পরকিয়া প্রেমের গল্প | পরকিয়া প্রেমের স্ট্যাটাস ২০২৪

পরকিয়া গল্প

পরকিয়া গল্প

 _আচ্ছা বাবা, মা আর রাকিব আঙ্কেল দরজা আটকিয়ে কী করে?

পাঁচ বছরের মেয়ের মুখে এই কথা শুনে মুহুর্তেই আমার অন্তরাত্মাটা কেঁপে উঠলো। কী বলবো বুঝতে পারছিনা আমার এতোটুকু মেয়েকে। আমি জিজ্ঞেস করলাম,,,

_কখন দেখেছো মা?

_তুমি যখন অফিসে থাকো তখন রাকিব আঙ্কেল আর মা ঐ রুমে দরজা আটকিয়ে কী যেনো করে। তখন আমার এই রুমে একা থাকতে খুব ভয় করে, জানো?


আমার এতোটুকু মেয়ের কথা শুনে শরীরের সমস্ত লোম দাড়িয়ে গেল। ঘামে ভিজে শরীর চুপচুপ করছে। মনে হচ্ছে কোন পঁচা ডোবা থেকে এই মাত্র একটা ডুব দিয়ে আসলাম। টেবিলে থাকা গ্লাসটা থেকে ডগডগ করে পুরো গ্লাসের পানি পান করলাম। তবুও কপাল থেকে চুইয়ে চুইয়ে ঘাম বেয়ে পরছে। আমার পাঁচ বছরের মেয়ে মুক্তা হঠাৎই আমার এ অবস্থা দেখে ভয় পেয়ে গেল,,,

_বাবা কী হয়েছে? আম্মুকে ডাকবো?

_না মা তোমার আম্মু ব্যস্ত। আমার কিছু হয়নি। তুমি যাও টিভিতে কার্টুন দেখো।

আমার কথা মতো মুক্তা কার্টুন দেখতে চলে গেল। আমি এখনো এতোটুকু মেয়ের কথা শুনে ঠিক হতে পারছিনা। ভাবছি ওর মতো নিষ্পাপ বাচ্চা চারিপাশে যা দেখবে তাইতো বলবে। আর তাছারা ছোটবেলা থেকে ওকে কখনো মিথ্যা শিক্ষা দেইওনি আর বলেওনি।আমার স্ত্রী শারমিনকে বাবা মায়ের পছন্দেই বিয়ে করেছি। বিয়ের সাত বছরে আজ পর্যন্ত অন্যান্য মেয়েদের মতো কোন খারাপ অভ্যাস বা খারাপ চরিত্র পরিলক্ষিত হয়নি আমার নিকট। কিন্তু ইদানিং আমার সাথে কীরকম যেনো এড়িয়ে চলা ভাব দেখছি। আমি এতে তেমন কিছু মনে করিনা ভাবি হয়তো সংসারের কাজের চাপে এরকম করে। কিন্তু আজ আমার মেয়ে মুক্তার কথা শুনে আমার মাথা কীরকম যেন ভন ভন করছে। শারমিনের প্রতি আমার সন্দেহের তীর ক্রমেই ছুটে চলছে।

রাকিব আমার বাল্যকালের বন্ধু এককথায় বেস্ট ফ্রেন্ড বলা চলে। সরকারি চাকরির সুবাধে আমার এখানে পোস্টিং হয়। হঠাৎই একদিন বাল্যবন্ধু রাকিবের সাথে আমার দেখা হয়। বন্ধুত্বের জন্য মাঝে মাঝেই বাসায় আসে। আমি ভেবেছিলাম শারমিন এতে রাগান্বিত হয়। কিন্তু শারমিনের সেরকম কোন ভাবভঙ্গি আজ পর্যন্ত দেখিনি। বরং রাকিব বাসায় আসলে কীভাবে আপ্যায়ন করবে তার জন্য ব্যস্ত হয়ে যায়। একারণে শারমিনকে নিয়ে আমি এতোদিন গর্ববোধ করতাম যে সে অন্যান্য মেয়েদের মতো না।

