- সত্যিকারের ভালোবাসা মানে কি
-লজ্জা করেনা ভিক্ষারির ছেলের সঙ্গে "প্রেম করতে।
-এই কে আপনি হ্যাঁ।
-আমাকে চেনা লাগবেনা। আজ থেকে ওর সঙ্গে কোন কথা বলবেনা।
-রাস্তা সরেন যতোসব নষ্ট পোলাপান কোথাকার।
-আমি নষ্ট পোলাপন নই। আপনি যার সঙ্গে প্রেম করেন সেই ছেলেটাই নষ্ট।
-আপনাকে সেইটা চিন্তা করতে হবেনা।
-অবশ্যই চিন্তা করবো আমি।
-কে আপনি যে চিন্তা করবেন। আমি তো আপনাকে চিনিনা।
-শোন উপমা আমি তোমাকে ভালোবাসি। তুমি হাসিবকে ভূলে যাও।
-হাহাহা এতোটা সহজ নয় হাসিবকে ভূলে যাওয়া।
-কেনো।
-কারন আমি ওকে নিজের জীবনের থেকেও বেশি ভালোবাসি বুঝলেন।
-কিন্তু ওর সঙ্গে তো তোমার জায়না। কোথায় ভিক্ষারির ছেলে - কোথায় কোটিপতির মেয়ে।
-ভালোবাসা টাকা পয়সা দেখে হয়না।
-এতো কিছু বুজিনা আমি তোমাকে ভালোবাসি তুমি হাসিব কে ভূলে যাবে ব্যাস।
'কথাটি শেষ হতে না হতেই উপমা ছেলেটিকে কশে একটি থাপ্পড় দেয়।
-ঠাসসস! ঠাসসস! যদি আর একটি কথা বল পায়ের জুতা খুলে মারবো বেয়াদব কোথাকার। ভালোবাসা কখনো রুপ বা টাকা দেখে হয়না। বিশ্বাসাস্ত একটি মন লাখে '?
-কথাটি শুনেই ছেলেটি নিচের দিকে তাকিয়ে থাকে' সেটা দেখে আবার উপমা বলে'
-শোন ভাই আমি সত্যি হাসিব কে অনেক ভালোবাসি' আমি যানি ওর টাকা নেই কিন্তু বিশ্বাস করো আমাদের ভালোবাসার কমতি নেই। ও আমাকে রেষ্টুরেন্টে খাইয়াইতে পারেনা। কিন্তু যখন ১০ টাকার বাদাম নিয়ে এসে বলে উপমা তোমাকে ভালোবাসি। এই কথাটি শুনার পরে কেনো জানি ওর প্রতি আমার আরো ভালোবাসা বেরে যায়। তোমার দুটি হাত জোর করে বলি আমাদের মাঝে আসিওনা প্লিজজজজ।
'উপমার এমন কথা শুনে ছেলেটি বুঝতে পারে' ভালোবাসা টাকা পয়সা রুপ দেখে হয়না। আর যাকে ভালোবাসা যায় তাকে কখনো ছেরে যাওয়া যানা'
-অনুগল্প:দামি_সম্পর্ক
- সত্যি কারের ভালোবাসা উক্তি
-কলেজের 'খারপ ছেলেটার প্রেমে পরছিলাম। যার কারনে সবাই আমাকে পাগল ভাবতো।
-আজ থেকে ৫ বছর আগে ' হঠাৎ তাকে বলে উঠি আমি আপনাকে ভালোবাসি।
-আমার সম্পর্কে জানো।
-তোমার সম্পর্কে আমার কোন জানার ইচ্ছে নাই। আমি তোমাকে বিয়ে করতে চাই
-আমি একটি খারাপ ছেলে! মেয়েদের ডিস্টাপ করি! কোন কাজ কর্মও করিনা।
-তবুও তোমাকে আমার চাই।
-কিন্তু।
-কোন কিন্তু না। আমি তোমাকে যা বলছি তাই হবে। নাকি আমাকে পছন্দ হয়নি তোমার।
-তোমার মতো এতো সুন্দরী মেয়েকে পছন্দ হবেনা এইটা কোন কথা বললে তুমি।
-ঠিক আছে তোমার বাসা থেকে আমার বাসায় লোক পাঠাও বিয়ের সমন্ধে।
-ঠিক আছে?
