপনি শারিটা বিক্রি করিয়েন না।
-কেনো আজ নিবে না।
-নাহ! আজ রিকশা চালিয়ে তেমন কামাই করতে পারিনাই।
-ওহ ঠিক আছে কাল আসিও।
-আচ্ছা!
'এর পরের দিন। সেই রিকশাওয়ালা দিনের বেলায় প্রচুর ভারা মারতে থাকে একটু বেশি টাকার আশায়। সন্ধ্যার সময় টাকা গুনে দেখে মাত্র ৪০০ টাকা হয়েছে' কিন্তু শারিটা নিতে গেলেই ৫০০ টাকা লাগবে। এখন এই টাকা কোথায় পাবে বুঝতে পাচ্ছেনা। তাই মন খারাপ করে সেই শারির দোকানে চলে গিয়ে বলে।
-সাহেব এই শারির থেকে একটু কম দামের শারি নেই যেটা দেখতে এমনি হবে।
-কেনো এইটা কি হলো।
-আসলে সাহেব আমি এতো টাকা রোজগার করতে পারিনাই।
-তাই! কতো টাকা আছে তোমার কাছে।
-৪০০ টাকা আছে।
-ঠিক আছে আজ ৪০০ টাকা দাও। কাল আবার বাকিটা দিও।
'দোকান দারের কথাটি শুনেই লোকটির মুখে যেনো হাসি ফুটে উঠলো।
-ঠিক আছে সাহেব আমি কাল এমন টাইমে দিয়ে যাবো।
-আচ্ছা দিও। এই নাও তোমার স্ত্রীর পছন্দের নীল শারিটা।
-হুমম দিন!
"এর পরে সেই লোকটি হাসি মুখে শারিটা হাতে নিয়ে। বউয়ে জন্মদিনের উপহার হিসেবে নিয়ে যায়'
"শুধুমাত্র টাকা পয়সা থাকলেই শুখি হওয়া যায়না।
শুখ একটি রিকশাওয়ার ঘড়েও আছে। যদি ভালোবাসাতে পারেন, বিশ্বাস করতে পারেন।
অনুগল্প:বউয়ের_নীল_শারি
- স্বামী স্ত্রীর ভালোবাসার পোস্ট
"বাজার থেকে দামি ইলিশ মাছটি নিয়ে আসলাম। কারন বাসায় শাশুড়ি মা এসেছে।
'বউকে জিঙ্গেস করলাম" শোন খুব সুন্দর করে রান্না করবে বুঝছো।
'হ্যাঁ!
'রান্না শেষে আমাকে ডাকিও। আমি রুমের ভিতরে শুয়ে আছি কেমন।
'আচ্ছা।
'ঠিক ২ ঘন্টা পড়ে রান্নার কাজ সব শেষ করে বউ খাওয়ার জন্যে ডাক দিলো। রুম থেকে বেড়িয়ে দেখি শাশুড়ি মা এবং আমার বউ খাবার টেবিলে অপেক্ষা করতেছে আমার জন্যে।
'এর পরে খাইতে বসলাম ৩ জনে'' তো ভাত নেয়ার পরে যখনি বউ মাছের তরকারি দিচ্ছিলো তখন বললাম " অধরা মাছের মাতাটি মাকে দাও।
'মুহূর্তেই শাশুড়ি মা বলে উঠলো'
'আরে-না আমি মাছের মাথা খাবোনা?
'জিঙ্গাস করলাম" মা কেনো খাবেন না জানতে পারি কি একটু আমি'
'কেনো বাবা তুমি জানোনা মাছের মাথা অধরার ভিষন পছন্দের" সেই ছোট্ট বেলা থেকে যখনি মাছ আনতো ওর বাবা সেটা অধরাই খাইতো! মাথা না দিলে কখনোই ভাত খাইতোনা।
'ওহ আচ্ছা!