কিন্তু আজ আমার মেয়ে মুক্তার কথা শুনে আর কিছু ভাবতে পারছিনা। রান্নাঘরে উকি দিয়ে দেখি শারমিন কী যেন রান্না করছে। ঘামে কাপর শরীরের সাথে লেপ্টে রয়েছে।অন্যান্য দিন হলে পিছন থেকে জড়িয়ে ধরতাম কিন্তু এখন কীরকম যেনো ওর দিকে তাকাতেই ঘৃণা লাগছে।

নাহ এভাবে কোন কিছু তদন্ত না করে শারমিনকে কিছু জিজ্ঞেস করা যাবেনা। যা করার ঠান্ডা মাথায় করতে হবে এসব ভাবতে ভাবতে গোসল করতে চলে গেলাম। গোসল থেকে ফিরেই দেখলাম টেবিলে আমার প্রিয় গরুর মাংস। আগের চিন্তা বাদ দিয়ে খেতে বসলাম। ছুটির দিন সাধারণত আমার মেয়ে আমি হাত দিয়ে না খাইয়ে দিলে খায়না। তাই ওকে কোলে করে খাইয়ে দিলাম। খাবার পর্ব শেষেই দুপুরে আমি আবার ভাত ঘুম দেই। আমার মেয়ে এতক্ষনে ঘুমিয়ে গেছে। শারমিন থালা বাসন পরিষ্কার করে আমার পাশে এসে শুতেই আমি জড়িয়ে ধরলাম। শারমিন আস্তে করে আমার হাতটা সরিয়ে দিলো,,,

_কী হলো বাবু? এরকম করো কেন?

_আহ সরোতো এসব ন্যাকামি আর ভালো লাগেনা।

_এগুলো তোমার নিকট ন্যাকামি মনে হয়? কতদিন তোমাকে আদর করিনা সে হিসেব রাখো?

_শোনো মারুফ, এখন আমার ভালোলাগছে না। সারাদিন সংসারে কত কাজ করি সে দিকে তোমার খেয়াল আছে? তুমিতো অফিস থেকে এসেই খাবারের জন্য বসে পরো। খাবার তৈরি করতে কত কষ্ট সেটাতো ভাবোনা।


আমি ওর এসব কথা শুনে আর কথা বাড়ালাম না। কষ্ট আর রাগ দুটোই কাজ করছে এখন, ঝগড়ার ভয়ে আর কিছু বললাম না।এসব ভাবতে ভাবতে কখন ঘুমিয়ে গেলাম টের পেলামনা। আসরের আজান কানে আসার সাথে সাথেই উঠে পরলাম। শারমিন আর মুক্তা এখনো ঘুমাচ্ছে। আমি আর ওদের না জাগিয়ে বাহিরে একটু হাটতে বের হলাম। চায়ের দোকানে বসতেই পেপারটা হাতে নিলাম, হঠাৎই মাঝের দিকে একটা শিরোনামে চোখ আটকে গেল ""স্ত্রী আর স্ত্রীর প্রেমিক মিলে স্বামীকে গলা কেটে হত্যা""। শিরোনামটা পড়ার সাথে সাথেই শারমিন আর রাকিবের বিষয়টা আমার মাথাচাড়া দিয়ে উঠলো। নাহ আর সন্দেহ পুষে রাখা ঠিক হবেনা কালকের মধ্যেই সবকিছু তদন্ত করে মূল রহস্য উদঘাটন করতে হবে।

কিন্তু কীভাবে আসল ঘটনা বের করবো? ভাবতে ভাবতে হঠাৎই মাথায় একটা বুদ্ধি চলে আসলো। সিসি ক্যামেরাই পারে আমার সকল সন্দেহ দুর করে দিতে। যেই বলা সেই কাজ। দুটো সিসি ক্যামেরা কিনে ব্যাগের ভিতর লুকিয়ে বাড়িতে চলে আসলাম। এর মাঝেই অফিস থেকে কালকের জন্য ছুটি নিলাম।

পরদিন সকাল বেলা....

_এই ওঠো! কতো ঘুমাবে? অফিসে যাবেনা?