'তো এর পরে হাসিব বাসায় এসে উশার বাসায় বিয়ের জন্যে প্রস্তাব পাঠালে উশার বাড়ির কেউ রাজি হয়না। বরং অপোমান করে পাঠিয়ে দেয়'
'এই সব দেখে উশা বাবা মায়ের কথা অমান্য করে হাসিবের সঙ্গে বাসা থেকে বেরিয়ে যায়। এবং দুজন দুজনে বিয়ে করে নেয়।
'এর শুরু হয় নতুন একটি অধ্যায়'
-উশা পরাশুনায় অনেক ভালো ছিলো! তাই হাসিব উশাকে বলে '
-শোন উশা তুমি পরাশুনায় অনেক ভালো। তুমি পরাশোনা করো। আমি ব্যবসা করি।
-কিন্তু!
-কোন কিন্তু নেই তোমাকে পরাশুনা করে বর হতে হবে।
-ঠিক আছে তুমি যা চাও তাই হবে।
'এর পরে উশা পরাশুনা শুরু করে দেয়, এই দিকে উশার পরাশুনা যাতে সমস্যা না হয় এই কারনে হাসিব নিজেই ভাত রান্না করতো, উঠান ঝারু দিতো। থালা বাসন ধুইতো?
'যা দেখে সবাই বলতো এই মেয়ের জন্যে হাসিব কতো কিছু করতেছে বোকার মতো। এই মেয়ে একদিন ছেরে যাবে হাসিব কে।
'এই সব কথায় আবার উশা বা হাসিব কেউ পাত্তা দিতোনা। তারা নিজের মতো থাকতো।
-এই ভাবে দেখতে দেখতে ৫ বছর হয়ে গেলো। উশা এখন ডাক্তার এবং হাসিব একজন ব্যবসায়ি।
-তাদের মধ্যে নেই কোন অহংকার, আছে শুধুমাত্র ভালোবাসা।
"আজ উশার পরিবারের সবাই হাসিব কে মেনে নিয়েছে! তারা বেশ সুখেই আছে।
"আসলেই একটি মেয়ে চাইলে একটি ছেলেকে পরিবর্তন করতে পারে' একটি ছেলে চাইলেও একটি মেয়েকে প্রতিষ্টিত করতে পারে।
-অনুগল্প :সুন্দর_স্বামি
- ভালোবাসা নিয়ে উক্তি
পৃথিবীতে সবচেয়ে মূল্যবান সম্পদ কি? জানেন? ভালোবাসা❤️
কেউ এই ভালোবাসার পাওয়ার জন্য সারাটা রাত কান্না করে অঝোরে চোখের পানি ঝরায়।
আবার কেউ এই ভালোবাসাটা পেয়ে তার মূল্যটা দিতে চায় না।
আসলে কথায় আছে না পেয়ে গেলে কোন কিছুই মূল্য থাকেনা।
তাই আপনি কাউকে বেশি কাঁদিয়ে নিজেকে অতি চালাক ভেব না।
আজকে আপনি যাকে কাঁদাইতেছেন একদিন ঠিক আপনিও এর থেকে বেশি কাঁদবেন।
একটা কথা আছে না উপরওয়ালা ছাড় দিন কিন্তু ছেড়ে দেন না।
যারা না পেয়ে কষ্টে জীবনযাপন করছেন তাদের উদ্দেশ্য কিছু বলি।
আপনি আপনাকে সব সময়ের মধ্যে নিজেকে খুশি রাখবেন হাসি খুশি থাকবেন।
দেখবেন আপনার সামনে যত ঝড় আসুক না কেন আপনি অনেসে মোকাবেলা করতে পারবেন।
- ভালোবাসার উক্তি