'এর পরে চুপ-চাপ খাওয়া দাওয়া শেষ করে রুমের ভিতরে এসে সুয়ে ছিলাম'' বেশ কিছুক্ষন পরে আধরা ও আসলো।
'জিঙ্গাস করলাম।
'তুমি নাকি মাছের মাথা খাওনা? এইটা নাকি তোমার ভালো লাগেনা? মাছ মুখ দিয়ে পচা জিনিস খায় এই জন্যে খাওনা। কিন্তু আজ এইটা কি শুনলাম আমি।
'কথাটি শুনে অধরা মুখটি নিছু করলো'
'স্বামির খেদমত করতেই যদি না পারি তাহলে আমি কেমন স্ত্রী বলো? স্বামীর প্রিয় খাবারটি যদি তাকে খাওয়াইতে না পারি তাহলে সয়ং আল্লাহ্ বেজার হবে।
'সত্যি আমি ব্যর্থ ২ বছর হলো এক সঙ্গে আবদ্ধ আছি।
কিন্তু তোমার প্রিয় খাবারটাই জানতে পারিনাই। কেমন স্বামী আমি।
'প্লিজজ এখন এই সম্পর্কে কথা বন্ধ করো?
'অনেক ভালোবাসো আমাকে।
'হ্যা প্রত্যেকটি নারী তার স্বামী কে নিজের থেকেও বেশি ভালোবাসে।
"আসলেই স্বামী স্ত্রীর ভালোবাসা এমন হওয়া উচিৎ' যেখানে থাকবেনা কোন অভিযোগ''
থাকবে শুধুমাত্র ভালোবাসা।
অনুগল্প:স্ত্রীর_ভালোবাসা
- স্বামী স্ত্রীর কষ্টের স্ট্যাটাস
লুকিয়ে ছাদে স্ত্রীর কাপড় শুকাতে দিচ্ছি।মা দেখে ফেললো।কর্কষ স্বরে বললো " বৌমার কাপড় তুই নেড়ে দিচ্ছিস? "
" আসলে মা,ওর শরীরটা খারাপ।তাই...."
" শরীর খারাপ তাহলে কাপড় ধুইছে কে? "
মাথা নিচু করে বললাম " আমি "
" বউমা তোর দারায় কাপড় ধুয়ে নিলো? কি এমন শরীর খারাপ যে স্বামীকে কাপড় ধুতে হয়? "
আরো কিছুক্ষণ কর্কষ গলায় আমায় খোঁটা দিলো।আমি নাকি বউয়ের আঁচলে থাকি,প্রেম করে বিয়ে করার মাশুল দিচ্ছি আরো কত কি!
মায়ের কথার কোনো জবাব দিলাম না।সিঁড়িতে দাঁড়িয়ে আমার স্ত্রী মায়ের সব কথা শুনছিলো সেটা লক্ষ্য করিনি।
ঘরে আসতেই স্ত্রী বললো " মা ওভাবে বললো আর তুমি চুপ করে ছিলে ? মা ঠিকি বলছে। আমায় বিয়ে করে তুমি সত্যিই ঠকেছো "
" তুমি নিজেও তো ঠকেছো।মা তো জানেনা,তুমি তোমার বাবা-মার পছন্দ করা ১ গ্রেডের টপ চাকরিওয়ালা ছেলেকে বিয়ে না করে আমার মতো ৮ গ্রেডের সাধারণ একটা ছেলেকে ভালোবেসেছো। বিয়ে করেছো।তোমার এই ত্যাগের কাছে এই সামান্য কাপড় ধুয়ে দেওয়া কিছুই না।তোমায় নিজের করে পেয়েছি এটাই আমার শ্রেষ্ঠ পাওয়া,বরং আমার ভালোই লাগে,পারলে তোমার সব কাজ আমি করে দিতাম "
" এসব কাজ করছো, কষ্ট হয় না? "
" না।বরং তোমায় না পেলে কষ্ট পেতাম।তোমায় পাওয়ার সাথে সাথেই কষ্ট হারিয়ে ফেলেছি।ভালোবাসার মানুষকে পাশে না পাওয়াই বড় কষ্ট।ভাগ্যিস সে কষ্ট আমি পাইনি "
স্ত্রীর চোখে জল।অশ্রুসিক্ত চোখ নিয়ে বললো " কাছে আসো, জ"ড়িয়ে ধরবো "
গল্প-তুমি_আমি
লেখক-জয়ন্ত_কুমার_জয়