_আরে যাওতো একটু ঘুমোতে দাও।

_আরে অফিসের টাইমতো শেষ হয়ে গেল।

_আজকে অফিস থেকে ছুটি নিয়েছি। এতোদিন অফিসে অনেক চাপ ছিল তাই আজকে সারাদিন বিশ্রাম নেবো।

ছুটি নেওয়ার কথা শুনে শারমিন মনে হয় খুশি হয়নি। চেহারাটা কেমন কালো হয়ে গেল।

_আচ্ছা তাহলে মুক্তাকে স্কুলে দিয়ে আসো।

_প্লিজ শারমিন। আজকে আমি একটু বিশ্রাম নেবো। তুমি যাও ওকে নিয়ে।


শারমিন মনে ক্ষোভ নিয়ে মুক্তাকে স্কুলে দিতে চলে গেল। এই সুযোগে সিসি ক্যামেরা দুটো বের করে একটি মেইন দরজার অপর পাশে আরেকটি বেডরুমে সেট করে দিলাম। এমনভাবে সেট করলাম যাতে কেউ বুঝতে না পারে। এগুলো ওয়েব ক্যাম হওয়ায় অফিসে থেকেও আমি সবকিছু দেখতে পাবো।

পরদিন অফিসে বসে আছি। হঠাৎ ক্যামেরা গুলোর কথা মনে পরলো। কৌতুহলবসত কম্পিউটার থেকে ক্যামেরা অন করলাম। এই সময়ে মুক্তা স্কুলে থাকে। দেখলাম বেডরুমে বসে শারমিন কার সাথে যেনো ফোনে কথা বলছে খুব উৎফুল্লভাবে। ধুর তার মানে শারমিনের উপর শুধু শুধুই সন্দেহ করলাম? হঠাৎ বেডরুম থেকে উঠে শারমিন মেইন গেট টা খুলে দিলো। কৌতুহলবসত ভালোভাবে তাকাতেই দেখি রাকিব। শারমিনকে দেখার সাথে সাথেই ওকে কোলে তুলে নিয়ে ঘুরাচ্ছে। অতঃপর বেডরুমের ভিতর ঢুকেই শারমিনকে খাটে ফেলে দিলো অতঃপর শারমিনের উপর উঠে বসলো।


এটা দেখার সাথে সাথেই আমি কম্পিউটার অফ করে দিলাম। সারা শরীর ঘেমে একাকার। আমি বুঝতে পারছিনা কী করবো। মনে হচ্ছে জানালার গ্লিলগুলোকে চিবিয়ে খাই.....

 তবুও আমার রাগটাকে প্রশমিত করতে পারবোনা। এখনি বাসায় গিয়ে খুন করতে ইচ্ছে করছে দুইটা ব্যাভিচারীকে। কিন্তু অফিস দুরে হওয়াতে ওদের হাতেনাতে ধরতে পারবোনা। তাই আগামী কালকের জন্য অপেক্ষা করতে লাগলাম। অফিস থেকে বাসায় ফিরে দেখি শারমিন রান্না করছে। ওকে দেখে আমার খুব রাগ হচ্ছে কিন্তু দোষীতো দুজন কিন্তু একজনকে শাস্তি দেওয়া মানে ন্যায়পরায়ণতার বহির্ভুত। তাই মনের মধ্যে প্রচন্ড ক্ষোভ থাকা সত্ত্বেও শারমিনকে কিছু বললামনা। শারমিনকে আমি একটু পর পর খেয়াল করছি কিন্তু ওর ভাবভঙ্গি সেই আগের মতোই। আমি ভেবে অবাক হই যে ওর মতো বিশ্বমানের অভিনেত্রী কীনা আমার মতো গরিবের ঘরে?

এভাবেই আমার সবচেয়ে নিকৃষ্টতম রাতটি পার হলো।

পরদিন সকাল বেলা,,,

শোন, আজ মুক্তাকে আমি স্কুলে দিয়ে আসি। প্রতিদিনতো তুমিই দিয়ে আসো।

আমার কথা শুনে শারমিন কিছুটা অবাক হলেও বললো,

আচ্ছা ঠিক আছে। যাও।

আমি মুক্তাকে স্কুলে দিয়ে এসেই কামারের দোকানে চলে গেলাম। সেখান থেকে বেছে বেছে সবথেকে ধারালো একটি রামদা আর ছুড়ি কিনলাম। এবার মুদি দোকান থেকে একটি দামি ব্লেড কিনে এবার মোবাইলে থেকে ওয়েব ক্যামটা অন করলাম। নাহ এখনো শারমিন বাসাতে একাই আছে। চিন্তা করলাম কিছুক্ষন সামনের পার্কটাতে বসে সময় ক্ষেপন করি। উপযুক্ত সময় দেশি অস্ত্র নিয়ে হাজির হবো। আজ আজরাইল মনে হয় আমার সাথেই আছে।