কারোর মিথ্যা মায়ায় না পড়ে নিজের ক্যারিয়ার গড়ে তুলুন।
তখন আপনাকে খোঁজা লাগবে না আপনাকেই খুঁজে নেবে।
সামান্য এই মায়ার পিছনে ঘুরে কত মানুষের জীবন নষ্ট হয়ে যাচ্ছে একবার চিন্তা করেছেন।
জি ভালোবাসাটা সুন্দর যদি ভালোবাসার মানুষটা যদি মনের মতন হয়।
-না_পাওয়া_ভালোবাসা
-আরিয়ান
- ভালোবাসার রোমান্টিক স্ট্যাটাস
গোসলের পর ছাঁদে চুল শুকাতে গেলে প্রায়ই পাশের বাড়ির ছাদ থেকে একটা ছেলে আমার দিকে ড্যাবড্যাব করে তাকিয়ে থাকে।
ছেলেটার চোখে চোখ পড়ে যখন সিঁড়ি বেয়ে ছাঁদে উঠি তখন।ছাঁদে যতক্ষণ থাকি ওইদিকে আর তাকাই পর্যন্ত না,কিছুক্ষণ থেকে মাথা নীচু করে নেমে যাই।
আমার ঘরের জানালা দিয়ে ওই বাড়ির ছাঁদ দেখা যায়।ছাঁদ থেকে নেমে আসার পর প্রতিদিনই জানালা দিয়ে ওই ছেলেটাকে দেখার চেষ্টা করি,ছেলেটা থাকে না।হয়তো আমি নামার সাথে সাথেই সে ও নেমে যায়!
এমনি একদিন রাস্তায় ছেলেটাকে দেখলাম।গা"লে,কপালে ব্রণের দাগ,চুল বড়,ফর্সা,প্রশস্থ বু"ক। দ্বিতীয়বার আর সেই ছেলের দিকে তাকানোর চেষ্টাও করলাম না।
ছেলেটাকে পার করে যাওয়ার একটু পর একটা ছোট বাচ্চা হঠাৎ সাদা আপু বলে ডাক দিলো।চমকে পেছনে তাকালাম,আমাকেই ডাকছে!
ছোট বাচ্চাটা আমার দিকে একটা কাগজ এগিয়ে দিয়ে বললো, ওই ভাইয়াটা দিছে।
এটা বলে বাচ্চাটা হাত ইশারায় রাস্তার কোনের দিকটা দেখালো।আমি তাকালাম,কেউ নেই।বাচ্চাটা বললো " এখনি তো ছিলো এখানে,কই গেলো? "
হেসে বললাম " আমায় ভয় পায় তো,তাই "
" তোমায় ভয় পায় কেন? তুমি কি ওকে মা"রো? "
" মা"রি তো,পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ যন্ত্রণা দিচ্ছি,ভয় তো পাবেই "
" মানে? "
" বুঝবে না।তুমি যাও।ওই ছেলেকে বলবে আমি প্রচন্ড রাগ করেছি। কাগজটা ফেলে দিছি "
" ওই ভাইকে কই পাবো? উনি তো চলে গেছেন "
" যায়নি,দেয়াল টপকে ওইপাশে গেছে "
বাচ্চাটা অবাক হয়ে বললো " তুমি জানো কিভাবে? "
হেসে বললাম " মেয়েরা সব জানে "
বাচ্চাটা চলে গেলো।ঘরের দরজা আঁটকে কাগজটা খুললাম।পেন্সিলে কাঁচা হাতে আঁকা আমার স্কেচ ছবি।ঠোঁ"টের কোণে হাসির আভা ফুটে উঠলো,কাগজটা বু"কে চেপে ধরে বললাম " একবার শুধু পেয়ে নিই,বুঝাবো মজা "
গল্প-ছেলেটা
লেখক-জয়ন্ত_কুমার_জয়