শারমিনকে কত ভালোবাসতাম আর সে কীনা এই ভালোবাসার বিনিময় আমাকে এই নিকৃষ্টতা উপহার দিলো। নাহ আর ভাবতে পারছিনা। চোখ থেকে দুফোটা অশ্রু গড়িয়ে পরলো। অশ্রুটা মুছে নিজের আবেগকে প্রশমিত করে চিন্তা করলাম,

নাহ এতো আবেগি হলে চলবে না। আমার সাথে ধোকাবাজি এবং পরকীয়ার শাস্তি ওদের দুজনকে পেতেই হবে। এসব ভাবতে ভাবতে মোবাইলের সময়টা দেখে নিলাম। এ কী দুঘন্টা পের হয়ে গেলো কীভাবে? তাড়াহুরো করে ওয়েব ক্যামটা অন করতেই আমার কাঙ্ক্ষিত জিনিসটি দেখে নিলাম। হ্যা দুজন একসাথেই আছে। ভালোই খেলা হচ্ছে দেখছি। খেলতে থাকো আমি আসতেছি....

এসব ভাবতে ভাবতে রামদা, ছুড়ি আর ব্লেড একটি ব্যাগের ভিতর ভরে বাসার উদ্দেশ্যে রওয়ানা দিলাম।বাসার একটি চাবি সবসময় আমার নিকট থাকে। তাই দরজায় নক না করে আস্তে আস্তে দরজাটা খুলে ভিতরে প্রবেশ করলাম। বেডরুম থেকে শারমিন আর রাকিবের আদিম খেলার শব্দ শুনতেছি। ওদের এই উত্তেজনপূর্ণ মুহুর্তে এখনো আলাপ পায়নি যে বাসায় একজন মানুষ প্রবেশ করেছে। আমি বেডরুমের দিকে যতই এগোচ্ছি শব্দের তীব্রতা ততই বৃদ্ধি পাচ্ছে।আমার ক্রোধও ক্রমেই আকাশচুম্বি হচ্ছে। কোন কিছু ভাবাভাবি বাদ দিয়ে সরাসরি বেডরুমে প্রবেশ করলাম। আমাকে দেখেই দুজন ভূত দেখার মতো চমকে উঠলো। দুজন এখন কাপর ঠিক করতে ব্যস্ত হয়ে পরছে। শারমিন বললো,,,

_একি মারুফ! তুমি অফিসে যাওনি?

_কেন তোমাদের চরম পূলক মুহুর্তে ডিস্টার্ব করলাম বুঝি?

_না মানে...

রাকিব কিছু বলছেনা। ও ভয় আর লজ্জামাখা মুখ নিয়ে নিচের দিকে তাকিয়ে আছে।


আমার রাগে চুল ছিড়ে ফেলতে ইচ্ছে করছে। আর দেরী করলাম না ব্যাগ থেকে চাকুটা বের করে রাকিবের পেট বরাবর ঢুকিয়ে দিলাম। রাকিব চিৎকার করে বলছে,,,

_আহহহহ, ভাই ছেড়ে দে আমি আর জীবনেও একাজ করবোনা।

শারমিন আমার হিংস্রতা দেখে খাটের এক কোণায় বসে ভয়ে কাঁপছে। আমি চিন্তা করছি রাকিবের ব্যাপারটা আগে শেষ করি তারপর ওকে ধরবো।

আর দেরী না করে রাকিবের বস্ত্রটা খুলে ধারালো চাকু দিয়ে ওর লিঙ্গটা কেটে ফেললাম। যেই উত্তেজনার কারণে ও পরকীয়া করলো সেটাকে রেখে কী লাভ। রাকিবের চিৎকারে পুরো ঘরময় শব্দ তরঙ্গের ওঠানামায় কীরকম যেন ভূতুরে লাগছিল। আমি জানি এ শব্দ কখনো বাহিরের পরিবেশে উন্মুক্ত হতে পারবেনা।

এবার বড় রামদাটা বের করা সরাসরি রাকিবের গলাটা আলাদা করে দিলাম।আমার এই চেঙ্গিস খাঁর মতো নির্মমতা হয়তো কোন মানুষই দেখেনি আর সেখানে শারমিন বাচ্চামাত্র। রাকিবের মাথাটা হাতে নিয়ে শারমিনের সামনে রাখতেই ও প্রচন্ড ভয়ে কান্না থামিয়ে শুধুই কাঁপছে। হয়তো ভাবছে এখনি মনে হয় আমার পালা। কিন্তু আমিতো এতো বোকা নই, ও যে চাহিদার জন্য রাকিবের শরণাপন্ন হয়েছে সেই চাহিদাটা তো আগে পূরণ করি। আমি আর অপেক্ষা না করে ওর শরীর থেকে কাপর গুলো টেনে ছিড়ে ওর সাথে জোড়পূর্বক শারিরীক সম্পর্ক করতে লাগলাম। হয়তো স্বামী হিসেবে এটা আমার অধিকার ছিলো কিন্তু এখন নিজেকে আমি কোন ব্যাভিচারীর স্বামী মনে করিনা। শারমিন শুধুই কাঁদছে। হয়তো ভাবতে পারেনি সামান্য পরকীয়ার জন্য ওকে এতো বড় প্রায়শ্চিত্য করতে হবে। জোড়পূর্বক ওকে ধর্ষণ করে মেঝে থেকে রক্তমাখা চাকুটা সরাসরি ওর উরু বরাবর ঢুকিয়ে দিলাম। অতঃপর রাকিবের মতো ওর মাথাটাও রামদা দিয়ে শরীর থেকে আলাদা করে দিলাম।

টাইলস করা সাদা মেঝেটি এখন রক্তের সমুদ্রের মতো লাগছে। দুটো লাশের সামনে বসে আছি। আস্তে আস্তে আমার হিংস্রতা উবে যাচ্ছে। এখন ভাবছি,,,

হায় হায় এটা আমি কী করলাম? প্রচন্ড রাগের মাথায় দুজনকে এতো নির্মমভাবে হত্যা করলাম?লাশের দিকে তাকিয়ে আর কিছুক্ষন আগের কথা ভেবে আমি এখন ভয়ে কাঁপছি। ঘামে পুরো শরীর ভিজে শার্টটা লেপ্টে আছে।


_এই কী হয়েছে তোমার? ঘুমের মধ্যে এভাবে ঘামছো কেন?

আমি চোখ খুলতেই দেখি শারমিন। ভয়ার্ত দৃষ্টিতে আমার দিকে তাকিয়ে বললো,,,

_খারাপ স্বপ্ন দেখেছো নাকি।

আমি স্বপ্নের কথা না তুলে বললাম,,,

_হ্যা ওরকমই

_ও। আচ্ছা তোমায় একটা কথা বলবো বলবো ভাবছিলাম। কিন্তু কী মনে করো তাই বলিনি এতোদিন।

_নিঃসংকোচে বলে ফেলো।

_তোমার বন্ধু রাকিবকে না আমার সুবিধের ঠেকছে না। বাসায় আসলেই কীরকম নজরে যেন আমার দিকে তাকায়। আর তুমি বাসায় না থাকলে হুটহাট চলে আসে। আমি বলিকি তোমরাতো বেস্ট ফ্রেন্ড ছিলে তাই বাসায় আসতে নাও করতে পারবেনা। তাই অন্য কোথাও পোস্টিং এর জন্য আবেদন করো। এখানে আমার খুব অস্বস্থি লাগে।

_আগে বলোনি কেন? আচ্ছা ঠিক আছে আজই আবেদন করবো।

_আচ্ছা


এতোদিন আমি উল্টো শারমিনকে সন্দেহ করতাম আর আজ ওর কথাতে আমার সম্পূর্ণ ধারণাই পাল্টে দিলো। আজ যদি শারমিন আমাকে এসব কথা না বলতো তাহলে আমি সন্দেহের বসে মারাত্মক কাজও করে ফেলতে পারতাম। আল্লাহ আমার উপর সত্যিই রহম করেছেন...


সমাপ্তির কাঠগড়ায় একটি কথাই বলতে চাই সন্দেহ থেকে বেঁচে থাকুন।কারণ সন্দেহ একটি পরিপূর্ণ সম্পর্ক মুহুর্তেই বিচ্ছেদে পরিণত করতে যথেষ্ট।


এমন আরও গল্প পড়ুন।